অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২৮

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_২৮ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

নিশান : জান পাখি তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে তাই চোখ বাঁধলাম। লাফালাফি করো না…
নিশি এবার শান্ত হয়ে দাঁড়ায়। নিশান নিশি হাত ধরে নিচে নামায়। তারপর ওকে‌ গাড়িতে বসিয়ে দেয়। প্রত্যেকবারের মতো সিটবেল বেঁধে গাড়ি র্স্টাট দেয়। কিছুক্ষণ গাড়ি ড্রাইভ করার ‌পর গাড়ি থামায়। নিশি’র চোখ এখনো বাধা। নিশান নিশি’র সিলবেল খুলে নিশি’র হাত ধরে তাকে নামায়। নামতে নিশি’কে নিয়ে একটা বাড়িতে ঢোকে।

বাড়িতে ঢোকার পর নিশি’র চোখ খুলে দেয়। এতোক্ষণ চোখ বাধা’র কারনে এখন ঝাপসা লাগছে সব কিছু। নিশি চোখ বন্ধ করে আবার তাকায়। তারপর সামনে তাকিয়ে আবছা আবছা দেখতে পায় কারা দাঁড়িয়ে আছে।
নিশি ভালো করে তাকিয়ে দেখে ফারহানা বেগম আর রায়হান আহমেদ দাঁড়িয়ে আছে। নিশি চোখে জল চলে আসে। সে দৌড়ে গিয়ে রায়হান আহমেদ’কে জরিয়ে ধরে।
রায়হান আহমেদ ও মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর কিছুক্ষণ মেলড্রামা হতে যাতে নিশি জানতে পারে রায়হান আহমেদ তার পালানোর খবর টা জানেন না। নিশান অন্যকিছু বলেছে তাকে কিন্তু কি।
সেদিন সারাদিন তারা নিশি’র বাসায় থাকে। রাতে ডিনার করে রুমে ঢোকার পর নিশি নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে কোমর হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে…

“নিশি : বাপি কে কি বলেছেন আপনি

“নিশান : যাক অবশেষে আপনার মুখে বলি ফুটল

“নিশি : ফালতু কথা রাখুন আর বলুন কি বলেছেন

“নিশান : এতো কথ জেনে কি করবে বলো তো রাখো অনেক দিন পর মুখ খুলেছো একটু কথা বলি…

“নিশি : আপনি বলবেন ( দাঁতে দাঁত চেপে )

“নিশান : আচ্ছা বলছি রাগছো কেন

“নিশি : হুহ

“নিশান : তোমাদের বাড়ির সবাই,আত্নীয়- স্বজন, মানে বিয়েতে উপস্থিত সবাই জানে বিয়ের দিন তোমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল

“নিশি : কি কিডন্যাপ… মানে

“নিশান : হ্যাঁ কেউ এটা জানে না তুমি পালিয়েছিলে। আমি সবাইকে বলেছি আমার ব্যবসায় এক শত্রু শত্রু’তা করে তোমাকে আটকে রেখেছে।

“নিশি : কেন

“নিশান : এটা কেউ ভালো চোখে দেখবে না যখন জানবে বড় ভাইকে রেখে ছোট ভাইকে নিয়ে পালিয়েছো। আর এরপর আমার মনে হয় না তোমার বাবা আমার আর তোমার বিয়েটা মানতো। নিয়ে যেতো তাই তোমাকে..

“নিশি : কি নাটক বাজ আপনি। আপনার মেয়ে হওয়া দরকার ছিলো। যেভাবে গুছিয়ে মিথ্যে বলতেন পারেন বাহ তারিফ করতে হয়

“নিশান : জান পাখি..

“নিশি : রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পরুন…
.
নিশি বিছানায় যেয়ে শুয়ে পরে। কিছুক্ষণ পর নিশান নিশি কে এসে জরিয়ে ধরে ওর কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
.
নিশি’র বিয়ের পর থেকে এখনো ভার্সিটিতে যায় নি আরিফা। ফোন টা এখনো আরিয়ান এর কাছে।‌ আরিয়ান এর সাথে কোনো কথা হয়নি। আজ এসেজে ভার্সিটিতে।
আরিয়ান এতো দিন পাগল হয়ে যাচ্ছিল আরিফা’র সাথে কথা বলার জন্য। আরিফা ভার্সিটির ক্যাস্পাসে বসে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। জিসান এখন ভার্সিটিতে আসে না।‌ কারো সাথে কোন যোগাযোগ নেই তার।
হুট করেই আরিয়ান এসে সবার সামনে থেকে হাত ধরে নিয়ে যায় আরিফা’কে। আরিফা’র চোখ কপালে। আরিয়ান এমন কিছু করবে এটা তার ভাবনার বাহিরে। সবাই দেখছে তাকে।
আরিয়ান আরিফা’কে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো জোর করে। তারপর গাড়ি স্টাট দিয়ে চালাতে শুরু করল। আরিফা বলেই যাচ্ছে কোথায় যাচ্ছি, কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু আরিয়ান এর‌ কানে কোনো কথা যাচ্ছে না। সে গাড়ি নিজের মতো করে ড্রাইভ করেই যাচ্ছে।

গাড়ি এসে থামল আরিয়ান এর বাড়িতে। আরিয়ান আরিফা’র হাত ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে সোজা বাড়িতে ঢুকল।‌ তারপর কোনো কথা না বলে বেড রুমে আরিফা’কে নিয়ে বিছানায় ছুড়ে মারে। দরজা লক করে দেয়। ভয়ে আরিফা’র অবস্থা খারাপ। সে আরিয়ান কে দেখছে। রাগে লাল হয়ে আছে। রাগে চোখ দুটি ভয়ংকর হয়ে আছে। তাও আরিফা সাহস নিয়ে আরিয়ান এর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে…

“আরিফা : সমস্যা কি আপনার? এরকম করছেন কেন! কেন নিয়ে এসেছেন আমাকে এখানে? কারন কি? কি হচ্ছে এসব। এতো কিসের ‌অধিকার‌ দেখাতছেন আপনি। সবার সামনে এভাবে কেন নিয়ে আসলেন না আমাকে…

“আরিয়ান : ….. ( দেখে যাচ্ছে আরিফা কে )

“আরিফা : কি হচ্ছে কি এইসব আমি চলে যাবো এখান থেকে…
.
আরিফা দরজার দিকে বা পারাতেই আরিয়ান আরিফা’র হাত ধরে নিজের দিকে আরিফা’কে ঘুরিয়ে তার কোমরে হাত রেখে ঠোঁট দুটো নিজের দখলে করে নেয়। আরিফা চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে ছটফট করেই যাচ্ছে কিন্তু আরিয়ান তাকে ছাড়ছে না। আরিয়ান যত রাগ সব আরিফা’র ঠোঁটের ওপর ছারলো।
আরিফা আরিয়ান কে ধাক্কাতে লাগলো কিন্তু ওর শক্তিতে পেরে ওঠলো। আরিয়ান কিছুক্ষণ বাদে আরিফা কে ছেড়ে দিলো। আরিফা রেগে আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছে।

“আরিফা : কি এসব! এসবের মানে কি?

“আরিয়ান : ডায়লগ টা আমার ছিলো

“আরিফা : ওহ্ আচ্ছা। একটা মেয়ে কে এভাবে উঠেছে এনে নিজের বাড়িতে ‌নিয়ে এসে এসব করছেন।

“আরিয়ান : মেয়ে টা অন্যকেউ না আমার ভালোবাসা

“আরিফা : আপনার ভালোবাসা! সেটা তো ঘন্টায় ঘন্টায় পালটায়

“আরিয়ান : ( দীর্ঘশ্বাস ফেলে ) কেন করলে এরকম টা

“আরিফা : কি করেছি আমি। আর করলেও আপনাকে কেন বলবো

“আরিয়ান : ( আরিফা’র বাহু চেপে ) কি করেছো আবার জিজ্ঞেস করছো। মিথ্যে বলেছো আমায়। কোনো সম্পর্ক নেই তোমার আর ঈশান এর মাঝে..

“আরিফা : তো কি আপনার তো আছে..

“আরিয়ান : তুমি কথা কেন ঘুরাচ্ছো।

“আরিফা : সেই স্বভাব তো আপনার

“আরিয়ান : কেন করলে তুমি এমন, আমার মন নিয়ে কেন খেললে।‌ কেন কষ্ট দিলে আমায় এতো। জানো পাগল হয়ে গিয়েছিলাম আমি। ( কাঁপা কাঁপা গলায়)

“আরিফা : আরিয়ান..

“আরিয়ান : তুমি বোঝোনি আমাকে আরু.. তুমি বোঝোনি

“আরিফা : ( শক্ত হয়ে ) আপনি কি বোঝেছিলেন আমায়

“আরিয়ান : আমি যা দেখেছি তাই বলেছি..

“আরিফা : কি দেখেছিলেন আপনি…

“আরিয়ান : সেদিন যেদিন তোমাকে আমার প্রোপজ করার জন্য গিয়েছিলাম সেখানে ঈশান আগে থেকেই ফুল নিয়ে হাঁটু গেড়ে তোমার সামনে বসে ছিলো। আর তুমিও ওর হাত থেকে ফুল নিয়ে নিলে!

“আরিফা : আর এটা দেখে আপনি ভাবলেন আমি ভালোবাসি ওকে। আর তাই ইশা আপু কে প্রপোজ করলেন।

“আরিয়ান : আরু… আমি সত্যিই বুঝতে পারে নি।

“আরিফা : তা এখন বুঝলেন কিভাবে..

“আরিয়ান : তোমার ফোন

“আরিফা : আমা.. আমার ফোন। হ্যাঁ আমার ফোন তো আপনার কাছে

“আরিয়ান : হ্যাঁ আমার কাছে। কথা হয়েছে আমার ঈশানের সাথে। ও বললো সেদিন ও ওর বউকে ‌প্রপোজ করেছিল কিন্তু তার আগে তোমার সাথে মজা করেছিলো।

“আরিফা : ওহ ( দীর্ঘশ্বাস ফেলে )

“আরিয়ান : আরু ভালোবাসি তোমাকে!

“আরিফা : এখন আর সম্ভব না আপনি অন্য কারো!

“আরিয়ান : আরু তুমি যেমন ভাবছো তেমন না।

“আরিফা : আর ভাবতে চাইও না। লিভ মি

“আরিয়ান : আরু শোন তো
.
আরিফা দরজা খুলে বের হয়ে আসতে নিলে ইশা বাসায় ঢুকল। ইশা কে দেখে আরিফা অবাক আর কষ্ট দুটোই পেলো। তারপর ও মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল..

“আরিফা : আরে ইশা আপু যে..

“ইশা : সরি আমার একটু লেট হয়ে গেল..

“আরিফা : মানে…

“আরিয়ান : ইশা এসেছিস তুই খুব দরকার ছিলো তোর!

“ইশা : সরি ইয়ার জ্যাম এ আটকে ছিলাম লেট হয়ে গে

“আরিয়ান : না বেশি লেট হয় নি ( আরিফা’র দিকে তাকিয়ে ) তা ও কোথায়?

“ইশা : আসছে গাড়ি পার্ক করে

“আরিফা : কে আসছে…

“ইশা : ফাহিম আমার..

“ফাহিম : উড বি হাসবেন্ড! ( গাড়ি’র চাবি হাতে নিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে )

“আরিফা : ( ফাহিমের কথা শুনে শক খেয়ে আরিয়ান এর দিকে তাকাল )

“আরিয়ান : ( মুচকি হেসে ) হে ব্রো। কেমন চলছে …

“ফাহিম : আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। তা তোমার খবর কি!

“ইশা : উফ ভাবতেই ভালো লাগছে তোমাদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেছে।

“আরিফা : মানে…

“ইশা : আরে আমি সব জানি। আরিয়ান আমাকে সব বলেছে। কিন্তু বলতে হবে আরিয়ান তোমাকে অনেক কষ্ট দিলো সুদে আসলে সব নিবা বুঝলা। শালা আমাকে দিয়ে কত খাটাল

“আরিফা : ( মাথায় কিছুই ঢুকছে না ওদের কথা। ইশা যদি ফাহিমের সাথে তাহলে উনি এতো দিন ইশা’র সাথে কি। আমাকে দেখানোর জন্য )

“আরিয়ান : তুমি যেটা ভাবছো সেটাই। রিভেঞ্জ নেওয়ার ছিলো তাই!

“আরিফা : ( বড় বড় চোখ করে আরিয়ান আর দিকে তাকিয়ে )

“ফাহিম : তা আমাদের বিয়ে নেক্সট মানথ হবে। তোমাদের টা কবে পাব।

“আরিয়ান : খুব জলদি ( আরিফা’র দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে )

“আরিফা : ( বেচারি এতো বড়ো শক খেয়ে কি রিয়েকশন দেবে বুঝতে পারছে না )
.
সব কিছু ঠিক হয়ে গেলো দুজনের মাঝে। এদিকে নিশি নিজের রুম গোছাচ্ছিল। তখন কেউ ওর দরজা নক করে। নিশি তাকিয়ে দেখেন আরশিয়া চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছেন।‌
নিশি দৌড়ে তার কাছে যায়। যতই হোক নিশি’র শাশুড়ি সে। আরশিয়া চৌধুরী কে সালাম দিয়ে ঘরে আসতে বলেন।

“নিশি : আন্টি আপনি..

“আরশিয়া : কেন আসতে পারি না

“নিশি : না আন্টি তেমন কিছু না

“আরশিয়া : মা বলতে ঘৃনা করে..

“নিশি : আন্টি না এসব কি বলছেন। আমি তো শুধু

“আরশিয়া : আমি জানি অভ্যাস নেই তোমার। কিন্তু রাগ তো আছে আমার ওপর..

“নিশি : আন্টি..

“আরশিয়া : খুব ভাবাচ্ছে একটা কথা না ‌নিজের ছেলেকে রেখে কেন সৎ ছেলের হয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম।

“নিশি : …..

“আরশিয়া : কিছু বলবো না তোমায় তুমি নিজেই একদিন সব জানবে। কিন্তু আমি এখানে অন্য কারনে তোমার কাছে এসেছি।

“নিশি : জ্বি আন্টি বলুন

“আরশিয়া : আগে মা বলো।

“নিশি : আচ্ছা মা বলুন…

“আরশিয়া : একটা বাবা তার ছেলেকে ছেলের বউকে তার বাড়িতে দেখতে চান এটা কি অস্বাভাবিক।

“নিশি : মা আপনি কি চান..

“আরশিয়া : তোমার বাবা চান তুমি আর নিশান আমাদের সাথে থাকো। নিজের বড় ছেলে’র বউ সংসার সামলাক ‌এটা তো সব মায়েরা চায় তাই নয় কি।

“নিশি : কিন্তু মা উনি তো..

“আরশিয়া : আমার কথা ও শুনবে না। শুনলে এখন আমাদের সাথে থাকতে তুমি।‌ তাই তোমাকে বলছি!

“নিশি : মা আমি চেষ্টা করবো

“আরশিয়া : আমি জানি তুমি পারবে। আশায় থাকবো তোমাদের!
.
রাতে নিশি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে নিশান এসে নিশি’র কোমর জড়িয়ে ধরে। নিশি কিছু বলে না এতো দিনে অভ্যাস হয়ে গেছে তার। দু’জনেই চুপ। নিশান হুট করেই নিশি’র ঘাড়ে চুমু বসিয়ে দেয়। নিশি কেঁপে উঠে।

“নিশি : স্যার….

“নিশান : জান পাখি তুমি এখনও আমায় স্যার বলে ডাকবে

“নিশি : সমস্যা

“নিশান : না মানে নিশান বলে ডাকলে…

“নিশি : স্বপ্ন দেখতে থাকুন

“নিশান : দোষ কি স্বপ্ন দেখলে। বাস্তবে’র চেয়ে স্বপ্ন তো অনেক সুন্দর হয় তা নয় কি

“নিশি : জানি না। একটা কথা বলার ছিলো

“নিশান : বলো..

“নিশি : ( সামনে ঘুরে ) আমি মা বাবা’র সাথে থাকতে চাই

“নিশান : তো এখানেই তো আছো। আরো কিছুদিন থাকবা

“নিশি : আমি আপনার মা বাবা’র কথা বলছি

“নিশান : তুমি আমার মা’কে‌ মা বললে সত্যি তো

“নিশি : কি বলতে চান আপনি!

“নিশান : না কিছু না বলো

“নিশি : এটাই জয়েন ফ্যামিলি তে থাকতে চাই আমি। একা একা থাকতে ভালো লাগে না আমার।

“নিশান : ( নিশি’কে সামনে থেকে কোমর জড়িয়ে ) বিশ্বাস করি তোমায়…

“নিশি : ( নিশি কথাটার মানে বোঝে না তাই চুপ থাকে কিছু বলে না। )
.
কয়েকদিন পর…

নিশান নিশি কে নিয়ে চৌধুরী বাড়িতে আসে। পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। বড় ছেলে আজ বড় বউ কে নিয়ে প্রথম এই বাড়িতে আসবে। বাড়িতে আজ উৎসব লেগেছে।‌
নিশি গাড়ি থেকে নেমে বাড়ি’র দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবতেই অবাক লাগে এই বাড়ি নিয়ে তার স্বপ্ন কি ছিলো আর হলো কি। আরশিয়া চৌধুরী বরন করে ‌ভিতরে নিয়ে আসেন নিশি আর নিশান কে।
নিশি বাড়িতে ঢুকেই সোফায় বসে থাকা একজন এর দিকে অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে থাকে। সে আর কেউ না জিসান। আজ ১০ দিন পর দেখছে তাকে। জিসান ও চেয়ে আছে তার দিকে। হুট নিশান এসে নিশি’র হাত ধরে বলে…

চলবে…..

আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/394899435565168/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here