Child Of Night part-1

0
5403

#Child_Of_Night Writer: #Tanjima_Islam {2} ঘড়িতে রাত নয়টা পনেরো বাজে। বেডের পাশের জানালার ধারে দাড়িয়ে আছে নীরা। হাতে ধোয়া ওঠা গরম কফির মগ। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। কোলাহলমুক্ত এই পরিবেশে বৃষ্টির শব্দ যেন ঝমঝমিয়ে বাজছে। নীরা কফিতে চুমুক দিয়ে আবার বাইরে তাকালো। ল্যাম্পপোস্ট গুলোর হলদে আলোয় আলোকিত হয়ে আছে এলাকার রাস্তাঘাট। সেই আলোয় অদূরে দাড়িয়ে থাকা প্রতিবেশীদের বাড়িঘর দেখা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর কানে আসছে মোটরবাইক আর প্রাইভেট কার এর শব্দ। ফোনের রিংটোন পেয়ে দৃষ্টি সরিয়ে বেডে তাকালো নীরা। ফোনস্ক্রিনে বড়বড় করে লেখা ‘আম্মু’। নীরা কফির মগটা বেড টেবিলে রেখে ল্যাপটপ অন করে কল রিসিভ করল। ভিডিও কল দিয়েছে নীরার মা নাজনীন। নীরা সালাম দিয়ে বলল, ” কেমন আছো আম্মু? ” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুই কেমন আছিস মা? ” আমি ভালো আছি আম্মু। আব্বু কেমন আছে? ” আলহামদুলিল্লাহ তোর আব্বুও ভালো আছে। তবে তার ডায়াবেটিসটা বোধহয় একটু বেড়ে গেছে। কাল ডায়াবেটিস হসপিটালে যাবো চেকাপ করতে। ” ও আচ্ছা। আব্বু আর নিজের দিকেও একটু খেয়াল রেখো। মেডিসিন গুলো টাইম টু টাইম নিও। ” হুম নিচ্ছি। তা তুই কি করছিস? রাতে খেয়েছিস? ” না আম্মু। একটু পর খাবো। মিলিয়ান পড়ে উঠুক তারপর। মিলিয়ানের প্রসঙ্গ উঠতেই নাজনীন এর হাসিখুশি মুখটা মলিন হয়ে গেলো। নীরা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বলল, ” ” আম্মু তুমি এতো রাত পর্যন্ত জেগে আছো কেন? আমি তো বলেছি অফ ডে তে আমি দিনের বেলা কল দেবো। এখন বাংলাদেশ টাইম রাত দেড়টা বাজতে যাচ্ছে! এভাবে রাত জাগলে তো তোমার শরীর খারাপ করবে!! নাজনীন বুঝতে পেরেছে তার মেয়ে প্রসঙ্গ পাল্টাচ্ছে। নাজনীন স্মিত হেসে বলল, ” আরে আমি কি প্রতিদিন জাগি নাকি। আজ ভাবছি তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়বো তাই জেগে আছি। ” ও আচ্ছা। তাহলে তুমি নামাজ পড়ে নাও আম্মু। আমি পরে কল দেবো। ” নীরা শোন! ” বলো আম্মু। ” কবে আসবি তুই? নীরা কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। গত বছর এই সময়ে সামার ভ্যাকেশনে দেশে গেছিলো সে। কিন্তু এবার বোধহয় আর যাওয়া হবে না। সে গেলে মিলিয়ানকে কার কাছে রেখে যাবে! নাজনীন আবার বলে উঠল, ” তোকে কতবার বললাম, মীরার বাড়িটা রেন্ট এ দিয়ে বাচ্চাটাকে কোনো অরফানেজ এ পাঠিয়ে দে। প্রাপ্তবয়সের পর বাড়িতে ফিরে ও নিজেই নিজের পথ দেখে নেবে। ” আম্মু প্লিজ! আমি এখন এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। ” তুই কি করতে চাইছিস বল তো! সারাজীবন অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি নাকি? ” আম্মু আমি রাখছি। বলেই কল কেটে দিল নীরা। মগটা হাতে নিয়ে দেখল, কফি ঠান্ডা হয়ে গেছে। একটা বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো সে। _________________ | | | | | | | ড্রয়িং রুমের লাইট অফ মিলিয়ানের রুমে আলো জ্বলছে। নীরা ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল নয়টা সাইত্রিশ বাজে। মিলিয়ান জাস্ট দশটার মধ্যে পড়া কমপ্লিট করে বের হবে। নীরা কিচেনে ঢুকে মগ উলটে কফিটুকু বেসিনে ফেলে দিল। এখন তাকে ডিনার রেডি করতে হবে। স্টোভ জ্বালিয়ে পানি গরম করতে দিল সে। পাস্তার প্যাকেট ছিড়ে রেখে, চিজটা নাইফ দিয়ে স্লাইস করে কাটতে লাগল। ডিনারে সে আজ চিজি পাস্তা বানাবে। পানি গরম হয়ে গেছে। নীরা তাতে অল্প অলিভ অয়েল দিয়ে পাস্তা গুলো ঢেলে দিল। হালকা সিদ্ধ হলে পাস্তা থেকে পানি ঝরিয়ে একটা স্টিলের পাত্রে রাখল। চিজ কাটা হয়ে গেছে। পাস্তার চারপাশে স্লাইস করে কাটা চিজ গুলো দিয়ে আঁকাবাঁকা করে চিলি সস ঢেলে দিল সে। এবার লবণ দিয়ে স্টিলের পাত্রটা ওভেনে ঢুকিয়ে দিল। স্টোভ জ্বালিয়ে এবার লিকুইড দুধ গরম করতে লাগল নীরা। ফ্রিজ থেকে ছোট্ট এক প্যাকেট কাজুবাদাম নিয়ে নাইফ দিয়ে মিন্স করে নিল। দুধ গরম হয়ে গেছে। দুটো গ্লাসে দুধ ঢেলে ওপর দিয়ে মিন্স করা বাদাম গুলা ছিটিয়ে দিল। ওভেনে পাস্তাও রেডি। নীরা খাবার গুলো নিয়ে ডাইনিং এ সাজাতে লাগল। ঘড়ির কাটা দশটা ছুয়েছে। দরজা খুলে বেরিয়ে এলো মিলিয়ান। নীরা তাকে দেখে বলল, ” পড়া কমপ্লিট? ” হুম। মিলিয়ান একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়ল। পাস্তা তুলে সে মুখে দিতেই নীরা জিজ্ঞেস করল, ” কেমন হয়েছে? মিলিয়ান মুখ নাড়িয়ে খেতে খেতে বলল, ” সবসময়ের মতোই, দারুন হয়েছে। প্রতিত্তোরে নীরা স্মিত হাসল। মিলিয়ান আর কিছু বলল না। দুজনেই নিরবে খেয়ে চলেছে। হটাৎ কিছু মনে পড়তেই নীরা বলে উঠল, ” ও ভালো কথা, আমি এখানকার কয়েকটা স্টুডিও তে খোজ নিয়েছি। সেখানে ভালো পিয়ানো বাজানো শেখায়। তবে নীরার কথা শেষ হওয়ার আগেই মিলিয়ান বলল,” সি সাইড এ যে স্টুডিও আছে আমি সেখানে ভর্তি হতে চাই। ” দানিয়ুব সি সাইড? ” হুম। ওখানে অনেক ভালো পিয়ানো বাজানো শেখায়। ” তুমি কি করে জানলে!? মিলিয়ান এবার চুপ হয়ে গেলো। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে নিজেও জানতে চাচ্ছে যে, সি সাইড এর স্টুডিও তে ভালো পিয়ানো বাজানো শেখায় সেটা সে কিভাবে জানলো। নীরা জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মিলিয়ানের দিকে। কিছুক্ষণ চুপ থেকে মিলিয়ান বলল, ” মাম্মার সাথে আগে উইকেন্ড কাটাতে দানিয়ুব নদীর পাড়ে বেড়াতে যেতাম। এটুকু বলতেই মিলিয়ানের মুখটা মলিন হয়ে গেছে। নীরা তাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে বলল, ” বেশ! তাহলে তোমাকে ওখানেই ভর্তি করে দেবো। তোমার সাথেসাথে আমারও সি সাইডটা বেড়ানো হবে। সাথেসাথেই মিলিয়ানের মুখে খুশির ঝলক দেখা দিল। খুশিতে তার চোখ জোড়া চকচক করছে। নীরা স্মিত হেসে মিলিয়ানের সোনালী চুলে হাত বুলিয়ে দিল। _________________ | | | | | | | ড্রয়িং রুমের লাইট অফ করে বেড রুমে চলে গেছে নীরা। মিলিয়ান ধীর পায়ে বেড থেকে নেমে দরজার বাইরে উঁকি দিল। নীরার রুমে লাইট জ্বলছে। মিলিয়ান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো নীরার বেড রুমের দিকে। নীরা বেডে শুয়ে টেবিল ল্যাম্প এর দিকে তাকিয়ে রইলো। মায়ের বলা কথাটা বারবার তার কানে বাজছে। মিলিয়ানকে কিভাবে অরফানেজ এ দিয়ে আসবে নীরা! মিলিয়ান জানে নীরা তার আপন খালামনি। বাবা-মা হারানো বাচ্চাকে আপন খালামনি কিভাবে অরফানেজ এ রেখে আসবে! যদি মিলিয়ান জিজ্ঞেস করে, ” আমাকে এখানে কেন রেখে যাচ্ছো মাম্মা!? সাথেসাথেই নীরার বুকের ভেতরটা ধ্বক করে উঠল। একটা বাচ্চার জন্য মানুষ কত কি করে। বছরের পর বছর ডক্টরের ট্রিটমেন্ট নেয়, প্রার্থনা করে, কবিরাজদের শরণাপন্ন হয়। বাচ্চা না হলে টেস্টটিউব দিয়ে বাচ্চা হওয়ায়। তাতেও না হলে উন্নত বিশ্বে নারীরা ডোনারদের সাহায্য নেয়। মা হওয়ার কি আকুলতা! মাতৃত্বের স্বাদ কোন মেয়ে না পেতে চায়। আর সেই বাচ্চাকে কি না অরফানেজ এ দিতে হবে! আর ভাবতে পারছেনা নীরা। ল্যাম্প অফ করে চোখ বুজল সে। বৃষ্টির কারণে আজ ওয়েদারটা বেশ ঠান্ডা, এমন ওয়েদারে ভালো ঘুম হবে। ল্যাম্প অফ করতেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে গেলো বাড়ির ভেতরটা। মিলিয়ান কিছুক্ষণ সেই অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থেকে রুমের দরজাটা লক করে ওয়াশরুমে ছুটল। ওয়াশরুমের দরজা লক করে কমোডের ভেতর হড়হড় করে বমি করে দিল সে। বমি করতে করতে তার ফর্সা মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে। গলার শিরা ধমনী সব ফুলে উঠছে। মিলিয়ানের বমি করার অস্পষ্ট শব্দ বন্ধ দরজার ভেতরেই আঁটকে গেল। মিনিট খানেক ধরে বমি করল সে। পেট থেকে সব খাবার বের হওয়ার পর মিলিয়ান ওয়াশরুমের ফ্লোরেই বসে পড়ল। এবার বেশ স্বস্তি লাগছে। ছোট থেকেই সে রান্না করা খাবার-দাবার খেতে পারেনা। খেলেই তার বমি পায় আর বমি করতে না পারলে হয়ে যায় অসুস্থ। বেশ কিছুক্ষণ ফ্লোরে বসে আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালো মিলিয়ান। ট্যাপের পানি ছেড়ে দু’হাতে নিয়ে মুখে ঝাপটা মারল। বেশ কিছুক্ষণ পানি দিয়ে কুলি করে বেরিয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। ভীষণ ঘুম পাচ্ছে তার। হাত পা অসার হয়ে আসছে। মিলিয়ান এলোমেলো পা ফেলে বেডের দিকে এগিয়ে গেলো। কোনোরকমে বেডে উঠে উলটে পড়ল সে। সাথেসাথেই তলিয়ে গেলো গভীর ঘুমে। _________________ | | | | | | | দানিয়ুব নদীর তীর ধরে হেটে চলেছে নীরা আর মিলিয়ান। আজ সূর্যের তেজ কম, শীতল হাওয়া বইছে চারিদিকে। দূর থেকে ভেসে আসছে স্টিমার, স্পিডবোট আর জাহাজের এর শব্দ। সকালের শুভ্র নির্মল বাতাস নীরার শরীর ও মনের সব ক্লান্তি উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মিলিয়ানের পিয়ানো ক্লাস এমন মনোরম পরিবেশে হওয়াতে নীরার বেশ খুশিই লাগছে। মিলিয়ান যতক্ষণ ক্লাস করবে, সে এই নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়াবে। কখনো কখনো স্পিডবোটে চড়ে ভেসে বেড়াবে দানিয়ুবের নীলাভ জলের বুকে। মিলিয়ানের ডাক পেয়ে নদীর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সামনে তাকালো নীরা। হাটতে হাটতে তারা দানিয়ুবের তীর ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট’ এর সামনে এসে দাড়িয়েছে। এখান থেকে সাপের মতো আঁকাবাঁকা সরু রাস্তা চলে গেছে জংগলের গহীনে। নীরা অবাক হয়ে বলল, ” এখানে স্টুডিও কোথায়? মিলিয়ান হাতের ইশারায় বাম দিকে তাকিয়ে বলল, ” ঐ যে দোতলা কাঠের বাড়িটা দেখছো। নীরা মিলিয়ানের হাত অনুসরণ করে সেদিকে তাকালো। কয়েক মিটার দূরে একটা কাঠের তৈরি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িটার একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা দানিয়ুব নদী। অন্যপাশে কয়েকশ একর জায়গা জুড়ে দাড়িয়ে আছে ব্ল্যাক ফরেস্ট (কৃষ্ণবন) মিলিয়ান নীরার হাত ধরে সেই বাড়িটার দিকে এগিয়ে গেলো। এই পথে তেমন বাড়িঘর নেই বললেই চলে। কেমন যেন জনমানবহীন এলাকাটা। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন লোক দেখা যাচ্ছে। বাড়িটার সামনে এসে দাড়ালো নীরা আর মিলিয়ান। লোহার গেইট এর ওপর জার্মান ভাষায় বড়বড় অক্ষরে লেখা ” গেয়ান গেশশেন” (আপনাকে স্বাগতম) গেইট খোলাই আছে। ভেতরে ঢুকে ধীর পায়ে বাড়ির ভেতর এগিয়ে গেলো নীরা আর মিলিয়ান। যতই বাড়ির ভেতর যাচ্ছে ততই যেন ছায়াচ্ছন্ন হয়ে উঠছে চারিপাশ। দেশি-বিদেশি অর্কিডে ছেয়ে আছে বাড়িটা। কিন্তু গাছ গুলা কেমন যেন প্রাণহীন দেখতে। বিন্দুমাত্র সতেজতা নেই তাতে। বাড়ির নিচতলায় সরু বারান্দায় এসে দাড়ালো তারা। কাঠের সদরদরজার হাতলে বড় একটা আংটা ঝোলানো। এটা দিয়েই হয়তো নক করতে হয়। নীরা আংটা ধরে দরজায় নক করল। প্রায় সাথেসাথেই দরজাটা খুলে গেলো। যেন দরজাটা খোলার অপেক্ষায় কেউ দাঁড়িয়ে ছিলো অপর পাশে। দরজা খুলতেই দেখল, মধ্যবয়সী এক ভদ্রমহিলা দাড়িয়ে আছে। নীরা স্মিত হেসে বলল, ” হ্যালো! ” কাকে চাই? ” বাচ্চাকে পিয়ানো শেখাতে এনেছি। এখানে কি বাচ্চাদের পিয়ানো বাজানো শেখায়? ” ভেতরে আসুন। নীরা আর মিলিয়ান ভেতরে ঢুকতেই মহিলা দরজা লক করে বলল, ” স্যার ওপরতলায় বসার ঘরে আছেন। আমার সাথে আসুন। মহিলাকে অনুসরণ করে তারা সিড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে লাগল। তবে নীরা বেশ অবাক হয়েছে। বাড়ির ভেতরটা এতো সুন্দর করে গোছানো অথচ বাইরে থেকে দেখে বোঝাই যায়নি। সিড়ি বেয়ে উঠেই বসার ঘর। সেখানে চারিদিকে সাজানো আছে নানানরকমের বাদ্যযন্ত্র। বসার ঘরের জানালার ধারে দাড়িয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে এক ভদ্রলোক। তার হাতে খুব সম্ভবত কফির মগ। মহিলা তাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ” স্যার! এই বাচ্চাটা পিয়ানো বাজানো শিখতে এসেছে। লোকটা ফিরল না। মহিলা নীরার দিকে তাকিয়ে বলল, ” আপনারা সোফায় বসুন। আমি নাস্তা বানিয়ে আনি)। বলেই দ্রুত পায়ে নিচে নেমে গেলো মহিলা। নীরা মিলিয়ানকে বসতে বলে এগিয়ে গেলো লোকটার দিকে। নীরা তার কাছাকাছি যেতেই লোকটা পেছন ফিরে তাকালো। সাথেসাথেই থমকে গেল নীরা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ঘন কালো চুলের অধিকারী এই সুদর্শন ছেলেটাকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে সে। ছেলেটার ফর্সা ত্বকটা যেন রূপোর ন্যায় চকচক করছে। নীরা ক্ষণিকের জন্য ভেবে নিল, সে কি এমন সুদর্শন যুবক আগে কোনোদিন দেখেছে! আর না দেখবে কখনো। নীরা বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলো না, ছেলেটার গভীর নীল সমুদ্রের মতো চোখ যেন গ্রাস করে নিচ্ছে তাকে। অচেনা অজানা একজনকে দেখে এমন অদ্ভুত অনুভূতি কেন হচ্ছে বুঝতে পারছেনা নীরা। লজ্জায় সংকোচে সে আর তার দিকে তাকাতেও পারছেনা। ছেলেটা নীরার এমন আচরণ উপেক্ষা করে ভাবলেশহীন ভাবে বলল, ” এটা আপনার বাচ্চা!? ____________________ | | | | | | | | | | [চলবে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here