ওরা মনের গোপন চেনে না পর্ব-১০

0
2225

#ওরা_মনের_গোপন_চেনে_না
পর্ব ১০
#সিলিভিয়া_ফারাশ

(২০+২১+২২)

চোখ খুলেও আশেপাশের সবকিছু অন্ধকার দেখলো তুর। একটা অন্ধকার জায়গায় আছে সে। তুর এক পা সামনে আগানোর সাথে সাথে চারদিকে আলো জ্বলে উঠলো। চারদিকে অবাক চোখে তাকালো তুর। হল রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো। ফেইরি লাইটের সাথে তুরের অনেকগুলো ছবি লাগানো। ছবি গুলোর পাশে ছোট ছোট নোটসও‌ আছে। রুমে আবছা লাল আলো জ্বলছে। নিজের হাতে কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করলো তুর। তাকিয়ে দেখল একটা পারপাল কালার খাম। জুবান এক ফাঁকে হাতে গুঁজে দিয়েছিল। কৌতুহল নিয়ে খামটা খুলল সে। টাইপ করা একটা চিঠি। চিঠিটা পড়তে শুরু করলো তুর।

” প্রিয়তমা রসগোল্লা

আমি জানি তুমি আমাকে ঘৃণা করো। কিন্তু আমার ভালোবাসার কাছে তোমার ঘৃণার পরিমাণ খুবই অল্প। আজ আমার অতীত সম্পর্কে তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই। আমার অতীত জীবন পুরোটাই অন্ধকারাচ্ছন্ন। পেছনে ফিরে তাকালে আমি আজও সবকিছু নিকষ কালো অন্ধকার দেখতে পাই। অনেক অল্প বয়স থেকেই আমি এক ভয়ঙ্কর নেশায় আশক্ত হয়ে পরি। সিগারেট বা ড্রাগের নেশায় নয় সেটা হলো নারী দেহের নেশা। প্রতিদিন নতুন নতুন নারী দেহে মত্ত না হলে চলে না আমার। একজন নারীর সান্নিধ্য একেবারের বেশি দ্বিতীয় বার পাওয়ার রুচি কখনো হয়নি আমার। আর এই আমিই এখন তোমাকে দেখার পর থেকে কোনো নারীর দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারি না। কারো সাথে কথা বললেও মনে হয় তোমাকে ঠকাচ্ছি আমি। তুমি আমার জীবনে আসার পর থেকে আমি ঠিক মতো খেতে পারি না ঘুমাতে পারি না। বন্ধুদের আড্ডায় সারা দিতে পারি না। কোনো কাজেই মনোযোগ দিতে পারি না। সারাক্ষণ তোমাকে নিয়েই চিন্তা করতে থাকি। আমার সব ভাবনা জুড়ে শুধু তোমার বিচরণ। নিজেকে এখন উন্মাদ মনে হয় আমার। তোমাকে আমার চাই রসগোল্লা। সারাজীবন তোমার সান্নিধ্য লাভ করতে চাই। সবার তো অতীত থাকে। আমার এই কালো অতীতকে ভুলে আমাকে কি গ্রহণ করতে পারবে না রসগোল্লা? আমি জানি অতিতে আমি অনেক ভুল করে ফেলেছি। সেগুলো ভুল নয় অপরাধ পাপ। ঐ কাজগুলোর জন্য কখনো আমার মধ্যে অনুশোচনা হয়নি কিন্তু তোমাকে দেখার পর থেকে তীব্র অনুশোচনার আগুনে দগ্ধ হচ্ছি আমি। আফসোস লাগছে কেন তুমি আমার জীবনে আরও আগে এলে না। সব কিছু ভুলে আমাকে কি একটা সুযোগ দেওয়া যায় রসগোল্লা? আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি কখনো অভিযোগ করার সুযোগ দেব না তোমায়। তোমাকে নিয়ে আমার জীবনের বাকি সত্তরটা বছর পার করতে চাই। তুমি সঙ্গ দিবে তো আমায়?”

চিঠিটা পড়ে কিছু বলার ভাষা নেই তুরের।‌ তার কাছে এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। মূহুর্তেই মন খারাপ হয়ে গেল তার। মন খারাপ নিয়েই বাইরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো তুর আর সাথে সাথেই এক রকম পোশাক পরা অনেকগুলো ছোট বাচ্চা রুমে প্রবেশ করলো। সবার হাতে একটা করে বিভিন্ন রঙের নন্দিনী ফুল। বাচ্চা গুলো এগিয়ে এসে তুরের হাতে ফুলগুলো গুঁজে দিল। তুরের ঠোঁটের কোণে ভালোলাগার হাসি ফুটে উঠলো। তার যে নন্দিনী ফুল পছন্দ এটা জানল কী করে জুবান? বাচ্চারা তুরের হাত ধরে ওকে টেনে রুফ টপে নিয়ে এলো। ও কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই যেভাবে হুট করে এসেছিল সেভাবেই হুট করে চলে গেল তারা। এখানেও চারদিক অন্ধকার। কি অদ্ভুত এতো তাড়াতাড়ি রাত হয়ে গেছে। টেবিলের উপর হাতে থাকা ফুলগুলো রাখলো তুর। সেগুলোতে আলতো হাতে স্পর্শ করতে করতে ভাবছে জুবান তাকে প্রপোজ করে বসবে এটা জানলে কখনোই জুবানের সাথে আসতো না সে। হঠাৎ করেই তুরের উপর ফোকাস লাইট জ্বলে উঠলো। হকচকিত হয়ে চারদিকে তাকালো সে। এতক্ষণ ভেবেছিল এখানে সে ছাড়া আর কেউ নেই কিন্তু এখন চারপাশে তাকিয়ে বুঝলো এখানে অনেকেই আছে। তাদের সংখ্যাটাও কম নয়। সকলেই মোবাইলের ফ্লাশ অন করে তুরের দিকে তাক করে রেখেছে। এতো মানুষ দেখেও ভাবান্তর হলো না তুরের। আকাশের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় দফায় চমকে উঠলো তুর। আকাশে অনেক গুলো লাভ শেপের ফানুস ওরে যাচ্ছে। সেগুলোতে লেখা আছে ভালোবাসি রসগোল্লা। এসব কিছু ভালো লাগছে না তুরের। সে চারদিকে তাকিয়ে জুবানকে খুঁজছে। কিন্তু কোথায় সে? তার তো কোনো ইয়াত্তা নেই। তুরের ভাবনার মাঝেই জুবানের গলার স্বর ভেসে উঠলো।

” আমাকে খুঁজে লাভ নেই রসগোল্লা। আমি যেখানে আছি সেখান থেকে আমি তোমাকে দেখতে পেলেও তুমি আমাকে দেখতে পাবে না।”

তুর তবুও আশেপাশে তাকালো। মাইক্রোফোনের শব্দ কোথা থেকে আসছে বুঝতে চেষ্টা করল সে। জুবান আবারও বলল,

” শুনেছি মেয়েদের অনুমান ক্ষমতা অনেক প্রখর। দশ মাইল দূর থেকেও যদি তাদের দিকে কেউ তাকায় তাহলেও নাকি বুঝতে পারে তারা। লুকিয়ে লুকিয়ে কেউ ভালোবাসলেও নাকি চট করেই ধরে ফেলতে পারে। তাহলে তুমি কেনো বুঝেও বুঝতে চাইছো না তোমাকে কতটা ভালোবাসি আমি?”

কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে আবার বলা শুরু করলো জুবান,

জীবনের সাতাশটা বসন্ত পেরিয়ে যেদিন তোমার দেখা পেলাম সেদিন প্রকৃত অর্থে আমার জীবনে বসন্ত এলো। তোমার ভালো মন্দ প্রতিটা কথাই মনের মধ্যে বসন্তের দোল খেলে যেত।‌ প্রথম দিকে তোমাকে আমি ভালোবাসি এটা নিজেই বিশ্বাস করতে চাইতাম না কিন্তু একটা সময় এসে আমাকে এমন জায়গায় দাড় করিয়েছে যে তোমাকে ছাড়া আমার একটা মূহুর্তও চলছে না। আমার তোমাকেই চাই রসগোল্লা। এক বছর দু’বছরের জন্য নয় সারা জীবনের জন্য তোমাকে চাই আমি।”

কোল্ড ড্রিংসে গলা ভিজিয়ে নিল জুবান। এতটুকু কথা বলতে বলতেই হাঁপিয়ে উঠেছে সে। তুরের চেহারা দেখে তার মনের কথা আঁচ করার চেষ্টা করলো জুবান। কিন্তু তুরের কঠিন মুখাবয়ব দেখে কিছুই আঁচ করতে পারলো না সে।

” সবার মতো আমার জীবনেরও একটা অতীত রয়েছে। যেটা তোমার অজানা নয়। সবকিছু মেনে নিয়ে কি আমাকে একবার তোমাকে ভালোবাসার সুযোগ দিবে রসগোল্লা? কথা দিচ্ছি তোমাকে অভিযোগ করার সুযোগ দেব না।”

ফোকাস লাইট এবার জুবানের উপর পড়লো। হাতে একগুচ্ছ লাভ শেপের বেলুন নিয়ে হাসি মুখে এগিয়ে আসছে সে। তুর অনুভূতি শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সেদিকে। তুরের সামনে এসে বেলুন গুলো এগিয়ে দিল জুবান। তুর হাত বাড়িয়ে নিল আবার ছেড়ে দিল। বেলুন গুলো আকাশে উড়ে গেলো। জুবান একজনকে ইশারা করলো। ওয়েটারের ড্রেস পরা একজন লোক এগিয়ে এসে একটা বক্স এগিয়ে দিল জুবানের দিকে। জুবান বাক্সের ঢাকনা খুলে তুরের দিকে এগিয়ে দিল সেটা। বাক্সের ভেতরের জিনিসটা দেখে হাসবে নাকি কাঁদবে বুঝতে পারছে না তুর। জুবানই মনে হয় প্রথম ব্যক্তি যে কীনা রসগোল্লা দিয়ে কাউকে প্রপোজ করছে। জুবান তুরের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লো। একটা রিং এগিয়ে দিয়ে বলল,

“তুমি কি এই প্রেমিক পুরুষকে বিয়ে করবে রসগোল্লা?”

সাথে সাথেই দুজনের উপর পুষ্প বৃষ্টি হলো।
তুরের চেহারায় রহস্যময় একটা হাসি ফুটে উঠেছে। জুবান জবাবের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে তার দিকে। আশেপাশের সবাই চিল্লিয়ে বলছে এক্সেপ্ট করে নিতে। জুবান অসহায় চোখে তাকালো। তার চেয়েও বেশি অসহায় কন্ঠে বলল,

” আমাকে ফিরিয়ে দিও না রসগোল্লা। তোমাকে অনেক ভালোবাসি। মানুষ মাত্রই তো ভুল। মানলাম আমি আগে খারাপ ছিলাম। কিন্তু খারাপ মানুষ কি ভালো হতে পারে না বলো? আর আমি অনেক কষ্ট করে এইসব প্ল্যান করেছি। আমার প্ল্যান ভেস্তে দিও না প্লিজ।”

জুবানের কথায় হেসে দিল তুর। জুবানের দিকে ঝুঁকে কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,

” আইডিয়াটা যে আপনি ইন্টারনেট থেকে চুরি করেছেন সেটা আমি জানি জুবান তাই বেশি স্মার্ট সাজার চেষ্টা করবেন না।”

“এমন একটা সিরিয়াস মূহুর্তে এই কথাটা না বললেই চলছিল না রসগোল্লা? তুমি কি আমার প্রোপোজাল একসেপ্ট করেছো?”

তুর হাসি মুখে একপিস রসগোল্লা জুবানের মুখে পুরে দিল। জুবান খুশিতে লাফিয়ে উঠলো। অবশেষে রসগোল্লা তার ফিলিংস বুঝতে পেরেছে। জুবানকে লাফিয়ে উঠতে দেখে আনন্দে সবাই লাফিয়ে উঠলো। তুর মাইক্রোফোন নিয়ে বলল,

” এতো খুশি হওয়ার কিছু নেই জুবান। আমি কিন্তু বলিনি আপনার প্রোপোজাল একসেপ্ট করেছি।”

জুবান থেমে গেলো। জুবানের সাথে সাথে সবাই থেমে গেছে। এখানে এখন পিনপতন নীরবতা। জুবান তুরের সামনে এসে দাঁড়ালো। গলার স্বর কাঁপছে তার।

” তার মানে আমাকে রিজেক্ট করছো রসগোল্লা।”

জুবানের গলার স্বর শুনে মনে হচ্ছে এখনি বাচ্চাদের মতো কেঁদে দিবে। তুর খিলখিল করে হেসে উঠলো। ফিসফিস করে বলল,

” আমি কিন্তু বলিনি আপনাকে রিজেক্ট করেছি।”

তুরের এমন হেয়ালি করে বলা কথা কিছুই বুঝতে পারছে না সে। কাদো কাদো গলায় বলল,

” এতো হেঁয়ালি করছো কেনো রসগোল্লা? উফ আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। হ্যাঁ বা না কিছু একটা বলো।”

” আপাতত আপনি ওয়েটিং লিস্টে আছেন মি.।”

তুরের কথায় জুবানসহ সবাই আবার উল্লাসে ফেটে পড়লো। ওদের এই মোমেন্ট গুলোর ভিডিও ধারণ করেছে অনেকেই। ভিডিও ক্লিপ গুলো মূহুর্তেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে। তরুন রাজনীতিবিদ জুবান ইমজাত। কত শত মেয়ের ক্রাশ কীনা এমন একটা সাধারণ মেয়েকে এতো আয়োজন করে প্রোপোজ করেছে। তাও আবার ডিরেক্ট বিয়ের প্রোপোজাল। এটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। তারা সবাই তুরকে সামনে পেলে মনে হয় মেরেই ফেলবে। টিনেজার মেয়েরা নিজেদের ফেবু ওয়ালে হৃদয় ভাঙার পোস্ট করে ভরিয়ে ফেলছে। কেউ কেউ এমন ব্যবহার করছে যেন জুবান তাদের বিয়ে করা বর। আবার কিছু কিছু মেয়ে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা পোস্ট করছে,

” জুবান আপনি কাজটা ঠিক করলেন না। এভাবে আমাকে ঠকালেন আপনি। আপনাকে অন্য মেয়েদের সাথে দেখার চেয়েও মরে যাওয়া ভালো। আমার মৃত্যুর জন্য আপনি দায়ী জুবান।”

ছেলের এমন বোকামির খবর জুবায়ের ইমজাতের কানেও পৌঁছে গেছে। উনি বার বার জুবানের মোবাইলে কল দিচ্ছেন। ইডিয়েটটা কল রিসিভ করছে না কেন? বার বার বাবার কল আসায় না চাইতেও একপাশে এসে কল রিসিভ করল জুবান। জুবায়ের ইমজাত হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন।

” ইডিয়েট কি করোছো এটা? তুমি জানো না তোমার ছোটো একটা ভুল পদক্ষেপ কত বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? সামনে তোমার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এমন একটা সময় এতো বড় ভুলটা কীভাবে করলে? তুমি জানো কত শত ভোট হারালে তুমি?”

” বাবা আমি মেয়েটাকে ভালোবাসি। আর আমার প্রফেশন আর ব্যক্তিগত লাইফ আলাদা। একটার জন্য আরেকটাকে স্যাক্রিফাইজ করতে পারব না।”

” রাখো তোমার ভালোবাসা। এতো দিন দিনরাত মেয়ে নিয়ে পরে ছিলে তখন তোমাকে কিছু বলিনি। এখনও কিছু বলতাম না যদি না সবার সামনে খবরটা আনতে। একে সবার সামনে আনার কি প্রয়োজন ছিল জুবান? কয়েকদিন এনজয় করে তো বাকিদের মতোই এক হাল করবে এর। দুদিন পরপর তোমার এই মেয়ে গঠিত সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না আমার।”

” বাবা আমি রসগোল্লাকে ভালোবাসি। আম সিরিয়াস বাবা। ওকে বাকিদের সাথে গোলাবে না। কয়েকদিন পর বিয়ে করছি আমরা।”

জুবায়ের ইমজাত ধমকে উঠলো।

” তুমি এমন কিছুই করবে না জুবান। তোমার কাজে শুধু তোমার লাইফে প্রবলেম ক্রিয়েট হবে তা না। তোমার এসব কাজে আমার প্রোফাইলেও প্রভাব ফেলবে। খুব দ্রুতই মেয়েটার ব্যবস্তা নাও। না হলে আমি আমার মতো করে ব্যপারটা হ্যান্ডেল করব।”

জুবান রেগে দেয়ালে ঘুষি মারল‌।

” তুমি এমন কিছুই করবে না বাবা। তুমি বোধহয় শুনতে পাওনি আমি মেয়েটাকে ভালোবাসি। এবার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বাবা। আমি এমন কিছু হতে দেব না।”

জুবান রাগে গজগজ করতে করতে কল কেটে দিল। তুরকে যেখানে দাঁড় করিয়ে গিয়েছিল সেখানে এসে দেখল তুর নেই। কোথায় গেলো মেয়েটা? আশেপাশে খুঁজেও কোথাও পেলো না। মোবাইলটাও বন্ধ।

তুর পার্কিং এড়িয়ায় দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ এক ধরনের শব্দ পেয়ে সেদিকে গেল সে। ওভার কোর্ট পরা একজন ব্যক্তি একটা লোককে গলায় শিকল বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। তুর গাড়ির আড়ালে লুকিয়ে পড়ল তড়িঘরি করে মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করতে থাকলো।তুর মোবালের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকাতেই দেখলো ওভারকোট পরা ব্যক্তিটি উধাও। এক সেকেন্ডের মধ্যে কোথায় গায়েব হয়ে গেলো লোকটা? মাথায় তীব্র আঘাতে চোখের সামনে অন্ধকার দেখল তুর। ধীরে ধীরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল সে। ঝাঁপসা চোখে দেখতে পেলো ওভারকোট পরিহিত ব্যক্তিটি তার সামনে বসে আছে।

চলবে…..

( গত কয়েক পর্ব ব্যস্ততার কারণে ছোট হয়ে গেছিল তাই আজকে বড় করে দিয়েছি। গল্পের রহস্য গুলো আর কয়েক পর্বের মধ্যেই সমাধান হবে। যারা গল্প পড়বেন তারা প্লিজ রেসপন্স করার চেষ্টা করবেন। )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here