গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৮

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৮
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহা গিয়ে রুসা কে জড়িয়ে ধরলো

রিহা : কেমন আছিস ?
রুসা: আমি তো খুব ভালো আছি তুই কেমন আছিস ?
রিহা : খুব খুব খুব ভালো কিন্ত তুই এখানে কি করছিস ?(ভ্রু কুচকে)
রুসা: আসলে

রুসা বলার আগে মাইশা চৌধুরী আসেন

মাইশা চৌধুরী : অনি বাবা কেমন আছো এই মা কে ভুলে গেছো ?
অনি: আরে জানু তোমাকে কি ভুলতে পারি তুমি তো আমার সব নিজের বউ কে ভুলতে পারি কিন্ত তুমাকে না
মাইশা চৌধুরী : হইছে আর তেল দিতে হবে ।
অনি : এই জন্য তোমাকে এত ভালো লাগে সব আগে থেকে বুঝে যাও
মাইশা চৌধুরী : ওরে সয়টান
রুসা : আমাকে তো ভুলেই গেছো ?
মাইশা চৌধুরী : তুই তো আমার মা আয়

রুসা গিয়ে মাইশা চৌধুরী কে সালাম করলো ।

রিহার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব সাথে আমার পাঠক পাঠিকাদের। আমি আছি কি করতে

রিহা : মামনি তুমি ওকে চেনো ?
মাইশা চৌধুরী : হা এ তো আমাদের অনির বউ
রিহা : কিকরে ?
রুসা : আমি বলছি আমার যে বিয়ে হইছে তুই তো জানিস কিন্ত ছেলেটা কে তাকে তো চিনিস না
রিহা : তার নাম তো অনির্বাণ
রুসা : হুম এ হলো সে আমার স্বামী আর তোর জিজু অনির্বাণ মানে অনি
অনি : কি সালিসাহেবা এখন বুঝছেন
রিহা : তুই তো আগে কখনো বলিস নি (কাদ কাদ মুখ করে)
রুসা : এখন তো জানলি তোর জন্য রেহান ভাইয়া আমাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করিয়েছে তোকে দেখে রাখার জন্য

রিহা রেহান এর দিকে শরু চোখে তাকায়

মাইশা চৌধুরী : অন্তরা সার্ভমন্ট কে বল নাস্তা দিতে
অন্তরা : আচ্ছা

সবাই সোফায় বসে আছে রিহা দাড়িয়ে আছে

মাইশা চৌধুরী : কীরে মা ওখানে দাড়িয়ে আছিস কেনো আয় বস
রিহা : জী মামনি

রিহা রেহান এর পাশে বসে

রিহা : আর কি কি লুকিয়েছে একটু বলবেন ?
রেহান : অনেক কিছু যেটা তোমার ভাবনার বাইরে
রিহা : মানে কি আমার থেকে এতো লুকচুরি কেনো ?
রেহান : সেটা তোমার বুঝার বয়স হইনি

রিহা কিছুক্ষণ রেহান এর দিকে তাকিয়ে থেকে উপরে চলে আসে ।

রিহা : নিজেকে যে কি ভাবছে আল্লাহ জানে সবাই সব জানে আর আমার থেকে সব লুকচুরী যত সব

রিহা এসব বলতে বলতে শুয়ে পরলো।

নিচে
মাইশা চৌধুরী : যা তোরা ফ্রেশ হয়ে নে
রুসা : আচ্ছা

অন্তরা রুসা অনি কে একটা রুমে দেখিয়ে দিল

রেহান বসে ফোন টিপছে অনি রেহান এর পাশে বসলো

অনি : কিরে হটাৎ ডেকে পাঠালী ?
রেহান : দরকার আছে তাই
অনি : সেটাই তো জানতে চাইছি
রেহান : সেটা রাতে বুঝতে পারছি আবার রোমান্স করতে বসে যাস না
অনি : চুপ কর সালা
রেহান : ওকে করলাম এখন ফ্রেশ হয়ে নে
অনি : আচ্ছা

অনি ওর রুমে গেলো রেহান একবার বাড়িটা দেখে উপরে গেলো।

গিয়ে দেখে রিহা শুয়ে আছে

রেহান : কিহলো এখন শুয়ে আছো কেনো ?
রিহা….
রেহান : আমি কিছু বলছি ?
রিহা….

রেহান রিহাকে টান মেরে উঠিয়ে বলে
রেহান : কি বলছি কথা কানে যায়না
রিহা : না যায়না কেনো যাবে আমার কোনো কথা কি আপনার কানে যায়
রেহান: কোন কথা শুনিনি সেটা বলো
রিহা : কোন কথা শুনছেন সেটা আগে বলেন
রেহান : তোমার সাথে কথা বলাই বেকার ধেট

রিহা : হা আমার সাথে কথা বলা বেকার তো জাননা যার সাথে কথা বললে লাভ তার কাছে যান
রেহান : সেটাই যেতে হবে
রিহা : মানে ?(অবাক হয়ে)
রেহান : ভাবছি আর একটা কিউট সুন্দর দেখে বউ আনবো তুমি তার সাথে ঝগড়া করবে আর আমি মজা নেবো(দুষ্টুমি করে)
রিহা : ওকে নো প্রবলেম

রেহান তো ভাবছিল রাগ করবে কিন্ত রেহান তো জানে জানে না রিহা is রিহা

রেহান : তোমার কোনো সমস্যা নেই ?
রিহা : কেনো থাকবে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে যা খুশি করেন আমিও একটা কিউট জামাই আনব
রেহান : কি বললে (দাতে দাত চেপে)
রিহা : কানে কি কম শুনছেন বলেছি যে একটা হ্যান্ডসাম কিউট দেখে জামাই আনবো যার সাথে সারাদিন কত কথা বলবো

রেহান রিহাকে টেনে নিজের কাছে এনে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়।

কিছুক্ষনপর ছেরে দিয়ে বলে

রেহান : তোমার ঐ ঠোঁটে যেনো অন্য কারোর নাম না শুনি (ঠোঁট মুছে)
রিহা : হা নিজে বললে দোষ না আমি বললে দোষ আপনার ওই ঠোঁটে যদি অন্য কারোর নাম শুনি তো ঠোঁট কেটে দেবো বুঝছেন

রেহান তো অবাক রিহা এমন কিছু বলবে সেটা রেহান আশা করেনি । রেহান রিহার কোমর জড়িয়ে বলে

রেহান : কেনো আমি অন্য কারোর নাম বললে তোমার তাতে কি তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসো না
রিহা ,: বাসিনা তো কেনো বাসবো আপনার মত গুন্ডা কে কেনো ভালোবাসবো
রেহান : সেটাই (কোমর ছেড়ে)

রিহা রেহান এর কলার ধরে বলে

রিহা : কিন্ত নিজের কোনো কিছুর উপর আমি অন্য কারোর অধিকার সহ্য করব না বুঝছেন
রেহান : হুম আমার যা বুঝার বুঝছি

রিহা আর কথা না বাড়িয়ে নিচে চলে আসে ওর মামনির কাছে ।

রিহা : মামনি আমি হেল্প করব ?
মামনি : না তোমাকে কিছু করতে হবে না তুই এটা খা
রিহা : কি এটা
মামনি : খেয়ে দেখ
রিহা : চটপটি কি টেস্ট আহ্
মামনি : হুম অন্তরার কাছ থেকে শুনলাম তোরা ফুসকা খেতে পারিসনি তাই তো চটপটি বানালাম

রিহা : খুব সুন্দর হইছে বাকিরা খাইছে ?
মামনি : হুম সবাইকে দিছি
রিহা : উনি তো খেলেন না
মামনি : তোর উনি এসব পছন্দ করে না

তখনই রেহান এর ডাক পরলো

রিহা : এ আবার ডাকে কেনো ?
মামনি : যা গিয়ে দেখ
রিহা : আচ্ছা

রিহা উঠে উপরে গিয়ে দেখে রেহান রেগে দাড়িয়ে আছে

রিহা : কিহলো ওভাবে ডাকছিলেন কেনো ?
রেহান : তুমি আমার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করছো ?
রিহা : পাসওয়ার্ড কি আমি জানিনা তাই চেঞ্জ করতে হইছে আপনার নাম দিছি দেখেন

রেহান দিয়ে দেখলো হইছে।

রেহান : কি খাচ্ছ ওটা ?
রিহা : চটপটি খাবেন ?
রেহান : ছি ওসব কেউ খায় যতসব ফালতু খাবার
রিহা : ভালো জিনিস ত আপনার ভালো লাগবে না

কথাটা বলতে বলতে রিহা রেহান এর পাশে বসে । রেহান কাজ করছে আর রিহা খাচ্ছে

রিহা কি মনে করে রেহান এর মুখের সামনে ধরলো রেহান আনমনে খেয়ে নিল । রিহা আবার মুখের কাছে ধরতে রেহান রিহার দিকা তাকায়

রেহান : কি হচ্ছে কি ?
রিহা : কই কিছু না তো
রেহান : আমি এসব পছন্দ করিনা ।
রিহা : হ্ন আইছে একটু খেলে কি হয় যতসব

কথাটা বলে রিহা অন্য দিকে ফিরে বসে রেহান একটা মুচকি হেসে আবার কাজ করতে লাগে। রিহা আবার রেহান এর গালে রেহান কিছু না বলে খেয়ে নেয়।

রিহা খেয়ে রেহান এর কাঁধে মাথা রাখে। রেহান ল্যাপটপে এক হাত রেখে অন্য হাত দিয়ে রিহাকে জড়িয়ে ধরে।

রেহান : কি ব্যাপার হুম ?
রিহা : মামনি কত ভালো আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসছে সত্যি আমি খুব লাকি। শাশুড়ি তো দর্জাল হয় কিন্ত আমার শাশুড়ি না যেনো আমি মা পেয়েছি আমি এসব হারাতে চাইনা রেহান (চোখের কোণে পানি এনে)

রেহান ল্যাপটপ থুয়ে রিহার গালে হাত দিয়ে বলে

রেহান : যা তোমার টা তোমার থাকবে আমি তোমার থেকে আর কিছু হারাতে দিবো না কিছু না
রিহা : আমি ঢাকায় যেতে চাইনা প্লিজ রেহান
রেহান : ওহ এবার বুঝছি ম্যাডাম কেনো এই কথা বলছে কিন্ত ম্যাডাম আপনার তো এক্সাম দিতে যেতে হবে লকডাউন দিচ্ছে সেই জন্য আপাতত যেতে হবে না
রিহা : আমি কখনো যেতে চাইনা নিজের এই ভালোবাসা টুকু আগলে রাখতে চাই
রেহান : স্বামীকে ভালো না বাসলে সেইসব চলে যাবে কিন্ত
রিহা : আপনাকে লাগবে না মামনি হলেই হবে
রেহান : মানে আমার কোনো দাম নেই ?
রিহা : আপাতত না
রেহান : তবে রে

রিহা দূরে গিয়ে বলে।

রিহা : আজ আর দৌড়াতে পারবো না
রেহান : তাই না

তখনই অন্তরা আসে।

অন্তরা : সরি আমি কিছু দেখিনি (চোখ ঢেকে)
রিহা : আপু আমরা ত তেমন কিছু করিনি যে তুমি দেখবে উনি তো দূরে দাড়িয়ে আছে

অন্তরা নিজের চোখের হাত সরিয়ে
অন্তরা : ওহ তাই তো খালা মনি তোমাদের ডাকছে খেতে যেতে তাড়াতাড়ি আসো
রেহান : তুই যা আমরা আসছি

অন্তরা চলে গেলো রিহা তাকিয়ে আছে

রেহান : কিহলো অভাবে কি দেখছ ?
রিহা : আপু ওই কথা কেনো বললো আজব
রেহান : আমি কি করে জানবো ।
রিহা : কি জানেন আপনি
রেহান : তোমাকে ভালোবাসি শুধু এটাই জানি
রিহা : হইছে চলুন

খাওয়ার টেবিলে
রিহা: মামনি আমি ভাত খাবো না পরোটা দাও
মামনি : আচ্ছা
রেহান : এমনিতেই শুটকি তার উপর
রিহা : চুপ করবেন নাহলে খাবার বাদ দিয়ে আপনার খাবো

রেহান রিহার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
রেহান : খাওনা আমি তো চাই তুমি আমাকে খাও প্লিজ খাও

রিহা শুরু দৃষ্টিতে তাকালে রেহান একটা ডোন্ট care ভাব নেয়।

অন্তরা : এই তোরা সারারাত পাবি কথা বলার জন্য এখন চুপ যা

সবাই অন্তরার কথায় হেসে দেয়।
রিহা হ্যাফ্ল পরোটা আর একটা ডিম খেয়ে উঠে যেতে গেলে রেহান বকে। শুরু দুইজনের ঝগড়া

রূসা: ও তো এমনই শরীর দেখে তো বুঝা যায় রিহা : তুই আমার ফ্রেন্ড না
রেহান : কেউ তোমার ফ্রেন্ড না এখন চুপচাপ খাও

রিহা চুপ করে বসে আছে রেহান না পেরে রিহার গাল ধরে খাবার মুখে পুরে দেয় যতক্ষণ না গিলছে ততক্ষণ ছেরে দেইনি এভাবে অনেকটা খাইয়ে রিহার কাশি উঠে যায়

মামনি : রেহান ছেরে দে অনেক হইছে
রেহান : এখন পানি খেয়ে নাও

রিহা পানি খেয়ে ওখান থেকে চলে আসে

অনি : আজ তোর কপালে দুঃখ আছে ভাই বউ কি আজকে বুঝবি
রেহান : দেখা যাবে সবাই কি তোর মত

বলে হাসতে লাগলো

এদিকে রিহা রাগে ফুসছে সাথে ওর বমি হচ্ছে

চলবে

(বুঝলাম না প্রথম যখন লিখতাম তখন কত সুন্দর সুন্দর কমেন্ট কত কি আর এখন শুধু next nice ছাড়া কিছু না । মানুষের ত লেখার মান দিন দিন ভালো হয় আমার কি খারাপ হচ্ছে )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here