গল্প : গুন্ডি বউয়ের ভালোবাসা।
#পাঠ_৪
একি মৌশি এখানে কি করছে?
সপ্ন দেখছি না তো? মৌশির হাতে জোরে একটা চিমঠি কাটলাম ৷
আউউউচ….(মৌশি ব্যাথা পেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল)
মৌশি: এই তুই আমাকে এত জোরে চিমঠি কাটলি কেন?
আমি< আসলে আমি মনে করছি আমি সপ্ন দেখতেছি ৷ তাই সপ্ন না বাস্তব তা বুঝার জন্য চিমঠি কাটলাম ৷
মৌশি : তাই বলে এত জুরে চিমঠি দিতে হবে? আর আমাকে কেন চিমঠি কটলি নিজেকে নিজে চিমঠি কেটে দেখতে পারলি না?
আমি< sorry☹
মৌশি : আচ্ছা এখন উঠে ফ্রেশ হ ৷ আমরা আজ ঘুড়তে বের হব ৷
আমি< না আমি যাব না ৷ আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাব ৷ যাও তুমি বাড়িতে যাও ৷সপ্তাহে একদিন ছুটি পাই এই একটা দিনও কি ভাল করে ঘুমাতে পারব না নাকি?
পিল্জ তুমি বাড়ি যাও অন্য একদিন ঘুরতে যাব ৷
মৌশি : তুই উঠবি কিনা বল ৷ না আমার অন্য কিছুর ব্যবস্তা করতে হবে?
আমি< তুমি যা করার কর ৷ কিন্তু আমি উঠব না ৷
আমি এই কথাটি বলার সাথে সাথেই মেয়েটা হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷
আমি আবার বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম ৷
ঘুমে চোখ লেগে আসছিল এমন সময় আমার শরিরে গরম কিছু অনুভব করলা ৷
লাফ দিয়ে উঠলাম ৷
একি আমার শরির পানি আসল কি করে তাও আবার গরম পানি।
৷
উপরে ছাদের দিকে তাকালাম ৷ না ছাদটা
ঠিকই আছে ৷
আর ছাদ ভাঙারও কথা না ৷
পাশে তাকিয়ে দেখি মৌশি হাতে একটা
বালতি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ৷
আমি আর বুঝতে বাকি রইল না এই কাজটা
মেয়েটারই ৷
আমি< এই মেয়ে আমার শরিরে গড়ম পানি
ডাললি কেন?
মৌশি : বেশ করেছি ৷ আর এখন যদি না
উঠিস তাহলে ফুটানো গড়ম পানি এনে
ঢালব ৷ এখন তো শুধু হালকা গড়ম পানি
ঢাললাম ৷
….
এই গুন্ডি মেয়েটাকে দিয়ে বিশ্বাস নাই
সত্যি সত্যি যদি ফোটানো গড়ম পানি
এনে দেয় ৷
তার চেয়ে বরং উঠে পরি ৷
আচ্ছা আমি উঠছি তুমি বাইরে যাও ৷
মৌশি : কেন আমি বাইরে যাব কেন?
আমার সামনেই তুমি ওয়াস রুমে যাও ৷
আমি< না তোমার সামনে উঠতে পারব না
৷ সমস্যা আছে…
মৌশি : কিসের সমস্যা ?
আমি< আসলে আমার পড়নে ছোট পেন্ট
পরা( আন্ডার ওয়ার্ড আরকি) এই পেন্ট
নিয়ে আমি তোমার সামনে উঠতে পারব
না ৷(এতক্ষন আমার শরির একটা পাতলা
চাদর দিয়ে ডাকা ছিল)
ওঠে পর আমার সামনে লজ্জা কিসের ৷ তাছাড়া কিছুদিন পর তো আমাদের বিয়ে হবেই ৷ তাই লজ্জা করার কিছু নাই ওঠে পর ৷
আমি< নাহ…আমি ওঠতে পারব না আমার লজ্জা করে ৷
মৌশি : কিহহ…তুই উঠবি না ?
কথাটি বলেই মৌশি আমার চাদর ধরে জুরে টান দিল ৷
চাদরটা আমার শরির থেকে সরে গেল ৷
ইয়া আল্লাহ এই মেয়ে একি করল ৷ আমি তো লজ্জায় মরে যাচ্ছি ৷ মেয়েটা দেখছি কিত কিতায়ে হাসছে লজ্জা সরম নাই নাকি কিছু মেয়েটার ৷
আমি আমার বেডের এদিক ওদিক খুজে কিছু না পেয়ে দিলাম এক দৌর ওয়াস রুমের দিকে ৷
….
কিছুক্ষন পর ফ্রেশ হয়ে তুয়ালে জরিয়ে বের হলাম ওয়াস রুম থেকে ৷
মেয়েটাকে দেখতে পারছি না কোথায় গেল?
মনে হয় আম্মুর কাছে গেছে ৷
আমি দরজা আটকিয়ে এসে দেখি আমার বিছানায় নীল একটা শার্ট আর কালো একটা পেন্ট রাখা আছে ৷
মনে হয় মৌশি রেখে গেছে ৷
তুয়ালে খুলে পেন্টটা হাতে নিলাম ৷
হঠাৎ মেয়েটা বেলকুনি থেকে বেরিয়ে আসল ৷
আমি জুরে চিৎকার দিয়ে উঠলাম মৌশি ও আমার সাথে চিৎকার দিয়ে উঠল ৷ আমি তাড়াতারি করে আবার তুয়ালে জরিয়ে নিলাম ৷ কি লজ্জা কি লজ্জা সব দেখে ফেলল মেয়েটা ৷
আমি< এই মেয়ে তুমি এখানে কি করছিলে?
মৌশি : আমি বেলকুনিতে দাড়িয়ে ছিলাম ৷(মৌশি লজ্জা পেয়েছে )
আমি< ঠিক আছে তুমি আম্মুর রুমে যাও আমি কাপর বদলিয়ে আসছি ৷
মৌশি : হুমম আচ্ছা…! বলে মৌশি
চলে যাচ্ছিল ৷
আমি< এই মেয়ে দাড়াও ৷
মৌশি: কি?
আমি< কিছু দেখ নাই তো?
মৌশি : নাহহ কিচ্ছু দেখি নাই ৷
বলেই মৌশি একটা হাসি দিয়ে রুম থেকে
বেরিয়ে গেল ৷
৷৷৷
আমি রেডি হয়ে মৌশি কে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম ৷
গাড়িতে উঠতে যাব তক্ষনি মৌশি বলল,
মৌশি : আমরা গাড়িতে যাব না রিক্সা দিয়ে যাব ৷
আমি একটা রিক্সাকে ডেকে রিক্সাতে উঠলাম ৷
মেয়েটার সাথে রিক্সায় বসতে কেন জানি ভয় ভয় করতেছে (গুন্ডি মেয়ে তো তাই মনে হয় এরকম ভয় করতছে)
আমি এক সাইডে চেপে বসলাম ৷
মৌশি বলে উঠল…আমাকে বলল,
মৌশি : এত চেপে বসছিস কেন পরে যাবি ৷
এই বলে মৌশি আমাকে নিজের আরও কাছে নিয়ে গেল ৷
রিক্সা আপন গতিতে চলতে থাকল ৷
দুজন চুপচাপ বসে আছি ৷
আমি বললাম,
আমরা কোথায় যাচ্ছি মৌশি?
মৌশি : গেলই দেখতে পারবি ৷
আমি< আচ্ছা ৷ আমি আবার চুপ হয়ে গেলাম ৷
20 মিনিট পর রিক্সা একটা কলেজের সামনে এসে থামল ৷
একি মেয়েটা আমাকে কলেজে নিয়ে এল কেন?????
#চলবে