#নীরবতা
#নাইমা_জাহান_রিতু
#পর্ব_১৩
রাতের আকাশে তারারা দল বেধে ছোটাছুটি করছে। যেনো নিকষ কালো আঁধার আকাশে তাদের মেলা বসেছে। বাড়ি থাকতে এমন তারাভরা রাতের আকাশ সুহাকে নিয়ে প্রায়ই উপভোগ করা হতো। তবে আজ পাশে নেই সুহা। একাকী বসে তারার দিকে তাকাতেই বুকের ভেতরটা কামড়ে ধরছে কেউ৷ কী করছে সুহা? ছোটমা খোকনের মতোই আদর করে কি সুহাকে? হয়তো না। তবে যে কথা দিয়েছিল ছোটমা!
-“কী করছো একা বসে বসে?”
মেসবাহর গলার স্বরে ঘোর কাটলো উল্লাসীর৷ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে মেসবাহকে বসার জায়গা করে দিতেই বাধা দিল সে। নরম গলায় বললো,
-“তুমি বসো.. আমি আরেকটা চেয়ার আনছি ভেতর থেকে।”
তবুও বসলো না উল্লাসী। ঠাই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো মেসবাহর জন্য। লোকটি মাঝেমাঝে খুব বকে তাকে, আবার মাঝেমাঝে খুবই ভালোবাসে। যেমনটা তার মা বেঁচে থাকতে তার মাকে ভালোবাসতো তার বাবা…
ব্যালকনিতে চেয়ার এনে তাতে বসলো মেসবাহ। তারপর উল্লাসীর দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললো,
-“বসে পড়ো.. এত সম্মান দেখাতে হবে না।”
দু’কদম এগিয়ে চেয়ারে বসলো উল্লাসী। তারপর উদাস গলায় বললো,
-“বাবা মাকে যতটা ভালোবাসতো আপনিও কি আমায় ততোটাই ভালোবাসেন?”
বুকের ভেতরটা টিপটিপ করে উঠলো মেসবাহর। বাতাসে সজোরে একটি নিঃশ্বাস ছেড়ে ভাঙ্গা গলায় সে বললো,
-“ভালোবাসার মানে বোঝো?”
-“উহু.. তবে এটুকু জানি বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীকে দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসতে হয়।”
-“কে বলেছে এসব?”
-“ছোটমা বলেছে। আপনাদের বাড়িতে আসার পর অর্পা আপাও বলেছে।”
-“আর কী বলেছে?”
-“ছোটমা না অর্পা আপা?”
-“বড় আপা..”
-“উনি তো অনেক কথাই বলেছেন। এই যেমন আপনার সামনে সবসময় সেজেগুজে থাকতে বলেছে, আপনার সামনে শাড়ি আঁচল ঠিকঠাক ভাবে নিতে নিষেধ করেছেন। এমন ভাবে নিতে বলেছেন যাতে কোমর এবং বুক দুই-ই দেখা যায়।”
হালকা কেশে উঠলো মেসবাহ। প্রসঙ্গ পালটাতে বললো,
-“তুমি আজ মুন্নি ভাবিকে উলোটপালোট কিছু বলো নি তো? ভাবি আজ আমায় কিছু একটা বলতে চাইছিল।”
-“উহু.. তেমন কোনো কথাই আমি বলিনি। তাছাড়া উনি কালকের মতো তেমন কিছু জিজ্ঞেসও করেনি। করলে আবারও জানিনা জানিনা বলে কাটিয়ে দিতাম।”
মৃদু হেসে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো মেসবাহ। বললো,
-“চলো, শুয়ে পড়ি। রাত অনেক হয়েছে।”
-“আরেকটু থাকি?”
-“না.. চলো চলো।”
একরকম জোর করেই উল্লাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে এল মেসবাহ। তারপর উল্লাসীকে বিছানা গোছাতে বলে সে এগুলো ওয়াশরুমের দিকে। বড় আপা বাচ্চা এক মেয়েকে এসব অশ্লীলতা কিভাবে শেখায় তা মোটেও মাথায় আসছে না তার।
-“আম্মা, চৈতালি কী আজ এসেছিল?”
-“না, আসে নাই। শোন, তোর আব্বা তোরে বলতে বলছে…”
মোরশেদা বেগমের কথা উপেক্ষা করে দ্রুত তার ঘরে ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো অনা। পা বাড়ালো চৈতালির বাড়ির উদ্দেশ্যে। কাল রাতে ভেবেছে সে। চৈতালির সঙ্গে তার করা ব্যবহার নিয়ে অনেক ভেবেছে। ছবি পুড়িয়ে একজনকে নিজের পাশ থেকে সরিয়ে ফেললেই নিজের জীবন থেকে তার উপস্থিতি মুছে ফেলা যায় না। তাছাড়া কেনোই বা চৈতালিকে নিজের জীবন থেকে মুছে ফেলবে সে? মুবিন ভাই এবং তার সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু জানায়নি বলে? তাহলে নিজের একাজের বাচ্চামো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো নাম খুঁজে পাচ্ছে না সে। হয়তো এখানে চৈতালির কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে যেমনটা তাকেও জুড়ে দিয়েছে এমাদ। যার কারণে মন সারাক্ষণ আনচান করলেও কিচ্ছুটি মুখ ফুটে বলতে পারছেনা সে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ চৈতালিকে। হয়তো তার ক্ষেত্রেও মুবিন ভাই নিষেধ করেছে, বোনের সামনে অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে! তবে সে অপেক্ষা করবে। নিজে থেকে চৈতালি যেদিন মুখ ফুটে সবকিছু জানাবে তাকে সেদিনই নিজের বন্ধুত্বের এই রাজত্বে চৈতালিকে জয়ী করে তার হাতে তুলে দেবে একটি উপহার। এবং যেটিই হবে তার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে পায়ের গতি বাড়ালো অনা। কাঠফাটা রোদের মাঝে আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে হেঁটে ঘামে পুরো শরীর ভিজে উঠেছে তার। সূর্যর প্রখর তাপে খানিকক্ষণ পরপর শরীর জ্বলে জ্বলে উঠছে।
সন্ধ্যা নেমেছে কিছুক্ষণ। আকাশে প্রচুর মেঘও ধরেছে। মুশলধারে বৃষ্টি হবে হয়তো। চিন্তা হচ্ছে উল্লাসীর জন্য। কিন্তু উপায়ও নেই। সন্ধ্যার আগে না হোক তার খানিক পরেই বাড়ি তাকে ফিরতেই হবে। টানা তিনজন রোগীকে সময় নিয়ে দেখলো মেসবাহ। স্নায়বিক সমস্যা বাংলাদেশে খুব প্রচলিত সমস্যাগুলোর মধ্যে না হলেও এতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এবং সপ্তাহের পাঁচদিনেই রোগী দিয়ে ভর্তি থাকে সিরিয়ালের খাতা। লম্বা কিছু দম ছেড়ে রায়হানকে ডাকলো মেসবাহ। ক্লান্ত গলায় বললো,
-“বাইরে আরও কতজন আছে?”
-“আছে স্যার বেশ কিছু।”
-“আমার শরীরটা আজ ভালো লাগছে না। আজ আর পেশেন্ট দেখবো না। উনাদের নিষেধ করে দাও।”
-“স্যার, বেশি খারাপ লাগতেছে কী?”
-“না, তুমি গিয়ে একটা রিকশা ডাকো। আমি আসছি।”
রায়হান বেরিয়ে যেতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো মেসবাহ। হাত ঘড়িতে সময় দেখে উঠে পড়লো চেয়ার ছেড়ে। ডাক্তারী পেশায় নতুন এলেও চারিদিকে যেভাবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে তাতে সামনে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার। তবে এভাবে উল্লাসীর জন্য কাজে গাফলতি দিলে সেই সুনাম দুর্নামে পরিবর্তন হতেও সময় লাগবে না। কিন্তু এপরিস্থিতিতে ঠিক কী করনীয় তার? দিনটুকো সমস্যা না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত উল্লাসীকে কারো কাছে রেখে আসতে পারলে সবচেয়ে ভালো হত। তবে কার কাছেই বা রেখে আসবে? তাছাড়া প্রতিদিন এভাবে অন্যের বাড়িতে রাখা তারাই বা কিভাবে নেবে! উদ্বিগ্ন মনে রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে গেইটের দিকে এগুতেই তার নজরে এল দল বেধে কয়েকটি মেয়ে পিঠে ব্যাগ চাপিয়ে ঢুকছে কিছুদূরের আদর্শ নামের এক কোচিং সেন্টারে। সাথেই সাথেই চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো মেসবাহর। লেখাপড়ার ব্যপারে না উল্লাসী কিছু বলেছে তাকে আর না সে নিজে উল্লাসীর কাছে কিছু জানতে চেয়েছে। নানান কিছুর ভীড়ে লেখাপড়ার ব্যপারটি মাথা থেকে বেরিয়েই গিয়েছিল তার। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। ছোট্ট একটি নিঃশ্বাস ফেললো মেসবাহ। পা বাড়ালো লিফটের দিকে। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি নয়টা.. যতটুকু সময় সে রোগী দেখবে ততটুকু সময় না হোক কোচিং সেন্টারেই সময় কাটাক উল্লাসী। বাদবাকি রইলো স্কুল। তা নয় ধীরেসুস্থে খোঁজ খবর নেয়া যাবে। বছরের মাঝামাঝিতে এসে কোনো স্কুলে উল্লাসীকে ভর্তি করানো যাবে কিনা তা অবশ্য জানা নেই তার।
-“এই মেসবাহ.. আরে এই মেসবাহ।”
কলিংবেল চাপার আগেই পাশ থেকে মুন্নি সরকারের গলার আওয়াজ থামিয়ে দিল মেসবাহকে। একরাশ ক্লান্তি নিয়ে পাশ ফিরে সে জবাব দিল,
-“জ্বি ভাবি, বলুন।”
-“টায়ার্ড মনে হচ্ছে!”
-“জ্বি, তা তো একটু আকটু।”
-“সমস্যা নেই। বাসায় গিয়ে রেস্ট নিলেই ঠিকঠাক হয়ে যাবে। তা কাল যা বলছিলাম!”
বিরক্তর সীমা ছাড়িয়ে গেলেও ভদ্রতার খাতিরে চুপচাপ ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো মেসবাহ। চোখমুখে হাসির রেখা ফোটাতে ব্যর্থ হয়ে সে অস্পষ্ট গলায় বললো,
-“বলুন..”
-“তুমি তো উল্লাসীর ভাই। দুঃসম্পর্ক হও বা কাছের.. ভাই তো ভাই-ই। তো যা বলছিলাম, উল্লাসীর বাবামা যেহেতু তোমার ভরসায় ওকে এখানে পাঠিয়েছে সেহেতু ওর বর্তমান গার্ডিয়ান তুমিই। তাই আরকি তোমার কাছেই বলা! উল্লাসীর সঙ্গে শীতল ভাইয়ের বিয়ের কথা ভাবছিলাম। তোমার কী মত এতে?”
মুন্নি সরকারের কথা ঠিক বোধগম্য হলো না মেসবাহর। ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“কী বললেন?”
-“আরে আমার ভাই আছে না শীতল? ওর সাথে উল্লাসীকে নিতে চাই আমরা। মেয়েটি দারুণ মিষ্টি। প্রথম দেখাতেই আমার মনে ধরে গিয়েছিল।”
চোখ যেনো কপালে উঠে গেলো মেসবাহর। হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে রইলো মুন্নি সরকারের মুখ বরাবর।
-“আমার ভাই মাশাল্লাহ ব্যবসাপাতি ভালোই করে। তোমার ভাই চাকরি নিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আমার ভাই কোনোভাবে তা কানেই নেয় না। আসলে ও আমাদের এলাকায় সফল এক ব্যবসায়ী তো। তাই ব্যবসা ছাড়তে চায় না। আমি বলি চাকরি, ব্যবসা দুইটাই তুমি করো। তুমি তো আবার মাল্টিট্যালেন্টেড.. ঠিক বলেছি না?”
ওপাশ থেকে মেসবাহর জবাব না পেয়ে কপাল কুঁচকে গেল মুন্নি সরকারের। গলা উঁচিয়ে সে ডেকে উঠলো মেসবাহকে।
-“কী হলো? বললে না তোমার মত কী এতে?”
বিস্ময় যেনো কাটছেই না মেসবাহর। মহিলার মাথায় এমন কিছু খেলবে তা মনের ভুলেও কখনো মাথায় আসেনি তার। মহিলা তো মহিলা নয়.. আস্ত গরুর গবর। উভয়ের কাজই মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা। নিজেকে কোনোরকম সামলে নিল মেসবাহ। জোর গলায় বললো,
-“অসম্ভব!”
-“অসম্ভব কেনো?”
একদন্ড ভেবে মেসবাহ বললো,
-“অসম্ভব কারণ, উল্লাসী ছোট। ওর বিয়ের মতো বয়স হয়নি।”
-“খুব হয়েছে। যে মেয়ের পিরিয়ড শুরু হয়েছে, সে মেয়ের বিয়ের বয়সও….”
কথা শেষ করার আগেই জিহবা কামড়ে নিজেকে সামলে নিল মুন্নি সরকার। কথার মোড় ঘোরাতে দ্রুত বলে উঠলো,
-“ভাই হিসেবে তুমি চাওনা তোমার বোনের ভালো জায়গায় বিয়ে হোক?”
চোখমুখে একরাশ বিরক্তি ফুটিয়ে মেসবাহ জবাব দিল,
-“উল্লাসী ছোট৷ আপনি দয়া করে আর এসব কথা তুলবেন না।”
-“কেনো? সমস্যা কোথায়? আজ বিয়ে দাও বা দশ বছর পর, আমার ভাইয়ের চেয়ে যোগ্য ছেলে কখনোই পাবে না।”
-“আশ্চর্য! আপনি এক কথা বারবার কেনো বলছেন?”
-“তুমি শুধুশুধু ক্ষেপছো কেনো? যাকগে! তুমি দুঃসম্পর্কের ভাই, দূরেই থাকো। দেখি ওর বাবা মা কারো ফোন নাম্বার দাও। বা যোগাযোগ করার কোনো ওয়ে বলো। উনারা নিশ্চয় অমত করবে না! মেয়েকে অন্যের বাসায় ঝিগিরি না করিয়ে বিয়ে দেয়াটাই কি বেটার অপশন না?”
-“বললাম তো বিয়ে দিব না। আপনি প্লিজ যানতো।”
ক্ষুব্ধ গলায় কথাগুলো একদমে বলেই পকেট থেকে চাবি বের করে সদর দরজা খুললো মেসবাহ। তারপর দ্রুত পদে ভেতরে ঢুকেই মুন্নি সরকারের মুখের উপর বন্ধ করে দিল দরজা।
-“আপনি আজ এত দেরিতে এসেছেন কেনো? আমি যে একা ভয় পাই তা আপনি জানেন না?”
-“একা কোথায় থাকো তুমি? আমি যাবার পরপরই যে ওই ভুটকি মহিলাকে বাসায় ডেকে আনো, তা আমি বুঝি না মনে করেছো?”
-“ভুটকি মহিলা কে?”
-“এখন তো চিনবাই না! অথচ সারাদিন তার সাথে ঘুরঘুর করো। ইচ্ছে করেই নিজেকে তার সামনে এভাবে প্রেজেন্ট করো যাতে উনি…”
দাঁতে দাঁত চেপে হাত থেকে ব্রিফকেস বিছানায় ছুড়ে ফেললো মেসবাহ। তারপর ক্রুদ্ধ গলায় আবারও বললো,
-“বাচ্চা একটি মেয়ে.. যে না আমার হাটুর সমান বয়স! তার আবার একটা বিয়ে করে হয় না। আরো বিয়ে করার শখ জাগছে মনে.. না?”
হতবাক চোখে মেসবাহর দিকে তাকিয়ে রইলো উল্লাসী। ভুটকি মহিলা, হাটুর সমান বয়স, বিয়ে.. এর কোনোটির অর্থই বুঝে উঠতে পারছে না সে। তবে এটুকু বুঝতে পারছে বকাবকি শোনার সময় ঘনিয়ে এসেছে তার।
-“ছ্যাঁচড়া মহিলা, ভুড়িওয়ালা মহিলা, চামার মহিলা, জল্লাদ মহিলা, রাক্ষস মহিলা… আমার বউয়ের বিয়ে ঠিক করে! কেন রে? আমার বউকে আমি খাওয়াতে পড়াতে পারবো না যে অন্য ব্যাটার সাথে তার বিয়ে দেব আমি? বলো, পারবো না?”
ঢোক গিলে উল্লাসী জবাব দিল,
-“হু.. পারবেন?”
-“তাহলে জ্বলে কেনো ওই ভুটকির? আবার যদি দেখছি তুমি ওই মহিলার সাথে মেলামেশা করছো, তাহলে তোমাকে পুরো একরাত এই বাসায় একা রেখে আমি হসপিটালে গিয়ে থাকবো। তারপর সেই রাতে তুমি বুঝবা ভুতগীরি কী আর কত প্রকার!”
বলেই হন্যে পায়ে পাশের ঘরের দিকে এগুলো মেসবাহ। না মুন্নি সরকার না উল্লাসী, কারোর উপর রাগ হচ্ছে না তার। রাগ হচ্ছে নিজের উপর। সে মানুক আর নাই মানুক, উল্লাসী তার স্ত্রী। এবং তীক্ত হলেও এটি সত্য। তাহলে কেনো বেশি বুঝে উল্লাসীকে দুঃসম্পর্কের বোন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে তার?
(চলবে)