ভুলের মাশুল পর্ব: ১১

0
1234

গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ১১
লেখক: হানিফ আহমেদ

অর্ণব: তুমিইই,
রাহুলের সাথে তুমি?
রাহুল: আমরা বিয়ে করেছি ৬ মাস হলো।
অর্ণব: কিইহ? অদ্বিতীয়া কি বলছে রাহুল এসব?
অদ্বিতীয়া: হুম সত্যিই আমরা ৬ মাস আগে বিয়ে করেছি। একটা ভুলের জন্য আজ আমাদের ফ্যামিলি মেনে নিচ্ছে না।
অর্ণব: সত্যি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তোমাদের বিয়ের কথা, রাহুলের বড় ভাই আর অদ্বিতীয়া তোমার আব্বু দুজন একে ওপরের বড় শত্রু, আর তোমরাই কিনা একে ওপরকে বিয়ে করেছো?
রাহুল: ভাই প্রেম কি আর হিংসা ঝগড়া এসব মানে।
~সিংহের থাবায় নিজের প্রাণ যাবে ভেবেও কিন্তু হরিণ নিজের আহার খুঁজতে সিংহের শহরে যায়। ভয়টা কাজ করলেও, তখন তার একটাই চিন্তা নিজের চাহিদা মিটানো।~
আমি আর অদ্বিতীয়া এমন অবস্থাতে আছিরে।
অর্ণব: হুম, ফ্যামিলি মানছে না কেন?
রাহুল: এক তো আমার আর ওর ফ্যামিলির সমস্যা, আমরা ব্রাহ্মণ আর অদ্বিতীয়া নমুশুধ, কিন্তু একসময় আমার আব্বু আর অদ্বিতীয়ার আব্বু ভালো ফ্রেন্ড ছিলেন। কিন্তু অদ্বিতীয়ার ভাইর অহংকারে সব শেষ।
অর্ণব: এসব আমার অজানা না। ভুলটা কি সেটা বল?
রাহুল: অদ্বিতীয়া আজ ৮ মাসের প্রেগন্যান্ট।
অর্ণব: কিহ? বিয়ে করেছিস ছয় মাস, শালা বিয়ের আগে এমন কাজ করলি কেমনে।
অদ্বিতীয়া: অর্ণব আগে সব শুনো ত?
অর্ণব: হুম বল?
রাহুল: জানোস ত তুই হিন্দুদের একটাই সমস্যা। জাত নিয়ে ওদের মাথা ব্যথা। আব্বুর একটা কথাই, অদ্বিতীয়া এ বাড়ির বউ হওয়ার যুগ্য না, ওদের জাত কম। তাই আমি বাধ্য হয়ে মিথ্যে বলছি যে অদ্বিতীয়া প্রেগন্যান্ট সেটা বিয়ের প্রথম দিনি বলছিলাম। সেই একটা মিথ্যা কথাই কাল সাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ছয় মাস ধরে লুকিয়ে আছি দুজন। ওর ভাই পেলে আমায় জানে মারবে বলছে। আব্বুও আমায় সামনে পাইলে মারবে।
অর্ণব: তোদের ধর্মতে এই একটাই সমস্যা।

(বর্তমানে মুসলিম ধর্মেও এমন প্রথা চালু হয়েছে।
হুম ঠিক আছে এটা ইসলামেও আছে যে যদি মেয়ে বড় ফ্যামিলির হয় আর স্বামী ছোট ফ্যামিলির হয়, তাহলে এমন বিয়ের দরকার নাই। এতে সংসারী জীবন অসুখী হয়। কিন্তু যদি উভয়ে মেনে নিতে পারে একে ওপরকে তাহলে বিয়ে করা জায়েজ ।
তুমি পুরুষ যদি ধনী মেয়ে বিয়ে করে তার সব আবদার মিটাতে না পারো তাহলে এমন বিয়ে করা তোমার জন্য ঠিক না। তাই তুমি তোমার নিজের সমান কাওরে খুঁজো। এতেই লাভমান হবে।
[যারা ফিকাহ বই পড়েন তার এই উপরের কথা গুলো বুঝবেন]
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কোরআন এর সুরা বাকারাতে আছে
তুমি বিধর্মী নারী পুরুষকে বিয়ে করবে না। এরা তোমাদের জাহান্নম এর দিকে নিয়ে যাবে।
এর চেয়ে ভালো তোমরা মুসলিম দাস দাসীকে বিয়ে করো। এরা জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে।
[আয়াতের প্রতিটা শব্দের অর্থ আমি লিখিনি। শুধু বোঝানুর জন্য বলেছি]

বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে যাদের জাত কম তারা অনেক অত্যাচারী তো।

{কোনো ধর্মকে আমি ছোট করিনি। শুধু বাস্তবে যা দেখে আসছি তাই বললাম})

রাহুল: এখন কি করবো, ফ্যামিলিতে আর কখনো যাওয়ার সাহস আমাদের নাই।
অর্ণব: তোকে আমি বিশ্বাস করি কিভাবে? তুই আমার সাথে যে অপরাধ করেছিস
রাহুল: আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। কম শাস্তি দিলি না তো আমায়। আমার কাজটাও তোরা নষ্ট করে দিলি।
অর্ণব: ভালো করেছি। আমায় ডেকেছিস কেন?
রাহুল: সাহায্য কর আমায়?
অদ্বিতীয়া: অর্ণব আমার দিকে চেয়ে ওরে ক্ষমা করে দেউ? সব ভুলে যাও।
(অদ্বিতীয়া হলো অর্ণবের বাবার বন্ধুর মেয়ে)
অর্ণব: আচ্ছা, রাহুল আমি যা করবো তোরা কি তাতে রাজি থাকবি?
রাহুল: হুম রাজি থাকবো। তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে।
অর্ণব: অদ্বিতীয়া তুমি?
অদ্বিতীয়া: আমিও রাজি থাকবো।

অর্ণব একটু দূরে গিয়ে হানিফকে ফোন দেয়।
হানিফ: তুই কোথায় আছিস?, অর্ণি এই নিয়ে ৪ বার কল দিছে।
অর্ণব: আমি যা বলি তা শুন?, ,,,,,, এই জায়গায় চলে আয়?
হানিফ: কেন?
অর্ণব: আয় আগে তারপর সব দেখবি?
হানিফ: হুম।

অর্ণব: রাহুল অদ্বিতীয়া চলো কিছু খাবার খাই আমরা?
রাহুল: আমি খাবো না, ইচ্ছে করছে না।
অদ্বি তুমি খাবে?
অদ্বিতীয়া: না , শুধু কপি খাবো।
অর্ণব: আচ্ছা চলো।

ওরা নিচের তলায় যায় সেখানে একটা চায়নিজ রেস্টুরেন্ট আছে।
অর্ণব নিজের জন্য কিছু খাবার অর্ডার করে , আর ওদের জন্য কপি আর কেক অর্ডার দেয়।
রাহুল: সকালে কিছু খাস নি তাই না?
অর্ণব: হুম ,তোর মেসেজ পেয়ে
ভাবছিলাম তুই ওর খবর জানিস, তাই সকালেই চলে আসছিলাম।
রাহুল: ও মানে কে?
অর্ণব: সব জানতে পারবি।
শু,,
হানিফ চলে আসে ওদের কথার মধ্যেই।
হানিফ রাহুলকে দেখে
হানিফ: অর্ণব এ এখানে কি করছে তোর সাথে আর অদ্বিতীয়া ওর সাথে কেন। (রেগেই বললো)
অর্ণব: রাগিস না তো তুই, শুন আমি সব বলছি তোকে।
অর্ণবকে রাহুল যা বলছে সব অর্ণব এখন হানিফকে বললো।
হানিফ সব শুনে
হানিফ: এখন কি করবি?
অর্ণব: চল আমার সাথে
রাহুল অদ্বিতীয়া গাড়িতে বসো?
রাহুল: হুম
ওরা গাড়ি চরে রওনা হলো ওদের গন্তব্যে।

গাড়িটা রাহুলের বাড়ির সামনে থামলো।
রাহুল ভয় পেয়ে
রাহুল: অর্ণব আমায় মাইর খাওয়াতে আনলি নাকি?
অর্ণব: আমার উপর বিশ্বাস আছে তো?
রাহুল: হুম
অর্ণব: তাহলে গাড়ি থেকে নাম তোরা?
গাড়ি থেকে নামার পর।
অর্ণব: হানিফ তুই যা অদ্বিতীয়ার বাসায়, গিয়ে ওর ভাইকে নিয়ে আয় এখানে?
হানিফ: হুম।
অর্ণব: আমি যাচ্ছি রাহুলের বাবাকে আনতে।
তোমরা এখানেই দাঁড়াও?

(রাহুল আর অদ্বিতীয়া দের বাসা পাঁচ মিনিটের দূরত্ব)

অর্ণব আর হানিফ ওদের দুজনকে এক জায়গায় দাড় করায়।
দুটু বাঘ আজ একে ওপরের সামনা সামনি হয়েছে।
দুটু বাঘ সামনা সামনি হলে নাকি রক্তপাত হয়।
এখানেও কি তা হবে।

অদ্বিতীয়ার ভাই শচিন সে রাহুলকে দেখেই রাগে ফুঁসতে থাকে।
শচিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই
অর্ণব বললো।
অর্ণব: তোমাদের কথা বলতে বললে কথা বলবা, এর আগে না।
ওরা অর্ণবের ধমক শুনে চুপ হয়ে যায়।
অর্ণব হানিফের কানেকানে কি যেন বললো।
হানিফ প্রশ্নাদৃষ্টিতে তাকালে, অর্ণব বললো যা বলছি তা কর।
হানিফ চলে যায় অর্ণবের কথা মতো কাজ করতে।

অর্ণব: রাহুল যা তুই অদ্বিতীয়া কে নিয়ে গিয়ে তোর আব্বুকে প্রণাম কর?
অর্ণবের কথা মতো ওরা গেলে,
অভির্ণব পা সরিয়ে নেয়,
আর চেঁচিয়ে বলে।
অভির্ণব: নিচু জাতের মেয়েকে কখনো আমার ছেলের বউ হিসেবে মানবো না।
শচিন: তুই মানবি কি, আমিই তোর ছেলেকে আমার বোনের স্বামী মানবো না। প্রয়োজন হলে আমার বোনকে জানে মেরে ফেলবো।
তারপরেও তোর ছেলের সাথে আমার বোনের সম্পর্ক থাকতে দেবো না।
অর্ণব: বাহ! বাহ! খুব সুন্দর করে দুজন কথা বললে, একজন বাপের সমান লোককে তুই করে বলছে। আরেকজন জাত নিয়ে পরে আছে। বাহ! বাহ!
শচিন: আমাদের মধ্যে তুমি না আসলেই ভালো?
অর্ণব: এসেই যখন পরেছি তাহলে সমাধানটাও আমি করে দেই।
অভির্নব: কি সমাধান করবে। আমি কখনো ওদের সম্পর্ক মানবো না।
অর্ণব: এটাই কি তোমাদের শেষ কথা?
ওরা: হুম।
অর্ণব: রাহুল তুই কিছু বলবি তোর অহংকারী বাবাকে, অদ্বিতীয়া তুমিও কি কিছু বলবে তোমার মনুষ্যত্বহীন ভাইকে।
রাহুল& অদ্বিতীয়া: আমাদের কিছুই বলার নাই।
অর্ণব: তোমরা কি চাও মিস্টার অভির্ণব আর শচিন?
শচিন: আমি চাই ডিভোর্স।
অভির্ণব: আমিও চাই।
অর্ণব: রাহুল তোমরা কি ডিবোর্স দিতে রাজি?
রাহুল: এই দেহে প্রাণ থাকতেও আমরা আলাদা হবো না। হাত ধরেছি ভালোবেসে, মৃত্যুও যেন হয় ভালোবেসে।
অর্ণব: অদ্বিতীয়া তুমি পারবে কি ডিবোর্স দিতে?
অদ্বিতীয়া: কখনো না।
অর্ণব: শুনলে তো তোমরা?
অভির্ণব: রাহুল তুই আজ থেকে আমার কাছে মৃত, হয়তো ওই মেয়েকে ছেড়ে আসবি নয়তো আর কখনো আমায় বাবা বলে ডাকবি না।
রাহুল: যার কাছে শুধু টাকা আর জাত আসল, তার কথা রেখে আমি করবো কি? আর আমি অদ্বিতীয়া কে ছাড়া বাঁচবো না।
অভির্ণব: তাহলে যা রাহুল নামে আমার কোনো সন্তানি ছিলো না।
রাহুল: বাহ! টাকায় অন্ধ হয়ে গেছো।
শচিনও সেইম কথা বললো অদ্বিতীয়াকে।
এর মধ্যে হানিফ এক ইমাম কে নিয়ে আসে।

ওরা ইমাম কে দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়।
অর্ণব: রাহুল অদ্বিতীয়া যা বলবো তাই করবা এখন?
রাহুল& অদ্বিতীয়া: হুম করবো।
অভির্ণব: কি করতে চাইছো তুমি?
অর্ণব: ওদেরকে মুসলিম বানাবো।
অভির্ণব&শচিন: কিহহহ?
অর্ণব: হুম ওরা আজ থেকে আর হিন্দু থাকবেনা।
যে ধর্মে ওদের বিয়ে মেনে নিচ্ছে না শুধু জাতের অহংকারে, সেখানে ওরা বেমানান। তাই এটাই করবো।
অভির্ণব: রাহুল তুই কি অর্ণবের কথাই শুনবি, শুধু একটা কম জাতের মেয়ের জন্য আমাদের সাথে এমন করবি?
রাহুল: তুমি যদি নিজের টাকা আর জাতকে মূল্য দিতে পারো। তাহলে আমরাও এই ধর্ম চাইনা। আমরা দুজনি মুসলিম হবো আর তোমার সামনেই হবো।
শচিন: হাহাহাহাহা, ইসলামে কি এমন হয় না?
অর্ণব: ইসলাম নিয়ে একটা কথা বলবি তো ভুলে যাবো তোর সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো আমাদের?
শচিন আর কিছুই বলেনি, ওরা জানে অর্ণব সম্পর্কে।
(অর্ণব কি কাজ করে সেটা এখনো কেও জানে না। অর্ণব তার ২২ বছর বয়স থেকে মা বাবার কাছ থেকে কোনো টাকাই নেয় না। আজ তার ২৭ বছর)
অর্ণবকে সবাই ভয় পায়।
অর্ণব: রাহুল আর অদ্বিতীয়া তোমরা আমার কথায় রাজি তো? আমি জোর করছি না? ইসলাম জোর করতে শিখায় নি?
ওরা: আমরা নিজ ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবো।
অর্ণব: আলহামদুলিল্লাহ,
ইমাম ওদের মুসলিম করো।
ইমাম: জ্বি।
তারপর ওদের সবার সামনেই রাহুল আর অদ্বিতীয়া কে মুসলিম করা হলো।
রাহুল এর নাম রিয়াদ ইসলাম দেওয়া হলো। আর অদ্বিতীয়া এর নাম অনু মনি দিলো।
অভির্ণব: আজ থেকে তুই ত্যজ্য পুত্র। আর কখনো আমাদের সামনে আসবি না।
শচিন: তুই আজ থেকে আমাদের কাছে মৃত।
শচিন& অভির্ণব: অর্ণব তুমি এদের মুসলিম করে যে ভুল কাজটা করেছো, তার ফল তোমায় ভোগ করতেই হবে।
অর্ণব: লাগতে এসো না আমার সাথে।
এই অর্থের পাচুর্জ তোমার মাটির সাথে মিশে যাবে।

অর্ণব এই বলে ওদের নিয়ে চলে আসে গাড়িতে।
অর্ণব: রিয়াদ আর অনু বলেই তোমাদের ডাকবো।
ওরা: হুম।
অর্ণব: এই নে গাড়িরর চাবি আর এইটা আমাদের আরেকটা ফ্লাট এর চাবি। যতোদিন না তুই প্রতিষ্ঠিত হবি ততোদিন ওই বাসায় থাকবি। আর আব্বুর অফিসে তুই কাজ করবি, অনু পারবে না তুমি একা বাসায় থাকতে?
অনু: হুম পারবো।
রিয়াদ: আমাদের জন্য এতো কিছু করলি।
আব্বু আর অর্ণির ভাইয়া যদি তোদের কোনো ক্ষতি করে?
অর্ণব: কিছুই পারবে না করতে।
হানিফ তুই ওদের ইসলামী কিছু বই কিনে দে, আর একজন ইমাম রেখে দিবি ওদের জন্য, ইসলাম সম্পর্কে সব জানতে হবে ওদের, আর তোরা কাল থেকে নামাজ পড়বি, হানিফ তোদের সব শিখিয়ে দিবে।
ওরা: হুম।

অর্ণব বাসায় চলে আসে।
জাহানারা বেগম জিজ্ঞাস করলে সব বললো ওদের, অর্ণি এসব শুনে যেন আবার নতুন করে অর্ণবের প্রেমে পরে।

অর্ণব আর অর্ণির বিয়ের ১মাস হলো।
অর্ণব অর্ণির প্রেমে পরেছে ঠিকি কিন্তু নিজেকে সামলিয়ে রাখে।
অর্ণি অর্ণবের পিছু ছারে নি।
অর্ণি হয়তো সফল হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ওদের জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে তা কি ওদের অজানা।

আজ রাফি জেল থেকে ছাড়া পেলো।
দু মাসের জেল হলেও রাফি তা কমিয়ে এনেছে।
অর্ণব মন মরা হয়ে রাস্তায় হাটছিলো।
সে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে।
তাই রাস্তার পাশে এপাশ ওপাশ করে হাটছে।
হঠাৎ করে,

চলবে,,,,,,,

(গল্পে আমি কোনো ধর্মকে ছোট করিনি।
গল্পের ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনাদের দুই লাইন গঠনমূলক কমেন্টে আমার লেখায় উৎসাহ আসে।
গল্পের সাথেই থাকবেন।)

ভালো থাকবেন।
ঘরেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here