#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা- Umma Hurayra Jahan
পর্ব- ২৭
খাদিজা বেগম নাস্তা নিয়ে এলো ।
এমন সময় ফাতেমার ফোন বেজে উঠলো।ফাতেমা ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো তার শ্বশুড় ফোন দিয়েছে।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম বাবা।কেমন আছো??
আরমান- ওয়া আলাইকুমুস সালাম রে মা ।আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তোদের বাসার সবাই কেমন আছে?
ফাতেমার- আলহামদুলিল্লাহ সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছে।
আরমান- মা রে তোকে যে দরকারি কথার জন্য ফোন দিয়েছিলাম সেটা শোন।
ফাতেমা – বলো বাবা।
আরমান- তোর বিয়ের আগে আমি তোর পরিবারের সবাইকে কথা দিয়েছিলাম যে,তোর পড়ালেখা বন্ধ হতে দিবো না।এখন তো তুই ঢাকাতেই থাকবি।তাই ঢাকা থেকে তো আর ময়মনসিংহ গিয়ে ভালো ভাবে পড়াশুনা করা সম্ভব না।তাই বলছিলাম যে তুই তোর কলেজ থেকে টিসি নিয়ে আসবি ।
ফাতেমা – কিন্তু বাবা এতো অল্প সময়ের মধ্যে টিসি তো দিবে না।
আরমান- আরে বোকা মেয়ে তোর এই বাবাটা আছে কি করতে???আমি তোর কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে রেখেছি। তোদের কলেজের প্রিন্সিপাল আমার এক বন্ধুর বড় ভাই।আজ কথা বলার সময় তার পরিচয় জানতে পেরেছি।তাই তুই চিন্তা করিস না।মহিমা যে কলেজে পড়ে আমি তোকেও সেই কলেজেই ভর্তি করে দেবো।এখন তো তোর পড়াশোনার মুখ্যম সময় ।এখন যদি পড়াশোনা ঠিক মতো না হয় তাহলে তো ভবিৎষ্যতে সমস্যা হতে পারে।তাই আমি সব দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ফাতেমা – তুমি যা ভালো মনে করো।
আরমান- তুই তোর বাবাকে ফোনটা দে তো।
ফাতেমা তার বাবাকে ফোনটা দিলো।তুই বেয়াই আপাল করে কুশলাদি বিনিময় করে ফোন রেখে দিলো।
এদিকে সবাই নাস্তা করে নিলো।
নাস্তা করে সবাই ড্রয়িং রুমে বসে আছে।ফাতেমা তার ঘরে এলো।মাহিন সবার সাথে ড্রয়িং রুমেই আছে।
ফাতেমা ঘরে এসে তার প্রিয় জায়গা বেলকনি তে গেল।
ফাতেমার হেন্সি আর রিয়ার কথা খুব মনে পড়ছে। কতোদিন পার হয়ে গেল কিন্তু ওদের সাথে ফাতেমার কথা হয় নি।ফাতেমা নিজেই ওদেরকে ফোন দিবে ভাবছে।
ফাতেমা হেন্সিকে ফোন দিলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম
হেন্সি- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
ফাতেমা -কি রে হেন্সি ,তুই তো আমাকে ভুলেই গেলি।একটা ফোনও তো দিস নি এই কয়দিন।কি হয়েছে তোর???
হেন্সি- আমি তোকে ভুলি নি রে ফাতু।প্রতিদিন তোর কথা খুব মনে হয় আমার ।কিন্তু পরিস্থিতিটাই এমন হয়েছে যে তোকে আমি একবারের জন্যও ফোন দেওয়ার সময় পাই নি রে।
ফাতেমা – কি হয়েছে রে হেন্সি???বল আমাকে।
হেন্সি- বাবা হার্ট অ্যার্টাক করেছিলো।
ফাতেমা – ইয়া মাবুদ।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।এখন কেমন আছে তোর বাবা???
হেন্সি- আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকে কিছুটা ভালো।কিন্তু ডাক্তার বলেছে আরেকবার হলে নাকি কিছু করার থাকবে না।এখন আমরা খুব টেনশনে আছি রে।এর মাঝে আরেক চিন্তা।
ফাতেমা – কি???
হেন্সি দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।
বাদ দে এসব ।তুই কোথায় এখন??
ফাতেমা – আমি তো আমাদের বাসায় এসেছি ।কাল কলেজে আসবো।
হেন্সি- তাহলে তো ভালোই।আমিও অনেক দিন কলেজে যাই না।ভাবছিলাম কাল কলেজে যাবো।তাহলে কালকে তুই কলেজে আয়। আমি তোকে সব ঘটনা খুলে বলবো।
ফাতেমা- আচ্ছা ঠিক আছে।আংকেলের খেয়াল রাখিস।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আংকেল যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।আল্লাহ যাতে তাকে শিফা দান করেন।আমিন
হেন্সি- সুম্মা আমিন।
আস সালামু আলাইকুম
ফাতেমা – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
ফাতেমা হেন্সির সাথে কথা শেষ করে রিয়াকেও ফোন দিলো ।রিয়াকে ফোন দিয়ে ওর খুজ খবর নিয়ে কালকে কলেজে আসতে বললো।
এই সময় মাহিন রুমে ঢুকলো।
মাহিন- হু….মনে করেছে বুঝি না কিছু??
ফাতেমা – ও আপনি।রুমে কখন এলেন?
মাহিন- এখন না এলে তো বুঝতেই পারতাম না তোমার পেটে পেটে এতো শয়তানি।এমন ভাব নিয়ে তো দুনিয়ার সামনে ঘুরে বেড়াও যে,ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানো না ।কিন্তু একা ঘরে এসব ।ছি: ছি:।আমার তো ভাবতেই কেমন জানি ঘেন্না হচ্ছে।
ফাতেমা – আপনি এসব কি বলছেন আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
মাহিন- এখন তো বুঝতেই পারবে না।ধরা পরে গেছ এখন বুঝবে কি করে???
ফাতেমা – সত্যি আমি কিছু বুঝতে পারছি না।দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলুন
মাহিন- এতোক্ষন খালি ঘরে কার সাথে কথা বলছিলে??হুম….
ফাতেমা – ও এ কথা? আমি তো আমার বান্ধবিদের সাথে কথা বলছিলাম।
মাহিন জোরে একটা ধমক দিলো ফাতেমাকে।
মাহিন- চুপ করো মিথ্যাবাদী মেয়ে কোথাকার। মিথ্যা কথা বলার আর জায়গা পাও না তাই না???
ফাতেমা – এসব আপনি কি বলছেন???আমি মিথ্যা বলবো কেন??আমি সত্যি হেন্সি আর রিয়ার সাথে কথা বলছিলাম।
মাহিন- তোমাদের মতো বোরকা পড়া মেয়েদের আমার চেনা আছে ।বোরকার তলে তলে শয়তানি করো তোমরা ।যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
মাহিনের এসব কথা শুনে ফাতেমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।ফাতেমার মুখ দিয়ে কোন কথা বেড় হচ্ছে না।
মাহিন- কি জানি কোন ছেলের সাথে হয়তো কথা বলছিলে।
ফাতেমা শুধু মাহিনের কথা শুনছে আর চোখের পানি ছাড়ছে ।কারন বলার ভাষা যেন সে হারিয়ে ফেলেছে।যে কথা কোন দিন কেউ ভুলেও মুখে আনে নি সে কথা আজ মাহিন না জেনে না বুঝে ফাতেমাকে বলছে।
মাহিন- আর তুমি হয়তো আরো আগে থেকেই মোবাইল চালাও। কে জানে কত ছেলের সাথে প্রেম করেছো মোবাইলে।তোমার বাবা মা তো নির্বোধ তোমাকে অল্প বয়স থেকে ফোন চালাতে দিয়েছে।
তোমাদের মতো মিচকা শয়তান গুলোকে আমার খুব ভালো করেই জানা আছে।
ফাতেমা জীবনেও কল্পনা করে নি যে কোন দিন তাকে এসব অপবাদ সহ্য করতে হবে বা শুনতে হবে।
মাহিন- কোন ছেলের সাথে কথা বলছিলে তুমি ????হে???
বলবো তোমার বাবা মা আর ভাইকে ??তারা এসে দেখুক তাদের The great পর্দাশীল ধার্মিক আদর্শবান মেয়ের আসল রুপ।
এবার অনেক হয়েছে।ফাতেমাকে এবার মাহিনের ভুল ধারনা ভাঙাতেই হবে।কারন মাহিনের যদি এই ভুল ধারনা থেকে যায় তাহলে হাজারো প্রশ্ন উঠতে, হাজারো আঙুল উঠবে পর্দাশীল পরহেজগার মেয়েদের উপর।বদনাম হবে হাজারো নিস্পাপ মেয়েদের উপর ।
ফাতেমা চোখের পানি মুছে নিলো।
ফাতেমা – আপনি কি বললেন,যে যারা বোরকা পড়ে আর যারা পর্দা করে তারা মিচকা শয়তান???তাদের পেটে পেটে কুবুদ্ধি???তারা খারাপ???তারা মানুষের আড়ালে বোরকার নিচে খারাপ কাজ করে???
আপনার এই ধারনা সম্পুর্ন ভুল।আপনি একজনকে দিয়ে সবাইকে বিচার করবেন না দয়া করে।হয়তো একজনকে আপনি বোরকার পড়েও খারাপ কাজ করতে দেখেছেন ।কিন্তু একজনকে দেখে আপনি গোটা পর্দাশীল পরহেজগার মেয়েদের উপর এমন অপবাদ দিতে পারেন না।কারন যার মনে আল্লাহ ভয় আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালোবাসে ,যার মনে ইমান আছে সে কোন দিন হাজার সুযোগ থাকা সত্তেও খারাপ কাজে লিপ্ত হবে না।এটাই একজন প্রকৃত ইমানদারের পরিচয়।আপনি হয়তো তাজকিয়াতুন নাফস এর কথা শুনেছেন। এর অর্থ হলো আত্মশুদ্ধী।আল্লাহ প্রতি ভয় রেখে তাঁর সন্তুষ্টি আদায়ের জন্য সকল প্রকার পাপাচার থেকে নিজেকে সংযত রাখাকে আত্মশুদ্ধি বলে।আর যখন থেকে আমার দ্বীনের জ্ঞান হয়েছে আমি প্রতিটি মুহুর্তে চেষ্টা করেছি যাতে নিজেকে সকল প্রকার পাপ থেকে দূরে রাখতে পারি।আমি আমার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি নিজেকে সকল পাপাচার থেকে দূরে রাখতে। বাকিটা আল্লাহ ভালো জানেন। কিন্তু যারা প্রকৃতই আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহকে ভালোবাসে তারা নিজেকে সকল প্রকার পাপ থেকে সংযত রাখে। এই দুনিয়াতে অর্থাত বর্তমান সময়ে নিজেকে পাপ কাজ থেকে সংযত রাখা খুবই মুশকিল।কারন আপনি যখন কোন পাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে চাইবেন তখন দেখবেন আপনার আশেপাশের সমবয়সিরা নানা পাপ কাজ করছে ।যা দেখে নিজেরও মন চাইবে আমিও. খারাপ কাজ করি।কিন্তু যখন আপনার মনে আল্লাহর ভয় থাকবে ,মৃত্যুর কথা মনে হবে। আখিরাতের কথা মনে হবে, বিচার দিনের কথা মনে হবে ঠিক তখনি আপনি পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে চাইবেন।আমিও যতটা পেরেছি এইভাবেই নিজেকে বিরত রেখেছি। আর অন্যরাও এভাবে নিজেকে পাপাচার থেকে বিরত রাখে।আর আরেকটা কথা আপনি কি বললেন ??আমার বাবা মা নির্বোধ।আমাকে অল্প বয়সে ফোন চালাতে দিয়েছে।তাই তো???
মনে রাখবেন অল্প বয়সে ফোন চালালেই কেউ খারাপ হয়ে যায় না বা ফোন দিয়ে খারাপ কাজ করে না।অনেকের মনে হতে পারে যে,এই ছেলেটা বা এই মেয়েটা অল্প বয়স থেকেই ফোন চালায় ।না জানি কত প্রেম করে মোবাইলে ।না জানি সারাদিন কার সাথে ফোনে চ্যাটিং করে।না জানি কি না কি বাজে বাজে কন্টেন্টন দেখে ফোনে???কিন্তু মানুষের এ ধারনা সম্পুর্ন ভুল। যে এমন অনেকে আছে যারা ফোন হাতে পেলে না বুঝে অনেক খারাপ কাজ করে ফেলে। যার কারণে সে ভবিৎষ্যতে বিপদের সম্মুখিন হয়। কিন্তু সবাইকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক না।একজন ভুল করলে কি সবাইকে একি অপবাদ দিতে হবে।একজন যেটা ভুল করেছে আরেকজন যে কিনা তার সমসবয়ি সে যে সে ভুলটাই কেরেছে সেটা তো কোন ভিত্তি মূলক কথা না। একজনের জন্য আপনি সবাইকে অপবাদ দিতে পারেন না মশাই। হয়তো অনেকে মোবাইল দিয়ে ভালো কোন কাজ করছে।মোবাইল দিয়েই আজকাল দ্বীনের প্রচার করা যায় ।হয়তো কেউ দ্বীনি শিক্ষা প্রচার করছে বা হয়তো কেউ মোবাইলের সাহায্যে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহন করছে ।মোবাইল দিয়ে যে শুধু পাপ কাজ করা যায় সেটা সম্পুর্ন ভুল ধারনা।আর একটা সন্তানের উপর তার বাবা মা তখনি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে যখন সেই সন্তানটি তার বাবা মায়ের বিশ্বাসের যোগ্য হয় বা বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে। আমার বাবা মা হয়তো আমার উপর সেই বিশ্বাসটা স্থাপন করতে পেরেছে বলেই আমাকে ফোন কিনে দিয়েছিলো।
আবার আমার বাবা মায়ের বিশ্বাসকে আপনার অন্ধবিশ্বাস বা অন্ধভালোবাসা বলে মনে হতে পারে।কিন্তু না ।এটা অন্ধ ভালোবাসা না ।এটাই প্রকৃত বিশ্বাস ও ভালোবাসা।যা প্রত্যেকটা সন্তানের উপর তার বাবা মায়ের থাকা উচিন।আর বাবা মায়ের সেই বিশ্বাস আর ভালোবাসা পেতে হলে প্রত্যেকটা সন্তানের উচিত এমন ভাবে চলা এমন ভাবে দ্বীনের পথে চলা যাতে তারা তাদের বাবা মায়ের ভালোবাসা বিশ্বাস অর্জন করতে পারে।আর যারা সেই বিশ্বাসটা অর্জন করতে পারে না তারা অন্যকে নিজের মতো ভাবে।সে ভাবে অন্যরাও হয়তো মোবাইল দিয়ে তার মতো খারাপ কাজ করছে।
আমি সবসময় নিজেকে এমন ভাবে রেখেছি বলেই হয়তো আমার বাবা মা আমায় বিশ্বাস করে।
আর কারো বিষয়ে না জেনে না বুঝে অপবাদ দেওয়া মস্ত বড় গুনাহ ।মানুষের নামে অপবাদ দেওয়ার আগে ভালো করে সেই মানুষটিকে যাচাই করে নিবেন ।সে সত্যি খারাপ কিনা। না হয় আপনি নিজেই গুনাহগার হবেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
মাহিন তো ফাতেমার এমন যুক্তি সম্পন্ন কথা শুনে থ হয়ে গেল।
মাহিন আর কথাই বলতে পারলো না ।
ফাতেমার ছোট বেলার অভ্যাস এটা।কেউ যদি কোন ভুল কথা বলে তাহলে সেটা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া।
ফাতেমা – কি হলো এখন কোন কথা বলছেন না কেন???এই যে রাগি মশাই এখন কি আপনার ভুল ধারনা কেটেছে???
মহিন মনে মনে বলছে “এই মেয়ের সাথে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।কোন দিন যদি আমার আর মিমির সম্পর্কের কথা জানতে পারে তাহলে তো আমাকে কথা শুনাতে এক চুলও ছাড় দিবে না।থাক এর সাথে আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।যুক্তি দিয়ে এর সাথে পাড়া যায় না।যুক্তি শুনলেই মনে হয় অনেক টেলেন্টেড। থাক আর কথা বাড়াবো না।
মাহিন- হয়েছে হয়েছে এতো যুক্তি দিতে হবে না ।যাও নিজের কাজ করো।
ফাতেমা – আমি যুক্তি দিতে আসি নি আমি তো শুধু যেটা বাস্তব সেটাই বললাম।
একটু পড়েই এশার আযান পড়ে গেল।
ফাতেমা নামাযের জন্য প্রস্তুতি নিলো।
ওদিকে মাহিন বেলকনিতে গিয়ে বসে আছে আর মিমির কথা ভাবছে।
ফাতেমা নামায পড়ে নিলো।
ফাতেমার- এই যে রাগি মশাই আপনি রুমে এসে বসুন আমি মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করে আসি।
এই বলে ফাতেমা রান্নার ঘরে গেল।
ফাতেমা – মা নামায পড়েছো?আর রিনা তুমি নামায পড়েছো?
খাদিজা- হে রে মা আমরা দুজনেই নামায পড়ে রান্না করতে এসেছি।
আর তোর বাবা আর হাসানও মসজিদে গেছে নামাযের জন্য।
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ।মা আমি আজ রান্না করি????
খাদিজা- আরে তুই রান্না করবি কেন রে???তুই তো বেড়াতে এসেছিস।
ফাতেমা – দেখলে মা ,এই কয়েকদিনেই আমি তোমাদের কাছে অতিথি হয়ে গেছি।এখন আমাকে রান্না করতেও মানা করছো বলছো আমি বেড়াতে এসেছি।
খাদিজা- আরে পাগলি আমি এভাবে বলি নি রে।
আচ্ছা রান্না কর ।পাগলি মেয়ে আমার।
ফাতেমা খুব খুশি হলো।
ফাতেমা রান্না বান্না শেষ করলো।
এদিকে রফিক সাহেব আর হাসানও মসজিদ থেকে এসে গেছে।
ফাতেমা আর রিনা সব খাবার নিয়ে ডাইনিং টেবিলে সাজালো। খাদিজা বেগম সবাইকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলেন ।
ফাতেমা মাহিনকে নিজে গিয়ে ডেকে আনলো।
সবাই রাতের খাবার শেষে একসাথে বসে কিছুক্ষন গল্প করলো।
তারপর যে যার ঘরে চলে গেলো ঘুমানোর জন্য।
ফাতেমা ও মাহিনও তাদের রুমে চলে এলো।
ফাতেমা ঘুমানোর আগে ওযু করে আসলো। মাহিন গালে হাত দিয়ে বসে আছে।
এবার তৈরী হলো ফাতেমা আর মাহিনের খুনসুটি মূকল ঝগড়া।
এবার কি হবে………..
চলবে ইনশাল্লাহ………………….