এমনও প্রেম হয় পর্ব:-২৪

0
1172

#এমনও_প্রেম_হয়
#ইয়ানা_রহমান
#পর্ব:-২৪

ফুলে ফুলে সাজানো বাসর ঘরে বসে আছে লিয়া। আধা হাত ঘুমটা টেনে। ঘুমটার ভিতর সে কেঁদে চলেছে। কি হবে আজ আল্লাহই যানে।

সে কিছুটা ভীত কিছুটা চিন্তিত। আবার লজ্জিতও। কথাটা কিভাবে বলবে উদয়কে।

ওর পিরিওড চলছে। সেকেন্ড ডে চলছে আজ। প্রচণ্ড ব্যাথা হচ্ছে তলপেটে আর সেই সাথে খুব ব্লিডিংও হচ্ছে। এই কথা উদয় যখন জানবে তখন কি হবে তার রিয়েকশন?

সেতো মানতেই চাইবে না, উল্টো রেগে যাবে ভীষন।কারণ তার মাথায় তো ঘোরে ওই এক ভাবনা। আমাকে খুবলে খাওয়াই যেনো তার একমাত্র কাজ।

উদয়ের সাথে ফোনে ভিডিও কলে কথা বলে বলে এখন দুজনার সম্পর্ক একেবারেই সহজ হয়ে গেছে। তারপরও লিয়া ভীষন ভয় পাচ্ছে। কালকেও ফোনে কথা হইছে। এই কথা সে উদয়কে বলে নি। এটা কি বলা যায়? কি ভীষন লজ্জার কথা। লজ্জা বলেও তো একটা কথা আছে।

লোকটার মুখে আজে বাজে নোংরা কথা লেগেই থাকতো সব সময়।

এমন সব নোংরা কথা বলতো লজ্জায় লাল হয়ে যেতো লিয়া আর কান গরম হয়ে যেতো। এই সব পঁচা কথা কি সব হাসবেন্ডই বলে !?

উদয় রুমে আসতে পারছে না তার বন্ধুরা তাকে ছাড়ছে না। এই কথা সেই কথা বলে হাসছে আর খেপাচ্ছে।

উদয় জোর করে উঠে যেতে চাইলে ওর এক বন্ধু রতন বললো এই তুই এতো বউ পাগলা হলি কিভাবে? আগে তো কোন মেয়ের দিকে ফিরেও তাকাতি না,

তাহলে তোর বউ কি মেয়ে মানুষ না। উতলা হচ্ছিস যে খুব।

উদয় বললো অন্য মেয়ে আর বউ কি এক হলো!তিনবার কবুল পড়া বউ আমার। এই বউটা আমার জন্য হালাল। তাই হালাল প্রেমটা হবে বউর সাথেই।

আমার সমস্ত ভালোবাসা আমার বউর প্রাপ্য। বউর সাথে প্রেম করবো বলেই এতো গুলো বছর নিজেকে সংযত রেখেছি।

রফিক বললো সেদিক থেকে তোর বউ খুব ভাগ্যবতী একেবারে ইনটেক জিনিস পাইছে। শুধু বয়সটাই একটু বেড়ে গেছে তোর, বলেই সবাই হেসে উঠলো।

তুই বুইড়া আর ভাবি একটা বাচ্চা মেয়ে।
দেখিস সাবধান আবার ডাক্তার ডাকতে যেনো না হয়। হ্যান্ডেল উইথ কেয়ার, আবার আরেক দফা হাসির রোল পরে গেলো।

আমি মোটেও তেমন না, খুব ভদ্র আর প্রেমিক পুরুষ হবো।

আমার বউকে কখনোই কষ্ট দেবো না। খুব ভালোবাসবো।

তোদের মত নাকি, প্রেম করে বিয়ে করে রোজ বউয়ের সাথে ঝগড়া করিস। আর বউ রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যায়। বউর বিরহে কেঁদে মরিস তারপর আবার পায়ে ধরে নিয়ে আসিস।

সাজ্জাদ বললো প্রেম করে বিয়ে করা কি খারাপ নাকি? আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো থাকে দুজনের মধ্যে।

উদয় বললো প্রেম করে বিয়ে করা ছাড়াও আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং খুব ভালো হবে দেখে নিস।

বড় বড় লেকচার ঝারিস না, আসলে তুই ভাবির রূপ দেখে দিওয়ানা হইছিস।

সবাই বলে উঠলো এটা সত্যি। তোর বউ মানে আমাদের ভাবি অনেক সুন্দর মাশা আল্লাহ দেখতে।

এবার আমায় যেতে দে ভাই, বউ অপেক্ষা করছে আমার জন্য। রিসেপশন পার্টিতে যার যার ফ্যামিলি নিয়ে আসবি কিন্তু।
এবার তোরা বিদেয় হ। তোরা কাবাব ম্যে হাড্ডি হতে চাচ্ছিস কেন?

রফিক বললো বাসর ঘরে যাওয়ার এতো তাড়া কিসের তোর। বউ তো ঘরেই আছে। সে কোথাও পালিয়ে যাচ্ছে না। বরং আমাদের একটু সময় দে।

বিভিন্ন কাজের ঝামেলায় থাকি আমরা সবাই। আমাদের তো এখন আগের মত দেখাও হয় না খুব একটা। আজ তোর বিয়ে বলে সবাই একত্র হয়েছি।

আরো কিছুক্ষন বন্ধুদের সাথে গল্প করে উদয় একরকম ছুটেই চলে এলো নিজের ঘরে।

কারণ গল্পে তার মন নেই, মন পড়ে আছে বাসর ঘরে। বধূবেশে যে বসে আছে তার কাছে যে মনটা বাধা পড়ে আছে। কত কল্পনার এই রাত। কত প্রতীক্ষার এই রাত।

ঢুকে দরজা লক করে দিয়ে লিয়ার কাছে গিয়ে বসলো। কিছুক্ষণ ভালোবাসার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে, দুই হাত দিয়ে ওর মুখ শক্ত করে ধরে, ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চুমু খেলো। তারপর কাপড় চেঞ্জ করতে খাট থেকে নেমে গেলো।

লিয়া নিজেও খাট থেকে নেমে উদয়কে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো।

উদয় লিয়ার দুই বাহু ধরে উঠিয়ে খাটে বসিয়ে দিলো।

ওর বা হাতের আঙ্গুলে একটা ডায়মন্ড রিং পরিয়ে দিলো।
বললো এটা তোমার জন্য স্পেশাল নাইটের গিফট।

তারপর গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে এলো। উদয় একটা গ্রে কালারের ট্রাউজার আর নেভি ব্লু কালারের টিশার্ট পড়েছে। চুল আঁচড়ে বডি স্প্রে লাগিয়ে বিছানায় এসে বসলো। খুব চিল মুডে আছে সে।

ফিরে এসে আবার সে চুমুর রাজ্যে হারিয়ে গেল।

যত্রতত্র পাগলের মত চুমু দিতে থাকলো।

লিয়ার গায়ের ভারী গহনা গুলির জন্য একটু অসুবিধা হচ্ছিলো।

বললো, এই গহনা গুলিতে তোমার অসহ্য লাগছে না?

লিয়া বললো হ্যা, খুব খারাপ লাগছে।

উদয় নিজেই একে একে সব গহনা খুলে দিলো।

এবার একটা সুন্দর বক্স এগিয়ে দিলো লিয়ার দিকে, বললো চেঞ্জ করে এসো।

লিয়া বক্সটা খুলে দেখলো ভিতরে লাল রঙের সুন্দর একটা নাইটি।

ও নড়লো না। চুপচাপ বসে রইলো। পেট ব্যথার কারণে ওর নড়তেও ইচ্ছা করছে না।

উদয় তারা দিলো কি হলো চেঞ্জ করে এসো।

অগত্যা লিয়া নাইটি নিয়ে চেঞ্জ করতে ওয়াশরুমে গেলো।

পার্লারের এতো হেভি মেকাপ আর ফোলানো চুল বাঁধা খুব খারাপ লাগছিলো, মাথাটা কেমন ভারভার লাগছিলো। মুখের মেকআপ তুললো, ফেসওয়াশ দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে নিলো।
তারপর আস্তে আস্তে চুলের ক্লিপগুলি খুলে, চুলের জট ছাড়িয়ে চুল আঁচরে নিলো।

ও ইচ্ছে করেই একটু বেশি সময় নিচ্ছে, যাতে উদয় অপেক্ষা করে করে ঘুমিয়ে পড়ে।

যদিও লিয়া জানে উদয় ঘুমানোর লোক না, তারপরও মনের ক্ষীণ আশা।

তারপর হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে।

উদয় দিব্যি বসে আছে বিছানা। উসখুস করছে আর অপেক্ষা করছে ওর জন্য।

বললো, এতক্ষণ লাগে চেঞ্জ করতে?
কি করছিলে এতক্ষণ?

একটু মুচকি হেসে বলল ওয়াশরুমে গিয়ে কি ঘুমিয়ে গেছিলে?

না ঘুমাবো কেন, মেকাপ তুললাম, চুল আঁচড়ে নিলাম।

উদয় বললো তোমাকে এমন বিষন্ন দেখাচ্ছে কেন?

কিছু না এমনি শরীর ভালো লাগছে না। জ্বর জ্বর লাগছে। মাথাও ধরেছে খুব।
একটু ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে।

মানে কি? আজ আমাদের ফুলসজ্জার রাত। আর তুমি ঘুমাতে চাইছো?

লিয়া বললো, আমাদের রাত জাগা বাসরতো আগেই হইছে। এখন আবার কি ?

না হয়নি আজকেই হলো আসল ফুলসজ্জা রাত। আর আগেরটা ছিল বাড়তি পাওনা। বলে হাসতে লাগলো উদয়।

আমি ওর পাশ কাটিয়ে গিয়ে চুপ করে শুয়ে রইলাম। ওর কথার উত্তর দিলাম না।

হঠাৎ করে উদয় একরকম ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার ওপর। হায়নার মতো ছিড়ে খুবলে খেতে থাকলো আমায়। আমি সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।

অনেক সাহস করে বললাম, আমার পিরিওড চলছে, আজকে ওসব কিছুই হবে না।
আমার তলপেটে প্রচুর ব্যাথা করছে।
আমাকে একটু রেস্ট নিতে দেন।

এই কথা শুনে ও ভীষণ খেপে গেল।
আমি বিশ্বাস করি না, আমি চেক করবো।

এই কথা শুনে আমি খুব শকড হলাম।
আমার চোখে পানি এসে গেল। আমার শরীর অসুস্থ সে দিকে কোন খেয়াল নেই। সে আছে তার কামনা চরিতার্থ করার চিন্তায় অস্থির।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম আর অবাক হলাম এইজন্য যে সে চেক করেই ছাড়লো।

আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো,
জিজ্ঞেস করলো, কতদিন চলছে?

আমি কেদে কেদে বললাম, আজকে সেকেন্ড ডে চলছে।

বললো ভালো, এখন ছুটিগুলি ঘরে বসেই নষ্ট করে ফেলি।

অফিস থেকে এক সপ্তাহ ছুটি নিলাম হানিমুনে যাবো বলে। আর তুমি আমার সব আশায় পানি ঢেলে দিলে।

কতক্ষন চিল্লাচিল্লি করে আমার নাভির ঠিক নিচে হাত দিয়ে মুঠোতে যতটা মাংস আসে ততটা মুঠোয় নিয়ে জোড়ে একটা মোচড় দিলো।

ব্যাথায় আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছিলো। আমি কষ্টে চিৎকার করে উঠলাম সে সাথে সাথে আমার মুখ চেপে ধরলো।

মুখ বুজে সব সহ্য করলাম। তারপরও তার অসভ্য, অবাধ্য দুটি হাত আর মুখ জিভ দাত থেকে রক্ষা পাইনি।

এতো সব করার পরও তার রাগ কমেনি। রেগে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে ফুল দিয়ে সাজানো খাটটা তছনছ করতে থাকে।
ফুলগুলি দুই হাত দিয়ে টেনে ছিড়ে ফেলতে থাকে আর বলতে থাকে, ফুলশয্যাই যখন হলোনা তখন ফুল দিয়ে কি হবে।

ওর রাগ দেখে আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গেলাম। ওর এই রাগের সাথে আমি পরিচিত না। এতো রাগতে কখনো দেখিনি।

কেমন করে এই মানুষটার সাথে আমার ভালোবাসা হবে। আমি যতই নিজেকে তার কাছে ভালোবাসায় সমর্পিত হতে চাই, ততবারই প্রচণ্ড শক পাই। আমি তখন মনের জোর হারিয়ে ফেলি। নিজেকে গুটিয়ে ফেলি।

আমি কি শুধুই ভোগের বস্তু? যার কাছে আমার মূল্য শুধুই একজন বেড পার্টনার হিসেবে। যে কিনা সদাই তার মনোরঞ্জন করবে।
আর সেটা করতে না পারলে সব লন্ডভন্ড করে দিবে।

এরপর উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে রাগে গজগজ করতে থাকে।

আমার শারীরিক এই অবস্থা যেন আমি নিজেই বানিয়েছি। এটা আমার অপরাধ।

উদয় ভীষণ রেগে আছে। আমি ভাবতে লাগলাম হয়তো ফুলসজ্জার রাত নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা ছিলো, কোন স্বপ্ন সাজিয়েছিলো। আমার কারনেই আজ তা নষ্ট হলো।

আমার নিজের কাছেও অপরাধী লাগছে নিজেকে।
কালকে বৌভাত, বাড়ি ভর্তি মেহমান।
রেগে গিয়ে না আবার কোন সিনক্রিয়েট করে, আমি সে ভাবনায় অস্থির। তাকে দিয়ে কিছুই অসম্ভব না।

তারপর আমি আমার সব কষ্ট একপাশে রেখে ব্যথা ভুলে, ওর রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করতে থাকি।

ওর পিঠের সাথে লেগে ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলাম কিছুক্ষন।

উদয় দুইবার আমার হাত ছুড়ে ফেলার মতো জোরে সরিয়ে দিলো।

আমি আবারও ওকে জড়িয়ে ধরে বললাম, প্রথম বাসরে কিন্তু আপনি বলেছিলেন, রাতে আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকবো না।

আপনি বলেছেন আর আপনিই ভুলে গেছেন সে কথা! আমি কিন্তু ভুলিনি!

এবার আর হাত সরিয়ে দেয় না। আমি বুঝলাম রাগ কিছুটা কমেছে।

নিজেই আমার দিকে ফিরে শোয়। টেনে নেয় আমাকে বুকে।
তারপর আমার কপালে চুমু এঁকে দিলো। আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিলো।

বললো, দিনে যেখানেই থাকি না কেন, রাতে আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে থাকবো না। একে অপরকে বুকে নিয়ে ঘুমাবো।

এই কথা আমি ভুলে যাইনি, এটা আমার চিরদিনের লালিত স্বপ্ন।

আমি একটু শান্তি পেলাম,আজকের মত রেহাই পাওয়ার জন্য। এটুকু বুঝলাম ওর রাগ খুব বেশি, ও রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না।

দুজনেই দুজনকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।

আজ আমাদের রিসেপশন পার্টি।
গলফ ক্লাবে হবে এই পার্টি।
আমাকে পার্লারে নিয়ে গেল আমার ননদ রিমি আপু।

আগেই বুকিং দিয়ে রাখা ফারজানা শাকিলের পার্লারে গেলাম আমরা।
সাথে গেল
উদয়ের কাজিন সিস্টাররা। ওরাও পার্টি উপলক্ষে সাজবে। ভাইয়ের বিয়ে বলে কথা।
আমাকে খুব জমকালো ব্রাইডাল মেকাপ করা হলো।
সাজগোজ শেষ হলে আমরা সরাসরি ক্লাবে চলে যাই।

সেখানে গিয়ে দেখি উদয় হেভি সুটেড বুটেড হয়ে এসেছে।

ওকে দেখতে বেশ ভালো লাগছে। চেহারায় কোন রাগের ছাপ নেই। বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে।

আজই প্রথম ওকে দেখে আমার ভালো লাগলো।
সবার চোখ এড়িয়ে আমাকে ফ্লাইং কিস করলো উদয়।

আমার আর উদয়ের
ফটোশুট হলো।
প্রচুর ছবি তোলা হলো। খুব কাছাকাছি স্টাইলে অনেকগুলি ছবি তোলা হলো।
আজই প্রথম উদয়কে দেখে আমার ভয় বা বিরক্ত কিছুই লাগছে না। বরং একটু ভালই লাগছে।

রিসেপশন পার্টিতে নিমন্ত্রিত অতিথিরা একে একে সবাই আমাদের সাথে ছবি তুললো।
আমার আব্বু আম্মু আত্মীয় স্বজনরা সবাই এলো।

উদয় তাদেরকে সালাম দিলো হ্যান্ডসেক করলো, কোলাকুলিও করলো। সবার সাথে খোশ মেজাজে কথা বললো।
তাদের সাথেও অনেক ছবি তোলা হলো।

আমি অবাক হয়ে এক নতুন উদয়কে দেখলাম। রাতের বন্ধ ঘরের উদয় আর এই উদয় সম্পূর্ণ দুজন আলাদা মানুষ।

বন্ধ দরজার পিছনে সে যতটা ভয়ংকর সবার মাঝে সে ততটাই ভদ্র আর অমায়িক।

পার্টি শেষ হলে শ্বশুর বাড়ির সবার কাছ থেকে বিদায় নিলাম। তারপর আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

(বানানের ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন)

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here