ছায়া হয়ে থাকবো পাশে part- 30

0
880

ছায়া হয়ে থাকব পাশে
Part. ঃ 30
writer ঃ humayra khan

চারু ঃ আমি গিয়েছিলাম তার রুমে তাকে ডাক দিতে
তখন সে বললো হঠাৎ তার নাকি পেট ব্যথা করছে,..
তাই আমাকে যেতে বলেছে আহান ভাইয়ার কাছে..
সাবিনাঃ আচ্ছা তাহলে তুই যা আহানকে খাবার টা দিয়ে আয়…..
সাবিনার বলা কথা শুনে চারু তো মহা খুশি…
চারু ঃ জ্বি কাকিমা এখনি যাচ্ছি…
চারু টিফিন বক্স টা হাতে নিয়ে চলে যেতে নিলে—
দিশাঃ দাঁড়াও চারু আমি ড্রাইভার আংকেল কে কল দিচ্ছি.. সে গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে তোমায় দিয়ে আসবে….
সাবিনাঃ গাড়ি দিয়ে যাওয়ার কি দরকার…..
অই কি কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী নাকি যে রিকশা করে গেলে ওর মানসম্মান যাবে…
দিশাঃ কিন্তু মা…
চারু ঃ থাক দিশা ভাবি আমি রিকশা করেই যেতে পারব….
মিসেস সাবিনা তার ব্যাগ থেকে টাকা বের করে –
সাবিনাঃ নে ধর… আর তাড়াতাড়ি করে যা…
চারু মিসেস সবিনার হাত থেকে টাকা নিয়ে চলে গেল.
দিশাঃ উফফ এই মেয়েটা বেশি বাড়াবাড়ি করে… (আনমনে)
মায়াঃ আচ্ছা আপু আমি রিয়াকে গিয়ে দেখে আসি ওর রুমে…
সাবিনাঃ দাঁড়া মায়া আমিও যাচ্ছি তোর সাথে….
মায়াঃ হুম আপু চলো..
মায়ার সাথে সাথে মিসেস সাবিনাও চলে যায় রিয়ার রুমে…
দিশাঃ আমি ভাইয়াকে একবার কল দিয়ে বলে দেই চারু আসছে তার কাছে..৷
দিশা বেশ কয়েকবার ফোন দেয় আহানের নাম্বারে…
কিন্তু আহান কাজে ব্যস্ত থাকায় ফোন রিসিভ করতে পারেনা দিশার….
মায়া আর মিসেস সাবিনা রিয়ার রুমে সামনে আসলে-
মায়াঃ কি ব্যাপার দরজা বাইরে থেকে লক করা কেন?
সাবিনাঃ সেইটাই তো কথা….
মায়া তাড়াতাড়ি করে রিয়ার রুমের দরজাটা খুলে দেয়.
মায়া আর মিসেস সাবিনা রিয়ার রুমে ঢুকে –
রুমের প্রতিটি কোনায় রিয়াকে খুজতে থাকে
সাবিনাঃ এই তোর মেয়ে কোথায় হাওয়া হয়ে গেল?
হঠাৎ মায়ার ওয়াশরুমের দিক এ চোখ পরলে–
মায়া তাড়াতাড়ি করে গিয়ে ওয়াসরুমের দরজা টা খুলে দেয়…
দরজা খুলে দেখে রিয়া বাথটাবে বসে কান্না করছে..
মায়াঃ রিয়া তুই ওয়াসরুমে??
মায়ার কণ্ঠ শুনে রিয়া দরজার দিক এ তাকিয়ে দেখে দরজার সামনে মায়া আর মিসেস সাবিনা দাঁড়িয়ে আছে…
রিয়া কান্না করতে করতে ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে..
ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে….
সাবিনাঃ রিয়া তোকে ওয়াসরুমে আটকিয়ে রেখেছিল কে??
রিয়াঃ কে আবার???? চারু…….
তারপর রিয়া সব ঘটনা খুলে বললে–
সাবিনাঃ চারুর এতো পাখা গজিয়ে গেছে যে ও তোর চুল টেনে ধরেছে…….
আহান বেশি লাই দিতে দিতে ওকে মাথায় উঠিয়ে ফেলেছে এক বারে….
আজ ও বাসায় এসে নিক… আজ ই ওকে ঘর থাক্কা দিয়ে বের যদি না করি আমার নাম ও সাবিনা খান না…
দিশা দিশা……
মিসেস সাবিনার ডাক শুনে দিশা তাড়াতাড়ি করে উপরে গেলে-
দিশাঃ জ্বি মা…
সাবিনাঃ এখনি ফোন করে চারুকে বাসায় আসতে বলো..
দিশাঃ কেন কি হয়েছে??
সাবিনাঃ বেশি কথা না বলে ফোন দাও…
দিশা তাড়াতাড়ি করে চারুকে ফোন দিলে ফোনটা সাইলেন্ট মুডে থাকায় ফোনটা রিসিভ করতে পারেনা চারু….
রাস্তায়……
চারু ঃ উফফ কতক্ষন ধরে রিকশা খুজেই যাচ্ছি কিন্তু কোন রিক্সা খালিই পাচ্ছিনা৷৷
হঠাৎ চারু অনুভব করলো ওর পিছনে একটা ছেলে বেশ সময় ধরে ওকে ফলো করছে…..
চারু নিজেকে বাচানোর জন্য খুব জলদি হাটতে শুরু করে ছেলেটিও নিজের পায়ের স্পিড বাড়িয়ে চারুর পিছনে পিছনে হাটা শুরু করে….
চারু হঠাৎ থেমে গিয়ে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে,—
চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করে দেয়….
চারুর চিৎকার শুনে আশে পাশের মানুষ তাকালে..
ছেলেটি ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় সেইখান থেকে….
চারু ঃ উফফ বাচা গেল.. না হলে আজ আমার সর্বনাশ হয়ে যেত…..
তারপর চারু আবার হাটতে শুরু করলে একটা ব্লাক কালারের গাড়ি চারুর সামনে এসে থেমে যায়-
চারুঃ এই কাইল্লা গাড়ি আমার সামনে এসে থামলো কেন???
গাড়ি টির গ্লাস নামিয়ে —
লোকটিঃ excuse me? আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন????
চারু ঃ কে???
লোকটিঃ আরে আমি ডাক্তার মেহেদী.
আহান আর আমি এক হসপিটালে কাজ করি…
চারু ঃ ওও হ্যা… চিনতে পেরেছি…..
মেহেদী ঃ তো আপনি কোথায় যাচ্ছিলেন???
চারুঃ এই তো হসপিটালে….
মেহেদী ঃ তাই নাকি?? আমিও তো যাচ্ছি চলেন আপনাকে দিয়ে আসি..
চারুঃ কি করব? যাব? আহান তো বলেছে সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে না…
কিন্তু ইনি তো আমার পরিচিত মানুষ ই৷….
তাকে তো বিশ্বাস করাই যায়…..আর রিকশাও তো পাচ্ছিনা….আবারও যদি কোন ছেলে আমার পিছু নেয়.. (আনমনে)
মেহেদী ঃ এতো কি ভাবছেন???
চারু ঃ না কিছুনা…
মেহেদী ঃ তো আসুন গাড়ি তে আমি আপনাকে নিয়ে,যাই….
কথাটি বলে মেহেদী তার গাড়ির দরজা খুললে-
চারু বেশি কিছু না ভেবেই ঢুকে পরে গাড়ির ভিতরে….

আহান ওর ফোনে দিশার অনেক গুলা মিসকলড দেখলে তাড়াতারি করে দিশাকে কল দিয়ে বসে আহান
দিশা ফোন রিসিভ করলে—
আহানঃ হ্যালো ভাবি তুমি ফোন দিয়েছিলে???
দিশাঃ হ্যা আহান… চারু তোমার হসপিটালে গিয়েছে তোমাকে খাবার দিয়ে আসতে…
আহানঃ ওয়াট?? ও কখন বের হয়েছে ভাবি?? দাঁড়াও আমি ড্রাইভার আংকেল কে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছি..
দিশাঃ আসলে ভাইয়া…… চারু তো গাড়ি নিয়ে যায়নি?? আমি বলেছিলাম গাড়ি নিয়ে যেতে কিন্তু মা…
আহানঃ উফফ ভাবি তুমি কেন যেতে দিলে চারুকে??
এতো রাতে তা আবার গাড়ি ছাড়া বের হয়েছে মেয়েটা..
আচ্ছা ভাবি আমি ফোনটা রাখছি……
কল টা কেটে দিয়ে আহান সাথে সাথে চারুকে কল দিয়ে বসে……..
চারুর ব্যাগে ওর ফোনটা ভাইব্রেট করলে
চারু ওর ব্যাগ থেকে ফোনটা রিসিভ করতে নিলে-
ডাক্তার মেহেদী চারুর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে সাথে সাথে গাড়ি বাইরে ছুরে ফেলে দেয়…
চারু ফোনটা রিসিভ না করলে আহান আবারও কল দেয় চারুর নাম্বারে কিন্ত চারুর ফোনটা অফ পেলে–
আহানঃ কি ব্যাপার একটু আগেই তো ফোনটা বাজলো এখন অফ দেখাচ্ছে কেন???
আহান বেশি কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে পরে হসপিটাল থেকে…………

গাড়ি তে…
চারু বেশ অবাক হয়ে পরে ডাক্তার মেহেদি ওর ফোনটা ফেলে দেওয়াতে….
চারু ঃআপনি আমার ফোনটা ফেলে দিলেন কেন???
ডাক্তার মেহেদী চারুর বলা কথা শুনে জোড়ে জোরে শয়তানি হাসি হাসতে থাকে….
চারু বেশ ভয় পেয়ে যায় তার এমন শয়তানি হাসি দেখে-
চারু ঃ ড্রাইভার আংকেল গাড়ি থামান প্লিজ আমি নেমে যাব…..
মেহেদী ঃ তুমি বললেই কি সে থামিয়ে দিবে নাকি
ডাক্তার মেহেদীর কথা শুনে ড্রাইভার টাও জোরে জোরে হাসতে থাকে….
মেহেদী চারুর হাতটা শক্ত করে ধরলে….
চারুঃ হাত ছাড়ুন বলছি.. না হলে কিন্তু খারাপ হবে(চিল্লান দিয়ে)
চারুর বলা কথা শুনে মেহেদী জোড়ে হেসে উঠে…..
মেহেদী ঃ ছাড়বোনা কি করবে(ডেভিল হাসি হেসে)
চারু মেহেদী বলা কথা শুনে সাথে সাথে কষিয়ে একটা থাপ্পড় মেরে বসে ওর গালে……
মেহেদী ঃ তোর সাহস কি করে হয় আমার গালে থাপ্পড় মারার……..???
কথাটি বলে মেহেদী চারুর গলা থেকে উড়নাটা ফেলে দিয়ে ছাপিয়ে পরে চারুর উপর অমানুষ এর মত……
চারু ওর হাতের নক দিয়ে খামচি মেরে বসে মেহেদীর মুখে….
মেহেদী ঃ বেশি লাফাছিস তাইনা??
চারুঃ প্লিজ ভাইয়া দয়া করে আমায় যেতে দিন..
আল্লাহ দয়ায় লাগে আমার কোন ক্ষতি করবেন আমাকে ছেড়ে দিন।।।(কান্না করতে করতে)
মেহেদী ঃ হা হা হা তোকে ছেড়ে দিব আগে তো নিজের চাহিদা মিটিয়ে নেই…(হেসে)
চারু কোন উপায় না দেখে জোড়ে জোড়ে চিৎকার দিতে থাকে.. কিন্তু ড্রাইভার খুব জোড়ে গান ছেড়ে বসলে চারুর কান্না কারো কান পর্যন্ত পৌছায় না….
মেহেদী ঃ আরও জোড়ে চিৎকার দে কেউ শুনবে না তোর চিৎকার….(চারুর গালে হাত রেখে)
চারু মেহেদী হাত সরিয়ে দিতে নিলে মেহেদী চারুর উপর ছাপিয়ে পরে……
চারুর চিৎকার দিয়ে দিয়ে কান্না করতে থাকে কিন্তু মেহেদীর কান পর্যন্ত পৌছায় না চারুর কান্না…
একসময় চারু অজ্ঞান হয়ে পরলে—
মেহেদী চারুর উপর থেকে উঠে পরে–
মেহেদী ঃ মরে টরে গেল নাকি???
ড্রাইভারঃ স্যার কি বলছেন?? স্যার আমি এইসব ঝামেলার মধ্যে পরতে চাইনা….
মেহেদীঃ ওই ইউ জাস্ট সেট আপ মরেনি… জাস্ট অজ্ঞান হয়েছে…
কিন্তু একে বাচিয়ে রাখলেও আমাদের মরতে হবে।।।
ড্রাইভারঃ স্যার একটা কাজ করেন রাস্তায় ফেলে দেন..
এইখানে অনেক গাড়ি চলাচল করে। কোন না কোন গাড়ি তে চাপা পরে মরে যাবে…….
মেহেদী ঃ গুড আইডিয়া……
তারপর মেহেদী গাড়ির দরজা টা খুলে থাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় চারুকে রাস্তায় আর সাথে সাথে চলে যায় সেই খান থেকে গাড়ি নিয়ে……
আহান গাড়ি চালাতে থাকলে হঠাৎ দেখে রাস্তার মাঝ খানে অনেক মানুষ এর ভিড়….
আহানঃ উফফ এই রাস্তার মাঝখানে সবাই এমন জড়ো হয়ে আছে কেন????
আহান রেগে মেগে গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকে তাও মানুষ না সরলে–
আহান গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে–
আহানঃ এই রাস্তার মাঝে এতো ভিড় জমিয়ে রেখেছেন কেন??
রাস্তার একটা লোক বলে উঠে —
একটা মেয়ের এক্রিডেনট হয়েছে…..
আহান লোকটির কথা শুনে ভিড় কাটিয়ে সামনে গিয়ে দেখে চারু রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে মাটিতে… …
আহান সাথে সাথে চারুর কাছে গিয়ে দেখে চারুর কপালের সাইডটা অনেকটা কেটে গেছে … আর ওর শরীর এর ওড়না টাও নেই….
আহান সাথে সাথে ওর পরে থাকা এ্যাপন টা খুলে চারুকে পরিয়ে দিয়ে চারুকে শক্ত করে জড়িয়ে নেয় নিজের বুকের সাথে….
আহানঃ চারু প্লিজ চোখ খুলো চারু…
কথা বলো তোমার আহানের সাথে,……
কান্না করতে করতে ভেঙে পরে আহান……
চারু ঃ আ….
আহান খেয়াল করে চারু হালকা চোখ খুলে ওর দিক এ তাকানোর চেষ্টা করছে…
আহান খুশিতে চারুর কপালে চোখ এ গালে অজ্রস চুমু দিতে থাকে…
আহানঃ হ্যা চারু আহান.. তোমার আহান…
চারু ঃআহান আমার অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে…আমাকে নিয়ে চলুন এই খান থেকে….
আহানঃ হ্যা… চারু আমি এখনি তোমাকে হসপিটাল এ নিয়ে যাচ্ছি..
চারু ঃ না আহান আমায় বাসায় নিয়ে চলুন..(শান্ত গলায়)
আহান চারুকে কোলে তুলে নিয়ে তাড়াতাড়ি
গাড়ি তে বসিয়ে খুব স্পিড এ গাড়ি চালাতে থাকে..
বাসার এসে পৌছালে আহান কলিংবেল বাজালে দিশা দরজাটা খুলে দেয়….
দিশাঃ ভাইয়া আপনি???
আহান দিশা কথার উত্তর না দিয়ে গাড়ি থেকে চারুকে কোলে তুলে নিয়ে ঢুকে পরে বাসার ভিতর এ…
চারুকে এমন অবস্থায় দেখে দিশা তো পুরাই শকড..
দিশাঃ ভাইয়া চারুর কি হয়েছে??
আহানঃ ভাবি উত্তর দেওয়ার সময় নেই এখন…
কথাটি বলে আহান চারুকে তাড়াতাড়ি করে ওর রুমে নিয়ে যায়……….
দিশাও আহানের পিছনে পিছনে ছুটে চলে চারুর রুম এর দিক এ…..
আহান চারুকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিজের হাতেই চারুর কপালের কেটে যাওয়া স্থানটা ব্যান্ডেজ করে দেয়…
চারুর হাত টা শক্ত করে ধরে–
আহানঃ এই গুলা কিভাবে হলো চারু??? (কান্নার কণ্ঠে)
চারু আহানকে শক্ত করে ধরে জোড়ে জোড়ে কান্না করতে থাকে….
আহানঃ প্লিজ চারু কিছু তো বলো….
চারু কান্না করতে করতে সব কিছু খুলে বলে আহানের কাছে…..
আহান মাথা গরম হয়ে পরে চারুর মুখের কথা শুনে…
আহানঃ ভাবি তুমি চারুকে সামলাও আমি আসছি..
কথাটি বলে আহান চারুর রুম থেকে বের হয়ে পরে..
চারুর রুম থেকে আহানকে বের হতে দেখে-
সাবিনাঃ কিরে আহান তুই বাসায়??? কবে আসলি?
আহানঃ আজ তোমার ভুলের কারনে চারুর অবস্থা দেখলে হয়ত তুমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবেনা মা….
কথাটি বলে আহান চলে যায় সেইখান থেকে…
সাবিনাঃ আহান কি বলে গেল মায়া….
মায়াঃ আমিও তো কিছু বুঝলাম না…
সাবিনা ঃচল চারুর রুমে গিয়ে দেখে আসি কি হয়েছে..
তার পর মায়া আর সাবিনা চারুর রুমে গিয়ে দেখে চারু বিছানায় শুয়ে আছে আর ওর কপালে ব্যান্ডেজ করা।।
সাবিনাঃ দিশা চারুর এই অবস্থা কিভাবে হলো.??
দিশা সাবিনাকে এক সাইডে নিয়ে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে….,(কান্না করতে করতে)
মায়াঃ শয়তানের বিচার হয়েছে…..
দিশাঃ চুপ করেন.. আপনার নাম মায়া কিন্তু আপনার মধ্যে মায়া দরদ তো দূরে থাক মনুষ্যত্ববোধ টাও দেখছি নেই..
মায়াঃ আমাকে শুনিয়ে কি হবে ওর সাথে লেগে থাকা দাগ টাকি মুছে ফেলতে পারবে…
সারা জীবন সবাই ওকে দর্ষিতা বলেই ডাকবে..
আর এই মেয়ে কে কোন ছেলে ও বিয়ে করবে না…
মায়ার বলা কথা শুনে চারু রুম থেকে বের হয়ে পরে
চারু এই ভাবে বের হয়ে পরায় দিশাও ওর পিছনে পিছনে চলে যায়…
চারু দিশার রুমে ভিতর ঢুকে দরজাটা লাগিয়ে দেয়..
দিশাঃ আল্লাহ এই মেয়েটা এইভাবে দরজা লাগিয়ে দিলো কেন।।।উল্টো পালটা না আবার কিছু করে বসে.
ভাইয়ার পারবে চারুকে কে থামাতে..
দিশা আহানকে কল দিলে
আহান ফোনটা রিসিভ করলে-
দিশাঃ ভাইয়া তাড়াতাড়ি করে বাসায় আসুন..
মায়া খালা চারুকে কথা শুনিয়ে দিয়েছে অনেক আর চারু রুমের দরজা আটকে দিয়েছে।। আমার অনেক ভয় করছে,।।।।।।।।
আহান দিশার বলা কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে গাড়ি ঘুরিয়ে খুব স্পিড এ গাড়ি চালিয়ে চলে আসে বাসায়…
আহানঃ ভাবি চারু কোথায়????
দিশাঃ ভাইয়া রুমের দরজা লাগিয়ে আছে খুলছেই না…
আহান কোন উপায় না পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পাইপ দিয়ে বেলকনি তে উঠে রুমে মধ্যে প্রবেশ করে…
সামনে তাকিয়ে দেখে চারু ফ্যান এ উড়না পেচানোর চেষ্টা করছে…..
আহান সাথে সাথে চারুর কাছে গিয়ে৷…..
আহানঃ কি করছো কি পাগলের মতো…………
চারু ঃ ছাড়েন আহান…. আমার থেকে দূরে সরে যান এখন আমি নোংরা হয়ে গিয়েছি………..
আহান চারুর কথা শুনে ওকে থাপ্পড় মারতে নিলে নিজের হাত থামিয়ে দিয়ে শক্ত করে চারুকে জড়িয়ে ধরে……..
আহানঃ তোমার সাহস কি করে হয় নিজের জীবনকে শেষ করার……
চারু ঃ এখন আপনি আমাকে ছেড়ে যাবেন তাইনা….
আহানঃ জীবন এর শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত ছায়া হয়ে তোমার পাশে থাকব…….
তুমি কি করে ভাবলে তোমার আহান তোমাকে ছেড়ে দিবে…..(কান্না করতে করতে)
চারু ঃ কাকিমা একটা ধর্ষিতা মেয়েকে কখনি নিজের ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিবেনা…… আহান….
আহানঃ কেউ মেনে নিক বা না নিক আহান থেকে চারুকে কেউ আলাদা করতে পারবেনা……
তারপর আহান চারুকে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে–
আহানঃ এখন তুমি একটু ঘুমাও……
চারু আহানের কথা শুনে আহানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে…..
আহান চারুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে কয়েক মিনিট এর মধ্যে ঘুমিয়ে পরে চারু…….
তারপর আহান রুমের দরজা টা খুলে দিলে–
দিশা ঃ ভাইয়া আপনি রুমের মধ্যে কিভাবে আসলেন??
আহানঃ ভাবি তুমি একটু চারুর পাশে গিয়ে বসো..
আমি আসছি……
কথাটি বলে আহান সোজা চলে যায় মিসেস সাবিনার রুমে।।।।।।।।
আহানঃ মায়া খালা আপনার সাহস কি করে হয় চারুকে এই সব কথা বলার( চিল্লিয়ে)
মায়াঃ দেখেছো আপু তোমার ছেলে আমার উপর চিল্লিয়ে কথা বলছে…….
রিয়াঃ মা তো ভুল কিছু বলেনি আহান….
ধর্ষিতাকে ধর্ষিতা বলতে দোষ কি…..
আহান রেগে মেগে রিয়া চুল টেনে ধরে কষিয়ে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয় রিয়ার গালে…….
আমার চারুকে নিয়ে আবার এই সব কথা বললে তোর জ্বিব টেনে ছিড়ে ফেলবো………
আহানের বলা কথা শুনে মায়া রিয়া আর সাবিনা শকড……
সাবিনাঃ আহান তুই…….চারুকে ভালো….
আহান ওর মার কথার কোন জবাব না দিয়ে তার হাতটা ধরে তাকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়
চারুর সামনে নিজের মাকে দাঁড় করিয়ে……
আহানঃ মা একবার তাকাও চারুর দিক….
কখনো ক্ষমা করতে পারবে নিজেকে?????????
তোমার ভুলের কারনে চারুর আজ এই অবস্থা…….
তোমার মেয়ে হলে কি পারতে মা এতো রাতে ওকে একা ছেড়ে দিতে…….আজ যদি ও গাড়ি টা সাথে করে নিয়ে যেত আজ হয়ত ওর নামের সাথে ওই বাজে শব্দ টা যোগ হতো না……
মিসেস সাবিনা আহানের বলা কথা শুনে ঘুমন্ত চারুর দিক এ তাকলে তার চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পরে……..
সাবিনা সাথে সাথে চারুর কাছে গিয়ে ওর হাত নিজের হাত এ রেখে—,
সাবিনাঃ আমাকে মাফ করে দে মা………
আমার কারনেই তোকে এতো কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে….
হঠাৎ চারু ঘুম ভেঙে গেলে—-
চারু ঃ কাকিমা…….
সাবিনা সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে চারুকে…..
সাবিনাঃ আমাকে তুই ক্ষমা করে দে মা,…….
আমি অনেক খারাপ আচরন করেছি তোর সাথে…
আজ আমার কারনেই ……(কান্না করতে করতে)…..
চারু ঃ………

চলবে……………

( রেপ আমাদের সমাজের একটি নিত্য দিনের কাহিনি..
আমরা মাঝে মাঝে পর মানুষ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপন মানুষ এর কাছে আশ্রয় নেই।কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের পরিচিত মানুষ গুলো সাপের মতো ছোবল মেরে বসে…..বেশি ভাগ আপন মানুষ রাই আমাদের ক্ষতি করে কারন আমরা খুব সহজেই তাদের বিশ্বাস করে ফেলি…… আর এই সব মানুষ দের একটি উদাহরণ হলো — মেহেদী…
আর আহানের মতো ছেলে ওআমাদের সমাজে আছে ছাড়া কোন অবস্থাতেই তার ভালোবাসার মানুষটার হাত ছাড়েনা… ছায়া হয়ে তার ভালোবাসার মানুষ টার পাশে থাকে….. এই পর্ব টা লিখতেই গিয়ে আমি অনেক ভয়ে ছিলাম…
নায়কা বিপদ এ পরসে নায়ক সাথে সাথে চলে এসে নায়কা কে বাচিয়েছে এইগুলা হয়ত মুভি তে পসিবেল.
আমি বাস্তবতা সাথে মিল রেখেই গল্প টা লিখেছি প্লিজ কেউ নিজের কমেন্ট এর মাধ্যমে আমার উপর bomb blast কইরো না.😩.)))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here