ধূসর ভালোবাসা পর্ব-২৮

0
825

#ধূসর_ভালোবাসা
পর্ব ২৮

আবীর আজও কলেজ থেকে এসে মন খারাপ করে ওর ঘরের বেলকনিতে বসে আছে। আমি বুঝতে পারছি, ওর উপর দিয়ে কেমন ঝড় যাচ্ছে। আমি ওর রুমে গিয়ে বললাম, জানিস আবীর আজ রাস্তায় একটা মেয়ে দেখলাম। কালো, মোটু ভাই, তোর সাথে সেই মানাবে। কিন্তু সে একবারও ঝগড়ার করার জন্য আমার দিকে তাকালো না। অনেক ভাবেই চেষ্টা করলাম ওর মন ভালো করার কিন্তু সে চুপ করে বসে রইল। আমি চলে আসবো, সে সময় ভাই বললো,

– বুড়ি, আমাকে হাসানোর চেষ্টা করছো? মন ভালো নাই, কেমন করে হাসবো বলো?

– কি হয়েছে ভাই?

– জানো আপু, কলেজের আরিফ স্যার। উনি কয়েকদিন থেকেই কেমন করে যেমন কথা বলে। আজ পড়াতে পড়াতে, ডিভোর্স সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন। বললেন, ব্রোকেন ফ্যামেলির ছেলে মেয়েরা ভালো হয় না। তাদের মন মানুষিকতা খুব ছোট হয়। আরো অনেক কথা । এগুলো বলার সময় উনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন। ক্লাসের অনেকেই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল। আপু ব্রোকেন ফ্যামেলির সন্তান হবার জন্য কি আমি দ্বায়ী? আমিতো খারাপ মানুষ না, তবুও কেন ওরা এভাবে বলে? জানো আপু কলেজে তেমন করে কেউ আমার সাথে মিশে না। আমি একা একাই থাকি। কিন্তু এখন যদি টিচার ও এমন করে?

– সব টিচার কি এমন করে?

– না আপু, বাকি সব টিচার আমাকে খুব ভালোবাসেন, আমার ভালো রেজাল্টের কারনে। কিন্তু শুধু আরিফ স্যার এমন করে বলেন।

– বাদ দে ভাই, সব ঠিক হয়ে যাবে।

কিন্তু কেন শুধু একজন টিচার ওর সাথে এমন করছে, সেটা আমার জানার দরকার। আমি সারা জীবন এমন কষ্ট গুলো ভোগ করেছি। কিন্তু আমার ভাই, সে এই কষ্ট পাবে। আমি কি করে সহ্য করবো। আমাকে কিছু ভাবতেই হবে। আমি জানি, এটা শুধু আমার আর আবীরের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়। এটা বহু শিশুর জীবনের কাহিনী। যাদের বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়, শুধু সেই সন্তানরাই বোঝে। এ কষ্টের আগুন কিভাবে পোড়ায়। কখনও তা ছাই করেনা। অনবরত পুড়িয়ে কয়লা করে, তারপর আবার পোড়ায়। এ দহন আজীবনের, এ ক্ষত কখনও শুকায় না। কারন অনবরত এই ক্ষতে মানুষ খোঁচা দিয়ে ক্ষতটাকে জীবন্ত রাখে। ব্রোকেন ফ্যামেলির ছেলে মেয়ের এটাই নিয়তি। সমাজে তাদের স্থান হয় করুনায়, আর তার ভাগ্যে থাকে নির্মমতা। এর সাথে যদি যুক্ত হয় আর্থিক দূর্বলতা, ব্যাস তাহলেতো কথাই নাই। সেই সন্তানদের অসহায় ভেবে শুরু হয়ে যায় সমাজের কালো হাতের নির্মম কন্টকযুক্ত থাবা।

ভাই এখন কলেজে তেমন একটা যেতে চায় না, আমিও জোর করি না। তবে ইদানীং বাহিরে বেশি থাকে। কিছু বন্ধু হয়েছে নতুন। যাদের আমি দেখেছি, মোটেও পছন্দ হয়নি আমার। কিন্তু মিশতে মানা করলে, রেগে যায়। বলে, তাহলে কার সাথে মিশবো। ইদানীং পড়তে বসতেও চায় না। বাহিরে বেশি সময় পার করে।

সাদ পৌছে জানিয়েছে, যে ভালো ভাবেই পৌঁছেছে। বহুদিন পর বাসায় গেছে, তাই মনটা ওর বেশ ভালো। অফিস থেকে বেশি দিনের ছুটি নিয়েছে। কারন সাদের বোনের বিয়ের কথা চলছে। সম্ভবত বিয়ে হয়ে যাবে। সাদ বোনের বিয়ে নিয়ে বেশ ব্যস্ত, অর্থাৎ আফরীনের বিয়ে নিয়ে। আফরীন গতকাল ফোন দিয়েছিল, বলল যেন আমি তার বিয়েতে অবশ্যই যাই ওদের বাসায়।

সাদের আম্মা মামনিকে ফোন করেছিলেন, বিয়ের দাওয়াত দিয়েছেন। মামনি বললেন,

– অবন্তি, সেই ছোট থেকে আফরীন, সাদ ও তুমি একসাথে বন্ধুত্ব। তুমি চাইলে আবীরকে নিয়ে আফরীনের বিয়েতে যেতে পারো।

– ভেবে তোমাকে জানাবো মা।

আমি জানি এগুলো সাদ করাচ্ছে। আন্টির যদি সত্যিই আমাকে দাওয়াত দেবার হতো তাহলে সরাসরি আমাকে ফোন করতো। কারন সে আগে প্রায় সময় ফোন করে আমার খবর নিতো। বাবা বিয়ে করার পর থেকে উনারা অনেকটাই পাল্টে গেছে। আমিও আর আগ বাড়িয়ে কথা বলিনি।

রাতে আবীর বাসায় আসলো অনেক রাত করে। আমি ওর ঘরে ঢুকে বাজে গন্ধ পেলাম। ওর চোখ দুটো লাল। আমার চোখের দিকে তাকালো না। বললো, ঘুম পাচ্ছে। ঘুমাবে, আমি যেন চলে যাই। আমি কোন কথা বাড়ালাম না। নানীর রুমে এসে নানীকে জড়িয়ে কাঁদতে লাগলাম। নানীও খুব কাঁদলো। কিন্তু মাকে কিছুই আর বলতে পারলাম না। মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।

রুমে এসে শুয়ে রইলাম, আর জানালা দিয়ে আকাশ দেখতে দেখতে ভাবলাম। আজ অফিসে শুনলাম, অফিস থেকে বেশ কিছু ইম্পলয়ি ছাঁটাই করা হবে। বিশেষ করে যারা অল্প দিন আগে জয়েন্ট করেছে। তার মানে আমার চাকরিটা হয়ত থাকবে না। ভেবেছিলাম, একটা ভালো চাকরি পেলে মামনিকে আর চাকরি করতে দেবো না। কিন্তু ………।

একটা সময় আবীরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম, যে সে এই সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু আবীর যা শুরু করেছে তাতে, আবীরের হাল ধরে রাখাই কঠিন। আজ ওর সাথে কোন কথা বলে লাভ নেই, আগামী কাল আবীরের সাথে কথা বলবো।

সাদ ফোন করেছে, সারাদিনের কতো গল্প ওর জমে আছে। বহুদিন পর বাড়িতে গিয়ে সে খুব খুশি। বাবা মা বোনদের নিয়ে খুব ভালো আছে। আফরীনের বিয়ের অনেক গল্প সে করলো। কিভাবে সব কিছু করছে, সব দায়িত্ব সে পালন করছে। ওর বাবা খুব খুশি। ইত্যাদি, আমি সাদের এমন খুশি সব সময় দেখতে চাই। সে তার বাবা মাকে নিয়ে খুব সুখে থাক সেটাই চাই। আজ কতোদিন পর সে আনন্দে বক বক করেই যাচ্ছে। তার খুব ইচ্ছা আমি যেন বিয়েতে যাই, আমাকে দেখে সাদের বাবার মন নরম হয়ে যাবে। এটা সাদের ধারনা।

আমি সাদের থেকে বয়সে ছোট, তবে পৃথিবী আমাকে অনেক বাস্তবতা দেখিয়েছে। আমি আমার আত্মসম্মান বোধের কাছে পুরোপুরি বাঁধা। আমি ছোট হতে শিখিনি। তবে বড়দের কখনও অসন্মান করিনি।

আমার মায়ের কাছে আমি বুঝেছি, মাথা উঁচু করে কিভাবে বাঁচতে হয়। মামনির ডিভোর্সের আগে সব আত্নীয় এর সাথে মামনির বেশ ভালো উঠা বসা ছিল। কিন্তু ডিভোর্সের পর মামনি কোন অনুষ্ঠানে গেলে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো। এর পর আসতে আসতে মামনি প্রায় সব জায়গায় যাওয়া আসা ছেড়ে দিয়েছেন। কারো বিপদ হলে দৌড়ের চলে যান, কিন্তু অনুষ্ঠান কিংবা দাওয়াত খুব কম, না গেলেই যেখানে নয় শুধু সেখানে।

আমি ছোট থেকেই দেখেছি আত্নসন্মানের সাথে বেঁচে থাকতে, মামনি জীবনে অনেক ত্যাগ করেছে। তাহলে আমি কিভাবে নিজের সন্মানের ছোট করে দেখতে পারি। তবুও সাদ বার বার করে বলেই যাচ্ছে। আমি কি করবো এখনও ভাবতে পারছিনা।

আমার জীবনে সাদের ভালোবাসা খুব মূল্যবান, কিন্তু তাই বলে নিজেকে ছোট কি করে করবো। সাদের বাবা আমাকে যদি অপমান করে? যদি ছোট বড় কোন কথা বলে?
সাতপাঁচ চিন্তায় মাথা ঝিম ধরে আসছে।

সকালে ঘুম ভাঙ্গলো নানীর ডাকে, ওঠো বুবু। দেরি হয়ে গেছে। অফিসে যাবার আগে নানীর সাথে কথা হলো যে আজ সন্ধ্যায় আবীরকে নিয়ে বসবো। আমরা না পরালে মামনিকে বলতে হবে। কারন আবীর নেশা করছে। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। আবীর কেন বুঝতে পারছে না, বাবা নেই মাথার উপর। মামনি একাই মানুষ করেছেন আমাদের। জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা যে ওর খুব দরকার। নইলে ভবিষ্যতে কি করে চলবে। মামনি আর বেশিদিন চাকরি করতে পারবে না। আমার চাকরিটা চলে যাবে বুঝতে পারছি। তাহলে কি করে চলবে সব। আবীর কেন হঠাৎ এমন বেপরোয়া হয়ে গেলো। ইন্টারের টেষ্ট পরীক্ষার রেজাল্ট কয়েকদিনের মধ্যেই আসবে। আল্লাহ তায়ালাই জানে কি হবে!

অফিসে আজ লিখিত নোটিশ চলে আসছে, আমাদের মধ্যে অনেকের নাম ছাঁটাই লিষ্টে আছে। আমার নামটাও আছে। জীবনে এমন পাওয়া আর হারানোর বহু গল্প আছে। এটা নতুন নয়।

সন্ধ্যায় মামনি অফিস থেকে ফিরে মন খারাপ করে বেলকনিতে বসে রইলেন। মামনির কাছে গিয়ে বসতেই মামনি আমাকে কাছে ডাকলেন। মামনির কোলে মাথা দিলাম। মামনি আমার মাথার উপর হাত রাখলেন, নানী এসে মামনির পাশে বসলো। আবীর বাহিরে যাবে, মামনি আবীরকে ডেকে পাশে বসালেন। আর বললেন,

– আমার জীবনে তোমরা কয়েকটা মানুষ, যারা খুব মূল্যবান। যাদের জন্যে আমি সব করতে পারি। তোমাদের ভবিষ্যত ভালো করবার জন্য, তোমাদের ভালো রাখবার জন্য আমি সব ছাড়তে পারি। আজ অবধি বহু কিছুই আমি তোমাদের জন্য ত্যাগ করেছি। তোমার বাবা কখনও তোমাদের কথা ভাবেনি আর আমার কাছে তোমাদের বাহিরে কোন জগৎ নেই। আমি চাইলেই নতুন করে জীবন শুরু করতে পারতাম, কিন্তু আমি তোমাদের জন্য তা করিনি। ভেবোনা যে তোমাদের ছাড়া আমার চলার কোন পথ ছিল না। তোমার বাবাকে ছেড়ে তোমাদের নিয়ে এখানে আসার পর আমার সামনে নতুন জীবন শুরু করবার বহু প্রস্তাব এসেছে, আমি কখনও তা মেনে নেইনি। আমি চেয়েছি তোমরা মাথা উঁচু করে বাঁচাবে। চাকরি করতে আমার বহু কষ্ট হয়েছে, শারিরীক এবং মানসিক। আমার শরীরে বহু অসুখ আছে, যা নিয়ে চাকরি করা আমার জন্য খুব কষ্টের ছিল বরাবরই। আবার আমি ডিভোর্স হওয়া মেয়ে, অনেকেই ভেবেছি অসহায়। সে সুযোগ নেবার বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু সমস্ত প্রতিকুলতা আমি মোকাবিলা করেছি, শুধু তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে। রঙ্গিন জীবন আমার খুব কাছে ছিল। এবং তা খুব সহজ ও ছিল। কাউকে বিয়ে করে সুখি হওয়া খুব সহজ। কিন্তু পৃথিবীর সাথে লড়াই করে একা দুটো সন্তান মানুষ করা খুব কঠিন। আমি, বাবা এবং মা দুটো দায়িত্বই পালন করছি। কখনও বিরক্ত ও হইনি। আবীর তোমার রেজাল্ট দিয়েছে?

– জানিনা।

– জানিনা মানে কি? তুমি কলেজে যাও না? তোমার কলেজের তোসলিম স্যার ফোন করেছিল। তুমি বেশ কিছুদিন থেকে কলেজে যাও না। তুমি ইন্টার পরীক্ষা দিতে পারবে না, কারন তুমি টেষ্টে ফেল করেছো। আমি তোমাকে বেশি কিছু বলবো না। শুধু এটুকু বলবো যে তোমাদের একা মানুষ করেছি। তখন আমার পাশে কেউ ছিল না। জীবনে চাকরি করতে বহু কথা শুনতে হয়েছে ডিভোর্সি তাই। আমি যদি এতো কষ্ট সহ্য করতে পারি তোমাদের জন্য। তাহলে আমার জন্য তোমরা কি করলে। আমার বয়স হয়েছে, চাকরি করতে কষ্ট হচ্ছে। আবীর আমাদের পাশে আজ তোমার শক্ত হাতে দাঁড়ানোর দরকার। এটাই সময়। এখন সময় হেলায় পার করলে কিছু দিন পর আর জীবনের হাল ধরতে পারবে না। তোমার জীবন থেকে একটা বছর হারিয়ে গেলো বাবা, এটা কি করে পরে ঠিক করবা বাবা। আমি মরে গেলে তারপর? তোমার বোন চাকরি করছে। তোমার সব বায়না সে আমার অগচরে পুর্ন করে। নিজের জন্য কিচ্ছু ভাবে না, সেটা তুমি জানো? আবীর তুমি আমাদের অবলম্বন, তোমার হাত ধরে আমাদের ভবিষ্যতে চলতে হবে। আমার শেষ সম্বল আজ অধপতনের দিকে চলে যাচ্ছে। আমি কি করবো বাপ। তুই আমাকে মেরে ফেল বাবা, আমার বেঁচে থাকার কোন মূল্য নেই আজ।

আবীর খুব ভেঙ্গে পড়েছে। তবে চোখে তার অন্যরকম আভা। অনুশোচনায় আর অনুতাপে সে সত্যিই বুঝি পুড়ছে। মায়ের কাছে এসে বসে, মামনির পা ধরে ক্ষমা চাইল। আর একটা বার সুযোগ দেবার।

মামনি আমার দিকে তাকালেন, আমাকে বললেন,

– তুমি সাদকে ভালোবাসো?

– আমি…… মানে ………

মামনি মুখে কিছু বললেন না, মোবাইলের রেকর্ডার অন করে আমার হাতে দিলেন।

কথোপকথোন ঠিক এমন ছিল,

-হ্যালো

– আমি সাদের বাবা, আপনি কি অবন্তির মা বলছেন।

– জী, আমি অবন্তির মা। আসসালামু আলাইকুম ভাই।

– ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমি আপনার সাথে কিছু কথা বলতে চাই।

-জি বলেন।

– ছোট থেকে আমি অবন্তিকে চিনি, সে আমাদের বাসায় আসতো। আমার মেয়ের বান্ধবী, হিসেবে তাকে আমরা খুব পছন্দ করতাম, ভালোবাসতাম। কিন্তু বর্তমানে যা ঘটছে, সে সম্পর্কে আপনি জানেন কি?

– কি জানি, সেটা বুঝতে পারছি না। বাচ্চা গুলো খুব ভালো বন্ধু। আমি এটাই জানি।

– তাহলে হয়ত আপনি না জানার ভান করছেন, আর নইলে হয়ত সত্যিই জানেন না। তাহলে আমি বলি, অবন্তি সাদকে ভালোবাসে। অবন্তি সাদকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আমি চাইনা যে অবন্তি আমার বাড়ির বৌ হোক।

– কেন? আমার মেয়ের মধ্যে কি সমস্যা যে আপনি তাকে অপছন্দ করছেন? আমার মেয়ে আপনার বাড়ির বৌ হোক, বা না হোক। কিন্তু আমার মেয়ের মধ্যে কি সমস্যা আছে যে, তাকে আপনার পছন্দ নয়। একজন মা হিসেবে আমি সেটা জানতে চাই। কারন আমার মেয়ের মধ্যে কি সমস্যা তা আমার জানা দরকার।

– সমস্যা অবন্তির নয়, সমস্যা আপনার আর আপনার হাসবেন্ড এর। আর আমি কোন ডিভোর্সি পরিবারের সাথে সম্পর্ক করতে চাই না। সমাজে আমার মানসম্মান আছে। আমার যা বলার ছিল বলে দিয়েছি। আশা করি মানসম্মান বোধ আপনারও আছে, আর যদি তাই থাকে তবে আপনার মেয়েকে আমার ছেলের থেকে দূরে রাখবেন। আর হ্যা, সাদ যেন এ বিষয়ে না জানে।

মামনি আমার দিকে তাকালেন, আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছি। মামনির এই রুপ দেখে। চোখ দুটো লাল টকটকে। রাগে আগ্বনীস্বর্মা হয়ে আছে। মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে আগুন ছুটে পড়বে। আমি নিথর হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।

#সিরাজুম_মনিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here