#কেন_এমন_হয়
শেষ পর্ব (পর্ব-২০)
তিন দিন ধরে আহনাফের অল্প অল্প জ্বর,সর্দিও ঝরছে। এই কথা শুনে নূরজাহান অস্থির হয়ে কল দিলেন আদনানকে।আহনাফের সাথেও কথা বললেন । পরে হিয়ার সাথে কথা বললেন-
—হিয়া ছেলের খেয়াল রাখতে পার না?নিজে ভিজলা আবার ছেলেটারে ও ভিজাইলা।এইটা কেমন কথা।নিজের পেটে ধরলে বুঝতা।এত অবুঝ হইলে কেমনে চলবো?
আদনান দেখলো হিয়ার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। মোবাইল রেখে ওয়াসরুমে ঢুকে গেল হিয়া।
আদনান বুঝতে পারলো আম্মা এমন কিছু বলেছে যে হিয়া চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।
অনেক বার চেষ্টা করলো আদনান,হিয়াকে জিজ্ঞেস করে,আম্মা কি বলেছেন?হিয়া যেন এই প্রশ্নটা শুনতে চাইছে না আর উত্তর ও দিবে না,এই মনোভাব নিয়ে দুরে দুরে থাকছে।মেয়েটার জন্য খুব খারাপ লাগছে।এত নরম মনের একটা মেয়ে এই কঠিন পৃথিবীতে চলবে কি করে?
রাতের ঢাকা পুরোপুরি নিস্তব্ধ হয় না কখনো। তার পরেও দিনের চেয়ে অনেকটাই শান্ত হয়ে আসে। বাসার সবাই ঘুমিয়ে গেছে।আহনাফের সন্ধ্যার পরে আর জ্বর আসেনি।হিয়া তার প্রিয় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।সে ভাবতে লাগল -‘এখনই যদি এই প্রশ্ন আসে নিজের পেটে না ধরলে মা হওয়া যায় না তাহলে তো আহনাফের মা সারাজীবনেও হতে পারবো না। নিজের পেটের সন্তানের কি অসুখ হয় না, নিজের সন্তানকে কি নিজে শাসন করে না। নিজের মা করলে কোন দোষ হয় না।’সৎ মা .. কথাটা মনে আসতেই নিজেই যেন আৎকে উঠলো হিয়া,সৎ মা- সে তো আসলেই সৎ মা।কখন যে চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল বুঝতেই পারলো না।
আদনান কখন এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারেনি হিয়া। আদনান বলল-
—আমাকে বলবে না। বুঝতে পারছি আম্মা এমন কিছু বলেছেন ,তুমি খুব কষ্ট পেয়েছ।
—কিছু বলেননি।
কান্নার দমকে কথাও আসছে না।
আদনান দুই বাহুতে ধরে একটানে সামনে ঘুরিয়ে নিলেন হিয়াকে।হিয়া দুই হাত দিয়ে আদনানের টিশার্ট খামচে ধরে বলল-
—পেটে না ধরলে কি মা হওয়া যায় না,আমি কি আহনাফকে ভালোবাসি না?
—আম্মা অনেক সময় রাগে কথা বলেন কিন্তু তাঁর মন খুব ভালো।এই জন্য বাচ্চা মেয়েদের মত এভাবে কাঁদতে হয়?বোকা মেয়ে।তুমিই আহনাফের মা।
আদনান,হিয়ার চোখের পানি মুছিয়ে দিতে লাগলো।হিয়ার বুকে ধুকপুক করছে, আদনান সেটা স্পস্ট শুনতে পারছে।
আদনান তার বুকের খাঁচায় হিয়াকে টেনে নিল,এক সময় হিয়ার কান্না থামলো।এবার আদনানের হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছে হিয়া।হিয়ার
অনভ্যস্ত, লজ্জা মিশ্রিত শরীর মাঝে মাঝে কেঁপে উঠছে।সে নিজেকে মুক্ত করার সামান্যতম চেষ্টাও করলো না, এখানে কোন জোরজবরদস্তি ছিলই না।দুটি আত্নার মিলনে শরীরের বহিঃপ্রকাশ।
আদনান কোলে তুলে হিয়াকে রুমে নিয়ে গেল।
একটা সুন্দর তাঁরা খচিত আকাশ,ঝিমিয়ে পরা রাত, কোন অজানা ফুলের সৌরভে মাতাল করে তুলছিল
তাদের।
নিপার বাসার সামনে এসে মনে হচ্ছিল সব কিছু অপরিচিত, নতুন নতুন।এই বিল্ডিং এর রং কি সবুজ ছিল নাকি নতুন রং করা হয়েছে , কিছুতেই মনে করতে পারলো না। তার মাকেও জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিল না। হসপিটালে মনে হচ্ছিল বাসায় এসে ভালো লাগবে কিন্তু এখন মন খারাপ মন খারাপ লাগছে।
দরজা খুলেই নিরা জরিয়ে ধরলো নিপাকে।নিপা ও খুশি হলো ।মায়া নিপাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে দেখালো নিরার বাচ্চা বুশরাকে।নিপার মধ্যে অদ্ভুত ভাবান্তর হলো ।এটা দেখে মায়া এবং নিরা দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে যাচ্ছিলো।
নিরা বলল-
—নিপু,বাবু তোকে খালামনি বলবে ,দেখ তোর দিকে তাকিয়ে আছে,দেখ দেখ বাবু হাসছে…আর কিছু বলতে পারলো না নিরার গলা ধরে এলো।
—নিপা কাছে গিয়ে বসলো।গাল ধরে আদর করে বলল-
—ছোট্ট একটা পুতুল!মা আমাকে বলনি কেন বাবুর কথা?
—তোকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছে নিরু।
নিপা চারদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলো।
নিপার মনে হচ্ছিল নিজের বাসায় না এসে অন্য কোথাও চলে এসেছে।সব কিছু অচেনা। বাসার জিনিস সব কিছু উল্টাপাল্টা।সে বলল-
—আমি একটু ঘুমাবো।
মায়া ,নিপাকে নিয়ে গেলেন।নিপা মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলল-
—এমন উল্টাপাল্টা করেছ কেন? আমার বালিশ,চাদর এমন কেন?এই রং আমার পছন্দ না।
ডাক্তারের পরামর্শেই ফার্নিচারগুলোর জায়গা পরিবর্তন করা,পর্দা,চাদর সব পরিচিত জিনিসগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেকদিন হসপিটালে থেকে এসে পুরোনো কিছু যেন না দেখে,আর যেন আদনানের পরিবারের কারো সাথে দেখা না হয় কোনভাবেই।
নিরা ভাবছিলো অনেকদিন আগের কথা।নিপা প্রায়ই বলতো-
‘আপু তোর বাচ্চাকে আমি অনেক আদর করবো,আমাকে কি বলে ডাকবে?বল আপু ।
নিরা বলতো-যখন হবে তখন দেখা যাবে।’
বশিরের সঙ্গে মায়ার ডিভোর্সটা হয়ে গেছে।সব কিছু করেছে সবুজ। কোর্টে দাঁড়াতে হয়েছে মায়াকে দুইবার। তবুও শেষ তো হলো। বশিরের আর কোন কিছু করার সাহস বা ক্ষমতা কিছুই নেই।নিরার স্বামীকেও একেবারে সোজা করে দিয়েছে।মাঝে মাঝে দেখা করতে আসে বৌ-বাচ্চার সঙ্গে।মায়া ভাবেন সবুজের ঋণ কখনো শোধ করতে পারবেন না। স্বার্থপর এই দুনিয়ায় সবুজ নিঃস্বার্থভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে ,প্রকৃত একজন বন্ধু সে।
অনেকেই বলে কোন পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে না।এক সময় নাকি প্রেম কিংবা অভিসারের দিকে গড়ায় এই বন্ধুত্ব।সেই সব মানুষ জানেই না সম্পর্কের মানে।প্রতিটা সম্পর্ক আলাদা, প্রতিটা মানুষ আলাদা,প্রতিটা মানুষের চিন্তা ভাবনা আলাদা।
মায়া ভাবেন এই ফ্ল্যাট না থাকলে কোথায় থাকতেন।চাকরি ছাড়ার পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিয়ে চলতে পারছেন কিন্তু এক সময় তো শেষ হয়ে যাবে,তাই মায়ার জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিবেন।মায়া আবারো মনে মনে বললেন, ‘সবুজের ঋণ কোনদিন শোধ করা যাবে না।’
বাবা-মা থেকে শুরু করে শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই মিলে কনাকে দোষারোপ করলো, গালমন্দ করলো। শুধু সেই জন্য না, তার নিজের মনেই সে অনুতপ্ত।সে আরজুকে খোঁজে বেড়ায় মনে মনে,কেউ আরজুর খবর জানে না।সে সত্যিই আরজুকে ভালোবাসে,সেই প্রথম দেখা থেকেই ।কনার গভীর অভিমান হলো,কার উপর জানে না,হয়তো নিজের উপর, খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিল।কনার বাবা মেয়ের এই অবস্থা সহ্য করতে পারছিলেন না।যে কোনো উপায়ে আরজুকে খোঁজে আনবেন বললেন।
কনা প্রবল আপত্তি করলো।
—যে নিজের থেকে হারিয়ে যায়, তার শরীর খুঁজে পেলেও মনকে পাওয়া যাবে না। আরজু নিজেই ফিরে আসবে একদিন আমি অপেক্ষা করবো।বাবা তুমি যদি ওকে খুঁজতে লোক লাগাও আমি পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করে দিব।
—ঠিক আছে আমি কিছুই করবো না।
হারেস আলি মেয়েকে মানা করলেন ঠিকই কিন্তু আগেই আরজুর খোঁজে লোক লাগিয়ে দিয়েছেন। খুঁজে পেলে শুধু নজর রাখবে।
কিন্তু আরজু যেন নিরুদ্দেশ হয়ে একেবারে অদৃশ্য হয়ে গেল। তার টিকির খোঁজ ও পাচ্ছে না কেউ।এই জন্য হারেস আলি আরো বেশি অস্থির হয়ে আছেন।ছেলেটা আসলেই ভালো, তার অভিজ্ঞ চোখ ভুল করেনি।তাই তো ঐ রকম পরিবারে মেয়ের কথায় আত্নীয়তা করেছিলেন কিন্তু মেয়েটা এমন ভুল কিভাবে করলো?
যেদিন কনা হিয়াকে দেখেছিল দোলনচাঁপা গাছটাকে পা দিয়ে পিষে পিষে নিজের সমস্ত রাগ-অভিমান গাছটার উপর ঝারছিল ,প্রথমে স্বাভাবিক রাগ মনে হয়েছিল।পরে কথা বলার সময় , আরজুর কথায় ঐ ভাবে তেড়ে আসাতে কনার সন্দেহ হয়। আরজুর সবচেয়ে ছোট বোনকে এই ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে,কোন উত্তর না দিয়ে ফিক্ করে হেসেছিল।তাতে করে মনে আরো সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে।হিয়ার উপর সমস্ত রাগ গিয়ে জমেছিল।আসল ঘটনা জানার জন্যই হিয়াকে নক দিয়েছিল ফেইক আইডি দিয়ে।এমন যে হয়ে যাবে বুঝতে পারেনি।আসলে যে কোন অপরাধ একটা নেশা । নিকৃষ্ট নেশা।এই দায়ভার একমাত্র নিজের,তাই প্রায়শ্চিত্তও তার একমাত্র নিজেকেই করতে হবে।
নিপা ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলো,ভয়ে কুঁকড়ে গেলো। এতদিন যেটা হয়নি,তাই হলো হঠাৎ অপরাধ বোধ গ্রাস করে ফেলল তাকে।ডাক্তার এনামুলের কাছে শেষ পর্যন্ত বলেছিল নিপা আসল ঘটনাটা-
‘সে দিন সকালে রিয়ার কাছে গিয়েছিল নিপা। ছুটির দিন আদনান বাসায় আছে এটা ভেবেই যাওয়া। গিয়ে আদনানকে না দেখে খুব রাগ হয়েছিল। কিছুক্ষণ বসার পর নিপা বলেছিল-
‘ভাবি বাসায় যাই’
রিয়া বলেছিল-
‘দরজার লকটা চাপ দিয়ে লাগিয়ে দিয়ে যেও,বাবু ছাড়ছে না,তাই উঠতে পারছি না।’
‘আচ্ছা’বলে বের হওয়ার আগে দেখলো রান্না ঘরের লাইট জ্বলছে।সেটা নেভানোর জন্য কাছে যেতেই গ্যাসের গন্ধ নাকে লাগলো।গ্যাস লিক হচ্ছে কেউ টের পেলো না?সাথে সাথে কি যে হয়ে গেল, নিপার মনে হলো এই কথা বলার দরকার নেই রিয়াকে।এখন তো কতোই শোনা যায়,গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে কত জন মরে যাচ্ছে।এমন হলে ভালোই হবে।রিয়া মরে গেলে- নিপা ,আদনানকে ভালোবাসে, এই কথা আদনান জানতে পারলে নিপাকে বিয়ে করে ফেলবে।
সে জানে বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে এখন রিয়া রান্না ঘরে যাবে।চুলা ধরালেই ব্লাস্ট।’
আর চিন্তা করতে পারছে না সে। হচ্ছে করলে রিয়া আর বাবুর জীবন বাঁচাতে পারতো সে।এখন নিপার কেমন লাগে নিজেও জানে না।মনে হয় এই পৃথিবীতে তার বেঁচে থাকার ও কোন অধিকার নেই। বাসায় আসার পর থেকেই স্বপ্ন দেখছে রিয়া আর বাবুকে। প্রথমে রিয়া আর বাবু হাসতে থাকে এর পর চেহারাগুলো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।পোড়ে যাওয়া বীভৎস সেই দৃশ্য,তারা নিপার দিকে তাকিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
একই স্বপ্ন বার বার দেখছে।
নিপা ওদের লাশ দেখেনি। মায়ার কথায় নিচে নামলেও এক কোনায় মুখ ঢেকে বসে ছিল।
দিনের বেলায়ও দেখে,চোখ বন্ধ করলেই দেখে ওদের।
ঘুম থেকে চিৎকার দিয়ে উঠাতে মায়া কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছেন নিপাকে- কি সমস্যা,কোন দুঃস্বপ্ন দেখে কিনা? উত্তরে নিপা কিছুই বলেনি।নিপার চোখে আতঙ্ক দেখেছেন।ডাক্তারের সাথে কথা বললেন মায়া।ডাক্তার বললেন,নিপাকে চেম্বারে নিয়ে যেতে কিন্তু নিপা কিছুতেই রাজি হচ্ছে না যেতে।
রিয়া যখন তার বাবুকে আদর করে সেই সময় নিপা আড়ালে চলে যায়। নিজের চুল নিজেই ছিঁড়তে চায়।
অন্য দিনের মতোই সকালটা শুরু হয়েছিল মায়ার।নিপাকে নাস্তা খাইয়ে ঔষধ খাওয়াতে হবে,ডাকতে গেলেন নিপাকে…
মায়ার একটা বিকট চিৎকার শোনা গেল ।
নিপার চলে যাওয়াটা সবার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলো।বিল্ডিংয়ের অনেকেই সাধারণ আলোচনায় বসলে একজন বলল-
—নিপার এমন করা উচিত হয়নি।ও যদি গ্যাস লিকের ব্যপারটা বলতো আজ রিয়া ভাবি আর বাবুকে এভাবে অকালে চলে যেতে হতো না।
জাফর ভাই বললেন-
—যে চলে যায় তার দোষ ধরতে হয় না।পর পারে তাকে কোন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় কে বলতে পারে তাই নিপার খারাপ কিছু না বলাই ভালো। বাবার কারনেই এই জীবনে তাকে অসুস্থ হয়ে এভাবে চলে যেতে হলো।জীবনে মেয়েটা সুখ পেলো না,পরকালে যেন শান্তি পায় মেয়েটা।
আরেকজন বললেন-
—ঠিক বলেছেন।মানষিক সমস্যা জানার পরেও, সব ঔষধ-পত্র সামনে রাখা ঠিক হয়নি। নিপার আড়ালে রাখার দরকার ছিল।এতগুলো ঔষধের ধকল শরীর সহ্য করতে পারেনি।আহারে মেয়েটা!
আদনানের এ সব কথা-বার্তা ভালো লাগছিলো না। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে এলো। তার মনে বিভিন্ন চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।কি হলো,কি হতে পারতো এই সব।হিয়া কয়েকদিন থেকেই আদনানের অস্থিরতা লক্ষ্য করছে।হিয়া আদনানের পাশে বসে একটা হাত নিজের হাতে তুলে নিলো। আস্তে আস্তে বলল-
—নিপা আপনাকে পছন্দ করতো বলে এ সব হয়নি।ও অসুস্থ ছিল। অনেক আগে থেকেই ওর ট্রিটমেন্ট চলছিলো।নিজেকে এভাবে দোষারোপ করবেন না। সবকিছু জেনেও কেন এমন করছেন?
—কে বলল তোমাকে আমি ওর কথা ভেবে মন খারাপ করছি?আমি ভাবছি নিপা গ্যাসের গন্ধ পেলো ,আমি কিংবা রিয়া পেলাম না কেন? কিংবা রিয়া এমন সময় টের পেয়েছিল যখন ওর কিছুই করার ছিল না । কেন যে সেদিন বাজারে গেলাম?
—আমরা ইচ্ছে করলেও আর পেছনে ফিরে যেতে পারবো না।কেন এমন হয় – আমরা তো জানি না।
অনেকক্ষণ চুপ থেকে হিয়া বলল-
—আমি একটা কথা বলতে চাই।
—বল।
—এই ফ্ল্যাট বিক্রি করে আমরা অন্য কোথাও চলে যাই ,চলেন।
হিয়ার কথা শুনে তাকিয়ে রইল আদনান । অনেকক্ষণ পরে আদনান বলল-
—সেটাই ভালো হবে।
(সমাপ্ত)
ফাহমিদা লাইজু
(সম্মানিত পাঠকগণ, প্রথম থেকেই আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।আজ এই গল্পের শেষ পর্ব পড়ে আপনাদের মুল্যবান মতামত এবং পরামর্শ দিবেন আশা করি। খুব তাড়াতাড়ি আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।)