কেউ কোনোদিন জানবে না পর্বঃশেষ পর্ব
#Tasfiya Nur
তুমি বাবা হতে পারবেনা এই কথা কেন লুকিয়েছিলে রিজভী?কেন ওভাবে বিয়ের আসরে একা ফেলে চলে গেছিলে?
রুশার প্রশ্নে নিশ্চুপ হয়ে গেছে রিজভী।মনে মনে ভাবছে,রুশা কিভাবে এটা জানলো।রুশা রিজভীর মৌনতার কারণ ধরতে পেরে রিজভীর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিজে থেকেই বলতে শুরু করে,
ভাবছো কিভাবে জানলাম?তো শুনো বিয়ের দিন বিয়ের আসরে সবাইকে আগে পাঠালেও আরিফা আর তোমার বেস্টফ্রেন্ড তোমার সাথে তোমার গাড়িতে বিয়ের আসরে পৌছানোর কথা।কিন্তু না তুমি তো আরিফাকে জোড় করে সবার সাথে পাঠিয়ে দিলেও মাহতাফ ভাইয়া মানে তোমার বেস্টুকে কিন্তু সাথে রেখেছিলে।আর মাহতাফ ভাইয়ার সাথে আমার যোগাযোগ এখনও অব্দি আছে। মাঝে মাঝেই কথা হতো অনলাইনে।আজ তোমার বাবার থেকে আমার ঐ জায়গাটুকুর ব্যাপারটা জানার পর বুঝতে পেরেছিলাম যে তুমি আঙ্কেলকে আমার সামনে বা বাকি সবার সামনে খারাপ বানাতে চাওনা বলে আমার থেকে আঙ্কেলের দাবীর ব্যাপারটা লুকিয়ে গেছো।কিন্তু রিজভী তুমি আমায় আরেকদিন কমতি ব্যাপারে বলেছিলে কিন্তু কি কমতি এটা বলোনি।তাই আঙ্কেলের থেকে আজ একটুখানি জেনে আমি আরিফার থেকে খোজ নিয়ে জানতে পারি যে বিয়ের দিন মাহতাফ ভাইয়ার সাথে ছিলে তুমি।আমি সেই কথা অনুযায়ী ভাইয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করি।তারপর ভাইয়ার থেকে জানতে পারি তুমি ভাইয়াকে নিয়ে হসপিটাল গিয়েছিলে যেখানে তুমি জব করতে।কিছু টেস্ট করিয়েছিলে তুমি সেগুলোর রিপোর্ট দেখতে তুমি মাহতাফ ভাইয়াকেও নিয়ে যাও।এটাই মিস্টেক করলে যার দরুণ ঐ রিপোর্টে কি ছিলো আজ আমি জানলাম।তুমি তোমার খুবই ভালো ফ্রেন্ড নাতাশার সাংসারিক লাইফ দেখে নাকি নিজের শরীরে কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে সম্পূর্ণ বডির যা যা টেস্ট আছে করো।কারণ নাতাশা আপুর হাজব্যান্ডের বাবা হওয়ার ক্ষমতা ছিলোনা বলে তাদের সংসারে অশান্তি হতে দেখে তোমারও ভয় ছিলো যদি এমন কিছু হয়।আর দেখো ভয়টা সত্যি করে তুমি আমায় একা ফেলে চলে গেলে।এতদিন দেশে ছিলেনা বলে কিছু করতে পারিনি। নয়তো তুমি আমায় কি ভাবো যে আমি এত সহজে ছাড়ার পাত্রী!একদমই না।
রিজভী এতক্ষণ রুশার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো। কিন্তু শেষের কথা শুনে না হেসে পারলোনা।রুশা রিজভীর হাসি দেখে ছোট দুটো ছোটো ছোটো করে জিগাসা করে,
তুমি হাসছো?আমায় এত কাদিয়ে তুমি হাসছো?যাও থাকো তুমি তোমার মতো আমি চলে গেলাম।তোমার কি মনে হয় রিজভী ভালোবাসা এতই ঠুনকো যে বাচ্চার জন্য তোমায় ছেড়ে যেতাম?এইটুকু অধিকার তো আমার ছিলো জানার কিন্তু এভাবে কাদালে আমায়?যাও আড়ি তোমায় সাথে।
রুশা কথাটা বলেই পা বাড়িয়ে চলে যেতে নিলে রিজভী পিছন থেকে হাত ধরে টেনে নিজের বুকে ফালায় রুশাকে।তারপর চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে বলে,
এত সহজ নাকি ছেড়ে যাবা।আমি যে ভুল করেছিলাম ছেড়ে গিয়ে তুমিও সেই ভুল করবা।আর মাহতাফকে তো আমি আলুর ভর্তা করবো আমায় ওয়াদা দিয়েছিলো কাউকে কোনোদিন জানতে দিবেনা। আর সেই তোমার কাছে বললো ওকে তো আমি ছাড়বোনা।
চুপ একদম চুপ। ভুল করে আবার মাহতাফ ভাইয়ার উপর চিল্লাচ্ছো।আমি বলতে বলেছি কান্না করেছি বলে ভাইয়া বলেছে। শতহোক ভাইয়ার ছোটো বোন আমি।আমাদের সনৃতান আছে তো রিজভী। রুহাশ আমার তোমার সন্তান হয়ে ও থাকবে।আর আমার এনজিওর তিরিশটা বাচ্চা তো আছেই। এতগুলো বাচ্চা থাকতে আমরা বাবা মা ডাকটা কি শুনতে পাবোনা!এরা হয় নাকি।বিয়ে করবে আমায় রিজভী? চারটা বছর আগে বউ সেজেও হতে পারিনি আজও কি পারবোনা তোমার হতে?
রুহাশার কথায় আকুল মিনতি।ধরা গলায় কথাগুলো যেন রিজভীর মনের ভিতর প্রলয় তুলে দিচ্ছে।রুশাকে জাপ্টে নিজের সাথে ধরে বলে,
এই যে বাধলাম নিজের সাথে। আল্লাহ না চাইলে কখনো ছাড়ছিনা।আমি তো জানতাম না এই পাগলীটা এতটা ভালোবাসে আমায়।জানতাম ভালোবাসে কিন্তু এতটা ভালোবাসে বুঝতে পারিনি যে আমার কমতিও তার কাছে কিছু না।
আল্লাহ যা করে তার বান্দার ভালোর জন্য করে বুঝেছো!হয়তো এভাবে আমাদের মিল ছিলো তাই হলো।আর এর মাধ্যমে দেখোনা আমিও শান্তির খোজে কতগুলো বাচ্চার মুখে হাসি ফুটাতে পারছি।তুমি আমার পাশে থাকবে রিজভী? প্রতিটা পথশিশু জানো একটু পেটপুরে খেতে পারলে যে হাসি আর ভালোবাসাটা দেয় সেই ভালোবাসাটা তোমার কমতির কষ্টের কাছে কিছুই না।
হুম থাকবো পাগলি।আচ্ছা বলোতো রুহাশকে তুমি কোথায় পেয়েছিলে? কত্ত কিউট!
মাহতাফ ভাইয়া যখন বললো তুমি বিয়ে করবেনা। কাতারে চলে যাচ্ছো। তখনই আমি গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলাম এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য। কিন্তু গিয়ে জানতে পারি ফ্লাইট হয়ে গেছে। তাই ফিরার সময় তুমি জানোই আমার মন খারাপ থাকলে মাঝেমধ্যেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে রাস্তার ধারে দাড়িয়ে থাকতাম, কান্না করতাম তখনই একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাই।খুজে বপর করি রাস্তার ধারের ঝোপে।জানিনা কোন নারী পুরুষ হয়তো পাপ নয়তো অভাবের তাড়নায় বাচ্চাটাকে রেখে গেছে। তাই কোলে তুলে নিই তাকে।সাথে করে বাসায় আনি। তোমায় ভুলার বৃথা চেষ্টায় মত্ত থাকতাম বাচ্চাটাকে নিয়ে স্টাডি শেষ করি ব্যবসাটা বড় করি।নিজেও কলেজে টিচার হিসেবে জয়েন হই।নিজেকে পাথরে পরিণত করলেও তোমার জন্য একবিন্দু পরিমাণ ভালোবাসা কমাতে পারিনি।
রিজভী মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রুশার কথাগুলো শুনে যাচ্ছিলো।ওই সময় আরিফা রায়হান জারিফা রাতুল রাত্রীয়া মাহতাফ আর তার স্ত্রী সহ কেবিনের দরজা খুলে হাজির হয় একসাথে।দরজা খুলতেই ওদের জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দেখে চোখ বন্ধ করে সবাই একসাথে বলে উঠে,
আমরা কিন্তু কিছুই দেখিনি ওকে। বি কন্টিনিউ।আমরা যাচ্ছি।
রিজভী ওদের দেখে চমকে যায়।রুশা ছিটকে দূরে সরে দাড়ায়।ওদের কথায় রিজভী এবার একটু থতমত গলায় বলে,
তোরা এখানে!কিভাবে আসলি তাও দলবেঁধে?
আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই ব্রো!আমি রুশাকে ফোনে কেদে কেদে কথা বলতে দেখে ভেবেছি কিছু হয়েছে তাই রুশাদের বাসায় যাই। তখন জানতে পারি রুশা আরিফার সাথেও কেমন ছটফটিয়ে কথা বলে তাড়াহুরো করে বাসা থেকে বেরিয়েছে। তাই আরিফার সাথে কথা বলে সবাইকে সাথে নিয়ে হসপিটালে হাজির হই।রুশা তোর কথা জিগাসা করছিলো। তাই ভাবলাম হয়তো এখানে আসছে।আর ভাবনাটাও সত্যি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।তাও আবার এক্সট্রা রোমান্স সহ দেখবো ভাবনা ছিলোনা কিপ ইট আপ ব্রো!
মাহতাফের কথা শুনে জোরে ধমক লাগায় রিজভী।তারপর সবাই গল্পগুজব করে কেবিনে বসেই।রিজভী রুশার সাথে কথা বলার ফাকেই অন্য ডক্টরকে ইনফর্ম করেছিলো তার পেশেন্ট দেখার জন্য তাই রিজভীর এখন কাজ নেই তেমন একটা।অনেকদিন পর সবার সাথে কথা বলে হালকা লাগছে নিজেকে রিজভীর।তাদের কথার ফাঁকে রাতুল বলে,
রুশা আফা তোর তো বিয়া সেট এবার আমারে এই সিঙ্গেল হতদরিদ্র উপাধী দেখে সরা!
ওর কথায় হেসে ফেলে সবাই। তারপর রুশা হাসি থামিয়ে বলে,
পছন্দের মেয়ে থাকলে বল আমি আঙ্কেলকে বলে ব্যবস্থা করি।
আছে তো তের ছোটো ননদরে দে তাহলেই হয়।
রাতুলের কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সবাই।রাতুল বুঝতে পারে কি বেফাঁস কথা বলে দিয়েছে সে।তাই কোনো রকম আমতাআমতা করে উঠে দৌড় লাগায় বাইরে।যেতে যেতে বলে,
আমার কাজ আছে রাত্রী তুই বাসায় চলে যাস রুশা ওকে নামিয়ে দিস বাসায়।
রাত প্রায় দশটা।সবার আড্ডা শেষে যে যার বাসার দিকে রওনা দেয়।রুশার গাড়িতে ড্রাইভ করছে রায়হান।পাশে আরিফা আর পিছনে রাত্রীয়া আর রুশা।রুশা জানালা দিয়ে রাতের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত ঠোটে মুচকি হাসি।
আসার সময় রিজভী তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেছে কাল সপরিবারে আবার হাজির হবে বিয়ে কথা বলতে। যেমনটা চারবছর আগেও হয়েছিলো এবার শুধু বিয়েটা হবে আগের মতো ভেঙে যাবেনা।এজন্যই এত খুশি রুশা।রাত্রীয়াকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে বাসায় চলে আসে তারা।রুশার মা মিসেস সায়লা রায়হানের মুখে সব শুনে খুশি হন।অবশেষে তার মেয়ের জীবনে সুখের দেখা পাচ্ছে। মেয়ের যেখানে আপত্তি নেই সেখানে তার আপত্তির থাকার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।তবুও মেয়ে ভালো থাকুক।
পুরো বাড়ি আজ বিয়ের সাজে সেজেছে।আত্মীয় স্বজন দিয়ে বাড়ি গজগিজ করেছে। বউরুপে আবারও সেজেছে রুশা।তার কোলে রুহাশ বসে আছে হাতে চকলেট নিয়ে।বরযাত্রীও এসে গেছে। স্টেজে সামনে মুখোমুখি হয়ে ছাদের এপাশে ওপাশে বসে আছে রিজভী আর রুশা।মাশাল্লাহ দুজনকেই বর বউ রুপে দারুণ মানিয়েছে।আগেরবার বউ সাজে রুশাকে দেখতে পারেনি। তাই এবার মন ভরে দেখছে রুশাকে।কাজি সাহেব বিয়ে সম্পন্ন করেন।শুরু হয় বিদায় পর্ব, মেয়েকে বিদায় দিতে দুই মা আর দাদী ভাই যেন আজ কান্না থামাতে পারছেনা।কাদছে রুশাও, একমাত্র মেয়েরাই বুঝে এই সময়টার যন্ত্রণা কি।বিদায় শেষ হতেই রহমান ভিলা যেন রুশার শূণ্যতায় হাহাকার করছে।
বিদায় পর্ব শেষ করে আহমেদ ভিলায় পা রাখে রুশা।সবাই রিজভীর অক্ষমতা জেনেছে।রুহাশকে মেনে নিতে কারোর আপত্তি নেই।মিসেস শিরিন হাসিমুখে ছেলের বউ আর নাতীকে বরণ করেছেন।
সব পর্ব চুকিয়ে রুশাকে বাসর ঘরে বসিয়ে রেখে গেছে তার দুই ননদ।রুহাশ বিছানায় ঘুমিয়ে গেছে।মিসেস শিরিন রুহাশকে নিজের সাথে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন জায়গা নতুন মুখ রুহাশ কাদবে জাগনা পেলে।তাই নিজের বলে কয়ে নিজের সাথে রেখেছে সে রুহাশকে।আকাশে আজ অর্ধচন্দ্র উঠেছে।রিজভী আসছেনা বলে জানালা দিয়ে আকাশের চাদটা দেখতে ব্যস্ত রুশা।এরমাঝেই দরজা খুলে প্রবেশ করে রিজভী।দরজা খোলার শব্দে পিছন ফিরে তাকায় রুশা।পা বাড়িয়ে যায় রিজভীর সামনে।রিজভী সে তো রুশাকে দেখতে ব্যস্ত।রুশা পা ছুয়ে সালাম করতে নিলে রিজভী হাত ধরে বুকে জড়িয়ে নেয় তারপর বলে,
এভাবে সালাম করতে হবেনা বুকের মাঝে থেকো তুমি রয়ে যেয়ো এই অন্তরে।অনেকক্ষণ ভারী সাজে রয়েছো ফ্রেশ হও যাও।
এতদিন রিজভীর সামনে থাকতে লজ্জা লাগেনি রুশার কিন্তু আজ লাগছে।তাই রিজভীর কথায় দ্রুত লাগেজ থেকে কাপড় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে।রুশা বেরুতেই রিজভী ফ্রেশ হয়ে নিয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজটা পড়ে নেয় রুশাকে নিয়ে।তারপর রুহাশকে মাঝখানে রেখে রুশাকে বলে,
আজ প্রথমদিন আরও অনেকগুলো দিন ইনশাআল্লাহ পড়ে আছে তোমাকে কাছে নেওয়ার আজ না হয় আমাদের এই ছোট্ট পুচকুকে নিয়ে ঘুমায়।তোমার আপত্তি নেই তো রুশা?
রুশা রিজভীর কথায় ছলছল চোখে তাকায়। এই মানুষটা এত ভালো কেন?তার এককথায় একটা নামপরিচয় হীন বাচ্চাকে নিজের ছেলে কর নিয়েছে। আনমনে এই কথাটা ভাবছিলো রুশা।রুশাকে চুপ থাকতে দেখে রুশার সামনে গিয়ে দুই বাহুতে ঝাকিয়ে আবারও জিগাসা করে,
কি হলো রুশা?কিছু তো বলো!
রুশা আচমকাই রিজভীকে জড়িয়ে ধরে পরম শান্তিতে চোখ বুজে নেয়।রিজভীও তার ভালোবাসার মানুষটাকে জড়িয়ে নেয় পরম মমতায়।
এরমাঝেই কেটে গেছে ছয়টা মাস।রুশাও পরিপূর্ণ ভাবে হয়ে উঠেছে আহমেদের বাড়ির বউ।কলেজের জবটা ছেড়ে দিয়েছে।সংসার এনজিও আর ছোট্ট রুহাশকে নিয়ে ভালো আছে রুশা।মিসেস শিরিন আর মিঃ জাহিদুলও ছেলে বউমা নাতীকে নিয়ে খুব খুশি।জারিফার সাথে রাতুলের বিয়েটা অবশেষে হয়েছে তিনমাস আগে।
আজ রিজভীর ওফডে।তাই রুশার এনজিওতে এসেছে পুরো পরিবার সমেত।খাবারের ব্যবস্থা করেছে সবার জন্য। রিজভীর সাহায্যে বড় হয়েছে এনজিও।এসেছে আরও অনেক পথশিশু। যাদের যতটুকু সাধ্য হয় ভালো রাখার চেষ্টা করে রুশা আর রিজভী তাদের পাশে আর সাদিফ রাদিফ তাহুন রাতুল জারিফাও। রায়হানও আজকাল সাহায্য করে।আরিফা সংসার নিয়ে ব্যস্ত। দুমাসের প্রেগন্যান্সি চলছে তার।রাত্রীয়ারও এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে রাতুলের কাজিনের সাথে। মোটকথায় সবাই ভালো আছে সবার জীবন নিয়ে।
এনজিও তে খাবার দাবার শেষ হলে এনজিওর সামনে বিশাল মাঠটায় সব বাচ্চারা খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের সাথে মিশে খেলছে রুহাশ সাথে মিঃ জাহিদুল আর মিসেস শিরিন নাতীর খেয়াল রাখছে।তাদের দূর থেকে দাড়িয়ে দেখছে রুশা আর তার ঠোঁটের কোণে জুরে আছে মুচকি হাসি।রিজভী ওয়াশরুমে গেছিলো সেখান থেকে ফিরে রুশাকে ওভাবে দারিয়ে থাকতে দেখে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।রুশাও একবার চমকে উঠে রিজভীকে দেখে কিছু বলে না।মুচকি হেসে তাকায় রিজভীর দিকে।রিজভীও আজ নিশ্চিন্ত। তার প্রেয়সীর মুখের হাসি তার জীবনে সুখ এনে দিয়েছে।আর একটু গভীর হয়ে জড়িয়ে ধরে রুশাকে।রুশা রিজভীর দিকে তাকিয়ে মৃদু স্বরে বলে,
দেখেছো রিজভী আমাদের ছেলেটা কতটা খুশি।
রুশার কথায় ঠোটের কোনে প্রশস্ত হয়ে উঠে হাসিতে।রুশা মুগ্ধ হয়ে দেখছে সেই হাসি।
ভালো থাকুক না হয় এভাবে প্রতিটা ভালোবাসা। ভালো থাকুক পৃথিবীর প্রতিটা পথশিশু। আমরা সামর্থ্যবানরা না হয় একটু পাশে দাড়াই।
সমাপ্ত
(আসসালামু আলাইকুম, ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।যারা পাশে ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।আর হ্যা আজ তো শেষ এটা একটা মন্তব্য তো আজ পেতেই পারি।আমি কি জানি আমার লিখা গুছিয়ে হয়না কিন্তু কিন্তু আমার গল্পের থিমে কি একটুও শিখার মতো কিছু নেই,আজ একটু জানাবেন অনুরোধ রইলো,ভালো থাকুন সবাই)