অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part: 16

অবশেষে ভালোবাসি (সিজন ২)part: 16
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤

,
🍁
,
ভালোবাসা কে একটা বিশ্রী আবেগছাড়া কিচ্ছু ভাবি নি কখনো।এড়িয়ে চলেছি প্রতিটি মুহূর্তে কিন্তু দেখো সেই ভালোবাসার চুরাবালিতেই ফেঁসে গেলাম।।তোমার এই মায়াজাল থেকে নিজেকে মুক্ত করা অসম্ভব।।আর এই অসম্ভবটাকে আমি অসম্ভবই করে রাখতে চাই সবসময়।।তোমার মায়াজালে এভাবেই আটকে থাকতে চাই শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত।।তোমার মুগ্ধ হাসির কারণ হতে চাই আমি।।আমায় কি একটু ভালোবাসা যায়??তোমার জীবনটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখার অধিকারটাকে কি আমার রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়??
.
টলটলে চোখে কথাগুলো বলে চলেছে আয়ান।।অদিতির কেনো যেনো মনে হচ্ছে আয়ানের প্রতিটি কথা সত্য, অনুভূতিপূর্ণ।অদিতি আয়ানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে অবাক চোখে….আয়ানের চোখেও এক অদ্ভুত মায়া খুঁজে পাচ্ছে অদিতি।আসলে সবার চোখেই মায়া থাকে,গভীর মায়া। সেই মায়া খুঁজার জন্য কোনো বিশেষ গুনের প্রয়োজন হয় না,,,শুধু প্রয়োজন ভালোবাসা মাখা এক জোড়া চোখ।।বাচ্চাদের চিৎকার চেঁচামেচি আর খান সাহেবের তাড়ার মুখে অদিতি গোলাপটা হাতে তুলে নিলো।সাথে সাথে বাচ্চাদের তালির পসরা বসলো।।কি হৈ হুল্লোড় কতো আনন্দ সবার।।এই বাচ্চাগুলোকে দেখে কে বলবে যে এরা এতিম,অসহায়??আয়ানও বাচ্চাদের সাথে মত্ত হয়ে উঠেছে,,কানা মাছি, বৌছি কতো খেলা খেলছে ওরা। অদিতিরও ইচ্ছে করছে দৌড়ে চলে যেতে কিন্তু পারছেনা।খান সাহেবের কড়া হুকুম,, “চুপটি করে এখানেই বসে থাকো।ব্যাথা পেলে সমস্যা। এই টাইমে ছোটাছোটি করা একদম ঠিক না।” অদিতিও মাথা দুলিয়ে মেনে নিয়েছে কি আর করা??ফেইক প্রেগনেন্সি হলেও প্রেগনেন্সি তো।।।মা হিসেবে তো তার একটা কর্তব্য আছে,,,হা হা হা হা….
.
.
🍁
.
.
ফাহিম বেডে থুম ধরে বসে আছে।সে আজ ভার্সিটি যায় নি।মনটা তার খুব খারাপ।।খুব বেশিই খারাপ।।ছেলেদের কান্না করা বারন না হলে সে এখন পা ছড়িয়ে কাঁদতো।রাগে শরীর ফেটে যাচ্ছে তার।।রাগটা ঠিক কার উপর সেটা ফাহিম নিজেও ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।।একবার রিয়ার উপর রাগ লাগছে তো আবার নিজের উপর রাগ লাগছে।কে বলেছিলো ওই মেয়েকে ওকে ভালোবাসতে???ফাহিম তো সেধে ভালোবাসতে বলে নি।।তো কেনো ভাসলো??শুধু ভালোবাসলেও চলতো কিন্তু তা তো করে নি পিচ্চিটা,,তার ভালোবাসায় ফাহিমকেও ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এখন যখন ফাহিম হাবুডুবু খাচ্ছে তখন তার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে একঝাঁক অবহেলা,ঘৃণা।। এটা কি মেনে নেওয়া যায়??এই ১৮ বছরের পুচকি একটা মেয়ে তার থেকে দশবছরের বড় একটা ছেলেকে এভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে হাস্যকর এবং আপমানজনক।।কিন্তু তবুও যে ফাহিমের হতচ্ছাড়া মন রিয়াকেই চায় এই বিষয়টাতে ফাহিম নিজের উপরই বিরক্ত।।শুধু বিরক্ত বললে ভুল হবে,,সে এই মুহূর্তে চরম বিরক্ত।।ফাহিমের বিরক্তির পর্দাটাকে ছিড়ে ফালাফালা করে দরজার আড়াল থেকে কেউ বলে উঠলো…..
.
ভাইজান??খালুয় আফনারে ডাকে।
.
ফাহিম ভ্রু কুচঁকে দরজার দিকে তাকালো…অদ্ভুত সব ভাষা প্রয়োগ করে জরিনা।।”আফনারে” হোয়াট রাবিশ।ফাহিম কতোবার এই মেয়েটাকে বলেছে এসব ফালতু ওয়ার্ড যেনো ইউজ না করে।।কিন্তু ফাহিম খেয়াল করেছে তার মানা করার পর থেকে জরিনা এসব ওয়ার্ড আরো বেশি করে ইউজ করছে।।অন্যসময় হলে ফাহিম ওকে ডেকে নিয়ে শুদ্ধ উচ্চারণ টা শিখিয়ে দিতো।।কিন্তু আজ ব্যাপারটা মাথায় নিলো না সে।বিরক্তিমাখা মন নিয়ে চলে গেলো বাবার রুমে।।
.
বাবা আসবো?
.
হুম কাম..
.
ডেকেছো কেন??
.
তুমি কি তোমাকে ডেকে পাঠানোয় বিরক্তিবোধ করছে?
.
হ্যা করছি।
.
আচ্ছা..তাহলে রুমে যাও। বিরক্তিটা কমলে চলে এসো আই উইল ওয়েট।
.
নো বাবা।বলে ফেলো, এসেছি যখন শুনেই যাবো।।তারপর লম্বা একটা ঘুম দিবো।।ঘুমের মধ্যে কোনো ডিস্টার্বেন্স চাই না আমি।।লম্বা ইতিহাস না বলে মোড়াল অফ দ্যা স্টোরি বলো তাতেই চলবে।
.
রিয়ার ফ্যামিলি বিয়ের জন্য মানা করে দিয়েছেন।
.
একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে পেপারটা ভাজ করতে করতে ছেলের মুখের দিকে তাকালেন এনামুল সাহেব।।ছেলের মনের ভাব বুঝার ব্যর্থ চেষ্টা করে আবারো বলতে শুরু করলেন তিনি….
.
তারা রিয়াকে নিয়ে আর কোনো রকম রিস্ক নিতে চায় না।।রিয়াদ পরিষ্কার বলে দিয়েছে রিয়া যা বলবে তাই হবে।ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিচ্ছুটি নয়।
.
বাট আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু লিসেন “নো”।।বাবা… আই ডেস্পারেটলি নিড হার।।ইউ হেভ টু ডু দিস ফর মি ।।আই ডোন্ট নো হাউ,,ইভেন আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু নো।।আই জাস্ট নো আই ওয়ান্ট হার এট এনি কস্ট।।
.
আই হেভ নাথিং টু ডু মাই সান।এখন শুধু একটা পথই আছে,, তা হলো রিয়াকে তোলে এনে বিয়ে করা৷।। আর তাতে আমি তোমায় সাপোর্ট করবো না ফাহিম।।শী ইজ আ গার্ল,, শী হেভ আ ফ্রীডম টু চুজ,,,হেভ আ ওউন ডিসিশান।।উই কান্ট ইন্টারফেয়ার অন দিস পারপোসেস।।আই থিংক,,, ইউ উইল আন্ডারস্ট্যান্ড।।।
.
ফাহিম কোনো কথা না বলে,, বাবাকে একনজর দেখে নিয়েই বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে।।এনামুল সাহেব অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ছেলের যাওয়ার দিকে।।ছেলের ভালোবাসার কাছে নিজেকে খুব অসহায় লাগছে তার।।এই প্রথম কোনো কিছুতে ফাহিম তার থেকে ” না” শব্দটা পেয়েছে। নিজেকে কি তার অপদার্থ বাবা ভাবা উচিত???
.
.
🍁
.
.
গৌধলী বিকেলের মিষ্টি আলো চারপাশে।বাচ্চাদের সাথে রাস্তায় ফুল বিতরন খেলাধুলা করে ক্লান্ত হয়ে ছাদের রেলিং এ ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আয়ান।।দৃষ্টি স্থির,,চিন্তগুলো স্থির কিন্তু অগোছালো,,অস্পষ্ট।।আয়ানকে এতোটা শান্ত থাকতে দেখেনি অদিতি।।সবসময় হাসি, মজা, ফাজলামো আর ফ্লার্টিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখেছে তাকে।হঠাৎ কি হলো কে জানে?এই আধাঘন্টা আগেও তো বেশ ছিলো।।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আয়ানের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো সে।গলা খাকারি দিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েই বলে উঠলো সে….
.
এইযে পাগলের ডাক্তার??আকাশে কি বউ খুঁজেন নাকি?(হালকা হেসে)
.
বউ তো পাশেই দাঁড়িয়ে আছে,,আকাশে খুঁজতে যাবো কেন শুধু শুধু??(অদিতির দিকে তাকিয়ে)
.
উফফফ….আচ্ছা আপনি কি সিরিয়াসনেস নিয়ে সহজ ভাবে কথা বলতে পারেন না??(বিরক্তি নিয়ে)
.
সহজ কথা সহজভাবে বলা সহজ নয় মিস ঝগড়ুটে। রবি ঠাকুর এটা কথা বলে গেছেন-
” সহজ কথা কইতে আমায় কহ যে
সহজ কথা যায় না বলা সহজে”
বুঝলেন মিস ঝগড়ুটে?? আগে সবকিছু খুবই সহজভাবে ভাবতাম,,,মা-বাবার ঝগড়া,কথা কাটাকাটি, সবকিছু।।(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে) ৬ বছরের বাচ্চাকে রেখে যখন মা অন্য একপুরুষের হাত ধরে নেয়,,,বাচ্চাটাকে যখন প্রতিটিদিন স্কুলে লাঞ্চিত হতে হয়,,মাকে নিয়ে ঠাট্টার শিকার হতে হয় তখন আর সহজ থাকা যায় না।রোজ রাতে যে বাচ্চাকে চোখের পানি নিয়ে ঘুমোতে হয় সেই বাচ্চা কখনো সহজ থাকে না,হয়তো থাকতে পারে না।(দীর্ঘশ্বাস ফেলে, নড়েচড়ে দাঁড়িয়ে) মাদার’স ডে তে রুমের মধ্যে যে বাচ্চাকে মুখ লুকাতে হয় তার কি আর সহজ হলে চলে??”টুমরো এবরিথিং উড বি বেটার” এই কথাটা আউড়াতে আউড়াতেই পেড়িয়ে গিয়েছি ২২ টা বছর।।এই ২২ বছরে সহজ হয়ে থাকার উপায় ছিলো না।বাবা সবসময় নিজের সবটুকু দিয়েছেন কিন্তু ঘৃনাটাকে মুছতে পারেন নি।।আমার কি মনে হয় জানো??ওই মহিলার মধ্যে মাতৃত্বটা ছিলো না,,থাকলে কি শুধুমাত্র যৌন চাহিদার লোভে পড়ে আমায় ফেলে যায়??ভালোবেসে বিয়ে করে বাবাকে এভাবে ধোঁকা দিয়ে যায়??বাবা খুব বোকা,,এখনও পাগলের মতো ভালোবাসেন ওই মহিলাকে।।কি করে পারে কে জানে??
.
আয়ানের কথায় অবাক হলো অদিতি।।চরম অবাক।এই ছেলেটার মধ্যে এতো কথা লুকিয়ে থাকতে পারে??এতো কষ্ট??এতোকিছু নিয়েও কি দিব্যি হেসে বেড়াচ্ছেন উনি।।মুখে দুঃখের ছাপটা পর্যন্ত আসতে দেন না।।কিভাবে সম্ভব??তাহলে কি উনি মেয়েদের ঘৃণা করেন??
.
নো নো মিস ঝগড়ুটে… তুমি যা ভাবছো তা ঠিক নয়।।আমি মেয়েদের ঘৃনা করি না।আই ডেস্পারেটলি লাভ গার্লস।(বাঁকা হাসি দিয়ে)
.
কথাটা বলেই আচমকা অদিতিকে কোমর চেপে নিজের কাছে টেনে নিলো আয়ান।।তার গালে স্লাইড করতে করতে ফিসফিসয়ে বলে উঠলো…” আই লাভ গার্লস টু প্লে” আয়ানের চাহনী আর কথায় কেঁপে উঠলো অদিতি।নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো সে।।কি ভয়ংকর চাহনী,,এই চাহনীতে হিংস্রতা স্পষ্ট। যে হিংস্রতা সব ভয়াবহতাকে ডেঙিয়ে যেতে পারে সহজেই।।আয়ানকে দেখে শেক্সপিয়ারের “ওথেলো” নাটকের একটা স্বীকারোক্তিই অদিতির মাথায় আসছে বারবার…” আই অ্যাম নট,হোয়াট আই অ্যাম।” আয়ান এমন নয় যেমনটা সে নিজেকে সো করে।।ওর মধ্যে অনেক কিছু আছে…..ভয়ানক কিছু।।অদিতির ভয়মাখা মুখ দেখে বাঁকা হাসি দিয়ে বলে উঠলো আয়ান….
.
যা ভাবছো অনেকটাই তাই।আব্দুল জব্বারের একটা গান শুনেছো??
” মুখ দেখে ভুল করো না।
মুখটা তো নয় মনের আয়না
মানুষের ভেতরের খবর তো কেউ জানে না,”
তুমি আমায় যেমনটা ভাবো আমি হয়তো তেমনটা নয় মিস.।”মেয়ে” শব্দটিই আমার জন্য পরিহাসের বস্তু।আর ভালোবাসাটা একটা খেলা।যে খেলা আমার মা নামক প্রানীটা খেলেছিলো আমার বাবার সাথে।।তাই আমিও খেলি সেই খেলা পুরো মা জাতিটার সাথে।হাহাহাহা তাদেরও তো বুঝাতে হবে আমরাও কম যায় না।।।না সব মেয়ে নয় শুধুমাত্র হাতেগুনা কয়েকজন মেয়েকে আমি ফাঁকা চোখে দেখি,,বাকি সবাই তো খেলার মাঠ।।ওদের জন্য আমার সহানুভূতি ও হয় না।
.
কে কে?(কৌতূহলী দৃষ্টিতে)
.
হা হা হা হা।।কৌতূহল?? কৌতূহল থাকা ভালো,,বাট বেশি নয়।তবু বলি…নাদিয়া,তোমার বোন ঐশি।।ওদের আমি মেয়ে হিসেবে দেখিই নি কখনো বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবেই দেখে এসেছি সবসময়।।আরেকজন হলেন ফাহিমের মা,,ফাতেমা মামনি,,এই মহিলাটার জন্য সবকিছু করতে পারি সবকিছু,,,আই ক্যান ডু এনিথিং ফর হার।তারপর রিয়া…মেয়েটাকে ভালোবাসার কোনো ইচ্ছে আমার ছিলো না।।তবু মায়া বসে গেছে ওর উপর।যাকে দেখলেই মনে হয় আমার ছোট বোন যেন ও।সাদিয়াকেও অসম্ভব আদর করি।।মাই সুইট প্রিন্সেস।।আর একজন হলো…
.
আরেকজন কে??
.
তুমি….
.
কথাটা বলেই ছাঁদ থেকে নেমে গেলো আয়ান।অদিতি অবাক দৃষ্টিতে আয়ানের যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে আর আনমনে বলে চলেছে,,”আমি??”
.
.
🍁
.
.
গাড়িতে মুখ গোমরা করে বসে আছে রিয়া।তার মুখ গোমরা থাকার মূল কারন হলো ফাহিম।।ফাহিম রিয়াকে একপ্রকার তুলে এনেছে ভার্সিটি গেইট থেকে।এখন দরজা লক করে চুপচাপ বসে আছে।রিয়ার ইচ্ছে করছে ফাহিমের চুল টেনে ছিঁড়ে একদম টাক করে দিতে।অসহ্য লোক একটা।
.
সমস্যা কি আপনার??এভাবে তুলে আনলেন কেনো??আমি আজই ভাইকে বলবো।।
.
বলো…তোমার ভাইকে দেখে কি আমি ভয় পাই??ও আমার জুনিয়র।
.
তো মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি??আমাকে এভাবে আটকে রেখেছেন কেন?আমি হোস্টেলে যাবো,,,যেতে দিন আমায়।(চিৎকার করে)
.
বিয়ে করবে আমায় রিয়া?(অসহায় দৃষ্টিতে)
.
হোয়াটটট??কি বলছেন এসব??আপনাকে বিয়ে ইম্পসিবল। আর আমার মতো ঘর পালানো মেয়েকে বিয়ে করবেন আপনি??রুচিতে বাঁধবে না?(রাগী চোখে)
.
রিয়া প্লিজ!!পালিয়েছিলে তো আমার জন্যই তাহলে আজ এমন করছো কেন?
.
সেদিন আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি বুঝেন নি।।তাই আজ আমারও বুঝার কিছু নেই।।তাছাড়া আমি সাজিদকেই বিয়ে করবো,,,ও আমাকে ঘর পালানো বলে নাক ছিঁটকায়নি,,এখন আপন করে নিবে।নিবে কি নিচ্ছে।ভাইয়াকে বলেছি বিয়ের আয়োজন করতে,,এক সপ্তাহের মধ্যে এ্যানগেজমেন্ট।।দাওয়াত রইলো…কার্ড দেওয়া হবে তবু মুখে বলে দিলাম আরকি।
.
হোয়াট রাবিশ কি বলছো এসব??(রাগী গলায়)
.
যা বলছি ঠিক বলছি।।বিশ্বাস না হলে ভাইকে কল করে জেনে নিয়েন।।তার আগে আমাকে হোস্টেলে দিয়ে আসুন প্লিজ।
.
ফাহিম আর কথা বাড়ায়নি। রিয়াকে চুপচাপ দিয়ে এসেছে হোস্টেলে।এই নীরবতার পার্শ প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ফাহিমের ঘরে উঠেছে তুমুল হট্টগোল।। মনে হচ্ছে দুতলা ডুপ্লেক্স বাড়িটা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে।ফাহিমের রুমের বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এনামুল সাহেব ও উনার স্ত্রী।রুমে যে ফাহিম ভাঙচুর করছেন তা বেশ বুঝতে পারছেন তারা।।এই অবস্থায় কি করা উচিত কিছুই মাথায় আসছে না তাদের।।একমাত্র আয়ানই পারে এমন অবস্থায় ওকে শান্ত করতে কিন্তু আয়ান তো ঢাকার বাইরে এখন উপায়??কার ডাকে সাড়া দিবে ফাহিম??রিয়া??কথাটা মনে হতে মুখটা খুশিতে চিকচিক করে উঠলো ফাতেমার কিন্তু পরমুহূর্তেই মনে পড়লো রিয়ার নাম্বার তো নেই তার কাছে।।
.
.
#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here