অদ্ভুত প্রেমোমোহ তুমি পর্বঃ৩২

0
1755

#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ৩২
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি

শুভ্রতায় জড়ানো বিছানার উপর অসংখ্য গোলাপের পাঁপড়ি ছড়ানো।সেখানেই শুয়ে আছে শিহরণ আর তার বুকের মাথা দিয়ে শুয়ে আছে তার পিচ্চি।

“মারশিয়াদ ভাইয়া এমন কেনো??

“কেমন??

” এইসবের কী দরকার ছিলো??

“তোমার না থাকতে পারে আমার তো আছে।”

নির্ধা উঠে বসে।ভ্রু কুচকে বলে–

“কী দরকার আপনার??

“আরে বিয়ের পর সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট জিনিস ই তো ফুলসজ্জা।”

“আপনার মাথায় কী এইসব ছাড়া আর কিছু নেই!!!
মারশিয়াদ ভাইয়ার কথাও তো একবার ভাবতে পারেন।”

“ওর কথা ভাবার কী আছে??

“কতোটা কষ্ট নিয়ে সে এইসব করে জানেন!!
নিজের ভালোবাসার মানুষকে অন্যের সাথে দেখা কতটা কষ্টকর।”

“এতে ওর দোষ।কেনো ভুলে যায় না ও প্রহর কে??
যা কোনোদিনও ওর হবার নয়।”

“আমার কিছুই ভালোলাগছে না।প্রহর আর আজরাহান ভাইয়া একে অপরকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে।আর এদিকে মারশিয়াদ ভাইয়াও এক তরফা!!!
এমন কেনো হয়??

শিহরণ এক দম ছাড়ে।

“মারশিয়াদ কী এতো টাকা খরচ করে এইসব আলাপ করতে পাঠিয়েছে আমাদের??

“তো কী করতে পাঠিয়েছে??

শিহরণ টুপ করে লাইট অফ করে দেয়।

“এই আপনি লাইট অফ করলেন কেনো??

“শুধু শুধু হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর ইলেকট্রিসিটির বিল বাড়িয়ে লাভ কী।”

“তাই বলে,,,

“একদম চুপ।”
,
,
জানালার পাশে দাড়িয়ে চাঁদ দেখছে প্রহর।আজরাহান পিছন থেকে ওকে নিজের বাহুতে আবদ্ধ করে।প্রহর এর খোঁপা খুলে দিতেই ওর দীর্ঘ ঘন কালো চুল কোমড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।আজরাহান ওর চুলে নাক ডুবায়।

“শ্যাম্পু করেছিস চুলে??

“হুম।”

আজরাহান ওর চিবুক রাখে প্রহর এর ঘাড়ে।

“কী দেখিস তুই??

“চাঁদ।”

“আমার চাঁদ তো এখানে।”

প্রহর ঘুরে দাড়ায়।আজরাহান ওর হাত এর বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে প্রহর এর গাল ঘষতে থাকে।

“কে??

“তুই।”

প্রহর ফিক করে হেসে দেয়।

“ঝরা পাতার মতো যদি ঝড়ে যাই
খুঁজে নিও তোমার কাব্যে,
আমি ফিরবো তবুও তোমার অন্বেষণে;
যদি দুচোখ জুড়িয়ে যায়
তোমার দেখার পানে
আমি রাতের আকাশে ভেলা ভাসাবো চাঁদের।”

প্রহর গাঢ় লাল রঙের শাড়ী পড়েছে।ঠোঁটে লাল লিপস্টিক।

“তোকে না বলেছি এইসব রঙ চোঙ না মাখতে??
আর কী শাড়ী পড়েছিস এইটা??

“কেনো আপনি জানেন না,লাল রঙ ভালোবাসার প্রতীক!!

“ভালোবাসায় পি.এস.ডি করে এসেছিস মনে হয়??

“করেছিই তো।শুধু আপনি আমার সার্টিফিকেট টা আটকে রেখেছেন।
এতো হিংসুটে কেনো আপনি??

আজরান ওর অধর প্রশ্বস্ত করে।

“আমানত রাখলাম।ঠিক সময় পেয়ে যাবি।”

হুট করেই আজরাহান প্রহর কে কোলে তুলে নেয়।

“আরে কী করছেন!!
ছাড়ুন বলছি।”

আজরাহান দু কদম চলে।

“ছাড়ুন বলছি,ছাড়ুন।”

আজরাহান ধুপ করে ওকে ছেড়ে দেয়।প্রহর কিঞ্চিৎ আওয়াজ করে চিৎকার করে উঠে।

“ও মা গেলাম!!
ফেলে দিলেন কেনো আমাকে??ব্যথা লাগে না বুঝি??

“তুই ই তো বললি ছেড়ে দিতে।ছেড়ে দিলাম।”

“ছাড়তে বলেছি ফেলে দিতে বলিনি।আমার কোমড়টা মনে হয় গেলো!!!

আজরাহান হাটু ভেঙে বসে।

“এমনিতেও তুই কোনো কাজের না।”

প্রহর দাঁতে দাঁত চেপে বলে—

“আপনি কাজে লাগাতে পারেন না সেইটা বলেন।”

আজরাহান হেসে উঠে।প্রহর কে আবার কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দেয়।ওর উপর উবু হয়ে শুয়ে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।প্রহর এর নীল চোখের মনি যেনো নীলিমার বিশালতাকে হার মানায়।সমুদ্রের নীল জলরাশির গভীরতা যেনো ওর চোখের মায়ায়।
ওর এই চোখে কী আছে আজরাহান আজও বুঝে না।
প্রহর ওর ভ্রু দুইবার উচু করে তার রাহান ভাইয়াকে এটাই জিঙ্গেস করে যে কী দেখে এমন ভাবে??

আজরাহান ওর উষ্ণ অধরের স্পর্শ একে দেয় প্রহর এর ললাট,কপোল(গাল) আর চোখে।প্রহর এর নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে।আজরাহান নিজেকে শান্ত করে প্রহর এর বুকে মাথা রাখে।সম্পূর্ন বিছানায় গন্ধরাজ এর ছড়াছড়ি।আজরাহান এক হাত দিয়ে গন্ধরাজ উঠিয়ে প্রহর গায়ে ফেলে।প্রহর এর হৃদকম্পন দ্বিগুন হারে বাড়তে থাকে যা স্পষ্ট শুনতে পায় আজরাহান।

“তুই মারশিয়াদ কে কী বলেছিস??

প্রহর কোনো জবাব দেয় না।আজরাহান ওর উপর থেকে মাথা উঠিয়ে পাশেই বালিশে মাথা রাখে।সিলিং এর দিকে তাকিয়ে বলে–

“কথা বলছিস না কেনো??

প্রহর উঠে বসে।দাঁত,মুখ খিচে বলে–

“কে বলেছে আপনাকে??
আপনার নুরাজান??

“ভাবী বলেছে।”

আজরাহান উঠে বসে।

“এই,তুই এতো উশৃঙ্খল হলি কবে থেকে রে!!
মানুষের সাথে এইসব ব্যবহার করিস??

প্রহর মাথা নিচু করে বলে–

“সরি।”

আজরাহান ওর কপালে অধর ছোঁয়ায়।

“ভাবতো ও না থাকলে কী হতো আমার!!

“আপনি কেনো করলেন এইরকম রাহান ভাইয়া।যদি আপনার কিছু হয়ে যেতো??

“আমি জানতাম আমার কিছু হবে না।”

“মানে??

“সরি বলেছিস ওকে??

“নাহ।”

“কেনো??

“সুযোগ পাইনি।”

“তাহলে চল।”

“কোথায়??

” ওর বাসায়।”

“এখন!!!
এখন তো আমাদের ফুলসজ্জা।”

“ফুলের সাথে শয্যা-ফুলসয্যা।এতোক্ষন তো ফুলের মধ্যেই শুয়ে ছিলাম।ফুলসজ্জা শেষ এখন চল।”

“কিন্তু এতো রাতে??

আজরাহান প্রহর এর হাত টেনে ধরে।

“আমি চাইনা আমার প্রহরিনী কারো কাছে ঋনী থাকুক।
,
,
,
অন্ধকার রুমে দাড়িয়ে দেয়াল হাতড়াচ্ছে মারশিয়াদ।দেয়ালে অজস্র পেইন্টিং।কোনোটা তে রঙ তুলির রঙের ছোঁয়া আবার কোনোটা তে রক্তের আভা।তার বড় কাজলচোখী পেইন্টিং এর আশেপাশে আরো অনেক পেইন্টিং যার সবকয়টাই প্রহর এর মুখচ্ছবি।

আজও মারশিয়াদ তাই করেছে।নিজের রক্ত দিয়ে একেছে তার কাজলচোখী কে।হাত থেকে টুপ টুপ করে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত।অন্ধকার তার অনেক পছন্দ।কারণ অন্ধকার তমসা মানুষের কষ্ট লুকাতে পারে সবচেয়ে নিখুত উপায়ে।

“আমি হারিয়েছি তোমার নীল নয়নে
ধরনীতে পাইনি কো ঠাই,
তুমি কেনো ভুলে গেলে আমায়
অন্ধকার ছায়ায়।
আমি রোজ খুজে ফিরি তোমায়
তোমারই অগোচরে,
তুমি কেনো এই ধরায় চাওনি আমাকে??
যদি হারিয়ে যাই এই পৃথিবী থেকে
খুজবে না কেউ আর
আমি অনন্ত কাল থাকবো চেয়ে
তোমার অপেক্ষায়।

“কাজলচোখী,কেনো এলেন আমার জীবনে??
কেনো থমকে দিলেন আমার জীবনগতি??
যখন আপনি আমার হবেনই না তাহলে কেনো আমার সামনে এলেন??আমি চাই আপনি ভালো থাকেন।সুখে থাকেন।পৃথিবীর সমস্ত সুখ আপনাকে ছুয়ে যাক।তবে আমি কেনো ভালো থাকতে পারি না??
কেনো,কোনো কিছুর বিনিময়েও আমি আপনাকে ভুলতে পারি না।
আমি কী করে বেঁচে থাকবো আপনাকে ছাড়া!!!
এর চেয়ে তো মৃত্যুই আমার জন্য ভালো।”

দরজায় কড়াঘাত পড়তেই তা একটু ফাঁক করে দাড়ায় মারশিয়াদ।

“কিছু বলবেন চাচা??

“জানবাবা,কেউ এসেছে আপনার সাথে দেখা করতে।”

“আমার সাথে??এতো রাতে!!
আপনি বসতে বলেন তাকে।আমি আসছি।”

“জ্বি,জানবাবা।”

মারশিয়াদ ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে।কাউচে বসে আছে আজরাহান আর প্রহর।মারশিয়াদ ভ্রু কুঞ্চি করে।

“তোমরা এখানে!!
হোটেলে কোনো সমস্যা ছিলো??কল করে বলতে আমি তাদের বলে দিতাম।”

আজরাহান উঠে দাড়ায়।

“তেমন কিছু নয়।”

মারশিয়াদ বসতেই আজরাহানও বসে।

“তাহলে??

“ভালো লাগছিলো না তাই।”

আজরাহান এর চোখ যায় মারশিয়াদ এর হাতের দিকে।

“হাতে কী হয়েছে তোমার??

“তেমন কিছু না।হালকা লেগে গেছে।”

মারশিয়াদ প্রহর কে দেখার দুঃসাহস করে না।

“কিছু খাবে??
টি অর কফি??

“পাস্তা।”

মারশিয়াদ মৃদু হাসে।

“ওকে।আমি চাচা কে বলে দিচ্ছি।”

“নাহ।তাকে বলতে হবে না।তাকে শুধু বলো কিচেন রুম দেখিয়ে দিতে প্রহর বানিয়ে আনবে।”

“আরে তা কেনো!!
আমি চাচা কে বলছি।”

আজরাহান প্রহর এর দিকে তাকিয়ে বলে–

“কিরে পারবি না??

“পারবো।”

ইব্রাহিম এসে প্রহর কে কিচেনের দিকে নিয়ে যায়।

“এখন কী অবস্থা তোমার??

“ভালো।”

“টেস্ট করিয়েছো??

“করাবো।”

“যত দ্রুত সম্ভব করিয়ে নাও।”

প্রহর পাস্তা বানিয়ে নিয়ে আসে।ট্রে রাখতেই মারশিয়াদ এর চোখ যায় সরি লিখা একটা কাগজে।

“আসলে ও সেদিন রাগের মাথায় তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে।কিছু মনে করো না।”

মারশিয়াদ এর অবাধ্য চোখ এবার দেখে তার কাজলচোখী কে।যেনো তাকে দেখার তৃষ্ণা এই জনমে মিটবার নয়।মারশিয়াদ তার চোখ সরায়।কাজলচোখীর রুপের আগুনে সে ভষ্ম হয়ে যাবে।

খাওয়া শেষে ওদের গেস্ট হাউজে থাকতে দেওয়া হয়।আজরাহান চলে যেতে চাইলে মারশিয়াদ এতো রাতে না যাওয়ার কথা বলে।

মারশিয়াদ কল করে শিহরণ কে।ঘুম কাতুরে চোখে রিসিভ করে সে।

“কিরে এতো রাতে কল করলি কেন??

“আজরাহান এসেছে।”

“কী!!

“ওর সমস্যা কী!!ও আমার কাজলচোখী কে এভাবে কষ্ট দিতে পারে না।”

“তোরা দুইজন কী শুরু করলি বল তো।
এখন রাখ ভাই ঘুমাতে দে।সকালে কথা হবে।”

মারশিয়াদ চোয়াল শক্ত করে।

রুমে আসতেই বিছানায় শুয়ে পড়ে প্রহর।চোখে নেমে রাজ্যের ঘুম।

বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে থাকে আজরাহান।কিছুতেই তার ঘুম আসছে না।আজরাহান উঠে বাইরে আসে।মূল ভবনে আসতেই দেখে ইব্রাহিম ঘরের লাইট অফ করে শোবার ব্যবস্থা করছে।

“মারশিয়াদ কী ঘুমিয়ে গেছে??

“জানবাবা তো রাতে ঘুমায় না।”

“কেনো??

“তা তো জানি না।”

“ও আচ্ছা।আমি তাহলে ওর ঘরেই যাই।”

“সে তো তার ঘরে থাকে না রাতে।”

“কোথায় থাকে??

“ওই যে দক্ষিনে যে ঘর ওইটাতেই থাকে।সারারাত ওখানেই থাকে।যতক্ষন ভিতরে থাকে ভিতর থেকে লক করে রাখে আবার বাইরে আসলে বাইরে থেকে লক করে দেয়।ওই ঘরে সে কাউকে ঢুকতে দেয় না।”

আজরাহান কিছু একটা ভেবে উপরে আসে।মারশিয়াদ এর রুমের দরজা খোলাই ছিলো।ও ভিতরে আসে।সবকিছুই সাজানো গুছানো।একদম টিপটপ।কিন্তু কেমন যেনো দমবন্ধ করা।আজরাহান ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে।জানালার পর্দাটাও কেমন যেনো।মনে হয় অনেকদিন ছোঁয়া হয় না তাকে।
,
,
,
সকালের মিষ্টি রোদ ছুয়ে দিচ্ছে প্রহর এর গাল।ঠিক সেভাবে ছুয়ে দিচ্ছে আজরাহান তার প্রহরিনী কে।প্রহর একটু নড়েচড়ে উঠে।আজরাহান জানালার পর্দাটা একদম সরিয়ে দেয়।এক গোলা রোদ এসে পড়ে প্রহর এর মুখে।টিপ টিপ করে চোখ খুলে প্রহর।উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙে।

“কিরে কুম্ভকর্ন,বাসায় যাবি না??

“আপনি কখন উঠলেন??

“যখন তুই ঘুমিয়ে ছিলি।যা ফ্রেশ হয়ে আয়।”
,
,
ওরা তিনজন একসাথেই ব্রেকফাস্ট করতে বসে।প্রহর চুপচাপ বসে আছে।

“খাবি না??

“খেতে ইচ্ছে করছে না।”

মারশিয়াদ বলে–

“আসলে বাসায় আমার তেমন একটা খাওয়া হয় না।কোনো রেষ্টুরেন্টে বা শিহরণ এর বাসাতেই খাওয়া হয়।অন্য কিছু লাগলে বলো আমি চাচা কে বলছি।”

“আমি বাসায় যাবো রাহান ভাইয়া।”

কারো পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়।মারশিয়াদ দেখে ইনশিরাহ এসেছে।মারশিয়াদ ইনশিরাহ কেও ওদের সাথে জয়েন হতে বলে।কিন্তু সে খাবে না।ওদের সাথে বসে প্রহর এর দিকে তাকিয়ে আছে।

খাওয়া শেষে আজরাহান আর প্রহর নিচে নেমে আসে।

“কেনো এসেছে ওই মেয়ে??

“তুমি হয়তো দেখেছো ওর স্বামীও ওর সাথে আছে।”

“কেনো আসে ওই মেয়ে এখানে??

“যতটুকু অধিকার দিয়েছি তারচেয়ে বেশি ক্ষমতা দেখিওনা।”

ইনশিরাহ মারশিয়াদ এ শার্ট খামছে ধরে।

“একদম আমাকে ডাবল ক্রস করার চেষ্টা করবে না।”

“কুল ডাউন ইনশিরাহ।”

“ওই মেয়েকে আমি,,

“ভুলেও ওর দিকে হাত বাড়াবে না।”

নিচ থেকে শোরগোল এর আওয়াজ পেয়ে ওর দৌড়ে আসে সেখানে ওরা। বাড়ির সামনেই বস্তা পেচানো কিছু একটা পড়ে আছে।খুলতেই দেখা যায় ওয়াসিম এর লাশ।বিভৎস ভাবে খুন করা হয়েছ।হাত দুটো ঘাড়ের এখান থেকে ভেঙে উল্টো করে বেধে দেওয়া হয়েছে।চোখ দুটো তুলে নিয়েছে।কিন্তু গাল দুটো ফোলা।প্রহর এর গা গুলিয়ে উঠে।
মারশিয়াদ বসে ওয়াসিম এর মুখ থেকে একটা কাগজ বের করে।তাতে লিখা—-

“The two of us will meet soon .”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here