#চলো_ভিজি_বৃষ্টিতে
#Tanjima_Islam
৩০পর্বের কিছু অংশ যোগ করে দেওয়া হয়েছে
(৩১)
.
.
.
.
.
মিসেস ফাতেমা আর কিছু বলার আগেই ব্যস্ততা দেখিয়ে কল কেটে দিল রিয়া।
আরহাম জিজ্ঞেস করল, ” কি বললেন উনি!?
রিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ” কাল আমাকে নিয়ে শপিংয়ে যাবে তাই যেন কাল আগে আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ি।
আরহাম মাথা নাড়িয়ে মনেমনে বলল, ” শপিংয়ে যাবেন! না!! দেখি কাল কিভাবে রিয়াকে শপিংয়ে নিয়ে যান!!!
রিয়ার এক হাত নিজের হাতে নিয়ে বলল,” তো, এই ফাইয়াযের ব্যাপারটা কবে শেষ করবে!?
রিয়া কাচুমাচু করে বলল,” একটু টাইম দাও আরহাম, ফাইয়াযকে কিভাবে কি বলবো বুঝতে পারছিনা!
আরহাম শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, ” তাহলে আর কি করা! ওদিকে ইকরার ব্যাপারটা তাহলে দেখতে হবে!!
রিয়া দাতে দাত পিষে আরহামকে কিল ঘুষি মারতে মারতে বলল,” খবরদার যদি ঐ ডাইনীর নাম মুখে নিয়েছো!!
আরহাম হাসতে হাসতে বলল,” তাহলে তাড়াতাড়ি মাথা খাটাও বেইব! ফাইয়াযকে বিদায় করো !!!
রিয়া গাল ফুলিয়ে বলল,” হ্যাঁ হ্যাঁ খাটাচ্ছি!
আরহাম মনেমনে ঠিক করল কালই ইকরার বাবার সাথে কথা বলবে সে।
লোকটা বিপদে তাদের পাশে দাড়িয়েছিলো। আর সে আজ এভাবে তাকে ইনসাল্ট করলো!
কিন্ত আরহামই বা কি করতো, দিনদিন ইকরার কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলো সে!! আজকের ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে ইকরাই দায়ী!!!
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
শোভনকে খুজতে খুজতে আফসানা গিয়ে দেখল, শোভন সেই মেয়েটার সাথে বেশ হেসে হেসেই কথা বলছে!
ব্ল্যাক কালারের পাতলা শাড়ি পরেছে মেয়েটা, দেখতেও বেশ সুন্দরী!!
আফসানা দ্রুত পায়ে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে শোভনকে ডেকে বলল,” আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কি করছেন? আসুন আমার সাথে!
মেয়েটা ভ্রু কুচকে শোভনকে জিজ্ঞেস করল, ” শোভন! উনি কে!?
শোভন স্মিত হেসে পরিচয় করিয়ে দিল,” ইনি হচ্ছেন আমার জাস্টফ্রেন্ড! আফসানা।
আফসানাকে বলল,” আর এ হচ্ছে আমার ব্যাচমেট প্রেমা। আমরা মেডিকেলে একই সাথে পড়তাম!
আফসানা জোর করে হেসে বলল,” নাইস টু মিট ইউ মিস প্রেমা।
মনেমনে বলল, ” প্রেমা না ছাই, পেত্নী কোথাকার! শুধু ব্যাচমেট ছিলি এর বেশি তো কিছু না। কিন্ত এর ভাবখানা এমন যেন শোভনের গার্লফ্রেন্ড!!!
প্রেমা হেসে বলল, ” সেইম টু ইউ আফসানা!
প্রতিত্তোরে আফসানা না চাইতেও একটু হাসল, প্রেমা শোভনের কাধে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলল,” আচ্ছা তাহলে মনে করে আসিস কিন্ত, আমি তোকে লোকেশন আর টাইম টেক্সট করে দেবো।
বলেই অন্যদিকে চলে গেল প্রেমা, এদিকে আফসানা তো রাগে ফুসছে!
শোভন খেয়াল করল প্রেমাকে দেখে আফসা বেশ অদ্ভুত আচরণ করছে, কিন্ত কেন!?
আফসা নিজেকে সংযত করে স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করল, “মিস প্রেমা আপনাকে কোথায় যেতে বলল!?
শোভন এবার কিছুটা আচ করতে পেরেছে, আফসা প্রেমাকে দেখে জেলাস ফিল করছে!
শোভন হেসে বলল, ” কয়েকজন ফ্রেন্ডরা মিলে একটা গেট টুগেদার পার্টি দিচ্ছে, সেখানে যাবো আর কি।
শোভন যাবে শুনে মন খারাপ হয়ে গেল আফসার, পরক্ষণেই আফসা নিজেকে মনেমনে শাসিয়ে বলল,” উফফ আফসা! তুই না একটু বেশিই ভাবছিস, গেট টুগেদারে তো শুধু প্রেমা না অন্য অনেকেই থাকবে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রিয়াকে বাসায় দিয়ে নিজের বাসায় চলে গেছে আরহাম, রিয়া বাসায় ঢুকে দেখল ড্রয়িং রুমে বসে তার আব্বু আম্মু ইনভাইটেশন নিয়ে কিসব আলোচনা করছে!
নিশ্চয়ই মেয়ের বিয়েতে কাদের কাদের ইনভাইট করবে সেই লিস্ট করছে তারা!!
রিয়া ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে ভেতরে ঢুকে সোজা নিজের রুমে চলে গেল।
সিরাজ সাহেব মেয়েকে ডেকে বলল, ” মা! এদিকে আয় তো!!
রিয়া রুমে যেতে যেতে বলল, ” ফ্রেশ হয়ে আসছি আব্বু।
মিসেস ইরা কিছুক্ষণ মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,” আজ বাদে কাল মেয়েটার বিয়ে, আর সে দেখো দিব্যি গা ছাড়া ভাব নিয়ে কেমন ঘুরে বেড়াচ্ছে! যেন বিয়েটা তার না, অন্য কারও!!
সিরাজ সাহেব স্মিত হেসে বলল, ” মেয়েটাকে এভাবে বলোনা, সারাদিন অফিসে কাজের প্রেশার থাকে। তারমধ্যে এসব নিয়ে ভাববে কখন!?
মিসেস ইরা কিছু একটা ভেবে বলল,” মাঝেমধ্যে আমার কেন জানি মনে হয়, রিয়া ফাইয়াযকে বিয়ে করতে খুব একটা আগ্রহী না। কেমন যেন না পারতে মেনে নিচ্ছে এমন মনে হয়!!
স্ত্রীর কথায় বেশ অবাক হল সিরাজ সাহেব, ধমকের সুরে স্ত্রীকে বলল,” কি যা তা বলছো! ফাইয়ায আর রিয়া তো দুজন দু’জনকে ভালবাসে, ওদের এনগেজমেন্টও হয়ে গেছে!! কদিন পর তাদের বিয়ে, আর এখন তুমি এসব বলছো!!!?
মিসেস ইরা কিছু বলার আগেই রিয়া ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে।
রিয়ার আব্বুও আর কথা না বাড়িয়ে স্ত্রীকে বলল,” সারাদিন অনেক ধকল গেছে তোমার। রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নাও, দেখবে ভাল লাগবে।
রিয়া ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল, ” কেন আম্মু! তোমার কি কিছু হয়েছে!?
মিসেস ইরা স্মিত হেসে বলল, ” আরে আমি ঠিক আছি, একটু মাথা ব্যাথা করছে এই যা।
রিয়া তাও শুনল না, জোরাজোরি করে মাকে রুমে পাঠিয়ে দিল, সিরাজ সাহেব মেয়েকে ডেকে বলল,” কেমন কাটল তোর আজকের দিন!?
বাবার হটাৎ এমন প্রশ্নে কিছুটা ভড়কে গেল রিয়া, আজ কেমন কাটল কেন জিজ্ঞেস করছে আব্বু!
আজ তো সে আরহামের সাথে ছিল!! তাহলে কি বাবা তাদেরকে একসাথে দেখে ফেলেছে!!!
পরক্ষণেই নিজেকে মনেমনে বোঝালো রিয়া,” আরে দেখলেও বা কি? আরহাম তো তার বস, এমপ্লয়ি তার বসের সাথে যেতেই পারে!!
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে রিয়া বলল,” আজ অফিসে কাজের একটু প্রেশার ছিলো!
মিসেস ইরার বলা কথাটা এখনও মাথায় ঘুরছে রিয়ার আব্বুর, কিছু একটা ভেবে বলল, ” শোন মা, তোকে কিছু কথা বলি। তুই বড় হয়েছিস, নিজের ভাল-মন্দ বুঝিস আশা করি। কোনোদিন তোর পছন্দ অপছন্দ নিয়ে দ্বিমত করিনি। কারণ আমি জানি এবং বিশ্বাস করি যে, তুই কখনও ভুল কোনো ডিসিশন নিবিনা। কিন্ত মানুষের সব ডিসিশনই যে সবসময় সঠিক হবে তা তো নয়। মানুষ মাত্রই ভুল, কিন্ত সেই ভুল থেকে পরিত্রাণ পাওয়ারও উপায় থাকে। যদি তোর কখনও মনে হয় যে তুই যা করছিস তা ঠিক হচ্ছেনা, তখন নিজের মনের কথা শুনবি। তোর মন যেটাকে সায় দেবে সেটাই বেছে নিবি, কখনও নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করবিনা।
রিয়া স্মিত হেসে বলল, ” ঠিকাছে আব্বু!
.
.
.
নিজের রুমে পায়চারি করছে মিসেস আয়েশা, মাথায় ঘুরছে তার নানান চিন্তা।
নিজেই নিজেকে বলল, ” তারমানে আরহাম ইকরাকে না, রিয়াকে পছন্দ করে! আর আমি কিনা ইকরাকে সাপোর্ট করছিলাম! ধুর!!
নিজের ওপরে রাগ লাগছে তার, কিছু একটা ভেবে বলল, ” নাহ! আমাকে আগে রিয়ার সাথে কন্টাক্ট করতে হবে। হয়তো রিয়ার সাথে সম্পর্ক ভালো করতে পারলে আরহাম আমাকে আর দূরে ঠেলে দেবেনা। আরশিও আমাকে ক্ষমা করে দেবে!
ভাবতেই মনটা শান্তিতে ভরে গেল মিসেস আয়েশার, মেইড কেয়া এসে ডিনার করতে ডেকে গেছে।
মিসেস আয়েশা দেরি না করে ডাইনিং এ চলে গেল।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ঘড়িতে সকাল সাতটা বাজে, মুখে চারকোল মাস্ক পরে ড্রয়িং রুমের সোফায় চিত হয়ে শুয়ে আছে ইকরা। কলিংবেলের শব্দ পেয়ে মেইড লিমা গিয়ে দরজা খুলে দিতেই ভেতরে ঢুকল আরহাম!
মেইড লিমা বলল,” আপনি বসুন আমি স্যারকে ডেকে দিচ্ছি।
আরহাম আচ্ছা বলে সোফায় বসতে গেল, এদিকে আরহামের কন্ঠ শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল ইকরা। ইকরা উঠে বসতেই ইকরার ফেইস দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল আরহাম!
ইকরাও চেচাতে চেচাতে এক ছুটে নিজের রুমে চলে গেল, সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে মুখ ধুতে লাগল সে।
মনেমনে নিজেকে গালি দিচ্ছে ইকরা,” ইউ ইডিয়ট ইকরা! কে বলেছিলো তোকে চারকোল মাস্ক পরে ড্রয়িং রুমে যেতে!! না জানি আরহাম কত ভয় পেয়েছে!!!ধূর!!!!!
বলেই ন্যাকা স্বরে কাদতে লাগল ইকরা। এদিকে লিমার কাছে আরহামের আসার কথা শুনে মি. ইকবাল বলল,” ওকে লনে বসতে বলো, আমি আসছি।
.
.
.
.
.
আরহাম বসে আছে লনে, মনেমনে ভিষণ অনুতপ্ত সে। বাবার বয়সী লোকটাকে ওভাবে না বললেও হত, কিন্ত ইকরাকে দেখলেই তো মেজাজ খারাপ হয়ে যায় তার!
মি. ইকবাল এসে দেখল আরহাম বাগানের ফুল গুলোর দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে!
দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর চিন্তায় মগ্ন সে!! মি. ইকবাল গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,” কি ব্যাপার! তুমি এখানে!!
আরহাম সালাম দিয়ে বলল, ” আপনার সাথে কিছু দরকারি কথা আছে আংকেল।
মি. ইকবাল মাথা দুলিয়ে বলল, ” হুম, বলো কি বলবে।
বলেই আরহামের অপজিটের সোফায় গিয়ে বসল ইকবাল।
আরহাম একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ” গতকালের ঘটনার জন্য আ’ম এক্সট্রিমলি স্যরি আংকেল। অতটা রুড হয়ে বলাটা আমার উচিৎ হয়নি। কিন্ত
মি. ইকবাল জিজ্ঞেস করল, ” কিন্ত কি!?
আরহাম একটু থেমে আবার বলল,” আমি অন্য কাউকে ভালবাসি, তাই ইকরাকে আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব না। আশা করি বুঝতে পারছেন!
মি. ইকবাল কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল,” আমিও খুব অবাক হয়েছিলাম তোমার বিহেভিয়ার দেখে! কিন্ত এখন জানলাম কারণটা!! একটু বসো আমি আসছি।
বলেই দ্রুত পায়ে বাসার ভেতরে চলে গেল মি. ইকবাল।
ইকরা ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে দেখল আরহাম নেই!
কোথায় গেল আরহাম!! লিমাকে জিজ্ঞেস করে জানল আরহাম বাইরে লনে বসে আছে।
হটাৎ এই সাতসকালে আরহাম কি করতে এসেছে বুঝতে পারছেনা ইকরা।
তাহলে কি আরহাম তার প্রোপোজাল এক্সেপ্ট করেছে!!!
ভাবতেই খুশিতে নাচতে নাচতে লনের দিকে গেল ইকরা।
.
.
.
ইকরাকে আসতে দেখে আরহামের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, নিজেকে শান্ত রেখে ফোন বের করে কল দিল রিয়াকে।
ফোনের রিংটোন পেয়ে ঘুম ভেঙে গেল রিয়ার, ঢুলুঢুলু চোখে ফোন হাতে নিয়ে দেখল আরহাম কল দিয়েছে!
কল রিসিভ করতেই আরহাম বলে উঠল,” গুড মর্নিং মাই লাভ!
রিয়া মুচকি হেসে আদুরে গলায় বলল,” গুড মর্নিং!
ইকরাকে দেখেও না দেখার ভান করে আরহাম বলল,” তুমি এখনও ঘুম থেকে ওঠোনই!? এখনই ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নাও, আমি তোমাকে পিক করতে আসছি।
রিয়া আড়মোড়া ভেঙে উঠতে উঠতে বলল,” ওকে মাই লাভ!
আরহাম কল কেটে খেয়াল করল ইকরা মুখ গোমড়া করে হনহন করে বাসার ভেতরে চলে গেছে!
আরহাম একটা স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে বলল,” যাক বাচলাম!
ইকরা চলে যেতেই মি. ইকবাল কিছু ফাইল নিয়ে আরহামের অপজিটের সোফায় এসে বসল।
একবার সেগুলোয় চোখ বুলিয়ে নিয়ে আরহামের দিকে এগিয়ে দিল।
আরহাম ফাইল খুলে দেখে জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকালো মি. ইকবালের দিকে।
মি. ইকবাল বাগানের ফুল গুলোর দিকে তাকিয়ে বলল,” আশফাক আর আমি একসাথে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি পার করেছি। ও কখনও আমাকে শুধু বেস্টফ্রেন্ড ভাবেনি, বলত আমরা দুই ভাই!
কিছুক্ষণ থেমে আবার বলল, ” তোমার মা মারা যাওয়ার পর খুব ভেঙে পড়েছিলো আশফাক, তুমিও খুব ছোট ছিলে। তোমাকে সামলাবে, কোম্পানি সামলাবে নাকি নিজেকে সামলাবে! প্রায় দেড় মাস পর প্রিয়তমা স্ত্রীর শোক কাটিয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে তুলল স্বাভাবিক জীবনে। তোমার যত্নেও কোনো কমতি রাখেনি কিন্ত হয়তো সবকিছুর পরেও তোমার মায়ের অভাবটা ঠিক পূরণ হচ্ছিলো না।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলল,” তোমার আর আশফাকের কথা ভেবেই আশফাককে আবার বিয়ে করতে বললাম। কিন্ত সে তো কিছুতেই করবেনা, ও বলতো সৎ মায়ের মমতার চেয়ে আপন বাবার ছায়ায় বেড়ে ওঠাই শ্রেয়।
আরহামের চোখ জোড়ায় পানি টলমল করছে, যেন টোকা দিলেই পড়ে যাবে।
মি. ইকবাল আরহামের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, ” মুলত তোমার বাবা তোমার মায়ের স্থানটা আর কাউকে দিতে চাচ্ছিলো না। আমার অনেক জোরাজোরিতে শেষমেশ ওর পিএ আয়েশাকে বিয়ে করে আশফাক। কিন্ত আয়েশার সাথে মনের মিল না হওয়ায় বিয়েটাও টিকল না!
আরহাম কিছু বলছেনা, নিরব শ্রোতা হয়ে শুনছে শুধু! মি. ইকবাল আরহামের কাধে হাত দিয়ে বলল, ” সেদিন বুঝেছিলাম, ভালবাসা এমন জিনিস যার ভাগ কাউকে দেওয়া যায় না, আর না যায় সেই ভালবাসার স্থান অন্য কাউকে দেওয়া। তুমি যাকে ভালবাসো তাকে নিয়েই সুখে থাকো সেই দোয়া করি আরহাম।
আরহাম কৃতজ্ঞতার সাথে বলল,” থ্যাংকস আংকেল! কিন্ত ইকরা!
মি. ইকবাল একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, ” ওকে বোঝাতে বেগ পাওয়া লাগবে আমি জানি, তবে আশা করছি সময়ের সাথে সাথে ও তোমাকে ভুলে যাবে।
আরহাম হেসে বলল, ” আচ্ছা আংকেল আসি তবে, নিজের খেয়াল রাখবেন।
মি. ইকবাল হেসে বলল, ” সে তো রাখবো, তবে তোমাদের বিয়েতে আমাকে ইনভাইট করতে ভুলো না কিন্ত।
আরহাম সলজ্জ হেসে বলল, ” আপনি আমার বাবার ভাই! আপনাকে আবার ইনভাইট করতে হবে কেন!? আপনি আগে এসে সবকিছু অ্যারেঞ্জ করবেন।
.
.
.
.
.
(চলবে)
Happy Valentine’s Day, love you all 🧚♀️