ভুলের মাশুল পর্ব: ৯

0
1216

গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ৯
লেখক: হানিফ আহমেদ

অর্ণবের হাত থেকে কাপড়ের ব্যাগ গুলো পরে যায়। পাশে থাকা অনেকেই অর্ণবের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্ণব কাপড়ের ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে হানিফের পাশে যায়। হানিফের সাথে কথা বলার লোকটি অর্ণবকে দেখে চমকে যায়।
হানিফ: বলো না আমার কলিজাটা কেমন আছে?
জাবিন: সত্যি আমি জানি না ও কেমন আছে।
হানিফ কিছু বলার আগে
অর্ণব বললো।
অর্ণব: জানোনা মানে কি? তুমি না ওর চাচাতো ভাই।
জাবিন: তোমরা যেভাবে ওকে খুঁজছো’ “আমিও ওকে খুঁজছি, জানিনা হঠাৎ করে ওরা উধাও হলো কেন? আব্বু প্রতিটা রাত কান্না করেন চাচ্চুর জন্য, জানি না কি হয়েছে আমার চাচ্চুর ফ্যামিলির সাথে?”
অর্ণব এসব শুনে আবারো হতাস হলো! একবছরেও জানতে পারলো না, ওর প্রাণপাখিটা বেচে আছে কি না?
জাবিন চলে যায়।

অর্ণব গাড়ি ড্রাইভ করছে।পাশে হানিফ বসা,
অর্ণব: কথা বলছোস না যে চুপ কেন?
হানিফ: কি করবো বল? আজো আমার কলিজার খবর জানতে পারলাম না, সব সময় মনে হয় আমার একটা বোন+বেষ্ট ফ্রেন্ডকে হারিয়ে ফেললাম।
অর্ণব: এমন ভাবিস না একদিন ঠিকি ও আমাদের সামনে আসবে, সেদিনও আমার না বলা কথা গুলো ওরে বলে দেবো।
হানিফ: পাগল হয়ে গেছিস তুই? আর ও কি কখনো আসবে?
অর্ণব: ওর জানা প্রয়োজন ওর অনুপস্থিতিতেও ওরে কেও ভালোবেসেছে, দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছে, ওর জন্য কেও পাগল ছিলো সেটা তো ওকে জানতেই হবে।
হানিফ: অর্ণব একটা কথা জানিস তুই?
অর্ণব: কি?
হানিফ: তুই আকাশে থাকা উড়ন্ত পাখিকে তোর নিশানা করেছিস।
অথচ তোর সামনেই বসা একটা পাখি, হাতেই আছে তোর বন্ধুক। নিশানা কিন্তু তুই তোর সামনে থাকা পাখিটিকে করতে পারতিস?
অর্ণব: তোর কথাটা আমি ঠিক বুঝলাম না!
হানিফ: হুম বুঝিয়ে বলছি। “আকাশটা হলো তোর ভাবনার জগৎ, আর সেই ভাবনায় আছে অস্থায়ী সে , যেটা উড়ন্ত পাখি বলা যায়। আর অর্ণি হলো তোর সামনে বসে থাকা পাখি, যে তোকে ভালোবাসে, আর বন্ধুক হলো তোর আর অর্ণির মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেওয়া বিয়ে নামক শব্দটা। অথচ তুই কি করছিস, সেই উড়ন্ত পাখিকেই নিশানা লাগিয়েছিস তুই?
অর্ণব: বাহ! কি যুক্তি দিলি শালা। অর্ণি আমার সব সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিছে, এখনো কিছু কিছু মেয়ে মেসেঞ্জারে বলে , অর্ণব তোমার ওই ভিডিওটা কি সত্যিই , তুমি কি এমনি?”
হানিফ: অর্ণব তুই হয়তো জানিস না মানুষেই ভুল করে? আর অর্ণিও রক্তে মাংসে মানুষ তো ও এমনিতেই ভুল করবে।
অর্ণব: এমন ভুল কারা করে জানিস?
হানিফ: কারা?
অর্ণব: যাঁদের ভিতর মনুষ্যত্ব বলতে কিছু নাই তারা।
হানিফ: তুই তো ওরে কম শাস্তি দিচ্ছিস না?
অর্ণব: গাড়ি থেকে নাম তুই?
হানিফ: রাগছিস কেন, সত্য কথাই তো বললাম।
অর্ণব: থাক তুই গাড়িতে। আমি আপুর বাসায় গেলাম।
হানিফ: বাসায় চলে এসেছি?
অর্ণব কিছু না বলে বাসার ভিতরে যায়।

অর্ণি বসে আছে একা। সময় তার কাটছেই না,
অর্ণবের মায়ের সাথে গল্প করলো, কতো চেষ্টা করলো জানার জন্য অর্ণবের একবছর আগে কি হয়েছিলো, কিন্তু সে জানতে পারলো না,
অর্ণি রুমে এসে দেখলো নিধী পড়তাছে, সামনে ওর ফাইভের পরীক্ষা। অর্ণি কিছু না বলে মোবাইলটা হাতে নিয়ে অর্ণবের রুমে চলে যায়। আজ রাতে সে অর্ণবের রুমেই থাকবে।
ফোন খুলে দেখে মিরা অনেকটা ফোন দিছে অর্ণিকে।
অর্ণি মায়ের সাথে গল্প করছিলো তাই ফোনের কথা মনেই নাই।
মিরাকে ফোন দিলো।
রিং হচ্ছে, ওপাশ থেকে রিসিভ হলো।
মিরা: এই যে সংসারী মহা নারী
ফোন রেখে কোথায় ছিলেন আপনি?
অর্ণি: মজা করিস না তো।
কি জন্য এতোটা মিসকল দিয়েছিস।
মিরা: ঠাডা পরোক তোর মাথার চুলে , আর সব উকুন মরুক।
আমি তোরে মিসকল দিছি তাই না? ১০টা কল দিছি সব গুলো কেটে মিসকল হয়েছে।
অর্ণি: ওওও। দরকার নাকি কিছু?
মিরা: আমাদের বাসায় আসবি কবে?
অর্ণি: এই জন্মে আসবো না ইয়ার।
মিরা: কাল পাশের বাসায় রবীন্দ্রসংগীত এর আয়োজন করা হয়েছে, আজ চলে আয় না অর্ণবকে সাথে নিয়ে।
অর্ণি: তুই আবার একি কথা বলছিস, তুই জানিস না, আমি অমুসলিম কবিদের ঘৃণা করি?
মিরা: কেন ওরা অমুসলিম বলে ওরা কি মানুষ না?
অর্ণি: এতো কিছু আমি বলতে পারবো না।
মিরা:রাগছিস কেন? আচ্ছা এসব থাক। অর্ণব কেমন আছে রে?
অর্ণি: ভালোই আছে, শুধু আমি নেই।
মিরা: কেন, অর্ণব কি কিছু করেছে?
অর্ণি: জানিস বিয়ের পর থেকে মাত্র কয়েকবার আমার সাথে কথা বলেছে।
মিরা: কি বলিস, তোরা কি একসাথে থাকিস না? (উত্তেজিত এর সাথে প্রশ্ন করলো)
অর্ণি: এক সাথে থাকা তো অনেক লম্বা কথা, আমার সাথে ভালোভাবে কথাই বলে না।
মিরা: তুই কি ওর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিস নিজ থেকে?
অর্ণি: করেছিলাম রে।
মিরা: করেছিলাম মানে এখন করছিস না?
অর্ণি: অপমান হতে কার ইচ্ছা হয় বল?
মিরা: আরে পাগলী তুই না অর্ণবকে ভালোবাসিস। শুন যাকে ভালোবাসা যায় তার কাছে অপমান হওয়াটাও কোনো বড় অপরাধ না।
অর্ণি: ভালোবাসা যে এক তর্পা।
মিরা: হোক না এক তর্পা, শুন আজ থেকে তুই অর্ণবের সাথে সব সময় কথা বলবি, একটু রাগ দেখাবি। তুই ওর বিয়ে করা বউ, তুই স্ত্রীর অধিকার নিয়ে অর্ণবের সামনে যাবি।
অর্ণি: আবার যদি অপমান করে?
মিরা: শুন’
মরুর বুকে পানি খুঁজতে হলে তোকে তা তালাশ করতে হবে।
এক জায়গায় বসে তুই হাজার আর্তনাদ করলেও এক ফোটা পানিও পাবি না তুই?
ঠিক তেমনি তুই অর্ণবের কাছে ভালোবাসা পেতে হলে, ওর মধ্যে ডুক , ওর ভিতর থেকে ওর মধ্যে থাকা ভালোবাসাটা জাগিয়ে তুল।
অর্ণি: হুম ইনশাআল্লাহ আমি কিছুদিনের মধ্যেই অর্ণব কে আমার করে নেবো।
মিরা: সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম রে, বিয়ের পার্টি সেদিন হবে।(হেসেই বললো)
অর্ণি: হু ,রাখি এখন, আল্লাহ্‌ হাফিয।
অর্ণি ফোন রেখে দেয়, ওর মনে হলো আজ ওর বাসায় ফোন দেয় নি।
তাই সে সাহিলকে ফোন দিয়ে সাহিলের সাথে কিছুক্ষণ কথা বললো।
আছরের আজান দিলো, অর্ণি আছরের নামাজ পড়ে , অর্ণবের রুমটা ভালোভাবে দেখতে লাগলো, খুব সুন্দর রুম অর্ণির, অর্ণব বাসায় থাকে তাই তার রুমে আসা হয় না। এই রুমেই থাকার কথা ছিলো অর্ণির ,
হুম কাল থেকে আমি পালটে যাবো। আর চুপ থাকবো না, (অর্ণি নিজের চুলে হাত ভুলিয়ে কথা গুলো বললো)
কাল থেকে এক নতুন অর্ণি দেখবে অর্ণব , এসব ভাবছে আর হাসছে।

অর্ণব হানিফের আপুর বাসায় অনেক আড্ডা দিচ্ছে। রাহিনও আজ বাসায় (হানিফের আপুর বর) দুদিনের ছুটি নিয়ে আসছে।
রাতে অর্ণব আর হানিফ একসাথেই ঘুমায়
অর্ণব: তোর আপুর একটা ননদ আছে না পিচ্ছি, ওরে তো দেখলাম না?
হানিফ: হা হা দেখবি কেমনে আজ ৫ মাস ধরে বাসায় নাই,
অর্ণব: কেন, কই গেলো ও,
হানিফ: ওর খালার বাসায়, ওখানেই একটা স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
অর্ণব: তাই তো দেখছি না, নইলে এতক্ষণে আমার কাছে এসে বলতো,অর্ণব ভাইয়া আমায় সিলেটের ভাষা শিখাও,কথা বলো সিলেটের ভাষায়।
(অর্ণব এর মূল বাড়ি সিলেট এর হবিগঞ্জ, কিন্ত নিধীর জন্মের ৬ মাস আগেই অর্ণবের বাবা ঢাকাতে বাসা কিনে সেখানে স্থায়ী হয়ে যান। অর্ণবের গ্রামের বাড়িতে ওর এক চাচ্চু আর ফুফু আছে। মাঝেমধ্যে যায় ওরা বাড়িতে। আগে ওরা যৌথভাবে থাকতো)
হানিফ: হুম তুই শালা সিলেটি ভাষায় কথা বললেই ভালো লাগে,
অর্ণব: হাছা নি বে, তে অখন থাকি মাতমুনে আমরা ভাষায়।
হানিফ আর অর্ণব হাসতে শুরু করে।
অর্ণব হাসি থামিয়ে।
অর্ণব: আচ্ছা হানিফ তোর কি এখনো কাওকে পছন্দ হলো না?
হানিফ: হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন রে?
অর্ণব: এমনিই, তোর পার্সোনাল বিষয়ে তেমন প্রশ্ন করি না। আমি তো তোর জীবন্ত ডাইরি, আগে একজন ছিলো সে তো এখন নাই আমাদের মাঝে।
হানিফ: এসব থাক না এখন, ঘুমা তুই?
অর্ণব: বল না আছে কি পছন্দের কেউ?
হানিফ: আছে একজন,
অর্ণব শুয়া থেকে উঠে বালিশ কে হাটুর মধ্যে রেখে
অর্ণব: কে রে, সেই ভাগ্যবতী কে?
হানিফ: নাম বলবো না, এই সম্পর্কে কিছুই বলবো না তরে, সারপ্রাইজ দেবো তোদের।
অর্ণব: আচ্ছা সে কি তোকে ভালোবাসে?
হানিফ: জানি না রে, তবে বিশ্বাস সে আমায় ফিরিয়ে দিবে না।
অর্ণব: যদি দেয়?
হানিফ: তাহলে সেদিনি আমার শেষ দিন হবে এই ভবে।
অর্ণব এই কথা শুনে হানিফকে বালিশ দিয়ে মারতে শুরু করে
অর্ণব: কি বললি তুই, তুই জানিস কি বলছিস এসব, তাও আবার আমার সামনে, কোথাকার কোন মেয়েকে ভালোবেসে আমাদের ছেড়ে যাবি সে প্রপোজাল না রাখলে, কুত্তা তুই জানিস না তোরা সব কয়টা আমার কলিজা , এমনিতেই একজনকে হারিয়ে আমরা সবাই কষ্ট পাচ্ছি , আর তুই এসব বলছিস?
অর্ণব কান্না করে দেয়।
(বন্ধুত্ব এমনি হয়, সঠিক বন্ধু সবার ভাগ্যে থাকে না ,তোমার দুঃখে যদি তোমার বন্ধু দুঃখী না হয় তাহলে বুঝে নিও সে তোমার বন্ধু না ,
~সে গাছে ফোটা গোলাপ ,
সময়ের সাপেক্ষে ঝরে যাবে কোনো সন্ধে বিকাল~)
হানিফ: সরি সরি আমি জানি আমরা একে ওপরের কলিজা।
অর্ণব: কচু জানিস, শালা কুত্তা ঘুমা তুই। আর একটাও কথা বলবি না।

অর্ণির চোখে ঘুম নেই। এই কাজল কালো চোখে সে কতোই না স্বপ্ন দেখেছিলো অর্ণব কে নিয়ে , কোনো এক রাতে দুজন ডুববে ভালোবাসার সাগরে, হালকা ক্লান্তিতে দুজন উপভোগ করবে কিছুটা সময় গভীর রাত্রিতে।
আচ্ছা কখনো কি আমার স্বপ্ন পূরণ হবে না, অর্ণি এক কষ্টের নিশ্বাস চোখ দুটি মুঝলো।

সকালে
অর্ণব তার বাসায় চলে আসার জন্য পথ দেয়।
হানিফের আপু অনেক বার বলেছ্র থাকার কথা কিন্তু অর্ণব থাকবেই না হানিফকেও থাকতে দিবে না।
হানিফকে তার বাসায় লামিয়ে দিয়ে, সে বাসায় চলে আসে
কলিং বেল বাজাচ্ছে, কারো দরজা খুলার নামি নেই, অর্ণব ওর মায়ের ফোনে ফোন দিতে যাবে তখনি দরজা খুলে দেয়।
অর্ণব সামনে থাকা মানুষটিকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না,
একটা মেয়ে এতোটা সুন্দরী হয় কিভাবে, কালো ড্রেস চোখে কাজল চুল গুলো কোপা করা, সব মিলিয়ে খুব সুন্দর লাগছে, দুধে আলতা মেয়ে যদি কালো ড্রেস পরে তাইলে কার না সুন্দর লাগে।
অর্ণব: (এ আমি কি ভাবছি
আমাকে শক্ত হতে হবে, এখনো আমার ওরে অনেক শাস্তি দেওয়া বাকি আছে।
এসব ভেবে বললো।) এতক্ষণ লাগে দরজা খুলতে।
আম্মু নিধী ওরা কোথায়?
অর্ণির ভাল লাগছে অর্ণব নিজ থেকে কথা বলছে, তারপরেও কথা গুলো অর্ণব রেগে বলছে।
অর্ণি: আম্মু আর নিধী খালামণির বাসায় গেছেন।
অর্ণব: আমায় রেখেই চলে গেলো,(কথাটা আস্তেই বললো)
অর্ণব উপরে চলে যায়, ওর রুমে গিয়ে মেয়েদের পারফিউম এর ঘ্রাণ পাচ্ছে বুঝতে বাকি নেই কাল রাতে অর্ণি ওর রুমে ঘুমিয়েছে।
অর্ণি দরজা লক করে অর্ণবের রুমে যায়। অর্ণিকে দেখে অর্ণব বললো।
অর্ণব: এখানে এসেছো কেন, আয়নায় নিজের চুল ঠিক করতে করতে
অর্ণি কিছু না বলে, অর্ণবকে গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। অর্ণব এমন কিছুর জন্য কোনো ভাবেই প্রস্তুত ছিলো না।
অর্ণব: কি হচ্ছে এসব?(রেগেই বললো চেঁচিয়ে)
অর্ণি কিছু না বলে অর্ণবকে আরো শক্ত করে ধরে,তার ঘাড়ে ওর লাল নরম ঠোট বসিয়ে দিলো।
অর্ণবের রাগ চরম পর্যায়ে উঠে যায়। অর্ণির হাত ধরে ওর সামনে এনে দু গালে দুটু থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
অর্ণব: নষ্টা মেয়ে, তোর লজ্জা করে না আমার সামনে আসতে, তুই আসলেই একটা রাস্তার মেয়ে, শরীরে যদি এতোই জালা থাকে তাহলে পতিতালয়ে যা, টাকাও পাবি আর সুখও পাবি, তুই আমার বউ হওয়ার যুগ্যই না। তুই স,,,
অর্ণবকে আর কিছুই বলতে দেয় নি, অর্ণি অর্ণবের সাথে যা করলো তা অর্ণব কখনো ভাবতে পারে নি অর্ণি এসব কথার মধ্যেও এমন করবে তার সাথে?

চলবে,,,,

(গল্পে হালকা রোমান্টিক আসবে, এখন থেকে প্রতিটা পার্টে নতুন নতুন ঝমক আসবে।
গল্পটা কেমন হচ্ছে পড়ে জানাবেন।
আমার মতো পঁচা লেখক আপনাদের উৎসাহতেই ভালো কিছু লিখার শক্তি পাবো।
ভুল গুলো ক্ষমা করবেন? গল্পের সাথেই থাকবেন আশাকরি।)

ভালো থাকবেন
ঘরেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here