গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৩১
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
অনির্বাণ ভিতরে এসে দেখে রেহান আর রিহা এক চাদরে একে অপর কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।
মাইশা চৌধরী :এখানে থেকে কি হবে চলো নিচে চলো রিহা তো ঠিক আছে এখন চলো
অন্তরা আনমনে বলে উঠে
অন্তরা : এখানে তো রাইহান এর থাকার কথা রেহান কি করছে ?
মাইশা চৌধুরী : কি বললে আর একবার বল
রাইসা খান : আরে ও কিছু বলে নি তো চল
সবাই যে যার রুমে চলে গেল। রেহান আর রিহা ওভাবে ঘুমিয়ে আছে।
রুসা রুমে ঢুকে অনির্বাণ কে বলে
রুসা : আমার বেপার টা ঠিক মনে হচ্ছে না ওই অন্তরা পেত্নী এই কথা কেনো বললো ?
অনি : আরে তুমি ওত চিন্তা করো না রেহান থাকতে রিহার কিছু হবে না
রুসা : কিন্ত
অনি : কোনো কিন্ত না my love যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ।
অনি রুসা কে ঠেলে ফ্রেশ হতে পাঠায় ।
অনি : ওরা যদি ভাবে আমরা দুর্বল তাহলে এটা ওদের ভুল রেহান থাকতে ওর কিছুই হতে পারে ন কিন্ত আজকের বেপার টা শুনতে হবে ।
এদিকে অন্তরা ঘটে ঢুকে সব ভাঙ্গা শুরু করছে ।
রাইসা খান : মা শুন তোর শরীর ভালো না একটু শান্ত হ
অন্তরা : কি করে শান্ত হবো সব শেষ সব এতো কিছু প্ল্যান করে কি লাভ হল রেহান এর সাথে রিহা কি করে থাকে আর রাইহান কোথায় ওকে একটা কাজ দিয়েছি সেটা ও করতে পারলো ন
রাইসা : সব তোর দোষ রেহান কে নজরে রাখতে পারলি না রিহার কাছে কি করে যায় এতো সুন্দর একটা প্ল্যান এ পানি ঢেলে দিলো
অন্তরা : আম্মু একদম তুমি আমায় দোষ দিবে না রেহান ওর বন্ধুর সাথে ছিল বলে আমি কিছু বলিনাই আর রিহা একা বের হলে রেহান কে পেলো কই আর রাইহান কই ওকে তো
বলে রাইহান এর নাম্বারে ফোন দেয় কিন্ত ফোন বন্ধ
অন্তরা : ফোন বন্ধ করছে কেনো ?
রাইসা খান : তো কি করবে ওই মুখ নিয়ে আমার সামনে আসলে ওর মুখ ভেঙ্গে দেবো।
অন্তরা রাগে ফুলদানি ভেঙ্গে ফেলে
অন্তরা : এতো কষ্ট করলাম কাল রাইহান কে কত বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করলাম রিহার হতে মার খেলাম কিন্ত ফল কি হলো
রাইসা খান : মা একটু শান্ত হো তোর শরীর ভালো না
অন্তরা : তুমি যাও তো আমার ভালো লাগছে না যাও
রাইসা খান আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে যায় । অন্তরা রাগে ফুঁসছে ।
রাতে রিহার ঘুম ভাঙ্গল। পিটপিট করে চোখ খুলে চারিদিক দেখতে থাকে।
রিহা : উফফ মাথাটা এতো ভার হয়ে আছে কেনো (মাথায় হাত দিয়ে)
রিহা নরতে চাইলে পারে না রেহান যে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। রিহা রেহান এর দিকে তাকিয়ে থাকে। একটু পর খেয়াল করে রেহান এর বুক খালি। কি মনে করে নিজের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার দেয় ।
রিহার চিৎকারে রেহান লাফ মেরে উঠে
রেহান : কিহলো ঐভাবে চিৎকার দিলে কেনো ?
রিহা : আপনি কেনো করলেন হা
রেহান : কি করেছি
রিহা : দেখাচ্ছি
বলে রিহা উঠে ওয়াশরুমে যায়। রেহান ত সব মাথার উপর দিয়ে গেলো
একটু পর বেরিয়ে এসে রেহান এর দিকে চোখ লাল করে তাকায়
রেহান : কিহলো ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ?
রিহা : আপনি আমার সাথে এটা কি করে করলেন আমার পারমিশন নেবার প্রয়োজন বোধ করলেন না এত খারাপ কেনো আপনি
রেহান : তুমি কি বলছ?
রিহা : কি বলছি তাই না একটু ভালো ব্যাবহার কি করছি আপনি তো সুযোগ নিচ্ছেন
কথাটা বলে রেহান কে বালিশ দিয়ে মারতে থাকে
রেহান : আরে কি হচ্ছে কি মেরে ফেলবে নাকি ?
রিহা : ফেলবো তো আপনি আমার সাথে নিও করলেন
রেহান : দেখো রিহা আমি কি করছি বুঝতে পারছি না তবে তুমি আমার স্ত্রী তোমার উপর আমার অধিকার আছে
রিহা : অধিকার থাকলে কি আমার পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন নি
রেহান : আমি সমাজে মুখ দেখাবো কি করে আর এসব হলো কি করে (মাথায় হাত দিয়ে)
রেহান রিহার পাশে বসে
রেহান : কি হইছে একটু বলবে
রিহা : আপনি আপনার সাথে এসব করছেন কেনো ?
রেহান : কোন সব ?(অবাক হয়ে,)
রিহা : কোন সব মানে আপনি আপনার পারমিশন ছাড়া ফুলসজ্জা করলেন কেনো
রেহান এতক্ষণে বুঝলো রিহা কি বলছে
রেহান : হা তো কি হইছে আমার কি কোনো অধিকার নেই (দুষ্টুমি করে)
রিহা : অধিকার কিসের অধিকার একটা অবলা নারী পেয়ে
রেহান : চুপ বেশি কথা কেনো বলো হুম যা হইছে তো হইছে এখন কি বদলানো যাবে
রিহা এবার কান্না করে দেয়
রেহান : আরে কান্না করছো কেনো ?
রিহা : আপনি খুব খারাপ
রেহান : তাই নাকি আমার প্রতি তোমার একটু ও বিশ্বাস নেই ভালো তবে নিজের প্রতি ও নেই রিহা : মানে
রেহান : মানে তুমি যেটা ভাবছো তেমন কিছু হইনি তবে চাইলে এখন হতে পারে (চোখ মেরে)
রিহা : তাহলে তখন
রেহান : তুমি বমি করছিলে তোমার পুরো শরীরে তো করছো সাথে আমার ও । তখন তোমার অবস্থা খারাপ ছিল ড্রেস পরতে চাইছিলে না
রিহা মাথায় চাপ দিয়ে মনে করার চেষ্টা করে ।
রিহা : আমি তো মেলা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম রাস্তায় একজন গাড়ির সামনে দাঁড়ায় ।
রেহান : তুমি যখন মেলা থেকে বের হলে আমি তখন আমার ফ্রেন্ড এর সাথে ছিলাম তোমাকে দেখে আমার ঠিক মনে হইনি তাই ফ্রেন্ড এর সাথে তোমায় ফ্লও করি মাঝ রাস্তায় তোমার গাড়ি থামতে দেখে আমরা বেরিয়ে এসে দেখি
রেহান গাড়ির কাছে এসে দেখে রাইহান রিহাকে গাড়িতে উঠাচ্ছে রিহার কোনো হুস নেই। রেহান আর ওর ফ্রেন্ড মিহাদ রাইহান কে ধরে। রেহান গাড়িতে শুয়ে দিয়ে মুখে পানি মারে। রিহার সেন্স ফিরলে রিহা আশে পাশে তাকিয়ে দেখে
রেহান : কি হইছে কি দেখছ আর এখানে কি করছ হুম (রেগে)
রিহা : আপনি কে ভাই আমি এখানে কেনো ?🙄
রেহান : কি আবোল তাবোল বলছো হুম
রিহা : আবোল তাবোল সেটা কি খেতে হয় না মাথায় মাখতে হবে (মাথায় হাত দিয়ে)
মিহাদ : দোস্ত ভাবি কে বাসায় নিয়ে যা মনে হয় উল্টা প্লটা খাইছে
রেহান বলার আগে রিহা বলে।
রিহা : ভাবি কি ভাবি খাবো আমাকে ভাবি এনে দাও। দাও না
রেহান : এই মেয়ে চুপ করো
রিহা : ওকে
রেহান গাড়ির দরজা লাগিয়ে মীহাদ এর সাথে কথা বলছে একটু পর রিহার আওয়াজে রেহান তাকিয়ে দেখে রিহা গাড়ির উপরে ।
রিহা : সুন সুন মানুষ বাসি আমি আজ এই গাড়ি থেকে সুইসাইড করবো প্লিজ হেল্প me
রিহার চিৎকারে আশপাশে লোক চলে আসে
রেহান : এই মেয়ে আজ আমাকে মারবে
রেহান আর মিহাদ গাড়ির কাছে যায় ।
রেহান : রিহা নামো ওখানে উঠছো কেনো
রিহা : চুপ আমার আছে আসবে না নাহলে কি লাফ দেবো দূরে দূরে হুস হুস হুস
একটা লোক : এই মেয়ে কি হচ্ছে এসব
রিহা : আরে দাদু আমি সুইসাইড করবো জানেন না । আমার অনেক কষ্ট এখানে কষ্ট (বুকে) এখানে কষ্ট (ঠোঁটে ) এখানে কষ্ট ( চোখে )এখানে কষ্ট (নাকে ) সব জায়গায় কষ্ট আর এর জন্য দায়ী কে জানেন
রেহান : রিহা নামতে বলছি
রিহা : চুপ আমি কথা বলছি তো ।
তো guys কি বলছিলাম ওহ হা আমার কষ্টের জন্য দায়ী ওই যে মিস্টার রেহান ওরফে #মিস্টার_হাসব্যান্ড (রেহান এর দিকে ইশারা করে )
মিহাদ : দোস্ত ভাবি কিন্ত সেই
রেহান : চুপ কর
একটা লোক : এই ছেলে তুমি মেয়েতার সাথে কি করছো হুম
রিহা : আমি বলছি আমি বলছি আমাকে বিয়ে করছে ভালো কথা কিন্ত এখন ভালো বাসে না সব সময় কাজ আর কাজ তাই আমি সুইসাইড করবো (গাড়িতে দাড়িয়ে)
একটা মহিলা : এই ছেলে ঘরের খবর এই ভাবে বাইরে ছড়ানো কি ঠিক এটা কি শহর পাইছ
মিহাদ : আরে আন্টি ও একটু উল্টা পাল্টা খাইছে ।
মহিলা বলার আগেই রিহা বলে
রিহা : ওই কুটনি বেডি আমার জামাই কে কি বললি
মহিলা : মেয়ের কি কথা
রিহা : কেন তোর মেয়ে কথা বলতে পারে না আমাকে কি স্যার জলসার নাইক পাইছিস যা বলবি চুপ করে থাকবো আমি রিহা বুঝছিস
রেহান : রিহহহহহহহহায়ায়ায়ায়া (চিৎকার করে)
রিহা : চুপ চিল্লাবা না (চিৎকার করে)
রেহান : তুমি চুপ
রিহা : আমি চুপ (মুখে আঙ্গুল দিয়ে)🤫
রেহান রিহাকে জোর করে নামিয়ে নেয়
রিহা : ছার ছার বলছি তোমার নামে আমি ভালোবাসা না দেওয়ার কেস দেবো
রেহান : আর একটা কথা বললে দাত ফেলে দেবো আর আপনারা এখন যান এখানে তামসা ত শেষ আর আন্টি আমি সরি বলছি ওর হয়ে
রিহা : তুমি কেনো বলবে আমি বলছি সরি কুটনি বুড়ি (কান ধরে)
মহিলা : এই মেয়ে কে সামলে রেখো যা কথা ও মাগো
রিহা : ওভাবে না ওমাগো ট্রু লাভ
মিহাদ জোরে হেসে দেয় । রেহান হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না রিহার উপর এখন রাগ ও করতে পরছে না ।
রেহান পাশে তাকিয়ে দেখে রিহা না
রেহান: রিহা কই
মিহাদ : ওই দেখ
রেহান তাকিয়ে দেখে রিহা দৌড়াচ্ছে আর বলছে
রিহা : আমি পালালাম
মিহাদ : ভাবি হা হা হা
রেহান : আরে ওকে ধর (রেগে)
চলবে