কেউ কোনোদিন জানবে না পর্বঃ৫

কেউ কোনোদিন জানবে না পর্বঃ৫
#Tasfiya Nur

মিঃ জাহিদুলের অফিসের কেবিনে তার মুখোমুখি হয়ে বসে আছে রুহাশা।মিঃ জাহিদুল ফাইলে নজর বুলিয়ে যাচ্ছে, তারদিকে শান্তচোখে তাকিয়ে রুহাশা।মিঃ জাহিদুলের সামনে যে একটা জলজ্যান্ত মেয়ে বসে আছে এটার দিকে খেয়াল নেই তার।রুহাশা এবার বিরক্ত হয়ে বললো,

আমি এখানে আপনার সাথে কথা বলতে এসেছি আঙ্কেল আর আপনি কি করছেন?একটু তো এবার চারদিকে খেয়াল দিন।
রুহাশার কথায় রিজভীর বাবার কোনো ভাবান্তর হলোনা।ফাইলে চোখ রেখেই বললেন,

আচ্ছা বলো তোমার কি জিগাসা করার আছে?

রুহাশা এবার তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
আমার এনজিওর বাচ্চাদের উপর হামলা কোন করিয়েছিলেন আঙ্কেল? লাগতে হলে সামনাসামনি এসে যা করার করুন অন্য কাউকে দিয়ে করানোর কি ছিলো?

তোমার কি মনে হয় আমি লুকিয়ে কিছু করেছি? আমাকে বোকা মনে হয় তোমার? লুকিয়ে করলে এই যে ট্রাক নাম্বার প্লেটের নাম্বার দিয়ে আমাকে খুজে পেলে আমি লুকিয়ে কিছু করলে নিজের নামে ট্রাকটা রেজিস্ট্রার করি?বোকার মতো কথা বলে বোকার পরিচয় কেন দিচ্ছো?

ওকে ফাইন! আমি বোকা ঠিক আছে।কিন্তু শুধু এটুকু বলুন এমনটা কেন করলেন?

এমনিই একটু ভয়ের উপর রাখতে। তুমি জানো না হয়তো আমার ছেলেটাকে চারটা বছর আগেই বলেছিলাম জায়গাটা আমার চাই।এজন্যই রাজী হয়েছিলাম। কিন্তু রিজভী কি করলো বিয়ের দিন ফ্লাইট ঠিক করে চলে গেলো কাতারে। তোমাদের সাথে আমাদের কোনদিক দিয়ে যায় বলোতো যে রাজী হতাম?কিন্তু একটা ডিল পেয়েছিলাম যার জন্য তোমার ঐ জায়গার মতো জায়গা দরকার ছিলো।সব খোজ নিয়েই লেগেছিলাম, ছেলেকে বলেছিলাম বিয়ে করে নে তার বিনিময়ে জায়গা হাত করে দে এর বিনিময়ে যা টাকা লাগে দিবো।কারণ অনেক প্রফিট হতো। কিন্তু হলো কি তার উল্টো।তোমার বাবার স্মৃতি ওটা তোমার কাছে কিন্তু ফাকাই তো পরেছিলো জায়গাটা।এজন্য কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম।কত সুন্দর জায়গাটা সামনে দিয়ে রাস্তা আশেপাশে স্কুল কলেজ মসজিদ বাজার সব ছিলো। মানে একটা আবাসিক এলাকার মাঝে বাস করার জন্য পারফেক্ট।ওখানে একটা ফ্লাট করলো অনেক প্রফিট করে বিক্রি করতে পারতাম।কিন্তু ঐ যে তুমি আগেই আমার ছেলের মাথা খেয়ে বসেছিলে তোমার স্বপ্নের কথা বলে,বিয়ের দিন রিজভীর হাতে দলিল ধরিয়ে দিয়ে তোমার সাইন নেওয়ার কথা বললে আমাদের বিয়ের আসরে পাঠিয়ে নিজেই গেলোনা।আমার ছেলেটা তোমায়ও চেয়েছিলো সাথে পরিবারও। কিন্তু এই কাজ না করলে পরিবার হারাতো আবার স্বপ্ন ঐ জায়গায় এই এনজিও যে দাড় করিয়েছো এটাও যেন পূরণ হয়। তাই তোমার স্বপ্ন যেন না ভাঙে আর পরিবারও ঠিক থাকে তাই নিজেই নিজের ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে চলে গেলো সবার থেকে দূরে।
কিন্তু এখন আফসোস হয় কেন এমন করলছিলাম নিজের ছেলের জীবনও নষ্ট সাথে তোমারও। আমায় মাফ করে দিও মা।বাবা হিসেবে আমি খুব জঘন্য এটা আরিফা একাই বিয়ে করে আর রিজভী বিয়ে না করে।এত বলি তবু বিয়ে করেনা।তুমি হয়তো বলবে এসব কেন তোমায় বলছি আবার এতদিন পর কেনই বা এক্সিডেন্টটা করালাম।কিন্তু বিশ্বাস কর মা আমি ইচ্ছে করে করিনি ওসব।দুর্ভাগ্যবশত হয়ে গেছে। যেখানে বাচ্চাদের গাড়িটা সাইড করা ছিলো তার পাশেই আমি গাড়ি নিয়ে ওয়েট করছিলাম। খেয়াল করলে দেখবে তোমার এনজিওর থেকে কিছুটা দূরে আমার একটা প্রজেক্ট হচ্ছে। সেখানে সিমেন্ট সাপ্লায়ার ট্রাকটা রাস্তার মোড়ে থামাতে এসেছিলাম আমি। কারণ ভিতরে যাওয়ার রাস্তা ছিলোনা কিন্তু সেই সময় যে এমন হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।আর তখনই তোমার বন্ধু গাড়ি নিয়ে থামে আইসক্রিম নিতে।

এতক্ষণ রিজভীর বাবার কথা নিশ্চুপ হয়ে শুনছিলো রুহাশা।এতকিছু জানার পর তার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে বর্তমানে, রিজভী কি তাহলে তার বাবার কথাই বলেছিলো?এই আপন মানুষটাকে আমার সামনে খারাপ বানাতে চায়নি বলে সে আসেনি বিয়ের আসরে।একবারও ভাবেনি আমার স্বপ্নের থেকে বেশি জরুরী সে ছিলো?রিজভীর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতেই হবে।রুহাশাকে মৌন থাকতে দেখে রিজভীর বাবা রুহাশাকে ডেকে উঠে।তার ডাকে চোখ তুলে তাকায় রুহাশা রিজভীর বাবার দিকে। তারপর শান্ত হয়ে বলে,

আচ্ছা আঙ্কেল যার যেমন বিবেক সে তেমনই করে।যদি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারেন তো বলবো আর কোনো ক্ষতি না করে আমার পাশে থাকবেন আাশা রইলো। একটা কথা কি জানেন তো আঙ্কেল? আমাদের চারপাশে হাজারো শিশুরা না খেয়ে থাকে। মা বাবা মায়ের অভাবে বিভিন্ন খারাপ কাজ করে।আমরা যদি একটু হাত বাড়িয়ে ওদের খোজ নেই, দুবেলা দুমুঠো খেতে দিতে পারি ওদের থেকে খুশি হয়তো দুনিয়ার কেউ হয়না।আমরা সামর্থ্যবানরা যদি ওদের পাশে একটু দাড়াই তাহলে আমাদের সমাজের ছোট ছোট বাচ্চাদের পকেট মারা চুড়ি করার মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত হতে হবেনা।আজ আমরা সচেতন নই বলে আমাদের চারপাশটা এত জঘন্য। আসি আঙ্কেল ভালো থাকবেন আর অনুরোধটা মনে রাখবেন।ভাবীর সাথে সুযেগ করে দেখা করে আসিয়েন।আসসালামু আলাইকুম, আল্লাহ হাফেজ।

কথাটা শেষ করে রুহাশা উঠে দাড়ায় যাওয়ার জন্য। রিজভীর বাবা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।রুহাশা কেবিনের দরজা খুলতেই রিজভীর বাবা আবার পিছন থেকে ডাক দেয় রুহাশাকে।রুহাশা পিছন ফিরে জিগাসা সূচক চোখে তাকাতেই উনি বলেন,

আমার ছেলের না হওয়া বউ এবার কি আমার ছেলেটার বউ হবি?বাবা হয়ে অনুরোধ করছি।

তার কথায় মনের মাঝে কেমন একটা নাম না জানা অনুভূতি হচ্ছে রুশার।সে ওভাবেই দাড়িয়ে উত্তর দেয়,

আরও একটা কাজ বাকি আঙ্কেল। তারপর নিজেই হাজির হবো বউ হয়ে।নয়টা বছর ধরে ভালোবাসি এত তাড়াতাড়ি ছাড়ছিনা।

কথাটা বলেই দ্রুত পায়ে চলে যায় রুশা।মিঃ জাহিদুলও কাজে মনোযোগ দেন।

রিজভীর একটা কথার উত্তর তো পাওয়া হলো এখন শুধু বাকি কিসের কমতি তোমার রিজভী।এই কথাটা জানা বাকি আমার।। কপন ওভাবে একা করে চলে গেছিলা তুমি রিজভী ভরা বিয়ের আসরে অপমানে জর্জরিত হতে হয়েছিলো আমার। কিন্তু আমার তাতে আফসোস নেই আফসোস এক জায়গায় এতটা ভালোবাসার পরও কি তোমার সব কথা জানার অধিকার কি ছিলো না?
গাড়ি এক সাইডে দাড় করিয়ে ড্রাইভিং সীটে হেলান দিয়ে বসে কপালের উপর এক হাত রেখে চোখ বন্ধ করে কথা গুলো ভাবছিলো রুহাশা কিন্তু একটা কথা মনে আসতেই তারাহুরা করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাসায় চলে আসে।হন্তদন্ত হয়ে খুজতে থাকে আরিফাকে।আরিফা তখন ছাদে কাপড় মেলিয়ে দিয়েছিলো সেগুলো আনতে গেছে।মায়ের থেকে আরিফার কথা জেনে নিয়ে সিড়ি বেয়ে উঠে তার কাছে দৌড়িয়ে যায় রুশা।রুশাকে এভাবে হাসফাস করতে দেখে আরিফা নিজেই এগিয়ে এসে জিগাসা করে,

কি হয়েছে আপা? তুমি এমন তাড়াহুড়ো করে কোথা থেকে আসলে?

ভাবী আমার কিছু কথা জানার ছিলো।

নিজের চেম্বারে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বসে আছে রিজভী।সময়টা সন্ধ্যা, রোগীর ওয়ার্ডে একটা রাউন্ড দিয়ে এসে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে সে।চোখের সামনে ভেসে উঠছে রুশার মায়াবী মুখটা।

হসপিটালে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলো একদল তরুণ তরুণী।একজনের কোলে পায়ে ইনজুরি পাওয়া একজন সদ্য কিশোরী থেকে যুবতীতে পদার্পণ করা একটা মেয়ে।তারা চিল্লিয়ে ডক্টর ডাকছে অথচ ডক্টরের খোজ নেই।তখনই স্টুডেন্ট এপ্রোণ পড়ে এগিয়ে আসে পূর্ণবয়সী একজন যুবক।এগিয়ে এসে জিগাসা করে,

কি হয়েছে আপনাদের এভাবে চিল্লাচ্ছেন কেন? ভুলে গেছেন এটা হসপিটাল? মাছের বাজার নয়।
কথাগুলো মাঝে ঝাঝ মেশানো গলার স্বর।ইনজুরিতে আক্রান্ত মেয়েটা এবার শান্ত স্বরে তাকে কোলে নেওয়া ছেলেটাকে বলে,

আমায় কোথাও বসিয়ে দে রাতুল। এভাবে আর কত কোলে নিয়ে থাকবি আমাশ কোলে নেওয়ার শখটা পূরণ হলে এবার নামা। আমার রাগ উঠে যাচ্ছে মাত্র পা মচকে গিয়েছে আর একজায়গা থেকে ছিলে রক্ত বেরিয়েছে। আহামরি কিছু হয়নি যে এভাবে বাচ্চার মতো কোলে রাখবি।

তুই চুপ কর ফাজিল মেয়ে আরও কর দাপাদাপি। দেখলি তো মজা আমি কার সাথে প্রেম করি খুজে বের করতে আমার ফোনটা নিয়ে দৌড় দিতে গিয়ে এবার পা ভেঙে বসে আছিস। শান্তি লাগছে?খুশি হ এবার।

চুপ কর রাতুল নয়তো তোর কোলে থেকেই থাপড়ানি দিবো।তুই ফাজিল আমার কস ক্যান ফাজিল?তোরে কে বলছিলো প্রেম করতে?বা তুই প্রেম করতি না আমি ধরার জন্য ফোন নিয়ে দৌড় দিতাম। এখন আমারে দোষ দেস ক্যা?

এক কথা দুই কথায় ঝগড়া শুরু করে দেয় রুশা আর রাতুল।এরা আর কেউ ছিলোনা।এরা সবাই রুশা আর তার ফ্রেন্ড সার্কেল।তারা ঝগড়া করতে এতটাই মত্ত ছিলো যে তাদের আরও ফ্রেন্ড যে আছে আর সামনে অচেনা একজন পুরুষ যে দাড়িয়ে আছে তা রুশা আর রাতুল বেমালুম ভুলে গেছে। এদের ঝগড়া থামাতে এবার তাহুন রুশার মুখে কস্টেপ লাগিয়ে দেয়।এভাবেই রাতুল আর রুশা ঝগড়া লাগলে থামায় তাহুন।তাহুনের এমন কর্মে রাগী চোখে তাকায় রুশা। হাত দিয়ে টেনে কস্টেপটা ফেলে দিয়ে ওর সাথো তর্ক শুরু করে।আর এাব নিরব দর্শক হয়ে দেখে যাচ্ছিলো সাদিফ রাদিফ, তাদের এসব দেখে ভাবান্তর নেই তাদের। এটা নতুন মা আগে থেকেই হয়ে আসছে।কলেজ লাইফ থেকে।সেবার রুশারা অনার্স প্রথম বর্ষে এডমিশন নিয়েছে। কয়টা মাত্র পার হয়েছে কিন্তু তাদের বন্ধুত্বটা স্কুল লাইফ থেকে।এদের কর্মকাণ্ড এতক্ষণ হা করে দেখছিলো রিজভী।এবার আর চুপ না থাকতে পেরে ধমকে উঠে ওদের উপর।ভরাট কন্ঠের একজন যুবকের ধমকানি শুনে রুশা চোখ পিটপিট করে তাকায় তার দিকে।একজন শ্যামলা যুবক গায়ে ফরমাল ড্রেসআপের উপর মেডিক্যাল এপ্রোন পড়া।এমনিতেই রুশা শ্যামলা রং এর উপর দুর্বল আবার সে যদি এতটা কিউট হয় তাহলে তো কথাই নেই। হা হয়ে দেখছিলো শুধু রিজভীকে।সেদিন আর কোনো ফাজলামি না করে রিজভীর থেকে ব্যান্ডেজ আর বাকি যা করা লাগে করে নিয়ে চলে আসে।তখন রিজভী সদ্য ইন্টার্নি শুরু করেছে।সেদিনই রুশার সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ।

চোখ বন্ধ করে রুশার কথা ভাবতে ভাবতেই রুশার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ এর কথা মনে এসে যায় রিজভীর। আনমনেই হেসে উঠে সে। দিনগুলো কতটা সুন্দর ছিলো ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ব্যতীত কিছু আসেনা রিজভীর।

সময় কতটা বহমান তাইনা রুশা!চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় এই তো সেদিন দেখা হলো তারপর তোমাদের ভার্সিটি ক্যাম্পাসে আমাদের হসপিটাল থেকে ব্ল্যাড গ্রুপ চেক করার জন্য ক্যাম্প হওয়া।ধীরে ধীরে কথা হওয়া অতঃপর ভালো লাগা জন্ম নেওয়া।একপ অপরের নাম্বার দেওয়া।সম্পর্কটা ভালোবাসা অব্দি গড়ানো।ভালোবাসা তো এখোনো টিকে আছে রুশা কিন্তু তুমি পাশে নেই।কেন আল্লাহ আমায় কমতি দিলো বলতে পারো? জানি পারবেনা। কিন্তু ভালোবাসাও কমবেনা রুশা।আমার এই অপূর্ণ জীবনে তুমি ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসা আমার দ্বারা সম্ভব না।ক্ষমা করে দিও তুমি।

কথাগুলো বিরবির করে বলে উঠে দাড়ায় রিজভী।কিছু পেশেন্ট চেক করার আছে বিভিন্ন কেবিনে।তখনই রুশা তার চেম্বারে দৌড়ে ঢুকে ঝাপিয়ে পড়ে রিজভীর বুকে। আকস্মিক এমন ঘটনায় অবাক হয়ে যায় রিজভী। কিন্তু যখন বুঝতে পারে রুশা ফুপিয়ে কাদছে নিজেও পরম যত্নে জড়িয়ে নেয় নিজের সাথে। তারপর মৃদু স্বরে জিগাসা করে,

কি হয়েছে রুশা?এমন বাচ্চাদের মতো কাদছো কেন?

তুমি কি ভেবেছিলে রিজভী?কেউ কোনোদিন জানবে না? আমি জেনে গেছি রিজভী আমি সব জেনে গেছি । কি হতো একটাবার সব বলতে।এতটাই পর ভাবো আমায় যে কিছুই জানালেনা?কি ভুল করেছিলাম আমি বলো?

রুশার এতএত অভিযোগ শুনে হতবিহ্বল হয়ে যায় রিজভী।পাথর হয়ে গেছে যেন।মাথায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কি জানতে পেরেছে রুশা?রুশা তখনও ফুপিয়ে কাদছে।এত এত কৌতুহল দমিয়ে রাখতে না পেরে রুশাকে আলতো হাতে নিজের থেকে ছাড়িয়ে গালে হাতদুটো রেখে রুশার মুখ তুলে চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করে,

কি জানতে পেরেছো তুমি রুশা?

চলবে?

(আসসালামু আলাইকুম,ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here