আয়নামতি পর্ব-১০

0
1699

#আয়নামতী
#পর্ব_১০
#পুষ্পিতা_প্রিমা

উঠোনের মাঝখানে পিড়ি নিয়ে বসে আজহার সাহেবের পা মালিশ করছিল আয়না। ডাক্তার বলেছে যত বেশি বেশি সরিষার তেল মালিশ করা যায় ততই মঙ্গল। তাছাড়া তার মামা কোন একটা ঔষধি গাছের তেল দিয়েছিল, সেগুলো মালিশ করলে অতিশীঘ্রই দাঁড়াতে পারার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন তিনি।
আয়শা বেগমের ডাক পড়লো তখুনি। আজহার সাহেব বললেন
‘ তোর মা কেন কেন ডাকে দেখ তো।
আয়না জোরেশোরে বলল
‘ আম্মা আমি কাজ করি না? ডাকো কেন?
আয়শা বেগমের ডাক আবার শোনা গেল।
‘ বউরে একটা কল দে। আমি কথা কয়।
আয়না চুপসে গেল। আজহার সাহেবের হাত নিয়ে তার পিঠে রাখলো। বলল
‘ আব্বা আমার গায়ে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করো।
আজহার সাহেব ভয়ে বললেন
‘ না না, যদি আবার কিছু হয়ে যায়?
আয়না রেগে তাকালো। নাকফুলিয়ে বলল
‘ তুমি অজুহাত দিলে চলবে? তোমার বাঁকা পা সোজা করার জন্য তোমাকে হাঁটার চেষ্টা করতে হবে আব্বা। কেন বুঝোনা? ডাক্তার কি বললো শুনোনাই? উঠো। আমার উপর ভর দিয়ে উঠো।
আজহার সাহেব চোখ বন্ধ করে আল্লাহর নাম নিয়ে উঠে দাঁড়ালেন সামান্য। আবার বসে পড়লেন।
আয়না বলল
‘ এইতো একটুখানি দাঁড়ালে তো। বসে গেলে কেন? আব্বা তুমি কি মাইর খাবা?
আজহার সাহেব বাচ্চাদের মতো হেসে ফেলল। আয়না বলল
‘ শোনো আব্বা তুমি যদি দাঁড়ানোর চেষ্টা করো তাহলে আমি তোমাকে পাকা পেঁপে পেড়ে দেব। সেই মিষ্টি!
আজহার সাহেব আবার হাসলেন। মেয়ের টলটলে বুদ্ধি নিয়ে প্রশংসা করতে ইচ্ছে করছে। মেয়ে তাকে পাম্প দিচ্ছে?
আয়না কপাল কুঁচকে বলল
‘ এই আব্বা, তুমি কথা শুনবানা? ঠিক আছে না শুনো। যেদিন আমাকে আর পাবা না সেদিন বুঝবা। হুহ।
আজহার সাহেব হেসে বললেন
‘ কোথায় যাবি? শ্বশুরবাড়ি?
আয়না রাগে ফোঁসফোঁস করলো। গর্জে বলল
‘ তোমার বাপের বাড়ি।
তারপর আর দাঁড়ালো না। আজহার সাহেব হাসতে লাগলেন। আয়না হনহন করে রান্নাঘরে গেল। কলসি থেকে জগে পানি নিতে নিতে বলল
‘ সারাক্ষণ শ্বশুরবাড়ি, শ্বশুরবাড়ি। কচুর বাড়ি। আর জীবনে যদি আমি তেল মালিশ করি। আর জীবনে যদি আব্বার সাথে কথা বলি। তাহলে আমার নাম আয়না নয়।
আয়শা বেগম আড়চোখে তাকিয়ে বললেন
‘ কি হইছে আবার? তোরা বাপ বেটির জন্য তো থাকা যায় না ঘরে।
আয়না বলল
‘ আমারে বকো। আব্বারে কেন? আব্বা কি করছে? তোমার আব্বার সাথে খ্যাঁকখ্যাঁক না করলে চলেনা?
আয়শা বেগম হতভম্ব। বললেন
‘ এই তুই না তোর বাপের লগে ঝগড়া করে আইছোস? আবার তার নামে কিছু কইলেই জ্বলতাছে।
আয়না কলসি নিয়ে বলল
‘ পানি আনতে যাই। পানি শেষ হয়ে গেছে। তোমার সাথে কথা বলার সময় নাই।
আয়শা বেগম ডাকলেন
‘ এই দাঁড়া।
আয়না দাঁড়ালো। বলল
‘ কি হইছে?
‘ মাথা ঢাইকা ল। খালি মাথায় কোথায় যাইতাছোস?
আয়না ওড়না দিয়ে ভালো করে মাথা ঢাকলো। বলল
‘ খালি মাথায় কখনো কি গেছি? সবসময় আমারে না বকলে হয় না।
আয়শা বেগম বলল
‘ তোরে না ফোন দিতে কইছি আমার বউরে।
আয়না বলল
‘ তোমার বউ না। তোমার বাবুসোনার বউ। যেভাবে বলো যেন সে তোমার বউ।
আয়শা বেগম বলল
‘ ফোন দিবি হারামজাদি?
আয়না কলসি ঘুরিয়ে যেতে যেতে বলল, না
‘ পারব না ফোন দিতে। তোমার ছেলের বউ আর আসবে না। তার বাপ কইছে।
আয়শা বেগম তেজগলায় বললেন
‘ কিহ?
আয়না তাড়াতাড়ি দৌড়ে পালালো। আয়শা বেগম কুন্তি নিয়ে দৌড়ে গিয়ে বললেন
‘ বউ আসবে না মানে? তার বাপ ও আসবো। আমি আইজ গিয়া নিয়া আসবো আমার বউরে। তার বাপরে কেডা ভয় পায়? আমার বাবুর বউ সে, তার বাপ কোথাকার বেটা?

______________

কুহেলীকে নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল অনুরাগের। কিন্তু সে জানালো, ভার্সিটিতে এক্সাম৷ তার প্রচুর কাজ। সময় নেই। সময় পেলে নিয়ে যাবে।
কুহেলী তা শুনে বরং একটু অসন্তুষ্ট হলো। সে থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট। সামনে তার পরীক্ষা। তাছাড়া সে একটা বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য অফার পেয়েছে। বাবা তাকে অনুমতি দেয় নি। যদি অনুরাগ বলে তাহলে সে বিজ্ঞাপনটা করবে। পরবর্তীতে তার আরও সুযোগ আসবে। সে এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় না। তাই ভেবেছিল বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ওসব কাজ সেড়ে নেবে। কিন্তু যাওয়া আর হলো কই? তবে অনুরাগকে মুঠোফোন করে সে বলল, সে একা যেতে পারবে নাকি বাবার বাড়ি।
অনুরাগ বলল, সমস্যা নেই। যেতে পারো। তাছাড়া তুমি খুকি নও।
কুহেলী বেশ খুশি হলো। তার কাছে বেশ টাকা আছে, টাকার উৎসটা খুব গোপনীয়। আপাতত তার বাবাকে বলার দরকার নেই। এই টাকা তাকে কাজে লাগাতে হবে। তাই সে একা একা বাবার বাড়ি যাওয়ার নাম করে চলচ্চিত্র নির্মাণের সহায়ক পরিচালক মহিবুল হাসানের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হতে আরেক ঝামেলা। আনহিতা বললেন
‘ তুমি একা একা কি করে যাবে বউমা? তাছাড়া তোমার মা বাবা কি বলবে?
কুহেলী তাদের বুঝিয়ে কূল পেল না। আনহিতা নাছোড়বান্দা। সে কখনোই কুহেলীকে একা ছাড়বে না। তাছাড়া শায়লা বেগম তো একেবারেই না করে দিলেন। এজন্য কুহেলী অনেক কান্নাকাটি করলো। কিন্তু কারো মন গললো না। কুহেলী শেষপর্যন্ত ভোররাতে বের হয়ে গেল কাউকে না বলে । অনুরাগকে মুঠোফোনের মাধ্যমে সব জানালো। বলল,
‘ আমি চলে এসেছি। আপনার মা বাবাদের একটু ম্যানেজ করে নেবেন প্লিজ। ওনারা আমাকে একা ছাড়তে চাইছেন না।
অনুরাগ বিস্মিত হলো। বলল
‘ তুমি কাউকে বা বলেই চলে এসেছ? কিন্তু কেন? তুমি জানো তোমাকে নিয়ে কতটা পজেসিভ আমার মা বাবা? তোমার মা বাবাই বা কি বলবে?
কুহেলী বলল
‘ আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু আমাকে তো আসতেই হতো। এতবড় একটা সুযোগ কি করে হাতছাড়া করি বলুন। আপনিই তো ওইদিন বললেন, আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আপনি আমায় সাহায্য করবেন। বলেননি?
অনুরাগ বলল
‘ হ্যা, কিন্তু?
কুহেলী বলল
‘ কোনো কিন্তু না। আমি কাজ শেষ হতেই চলে যাব আপনার বাড়িতে। একটু ম্যানেজ করুন প্লিজ।
অনুরাগ বলল
‘ মিথ্যে কি করে বলব? মিথ্যে বলতে ভালো লাগে না।
কুহেলী বলল
‘ বউয়ের জন্য একটু বলবেন। এটুকু করতে পারবেন না? অনুরাগ বলল
‘ ঠিক আছে দেখছি কি করা যায়?
বলেই ফোন কাটলো অনুরাগ। বিড়বিড় করলো
‘ মিথ্যে বলব? মাকে?

____________

দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে আয়শা বেগম পাড়ি দিল শেখ বাড়ির উদ্দেশ্য। আয়না একটু ভাতঘুম দিতে শুয়েছিল। আজহার সাহেব তো এমনিতেও ঘুম। আয়শা বেগম এই ফাঁকে বের হয়ে গেলেন বাড়ি থেকে। শেখ বাড়ি গিয়ে রিকশা থামলে আয়শা বেগম নেমে পড়লো। দাড়োয়ান নামিরার শ্বাশুড়ি দেখে গেইট খুলে ভেতরে ঢুকতে দিল। নামিরা দরজা খুলে দিল দরজায় কলিংবেল বাজায়। দরজা খুলে আয়শা বেগমকে দেখতেই চোখ কোটর থেকে বের হয়ে আসার পালা। বড় বড় চোখদুটো আচমকা পরিণত হলো টলটলে দীঘিতে। নামিরা বিস্ময় নিয়ে ডাকল
‘ আম্মা?
আয়শা বেগম হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল
‘ বুকে আসো বউ। কতদিন দেখিনা তোমারে।
নামিরা ঝাপটে ধরলো। হু হু করে কেঁদে দিয়ে বলল
‘ আম্মা, কেমন আছেন আম্মা?
আয়শা বেগম বলল
‘ বাড়ির বউ বাড়িত নাই। বাড়িটা আন্ধার না? ভালা থাকি ক্যামনে? আমার বাবুটার ও চেহারা আন্ধার। আমি এসব দেইখা কি করে ভালা থাকি?
নামিরা নাক টানলো। আয়শা বেগম বলল
‘ তোমার বাপ কোথায়? জিগাইতাম মেয়েরে কেমন মোটা করছে? আমি তো দেখতাছি আর ও শুকাইয়া গেলা। তোমার বাপ কি খাওয়ালো তোমারে?
নামিরা মুখ তুললো। আয়শা বেগম বলল
‘ মাথায় তেল দাওনাই?
নামিরা মাথা নাড়লো। বলল
‘ মা দিয়ে দিছিলি তো।
আয়শা বেগম বলল
‘ তোমার মারে ডাকো। তেল দিছে না পানি দিছে জিগায়।
নামিরা নাজমা বেগমকে ডাকল। নাজমা বেগম হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে আসলেন। আয়শা বেগমকে দেখে খুশিতে দুচোখ চকচক করে উঠলো তার। বলল
‘ আসেন ছোট বোন। আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না।
আয়শা বেগম বললেন
‘ আমি বসতে আসিনাই। বউরে নিয়া যাইতে আইছি৷ বউ তাড়াতাড়ি রেডি হইয়্যা নাও। আমি বসমু না। কিছু খামু ও না।
নামিরা মাথা নাড়ালো।
নিজের ঘরে চলে গেল। নাজমা বেগম আর হামিদা বেগম কিছু মুখে নিতে বললেও মুখে নিল না আয়শা বেগম৷ নামিরা রেডি হয়ে আসতেই নাজমা বেগম বললেন
‘ ওর বাবাকে একবার,,
আয়শা বেগম বললেন
‘ আমি মুঠোফোন কইরা জানায় দিবো। এখন দরকার নাই। আমার বউ আমি লইয়্যা যাই। বউ আসো। মুখ ঢাকো।
নামিরা নিকাব পড়ে নিল। আয়শা বেগম বলল
‘ তোমার বাপ এখন বুঝতেছে না, দেখবা পরে বুঝবে। চিন্তা কইরোনা বউ। সব ঠিক হয়ে যাইবে। এখন চলো। আমার ও তোমার বাপেরে না জানায় এইভাবে নিয়া যাইতে ইচ্ছা করতাছে না।
নাজমা বেগম বলল
‘ আচ্ছা সমস্যা নেই আপা। আমি বুঝায় বলব।
আয়শা বেগম নামিরাকে বলল
‘ বউ কাইন্দো না, তোমারে আমি আবার বেড়াইতে পাঠাবো এখানে। আসো। চলি যাই। সন্ধ্যা নামবো।
নামিরা মাথা নাড়ালো। মা চাচীকে সালাম করে আয়শা বেগমের সাথে বের হয়ে গেল। আয়শা বেগম রিকশায় বসে বললেন
‘ বাবু তোমারে দেখো চমকে যাবে না বউ?
নামিরা মাথা নামিয়ে বলল
‘ হ্যা।
আয়শা বেগম বলল
‘ শোনো বউ, আর যাইহোক আমার বাবুরে ছাড়া থাকার কথা ভুলেও ভাববা না। আমার বাবু তোমারে অনেক দেখতে পায়। বুঝলা? তোমারে, আমাদের ভালা রাখনের জন্য কত কষ্ট করে। তুমি আমার বাবুরে বুঝবা। আমার বাবুর যত্ন নিবা। অনেকের টাকা পয়সা থাকলেও সেখানে সুখ নাই বউ। আল্লাহ চাইলে আমার বাবুর ও একদিন টাকাপয়সা হবে। ওগুলো আল্লাহর হাতে। আমি আল্লাহর কাছে চাই, আমার বাবুরে আল্লাহ অতিরিক্ত টাকা পয়সা না দিক,ভালো করে চলার মতো, আত্মসম্মান লইয়্যা চলতে পারে মতো টাকাপয়সা দিক। অতিরিক্ত টাকা মানুষরে অমানুষ বানাতে সময় নেয় না বউ৷ বুঝলা?
নামিরা মাথা নাড়িয়ে বলল
‘ জ্বি আম্মা।
আয়শা বেগম মাথায় হাত বুলায় নামিরার। বলে
‘ আমার বাবু ভালো তো, বউ ও তাই ভালা জুটছে। আমি তো আনার আগে আমার বাবুরে নিয়া বেশি চিন্তায় ছিলাম। তার জন্য একডা ভালো বউ কই পামু এই নিয়া? অনেকে তো আছে বিয়া করবার পর মা বাপ বোনরে চাইলে ও চাইতে পারেনা। বউ আঁচলে বাইন্ধা রাখে। কিন্তু আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আল্লাহ আমারে এমন ভালা সোহাগা বউ দিছে।
নামিরা একটুখানি হাসলো। চোখের কোণা আবার ভিজলো।

____________

কুহেলী বাড়ি না গিয়ে মহিবুল হাসানের বাড়িতে গিয়েছিল। আনহিতা ফোন করে জানতে পারলো কুহেলী যায়নি তার বাপের বাড়ি। রাগে ফেটে পড়লো আনহিতা। অনিমা বলল
‘ মেয়েটা ভারী বেয়াদব তো। মিথ্যে বলল আমাদের। আর ভাই ও বউ পাগলা হয়ে গেছে। বউকে সাপোর্ট করছে?
আনহিতা বলল
‘ সোহাগ ভালো করেনি এটা? ওকে বকেছি দেরী হয়েছে। ও আমাকে মিথ্যে বলে ভালো করেনি।
অনুরাগকে এসব বললে,অনুরাগ বলল
‘ কুহেলী ওর কাজ শেষ হলেই চলে আসবে। আর তোমরা ওকে না ছাড়লে ও কি করবে? ও নিজের একটা পরিচয় বানাতে চাইছে। তাতে তোমরা কেন বাঁধা দিচ্ছ আমি বুঝতে পারছিনা।
আনহিতা ছেলের উপর ভীষণ ক্ষেপে গেল। কিন্তু একটমাত্র ছেলে তার। রাগ দেখানো শোভা পায় না। তার উপর ছেলে বিয়ে করেছে। তার বউ তার যেমন ইচ্ছা তেমন করবে। যেখানে ইচ্ছা সেখানে পাঠাবে। তার কি?
অনুরাগ ও এবার চিন্তায় পড়ে গেল। কুহেলীর সাথে তার তিনদিন ধরে যোগাযোগ নেই। কুহেলীকে মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। সে তো কুহেলীকে একটা মুঠোফোন দিয়েছে। কিন্তু কোথায় কুহেলী?
সপ্তাহখানেক পর কুহেলী ফোন দিল অনুরাগকে। বলল
‘ আমায় ক্ষমা করবেন মিঃ চৌধুরী। আসলে অনেক কাজের চাপ ছিল। আমি কয়েকটা বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সিলেক্ট হয়েছি। আর নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে একটু সময় লাগছে তো তাই কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। আপনার দেওয়া দুইলাখ টাকা আমার খুব কাজে আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে। আর আমাদের সম্পর্কটা,,,

অনুরাগ তাকে অন্যকিছু বলতে না দিয়ে বলল
‘ তোমার ও সময় লাগবে, আমার ও। চিন্তা নেই। সময় নাও, আমাকে ও সময় দাও। তবে খবরদার টাকার কথাটা যেন আমার পরিবারের কেউ না জানে। পণ দেওয়া নেওয়া হয়ে আসছে অনেককাল ধরে। আমার পরিবার বুঝে পণ নেওয়া একটা সম্মানের ব্যাপার। তাই তারা আমাকে না জানিয়ে পণ নিল। আমি জানি তোমার বাবার ও সামর্থ্য আছে। তাই দিয়ে দিয়েছে কিন্তু আমি তা নিতে পারব না।
কুহেলী বলল
‘ আমি সত্যিই খুব লাকি যে স্বামী হিসেবে আপনাকে পেয়েছি। সে যাইহোক আমি খুব শীঘ্রই ফিরব।
অনুরাগ বলল
‘ ঠিক আছে। রাখছি।

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here