ভুলের মাশুল পর্ব: ১০

0
1101

, গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ১০
লেখক: হানিফ আহমেদ

অর্ণি অর্ণবের গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়, আর চেঁচিয়ে অর্ণবের কাদে ঝাঁকিয়ে ,
অর্ণি: হুম আমি নষ্টা যদি কোনো বউ তার স্বামীর কাছে বউয়ের অধিকার নিয়ে গিয়ে নষ্টা হয় তাহলে আমিও নষ্টা, আর কি আমি রাস্তার মেয়ে তাই শুধু আজো অত্যাচার সহ্য করে এখানেই আছি শুধু একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য , শুধু একটাই ভুল করেছিলাম কোনো মানুষকে খুন করিনি আমি, যে এতো শাস্তি দিচ্ছো আমায় , আর কখনো তোমার মুখে এমন খারাপ কোনো কথা শুনছিতো আমি নিজেকে শেষ করে দেবো।(অর্ণি সব কথা একবারে বললে থামলো)
অর্ণব কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে
অর্ণি: সরি থাপ্পড় দেওয়ার জন্য, আর কখনো এমন করলে শুধু থাপ্পড় না কিল ঘুসিও দেবো।
এই বলে অর্ণি চলে যায়

অর্ণব
আজ বেশিই করে ফেলছি কি থেকে কি বলে ফেলছি।
না ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবো।
বিকেল ৩টার সময় অর্ণবের মা আর নিধী বাসায় আসে।
কেটে যায় আরো একটা দিন।
সময় যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে।
অর্ণব আর তার সব ফ্রেন্ডস তাদের সেই সবচেয়ে প্রিয় জায়গা লাট্টা নদীর পারে বসে আছে (নদীর নাম ছদ্মনাম )
এই নদীর পারে ওদের কতো স্মৃতি রয়েছে ।
নদীর ঠিক কিছুটা দূরে এক শারি কদম গাছ আছে, যেখানে অর্ণবরা বসে আড্ডা দেয়, যদিও জায়গাটা কারো মালিকানাধীন।
আজ অনেক দিন পর ওরা সাতজন এক হয়েছে,
মৌকে অনেকদিন অনেক খারাপ খারাপ কথা শুনতে হয়েছে, আগে অন্য একজনো শুনতো, এখন মৌ একাই শুনে, তবুও প্রতিবাদ করেনা। এইতো কয়েক মাস আগের কথা।
মৌ একা বসে ছিলো ভার্সিটির পশ্চিম পাশে আমগাছের নিচে।
তখন ওদের ব্যাচের দুইটা ছেলে মৌ এর কাছে এসে বললো
~ কি গো, আজ তোমার ভমর গুলো কই? ফুল টাকে একা রেখে কোথায় গেলো, নাকি ওরা ৬ জন মিলে সব মধু শেষ করে ফেলছে।~
এরকম আরো অনেক খারাপ খারাপ কথা শুনাচ্ছিলো মৌকে, কিন্তু মৌ কিছুই বলে নি সব নীরবে সহ্য করেছে।
এই কথা গুলো এখনো অর্ণব বা তার কোনো ফ্রেন্ডস জানে না।
এক বছর আগেও হানিফ এই খারাপ কথা বলার জন্য একটা ছেলেকে অনেক মেরেছে, সেই দিন থেকে মৌ বা ও কিছুই ওদের বলে না।

সবাই নদীর পাশে কদম গাছের ছায়ার নিচে বসে আছে। মৌকে একটু মন মরা লাগছে। ওরা উপভোগ করচে নদীর বুকে ছড়া প্রতিটা লঞ্চ এর শব্দে।
মাঝেমধ্যে কদম ফুল পরছে, কিন্তু আজ ফুলের দিকে কারো কোনো টান নাই,
অর্ণব: চল আজ ৮ জনের নামের অক্ষর লিখা গাছটি খুঁজে বের করি।
হানিফ: এতো গাছের মধ্যে খুঁজবো কিভাবে?
অর্ণব: সবাই খুঁজো, দেখি কে সেই গাছটা পায়?
সবাই খুঁজতে থাকে,
সজিব গাছটা দেখেও কাওরে কিছুই বললো না,
জানে গাছের উপর খুদাই করা নাম গুলো দেখে হানিফ আর অর্ণব কষ্ট পাবে, তাই সে কিছুই বললো না।
সবাই খুঁজে ব্যর্থ হলো।
অর্ণব: গাছটা তো খুঁজে পেলাম না।
মৌ: মনে হয় গাছ কেটে ফেলছে কেও?
সজিব: হতে পারে।
হানিফ: সন্ধ্যা হয়ে আসলো চল সবাই বাসায় যাই?
অর্ণব: আরো কিছুক্ষণ থাকি না রে।
হানিফ: এই জন্য তোকে নিয়ে এখানে আসি না।
অর্ণব: আচ্ছা চল বাসায় যাই।
সবাই বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।

অর্ণব বাসায় এসে দেখে ওর বাবা কক্সবাজার থেকে চলে এসেছেন।
সবার জন্য কাপড় এনেছেন।
অর্ণি তার বাবার পাশেই বসে আছে আর কাপড় দেখছে।
নিধী টেডিবিয়ার নিয়ে উপরে চলে যায়।
বাসার দরজা খুলাই ছিলো।অর্ণব এসেছে কেও দেখেই নি।
অর্ণব হালকা গলা শব্দ করে বললো।
অর্ণব: আব্বু আমার জন্য কি আনলে?
অর্ণবের কণ্ঠ শুনে সবাই দরজার দিকে তাকালো।
রফিকুল: তোমার জন্য আর কি আনবো? তারপরেও তোমার পছন্দের কালো পাঞ্জাবি এনেছি।
অর্ণব: পরে দেখে নেবো।
এই বলে সে উপরে চলে যায়।

অর্ণব উপরে যাওয়ার পর জাহানারা বেগম অর্ণিকে বললেন।
জাহানারা: অর্ণি মা তুই এভাবে হাতপা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। তোকে কাজ করতে হবে?
অর্ণি: কি কাজ আম্মু?
জাহানারা: অর্ণব কে তোর ভালোবাসার শিখলে আবদ্ধ করতে হবে না। আমার ছেলেটা যে খুব জেদি রে মা। তুই এভাবে দূরে দূরে থাকিস না, তাইলে কখনো ওর ভালোবাসা পাবি না তুই?
অর্ণি: আম্মু আমি চেষ্টা করছি।অর্ণবকে আমি আমার ভালোবাসা দিয়েই আবদ্ধ করবো।
জাহানারা: তুই আর নিধীর সাথে ঘুমাবি না। আজ রাত থেকেই অর্ণবের রুমে ঘুমাবি?
অর্ণি এমন কথাতে হালকা লজ্জা পেলো রফিকুল ইসলাম ওদের সাথেই যে বসা ওরা দেখেই নি।
অর্ণি: হুম।(দৌড় দিলো)
জাহানারা বেগম বিষয়টা বুঝে হাসলেন।

এশার আজান এর পর নামাজ পড়ে সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যায়।
অর্ণব ডাইরি লিখতে ভেস্ত, প্রতিটা মুহূর্ত সে ডাইরিতে লিখে রাখে।
আজকে লিখলো অর্ণির সাথে হওয়ার প্রতিটা কথা একটা শব্দও সে বাদ দেয় নি লিখা থেকে। এই ডাইরিটা তাকে তার খুব প্রিয় একজন গিফট করেছিলো তার জন্মদিনে।

রাত ১০টা, বাহিরে কুকুর ডাকছে। শহরে তেমন পাখির ডাক শুনাই যায় না, তারপরেও অর্ণবের বাগানে কিছুটা পাখির ডাক শুনা যাচ্ছে।
রাত এখনো বেশি না হলে পাখি গুলো ঠিকি ডাকে। এই বাগান তাদের বাসস্থান।
অর্ণব কারো আসার শব্দ শুনে চোখ মেলে তাকালো।
অর্ণিকে দেখে সে শুয়া থেকে উঠে বসলো।
অর্ণব: তুমি এখানে এতো রাতে?
অর্ণি: কোথায় এতো রাত হলো? এখনো পূর্ব আকাশে পেঁচা ডাকছে, রাতটা গভীরও হয়নি।
অর্ণব: এতো কথা না বলে কেনো আসছো সেটা বলো।
অর্ণি: ঘুমাতে আসছি তোমার সাথে।( শরীর থেকে উর্ণাটা সরাতে সরাতে বললো)
অর্ণব: আমি বলছিনা তুমি আমার সামনে আসবে না। তারপরেও কেন আমার কাছে আসো? কেন সারাক্ষণ ঝালাচ্ছ আমায়?
অর্ণি বিছানায় বসতে বসতে
অর্ণি: তুমি হয়তো জানো না বিয়ে মানে কি? বউ এর সব আশা পূরণ করতে হয়।
অর্ণব: আমার স্পর্শ চাও তো আ,,,
(কিছু বলতে না দিয়ে)
অর্ণি: সারাক্ষণ মাথায় খারাপ ভাবনা আসে কেন?
আমি তোমার বিয়ে করা বউ, আমার অধিকার আছে তোমার উপর। এই বিছানায়ও আছে, শুধু শারীরিক সম্পর্কে স্বামীস্ত্রী হওয়া যায় না, এমন হলে অবৈধ মেলামেশা করছে যারা তারাও স্বামীস্ত্রী।
বিয়ে শব্দে শুধু শারীরিক সম্পর্ক লেখা নেই, বিয়ে মানে সামাজিক, পারিবারিক, বলতে গেলে সব কিছুতেই একে ওপরের কথা ,কাজ, ভালো লাগা, সব শেয়ার করা।
অর্ণব: তোমার লেকচার শুনতে বলিনি, আমি ঘুমালাম, বায়
অর্ণি কিছু না বলে অর্ণবের পাশে শুয়ে পরলো।
পা একটা অর্ণবের পায়ের উপর রাখলো।
অর্ণব: হচ্ছেটা কি
অর্ণি: আমি এভাবে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা।
অর্ণব আর কিছু বললো না।

সকালের স্নিগ্ধ বাতাস উপভোগ করছে অর্ণি। ঝিম ধরা বাতাসে অর্ণির দীঘল কালো চুল গুলো উড়ছে। চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। সকালে গোসল করা অর্ণির অভ্যাস বলা যায়।
অর্ণি ছাদে বসে বাহিরের পৃথিবীটা দেখছে আজ মন খুলে।
~মনে প্রেমের হাওয়া লেগেছে আমার,
যে হাওয়াতে নেই কোনো উষ্ণতা,
আছে শুধু কষ্ট , আর অবহেলা।~
অর্ণি এখনো ক্লান্তো, অথচ একটু আগেই গোসল করে আসছে। তারপরেও সে ঘামছে, ভোরের আলো এখনো ফুটেনি , হালকা আভাসে শুধু নিজের শরীরটা দেখা যাচ্ছে তারপরেও কেন ঘামছে সে।
ভালো লাগছে না অর্ণির, অথচ একটু আগেও তার প্রকৃতির মায়ায় ডুবে যেতে ইচ্ছা করছিলো।

সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলো, অর্ণবের বাসায় আসার নামি নেই। কিছুই খায় নি সে সকালে। অর্ণি চিন্তা করছে গেলো কোথায় অর্ণব।
অর্ণি একে একে অর্ণবের সব ফ্রেন্ডসকে ফোন দিলো সবাই বললো অর্ণব ওদের সাথে না,
অর্ণি এবার ণিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না।
চলে যায় জাহানারা বেগম এর রুমে।
জাহানারা বেগম কাপড়ে ফুল তুলতে ভেস্ত। পাশেই নিধী বসা, বাবা রফিকুল খুব সকালেই অফিসে চলে যান,
অর্ণি গিয়ে মায়ের পাশে বসলো।
জাহানারা বেগম অর্ণির দিকে তাকিয়ে আবার নিজের কাজে ভেস্ত হন।
অর্ণি: আম্মু!
জাহানারা: অর্ণবের কথা জিজ্ঞেস করবি তাই না?
অর্ণি: হু, কোথায় গেছেন উনি?
জাহানারা: জানিনারে মা, সকালে কার সাথে যেন ফোনে কথা বলতে বলতে বের হলো। আমি জিজ্ঞাস করলাম।
কিছুই বললো না।
অর্ণি: ও, আম্মু আমায় শিখাবে ফুল তুলা?
জাহানারা: অন্যদিন, এখন গিয়ে ঘুমা! সেই ভোরবেলা উঠেছিলি।
অর্ণি: ঘুম আসবে না আম্মু?
জাহানারা: কষ্ট হচ্ছে তোর তাই না রে?
অর্ণি: আম্মু আমার ভুলকি এতো বড়ই ছিলো যে ক্ষমার যোগ্য না? খুনের আসামীও তো এক সময় ক্ষমা পেয়ে যায়।
তাইলে আমার বেলায় কেন এমন?
জাহানারা: অর্ণব এমনিরে, ওর মনে যা আসে তাই করে সে। কারো কথা শুনে না।
অর্ণি: আচ্ছা আম্মু একটা প্রশ্ন করি?
জাহানারা: হুম কর,
অর্ণি: অর্ণব কি কাওরে ভালোবাসতো?
জাহানারা: শুন মা,
তুই পাখি পুষতে চাস,
কিন্তু পাখি কি আর বন্ধঘরে থাকতে ভালোবাসে? তার মন যে খুলা আকাশের নিচে উড়তে মন চায়।
অর্ণব ঠিক তেমন রে, সেও আকাশের মতো কাওকে ভালোবেসেছিলো। ছেয়েছিলো উড়তে ওই আকাশের নিচে মুক্ত পাখা মেলে সেই চেনা আকাশে।
অর্ণি: আম্মু এভাবে না বলে সব খুলে বলো আমায়।
জাহানারা: অর্ণবের মুখ থেকে শুনে নিবি সব, আমি চাই শুধু অর্ণবকে আগের মতো করে দে, যে অর্ণব সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকতো আজ সে অর্ণব কষ্টের সাগরের মাঝি। পারবিনা তুই অর্ণবকে তোর ভালোবাসা দিয়ে আগের অর্ণব করে দিতে?
অর্ণি: ইনশাআল্লাহ , আম্মু আমি সব দিয়ে চেষ্টা করবো। তুমি শুধু দোয়া করো।
জাহানারা: হুম, আমিও চাই সেটা খুব তাড়াতাড়ি হোক।

অর্ণব আজ অনেকটা দূরে এসেছে।
বসে আছে একটা ৪তলা বিল্ডিং এর ছাদে। একটু পরেই রাহুল রায় আসবে।
অর্ণব কিছুটা রেগেই আছে।
নিজের শত্রুর সাথে আজ দেখা করা তাও একা সব মিলিয়ে ভয় রাগ দুটুই কাজ করছে অর্ণবের মনে।
অপেক্ষার অবসান ঘটলো।
রাহুল রায় এসেছে সাথে একটা মেয়েও।
অর্ণবকে রাতে মেসেজ দিয়ে বলেছিলো রাহুল তার সাথে দেখা করার জন্য।
অর্ণব ভাবছিলো তার প্রাণ পাখির সম্পর্কে হয়তো রাহুল জানে তাই বলেছে দেখা করার জন্য।

ওদের শত্রুতার মূল কারণ ছিলো একটা ছোট্ট ভুল।
যেটা রাহুল আর তার ফ্রেন্ডসরা করেছিলো।
ভুলটা ছোট হলেও অনেক বড় ছিলো অর্ণবদের কাছে।
(সময়টা ২০১৯ এর প্রথম দিকে।
ওরা লাট্রা নদীর পারে বসে ছিলো ৮ জন।
সবাই মিলে বাদাম চিবুচ্ছে আর গল্প করছে।
রাতুল: এই চল একটা অভিনয় করি।
হানিফ: কিসের অভিনয়?
রাতুল: মাতাল হওয়ার , আমি আর রনি মাতাল হওয়ার অভিনয় করবো কুত্তী দুইটা তোরা ভিডিও করবি, সজিব আর দিপু হালকা মাথা নেড়েনেড়ে মাতাল হওয়ার চেষ্টা করবি।
অর্ণব: আমি আর হানিফ কি দর্শক?
রাতুল: না তোরা ড্রাক্স নেওয়ার চেষ্টা করবি আর বাকি গুলো এমনিতেই বুঝে যাবি।

ওরা রাতুলের কথা মতো সব কাজ করে।
মৌ আর ও ভিডিও করছিলো আর হেসে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিলো।
ভিডিও শেষে
ও: তোরা সব কয়টা পাক্কা অভিনেতা হতে পারবি?
অর্ণব: লজ্জা লাগে রে লজ্জা লাগে ইতা মাত হুইন্না লজ্জা লাগে।
সবাই হু হু করে হেসে দেয় অর্ণবের কথা শুনে।
কিন্তু ওরা কেও কি জানতো এই মজাটা ওদের জন্য কাল হিয়ে দাঁড়াবে।

সকালে ওদের ৮ জনের বাসায় পুলিশ যায়।কারণ ওরা ড্রাক্স এর নেশা করে,ওই ভিডিওটা ওদের দেখিয়ে দেখিয়ে গ্রেফতার করেছে একে একে ৮ জনকে।
৮ জনের ফ্যামিলির সব সম্মান শেষ, ফ্যামিলিও ওদের যা তা বলে অপমান করছে।
ওরা বুঝাতে নারাজ এটা অভিনয় ছিলো।
অর্ণব খবর নিয়ে জানতে পারলো এসব রাহুল আর ওর ফ্রেন্ডসরা করেছে।
অর্ণবদের পাশের থানায় রাখা হয়েছে।
অর্ণব: হানিফ কিছু একটা কর?
হানিফ: কি করবো। রাতুল শালা তোর জন্য এমন হয়েছে। আমরা যারা কখনো পান সুপারি মুখে দেইনি। আজ নেশার অপবাদে জেলে আছি।
রাতুল: আগে এখান থেকে বের করা। আব্বুও বকা দিছে অনেক, আর এখন তুই?
হানিফ: হইছে ন্যাকা কান্না করা লাগবে না মেয়েদের মতো?
ও: কালা কুত্তা তুই কি বললি মেয়েরা ন্যাকা কান্না করে?
হানিফ: সরি সরি! এখানে যে দুইটা ঝগড়াটে কুত্তী আছে সেটা আমি দেখিই নি।
ওরা কিছু বলতে যাবে
তার আগেই।
অর্ণব: জেলেও ঝগড়া শুরু করে দিলি?
তোদের ঝগড়া শুনে পুলিশ এখনি ছেড়ে দিবে কচু?
হানিফ: আমি করছি নাকি ঝগড়া।
অর্ণব: তোর আব্বু নইলে দুলাভাইকে ফোন দে?
দুপুরের আগে ছাড়া পেতে চাই, তারপর রাহুলকে বুঝাবো?
হানিফ: আব্বুকে ফোন দেওয়া যাবে না।
আমি দুলাভাইকে ফোন দিচ্ছি?
হানিফ দুলাভাইকে ফোন দেওয়ার পর উনি এসে ওদের সবার রক্ত পরীক্ষা করায়। রক্তে কোনো নেশার চিহ্ন পায় নি।
ওদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এতেই যদি সব শেষ হয়ে যেতো?
তারপর থেকেই অর্ণব আর রাহুল অনেক বড় শত্রু।
রাহুল ক্ষমা চাইলেও ওরা ক্ষমা করেনি। ভুলের মাশুল রাহুলকে গুনিয়েছে ওরা। রাহুলের একটা ছোট্ট বিজনেস ছিলো, যেটা হানিফ নষ্ট করে দিছিলো,সেটা অনলাইনে ছিলো।)

অনেক দিন পর অর্ণব আজ রাহুলকে দেখছে।
কিন্তু সাথে মেয়েটা কে?
উর্ণা দিয়ে মুখটা ডেকে রাখা।
রাহুল ওর সামনে এসে দাঁড়ায়।
রাহুলের সাথের মেয়েটাও উর্ণা দিয়ে ডেকে রাখা মুখটা সরিয়ে নেয়।
অর্ণব মেয়েটার মুখ দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।
শুধু একটা শব্দই বললো।
অর্ণব: তুমিইইই?

চলবে,,,,

( আমার আইডিটা হঠাৎ করে নষ্ট হয়ে গেছিলো। জানি না কে বা কারা আমার পিছনে লেগেছে? আইডির জন্য কান্নাও করেছি, এই আইডিতে অনেক স্মৃতি রয়েছে। বড় বড় আমার প্রিয় লেখক লেখিকারা।
যদি আইডিটা না পেতাম তাহলে গল্পটা অসমাপ্ত থেকে যেতো।)

(গল্পের নাম যেহেতু #ভুলের মাশুল, সেহেতু গল্পে শুধু ভুলি থাকবে, যার মাশুল অনেক বড় দিতে হবে। প্রতিটা চরিত্রের কেও না কেও ভুল করবেই। আপনারা ধৈর্য সহকারে গল্পের সাথেই থাকেন।
গল্পটা পড়ে দু লাইনে কিছু কমেন্ট করেও আপনারা আমায় উৎসাহ দিতে পারেন। এতে আমারো ভালো কিছু লিখতে পারবো।
গল্পের ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?)

ভালো থাকবেন।
ঘরেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here