চলো ভিজি বৃষ্টিতে পর্ব-১৩

0
1210

#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
১৩
.
.
.
.
.
আফসার ভাবনায় ছেদ পড়ল এক পুরুষ কন্ঠ পেয়ে!
তাকিয়ে দেখল সেইদিনের সেই ডাক্তার শোভন!!
কিন্ত এখানে আবার কি করতে এসেছে!!!?

আফসা স্মিত হেসে বলল, ” জ্বি বলুন, কি লাগবে!

শোভন মাথা চুলকে বলল, ” না, কিছু কিনতে আসিনি। আসলে!

আফসা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” তাহলে!?

শোভন কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা, সেদিন হসপিটাল থেকে আফসা চলে যাওয়ার পর সে ভেবেছিলো আর হয়তো তাদের দেখা হবেনা!

কিন্ত মায়ের সাথে এই বুটিক হাউজে এসে আফসাকে দেখে, মনেমনে সে এতটাই এক্সাইটেড হয়ে গেছিলো যে ঠিকমতো কথাই বলতে পারেনি আফসার সাথে।

আজ খুব সাহস নিয়ে এখানে এসেছে আফসার সাথে কথা বলতে।
কিন্ত আফসার সামনে আসতেই সব সাহস গলে পানি হয়ে গেছে তার!

আফসা আবার ডাকলো,” এক্সকিউজ মি! মি. শোভন!
শোভন প্রায় সাথেসাথেই বলে উঠল, ” হ্যাঁ বলুন আফসানা!

শোভনের মুখে নিজের নাম শুনে বেশ অবাক হয়ে গেল আফসা।

ভ্রু নাচিয়ে বলল, ” বাব্বাহ! আমার নামও মনে আছে দেখছি! তাহলে নিশ্চয়ই চিনতেও পেরেছেন!! আমি তো আরও ভাবছিলাম, আপনি হয়তো আমাকে চিনতেই পারেননি!!!

শোভন কিছুক্ষণ বলদের মতো তাকিয়ে থেকে বলল,” আপনার সাথে আবার দেখা হবে ভাবিনি! তাই সেদিন আপনাকে দেখে আমি…

থেমে গিয়ে অন্যদিকে তাকালো শোভন চোখমুখ কুচকে মনেমনে বলল, ” দূর! কি যা তা বলছি!!

আফসা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে শোভনের দিকে।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ নার্ভাস ফিল করছে শোভন, কিন্ত কেন!?

শোভন নিজেকে সংযত করে বলল,” আসলে মা আরেকটা শাড়ি কিনতে পাঠিয়েছে। আর সেদিন আপনার সাথে সেভাবে কথাও বলা হয়ে ওঠেনি। তো ভাবলাম এখান থেকে একটা শাড়ি নিয়ে যাই আর

শোভনকে বাকিটা বলতে না দিয়ে আফসা হেসে বলল, ” আর কথা বলে আসি! তাই তো!!
শোভন মাথা নাড়িয়ে সায় দিল।
আফসা মুচকি হেসে কয়েক সেট শাড়ি বের করে দেখাতে লাগল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চিত্রা কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে রিয়াকে দিয়ে বলল,” আজ আরহাম স্যারের মিটিংয়ে আমি যাবো। আর তুমি এগুলো সব চেক করে রাখবে, ঠিকাছে!

রিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে বলল, ” ঠিকাছে ম্যাম।

চিত্রা চলে যেতেই রিয়া ফাইয়াযকে কল দিলো। আজ সকাল থেকে কল দিচ্ছে সে, কিন্ত ফাইয়ায রিসিভই করছেনা!

রিয়ার ভিষণ টেনশন হচ্ছে, যদিও ফাইয়ায খুবই ম্যাচিওর।
তবু বলা যায় না, মানুষের মন কখন কি ভাবে! যদি কোনো অঘটন ঘটিয়ে বসে!!
ভাবতেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে রিয়ার!!!
.
.
.
ফাইয়ায ব্যালকনিতে বসে ল্যাপটপে কিছু ইম্পর্ট্যান্ট কাজ করছে।
মিসেস ফাতেমা দুই মগ কফি এনে পাশের সোফায় বসে বলল,” সারাক্ষণ ল্যাপটপ, ফোন নিয়ে এতো কি করিস রে!?

ফাইয়ায স্মিত হেসে বলল, ” কিছু কাজ ছিলো আম্মু। তাই চেক করছি।

মিসেস ফাতেমা একটা মগ ছেলের দিকে এগিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল,” কাল রিয়ার সাথে দেখা করেছিলি!?

ফাইয়ায কিছুটা ইতস্ততভাবে বলল,” হুম, একসাথে কিছুক্ষণ সময়ও কাটিয়েছি।

মিসেস ফাতেমা হেসে বলল, ” এখনও কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে চললে হবে!? এবার তো বাকি কাজটাও সেরে ফেলতে হবে। সে যাইহোক তোকে না বলেছিলাম, রিয়াকে শপিংয়ের কথা বলতে! কবে যাবি! ঠিক করেছিস কিছু!?

ফাইয়ায কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা, রিয়ার সাথে আগে কথা বলা দরকার।
এদিকে মা বিয়েশাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে!

ফাইয়ায মগ রেখে মায়ের পাশে বসে বলল, ” এতো তাড়াহুড়োর কি আছে আম্মু!? সবে মাত্র দেশে ফিরলাম, এতোদিন তো দেশের বাইরে ছিলাম। কোথায় আমার সাথে একটু আড্ডা দেবে, আমার পছন্দের রান্নাবান্না করবে তা না! কতদিন তোমার হাতের রান্না খাইনা বলো তো!!

মিসেস ফাতেমা মুচকি হেসে বলল, ” আচ্ছা আচ্ছা বুঝেছি। আজ থেকে আবার তোর পছন্দের রান্নাবান্না করবো। ঠিকাছে!

ফাইয়ায খুশিতে ডগমগ হয়ে মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। মিসেস ফাতেমা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,” কিন্ত কয়েকদিন পর তো কানাডা চলে যাবো। এই কদিনে কিভাবে কি ম্যানেজ করবি!?

ফাইয়ায মায়ের হাতে চুমু খেয়ে বলল,” হাতে এখনও তিনমাস সময় আছে আম্মু। তারমধ্যে রিয়া আর আমি মিলে সবকিছু প্ল্যান করে রাখবো। ফ্লাইটের কমপক্ষে একমাস আগেই বিয়ের প্রোগ্রাম সেরে ফেলবো। তুমি এসব নিয়ে টেনশন করোনা তো, যাও গিয়ে রান্না করো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে দেখল রিয়া বিরক্তি মাখা মুখে কিছু ডকুমেন্টস নিয়ে বসে আছে। আরহাম গলা খাঁকারি দিয়ে বলল, ” তুমি এখনও এখানে!

রিয়া কিছু একটা ভেবে বলল,” আমাকে কি এখান থেকে কোথাও শিফট করা হয়েছে!?

আরহাম অবাক হয়ে বলল,” আজ যে উইন্টারের জন্য আসা নিউ ফেব্রিকস নিয়ে মিটিং আছে, সেই খেয়াল আছে তোমার!?

রিয়া আমতাআমতা করে বলল, ” ওহ হ্যাঁ! মিটিং!! চিত্রা ম্যাম বলেছিলো!!!

আরহাম ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,” বলেছিলো তো এখানে বসে কি করছো!? মিটিংয়ে চলো।

রিয়া ডকুমেন্টস দেখিয়ে বলল,” ম্যাম বলল, এগুলো চেক করতে। আজ মিটিংয়ে উনি থাকবে।

আরহাম ডকুমেন্টস গুলো সরিয়ে দিয়ে বলল, ” এসব পরে দেখো, এখন আমার সাথে মিটিং রুমে চলো।

রিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, এখন কল রিসিভ করতে পারবেনা তাই টেক্সটে একটা লোকেশন পাঠিয়ে ফাইয়াযকে লিখলো,” আজ বিকালে দেখা করো প্লিজ!
.
.
.
মিটিংয়ে ঢুকে রিয়াকে নিজের পাশে বসালো আরহাম। চিত্রা রিয়াকে দেখে বেশ অবাক হল, সে তো তাকে ডকুমেন্টস গুলো চেক করতে বলেছিলো! তাহলে এখানে কি করছে!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আজ সিয়াম পড়া করেনি, সুমু ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো, ” কি ব্যাপার সিয়াম! এগুলো সব তো পড়িয়েছি!! তাহলে পারছোনা কেন!?

সিয়াম কাচুমাচু করে বলল,” স্যরি ম্যাম, নেক্সট ডে পড়া দেবো। প্রমিজ!

সুমু বিরক্ত হয়ে বলল, ” তোমার এই নেক্সট ডে আর প্রমিজ শুনতে শুনতে আমার কান পচে গেছে! এভাবে হবেনা, ওয়েট! আজ তোমার আম্মুকে নালিশ করবো!!

সিয়াম হটাৎ করে সুমুর দিকে তাকিয়ে বলল,” খবরদার! বলে দিচ্ছি, আম্মুকে যদি কিছু জানিয়েছেন না! তো আমিই আম্মুকে বলে দেবো, আপনার আর ভাইয়ার মধ্যে!

এটুকু বলেই ভ্রু নাচাতে লাগল সিয়াম, সুমু হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
এটুকু বাচ্চা ছেলে কিনা, তাকে থ্রেট দিচ্ছে!!
সুমু কন্ঠঃ নরম করে বলল,” সিয়াম! এমন করেনা ভাইয়া, আমি তো তোমার ভালোর জন্যই বলছি। ভালো করে পড়ো, নাহলে কিন্ত

সিয়াম চোখমুখ খিচিয়ে বলল,” নাহলে কি হ্যাঁ! গাড়ি ঘোড়া চড়তে পারবোনা তাই তো!! শুনুন, এসব কথা আমাকে বলতে আসবেন না। আমার আব্বুর বাইক আছে, ছোট থেকে বাইকেই ঘুরে বেড়াই!

সুমু বুঝল এই বদমাশটাকে বোঝানো অসম্ভব।
আগে তো পড়া না পারলে আমার সামনে কান ধরে ওঠবস করতো, নাহয় ওর মায়ের হাতের মাইর সাথে বকুনি ফ্রি!

আর এখন! রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করছে!! এ যদি এবার রেজাল্ট খারাপ করে তো, সম্পূর্ণ দোষ আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতেও দুবার ভাববেনা!!!

সুমু সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বলল,” তুমি পড়বেনা তাই তো! তাহলে আর আমার থেকে কি লাভ, আমি আর তোমাকে পড়াবোনা।

সিয়াম কিছু একটা ভেবে বলল, ” না না, পড়াবেন না কেন!? পড়াবেন, কিন্ত ভালোবেসে!!

সুমু ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল,” মানে!!?

সিয়াম ইনোসেন্ট ফেস করে বলল, ” মানে হল, আমি পড়া না পারলে আমাকে ভালোবেসে আবার পড়াবেন। আম্মুকে নালিশ করা বা আমাকে ধমক দেওয়া যাবেনা!

সুমু জোর করে হেসে বলল, ” যথা আজ্ঞা দেবরজি!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
মিটিং শেষে রিয়া বের হতেই চিত্রা কিছুটা ধমক দিয়ে বলল, ” হোয়াটস রং উইথ ইউ রিয়া! আমি তোমাকে কি বলেছিলাম!?

রিয়া কিছু বলার আগেই আরহাম এসে বলল,” রিয়াকে আমিই মিটিংয়ে যেতে বলেছি।

চিত্রা হেসে বলল, ” ওহ স্যরি স্যার। আসলে ডকুমেন্টস গুলো আপনি দেখতে চেয়েছিলেন। আজ মিটিং ছিলো, তাই রিয়াকে বলেছিলাম চেক করতে। ওর চেক করা হলে আপনাকে দেখাতাম।

আরহাম বাধা দিয়ে বলল, ” নো প্রব্লেম!
রিয়াকে বলল,” তুমি ডকুমেন্টস গুলো বাসায় নিয়ে চেক করে কাল অফিসে এসে আমাকে দিও।

রিয়া মাথা নাড়িয়ে সায় দিল, অফিস থেকে বেরিয়ে ফাইয়াযকে টেক্সট করা লোকেশনে চলে গেল সে। ফাইয়াযকে সব বুঝিয়ে বলবে রিয়া, গতকালের ঘটনার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেবে।
.
.
.
.
.
একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে এদিক ওদিক তাকাতেই ফাইয়াযকে দেখতে পেলো রিয়া।
থাই গ্লাসের বাইরে তাকিয়ে চায়ে চুমুক দিচ্ছে সে।

রিয়া তার সামনে গিয়ে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসল। ফাইয়ায না তাকিয়েই বলল,” তো! আজ তোমার বিএফকে সাথে আনোনি!?

রিয়া কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,” আরহামের ব্যাপারে পরে আসি, গতকালের ঘটনার জন্য আ’ম রিয়েলি স্যরি!

ফাইয়ায একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,” তুমি স্যরি কেন বলছো রিয়া! স্যরি তো আমার বলা উচিৎ তোমাকে!! আমার জন্য আরহামের ব্যাপারে তুমি বাসায় জানাতে পারোনি।

ফাইয়াযের কথা গুলো শুনতে বিরক্ত লাগছে রিয়ার। কিন্ত ফাইয়ায তো ঠিকই বলছে, রিয়া নিজেকে শান্ত করে বলল,” আমি অলওয়েজ তোমাকে বেস্টফ্রেন্ড হিসেবে দেখি ফাইয়ায। এছাড়া তোমাকে নিয়ে অন্য কিছু ফিল করিনা আমি। আমাদের ফ্রেন্ডশিপটাকে যথেষ্ট রেসপেক্ট করি। আই হোপ তুমি বুঝতে পারছো, আমি কি বলছি।

ফাইয়ায স্মিত হেসে বলল, ” বুঝেছি, তুমি আমাকে নিয়ে কিছুই ফিল করোনা তাই তো! ওকে, ফ্রম টুডে উই আর জাস্ট ফ্রেন্ড!
.
.
.
রিয়া বুঝতে পারছেনা ফাইয়ায ব্যাপারটাকে এতটা হালকা ভাবে নিচ্ছে কিভাবে!!?
ফাইয়ায আরেক কাপ চা রিয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ” তবে একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নাও, আমি তোমাকে ভালবাসি রিয়া। আই হোপ তুমিও খুব শীঘ্রই বুঝতে পারবে যে, তুমি আমাকে ভালবাসো।

রিয়া কনফিউজড হয়ে বলল, ” তাহলে বললে যে, আমরা আজ থেকে জাস্ট ফ্রেন্ড!

ফাইয়ায হেসে বলল, ” যতদিন না তুমি বুঝতে পারছো, তার আগে পর্যন্ত আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড।

রিয়া ও আচ্ছা বলে চায়ে চুমুক দিল, ফাইয়ায যে তাকে বুঝতে পেরেছে ভেবে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে রিয়া।
কিন্ত ফাইয়ায হাল ছেড়ে দেবেনা সে জানে। হয়তো সময়ের সাথে সাথে ফাইয়ায বুঝতে পারবে, এটা তার ভালবাসা না, এটা তার ভাললাগা!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আরহাম বাসায় ফিরে সোজা রুমে গেল, ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখল কেয়া সোফার কুশন গুছাচ্ছে। আরহাম ফ্রিজ খুলে পানির বোতল নিয়ে পানি খেতে খেতে জিজ্ঞেস করল,” আপু কোথায়!? কেয়া!

কেয়া কুশন ঠিক করতে করতে বলল,” ম্যাম তো বিকালের দিকে একটু বাইরে গেছে।

আরহাম বোতলটা ডাইনিং টেবিলে রেখে সোফায় বসে বলল, ” হটাৎ বাইরে! শপিং করতে গেছে নাকি!?

কেয়া উঠে কিচেনের দিকে যেতে যেতে বলল,” তা তো জানিনা স্যার, ম্যাম বলল তার কোন ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেছে।

ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেছে শুনে কিছুটা অবাক হল আরহাম।
ছোট থেকেই আরশি তার মায়ের সাথে সুইডেনে ছিলো। আরহাম অবশ্য ছোট থেকে দেশেই বড় হয়েছে। এইচএসসি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া গেছিলো হায়ার স্টাডি করতে।
স্টাডি কমপ্লিট করে বছর দুয়েক আগে দেশে তার বাবার কাছে ফিরে এসেছিলো আরহাম।

তার একবছর পর বাবার মৃত্যুর খবর শুনে মা আর ছোট বোন আরশি এসেছিলো দেশে।
একমাস পর মা ফিরে গেছে সুইডেনে, কিন্ত আরশি যায়নি।
সেই প্রথম আরশি দেশে এসেছে, জানামতে তার এখানে কোনো ফ্রেন্ড নেই।
তাহলে কার সাথে দেখা করতে গেছে আরশি!?

.
.
.
.
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here