#ধূসর_ভালোবাসা
৫ম পর্ব
আজ স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর। যাক এতো বৃষ্টিতে নিয়াজ আর রাস্তায় থাকবে না।
কিন্তু আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত করে নিয়াজ আমার সামনে। বৃষ্টিতে ভিজে আমি আর পারভীন কাপছি, খুকিও ভিজে গেছে। এসব দেখে নিয়াজ কিছু না বলে চলে গেলো।
অবশেষে পারভীনের কথায় আমি রাজি হলাম, পারভীন নিয়াজকে জানালো যে আমি নিয়াজের প্রস্তাবে রাজি।
আমার নিজের কাছেই নিজেকে ছোট লাগতে শুরু করলো, কারন আজ আমাকে মিথ্যের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। নিজের প্রয়োজনে অন্যের সাথে ছলনা করতে হচ্ছে। কিন্তু কি করবো। রিংকু শুধু শুধু আমার পিছে পড়ে আছে, আবার নিয়াজ আমার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রেম নিবেদন করছে। মেনে না নিলে হুমকি দিচ্ছে। তাই ওদের মতো আমিও সার্থ-পর হতে বাধ্য হলাম। আর পারভীনকে দিয়ে সম্মতির কথা জানালাম।
নিয়াজ মহা খুশি, সে পারভীনের কাছে আমার জন্য চিঠি দিয়ে পাঠালো। পারভীনের চাচাতো ভাই ওয়াসিম নিয়াজের খুব কাছের বন্ধু।
চিঠি দেখে আমার আরো বিরক্ত লাগছিল। পারভীন এ চিঠি আমি পড়তেও পারবো না। তুই পড়, তারপর আমাকে শুনাস।
এরপর থেকে রিংকু আর বিরক্ত করেনি। নিয়াজও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। তবে আমি শর্ত দিয়েছি যে, রাস্তায় আমার সাথে কথা বলতে পারবে না। শুধু চিঠিতেই সে তার কথা লিখবে।
আমাদের এস এস সি পরীক্ষার আর দেরী নাই। প্রি টেষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর আগের মতো সমস্যা নাই। তবে অন্য সমস্যা। সেটা হলো, নিয়াজ প্রায় চিঠি দেয় এবং তার উত্তর চায়। আমি পারভীনকে বলেছি, যা ইচ্ছা তাই লিখে যেন চিঠি দিয়ে দেয়। পারভীন আমার হয়ে নিয়াজকে যা ইচ্ছা তাই চিঠি লেখে। তবে আমার ধারনা, পারভীন মনে মনে নিয়াজকে বেশ পছন্দ করে।
যাই হোক আমার এস এস সি পরীক্ষা সামনে, এখন পড়া ছাড়া আমার কোন চিন্তা মাথায় নাই। কিন্তু অশান্তি হলো ঐ যে, নিয়াজ। যেহেতু স্কুলে যাইনা তাই সে প্রায় পাড়ায় আসে। আর পারভীন জোর করে আমাকে বাসা থেকে বের করে।
সে আমাকে দেখে চলে যায়। সেও খুশি, আমিও খুশি। যাক পারভীনের বুদ্ধিতে ভালো কাজ হয়েছে। এখন ভালোই ভালোই পরীক্ষা দিয়ে এখান থেকে পালাতে পারলে বাঁচি।
শুনেছি পারভীন আমাকে চিঠি এনে দেয়, আবার চিঠি নিয়ে যায়। তাই নিয়াজ পারভীনকে বহু কিছু দেয়। পারভীনের মুখেই শোনা। আমি তো প্রায় বলি পারভীনকে, আমি চলে গেলে তোর উপহার পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
এস এস সি পরীক্ষা শেষ, এখন প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা বাকি। যেদিন শেষ পরীক্ষা সেদিন কোথায় থেকে রিংকু আমার সামনে এসে বলতে লাগলো,
– তুমি নাকি নিয়াজকে ভালো বাসো, তুমি জানো ওর সম্পর্কে? সে খুব বাজে ছেলে, বহু মেয়ের সাথে নিয়াজের সম্পর্ক, শুধু প্রেম নয় তার চেয়েও বেশি কিছু. নিয়াজ অনেক রকম নেশা করে। তবে সব নেশার মধ্যে মেয়ের নেশাই তার প্রধান নেশা।
পেছনে নিয়াজ এসে দাঁড়িয়ে আছে, রিংকু তা বুঝতে পারেনি। আমিও কিছু বলতে পারছিলাম না। নিয়াজ ইশারায় কথা বলতে নিষেধ করছিলো।
এরপর আমাকে নিয়াজ বললো, আফিফা তুমি বাড়ি যাও। আমি আর এক মুহূর্ত সেখানে দাঁড়াইনি। বাসায় চলে আসি।
পরদিন বিকেলের দিকে বাবাকে কে যেন খুঁজতে এসেছে। বাবা তার সাথে বাহিরের ঘরে কথা বলছে। বেশ কিছুক্ষন পর বাবা আমাকে ডাকলেন, আমি সামনে যেয়ে দেখি রিংকু বাবার সামনে বসা।
বাবা আমাকে বললেন,
– আফিফা তুমি নিয়াজ নামে কাউকে চেনো। তার সাথে তোমার পরিচয় আছে?
আমি বাবার সামনে মাথা নিচু করে বললাম, জি বাবা।
বাবা আবার বললেন, তোমার সাথে তার কোন সম্পর্ক আছে?
আমি মাথা নামিয়ে কি উত্তর বলবো খুঁজে পেলাম না। চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম।
বাবা আমাকে ভেতরে চলে আসতে বললেন। বাবার সাথে রিংকুর কি কথা হয়েছে তা আমার বুঝতে বাকি রইল না।
বাবা সেদিন রাতে ভাত খাননি, বাসার কারো সাথে কথা বলেন নি। সকালে আমাকে বললেন,
– আফিফা তুমি কাপড চোপড় গোছাও, আমি বাজার থেকে এসে তোমাকে নিয়ে বগুড়ায় যাবো।
আমি বাবার কথা মতো কাপড গুছিয়ে বসে রইলাম। বাবা বাজার থেকে এসে, খাওয়া দাওয়া করেই আমাকে নিয়ে রওনা দিলেন বগুড়ায়। রাস্তায় বাবা আমার সাথে কোন কথা বলেনি, কিচ্ছু জিজ্ঞেস করেনি। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল যে বাবা আমার কাছে কৈফিয়ত চাবে, আর আমি সত্য কথা গুলো বলবো। কিন্তু কিছুই বলা হলো না। বাবা আমাকে দাদা বাসায় রেখে পরের দিন চলে আসলো। আর সবাইকে বললো যে, আমার পরীক্ষা শেষ তাই বেড়াতে নিয়ে এসেছে।
বাবা চলে গেলেন, বহুদিন পর দাদা বাসায় আমার ভালোই লাগছিল।
এরপর ইরার চিঠিতে জানতে পারলাম যে, বাবা ট্রান্সফার নিয়ে রংপুরে চলে এসেছে এবং দিনাজপুরে কাউকে জানায়নি বাবা, যে কোথায় বাবার পোষ্টিং।
কি যে ভালো লাগায় আমার মন ভরে গেলো তা আমি কাউকে বোঝাতে পারবো না। আমার বুকের ভেতর থেকে একটা পাথর নেমে গেলো। আমিতো এটাই চেয়েছিলাম। আমার আনন্দ আর ধরছে না। শুধু দু:খ একটাই যে, বাবা আমাকে ভুল বুঝলো।
ডাক্তারের ডাকে আমার হুস ফিরলো, মামনির ডায়রির মাঝে এমন ভাবে ডুবে গেছিলাম যে, মামনির কথাই ভুলে গেছিলাম।
ডাক্তার বললেন,
– আপনার মায়ের কিছু ইনজেকশন লাগবে, এগুলো আমাদের হসপিটালের স্টকে নাই। আর আপনার আম্মার অবস্থা আবার একটু খারাপ হয়ে গেছে, বাড়ির বড় কেউ থাকলে ডাকেন।
আমি এক মুহুর্ত দেরি না করে নানীকে ফোন করে ডাকলাম। আর দৌড়ে গিয়ে ঔষধ গুলো নিয়ে আসলাম। ডাক্তাররা একটা বন্ডে সিগনেচার নিয়ে মাকে বেশ কিছু ইনজেকশন দিলেন। নানি আবার খুব কান্না কাটি শুরু করেছেন। বড় মামাকে ফোন দিয়ে সব জানালাম। ইরা খালামনিকে নানি সব বলেছেন তবুও আমি আবার ফোন দিলাম যেন আসার সময় আমার ভাইটাকে নিয়ে আসে বোর্ডিং থেকে। বড় মামা কাল সকালের ফ্লাইটে চলে আসবেন বাংলাদেশে।
আমি খুব শক্ত হয়ে থাকার অভিনয় করলেও, সময় যত গড়াচ্ছে আমিও ততই দূর্বল হয়ে পড়ছি। সব কিছু আসতে আসতে অন্ধকার লাগছে।
ইনজেকশন দেবার এক ঘন্টা পর ডাক্তার জানালেন যে “মা এখন একটু ভালো আছে, তবে পেসেন্ট খুব দূর্বল এবং বেঁচে থাকার ইচ্ছা খুব ক্ষিন। তিনি নিজে থেকে সুস্থ হবার কোন চেষ্টা করছেন না।”
আমি বেশ বুঝতে পারছি, সমস্যা কোথায়?
আসলে আমার বাবা জীবনে মাকে অনেক কষ্ট দিলেও, মা বাবাকে খুব ভালো বাসেন।
নানি বার বার ডাক্তারের কাছে রিকোয়েষ্ট করে মামনির সাথে দেখা করলেন। আই সি ইউ এর বাহিরে থেকে আমি মামনিকে দেখতে পাচ্ছি। নানি মামনির কাছে গিয়ে দোয়া পড়ে ফু দিলেন আর মামনির কানের কাছে গিয়ে কি যেন বললেন।
এর পর বাহিরে কত সময় বসে ছিলাম জানি না। অনেকক্ষন পর ডাক্তার বললেন, যে এখন মামনি আগের থেকে একটু ভালো।
একটু স্বস্তি পেলাম। বিকেলের দিকে ইরা খালামনি, খালু আর ভাই এসে পৌঁছালো। ভাই আমাকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। আমার ভাই আমার থেকে ছোট কিন্তু আমি ওকে ভাই বলেই ডাকি।
খালু এসেই ডাক্তারের সাথে কথা বললেন, একটু পর ইরা খালা আমাদের বাসায় যাবার জন্য বললেন। খালামনি বলল,
– তোমরা সারাদিন কেউ কিছু খাওনি, এবার বাসায় গিয়ে খেয়ে একটু রেষ্ট করো। আমরা আছি এখানে।
আমি সারাদিন না খেয়ে আছি, এটাতো মনেই ছিলো না। কিছুতেই মামনিকে ছেড়ে বাসায় যেতে মন চাইছে না। খালা খালুর জন্য, নানী ও ভাইকে নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসায় ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রুমে এসে একটু শুলাম, ভাই এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
ভাইকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিতে দিতে কখন যেন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতে পারিনি। ঘুম ভাঙলো রাত চারটার দিকে। আগে খালামনিকে ফোন দিলাম, খালামনি জানালো যে, মামনি এখন একটু ভালো আছে।
নানীর ঘরে গেলাম, নানী তাহায্যুতের নামাজ পড়ছেন অজু করে আমিও নানীর সাথে নামাজ পড়লাম। বিছানায় এসে আবার শুয়ে থাকলাম। ঘুম আসলো না। চতুর দিকে সকালের আভা ছড়াচ্ছে, একটু বাদেই সকাল হবে। উঠে কফি বানিয়ে খেয়ে আবার মায়ের ডায়রিটা নিয়ে বসলাম।
মামনি ডায়রিতে লিখেছে,
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। দাদু বাসায় আমার দিন গুলো ভালোই কাটছে। বহুদিন পর গ্রামের জীবন, খুব ভালো লাগছে। তবে আমার ছোট বেলার খেলার সাথীরা কেউ নেই। সবার বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু চাচাতো ভাই ভাবি, আরো ছোট ছোট ভাই বোনদের সাথে ভালোই কাটছে আমার।
খবরের কাগজ পড়ে জানতে পরালাম কবে রেজাল্ট হবে। যেদিন রেজাল্ট হবে, সে দিন মনটা খুব খারাপ ছিলো। আমি রেজাল্ট জানতে পারলাম না। চারদিন পর ইরা চিঠি লিখে জানিয়েছে যে, আমি চারটা লেটার সহ স্টার মার্কস নিয়ে পাস করেছি।
দাদা জান খুশিতে আত্নহারা। আমার যে দাদা পড়া পছন্দ করে না, সেও কয়েক বার বাবার অফিসে যেয়ে যখন দেখেছে যে বাবাকে সবাই স্যার বলে সালাম দেন। বাবার খুব সন্মান। এর পর থেকে দাদা জান পড়াশোনা বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছেন। আমার রেজাল্টের অর্থ উনি বোঝেন না, তবে এটা বোঝেন যে আমি খুব ভালো রেজাল্ট করেছি।
দাদা পাঁচ গ্রামের মোড়ল, আর তার নাতনী ভালো রেজাল্ট করেছে এই আনন্দে বিশাল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। ভাইয়া, বাবা মা সবাই গ্রামে আসলো। সবাই এতো খুশি। সবার খুশি দেখে বহুদিন পর আনন্দে আমার মন ভরে গেলো।
রাতে বাবা আমাকে আর ভাইয়া ও ইরাকে বাড়ির সামনে পুকুর ঘাটে ডাকলেন। দাদা বাড়ির সামনে সান বাঁধানো পুকুর ঘাটে, চাদনী রাতে চাঁদের আলো খুব সুন্দর খেলা করে। আমরা সবাই বাবার পাশে গিয়ে বসলাম।
বাবা আমার হাত ধরে বললেন,
– তোরা আমার শক্তি, তোরা আমার দূর্বলতা হতে পারিস না। তোদের জন্য আমি মাথা উঁচু করে চলবো, তোরা আমার মাথা নতো করতে পারিস না। তোদের আমি খুব ভালো বাসি। জীবনে বহু কষ্ট আমি তোদের বুঝতে দেইনি। শুধু তোরা পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হবি এটা ভেবে।
বাবা উনার ছোট বেলার গল্প বলতে শুরু করলেন,
– আব্বা (আমার দাদা) পড়া পছন্দ করতো , না তাই আমার খুব কষ্ট হয়েছে। স্কুলে যেতাম চুরি করে। ঘোড়া বের করে বলতাম বেড়াতে যাচ্ছি, এভাবে স্কুলে যেতাম।আবার রোজ দিন ঘোড়া নিলে যদি আব্বা বুঝে যান যে, স্কুলে যাচ্ছি তাই হেঁটেও স্কুলে গেছি। আমাদের গ্রাম থেকে ছয় গ্রাম পরে স্কুল। তবুও আমি স্কুলে গেছি। ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগ দিয়ে আমার বিয়ে দেন আব্বা। এরপর তোমার নানা বাসাতে পড়তাম। ওখান থেকেই এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছি। যেহেতু তোমার নানা শিক্ষিত মানুষ, উনি পড়ালেখা খুব পছন্দ করতেন।
শশুর বাড়িতে তো আর বেশি দিন থাকতে পারি না। আব্বা ও লোক পাঠালেন যেন বাসায় চলে আসি। কলেজে ভর্তি হবার পর বাসায় আসলাম। বাসা থেকে কলেজ করা খুব কষ্ট হতো।
রোজ ঘোড়া নিয়ে বের হতাম। কলেজে যাওয়ার রাস্তায় নদী ছিল। সাথে শুকনো কাপড় নিয়ে যেতাম। নদীর এ পারে একটা বাড়িতে ঘোড়া বেধে রেখে নদী পার হতাম। ঐ পারে আমার বন্ধুর বাড়ি। আমার বন্ধুর বাসায় কাপড পাল্টে শুকনো কাপড পরতাম। একটা সাইকেল কিনে ওদের বাড়িতে রেখেছিলাম। ঐ সাইকেল চালিয়ে শহরে এসে ক্লাস করতাম। আবার বাসায় ফেরার পথে এভাবেই বাড়ি ফিরতাম। আমি কয়লার ইস্ত্রি দিয়ে কাপড ইস্ত্রি করতাম। কুচকানো কাপড আমার আগা গোড়ায় অপছন্দ। শহরের এই পরিচ্ছন্ন জীবনের প্রতি ছোট থেকেই আগ্রহ। তাই বলে গ্রাম ও আমার পছন্দ। কিন্তু গোছানো পরিপাটি জীবনের প্রতি আমার আগ্রহ একটু বেশি।
বাবা আবার বললেন,
– আমার আব্বার কথা হলো, আমার বাসায় এতো চাকর, আর আমার সন্তানেরা পরের চাকরী করবে? এটা ভেবে উনি পড়াশোনা একদম পছন্দ করতো না। আব্বাকে জোর করে আমার অফিসে যেদিন নিয়ে গেলাম, উনি দেখলেন আমি অফিসার এর চেয়ারে বসে আছি। সবাই স্যার বলে সালাম দিচ্ছেন। সেদিন থেকে উনার ভুল ভেঙ্গেছে।
আর এ কারনেই আমি শুরুতেই তোমাদের শহরে নিয়ে গেছি এবং চেয়েছি পড়াশোনা করে তোমরা আমার চেয়েও উচ্চপদস্থ চাকরী করো। আমি তোমাদের কাছে শুধু পড়াশোনা চাই। পড়াশোনা শেষ করে তোমরা প্রতিষ্ঠিত হও, এটাই আমার চাওয়া।
আমি নিজেও এটাই চাই, কিন্তু কি থেকে যে কি হয়ে গেলো। বাবার হাত ধরে সেদিন খুব কেঁদেছিলাম।
এরপর বাবা আমাকে রংপুরে কলেজে ভর্তি করে দিলেন। আমি বাবা মায়ের সাথেই আবার থাকতে শুরু করলাম। আমার জীবন নতুন করে শুরু করলাম।
#সিরাজুম_মনিরা