#Child_Of_Night
Writer : Tanjima Islam
[5]
মরিস খেয়াল করল নীরা অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। মরিস তার দৃষ্টি অনুসরণ করে পেছনে তাকিয়ে বলল, ” কাউকে খুজছো?
মরিসের ডাক পেয়ে নীরা দৃষ্টি সরিয়ে মরিসের দিকে তাকালো। মরিস জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীরার দিকে। নীরা জোর করে হেসে বলল,
” না, কিছু না।
বলেই আবারও সেদিকে তাকালো নীরা। কিন্তু এবার আর ওরহানকে দেখতে পেলোনা। নীরা উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
“এক্সকিউজ মি। আমি একটু আসছি।
নীরা দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে ওরহানকে খুজতে লাগল।
মাত্রই তো এখানে ছিলো, মুহুর্তের মধ্যে কোথায় গেলো সে! ঠিক তখনই কাধে কারও হাতের ছোয়া পেয়ে চমকে পেছনে ফিরল সে। সোফিয়া হেসে বলল,
” কি রে! ভয় পেলি নাকি!?
” না, মানে আমি তোকেই খুজছিলাম।
” আচ্ছা চল, কেক কাটা হবে এখন।
নীরা না চাইতেও সোফিয়ার সাথে গেলো। তার কেন জানি মনে হচ্ছে ওরহান এখানেই আছে। এই পার্টিতেই আছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ঘড়িতে রাত সাড়ে আটটা বাজে। হেনা ডাইনিং এ খাবার রেডি করে বাচ্চাদের ডাকতে লাগল। সারলোটের রুমের দরজা ভেতর থেকে লক। হয়তো এজন্য শুনতে পাচ্ছে না। হেনা দরজায় নক করে বলল,
” সারলোট! মিলিয়ান! ডিনারের টাইম হয়ে গেছে। এসো খেয়ে নাও।
সারলোট এতক্ষণ মিলিয়ানকে কমিকস পড়ে শোনাচ্ছিলো। আর মিলিয়ানও খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিলো সারলোটের কমিকস।
ডিনারের টাইম হয়ে গেছে শুনে সারলোট বেড থেকে লাফিয়ে নেমে বলল,
” চলো মিলিয়ান। ডিনার করে আসি।
এদিকে মিলিয়ানের মুখটা চুপসে গেছে। সারলোটের বেড টেবিলের ওপর রাখা ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল, রাত আটটা ছত্রিশ বাজে। তার মাম্মা কখন আসবে! মিলিয়ান উঠছে না দেখে সারলোট তার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বেরিয়ে এলো।
রবার্ট সবার জন্য প্লেটে খাবার সাজাচ্ছে। হেনা প্লেট গুলো একে একে সবাইকে দিয়ে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসল।
মিলিয়ান কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা। খাবার খেলেই তো তার বমি পাবে। তখন কি করবে সে!
রবার্ট খেয়াল করল মিলিয়ান কিছু খাচ্ছেনা শুধু চামচ ঘোরাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে সে অন্য কোনো ভাবনায় ডুবে আছে। রবার্ট স্মিত হেসে বলল,
” মিলিয়ান! কি হয়েছে খাচ্ছো না যে! এনি প্রবলেম?
” না মানে, আমার ক্ষিদে নেই।
” এটা কোনো কথা! নাকি খাবার পছন্দ হয়নি!?
” আপনারা অনেক তাড়াতাড়ি ডিনার করছেন। আমরা তো রাত দশটায় করি। তাই হয়তো ক্ষিদে পাচ্ছেনা।
” ও আচ্ছা। হ্যাঁ তোমার আন্টির ডায়াবেটিস হওয়ার পর থেকে আমরা আগে আগে ডিনার সেরে নিই।
” ওহ। আপনারা খেয়ে নিন। ক্ষিদে না পেলে যদি জোর করে খাই তখন আমার বমি পায়।
বমির কথা শুনে হেনা বলে উঠল, ” আচ্ছা থাক থাক। তোমাকে খেতে হবে না। তুমি তাহলে সোফায় বসে টিভি দেখো। চাইলে সারলোটের রুমে গিয়ে খেলতে পারো।
” আচ্ছা।
মিলিয়ান মনেমনে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো। সেখানে আর একমুহূর্ত না থেকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলো সারলোটের রুমে।
মিলিয়ান রুমে ঢুকেই দরজা লক করে দিল। ভীষণ অস্বস্তি লাগছে তার। রাগও হচ্ছে।
মন চাচ্ছে এখনই এখান থেকে পালিয়ে যেতে। রাগে অস্বস্তিতে মিলিয়ানের ফর্সা ত্বক লালচে রঙ ধারণ করছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নীরা অনেক খুজেও ওরহানকে আর দেখতে পেলো না। লোকটা কি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো নাকি! পার্টি প্রায় শেষ।
নীরা ফোনস্ক্রিনে তাকিয়ে দেখল, রাত নয়টা বাজতে যাচ্ছে। তাকে এবার বাসায় ফিরতে হবে। নীরা ফোন পার্সে রেখে সোফিয়াকে ডাকতে গেলো।
মরিসদের বাসার পেছনে পুলসাইডে বার এর আয়োজন করা হয়েছে।
সেখানেই সবার সাথে ড্যান্স করছে সোফিয়া। নীরা সেদিকে গিয়ে সোফিয়াকে ডাকল,
” সোফিয়া! চল এবার বাসায় যাই।
” আরে নীরা! কোথায় ছিলি এতক্ষণ? আমরা এখানে কত এঞ্জয় করছি।
সোফিয়ার মাতালের মতো কন্ঠ শুনে নীরার বুঝতে বাকি নেই যে, ড্রিংক করে তার নেশা হয়ে গেছে।
একে নিয়ে এখন আরেক ঝামেলা হবে। আগে সোফিয়াকে বাসায় দিয়ে তারপর নিজের বাসায় যেতে তো আরও দেরি হয়ে যাবে।
এদিকে অনেক রাত হয়ে গেছে। মিলিয়ান কি করছে কে জানে! নীরা সোফিয়াকে ধরে বলল,
” সোফিয়া প্লিজ চল। অনেক রাত হয়ে গেছে।
” ওহ কাম অন নীরা! পার্টি তো মাত্র শুরু হয়েছে। এখনও পুরো রাত বাকি।
বলেই খিলখিল করে হেসে ফেলল সোফিয়া। পাশের ছেলেমেয়েরাও নীরার দিকে তাকিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে লাগল।
নীরার এবার বেশ বিরক্ত লাগছে। সে কি সোফিয়াকে রেখেই চলে যাবে! কিন্তু সোফিয়া তো এখন স্বাভাবিক নেই। যদি কেউ ওর সুযোগ নেয়!! নীরার ভাবনার মাঝেই মরিস এসে বলল,
” চলো, আমি তোমাকে ড্রপ করে আসি।
” কিন্তু সোফিয়া?
” ও আজ রাতে আমাদের বাসায় থাকুক। ওকে এই অবস্থায় বাসায় নিয়ে গেলে আংকেল রাগ করবেন।
” আচ্ছা, তাহলে চলুন।
নীরা আসার সময় শুনতে পেলো ছেলেমেয়ে গুলোর মধ্যে কেউ একজন বলছে,
” মরিস! একটু সাবধানে!
তার কথা শুনে বাকিরাও হেসে ফেলল। কি নিয়ে এতো মজা নিচ্ছে কে জানে। মরিসের চোখমুখও বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছে।
সে ইশারায় তাদের কিছু বলল। যার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছেনা নীরা। গেটের কাছে এসে মরিস বলল,
” নীরা! তুমি এখানে ওয়েট করো আমি কার নিয়ে আসি।
” আচ্ছা।
নীরা বারবার ফোনস্ক্রিনে তাকাচ্ছে। নয়টা বেজে গেছে। নীরা চিন্তিত হয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। মরিসও আসার নাম নেই।
নীরার হটাৎ মনে হল তার পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে! সাথেসাথেই ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে ফিরল নীরা। রাতের অন্ধকার আর কৃত্রিম আলো মিশে আশপাশটা মৃদু আলোকিত হয়ে আছে।
সেই আলোয় নীরার মনে হল, বাগানের পাতাবিহীন পেন্সিল ক্যাকটাস গাছটার আড়ালে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
নীরা গেটের দিক থেকে সরে বাগানের দিকে এগোতে লাগল। অবয়বটা নড়ছে না। এমনকি কেউ আসছে দেখেও পালিয়ে যাচ্ছে না।
নীরা কৌতুহলী হয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল। ঠিক তখনই কারের হর্ন পেয়ে চমকে পেছনে ফিরল সে। মরিস কারের ভিতর থেকে মাথা বের করে বলল,
” ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছো নীরা!?
” না কিছু না।
” এসো, লেট হচ্ছে।
নীরা একবার পেছন ফিরে দেখে নিল আশপাশটা। এখন আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
নীরা সামনে ফিরে কারের দিকে এগিয়ে আসতেই মরিসের বাবা ম্যাক্স মরিসকে ডেকে উঠল,
” মরিস!
মরিস আর নীরা তাকিয়ে দেখল, ম্যাক্স তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। মরিস জিজ্ঞেস করল,
” কি হয়েছে বাবা?
” তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে।
” বাবা আমি নীরাকে বাসায় দিয়েই ফিরে আসবো। তারপর এসে কথা বলি!
” না, কথাটা এখনই বলা দরকার।
ম্যাক্স এবার নীরার দিকে তাকিয়ে বলল, ” কিছু মনে করো না। ড্রাইভারকে বলে তোমার জন্য ট্যাক্সি ডেকে দিচ্ছি।
” ইটস ওকে আংকেল। আমি যেতে পারবো। গুড নাইট মরিস।
বলেই দ্রুত পায়ে গেট খুলে বেরিয়ে এলো নীরা। তার কেন জানি ভীষণ মন খারাপ লাগছে। মরিসের বাবা তাকে দেখে কেমন অদ্ভুত আচরণ করছিলো।
এখন আবার মরিসকেও আসতে দিলো না। এমন ফ্যামিলিতে যাওয়ার কথা তো স্বপ্নেও ভাবা যায়না।
নীরা বেরিয়ে যাওয়ার সাথেসাথেই কার থেকে বেরিয়ে এলো মরিস। ম্যাক্সের সামনে এসে বলল,
” কি হয়েছে বাবা! কি এমন জরুরি কথা যে, নীরাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় দিলেন না!?
” ব্যাপারটা নীরাকে নিয়েই। এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। পার্টিতে সবাই তোমার অপেক্ষা করছে যাও। আর সোফিয়ার খেয়াল রাখো। মেয়েটা বেশি ড্রিংকস করেছে। নেশা হয়ে গেছে বোধহয়।
ম্যাক্স আর কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে গেলো। মরিস ভেবে পাচ্ছেনা আসলে হচ্ছেটা কি! না জানি নীরা ট্যাক্সি পেয়েছে কি না। এদিকে বাবার কথা না শুনলেও ঝামেলা করবে! মরিস না চাইতেও বাড়ির ভেতর চলে গেলো।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
হাটতে হাটতে অনেক দূর চলে এসেছে নীরা। একটাও ট্যাক্সি পায়নি। যেগুলো পেয়েছে সব বুক।
এখন এতো রাস্তা সে কিভাবে যাবে! বাসে করে যে যাবে, স্ট্যান্ডও বেশ দূরে। অন্তত দশ মিনিট হেটে গিয়ে তারপর বাসস্ট্যান্ড।
নীরা লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে হাটা শুরু করল। ক্যাজুয়াল ড্রেস পরে থাকলে তাও হাটা যেতো।
কিন্তু এই গাউন পরে এতো পথ হাটা কি চাট্টিখানি কথা! হিল জুতাটা তো তার পা ভেঙে ফেলবে মনে হচ্ছে। নীরা জুতা খুলে হাতে নিয়ে হাটতে লাগল।
মাটিতে বা ঘাসে খালি পায়ে হাটলে যে শান্তি পাওয়া যায় তার ছিটেফোঁটাও অনুভব হচ্ছেনা তার।
পায়ের তলায় পিচঢালা কংক্রিটের রাস্তা। নীরা হটাৎ খেয়াল করল কিছুদূর সামনে চারপাচঁটা ছেলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের হাবভাব দেখে মোটেও সুবিধার লাগছে না।
নীরার এবার কান্না পাচ্ছে। এ কোন মসিবত এসে পড়ল সে! নীরা একবার পেছনে তাকাচ্ছে আবার সামনে তাকাচ্ছে।
পুরো রাস্তায় আর কেউ নেই। সে কি আবার মরিসের বাসায় ফিরে যাবে!
নাহ ওখানে আর যাবে না সে। কিন্তু এদের হাত থেকে বাচবে কিভাবে!
ছেলেগুলো নীরাকে খেয়াল করেছে। নিজেদের মধ্যে কিসব বলাবলি করছে যেন তারা। নীরা মনেমনে ঠিক করে নিল, কাছাকাছি গিয়েই একটা ছুট দেবে সে। একেবারে প্রাণপণ ছুট।
ছেলেগুলো হেলেদুলে এদিকেই এগিয়ে আসছে। নীরা মনেমনে নিজেকে প্রস্তুত করতে লাগল।
ছেলেগুলো নিজেদের মধ্যে কিসব বলে বিশ্রি হাসি দিতে দিতে এগিয়ে আসছে।
ছেলেগুলো কাছাকাছি আসতেই নীরা তাদের দিকে হিল জুতা জোড়া ছুড়ে মারল।
আচমকা কিছুর আঘাত পেয়ে কয়েকজন উলটে পড়ল রাস্তায়। নীরা এবার এক হাতে পার্স চেপে অন্যহাতে গাউন গুটিয়ে দিলো এক ছুট।
কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলো না। ছেলেগুলো তাকে খপ করে ধরে ফেলল।
নীরার এবার প্রাণ যায়যায় অবস্থা। প্রাণভয়ে চিৎকার করে উঠল সে। সাথেসাথেই তাদের মধ্যে কেউ একজন সপাটে চড় বসিয়ে দিল নীরার বাম গালে।
চড় খেয়ে নেতিয়ে পড়ল নীরা। ছেলেগুলোর পৈশাচিক হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাকে টেনেহিঁচড়ে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে শয়তান গুলো।
নীরার মনে হচ্ছে এই বুঝি তার প্রাণটা বেরিয়ে যাবে। প্রচন্ডরকম শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তার। চোখে ঝাপসা দেখছে। কিছুক্ষণ পর নীরা অনুভব করল একে একে তাকে ধরে রাখা হাত গুলো সরে গেছে।
নিজের করুন পরিণতি হবার অপেক্ষা করতে পারছেনা সে। খুব করে চাচ্ছে যেন তাকে শয়তান গুলো ছোয়ার আগেই সে মারা যায়।
কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে গেলো কারো স্পর্শ পেলো না সে। তাহলে কি সে মারা গেছে!
ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালো নীরা। সবকিছু অন্ধকার! মনে হচ্ছে সে কোনো জংগলের মধ্যে শুয়ে আছে। কোথায় এটা! ভাবতে পারছেনা সে।
ভীষণ মাথাব্যথা করছে। তখনই কানে এলো পুরুষ কন্ঠের চিৎকার! পরপর আরেকটা চিৎকার!
তারপর আবার!! নীরা আর পড়ে থাকতে পারলোনা। কি হচ্ছে তার চারপাশে!!
নীরা আস্তে আস্তে উঠে বসল। রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলো জংগলে পড়েছে।
সেই ঘোলাটে হলুদ আলোয় নীরা তার আশেপাশে তাকিয়ে দেখল, কয়েকজনের নিথর দেহ পড়ে আছে! ধড়ফড়িয়ে উঠে দাড়ালো সে।
প্রত্যেকটা দেহের একেবারে রক্তশূণ্য অবস্থা। ফ্যাকাসে মুখে কি ভয়ানক আতংক!! নীরা ভয়ার্ত দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকিয়ে ছুটতে লাগল।
এখন তার মনে মৃত্যু ভয় চেপে বসেছে। অথচ কিছুক্ষণ আগেও নিজের মৃত্যুকামনা করেছে নীরা।
ছুটতে ছুটতে রাস্তায় এসে হুড়মুড়িয়ে পড়ে গেলো সে। পড়ে গিয়ে সে আর উঠতে পারছেনা।
শরীর একেবারে ক্লান্ত হয়ে গেছে। হাত পা অসার হয়ে আসছে তার।
কারোর পায়ের শব্দ এগিয়ে আসছে নীরার দিকে। আবার কে আসছে!
নীরা ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে দেখল, খুব চেনা কেউ এসে তার দুই বাহু চেপে ডাকছে,
” মিস নীরা! আর ইউ ওকে!? নীরা!!
নীরা কিছুই বলতে পারলো না। ঢলে পড়ল লোকটার প্রশস্ত বুকে। সাথেসাথেই নীরা সেন্সলেস হয়ে পড়ল। লোকটা কাউকে কল করছে। এম্বুল্যান্স ডাকছে হয়তো।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
[চলবে]
বিঃদ্রঃ গতকালও জ্বর ছিলো তাই লিখতে পারিনি