#গোধূলী_আকাশ_লাজুক_লাজুক (পর্ব-৫)
সিজন ২
লেখক— ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
১০.
আজ রাস্তায় জ্যাম ছিল না। হ’র’তাল অবরোধে মানুষের ভী’তি আছে যে তাই। ইরফান গাড়ি থামায় একেবারে তাদের অ্যাপার্টম্যান্টের সামনে। গাড়ি দিয়ে এখানে আসতে তাদের সাত মিনিট লেগেছে। যদি বড় রাস্তা থেকে সোজা যেত তাহলে প্রায় দুই মিনিট লাগতো। উল্টো পথে আসার কারণেই তুলনামূলক বেশি সময় লেগেছে। এই অল্প সময়টা মেহজার কাছে খুব বেশি লেগেছে। সে চাইছিল আরো আগেই চলে যেতে। ইরফানের পাশে বসে থাকতে তার বুক অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁপছিল। ইরফান কোনো কথা বলেনি, নির্বিঘ্নে ড্রাইভ করছিল। গাড়ি থেকে নামার পর মেহজা ইরফানকে বলল,
-‘থ্যাঙ্ক ইউ ভাইয়া।’
-‘ইটস্ ওকে। টেক কেয়ার।’
ইরফান আবারও গাড়িতে গিয়ে বসে। মেহজা জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মাথাটা একটু নিচে নামিয়ে বলে,
-‘আপনি বাসায় যাবেন না?’
-‘যাব। কিছু কাজ আছে।’
-‘কিন্তু ওখানে গ্যাঞ্জাম চলছে।’
-‘সমস্যা নেই। আমি এসবে অভ্যস্ত।’
-‘কীভাবে!’
-‘কোনো এক ভাবে।’
ইরফান মুঁচকি হাসে। তারপর মেহজাকে বলে,
-‘বাসায় যাও। রেস্ট করো। আর হ্যাঁ! এসব নিয়ে চিন্তা করবেনা। এসব স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে হবে। আমি জানি তুমি ভ’য় পাচ্ছো এখনো। তবে এখন তুমি সেইফ। তাই অযথা এসব ভেবে ভ’য় পেয়ে অসুস্থ হওয়ার কোনো মানে হয় না। বাই দ্য ওয়ে! তোমার তো পাঁচটায় আমাদের বাসায় যাওয়ার কথা না?’
-‘না আজ যাব না।’
-‘কেন?’
-‘আমার ফুপি এসেছেন। আমি তার সাথে সময় কা’টাবো।’
-‘এটা কোনো কারণ হলো? পড়ালেখায় এমন ফাঁকিবাজি করলে লাভের লাভ কিছু হবে না। মেজো আপু স্ট্রিক্ট পার্সোন। আই থিঙ্ক সে এসব টলারেট করবেনা।’
-‘যেতেই হবে!’
-‘আমার তো মনে হয় যাওয়া উচিত। তোমার নিজের জন্যই।’
-‘তাহলে যাব।’
ইরফান আবারও মৃদু হাসে। মেহজার ওই হাসি অদ্ভুত ভাবে খুবই ভালো লাগছে। কেমন যেন টানছে। মেহজা বাই বলে দ্রুত পা চালায়। এই লোকের আশেপাশে থাকতে এমন লাগছে কেন? কই গতকালও তো এমন লাগেনি। বরং তাকে অপমান করায় ধরে পিটাতে মন চাইছিল। আশ্চর্য!
————–
রাতে মেহজা এক প্যাকেট ডালমুঠ আর একটা কোকাকোলা নিয়ে টিভির সামনে বসে। রাতের একটা সেই কখন বেজেছে! ঘুম কী আর আজ ধরা দেবে? সমবয়সী কাজিন ‘চমক’ এসেছে। চমক তার ফুপাতো বোন। তারা একই ক্লাসে তবে কলেজ আলাদা। চমক হলি ক্রসে মেহজা ভিকারুন নিসায়। তাদের মধ্যকার মিল বন্ধন সেই ছোটবেলা থেকে। বয়সে মেহজা চমকের দুই মাসের ছোট। চমক তাই সবসময় একটু বড় বড় ভাব ধরে। এখন তারা লেট নাইট মুভি দেখবে। অবশ্যই এই সময়ের জন্য চাহিদার মধ্যে থাকবে হরর। তো তারা ঠিক করেছে একটা হরর মুভি দেখবে। দরজা জানালা বন্ধ করে রেখেছে যাতে কেউ শব্দ না শুনতে পায়। সামনেই পরীক্ষা এখন রাত জেগে মুভি দেখলে যে পিঠে সপাং সপাং দুই ঘা পড়বে তা ভালোই জানা আছে তাদের। সব সেট করে যখন বসল তখন খেয়াল হলো মুড়ি নেই। স্বাভাবিক ভাবে সবাই মুভি দেখতে গেলে পপকর্ণ খায় তবে মেহজা কিংবা চমক কারোরই পপকর্ণ পছন্দ নয়। মেহজাকে অগত্যা বাধ্য হয়েই উঠতে হলো। সে ধীমি পায়ে এগিয়ে গেল কিচেনে। কিচেন এমন একটি জায়গা যেখানে শব্দ করতে না চাইলেও শব্দ হয়েই যায়। মেহজা শত চেষ্টা করেও পারল না সেই উটকো ঝামেলাময় শব্দটি রোধ করতে। তবে ভাগ্য প্রসন্ন বলেই এই যাত্রায় মাফ মিলেছে। সে আবারও গুটিগুটি পায়ে এসে রুমে ঢুকে দরজায় খিল দেয়। এবার মুভি টাইম! তবে আনন্দ বেশিক্ষণ টিকল না। এখন মুভি ঠিক করতে গিয়ে আরো ঝামেলা। এ বলছে এটা তো ও বলছে ওটা। কী এক ঝামেলা! অবশেষে ঠিক করল ‘Evil Eye’ দেখবে। এটা তুলনামূলক একটু কম ভয়ঙ্কর। অবশ্য তারা দেখেনি, মেহজাকে নিজাম বলেছিল একদিন,
-‘তুই তো ভী’তু মানুষ। তুই যদি হরর দেখিসও তবে ‘IT’ দেখিস আর নয়তো ‘Evil Eye’।’
আরো কয়েকটা বলেছিল তবে মেহজার সেদিন ভীষণ রাগ হয়েছিল। নিজাম তো অপমান করেছিল। তবে আজ তারই সাজেস্ট করা মুভিই দেখছে। কপাল! তার এল.ই.ডি টিভিতে কয়েকটা মুভি ডাউনলোড করা আছে। ‘Evil Eye’ ও আছে। সব গুলো রাফসান ডাউনলোড করেছে। আগে টিভি তাদের ভাড়া বাসায় যখন ছিল তখন সেটা রাফসানের রুমেই ছিল। এখন কম্পিউটার নিয়েছে রাফসান। তাই টিভি মেহজা নিয়ে নিয়েছে।
প্রথম প্রথম ভয় লাগছিল না পরবর্তীতে ভ’য়ে অন্তঃরাত্মা কেঁপে ওঠে দু’জনের। ভ’য়ে ভ’য়েই শেষ টা দেখে। নিজাম মিথ্যে বলেছে। এটা ভ’য়’ঙ্কর ছবি। অন্তত মেহজাদের কাছে ভয়ঙ্কর। রাতের তিনটা বেজে চুয়াল্লিশ মিনিট। মেহজা আর চমক বসে আছে বিছানায়। লাইট টা জ্বালিয়ে রেখেছে। দরজা জানালা বন্ধ আছে কীনা পুনরায় চেক করেছে। তবুও ভ’য় কমছেনা। এই অসময়ে যদি প্রকৃতির ডাক আসে তবে কেমন হয়? মেহজা চমক’কে বলল,
-‘এই আমার বাথরুম যেতে হবে রে।’
-‘আমারও।’
মেহজা চোখ বড় করে তাকালো চমকের দিকে। চমক ভ্যাবলার মতো হেসে বলল,
-‘অনেকক্ষণ আগেই ধরেছে তবে ভ’য়ের চোটে সব চেপে চুপে বসে আছি।’
-‘আচ্ছা ঠিক আছে। আমি আগে যাচ্ছি। তুই দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাক।’
-‘না না। যাস না প্লিজ। আমি একা।’
-‘থাপ্পড় দিব একটা। তুই একা আমিও একা। আমি কী দোকলা যাচ্ছি?’
-‘আমি তোর বড়। সম্মান দিয়ে কথা বল।’
-‘মাত্র দুই মাসের। আমি এসব গোনায় ধরিনা।’
-‘গুনতে পারিসও কিনা সেটাতে সন্দেহ আছে।’
-‘ঝগড়া করবি? তাহলে আজ রাতে তোকে ডাকবে সেই ভূতটা এসে। যেমন ‘মিইইয়াআ’ বলে ডাকে।’
-‘না না।’
-‘যা বলছি সেটা কর। এখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক।’
অবশেষে একে অন্যকে পাহাড়া দিয়ে তারা প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে। এই ভ্যাপসা গরমেও কাথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়। বার বার তাদের মনে হচ্ছে সেই ভূতটা এলো আর পা ধরে টেনে নিয়ে গেল। কানে এখনও বাজছে একটি শব্দ ‘মিইইয়াআআ’।
১১.
রাতে আর ভালো ঘুম হলো না কারো। ভোরের দিকে চোখে ঘুম আসে। সকাল বেলা উঠতে দেরি হয়। যার ফলে আর কলেজ যাওয়া হয়নি। ফুপি থাকায় আজ আর মা তাকে বকাও দেয়নি। তাই সে আর চমক সারাদিন ধেই ধেই করেছে এদিক সেদিক। এগারোটার দিকে তার মা আর ফুপি মিলে নিজামদের বাড়ি থেকে আনা তাল গুলো দিয়ে পিঠা বানায়। অনেকে অবশ্য তালের বড়া বলে। মেহজার দায়িত্ব ছিল প্রতিবেশীর বাসায় বাসায় পৌঁছে দেওয়া সেই পিঠা। সাথে অবশ্য হেল্পার হিসেবে চমক ছিল। এদিকে আরেকটা ব্যাপার আছে। গতকাল অতিরিক্ত ডালমুঠ খাওয়ার ফলে মেহজার পেট খারাপ হয়েছে। গ্যাস গ্যাস ভাব থাকে। সেই কারণে একটা পিঠাও খেতে পারেনি। তার উপর ঢেকুর তোলে কিছুক্ষণ পর পরই। যা দুর্গন্ধ! চমকের এত খারাপ অবস্থা হয়নি। সে তুলনামূলক কম খেয়েছিল। পরিমিত বলা চলে। মেহজার এই দূরবস্থা নিয়ে সে তখন থেকেই হেসে যাচ্ছে। এখন যেতে হবে ইমা ম্যামদের বাসায়! অন্যান্য যে দুই তিনটা বাসায় দিয়েছে সেখানে এত পরিচিত ছিল না সবার সাথে। কেবল তার মায়ের সাথেই সেই আন্টিদের সখ্যতা। তো মেহজাকে বসতে বললেও সে বসেনি চলে এসেছে। মাহিমা বেগম তো আবার মেহজাকে কাছে পেলে সহজে ছাড়ে না। প্রথম প্রথম বিরক্ত না হলেও এখন ভারি বিরক্ত হয়। ভদ্র মহিলা তাকে এত দরদ দেখায় কেন? এসব তার মোটেও পছন্দ না।
কলিং বেল দুইবার বাজানোর পরই দরজা খোলা হয়। সেই বিরক্তিকর হাসনা এসে দরজা খুলেছে। এটা আরেক ন্যাওটা। মেহজার ইচ্ছে করে এর চোখ গেলে দিতে। শুধু তাকিয়ে থাকে। কেবলার মতো মুখের দিকে তাকিয়ে এই মহিলা দেখে টা কী! এই এক আজব চিড়িয়া।
হাসনা একটু বেশিই আদিখ্যেতা করল তাদের ভেতরে নিতে। মেহজা ঢুকতে চাইছিল না। যখন মাহিমা বেগম এসে বললেন ভেতরে যেতে তখন আর না গিয়ে পারল না। এই মহিলার কথা ফেলতে আবার তার খারাপ লাগে। যতই তার বিরক্ত লাগুক মানুষটা যে তাকে প্রকৃত অর্থে স্নেহ করে সেটা সে ভালোই বোঝে। চমকের কাছে ইরফানদের বাসা খুব ভালো লাগল। সে মেহজাকে ফিসফিস করে বলল,
-‘সিরিয়াসলি! এত জোস বাসা?’
-‘উপর তলা আরো সুন্দর।’
-‘চল না দেখি।’
-‘এমন ছ্যাচড়ার মতো বিহেইভ করছিস কেন? বাসা কী আর দেখিস নি?’
-‘দেখেছি তবে এইরকম পলিশড্ বাসা কেবল টিভিতেই দেখেছি। সামনা সামনি এই প্রথম।’
মেহজা মুখ বাঁকায়। অবশ্য এই বাসাটা আসলেও সুন্দর। প্রথম প্রথম সেও এমন তব্দা খেয়েছিল। যাই হোক! মেহজার আসলে এই মুহূর্তে এখান থেকে পালিয়ে বাঁচতে ইচ্ছা করছে। কারণ তার গ্যাস কিলবিল করছে। অস্বস্তি লাগছে। মাহিমা বেগম তালের পিঠা দেখে ভীষণ খুশি হলেন। বললেন,
-‘ইয়াজের খুব প্রিয়। তাল আনাতে বলেছিলাম গ্রামের বাড়ি থেকে কিন্তু বাপ ব্যাটা দুইটাই অকর্মা। সারাদিন ব্যবসা আর রাজনীতির পেছনে ছোটে। আর কোনো দিকে তাদের হুশ নেই।’
-‘আচ্ছা আন্টি।’
-‘বসো বসো। আমি আজ ডিমের পুডিং বানিয়েছি খেয়ে যাবে কিন্তু।’
-‘না না আন্টি অন্য কোনো দিন। আজকে না।’
-‘কেন না? তোমার বোনকে নিয়ে এসেছ। খালি মুখে আমি কীভাবে তোমাদের যেতে দেই? ও তো প্রথমবার এলো। কিছু একটু খেতেই হবে।’
-‘না আন্টি অন্য কোনো দিন।’
-‘আমার হাতের পুডিং খেতে চাইছ না, তাই তো?’
-‘ছিঃ ছিঃ কি বলছেন! তেমন নয় আসলে বাসায় অনেক কাজ আছে।’
-‘দশ মিনিট বসলে কিচ্ছু হবে না। আমি আসছি।’
শুধু পুডিং এর কথা বলে সাথে আরো অনেক হাবি জাবি এনে টেবিল ভরিয়ে ফেললেন। মেহজা অনিচ্ছা স্বত্তেও পুডিং মুখে তুলল। চমক সব কিছুই তৃপ্তি করে খাচ্ছে। তা দেখে মেহজার ইচ্ছা করছে দুইটা ঠাস চরে চড় দিতে। বেয়া’দ্দপ! এমনভাবে খাচ্ছে যেন জীবনেও খায়নি। অথচ এর বাপ নাকি সচিব!
তাদের আলাপের মাঝেই সেখানে ইরফান এসে উপস্থিত হলো। তার পরনে ফরমাল স্যুট। অফিস থেকে এসেছে। মাহিমা বেগম বললেন,
-‘কীরে! আজ যে এত তাড়াতাড়ি?’
-‘বাবা নাকি কীসের হিসেবের খাতা রেখে গেছে। সেটাই নিতে এলাম। বলল তুমি নাকি চেনো। লাল রঙের।’
-‘ওহ হ্যাঁ। সকালে নিবে বলছিল আমি দিয়েছি তবুও ভুলে গেছে। এই লোক আমাকে জ্বালিয়ে মা’রলো।’
-‘মে’রেছে কোথায় মা? তুমি আমাদের বাবা ছেলেকে এমন করে কথা বলো কেন সবসময়?’
-‘তোমরা যে সাধু তাই বাবা!’
ইরফানের রাগ হলো। মাহিমা বেগম বললেন,
-‘তুই একটু এখানে বসে থাক। আমি নিয়ে আসছি। আর হ্যাঁ। বিকেলে ইরা ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে আসবে। তুই গিয়ে নিয়ে আসবি।’
-‘আচ্ছা। জলদি করো। মিটিং আছে।’
মাহিমা বেগম চলে যেতেই ইরফান সোফায় বসে। তার তখন চোখ যায় সামনের সোফায় বসা মেহজা আর চমকের দিকে। চমক তো সেই কখন খাওয়া থামিয়ে দিয়েছে। ইরফানকে এক ধ্যানে তাকিয়ে দেখেই চলেছে। ইরফান কিছুটা বিব্রত হলো। মেহজাকে বলল,
-‘তুমি কখন এলে?’
-‘একটু আগে ভাইয়া।’
-‘ওহ্। উনি কে?’
-‘আমার কাজিন। সেইম এইজ। আপনি করে বলা লাগবেনা ভাইয়া।’
-‘এটা ভদ্রতা।’
মেহজা চুপ করে গেল। তার কথা বলতে ইচ্ছা করছেনা। গ্যাস উপরের দিকে উঠছে। তার চোখ মুখ বোধ হয় ফুলে ফেটে যাবে। এক্ষুণি এখান থেকে মানে মানে কে’টে না পড়লে বড় ধরনের বেইজ্জতি হয়ে যাবে। সে দাঁড়িয়ে গেল হঠাৎ করেই। তারপর কোনো মতে চমক কে বলল,
-‘আম্মু তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে। কাজ আছে। তুই কী যাবি না!’
চমক আর কী বলবে? সে নিজেও উঠে দাঁড়ায়। ইরফান বলল,
-‘তোমরা কী আমাকে দেখে উঠে যাচ্ছো? প্লিজ বসো। আমি তো বেশিক্ষণ থাকব না।’
-‘না ভাইয়া কাজ আছে। এখন যাই বিকেলে তো আবার আসব।’
মেহজা দ্রুত হেঁটে চলে এলো বাহিরে। এসেই সে সোজা সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগল। নামতে নামতেই সে বিরাট বড় দুর্গন্ধ যুক্ত ঢেকুর তুলে। চমকের সেই গন্ধে অক্কা যাওয়ার মতো অবস্থা। চমকের ভাব সাব দেখে মেহজারই হা হা করে হাসি পেয়ে গেল।
#চলবে।
(আমি ব্যস্ত ছিলাম তাই এর আগে দুইদিন দেই নি। দুঃখীত।)