#বেখেয়ালি_ভালোবাসা,
#পর্ব_৩৫(শেষ পর্ব)
#লেখাঃসাবেরা_সুলতানা_রশিদ
.
পরের দিন সৈকত মেঘকে নিয়ে ঢাকাই ফিরে আসে সকালের ফ্লাইটে ।
মেঘ যদিও আসতে চাইছিল না । কিন্তু সৈকতের জোরাজুরিতে আর মিতু ,ইরির জন্য চলে আসতে হলো ।
বিমান থেকে নেমে সৈকত আগে চেয়েছিল মেঘকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে কিন্তু মেঘ জিদ ধরলো আগে সে বাড়ি ফিরবে তারপর অন্য সব।
মেঘের একটাই কথা বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে দেখা করলে নাকি তার সব ব্যথা সেরে যাবে ।
মেঘের কথা শুনে সৈকত না হেসে পারলো না।
মনে হচ্ছে বাড়ির প্রতিটা সদস্য মেঘের এক একটা পেইন কিলার ।
যে তাদের দেখলে মেঘের সমস্ত ব্যথা সেরে যাবে ।
তাই মেঘের কথা রাখতেই সৈকত বিমানবন্দর থেকে সোজা বাড়ির দিকে রওনা হয় ।
সৈকত মেঘকে বিমান থেকে কোলে করে নামিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেই। তারপর সৈকত বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করে ।
সৈকত নিজের বাম হাতটা আস্তে আস্তে পাশে রাখা মেঘের হাতের উপর রাখে ।
মেঘ সৈকতের স্পর্শ পেয়ে আস্তে করে নিজের হাতটা সরিয়ে নেয় ।
সৈকত সেটা বুঝতে পেরে আবার হাতটা এগিয়ে দিয়ে মেঘের ডান হাতটা ধরে নিজের কোলের উপর টেনে নেয় ।
সামনে লুকিং গ্লাসে দুজনের চোখাচোখি হয় ।
সৈকত একটু সরে মেঘের একদম কাছে এসে বসে ।
মেঘ লজ্জায় লাজুক লতার মত হয়ে যায়।
সৈকত বলে খারাপ লাগলে বলতে পারো তাহলে—-
সৈকতের মুখের কথা শেষ হওয়ার আগেই মেঘ সৈকতের কাঁধের উপর মাথা রেখে।
সৈকত কিছু না বলে মেঘের কপালে টুপ করে একটা চুমু বসিয়ে দেয় ।
মেঘ সুখে চোখ বন্ধ করে ।
হঠাৎ সৈকত বলেঃ
— আচ্ছা তুমি ডাক্তার কেন দেখাতে চাইছো না বলতো?
—এমনি । শুধু শুধু ডাক্তার দেখিয়ে কি হবে!?
—কি হবে মানে !!?
—হুম
—এই সত্যি করে বলতো তোমার মতলব টা কি?
—আমার আবার মতলব কিসের !!?
—হুম , কিছুতো একটা আছে তা না হলে তুমি কেন ডাক্তারের কাছে যেতে চাইছো না??
—এই দেখুন সব কিছুতে এত সন্দেহ করবেন না। এটা একদমই ঠিক না।
দেখবেন আমি বাড়ি গেলে ঠিক হয়ে যাবো।
—বুঝতে পারছি সবটাই নাটক করছো।
—কি!!?আমি নাটক করছি!?
—আরে আরে রেগে যাচ্ছো কেন ?
আমার পুরো কথা শোনার আগেই তুমি রেগে গেলে কি করে হবে ?
—হুম বলুন।
—আসলে আমি বলতে চাইছিলাম যে তুমি নিশ্চয় ডাক্তারকে ভয় পাচ্ছো ?ভাবছো হয়তো ইনজেকশন ফুটাবে ।
মেঘ কিছু না বলে চুপ থাকে।
সৈকত বলে বুঝেছি নিরবতা সম্মতির লক্ষন।
তার মানে তুমি —-হা হা হা
—মোটেও না। আসলে ছোটবেলা থেকে আমার একটা সমস্যা আছে সেটা হলো যেকোন অসুস্থতাই আমার ওষুধ হিসাবে কাজ করে আমার কাছের লোক। আমি নিজের বাড়ি ছেড়ে আসার পর আপনার বাড়ির সবাই আমার খুব আপন হয়ে গেছে । এখন দেখবেন ——
সৈকত মেঘের কথা শুনে হাসতে থাকে ।
মেঘ সৈকতকে বলেঃ
—আমার কথা শুনে আপনার খুব হাসি পাচ্ছে ?? ওকে হাসুন । তবে আমি মেঘ আপনাকে বলছি আমি বাড়ি যাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে আমার এই ব্যথা পুরোপুরিভাবে সেরে যাবে আপনি দেখে নিয়েন ।
তাহলে তো ভালোই আমার ডাক্তারের খরচটা বেচে যাবে ।
গাড়ি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতেই সৈকত মেঘকে কোলে করে গাড়ি থেকে নামিয়ে সোজা হল রুমে নিয়ে বসায়।
এভাবে সৈকত আর মেঘকে হঠাৎ একসাথে দেখে সবাই খুব অবাক হয়ে যায় । সাথে সবাই খুব খুশি ও হয়।
সৈকত মেঘ কে বাড়িতে আনার পর যেন বাড়ি তার প্রান ফিরে পেয়েছে ।
আগের সেই উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে মেঘ কে ঘিরে ।
মেঘের পায়ের ব্যথার কথা শুনে সবাই খুটিয়ে খুটিয়ে জানতে চাইছে কি করে এমন হলো ??
মেঘ বাড়ি ফিরে এসেছে শুনে চৌধুরী সাহেব খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান।
চৌধুরী সাহেব মেঘের কাছে আসতেই মেঘ সালাম দিয়ে ভালমন্দ জিঙ্গাসা করে।
—আমি এখন ভাল আছিরে মা । তুই ছিলি না বাড়িটা কেমন শূন্য শূন্য লাগছিল। আপ এখন আমার বাড়িটা পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
মেঘ শ্বশুরের কথা শুনে তার ভালবাসা দেখে কেদে ফেলে ।
চৌধুরী সাহেব মেঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়
—আমি জানতাম তুই জিতবি । আর আজ এটা জেনে যে আমার কতটা খুশী লাগছে সেটা তোকে বলে বোঝাতে পারবো না।
—আপনার দোয়া সাথে ছিল বলেই আমি এতটা করতে পেরেছি বাবা । আর নয়তো আমি মাঝ পথে হাল ছেড়ে দিয়ে পরাজয় স্বীকার করতাম।
—পাগলী মা আমার । তুই যে হাল ছাড়ার মেয়ে নোস সেটা আমি আগেই জানতাম । তাইতো তোকে আমার মা হিসেবে নিয়ে এসেছিলাম এ বাড়িতে ।
রোজি এসে মেঘকে কিছু খেয়ে নিতে বলে ।
মেঘ বলে আগে ফ্রেশ হবো তারপর।
তাড়াহুড়ো করে সৈকত কোথায় যেন বেরিয়ে যাচ্ছিল । সেটা দেখে রোজি বলেঃ
—কি রে এখনই আবার কোথায় যাচ্ছিস?
—একটু কাজ আছে । যাবো আর আসবো।
—কিছু খেয়ে যা ।
—এখন না পরে এসে খাবো।
মেঘ আড় চোখে সৈকতের দিকে তাকাই ।
আর ভাবে বাড়ি আসার পর এমন ভাব করছে যেন আমাকে চিনেই না!!?
এ মানুষটা যে কি দিয়ে তৈরি তা একমাত্র আল্লাহ ভাল জানে ।
সৈকতের উপর রাগ দেখিয়ে মেঘ নিজে নিজে বসা থেকে উঠে দাড়াতে যায় ।
কিন্তু ব্যথায় আবার পড়ে যায় ।
রোজি এগিয়ে এসে বলে এই কি করছিস?
এ অবস্থায় একা কোথায় যাচ্ছিস??
ব্যথা পাবি তো।
এই সৈকত এদিকে আয় । মেঘ কে আগে রুমে পৌছে দিয়ে যা ।
তারপর না হয় তোর কাজে যা ।
—থাক ,থাক । আমার জন্য কারো জরুরী কাজ ফেলে আমার পিছনে সময় নষ্ট করতে হবে না।
রোজি বুঝতে পারে দুজনের মধ্যে কিছু একটা চলছে তাই কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে একটু দূরে গিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে ।
সৈকত মেঘের দিকে গভীর দৃষ্টি দিয়ে তাকাতে তাকাতে মেঘের দিকে এগিয়ে যায় ।
মেঘ সেটা দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকে ।
সৈকত মেঘের কাছে গিয়ে বলেঃ
—এর শোধ কিন্তু আমি পরে ঠিক সুদে আসলে আদায় করে নিব।
—কিসের শোধ!!?
—এই যে আমাকে দিয়ে কষ্ট করানো ।
—ও তাই বুঝি!!?আপনি কষ্ট না করলেই পারেন।
—উপায় নেই । বলে সৈকত মেঘকে তুলে সিড়িঁ বেয়ে উপরে উঠে যায়।
মেঘ দুহাত দিয়ে সৈকতের গলা জড়িয়ে ধরে সৈকতের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে ।
সৈকত হাটছে সামনের দিকে তাকিয়ে আর কোন কথা বলছে না।
সৈকতের চোয়াল কেন যানি শক্ত দেখাচ্ছে।
হঠাৎ মেঘ বলে আচ্ছা আমার ওয়েট টা কি খুব বেশী ?
—না বেশী হবে কেন!!?মাত্র দুশোচল্লিশ কেজি।
—এই কি বললেন আপনি!!?আমি দুশোচল্লিশ কেজি??
—হুম তা নয়তো কি ??
—এই মোটেও না । একদম ফাজলামি করবেন না ।
—কে বললো আমি ফাজলামি করছি?
—তাহলে বলুন আমার ওয়েট কি খুব বেশী ।
—সেটা না হয় বদ্ধ রুমেই বলবো।
—যাহ আপনি না একটা ইয়ে —
—হা হা হা।
রাত বারোটা বেজে ১মিনিট
সৈকত অনিকে কোলে করে হল রুমের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।
—এতরাতে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো চাচ্চু?
—একটু পরেই দেখতে পাবি।
—ওদিকে তো অন্ধকার ।
—হুম তাতে কি?
—আমার ভয় করছে চাচ্চু।
—ভয় কিসের আমি আছিতো ।
হল রুমে পা পড়তেই চারিদিকে আলো জ্বলে ওঠে ।
—হ্যাপি বার্থডে টু ইউ । হ্যাপি বার্থডে মাই ডিয়ার অনি ।
সবাই হল রুমে দাড়িয়ে আছে ।
অনিকে বার্থডে উইশ করতে ।
অনি সৈকতের গলা জড়িয়ে মুখে একটা পাপ্পি দিয়ে বলেঃ
—চাচ্চু ইউ আর গ্রেট। এই না হলে আমার চাচ্চু। তুমি খুব ভাল।
—আর আমি ??
—ছোট মা তুমি আরে ভাল।
—সৈকত একটু অভিমানী মুখ করে বলে ও এখন আমি আর কেউ না তাইনা??
—চাচ্চু তুমি তো বেস্ট।
হুম এখন তাড়াতাড়ি করে কেক টা কাটো। অনেক রাত হয়েছে এখন ছোট করে আয়োজন করেছি অনি বাবুর বার্থডে পার্টি আগামীকাল অনেক বড় অনুষ্ঠান হবে ।
ওকে চাচ্চু।
সবাই খুব আনন্দ করে।
শীতের রাত আজ ঠান্ডাটা একটু অন্যদিন থেকে বেশি পড়ছে তাই সবাই আর দেরি না করে যার যার রুমে চলে যায় ।
সবাই চলে যেতেই সৈকত মেঘের চোখে একটা কাপড় বেধে সোজা এনে বেলকনিতে এনে দাড় করিয়ে চোখ খুলে দেয়।
—একি এই ঠান্ডায় এখানে কেন আনলেন??
—তোমার সঙ্গে এই রাতে আকাশ ভরা তারা দেখবো বলে ।
—হুম তাই বলে
সৈকত মেঘের ঠোটে নিজের আঙ্গুল দিয়ে চেপে হুসসস একটাও কথা না ।
মেঘ চুপ করে থাকে।
সৈকত হাত উচু করে বলে দেখ ওই তারাটা কত বড়।
—হুম।
কিছুক্ষন নিস্তব্ধতা বিরাজ করে । দুজনের কেউ বুঝে উঠতে পারে না কি বলবে ।
হঠাৎ সৈকত বলেঃ
—আচ্ছা সুইটি কি তোমার কিছু হয় ??
—মেঘ চমকে বলে কেন?
সৈকত সব কিছু খুলে বলে।
মেঘ বলে সুইটি আমার ভাবি।
ভাইয়া প্রেম করে বিয়ে করেছিল সুইটিকে
প্রথম কিছুদিন ওদের সম্পর্ক ভালই চলছিল কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো সুইটি আস্তুে আস্তে কেমন যানি পরিবর্তন হতে থাকলো । টাকার লোভ ঘিরে ধরেছিল।
হঠাৎ সৈকত বলে থাক আমি আর সেসব শুনতে চাইনা। আমি জানি।
আর এও জানি তুমি আমাকে সুইটির জাল থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্যে করেছ।
মেঘ আর কথা বলে না চুপ করে থাকে।
—আচ্ছা মেঘ একটা কথা বলি।
—হুম বলুন।
—এতোটা ভালবাসো কেন আমাকে?আমি তো তোমাকে তোমার মতো করে কখনোই ভালবাসতে পারিনি। শুধু কষ্ট দিয়েছি । তারপরও কেন তুমি এতোটা ভালবাস?
—এর সঠিক কোন উত্তর আমার জানা নেই । কেন যে আমি আপনাকে এতোটা ভালবাসি তা নিজেও জানিনা । হয়তো আপনি কষ্ট দেন বলেই আমি আপনাকে এতোটা ভালবাসি ।
কিছুক্ষণ দুজনেই নিরব ——
—আমি যদি হঠাৎ করে ঐদূর আকাশের তারা হয়ে যায় তখন কেমন হবে?
—এই কি বললে তুমি ??আর একবার বলো ?
—কেন শুনতে পাননি?
—হ্যা পেয়েছি তাই জিঙ্গাসা করছি । সাহস থাকলে আর একবার বলো।
মেঘ বলে আমি যদি ঔ তারা হয়ে যায় আপনি আমাকে খুজবেন?
মেঘের কথাটা শেষ হওয়ার আগেই মেঘ অনুভব করে সৈকতের হাত তার মাথার পেছনের চুল গুলো শক্ত করে ধরে ফেলেছে ।
মেঘ ব্যথায় উুহ করে ওঠে । তাকিয়ে দেখে সৈকতের চোখেমুখে কঠোরতা ফুটে উঠেছে ।
—এই কি বললি তুই ?? তুই আমাকে ছেড়ে গেলে যে আমি শেষ হয়ে যাবো । তুই ছাড়া যে আমি নিঃস্ব তা কি তুই বুঝিস না?
মেঘ তাকিয়ে থাকে সৈকতের দিকে ।
সৈকতের চোখে এই প্রথম মেঘ তার নিজের জন্য ভালবাসা খুজে পেয়েছে ।
সৈকত মেঘের মুঠো করা চুল ছেড়ে দিয়ে উঠে দাড়িয়ে দুহাত মেলে বলে আমি ভালবাসি অভিমানী ।
আমি তোকে বড্ড ভালবাসি।
আমি আমার সবটা দিয়ে তোকে ভালবাসি ।
সৈকতের মুখে প্রথম ভালবাসার কথা শুনে মেঘ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না ।
উঠে সৈকতকে জড়িয়ে ধরে ।
সৈকত ও নিজের সব শক্তি দিয়ে তার অভিমানী বউকে জড়িয়ে ধরে ।
মেঘ কাঁদছে ।
—এই কান্না করছো কেন?
—এই কথাটা বলতে এত সময় লাগলো?
—হুম ।
—আপনি খুব পচা ।
—হুম পচা।
মেঘ সৈকত কে ছেড়ে দিয়ে বললো একটা সারপ্রাইজ আছে ।
—কি??
মেঘ হেটে একটু দূরে সরে বললো এটাই সারপ্রাইজ।
সৈকতের কিছুক্ষন লাগে বুঝে উঠতে
কোনটা সারপ্রাইজ।
তারপর বুঝতে পেরে বলে মানে তোমার পায়ে কিছুই হয়নি!!?
তুমি গতকাল থেকে এ পর্যন্ত আমাকে —-
মেঘ হেসে দেয় । বলে বলেছিলাম না বাড়িতে আসার পর প্রিয় মানুষদের দেখলে ভাল হয়ে যাবে ।
সৈকত বলে তবে রে ।
মেঘ দৌড়ে রুমে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে বিছানার উপর গোলাপ ফুলের পাপড়ি মেলানো ।
সৈকত পিছন পিছন ছুটে এসে বলে কি !!?
ক্যামন এখন??
মেঘ বলে তার মানে কি???
সৈকত বলে মানে তুমি তখন তোমার ওয়েট জিঙ্গাসা করছিলে না!?
—হুম তো?
—এখন বলবো কত ওয়েট ।
—হা হা হা ।
সৈকত একটা প্যাকেট দেয় মেঘের হাতে ।
মেঘ খুলে দেখে একটা পিঙ্ক কালারের গজির্য়াস শাড়ি ।
শাড়ি দেখে প্রথমে মেঘ খুশি হলেও কি ভেবে যেন মুখটা শুকিয়ে গেল।
—কি হয়েছে পচ্ছন্দ হয়নি?
—হুম ,তবে—
চিন্তা নেই আমি আছিতো। যতটুকু পারো পরো ।
মেঘ শাড়ির প্যাকেট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে কোনরকমে শাড়িটা একটু জড়িয়ে বাইরে এসে দাড়ায় ।
সৈকত মেঘের পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোখ বুলিয়ে মিচকি হাসতে হাসতে মেঘের দিকে এগিয়ে যায় ।
মেঘের অজানা ভয়ে বুকের ভিতরে কেমন জানি ধুকধুকানি শুরু হয় ।
সৈকত শাড়িটা ধরে ঠিক করে পরিয়ে দেয়।
সৈকতের আলতো স্পর্শে মেঘের ভিতরে ঝড় বইতে শুরু করে ।
শাড়িটা পরিয়ে সৈকত মেঘকে আয়নার সামনে দাড় করিয়ে বলে দেখতো কেমন লাগছে আমার জেদি বউটাকে ।
মেঘ লজ্জায় মুখ নিচু করে থাকে ।
সৈকত মেঘের সামনে এসে মুখটা উচু করে কপালে ভালবাসার পরশ বুলিয়ে দেয় ।
মেঘ অনুভব করে সৈকতের তপ্ত নিশ্বাস আস্তে আস্তে তাকে গ্রাষ করছে পুড়িয়ে দিচ্ছে মেঘের সমস্ত শরীর ।
প্রকাশ হল সৈকতের ভালবাসার গবীরতা ।
বেখেয়ালী মনের জমে থাকা এতদিনের ভালবাসা বুঝি আজ মেঘকে ভাসিয়ে নিচ্ছে ——–
দুজনের ভালবাসায় সূচনা হল একটা নতুন সকালের ।
(#সমাপ্ত)
(গল্পটি কেমন লাগলো আপনার মতামত জানাবেন কিন্তু)