ফেইরিটেল পর্ব-২০

0
1312

#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Par–20

সূর্যের রোদে তখন ঘর আলোময়। এমনই এক শুভ্র রোদে কাউকে এতোখানি মিষ্টি দেখতে লাগবে তা ইমান কল্পনাও করতে পারেনি৷ সে অপলক নয়নে চেয়ে আছে সামনের দিকে৷

কিছুক্ষণ আগে পিচ্চি মেয়েটার কথায় সে হতভম্ব হয়েছিল। আপাতত সে বিছানায় বসে পড়েছে। হাতে এখনো সিগারেট জ্বলছে, তবে সুখটান দেওয়া হয়নি। ” আজকের পর রুমে যেন সিগারেট খেতে না দেখি” কথাটা লোহার আঘাতের ন্যায় বাজছে তার কানে। মিরা তাকে থ্রেট দিলো? সিগারেটের ছাই গলে গলে মেঝেতে পরছে তার সেদিকে খেয়াল নেই। সে চোরাচোখ দিয়ে আয়নায় তাকালো৷ মিরার চোখে কাজল দেওয়া শেষ। সে আপাতত লিপস্টিক পরছে। লিপস্টিপ পরা শেষ হতেই আয়নার মধ্য দিয়েই তাদের চোখাচোখি হয়ে গেল। এতে বিব্রতবোধ করে ইমান। সে মাথা চুলকানোর ভঙ্গিমা করতে লাগলো। এতে মিরার ঠোঁটে সুক্ষ্ম হাসির রেখা ফুটে উঠে। যেন সে ইমানের চুরি ধরে নিয়েছে। ইমান ইশারায় ইশারায় জিজ্ঞাসা করে, সমস্যা কী, হাসছো কেন?

মিরা উত্তর দিল না। সে কানের দুল পরায় ব্যস্ত হয়ে গেল৷ তবে ইমান খেয়াল করে, মিরার পিঠের দিকটা ভিজে গেছে চুলের পানিতে। ঠিকঠাক ভাবে চুল মুছেনি জন্য পানি চুইয়ে পড়ছে৷ সে মনে মনে ভাবলো, যে মেয়ে সামান্য চুল ঠিকমতো মুছতে জানে না, সে তাকে শাসানি দিচ্ছে!

এতে সে যেন মনে মনে বিষ্ফোরিত হলো। এবং সঙ্গে সঙ্গে ইচ্ছা করেই মিরাকে দেখিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরালো৷ মিরা দেখেও কিছু না বলে, অন্য কানে দুল পরতে লাগে। ইমান বুঝতে পারছে না, মিরা কেন এতো সাজ-গোছ করছে৷ তাকে আকর্ষণ করতে চাইছে? আকর্ষণ করে লাভ কী?ইলেকশন শেষ, এখন চা-বিস্কুট খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই৷

সে নানান চিন্তা মাথায় রেখে যেই সিগারেট ধরাবে ওমনি মিরা পিঠ বেয়ে লেপ্টে থাকা চুলগুলো সামনের দিকে এনে কাঁধের উপর রাখলো। এতে তার পিঠ যেন উম্মুক্ত হলো৷ ইমান লক্ষ করে মিরা তার ব্লাউজের উপরিংশের ফিতা লাগায়নি৷ সে না চাইতেও বারবার সেদিকে তাকাচ্ছে। ফর্সার পিঠের বা’পাশে ছোট্ট তিলও আছে। মেয়েটার সব জায়গায় তিল আছে মনে হচ্ছে! তার নাম আজ থেকে তিলবতী এরপর নিজেই শুধলো, তিলোত্তমা!

সিগারেটে এবারো টান দেওয়া হলো না বিধায় সিগারেট আগুনের তাপে গলে ছাই হয় ফ্লোরে পরতে থাকে৷ ইমান উঠে দাড়ালো এবং বলল, ” ব্লাউজ পরতে না জানলে পরবে না। সিম্পেল! অর্ধেক পরে থেকে ব্লাউজের অপমান না করলেও পারো৷”

মিরা উৎসুক জনতার ন্যায় একবার ঘার ঘুরিয়ে তার পানে তাকালো। সে সম্ভবত ইমানের পিঞ্চ আর বলার ধরনে কিছুই বুঝেনি।

সে ঠোঁটে বাকা হাসি ঝুলিয়ে ইশারায় দেখালো। এতেও মিরা বুঝল না৷ অতঃপর সে বলে উঠে, “মুখ শুধু খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়না। কথা বলার জন্য ও মুখ কাজে লাগাতে হয়৷”

ইমান নির্বিকারভাবে বলে উঠে, “চোখের কাজও শুরু জল ফেলা না বরং চোখ দিয়ে আশপাশে, নিজের পিছনের খোলা অংশও দেখতে হয়৷”

এবারে মিরার টনক নড়ে। সে হাতড়ে নিজের পিঠে হাত নিয়ে গেলে বুঝতে পারল, ফিতা খুলে গেছে। বাথরুম থেকে লাগিয়েই এসেছিল সে। সম্ভবত চুল মুছতে গিয়ে খুলে গেছে আর সে টের পায়নি৷

সে হন্তদন্ত ও ব্যতিব্যস্ত হয়ে দু’হাত দিয়ে ফিতা লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেই যাচ্ছে৷ কিন্তু অতিরিক্ত চেষ্টা কেন যেন বিফলে যাচ্ছে বারবার। তবুও সে ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না।আবার ট্রাই করছে। তাকে ফিতার সঙ্গে যুদ্ধ করতে দেখে ইমান অপমানসূচক হাসি হাসল। এতে মিরার রাগ হলো।
সে আরেকদফা ট্রাই করল, কিন্তু কাজ হলোনা। অগত্যা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেই দেখল, ইমান তার দিকেই হেঁটে আসছে। মিরা থমকে গেল। সে একেবার মিরার পেছনে এসে দাঁড়ালো৷ এবং নিজের ডান হাত বাড়িয়ে দিল। মিরা ভাবিওনি কালকে তার সঙ্গে এতো রুড বিহেইভ করেও ইমান তাকে হেল্প করবে! সে সামান্য লজ্জাও পাচ্ছে। ইমান আরো কিছুটা হাত বাড়ালো। মিরা কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়। তার শ্বাস ঘণ হচ্ছে। সে পিটপিট করে তাকাচ্ছে। তাকে অবাক করে গিয়ে ইমান সামনে থাকা সকেটটা ডান হাত দিয়ে অন করে, বাম হাত দিয়ে নিজের ফোন চার্জে লাগিয়ে দিল। এবারে মিরা প্রচুর খেপে যায়। সে ঠিক করে নিল, লাস্ট ট্রাই করবে, তাও বাঁধতে না পারলে, শাড়ি চেঞ্জ করে কামিজ পরবে৷ শেষবার চেষ্টাও বিফলে গেলে,সে চোখ-মুখ থমথমে করে আলমারি থেকে একটা কামিজ বের করে৷

এরুমের ড্রেসিংটেবিলের পাশেই বাথরুম। তাই বাথরুম যেতে হলে ইমানকে পাশ কাটিয়ে যেতে হবে। সে হেঁটে এগিয়ে এসে, তাকে পাশ কাটিয়ে বাথরুমে ঢুকতে গেলে, আচমকা নিজের আঁচলে টান অনুভব করে সে। মুহুর্তে তার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে আঁচল শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে ঘার ঘুরালো। এবং কটমট করে ইমানের দিকে তাকিয়ে বলে, ” কারো আঁচল ধরে টান দেওয়া খুবই বিশ্রি কাজ।”

ইমান দু’কদম সামনে এসে তার কা্ধ ধরে, তাকে ওমুখো করে, নিজ হাত পিঠে পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দেয়। মিরা ততোক্ষণে জমে যাচ্ছে যেন। ডুবন্ত অনুভূতিগুচ্ছ যেন ভেসে উঠতে চাইছে। ইমানের হাতের স্পর্শে সে কম্পিত হচ্ছে অন্তর থেকে। শুকনো ঢোক গিলে কয়েকবার।

ইমান খুব শক্ত করে তার ফিতা লাগিয়ে দিল৷ দু’জনেই চুপ ছিল। ফিতা লাগিয়ে দিয়েই ইমান তার বুকে হাত দিয়ে ফোঁস করে একটা দম ফেলে।

আচমকা মিরা নড়েচড়ে উঠে বলে, “আমি বাইরে যাচ্ছি৷ আপনি আপনার সিগারেটের ছাই পরিষ্কার করে বের হবেন রুম থেকে। রুম নোংরা করা আমার একদম পছন্দ না৷ ”

–“, আদেশ দিলে?”

–” জি জনাব৷”

ইমান কি যেন ভেবে তার ফিতায় পুনরায় টান দিল। কিন্তু শক্ত করে বাঁধার কারণে তা টান লাগার পরেও খুললো না, বরঙ গিট বেঁধে গেল৷

মিরা হেসে ফেলে বলে,! অতি চালাকের গলায় দঁড়ি৷!

ইমান চোখ ছোট করে তার দিকে তাকালো। মিরা সরে এসে বলে, “পারলে বিছানা গুছিয়ে নাস্তা খেতে আসবেন৷”

ইমা হতভম্ব হয়ে গেল এবং বলে উঠে, “আমি কী রাতে বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম যে আমি গুছাব?”

মিরা যেতে যেতে বলে উঠে,” আপনি ঘুমাননি তো কী হয়েছে? আপনার বউ ঘুমিয়েছে না? এজন্য আপনি বিছানা গুছাবেন৷”

দ্বিতীয় দফায় ইমান হতভম্ব হয়ে হ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে থাকলো। বাকহারা সে।

______________

জুই জগিং শেষ করে মাত্র বাসায় ফিরলো। রাস্তায় মিস ডায়ানার সাথে দেখা হলো। মিস ডায়ানা তাক্ব দেখেই প্রশ্ন করে, “কী ব্যাপার! কোন কারণে তুমি খুশি?

জুই উত্তর দিতে পারলো না। তবে শুধু মাথা ঝাকালো যার অর্থ সে খুশি৷ বাসায় এসে জাস্ট প্রোটিন শেইক পান করছিলো, ওমন সময় মিষ্টার পিটার নাইট ক্লোথ পরেই কিটচেনে আসলেন৷ জুই তখন গুনগুন করে গান গাচ্ছিল। অনেকদিন পর মেয়েকে এতো খুশি দেখে পিটারের মন ভালো হয়ে যায়। সে এসে জুইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠে, বাহ আজকে তোমাকে বেশ হ্যাপি লাগছে৷ কারণ কী?

বাবার মুখেও সেইম প্রশ্ন শুনে এবারে সে চিন্তিত হলো। আচ্ছা তার চেহারায় কী লেখা আছে যে সে আজ অনেক খুশি? লেখা না থাকলে অন্যরা কীভাবে বুঝে যাচ্ছে৷ এবারে সে বাবাকে সরাসরি প্রশ্ন করে, এই এই তুমি কীভাবে জানলে আমি হ্যাপি?

পিটার রসহ্যময় হাসি হেসে বলে, ” কালকে ইমান কনফার্ম করেছে যে সে খুব দ্রুত ফিরছে। এইজন্য বুঝে গেছি৷”

জুই কিঞ্চিৎ লজ্জা পেল। বাবার সামনে ইমানকে নিয়ে কথা উঠলেই তার ভীষণ লজ্জা লাগে৷ সে চোখ-মুখ লাল করে বলে, ” কালকে ওকে কল দিয়েছিলাম।”

— “তারপর?”

— “অনেকক্ষণ কথা বলেছি আমরা৷ মানে এই প্রথম ও আমার সঙ্গে এতো লং টাইম কনভারসেশন চালিয়েছে। নাহলে অন্য সময় হলে, ওকে রাখছি৷ পরে কথা বলি বলেই কেটে দেয়৷ কাল আমরা পাক্কা চুয়াল্লিশ মিনিট কথা বলেছি৷”

পিটার গম্ভীরভাবে কিছু চিন্তা করে বলে,” প্রিন্সেস, আমার মনে হয়, দূরে গিয়ে ও তোমাকে মিস করছে৷ কাছে থাকলে তো কদর কম করি আমরা। তোমরা দূরে আছো জন্য সে ফিল করছে কিছু একটা। এজন্য এতোক্ষণ কথা বলেছে৷”

জুই হাল্কা হাসে। এবং মনে মনে ভাবে, কই এই থিউরি তার বেলায় খাটে না। সে তো সবসময়ই মিষ্টার খানকে মিস করে৷ পাশাপাশি বসে প্রজেক্ট একসঙ্গে সামলালেও লাঞ্চ আওয়ারে মিস করে! আর এখন তো তার জন্য জন্ম-জন্মান্তর অপেক্ষা করতে মন চায়। কবে আসবে ও?

পিটার বলে উঠে, “আই থিংক, এবার তোমার ওকে প্রোপোজ করে ফেলা উচিত। ও যে হারে লাজুক প্রকৃতির। তোমাকে প্রোপোজ ও করবে না৷”

— আমি ওর জন্য নারকেল পুলি পিঠা রান্না করা শিখছি। এবার আসলে সারপ্রাইজ দিব৷

— পুলি কী জিনিস? আর পিঠা কী?

–” বাংলাদেশি একটা ডেজার্ট পাপা৷ ওয়ান টাইপ অফ স্ট্রীম কোকোনাট এন্ড ফ্লোউর (Flour) দারুণ মজা খেতে ওদিকে শীতকালে খায় এই কেকটা। । ইমানের নাকী অনেক পছন্দের। বারবার বলে।”

পিটার অভিমান করে বলে, ইমানের জন্য আজগুবি সব রেসিপি বানাও। অথচ বুড়া বাপকে কিছু বানিয়ে খাওয়ায় না৷

জুই তার বাবার কপালে চুমু দিয়ে বলে, ওহো পাপা, কুকিজ বানাবো?

— লোভ দিও না, দুষ্টু মেয়ে৷

জুই খিলখিল করে হাসতে থাকে৷ পিটার তার মেয়ের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরের কাছে এই মেয়েটার সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করে।

__________________

ইমানকে নাস্তা করতে বসানো হয়েছে। মিরা অবশ্য বসেনি। তার ফোলা চোখের জন্য বারবার সবার প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সে এটা-ওটা বলে কাটিয়ে দিচ্ছে। এই মুহূর্তে তার করনীয় কী সে বুঝে উঠতে পারছে না৷

সোনালী আপু আর সায়েমা আপু খেতে বসেছে। তাদের খাবার সার্ভ করে দিল মিরা৷ অথচ ইমানের প্লেট খালি৷ সে ইচ্ছা করেই ইমানকে খাবার তুলে দেয়নি৷

সায়েমা আপু বলল,” নতুন জামাইয়ের প্লেট খালি কেন? এই মিরু, এক্ষুনি ইমানের প্লেটে পরোটা দে৷”

মিরার হাতে পরোটার প্লেট ছিল। সে প্লেট সরিয়ে রেখে বলে, “পরোটা তো শেষ। নতুন করে ভাজতে হবে৷”

— “সেকি রে! তুই নতুন জামাইকে আগে না দিয়ে আমাদের কেন আগে দিলি? ও খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকবে এখন?”

মিরা রান্নাঘরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বলে, ” আমিও তো নতুন বউ৷ অথচ দেখো, আমি এখনো খেতেই বসিনি। আমি যদি এখনো খেতে না বসে থাকতে পারি, উনিও পারবেন পরোটা ভাজা অব্দি অপেক্ষা করতে।”

সে ডাইনিংরুম থেকে চলে যায়। সোনালী আপু তার এমন কাটকাট জবাবে চিন্তিত হয়৷ ঝগড়া হলো নাকী আবার। সে গিলতে পারছে না খাবার। বিধায় পানি চাইলো। পানির গ্লাস ইমানের পাশে। সে গ্লাস পানির দিকে এগিয়ে দিল।

সোনালী গ্লাস নিতে গিয়ে দেখল, ইমানের হাতের তালু লাল হয়ে আছে। নিজে বিবাহিত হওয়ায় সে বুঝে যায় এটা কীসের দাগ! মুচকি হাসল সে। অযথাই চিন্তা করেছে। এরা দিব্যি সুখে আছে৷

নাস্তা শেষ করে মিরা সবে বসেছে৷ ইমান অবশ্য ওদিকেই বসেছে। তাদের মধ্যে আর কথা হয়নি। কালকে রাতের প্রতিটা ঘটনা দু’জনই চেপে যাচ্ছে৷

আচানক সোনালী আপু আর দাদী আসলো। দাদী বলে উঠে, “বুবু বালাখানা ঠিক মতো রেখেছিস?”

মিরা ঘাবড়ে গেল। মনে আসছে না কই খুলে রেখেছে সে সোনার বালা দুটো৷কাল দাদী বিয়ের সময় পরিয়ে বলেছিল, যত্নে রাখতে!

বালা কই আছে সেটা ভুলে যাওয়ায় সে খানিকটা অপমানিত বোধ করে৷ কথাটা সোনালী আপুকে জানাতেই সে ভীতগ্রস্ত হয়ে বলে, “রুমে চল। একসঙ্গে খুজে বের করি৷”

দুজনে মিলে ইমানের রুমে গেল। রুমে ঢুকেই সোনালী আপু ভিমড়ি খেল৷ বিছানার অবস্থা করুণ। চাদরের ঠিক নাই। বালিশ নিচে পরে আছে। এবং সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয় হলো, মিরার অতিগোপনীয় পোশাক বিছানায় ফেলে রাখা হয়েছে।

তা দৃশ্যমান হতেই মিরা প্রচুর লজ্জা পায়। সে নিজেও অবাক। রুমের অবস্থা মোটেও এমন ছিল না৷ নিশ্চয়ই বিছানা গোছাতে বলায় ইমান এমন ঘর এলোমেলো করে গেছে। ঘর দেখে মনে হচ্ছে ঘরে ঝড় বয়ে গেছে৷ সে মনে মনে ইমানকে গালি দিতে থাকে৷ তাকে বাগে আনতে এমন করেছে৷

সোনালী আপু চোখে হাত দিয়ে কিছু না দেখার ভান করে বলে, ” তোদের আরেকটু বড় হওয়ার পর বিয়ে দিতে হত৷ কিছুই তো সামলাতে জানিস না। আমার ভাইয়াটাকে কামড়ে কামড়ে শেষ করে দিলি তুই। এতো চাপ দিস না মিরা। বেচারা লোড নিতে পারবে না৷ ”

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here