অতিরিক্ত চাওয়া নাবিলা ইষ্ক পর্ব : ১০

অতিরিক্ত চাওয়া

নাবিলা ইষ্ক

পর্ব : ১০

দাঁত ব্রাশ করতে করতে ছাঁদে পৌঁছালাম ! ঘুমে আমি ঢুলুঢুলু! দেওয়ালে হেলান দিয়ে চোখ বুঝে ব্রাশ করছি! দাঁত ব্রাশের পরিণতি নিচে ফালাতে যেতেই চোখ গেলো দূরবর্তী বিল্ডিং এর ছাঁদে! হট বডি রেডি করছেন তৃষ্ণা স্যার! পাশেই এক মহিলা কাপড় মেলছেন! মহিলার দুই সাইডে দুটো বড়বড় আপু! একটি ওই বিল্ডিং এর মালিকের মেয়ে আরেকটা তার চাচাতো বোন! দুটোই আড়চোখে আমার প্রিন্সকে চেকআউট করছে! হুহ আমার প্রিন্সকে চেকআউট করছে! এ্যা..এ্যা…

আমি ব্রাশ মুখে রাখা অবস্থাই বড়বড় চোখ করে তাঁর পুশআপ করা দেখছি! সাথে দুই আপুর কুনজর! পুশআপ করেই যাচ্ছে! আরেহ পাশে মেয়েরা কুনজর দিচ্ছে সেদিকে পাত্তাই নেই! পঁচা প্রিন্স..! পঁচা স্যার!
চলে যেতে নিচ্ছিলাম তখনি, কি মনে করে পিছনে ফিরতেই দেখি স্যার আমার দিকে তাকিয়ে, বটেলে পানি খাচ্ছেন! আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম! তাতে তাঁর বিন্দুমাত্র রিয়েকশান দেখলাম না! মিষ্টি হেসে ঠোঁট নাড়ালো.. ” গুড মর্নিং ”
হাহ পাদের মর্নিং! সাতসকাল বেলায় মুডটাই জ্যালাসিতে শেষ করে দিলো! আবার মর্নিং! মুখ বেঁকিয়ে নিচে চলে আসলাম!
কেন রে দাদা..! রূম নেই? সেখানে উলঙ্গ হয়ে পুশআপ কর! কে বারণ করেছে? তারপরও অন্য মেয়েদের সামনে খালি শরীরে কেন এগুলো করবে! মিষ্টি জল দিয়ে স্যারের গোসল করা উচিৎ! কুনজর কেঁটে যাবে!

শুক্রবার তাই আজ বিল্ডিং এর সকল ভাই_বোন বাসায়! নিঁচু তালায় থেকে সুবিধাই হয়েছে! বাহিরের দৃষ্য দেখতে পারি রূমে বসেই! বসে বসে অন্য বাড়ির আপুদের সাজগোজ দেখছি! আমাদের ড্রেসিং এ একেকজন নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে! বিয়ে বাড়ি বলে কথা!
লেহেঙ্গা পড়েছে ৫ টা আপুই! অপ্সরাকেও হারিয়ে দেবে ৫ জন ই! আমারই কিছু ভালো লাগছে না!

১২ টা বাজদে চলল! এখন রেডি হতে না গেলে নির্ঘাত কপালে থাপ্পড় জুটবে! জিন্স_গেঞ্জি বের করলাম পড়ার জন্য! সাথে সাথেই স্যারের কথাটা কানে আসলো ” মেয়েদের মতো ড্রেস আপ পরিয়ো ” হাহ মেয়েদের মতো? ধুর!
বাবা লং কামিজ কিনে দিয়েছিলেন! একদিনও পরে দেখা হয়নি! আজ পরবো! ফ্রেস হয়ে ড্রেসটা পরে নিলাম! চুলগুলো স্ট্রিট করে পিঠে ছেড়ে দিলাম! ওরনাটা সাইডে নিলাম! আর সাথে তো আছেই আটা_ময়দা! মানে ওই টুকটাক সাজ! ফাউন্ডেশন, ম্যাড লিপস্টিক, আই সেড, আই মেকআপ, ব্লাশেছ..! ফুল কাভার হালকা হিলস পরলাম! এন্ড ডান!

রেডি হয়ে সোফায় বসে আছি আমি আর বাবা! সাজুগুজুতে ব্যস্ত মা আর বিল্ডিং এর আপুরা! এখনও কি সাজছে মাবুদ জানে! এতো মেকআপ কেনো লাগাচ্ছে? হালকা দিলেই তো ভালো লাগে! বাবার ফোন টিপছি আর আড়চোখে সকলের সাজগোজ দেখছি!

১ টার দিক বেড়িয়ে পরলাম! ৪ লাইন যেতেই পৌছালাম গৌন্তব্যে! তখনও ফোন টিপাচ্ছি! আইডিতি নানান লোকের স্ট্যাটাস দেখছি! ভিতরে ঢুকতেই গলার আওয়াজ কানে ভাসলো! স্যারের ভয়েসের মতো?
গান গাচ্ছে..? আমি দ্রুত ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পেলাম! কিছু আপু আর ভাইয়াদের মাঝে স্যার গিটার নিয়ে সুর তুলছেন!… আমার দিক মিষ্টি হেসে তাকালেন! ঠোঁটের ইশারা করলেন.. ” ওয়াও “! আমার সাজগোজের পুরষ্কার ছিলো স্যারের রিয়েকশান! গাল দু’টি মনে হচ্ছে উচু হয়ে লাল হচ্ছে! আমি লজ্জা পাচ্ছি..হুহ! কিন্তু আমি রেগে আছি..!

গিটারটা টুংটাং বাজিয়েই গেতে শুরু করলেন! সবাই হাত তালি দিয়ে ঠান্ডা হয়ে রইলো স্যারের আওয়াজ শুনার জন্য….

♪♪♪♪♪♪♪♪♪

চাইনা মেয়ে তুমি অন্যকারো হয়ওও..
পাবে না কেউ তোমাকে তুমি কারো নয়ওও..
চাইনা মেয়ে তুমি অন্যকারো হয়ওও..
পাবে না কেউ তোমাকে তুমি কারো নয়ওও

তুমি তো আমারি জানো না হোওওওও..
এ হৃদয়? তোমারি হো ওওওও..

তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!
তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!

হৃদয়ের নিল আকাশে স্বপ্ন আমার ওড়ে..
ভেঙে যায় আমারি মন অভিমানী ঝড়ে!
হৃদয়ের নিল আকাশে স্বপ্ন আমার ওড়ে..
ভেঙে যায় আমারি মন অভিমানী ঝড়ে!

তুমি তো আমারি জানো না হোওওওও..
এ হৃদয়? তোমারি হো ওওওও..

তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!
তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!

সুখেরি প্রদিপ জ্বলে মনের উঠন জুড়ে..!
দুচোখে বৃষ্টি নামে থাকো যদি দূরে..

তুমি তো আমারি জানো না হোওওওও..
এ হৃদয়? তোমারি হো ওওওও..

তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!
তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু..আ.. মার!

চাইনা মেয়ে তুমি অন্যকারো হয়ওও..
পাবে না কেউ তোমাকে তুমি কারো নয়ওও..
চাইনা মেয়ে তুমি অন্যকারো হয়ওও..
পাবে না কেউ তোমাকে তুমি কারো..

তুমি তো আমারি জানো না হোওওওও..
এ হৃদয়? তোমারি হো ওওওও..

তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু.. আ..মার!
তোমাকে ছাড়া আমি বুঝি না কোনো কিছু যে আর..!
পৃথিবী জেনে যাক তুমি.. শুধু..আ..মার!

♥♥ [ হৃদয় খানের গানটা..! ]

আড়চোখে আমাকে দেখছিলেন! উফফ তার চাহনি? মন চাচ্ছিলো দৌড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরি! টাইট করে! আমার চোখ দু’টি লাল হয়ে আছে! সে কেন এতো ভালোবাসে আমায়? আমিও দিনদিন পাগল হচ্ছি তার জন্য! চোখ থেকে চোখ এড়াতে যে ইচ্ছে হচ্ছে না! সারাজীবন তার এই চোখে তাকিয়ে থাকতে চাই! হুম সারাজীবন! আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত!

জড়সড় চিল্লানোর আওয়াজ আসলো! একেকজন তো স্যারের হাত ধরে ঝাকাচ্ছে! আর তার তারিফের পুল বাধছে! আর মেয়েগুলো স্যারকে উঠতে দেখেই সাজগোজ ঠিক করতে লাগলো! আর তার সামনে এগোতে লাগলো! জ্যালাসি ফিল হচ্ছে কেন? সে এতো সুন্দর কেন? সে এতো হ্যান্ডসাম না হলে কি কেউ নজর দিতো? আমাদের বিয়ে হলে, যখন বেড়াতে যাবো বাহিরে! তখন স্যারের মুখে কালি মেখে দেবো কেউ নজর দেবে না! কালি মাখতে না দিলে? মাস্ক লাগিয়ে দেবো! একে নিয়ে হাটা রিস্ক হবে! যদি মেয়েরা পটিয়ে নেয় আমার হ্যান্ডসাম প্রিন্সকে? হুহ

কিন্তু আমার নিজেকে প্রচন্ড সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে! স্যারের ভয়েস আগেও শুনেছি! কিন্তু আজ বেশি ভালোলাগছে! কেনো? আবষ্যই তার ভালোবাসার স্বাদে!

ড্যাসিং লাগছে, সুট পরে ! আড়চোখে তার তাকানোর চাহনি আমার মনে ঝড় তুলে দেয়! গরম লাগছে এই ঠান্ডা আআবহাওয়া! মায়ের পিছন পিছন চলে এলাম! আগে খেয়ে নেই! খেতে বসবো তখনি স্যার পাশে এসে দাড়ালেন..
” আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি?
” আ’লাইকুম আসসালাম বাবা!
” আংকেল কোথায়?
” ওই তো বন্ধুদের সাথে খাচ্ছে!
” তা আপনিও যান! ওইযে সকল আন্টিরা আড্ডা দিচ্ছেন!
” বেলির নাকি খিদে পেয়েছে!
” আপনি যান! আমার সাথে খেয়ে নেবে!
” আচ্ছা ঠিকাছে.. বেলি আমি ওখানের দিক যাচ্ছি! তৃষ্ণার সাথেই থাকিস! কেমন?

আমি মাথা নাড়ালাম! স্যার মুচকি হেসে চেয়ার টেনে দিলেন! আমি বসতেই পাশে তিনিও বসলেন!..
” গানটা কেমন লেগেছে? তোমায় ডেডিকেটেড করা!
চাইনা তুমি অন্যকারো হও! পাবেনা কেউ তোমাকে! তুমি কারো নও! তুমি শুধু আমার!

আমি একনজরে তার দিক তাকিয়ে আছি! তার চোখ উফফ! সে ফিসফিসফিসিয়ে বলে উঠলো..
” লিপস্টিপ কেন লাগিয়েছো! [ আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম ] আই কান্ট কান্ট্রল! কিস করতে মন চাচ্ছে তো!
আমি চোখ বড়বড় করে তার দিক তাকাতেই সে চোখটিপ মারলো! হায়? কি দিয়ে তৈরি এই লোক! তার শরীরের পশম গুলিয়ো মে বি রোমান্টিক!

আমি খেতে ব্যস্ত! হঠাৎ আমার বাম হাতে স্পর্শ পেলাম! খাবার মুখেই আটকে গেলো! পাশে তাকাতেই দেখলাম, অন্যদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত! এমন ভাব সে কিছুই করছে না? খাচ্ছে আর কথা বলছে! অথচ আমাকে খেতে দিচ্ছে না! আঙুল এর মাঝে আঙুল গুজে দিচ্ছে! আর আমার দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা! হাত টান দিলাম? সাথে সাথে আরো চেপে ধরলো!
তাও কাপাকাপা হাতে খাওয়ার চেষ্টা চালালাম! কিন্তু পারছি না! বুকের ভেতর শুদ্ধে কাপছে!

আড়চোখে তার খাওয়া দেখছি! ঠোঁটের সাইডে খাবার লেগে আছে! দেখতে কিউট লাগছে তো? আমি তার হাতে খোচা দিতেই সে তাকালো.. হাতের ইশারায় ঠোঁট দেখিয়ে দিলাম..
” আউ..! বাহ তুমি দেখি লুচি হয়ে যাচ্ছো? পাবলিক প্লেসে স্যারের থেকে লিপ কিস চাচ্ছো? বেলি তুমি তো নতুন হিস্ট্রি তৈরি করতে চাচ্ছো?

হাহ? আমি ছোট, ছোট চোখ করে তার দিক তাকালাম! মুখ ভেঙিয়ে বলে দিলাম..
” আপনার ঠোঁটের আশেপাশে খাবার লেগে আছে! সেটাই বলছিলাম! আপনায় ওগুলো করার কনো ইচ্ছে আমার নেই!
” হুম তাই নাকি? ওগুলো বলতে কি বোঝালে?
” [ তার দিক ঠোঁট উল্টিয়ে তাকালাম ] আপনি আমায় লজ্জা দিতে চাচ্ছেন?
” হা হা হা হা? লজ্জা? আচ্ছা তুমি কি ওগুলো বলতে চুমুকে বুঝিয়েছো?

আমি মুখ ঘুড়িয়ে নিলাম! অনেক মেয়েরাই আড়চোখে তাকাচ্ছে! এই লোকের মাথায় ফালতু কথা ছাড়া কিছুই নেই! সে আমার হাত ছেড়ে দিলো! হাত পরিষ্কার করে ফোন টিপতে লাগলো! অথচ মুখ পরিষ্কার করলো না..
” বেলি?
” হু?
” ওই যে টিস্যু! ওটা নাও আর মুখটা মুছে দাও তো!

আহ! বুঝতে পেড়েছিলাম! এমন কিছুই করাবে! বড় ছোট সবাই আশেপাশে! কিভাবে করবো? তাও আমি কাপাকাপা হাতে টিস্যু নিলাম! তার দিক তাকাতেই সে আমার চোখের দিক তাকালো! আমি অন্যদিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম! ধীরে ধীরে মুছে দিলাম তার ঠোঁট সহ কর্নারের খাবার! সে একধ্যানে আমায় দেখছিলেন! আমি মুচকি হেসে উঠতে যাবো তখনই হাত ধরে বসিয়ে দিলো!
” চুপচাপ খাবার গুলি ফিনিস করো! আমি ডিস্টার্ব করছি না এখন! ওই যে ওখানে আছি আমি! তোমার দিক নজর থাকবে! বুঝেছো?

আমি মাথা নাড়ালাম! আওয়াজ গুলো ভাড়ি ভাড়ি শুনাচ্ছিলো! ভয় পাচ্ছিলাম যে? সে গিয়ে ওখানের আপু ভাইয়াদের সাথে হাত মিলিয়ে কথা বলতে লাগলেন! আমি চুপচাপ খাচ্ছি! আড়চোখে তাকে দেখছি!

গান বাজছে লাউড হয়ে! কিছু আপুরা নেচেই যাচ্ছে! আমি আম্মুর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছি! এই লোকটা কখন থেকে আমায় ঘুড়েই যাচ্ছে! আমার মুখে কি টাকা ঝুলানো? আজিব? অবষ্য লোক না? ২৩ বয়সের মতো হবে! দেখতে ভদ্রলোক দেখাচ্ছে? কিন্তু আমাকে কেন বিরক্ত করছে! আমি নাচ দেখতে ব্যাস্ত! হঠাৎ ওপাশে প্রচন্ড রকমের হাসির শব্দ পাচ্ছি! হুহ কে আর? আমার স্যার? হাসি গড়িয়ে গড়িয়ে ঝড়ছে ঝড়ের গতিতে! আর আমায় শুধু সাশায়? আবার মেয়েদের নাচও দেখছে! আড়চোখে আমায় মিষ্টি হাদি উপহার দিচ্ছে! কিন্তু তার হাসি এখন আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিচ্ছে!

হঠাৎ পাশে এসে দাড়ালো সে অচেনা পুরুষ! আমি একবার তাকিয়ে আবার নাচ দেখায় মত্য হয়ে উঠলাম! ধীরু সাউন্ডে আওয়াজ আসলো…
” নাম কি?
আমি দ্রুত মাথা উঠাতেই চোখ কপালে! আমার দিক ঝুকে আছে! কিছু বলবো বা করবো? তার আগেই ঝড়ের গতিতে আমার হাত পিছনে কেউ মুর্চে ধরেছে! ব্যাথায় আমার হাত মনে হয় নেই! পিছনে ফিরতেই দেখি স্যার!…
” কি হয়েছে ছোট ভাই?
” ন.. নাহ শুধু পরিচয় হতে আসছিলাম!
” হুহ. পরিচয়? নাম বেলি! থাকে পাশের বাড়িতে! আর মষ্ট ইম্পরট্যান্ট.. মাই ওয়াইফ!

হাহ! ওয়াইফ? কে কার ওয়াইফ? ওয়াইফ না ওয়াইফাই বলল? আমার হাতের ব্যাথা ভুলে, বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি! ছেলেটিও সকড! ধীরে ধীরে কেটে পরলো! অথচ আমার হাত আজ ভেঙেই ছাড়বে!
হাত ছূটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি! আশেপাশে তাকাচ্ছি? সবাই নাচ দেখতে ব্যাস্ত? তারপরও যদি কেউ দেখে ফেলে! ছাড়ে না কেন?
টানতেছে কেন এই লোক? খোদা মান_ইজ্জত তো নিজের ডুবাবে,সাথে আমারটাও!
” আ..আরেহ স্যার? এইটা আমার ছোট বিছানার নিচের জায়গা না! যে যেইটা ইচ্ছা করলেন কেউ দেখবে না? এইটা পাব্লিক বিয়ের প্লেস! আমার ছোট_খাটো মান_ইজ্জত তো ধুয়ে যাবে কেউ দেখলে! যাচ্ছি কোথায়?

আমার কথাগুলো শুনে সে থেমে গেলো! ভ্রু_কুচকে আমার দিক তাকালো!
” দিনদিন দেখছি বড্ড পেকে যাচ্ছো? মান_ইজ্জত ও বেড়ে যাচ্ছে দেখি? হুহ?
” ন..নাহ তা না?
” তো কি? আর ওই ছেলের সাথে কিসের আলাপ চলছিলো? কি বলেছিলাম? আন্টির সাথে থাকতে! তাহলে এদিক_ওদিক দৌড়াচ্ছিলে কেন?
” আর এমন হবে না! আচ্ছা তখন ওই লোক মানে ওই ভাইয়াকে কি বললেন? আমি আপনার ওয়াইফ না ওয়াইফাই? আবষ্যই ওয়াইফাই বলেছিলেন হয়তো! কারন আমাদের তো বিয়ে হয় নি! আচ্ছা আমি আপনার ওয়াইফাই কিভাবে হলাম?

মাথা তুলে তার দিক তাকালাম! সে তার নাক ফুলিয়ে, দু_ভ্রু মাথায় তুলে, আমার দিক তাকিয়ে?

চলবে….!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here