ফেইরিটেল পর্ব-১৯

0
1202

#ফেইরিটেল
#Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
Part–19

দীর্ঘ রজনী। গম্ভীর, নির্জন রাত। মেঘেরা ক্লান্ত হয়ে যেন ঘুমুচ্ছে। বৃষ্টির পরের হীম শীতল ও ঠাণ্ডা পরিবেশ বিদ্যমান। ইট-পাথরের রাস্তাগুলো, বিল্ডিং ও ল্যাম্পপোস্ট ও যেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছে। মনে হয় না এই আরামদায়ক রাতে কেউ জেগে থাকবে। সবাই পাতলা কাথা মুড়ি দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। তবে শান্ত,ক্লান্ত এই প্রকৃতির মাঝে শ্রেফ মিরা-ই বুঝি অশান্ত, অস্থিরচিত্তে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা ভর্তি প্রশ্ন ও দ্বিধা তার কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কাউকে পাচ্ছে না। কে তার সকল প্রশ্নের উত্তর দিবে? ইমানের বলা প্রতিটা কথা তার কাছে অবিশ্বাস্য ও অসম্ভব কেচ্ছা-গল্প বলে মনে হচ্ছে। যেন বানোয়াট কোন সিনেমার স্ক্রিপ্ট বলে গেল সে। কিছুই তার মাথার ঢুকেনি। সবটা বুঝের বাইরে দিয়ে গেছে৷ শুধু এতোটুকু বুঝতে পারছে যে তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এতো কষ্ট যে এক বুক কেদে ভাসালোও, যন্ত্রণা একরত্তি কমবে না৷ ইমানের রুঢ় আচরণ সে নিতে পারেনি৷ ব্যথা পাওয়া বাহুতে হাত রেখে সে টলমল চোখে দাঁড়িয়ে আছে৷ দাঁড়িয়ে আছে ইমানও। তবে সে সামান্য ব্যস্ত। ঝগড়া ও চেচামেচির মাঝেই ইমানের পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠল। সে ফোন বের করে, হাট করে খুলে রাখা দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ইশারায় মিরাকে বুঝিয়ে দেয়, “কথা এখনো শেষ হয়নি৷”

এরপর সে ফোনে ডুবে যায়৷ কারো সঙ্গে চ্যাটিং চলছে সম্ভবত। মুখের অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোন খবর আছে যেই খবরটা তার মন মতো নয়। মিনিট দশেক পর ইমান ফোনটা চটকা দিয়ে বিছানায় ফেলে। এরপর এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢকঢক করে পান করে৷ মিরা সবটা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। তার উপস্থিতি যেন মুহুর্তেই নাই হয়ে গেছে। ইমান তাকে দেখতেই পাচ্ছে না এমনটা ফিল হচ্ছে তার। মিরার ইচ্ছা করল একবার, কী হয়েছে জানার৷ কিন্তু পরমুহূর্তেই সে থেমে যায়৷ এমন একটা মানুষের সঙ্গে তার কথা বলার রুচি উঠে গেছে৷ তার কাছে পুরা বিষয়টাই একটা দুঃস্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে। ইমান কীভাবে এতোটা খারাপ হতে পারে? তার মন এতোটা কালো অথচ মিরা তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে। নিজের ভাবনার প্রতি নিজেরই রাগ হচ্ছে। সে এতোবড় প্রতারণা সামলাবে কীভাবে? ক্ষণেই গাল বেয়ে দু’টো মোটামোটা অশ্রুকণা গড়িয়ে পড়ল৷

তার চিন্তার সুতো কেটে যায় যখন ইমান গমগমে সুরে বলে, “আমার যা যা বলার সবটা বলেই দিলাম। আমার কাছ থেকে কোন ধরনের দায়বদ্ধতা বা দায়িত্ব পূরণের আশা করবে না৷”

মিরা ভেবেচিন্তে উত্তর দেয়, “আপনার কাছ থেকে আমার কোনকিছুই চাই না৷”

— “গুড। তাহলে তো ভালোই। আমি ঘুমাতে যাচ্ছি। ডোন্ট ডিস্টার্ব মি। ”

সে বিছানায় এসে গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়ে এবং লাইট নিভিয়ে দিল।

মিরা অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রইল। যেহেতু একবার বেড থেকে উঠে যেতে বলেছিল কাজেই মিরা আর বেডে গেল না। সে ভেবেছিল ইমান তাকে ডেকে আনবে৷ কিন্তু আধঘন্টার বেশি পার হলেও এমন কিছু করল না ইমান। মিরার চোখ আবারো ভরে আসতে লাগে। এটা তার বাসা অথচ তাকেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে এমন ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খেলেই সে চকিত উঠে৷ এটা আদৌ তার বাসা? তার বাসা হলে নিশ্চয়ই আজকে এমন পরিস্থিতি আসতে হত না। আচ্ছা তারা কী ইমানের মেহেরবানীতে এখানে বাস করছে? এটা সে মানতে পারছে না৷ তার বাবা তো ব্যবসা করে বড় আব্বুর সাথে। দুইভাই মিলে ব্যবসা করে৷ তাদের কেন অন্যের বাড়িতে থাকতে হবে? মিরা মাথা চেপে ধরে। আচমকা ফোনের রিংটোনে তার আত্মা কেপে উঠে। ইমানের ফোন আবারো বাজছে৷ ইমান সম্ভব ঘুমিয়ে পড়েছিল। ফোনের আওয়াজে হকচকিয়ে উঠে সে। মিরা তখনো আলমারির সঙ্গে ঠেশ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷ এতোক্ষণ একাধারে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তার পা ব্যথা হয়ে গেছে। তবুই সে বসল না। বরং ফোনকল বেজে উঠায় আরো টানটান হয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে। প্রথম বার ইমান ফোন কেটে দিল। দ্বিতীয়বার আবারো ফোন বেযে উঠলে মিরা আস্তে করে বলে, “চাইলে ফোনটা রিসিভ করতে পারেন।”

ইমান তার কথা শুনে বা নিজ ইচ্ছায় ফোন ধরে। ফোন কানে নিয়ে সে শুয়ে পরে। মিহি গলায় কথার ফিসফিস শব্দে মিরার অস্থির লাগা শুরু করে। সে সারারুম জুরে পায়চারি করে। এরপর বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়৷ বারান্দায় যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে সে আড়চোখে তাকিয়ে দেখে, ইমান শুয়ে শুয়ে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছে আর হাসছে। বেশ প্রাণবন্ত সেই হাসি। মিরার গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। মানুষ কী করে পারে কেউ কাদিও হাসতে? এতো নিষ্ঠুর হওয়া কীকরে সম্ভব কারো পক্ষে?

সে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কান্না করল। এই কান্নার নাম হলো বোবা কান্না। কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পায় না। এই কান্নার কোন কোন উৎস নেই। অসীমে অচীরেই এই কান্নার শব্দ তলিয়ে যায়। সে আরো বিশ মিনিট পর রুমে ফিরে তখন ইমান ফোন রেখে দিয়েছে৷ সে গিয়ে আলমারিতে গা ঘেঁষে হাটু ভাজ করে বসে। দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পা’জোড়া ব্যথা করছে খুব। সে বসতেই আচমকা ইমান বলে উঠে, আমি এতোটাও পাষাণ না যে সারারাত তোমাকে দাড় করিয়ে রাখব। আলমারির পাশে তোষোক আর বালিশ আছে। টেনে করে বিছিয়ে নিয়ে শুতে পার৷

মিরা তার কথায় যেন বশ হলো। সে তোষোক আর বালিশ বের করে। ক্ষণেই তার ধ্যানভঙ্গ হলো। তার তো এভাবে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে শোয়ার কথা ছিল না। আচমকা খুব রাগ-জিদ উঠে যায় তার। সে বালিশটা ছুড়ে মেরে বলে, ” আমি ঘুমাব না এই ফ্লোরিং তোষোকে৷”

–“এজ ইউর উইশ৷”

ইমান ওপাশ হয়ে শুতেই, মিরা উঠে দাড়ালো এবং বিছানায় এসে বসল। ইমানকে অতিরিক্ত কিছু করতে না দেখে সেও বেডে শুয়ে পরে। তবে একদণ্ডের ব্যবধানে ইমান উঠে বসে, নেমে যায় নিচে৷ এবং সে তোষোক-বালিশ বের করে নিজে সেখানে শুয়ে পরে। মিরা সবটা দেখল নীরবে। এরপর চুপচাপ শুয়ে থাকে। তার কিছু ভালো লাগছে না। সবকিছু অসহ্য লাগছে। এতো যন্ত্রণাময় কেন এই রাত্রিটা?

__________________

সকালে ঘুম ভাঙ্গে দরজার ঠকঠক আওয়াজে। ইমান বিরক্তিভরা মুখে উঠে বসল। বেকায়দায় শুয়ে তার ঘাড় ব্যথা হয়ে গেছে৷ সে একবার ডানে এবং আরেকবার বামে ঘার ঘুরালো। এরপর হাই তুলল একটা। রাতে ঘুম হয়নি বললেই চলে। মধ্যরাত অব্দি সম্ভবত মিরা কেদেছে। চাপা কান্নার আওয়াজ তাকে কাল রাতে ঘুমুতে দেয়নি। চোখ বন্ধ করলেই কোন এক অজানা কারণে তার চোখ খুলে গেছে। পুনরায় দরজার ঠকঠক আওয়াজে তার ঘোর কাটে। আওয়াজ তীব্র হলে মিরাও বিছানা থেকে নড়েচড়ে উঠে। তবে বোধহয় ঘুম ছুটেনি৷ ওপাশ থেকে এবারে সোনালী আপুর কণ্ঠ ভেসে আসছে। সে বলে, “এই ইমান, এই মিরা উঠবি না? আর কত ঘুমাবি? সকাল দশটা বাজে। সবাই তোদের জন্য নাস্তা না করে বসে আছে। উঠ৷”

ইমান তড়িৎগতিতে উঠে একবার সারা রুম দেখে নিল এবং দ্রুততম গতিতে তোষোক সরিয়ে রেখে, দরজা খুলে দিল।

সোনালী আপু দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে দেখে হেসে বলে, কিরে? এতোসময় লাগলো দরজা খুলতে? কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি৷

— সর‍্যি আপু। আসলে উঠতে দেরি হয়ে গেল৷

আপু হেসে বলে, “অনেক গাঢ় ঘুম হয়েছে মনে হচ্ছে। মিরা এখনো উঠেনি?

— না৷

আপু মাথায় হাত দিয়ে বলে, এই তো আমাদের নাক ডুবাতে। বিয়ের পরেরদিন কেউ এতোবেলা অব্দি ঘুমায়। ওকে ডেকে আন।

— আচ্ছা।

সোনালী আপু চলে যেতে ধরলে সে প্রশ্ন করে, তোমরা খেয়ে নাও। শুধু শুধু এতোবেলা অব্দি না খেয়ে আছো।

আপু আচমকা হোহো করে হেসে দিল। সে ভড়কে গেল।

আপু বলে, একরাতেই মিরা তো সব বুদ্ধি খেয়ে ফেলেছে। এখনমাত্র সাতটা বাযে পাগল।

ইমান হতভম্ব হয়ে বলে।,তাহলে তখন দশটা কেন বললে?

আপু হামি তুলে বলে, যেন টনক নড়ে। আই নো যে তোরা ঘুমাসনি সারারাত৷

ইমান চমকে উঠে। আপু কিভাবে জানল তারা ঘুমায়নি? বাই এনি চান্স সে সব জেনে গেছে?কিন্তু কিভাবে এটা সম্ভব?

তার ভাব-সাব দেখে আপু বলে উঠে, আরে বাসররাতে কেউ ঘুমায় না বুঝলি। সবাই জেগে থাকে। একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ভাবের আলাপ করে। তোরাও নিশ্চয়ই জেগেই ছিল। একে অন্যকে ছেড়ে উঠতে মন চাচ্ছিল না রাইট?এইজন্য নিনজা টেকনিক খাটালাম। এবার ফ্রেস হয়ে বাইরে আয়। বাসায় মুরুব্বি আছে। বেশি সময় রুমে থাকিস না৷

ইমান স্নান হেসে বলে, নাইস টেকনিক।

আপু চলে গেলে সে নিজে ফ্রেস হলো। এরপর দশ মিনিট ধরে সিগারেট খেল৷ এখনো মিরার উঠার কোন লক্ষণ সে দেখল না। কিছুটা বিরক্ত হয় সে। মেয়েটার কোন সেন্স নাই? বিয়ের পরের দিন এখনো ঘুমাচ্ছে। দেশের বাইরে থেকেও সে বাঙ্গালী সব কালচার জানে। আর উনি দেশে থেকেও একটা কালচারও জানে না৷ ইমান ফোন বের করে এলার্ম সেট করল। এক মিনিট পর সেই এলার্ম বেজে উঠলে, সে ফোনটা মিরার কানের পর্দার সামনে ধরল। বিকট আওয়াজে ঘুম ছুটে যায় মিরার। সে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে চিৎকার দিতে গেলে, ইমান তার মুখ চেপে ধরে বলে, ডোন্ট সাউট! ডোন্ট সাউট!

মিরা ঘুমের মধ্যেই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। ভয়ে এখনো বুক ধড়ফড় করছে। সে চোখ পাকিয়ে ইমানের দিকে তাকালো। কিছু বলার চেষ্টা করল৷ কিন্তু ইমান তার মুখে হাত চেপে রাখায় কিছু বলতে পারছে না। ইমানও হাত সরায় না। মুখে হাত চেপে ধরে কী যেন ভাবছে তার দিকে তাকিয়ে। এদিকে মিরা আচমকা তার দাঁত দিয়ে ইমানের হাতে কামড় বসায়। সঙ্গে সঙ্গে ইমান হাত সরিয়ে নেয়৷

ইমান অগ্নিচোখে তার দিকে তাকালো। মিরা হাই তুলে বলে, “সমস্যা কী আপনার? ম্যানার নাই কোন? এভাবে কোন মানুষকে ঘুম থেকে তুলে উঠায়? আরেকটু হলে আমার হার্টফেল তো।”

— তাই বলে তুমি আমাকে এতো জোরে কামড় দিতে? আর একটু হলে, মাংস উঠে যেত। ডাইনী কোথাকার৷

মিরা ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তুলে বলে,” এটাকে প্রতিশোধ বলে। আর কিভাবে প্রতিশোধ নিতে হয় সেই ট্রেনিং আপনার কাছ থেকে নিব৷ আমাকে ট্রেনিং দিবেন তো?”

মিরার কথায় সে আরেকদফা শক খায়৷ কান্নাকাটি করে মেয়ের মাথা গেছে৷ ফোলা চোখ দুটির দিকে তাকিয়ে তার আচানক মায়া হলো। সেই মায়ায় প্রশয় না দিয়ে বলে উঠে, এতো বেশি বকর-বকর করবে না। তোমার ভাঙ্গা রেডিও শোনার টাইম নেই আমার। আপু একবার ডেকে গেছে। দ্বিতীয়বার যেন ডাক দিতে নাহয়৷

মিরা উঠে দাড়ালো। এরপর সোজা বাথরুমের দিকে গেল। সে চলে যাওয়ার পর ইমান বিছানায় শোয়। গা-পা ব্যথা করছে তার৷ শুয়ে শুয়ে সিগারেট খাচ্ছি। সকাল থেকে এই নিয়ে তিনটা সিগারেট শেষ করল সে।

বাথরুমের দরজা খোলার শব্দে সে চোখ সেদিকে ঘোরালো। মিরা বেরিয়ে আসছে। হাল্কা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়েছে। সদ্য স্লান করায় তার চুল ভেজা। ভেজা চুলের জন্য ব্লাউজের পেছন পাশ ভিজে গেছে। সে মোহযুক্ত চোখে একবার তাকালো। এটা মানতেই হবে মিরার অপরুপ সুন্দরী এক মেয়ে৷ যার দিকে তাকালে স্নিগ্ধতা টের পাওয়া যায়।

ইমানকে নিজের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে কিছুটা আড়ষ্টতা বোধ করে মিরা৷ কাল সারারাত কান্না করায় ফলে মাথা ধরে ছিল বেশ৷ কাল রাতে সে বেশ বড়সড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এইজন্য আপাতত সে যথেষ্ট স্বাভাবিক আছে। ইমানের দুর্ব্যবহার যেন তাকে ছুঁয়ে যায়নি এমন ভান ধরে আছে সে। আস্তে-ধীরে আয়নার সামনে এসে সে চুল ঝারতে থাকে। এরপর চুল আছড়াতে গিয়ে বলে উঠে, “আমার মাথা ব্যথা করছে। নাস্তা খাওয়ার পর আমার জন্য এইচ প্লাস এনে নিবেন৷”

ইমান তার কথা শুনে উঠে দাড়ালো এবং বলল, তুমি কী ভুলে গেছো কালকে আমি তোমাকে কী বলেছি? এই বিয়ে আমি মানি না৷

মিরা যেন এসব কথা কানেই নিল না। চোখ কাজলে দেওয়ার আগে বলে উঠে, আজকের পর রুমে যেন সিগারেট খেতে না দেখি।”

আয়নায় প্রতিফলিত হওয়া ইমানের হতভম্ব চেহারা দেখে মিরার হাসি পেল বেশ৷

চলবে৷

[ আচ্ছা, গল্পটা যদি একটু দীর্ঘসময় ধরে রানিং রেখে, বড়সড় গল্প তথা উপন্যাসে রুপান্তর করি তাহলে কী কেউ বিরক্ত হবেন? ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here