#এক_শ্রাবণ_হাওয়ায়-২
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন
#পর্ব – ২১
‘এটা কি করলে তুমি আহি?’
আনভীরের বিক্ষিপ্ত দৃষ্টি তোলপাড় করে দিয়েছে আমার হৃদয়। ঠোঁট চেপে ঘোর গ্রস্থ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন আমার দিকে। আমি চুপটি মেরে বসে থাকলাম। উনার দিকে বেশিক্ষণ তাকানোর সাধ্য আমার নেই। একটু আগে নিজের করা কাজের কথা মনে করে নিজেই লজ্জা পাচ্ছি এখন। কি করবে এই লোক? নিজের থেকে উনার কাছাকাছি গেলাম বলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে না তো?
আনভীর আমার মৌনতা দেখে নীরবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। অতঃপর আমার কাছাকাছি আসতেই আমি ভয়ে পিছিয়ে গেলাম। উনি আমার চুলগুলো কান পিঠে গুঁজে আড়ষ্ট গলায় বললেন,
‘ এমন কাজ কেনো করো যাতে আমি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাই? জানো তোমার এই ছোট্ট কাজটার জন্য কতটা অস্থির লাগছে আমার? আমি আতঙ্কে কাপঁছি, ভালোমতো গুছিয়ে কথা বলার শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছি।’
উত্তেজনায় জর্জরিত লাগছে উনাকে। উষ্ণ নিঃশ্বাস আমার মুখশ্রীতে পড়ায় সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে যাচ্ছে শিহরণ। গায়ের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন বাইরের কুয়াশায় আচ্ছন্নতার ঘ্রাণ থেকেও সুন্দর, একান্ত নিজের।
আমি অপ্রতিভ হয়ে পড়লাম। চোখ তুলে তাকালাম উনার দিকে। ঠোঁটজোড়া ভিজিয়ে বললাম,
‘ আমি….আ..আমি ভেবেচিন্তে করিনি এটা। আসলে..’
‘ আসলে কি?’
আমায় বলতে না দিয়েই প্রশ্ন ছুঁড়লেন। আমি হার মানলাম এবার। ভাবতেও পারিনি এভাবে হুট করে চুমু দেওয়াতে এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া করবেন। বলি,
‘ আমার ইচ্ছে হয়েছে আমি চুমু দিয়েছি। এতে এমন করার কি আছে? অন্য সবার কাছে আপনি এআরকে হলেও আমার কাছে তো আপনি আমার হাজবে….’
কথাটি বলতে বলতে থেমে গেলাম আমি। আনভীর এতক্ষণ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। আমার আধা কথা শুনে বুঝতে বাকি রাখলেন না যে আমি ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছি। উনি আরও ঝুঁকলেন এবার আমার দিকে। চোখের প্রখর দৃষ্টি নিবদ্ধ আমার বিব্রতকর চোখে। বললেন,
‘ আমি যে তোমার হাজবেন্ট তা তো আমি জানিই। তো চুমু টুমু দিতে হলে এখানে দাও কেনো? এক্সিডেন্ট হয়ে গেলে কি হতো? তাই পরবর্তীতে যখন ইচ্ছে করবে তখন বেডরুমে দিও কেমন? তাহলে মোমেন্টটা ভালোমতো ইন্জয় করা যাবে।’
আমি কদাচিৎ কিছুক্ষণ দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম উনার দিকে। এই কনকনে শীতে এখন গরম লাগছে কেমন যেন। এমন বেলাজ কথা শুনলে শুধু আমার না অন্য একজন স্বাভাবিক মানুষেরও হয়তো একই অবস্থা হতো। দিন যতই যাচ্ছে ততই আমি অবাক হচ্ছি লোকটার কথাবার্তা শুনে। উনি সিটবেল্ট আটকে ভালোমতো বসলেন এবার। গাড়ির ইন্জিন স্টার্ট করতে করতে বললেন,
‘ অনেক কষ্টে নিজেকে কন্ট্রোলে এনেছি। আর এমন কিছু করোনা যাতে পরে তোমাকেই আফসোস করতে হয়।’
_____
আজ বেশ সকাল সকালই উঠলো অপূর্ব৷ কারন বাবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথার জন্য ডেকেছে ওকে। ফ্রেস হয়ে ইয়ার্ডের দিকে পা বাড়ালো সে। সামনেই ইজি চেয়ারে বসে আছে ওর বাবা। পাশে বসা ইকবাল হাসানের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলাপনে মগ্ন। অপূর্ব সামনের চেয়ারটাতে আয়েশ করে বসলো। ইশারায় একজনকে বললো ওর জন্যও এক কাপ গ্রিন টি নিয়ে আসতে।
ওর বাবা আর চাচা দুজনেই এবার চুপ করে বসে আছে। কাপটা হাতিয়ে সে তাকালো ওর বাবা আর ছোট চাচার দিকে। মৌনতা কাটিয়ে বললো,
‘ এত সকালে আমায় উঠানোর কারন?’
ইকবাল হাসান আমতা আমতা করে কিছু বলার চেষ্টা করলো। কিন্ত কিছু বললো না। বিরক্তি চেপে বসলো অপূর্বের চোখেমুখে। কাপে এক চুমুক দিয়ে বললো,
‘ এমন ধরনের বিহেভিয়ার আমি জাস্ট হেইট করি চাচু্। যা বলার স্পষ্ট করে বলো। আমি কোনো সং না যে সেজে বসে থাকবো আর তোমরা দেখবে।’
এবার নীরবতা কাটালেন অপূর্বের বাবা। বললেন,
‘ আহির নামে যে প্রোপার্টিগুলো ছিলো ওগুলো ট্রান্সফার করার জন্য দলিল করা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু আহির সিগনেচার দরকার।’
বিরক্ত আরও এক ধাপ ওপরে উঠলো অপূর্বের। বললো,
‘ সারাদিন শুধু প্রোপার্টি প্রোপার্টি প্রোপার্টি। কি আছে এর মধ্যে হ্যাঁ যে তোমরা এত উন্মাদ হয়ে আছো? আহির মা মরেছে ১৪-১৫ বছর তো হয়েই গেলো। এত বছর যখন প্রোপার্টির জন্য আহিকে বাঁচিয়ে রেখেছো আর কয়েকটা দিনই নাহয় অপেক্ষা করো।’
ক্ষেপে গেলেন ওর বাবা। জোর গলায় বললো,
‘ জেদ করার একটা লিমিট থাকে অপূর্ব। ভুলে যাস না ও যতদিন বেঁচে থাকবে ততই আমাদের বিপদ। কারন….’
‘ ওর মাকে তুমি আর চাচু প্রোপার্টির লোভে মেরে ফেলেছো তাই তো!’
অপূর্বের কথায় হকচকিয়ে গেলো ইকবাল। বললো,
‘ সাবধান চাচাজি। দেয়ালেরও কিন্ত কান আছে।’
তরতর করে ঘামছেন অপূর্বের বাবা। এটা সত্য যে ইকবাল আহির মাকে বিয়ে করেছিলো শুধুমাত্র ওর বাবার বিরাট প্রোপার্টি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। এই গোপন সত্য আহির জন্মের কিছুবছর পর আহির মা জানতে পারলে অনেকটা চক্রান্ত করেই অ্যাক্সিডেন্ট নামক নাটক সাজিয়ে মেরে ফেলা হয় ওর মাকে। যার মূল কালপ্রিট ছিলো অপূর্বের বাবা আর ইকবাল সাহেব। কিন্ত আহির মা পূর্বেই উইল করে গিয়েছিল যে ওর মায়ের সম্পূর্ণ সম্পত্তি যাবে আহির নামে। আর এই লোভেই আহিকে বাঁচিয়ে রেখপছিলো ওরা। রাহির মনেও এ নিয়ে একটা বিরাট ক্ষোভ ছিলো যে সবকিছু কেন আহির নামে করা হয়েছে যেখানে ও বড়। তাই লোভের বশেই ও হাত মিলিয়ে ফেললো তাদের সাথে।
অপূর্ব মাঝে মাঝে অবাক হয় মানুষদের এত রূপ দেখে। টাকার লোভ হলো বড় লোভ। এর জন্য আপনজনরা অনেক দূরে সরে যায়। নিজেদের মানুষদের মারতে দু’বার ভাবে না।
অপূর্ব বললো,
‘ আহির সিগনেচার পেয়ে যাবে তোমরা। আগে আহি আমার হাতের নাগালে আসুক। তবে এর পর আহির ত্রিসীমানায় থাকতে পারবে না তোমরা। এট এনি চান্স যদি ওর ক্ষতি করার চেষ্টা করো তবে আমি ভুলে যাবো যে তোমরা কি হও আমার।’
বলেই চলে গেলো অপূর্ব৷ দু’জনেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো। অপূর্বের বাবা বলে ওঠলেন,
‘ আল্লাহ জানে কবে ওর মাথা থেকে আহি নামক আপদ সরে যাবে!”
___________
জানালা দিয়ে আশপাশ দেখতে লাগলাম আমি। গন্তব্যে এসে পড়েছি। এই কলোনিতে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই শুধু একই ধাচের উচু উচু বিল্ডিং। আনভীরের বাবার মতো স্বনামধন্য মানুষদের জন্যই এই কলোনি তৈরি দেখলেই বোঝা যায়। আমি গাড়ি থেকে নামলাম এবার। পেছনেই থামলো নাহিদ ভাইয়ার গাড়ি। বেচারা থমথমে অবস্থায় বসে আছে। কারন আসার সময় কড়াকড়ি ধমক দিয়েছিলেন উনাকে আনভীর। কারনটাও খুব ছোট। উনি চেয়েছিলেন আমাদের সাথে আসতে। আর ব্যাগপত্র সব ড্রাইভারের সাথে অন্য গাড়িতে পাঠাতে। কিন্ত আনভীর বলেছেন যে ওই সব ব্যাগপত্রের সাথেই উনাকে আসতে। নাহিদ ভাইয়া এ নিয়ে তর্কে জড়াতে গেলেই আনভীর যেই ধমকটা দিলো, ব্যাস! অমনেই নাহিদ ভাইয়া চুপ। আনভীর ইশারায় বললো,
‘ নাহিদের সাথে দাঁড়াও। আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।’
আমি দুষ্টু হেসে পা বাড়ালাম নাহিদ ভাইয়ার দিকে। নাক টেনে বললাম,
‘ এভাবে বেবি বয় এর মতো মুখ কালো করে রেখেছেন কেনো?’
আহত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন উনি। আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়াটাই যে উনার সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। নাহিদ ভাইয়া বললেন,
‘ মাফ করেন ভাবি। আল্লাহর ওয়াস্তে আমার পিছু ছাড়েন। আমি ভালোমতই জানি এই ছোট গাড়িতে ব্যাগ পত্রের সাথে বসানোর মূল দায়িত্বে আপনিই ছিলেন। এবার খুশি তো? তাহলে সব শোধবাধ? এবার আপনি আপনার রাস্তায় আর আমি আমার রাস্তায়। কসম! জীবনেও আপনার সাথে পাঙ্গা নিবো না। ‘
আনভীর আসামাত্রই উনি ব্যাগ নিয়ে পা বাড়ালেন লিফটের উদ্দেশ্যে। আনভীর একপলক দেখে নিলেন আমাদের। বললেন,
‘ নাহিদের সাথে এমন সাপে নেউলে টাইপ সম্পর্ক কেনো তোমার? ও কি দোষ করলো?’
‘ ভাইয়ার সবচেয়ে বড় দোষ সে আপনার কাজিন ব্রাদার আর আমার একটা কথাও শোনে না। খুব শখ না উনার আপনার লয়াল হওয়ার? এই শখটাই ছুটাবো।’
আমি আর আনভীর এবার নাহিদ ভাইয়ার পিছু পিছু লিফটে ঢুকলাম। এই প্রথম এই বাড়িতে এসেছি আমি। উত্তেজনায় বুক প্রায় ধুকপুক করছে। লিফটের ৭ তলায় উঠতেই দরজা খুলে গেলো এবার। করিডোরের শেষ ফ্ল্যাটের দরজা নক করতেই সেটা খুললেন শিউলি ভাবি। একগাল হাসলেন আমাদের দেখে। আমি মিহি হেসে বললাম,
‘ আসসালামু আলাইকুম ভাবি!’
‘ ওয়ালাইকুম আসসালাম। ভেতরে আসো তোমরা।’
তারপর তিনজন আমরা প্রবেশ করলাম ভেতরে। সাদা রঙের ওয়াল পেইন্ট সেখানে সোনালি কারুকাজের বাহার। মিষ্টি রঙের পর্দার ওপর আলো পড়াতে মোহনীয় লাগছে পুরো ঘরটি। যেদিকে তাকানো যায় সেখানেই সৌখিনত্বের ছাপ। ড্রইংরুমের একপাশে ওয়ালজুড়ে আনেকগুলো ফ্যামিলি ফটো আছে। আনভীরের ছোটবেলার অনেকগুলো ছবি ও আছে সেখানে। আজরান ভাইয়া আমাদের দেখে কুশলাদি করলেন।বললেন বাবা বাইরে গিয়েছে, আসবেন সন্ধ্যার সময়ে। মাকেও সালাম দিলাম আমি। উনি মিষ্টি হেসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বললেন,
‘ জানতাম যে তুমি আনভীরকে আনতে পারবে এখানে। নাহলে আমার ছেলেটা যেই পাগল! সেই যে রাগ করে বাড়ি ছাড়লো , আর খোঁজখবর নিতে আসলোনা খুব একটা। বাবার সাথে মনোমানিল্য হলে মা, ভাই ভাবিকেও বুঝি ভুলে যেতে হয়?’
আমি চুপ করে থাকি এতে। আড়চোখে তাকালাম আনভীরের দিকে। উনার চোখে মুখে কোনো ভাবান্তর নেই। তবে মায়ের জন্য একটু মমতা কাজ করছে। আনভীরএবার বললেন,
‘ তো গল্প করো তোমরা? আমি বাইরে যাচ্ছি।’
‘ কোথায়?’
‘ ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডেকেছিলো সকালে। এর জন্যই তো বাবা মনে হয় গিয়েছে ওখানে। আমায়ও যেতে হবে তাই। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান হবে না? তখনই আসবো আমি। নাহিদ! তুইও আয় আমার সাথে?’
বলেই চলে গেলেন আনভীর। উনাদের কথা শুনে অবগত হলাম যে বাবা-মায়ের অনুষ্ঠানটা পরিবারের মধে ছোটভাবেই করার প্ল্যান করা হয়েছে। আমি বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলাম। যতটুকু আমি জামি আমি এর মধ্যে থাকলে সবাই অন্য দৃষ্টিতে দেখবে ব্যাপারটা। কেননা আনভীর আর আমার বিয়ের ব্যাপারটা এখনও লোকচক্ষুর অগোচরে। মা হয়তো বুঝলেন আমার ব্যাপারটা। তাই বললেন,
‘ বেশি কেউ আসবে না রে মা! শুধু আমার ননাশ আর ভাসুরের ছেলেমেয়েরা আর শিউলির বাবার বাড়ির থেকে আসবে কিছুজন। ওরা আমাদের আপনজনই। জানলে কিছু হবে না।’
আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এভাবেই অনেকক্ষণ শিউলি ভাবি আর মায়ের সাথে আড্ডা দিলাম আমি। তারপর রান্নাবান্নায়ও হেল্প করলাম টুকটাক। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই কলিংবেলের অনবরত আওয়াজে কিছুটা অবাক হই আমি। কেননা দরজার অপরপ্রান্তের মানুষ বা মানুষজন আনবরতই বাজিয়ে চলছে কলিংবেল। আমি শিউলি ভাবির দিকে তাকাতেই উনি বললেন,
‘ একটু দরজাটা খুলে দাও তো আহি!’
তাই গিয়ে আমি দরজা খুললাম । দরজার অপরপাশে দুজন ছেলে আর একজন মেয়েকে দেখে শূন্যমস্তিষ্ক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এরাও আমায় দেখে অবাক হয়েছে বেশ। এক মধ্যে মেয়েটা সন্দিহান কন্ঠে বললো,
‘ ভেতরে ঢুকতে দিবেন না?’
ধ্যান কাটলো আমার। বিনয়ীসুরে বললাম,
‘ সরি, সরি! ভেতরে আসুন প্লিজ!’
ভেতরে ঢুকলেন সবাই। শিউলি ভাবি আর মাকে দেখে কুশলাদি জানালেন। তারপর সোফায় আয়েশ করে বসলেন তিনজন। আমি শিউলি ভাবির পাশেই দাঁড়িয়ে আছি। মেয়েটি এবার ভাবিকে জিজ্ঞেস করলো,
‘ কে ইনি?’
‘ কি মনে হয় তোমাদের?’
ভাবির চোখেমুখে রম্যতার ছাপ। ওরা ভাবলো কিছুক্ষণ। তারপর একজন বললো,
‘ তোমার বোন তো দেখতে এমন না। আর আজরান ভাইয়ারও শখ নাই দ্বিতীয় বিয়ে করার। আনভীর ভাই তো বাদই। এর বিসমিল্লায় আর ইন্নাল ইল্লায় জীবনেও মেয়ে নামক কেলোঙ্কারি নাই। নাহিদের গার্লফ্রেন্ড টালফ্রেন্ড নাকি?’
‘ আমার ওয়াইফ!’
একজোড়া ভরাট গম্ভীর কন্ঠ শুনে দরজার দিকে তাকালো ওরা তিনজন। মানুষটাকে দেখে আর তার কথাগুলো সম্পর্কে অবগত হতেই যেন অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ওরা। কেননা মানুষটা আর কেউ না আনভীর। চোখে মুখে নির্বিকারত্বের ভাব। ওরা সবাই এবার অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। যেনো কোনোক্রমেই বিশ্বাস করতে পারছে না আনভীরের কথা।
.
.
.
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ
ভুলক্রুটি ক্ষমাসুলভ চোখে দেখবেন।