#অদ্ভুত_প্রেমোমোহ_তুমি
#পর্বঃ৩৩
✍️ তাজরিয়ান খান তানভি
বাসায় ঢুকেই কাউচের উপর বসে আজরাহান।মারশিয়াদ এর বাসার ঘটনায় চিন্তিত সে।প্রহর কিছু না বলেই সোজা উপরে চলে যায়।আজরাহান কে বসার রুমে দেখে ওর পাশে এসে বসে নুরাইসা।আজরাহান এর চোখ মুখ কেমন বিবর্ন।
“রাতে ঘুমাও নি??
“ঘুমাবো বলে তো যাইনি।”
নুরাইসার বুকটা ধক করে উঠে।একটা শীতন নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে ওর বুকের ভিতর থেকে।
“তো কবে শোনাচ্ছো গুড নিউজ??
“অতি শীঘ্রই।”
নুরাইসা কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো।কেমন যেনো দম বন্ধ হয়ে আসছিলো তার।পাজরের হাড় গুলো যেনো তার হৃৎপিন্ডে বিঁধে যাচ্ছে।এইসব কিছুই তো তার হওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু আজ সব ধূসর মরুভূমি।
“ভালো থেকো।”
নুরাইসা উঠে চলে যায়।আজরাহান শরীর এলিয়ে দেয় কাউচে।ভাবতে থাকে ওয়াসিম এর কথা।মানুষ কী করে পারে মানুষ কে এভাবে মারতে!!!
রুমে আসতেই দেখে প্রহর শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে।
“এখন শাওয়ার নিলি যে??
“ভালো লাগছিলো না।”
আজরাহান বিছানায় শুয়ে পড়ে।সারারাত ঘুম হয়নি।ভীষন ক্লান্ত সে।
“একটা কথা বলবো??
আজরাহান উপুর হয়ে শুয়ে বলল–
“বল।”
“আমাদের ড্রাইভারকে কে মারলো??আর তাকে ওই বাড়ির সামনে কেনো ফেলে রেখে গেলো??
“জানি না।
কথা বাড়াস না।ভালো লাগছে না আমার।ঘুমাবো এখন আমি।”
“কফি খাবেন??
“নাহ।
তুই গিয়ে খেয়ে নে।কিছুই তো খেলিনা তখন।”
প্রহর ওর ভেজা চুল মুছে টাওয়াল টা রেখে নিচে আসে।ডাইনিং এর উপর খাবার রাখাই আছে।প্রহর সেখান থেকে একটা আপেল নেয়।নুরাইসা এসে দেখে প্রহর এর চুল দিয়ে টুপ টুপ করে পানি ঝড়ছে।
“এখন গোসল কেনো করেছিস তুই??
প্রহর ভ্রু কুঞ্চি করে।তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে–
“তাতে তোমার কী??
“এভাবে কেনো কথা বলছিস তুই??
“আমার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে বলবো।তাতে তোমার কী??
“প্রহর বাড়াবাড়ি হচ্ছে কিন্তু।”
প্রহর হাত থেকে আপেলটা ধুম করে রাখে টেবিলে।রাগে চোখ দুটো লাল হয়ে উঠে।
“বাড়াবাড়ি তো তুমি করছো।একদম আমার রাহান ভাইয়ার কাছে আসবে না।
লজ্জা করে না,অন্যের স্বামীর দিকে নজর দিতে!!!
রাহান ভাইয়া না হয় পুরুষ মানুষ।কিন্তু তুমি,তুমি কেনো তার আশেপাশে চুইংগামের মতো লেগে থাকো।”
“এক চড় লাগাবো।”
“ইশশ!!
আমি তো বসে থাকবো।”
“কী করবি তুই??
তৎক্ষনাৎ প্রহর এক অদ্ভুত কান্ড করে বসে।নুরাইসার হাত নিয়ে একটা কামড় বসায়।যে সে কামড় নয়।একদম ওর দাঁত গুলো নুরাইসার নরম তুলতুলে হাতের মাংসপিন্ডে গেথে যায়।নুরাইসা চিৎকার দিয়ে উঠে।আর এর মধ্যেই প্রহর লাপাত্তা।নন্দিতা রুম থেকে বেরিয়ে আসে।আজরাহান এর সবেই চোখ লেগে এসেছিলো।কিন্তু নুরাইসার চিৎকারে ঘুম উবে যায় এক মুহূর্তে।দৌড়ে নিচে আসে সে।নুরাইসা একটা চেয়ারে বসে চোখের জল ফেলছে।হাত কেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
“এইসব হলো কী করে??
“তোমার ওই রাক্ষুসে বউ কে গিয়ে জিঙ্গেস করো।’
“প্রহর করেছে!!!
“তা নয়তো কী!!
আমার হাত টা বুঝি গেলো।”
নুরাইসা আবারও কেদেঁ উঠে।নন্দিতা ভালো করেই জানে তার বোন নিশ্চয়ই উল্টা পাল্টা কিছু বলেছে।
“তুই কী বলেছিস??
“আমি কী বলেছি!!
“তুই নিশ্চয়ই ওকে এমন কিছু বলেছিস তাই ও তোকে কামড় দিয়েছে।”
আজরাহান ওর হাত ড্রেসিং করছে।
“তাই বলে কী ও কামড় দিয়ে দিবে।আজকাল একটু বেশিই বাড় বেড়েছে ও।কোথায় গেছে প্রহর???
“আমি কী জানি??
আজরাহান ভালো করেই জানে প্রহর কোথায়।ও সোজা ছাদে চলে যায়।
“আমি জানি তুই এখানেই আছিস।বেরিয়ে আয়।”
প্রহর সিড়ি ঘরের পিছনে দাড়িয়ে ছিলো।আজরাহান এর কথায় ধীম পায় বেরিয়ে আসে।
“কামড় দিলি কেনো ওর হাতে??
প্রহর নিরুত্তর।
“কথা বলছিস না কেনো তুই??
প্রহর নিচের দিকে তাকিয়ে পা দিয়ে পা ঘষে যাচ্ছে।দু হাত দিয়ে ওড়নার দুই পাশ মুছড়ে দিচ্ছে।
আজরাহান ওকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।
“পাগলামি করিস কেনো তুই??
তুই জানিস না,তোকে কেউ কিছু বললে আমার সহ্য হয় না।
যা ওকে সরি বলে আয়।”
প্রহর নিজেকে ওর বন্ধন থেকে ছাড়িয়ে নেয়।চোখ,মুখ খিচুনি মেরে বলে–
“নাহ।”
“প্রহর পাগলামি করবি না।যা বলছি।”
“বললাম তো না।”
“প্রহর!!!!
আজরাহান হাত উচুঁ করে প্রহর কে মারার জন্য।
“কী হলো থামলেন কেনো,মারুন আমাকে।মেরে ফেলুন।আমাকে মেরে আপনার নুরাজানকে গিয়ে বিয়ে করুন।”
“তুই যা আমার চোখের সামনে থেকে।যা বলছি।”
“চলে যাবো।চলে যাবো আমি।আপনাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাবো।তখন বুঝবেন।”
আষাঢ়ের বাদলের ঝড় বইতে লাগলো প্রহর এর নয়নযুগল থেকে।
আজরাহান ছাদের বাউন্ডারি দেয়ালে হাত রাখে।আকাশ দেখে।বিবর্ন আকাশ।
“ততটুকুই যেও,যতটুকু গেলে
ফিরে আসা যায়;
তোমার বিহনে হৃদয়চিত্তে
চৈত্রের দহন ছায়।
,
,
,
সারা দুপুর বেঘোরে ঘুমিয়েছে আজরাহান।ঘুম থেকে উঠেই বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়।সূর্য্যিমামা পূর্ব দিকে হেলে পড়েছে।তার রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়েছে পুবের নিলীমায়।পাখিরা নীড়ে ফিরছে তার আপন মানুষের কাছে।গৌধুলীলগ্ন ছুয়ে যাবে তিমির কে।
তখন ধমক দেওয়ার পর প্রহর একবারও ঘরে আসেনি।মেয়েটা আজকাল বড্ড বেখয়ালি।আজরাহান শত চেষ্টা করেও ওর মায়া কাটাতে পারে না।ওর পাগলামো দিন দিন বেড়ে চলছে।এমন তো ছিলো না তার প্রহরিনী!!
ঘর থেকে বের হয়ে চষে বেড়ায় পুরো ঘর।কিন্তু কোথাও প্রহর নেই।আজরাহান বাগানে যায়।হয়তো গন্ধরাজ এর কাছে।নাহ,সেখানেও নেই।বাড়ির পিছনে ওদের পুরোনো দোচালা ঘর ছিলো।আজরাহানদের দাদার আমলের।ভাঙা হয়নি সেটা।আজরাহান প্রহর কে সেখানে পায়।মুখে অমাবস্যা নিয়ে বসে আছে।আজরাহান ওর পাশেই বসে।
“এই সন্ধ্যে বেলায় এখানে কেনো বসে আছিস??
“কেনো এসেছেন আপনি,চলে যান এখান থেকে।”
আজরাহান ওর কানের কাছে গিয়ে বলে–
“শেওড়া গাছের শাখুচুন্নি।”
“আপনি পেত্না।”
আজরাহান গা দুলিয়ে হেসে উঠে।
“বকা দিলেন কেনো আপনি আমাকে??
“ভালোবাসি তাই।”
“ভালোবাসলে কেউ বকা দেয়??
“তোর এই কামড়া কামড়ির স্বভার কোথা থেকে এলো??
“বেশ করেছি।আবার আপনার কাছে এলে আবার কামড়ে দিবো।ওর চোখ তুলে নিবো আমি।”
“তোর কথা শুনে তো আমারই ভয় করছে।এই,আজকে থেকে নিজের ঘরে ঘুমাবি।একদম আমার কাছে ঘেষবি না।”
প্রহর আজরাহান এর গায়ে হেলান দেয়।
“কেনো??আমি কি আপনাকে কিছু বলেছি??
“এতো হিংসুটে কেনো তুই??
“কেনো আসবে সে আমার রাহান ভাইয়ার কাছে!!
লজ্জা করে না তার।”
আজরাহান প্রহর এর চুলে বিলি কাটতে থাকে।
“আইসক্রীম খাবি??
“হুম,হুম।”
প্রহর দুইবার মাথা ঝাকায়।
“চল,সাথে সূর্য্যি আর সারাফ কে নিয়ে নিস।”
প্রহর এক লাফে উঠে দাড়ায়।
“আপনি দাড়ান,আমি ওদের নিয়ে আসছি।”
,
,
একটা আইসক্রীম পার্লারে এসেছে ওরা।সন্ধ্যে ঘনিয়ে রাত তখন।আজরাহান ওদের বসিয়ে কী যেনো আনতে গেছে।তিনজনে দিব্যি আইসক্রীম খেয়ে চলছে।তিনজন তিন ফ্লেভার এর।প্রহর টুপ করে ওর চামচটা দিয়ে দেয় সূর্য্যির আইসক্রীমে।
“প্রহরিনী,তুমি আমার আইসক্রীম খেলে কেনো??
“আরে টেষ্ট করে দেখলাম,কেমন।
জানো না শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং।”
আজরাহান কিছুক্ষন পর এসে চেয়ার টেনে বসে।
“খাওয়া হয়েছে আপনাদের??
“আরেকটু বাকি।”
“জলদি কর।”
খাওয়া শেষ ওরা ফিরতি পথ ধরে।সারাফ এর হাত ধরে রেখেছে প্রহর।আর সূর্য্যি আজরাহান এর কোলে।আজরাহান দেখতে পায় কিছুদুরে একটা মেয়ে আর সাথে কয়েকটা ছেলে দাড়িয়ে আছে।আজরাহান সূর্য্যি কে কোল থেকে নামায়।
“তোরা দাড়া আমি আসছি।”
আজরাহান গিয়ে দেখে কিছু ছেলে নুরাইসার সাথে অসভ্যতা করছে।আজরাহান এর সাথে কিছুক্ষন বাক বিতন্ডা হয় এবং একসময় তা হাতাপায়িতে রুপ নেয়।পাড়ার কিছু লোক আসাতে ছেলেগুলো সেখান থেকে কেটে পড়ে।তারা চলে যেতেই আজরাহান নুরাইসার হাত চেপে ধরে।
“কোথায় গিয়েছিলে তুমি??
“তা বলতে আমি বাধ্য নই।”
“এতো রাতে কী কাজ তোমার বাহিরে??
“হাত ছাড়ো আমার।
কোন অধিকারে হাত ধরেছো আমার??
“আমার কী অধিকার তার জ্ঞান আমি তোমার থেকে নিবো না।আর এইসব করতে হলে নিজের বাড়িতে গিয়ে করো।আমাদের বাড়িতে নয়।”
“করুনা দেখাচ্ছো??
ভুলে যেওনা তোমার বাবার জন্য আমার বাবা কী করেছে।”
“তার মানে এই নয় তোমার যা ইচ্ছে করবে।
নিজের ভালো বোঝার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে তোমার।”
“আমাকে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না।”
নুরাইসা চলে যায়।প্রহর সবই দেখছে।কিন্তু কিছু বলেনি।”
,
,
,
কাউচে বসে তার দাদার সাথে কথা বলছে মারশিয়াদ।ভদ্রলোকের অবস্থা আবার খারাপ করেছে।এর আগে তার ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়েছে।কথা বলে মোবাইল টা সেন্টার টেবিলে রাখে মারশিয়াদ।কাউচে হেলান দিয়ে বসে।
শিহরণ এসে ওর পাশেই বসে।
“কী অবস্থা দাদুর??
“ভালো না।”
“কবে ফিরবি??
“আমার কাজ শেষ হলে।”
“আমার মনে হয় আমাদের ফিরে যাওয়া উচিত।
অরল্যান্ডো কখনো না কখনো তো ফিরবে।তখন না হয়,,,
“আমি ওকে কথা দিয়েছি।”
“এখানে থাকলে তুই ভালো থাকবি না মারশিয়াদ।”
“আমি ভালো আছি।”
“তুই মরে যাবি।”
“আমি মরে গেছি।এখন শুধু আমার কাজ শেষ হওয়া বাকি।”
“প্রহর কে ভুলে যা।”
“পারবো না।
কেনো??আমি তার কী ক্ষতি করছি!!
আমি তো তার কোনো ক্ষতি করি নি।তার তো কোনো দোষ নেই।”
“তাহলে কেনো এই পাগলামি করছিস??
ও তোর ভাগ্যে নেই।”
“মেনে নিয়েছি আমি।
আমার ভাগ্য অভিশপ্ত।সবার জীবনে তার প্রথম ভালোবাসা হয় তার মা।কিন্তু আমি!!
আমি পাইনি তার ভালোবাসা।বাবাকেও কেড়ে নিলেন।দাদুও চলে যাবেন।
যাকে চেয়েছিলাম সেও কখনো আমার হবে না।এটাই আমার ভাগ্য।”
“ইনশিরাহ তোকে ভালোবাসে।”
“আশফিক ইনশিরাহ কে ভালোবাসে।”
“কিন্তু ইনশিরাহ,,,
“বাসবে।কিন্তু আমার পক্ষে কাউকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।
আমি এখন শীতের শুকনো পাতা।এখন শুধু ঝড়ে যাওয়ার অপেক্ষা।”
মারশিয়াদ উঠে দাড়ায়।
“কোথায় যাচ্ছিস তুই??
“বাইরে।ভালো লাগছে না।”
“এতো রাতে !!তাও আবার একা??
“আমি তো একাই।একাই চলতে হবে আমাকে।”
,
,
,
ঝিলের স্বচ্ছ পানিতে ল্যাম্পপোস্টের আলো যেনো সর্পিলাকার ধারন করেছে।ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া।চাঁদের কিরণ একটু একটু করে সব উজ্জ্বল করে দিচ্ছে।সব কিছুই রুপালি চাদরে আবৃত।
বেঞ্চের উপর বসে সুউচ্চ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে মারশিয়াদ।এক চাঁদের সাথে কতো তারার লুকোচুরি খেলা।মিট মিট করে জ্বলছে।সূর্যের আলোয় আলোকিত চাঁদ রাতের অন্ধকার দূর করায় ব্যস্ত।নরম পায়ে ওর পাশে এসে বসে ইনশিরাহ।
“আমাকে ফলো করছো??
“নাহ।তোমার বাসায় গিয়েছিলাম।চাচা বললো তুমি রণ ভাইয়ার বাসায়।সেখানে গিয়ে দেখি তুমি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছো।তাই তোমার পিছু পিছু আসলাম।”
“কেনো??
“তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে তাই।”
“কেনো,,,
আমি কি চিড়িয়াখানার গরিলা!!
“এইটা কেমন কথা!!
“এইটা এমন কথা!!
মারশিয়াদ হেসে উঠে।
“কেনো নিজেকে কষ্ট দিচ্ছ??
“কে বলল তোমাকে??
আমাকে কি তোমার লেজ কাটা শিয়াল মনে হয়!!
মারশিয়াদ ইনশিরাহ এর দিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে আবার বলে—
“শুনেছো এই গল্পটা??
“হুম।”
“কতো স্বার্থবাদী ছিলো তাই না শিয়াল মামা।নিজের ভুলে লেজ হারিয়ে পরে সবাইকে নিজের মতো কষ্ট দিতে চেয়েছিলো।
তাহলে আমি কেনো পারি না বলোতো!!!
“আমি একদিন নিখোঁজ হবো
উধাও হবো রাত প্রহরে;
সড়ক বাতির আবছা আলোয়
খুজবে না কেউ এই শহরে।
—সাদাত হোসাইন
“এভাবে কেনো বলছো??আমি তোমাকে ভালোবাসি মারশিয়াদ।”
“তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি শব্দটা শুনলে কী করতে ইচ্ছে করে জানো!!
তোমার গলা চেপে ধরতে।
কেনো পারিনা বলতে পারো??
মায়া না কী ভালোবাসা !!!
এর মধ্যেই গাড়ির ব্রেক কষার আওয়াজ আসে মারশিয়াদ এর কানে।ঘাড় বাকিয়ে পিছন ফিরে তাকায় মারশিয়াদ।কালো রঙের একটা গাড়ি থেকে হুডি পরা চার পাঁচজন লোক বেরিয়ে এলো।ওরা দুইজন বেঞ্চ থেকে উঠে দাড়ায়।মারশিয়াদ নিজের হাতের আড়াল করে ইনশিরাহ কে।
চলবে,,,