গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৭

#গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রেহান রিহাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে

রেহান : কি ব্যাপার দরজা বন্ধ করে রাখছিলে কেনো হুম খুব সাহস বাড়ছে তাই না (রেগে)
রিহা :জী না আমার সাহস বাড়েনি আগে থেকে ছিল আপনার চোখে হইতো পড়েনি (ভাব নিয়ে)
রেহান : তাই না নিচে কি করলে হুম (ভ্রু কুচকে)
রিহা : কি করছি ?(না জানার ভান করে)
রেহান : কিছু বুঝছো না তাই না
রিহা: শুরুন তো ভালো লাগছে না
রেহান : আমি মুড ভালো করে দিচ্ছি
রিহা : লাগবে না আপনি যান যেখানে খুশি
রেহান : তুমি কি জেলাস হচ্ছো?
রিহা : জী না
রেহান : তাহলে ?
রিহা : আপনি বুঝবেন না
রেহান : বুঝিয়ে বললে তো হয়
রিহা : আমি আপনার জন্য কত কষ্ট করে পুরি বানিয়েছিলাম আর আপনি
রেহান : ওহ ম্যাডাম এর এই জন্য রাগ

রিহা রেহান কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চলে যেতে গেলে রেহান হাত ধরে টেনে বিছানায় নিজের কোলের উপর বসিয়ে দেয়।

রেহান : আমি খাই বা না খাই তাতে তোমার কি আমি তোমার কে (দুষ্টুমি করে)
রিহা : সেটাই তো আপনি আমার কে আজই আমি আব্বুর কাছে চলে যাবো
রেহান : পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দেবে বুঝেছ (ধমক দিয়ে)
রিহা : আমি মনে হয় ড্যান্স করবো
রেহান : কি?
রিহা : আমি কি ছেরে দেবো নাকি
রেহান : কি করবে শুনি ?
রিহা : শেষ করে দেবো

রেহান রিহাকে নিয়ে বিছনায় শুয়ে বলে
রেহান : দাও না আমি তো চাই তুমি আমাকে শেষ করে দাও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দাও মরতে চাই তোমার চুলের গন্ধে হারাতে চাই তোমার ভালোবাসায়
রিহা : কোন ছবির ডাইলোগ ?
রেহান : তুমি একটা ধুর

কথাটা বলে রেহান উঠে বসে সাথে রিহা
রিহা : কি হলো?
রেহান : আর কবে বুঝবে রিহা আর কবে সেই ছোটো বেলা থেকে wait করছি আর কত । সেই ছোটো বেলা থেকে তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য চটপট করছি (রিহার গালে হাত দিয়ে)
রিহা : সালা ছোটো কাল থেকে পাঁকনা (মনে মনে)
রেহান : তোমার কিছু বলাই ফাউ

রেহান উঠে যেতে গেলে রিহা হাত ধরে

রিহা : কোথায় যাচ্ছেন ?
রেহান : যেখানে যাই তোমার কি
রিহা : খাবার কে খাবে আগে চলুন

রিহা রেহানকে টানতে লাগল রেহান বলে

রেহান : কিসের জন্য এত অধিকার দেখাচ্ছ একদিনে আমার আম্মুর সাথে মিশে গিলে অন্তরার সাথে মিশে গেলে কিন্ত আমি এতদিন তোমার সামনে আছি আর তুমি আমি কি এতই খারাপ বলো
রিহা : আমি কি সেটা বলেছি
রেহান তুমি তো কিছুই বলছো না

রেহান টেবিলে একটা লাথি মেরে বেরিয়ে যায় পিছন থেকে রিহা অনেক বার ডাকে কিন্ত রেহান এর কোনো সাড়া নেই ।

রেহান বাড়ি থেকে বেরিয়ে আড্ডা খানায় যায় সেখানে গিয়ে আড্ডা দিতে থাকে আর এদিকে রিহা wait করছে কিন্ত রেহান এর খোজ নেই।

রিহা নিচে এসে ওর মামনির সাথে গল্প করতে থাকে । এভাবে দুপুর থেকে বিকেল হয়ে যায় কিন্ত রেহান বাড়ি আসে না রিহার একটু মন খারাপ হলো

রিহা : মামনি আসবো ?
মাইশা চৌধুরী : আরে আয় তোর আবার অনুমতি লাগে

রিহা গিয়ে ওর মামনির পাশে বসলো
মাইসা চৌধুরী : কিহলো মন খারাপ ?
রিহা : না
মাইশা চৌধুরী: আমি বুঝি রেহান তো অনেক দিন পর এখানে আসছে তাই ওর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে চলে আসবে চিন্তা করিস না
রিহা : না এমনি

ওদের কথার মাঝে অন্তরা আসে
অন্তরা : রিহা বাইরে যাবে ? চলো ঘুরে আসি
মাইশা চৌধুরী : যা মা ভালো লাগবে
রিহা : আচ্ছা

রিহা আর অন্তরা রেডী হয়ে বাইরে বের হলো ।
অন্তরা : কোথায় যাবে ?
রিহা : আপু তুমি বলো ?
অন্তরা : চলো ফুসকা খেয়ে আসি

রিহার খুশি আর দেখে কে তবে রিহা বার বার রেহান কে ফোন দিচ্ছে কিন্ত রেহান ধরছে না ।

অন্তরা আর রিহা ফুসকা খেতে গেলে সেখানে অন্তরার কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা হয় । অন্তরা ওদের সাথে গল্প করছে রিহা পাশে দাড়িয়ে রেহান কে ফোন দিচ্ছে ।

হটাৎ দুটো ছেলে একটা মেয়েকে বাজে ভাবে টিচ করছে । কেউ দেখে ও দেখছে না যে যার কাজে ব্যাস্ত রিহা দেখে মেয়ে তার সামনে যায় ।

রিহা : কি বেপার ভাই কোনো কি সমস্যা ?
একটা ছেলে : আরে এ তো নতুন পাখি আগে তো কখনো দেখিনি তা সোনামনি আমাদের কাছে কি নিজে থেকে ধরা দিতে আসছ?
আরেকটা ছেলে : দেখিস না কি ফিগার মাইরি
আর কিছু বলার আগে ছেলেটার গালে ঠাস করে চর বসিয়ে দেয়। সবাই এখন রিহা আর ছেলেটার দিকে দেখছে

রিহা : দেখে তো ভদ্র ঘরের মনে হয় আর এসব করছিস কেন তোদের বাড়ি মা বোনদের ও কি এভাবে বলিস কি ফিগার মাইরি আচ্ছা তোদের মা বোন আছে তো
প্রথম ছেলেটা : ওই তোর সাহস কি করে হয় ওর গায়ে হাত তুলার জানিস তোর কি করতে পারি
রিহা : আরে রাখ তোর গুন্ডামি আমার সাহস বরাবরই বেশি তুই আমার কি করবি আজ আমি তোর এমন হাল করবো

অন্তরা সেখানে ছুটে চলে আসে

অন্তরা : রিহা কি করছো কি এসব ছেলেদের সাথে লাগতে যেও চলো বাসায় চলো
রিহা : আপু তুমি
দ্বিতীয় ছেলে : না বাসায় তোদের পাঠাবো তার আগে আমাদের একটু

আবার গালে চর । এবার ছেলেটা রেগে রিহার গায়ের ওরনা হাত দিতে গেলে রিহা হাত ধরে পিছনে মুড়িয়ে ধরে । আরেকটা ছেলে আসতে গেলে তার মেইন পয়েন্ট এ লাথি মারে ।

রিহা : আপু একটা লাঠি নিয়ে আসো তো ?
অন্তরা : রিহা কি করছো প্লিজ ছেরে দাও

রিহা সেই মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে মেয়েটা লাঠি এনে দেয়

রিহা : এতক্ষণ যখন সবাই চুপ করে ছিলেন এখন ও চুপ করে থাকবেন শুধু তামাসা দেখেন

কথাটা বলে রিহা ছেলে দুটোকে ইচ্ছা মত মারতে লাগলো

রিহা : তোদের সাথে প্রেম করার জন্য আমার আব্বু কেরাটে শিখায় নি কি ভেবেছিস কি মেঁয়েরা দূর্বল তোদের মত জানোয়ার দের ঠিক করতে এমন ও মেয়ে আছে। লজ্জা করে যে তোদের মত অমানুষ দের আমাদের মত নারী দুনিয়াতে আনছে যেই নারী তোদের দুনিয়াতে আনছে তাদের সম্মান করতে পারিস না তোর তো বেচে থাকা উচিৎ না (কথা গুলো বলছে আর মারছে )

রিহা হাফিয়ে গেলে সেই মেয়েটা লাঠি নিয়ে মারা শুরু করে

ছেলে দুটোর মধ্যে একটা একজনের পা জড়িয়ে ধরে রিহা পিছনে তাকিয়ে থেকে ছেলেটা রেহান এর পা জড়িয়ে ধরেছে

ছেলেটা : ভাই দেখেন আমাদের বিনা কারণে মারছে আমরা কিছু করিনি
রিহা : ওই বিনা কারণে

রিহাকে বলতে না দিয়ে রেহান ছেলেটাকে উঠিয়ে সেই মেয়েটার হাতের লাঠি নিয়ে ইচ্ছা মত মারতে থাকে ।

রিহা তো শকড ।অন্তরা এক পাশে দাড়িয়ে আছে । অন্তরা এমনিতেই শান্তশিষ্ট মেয়ে কোনো ঝামেলা ওর পছন্দ না ভার্সিটিতে যেত কিন্ত মাস্ক পড়ে । আমাদের রিহা তো তার উল্টো প্রতিবাদ করা ওর অভ্যাস গাংস্টার এর wife তো তাই ।

রেহান এই দিক দিয়ে যাচ্ছিল অনেক ভির থেকে ও আর ওর বন্ধুরা গাড়ি থেকে নেমে রিহার সব কথায় শুনে । রেহান এর তো মাথায় আগুন ধরে যায় ।

রেহান পাগলের মত মেরেই যাচ্ছে রেহান এর বন্ধুরা পারছে না শেষে রিহা রেহান এর হাত থেকে লাঠি কেরে নেয়।

রেহান একটা রাগী লুক দেয়

রিহা : শান্ত হন এভাবে কেউ মারে
রেহান : তুমি লাঠি দাও

রিহা কিছু না বলে পানি এনে রেহান এর মাথায় ঢেলে দেয়

রেহান : what the
এটা কি ফাজলামি করার সময়
রিহা : আমি কি ফাজলামি করছি আমি আপনার মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য পানি দিয়েছি এখন এই পানি টুকু খান

রেহান তাকিয়ে আছে । রিহা জোর করে রেহানকে পানি খাইয়ে দেয়।

রিহা : এখন মাথা ঠান্ডা হইছে ?

রেহান কিছু না বলে ছেলে দুটোর কাছে যায়

রেহান : তোদের কি আমি এই জন্য এখানে রাখছি যাতে মেয়েদের বিরক্ত করতে পারিস তোরা নিজেদের এলাকার মেয়েদের সাথে এমন করছিস তাহলে বাইরে কি করবি তোদের এখানে রাখা রইছে যাতে কারোর কোনো সমস্যা না হয় আর তোরা

একটা ছেলে রেহান এর পা জড়িয়ে ধরে

ছেলেটা : ভাই মাপ করে দেন আর কখনো এমন হবে না আমরা বুঝতে পারিনি
রেহান : কি বুঝতে পারিস নি পাওয়ার দিছি বলে যা খুশি তাই করবি এটা যদি তোর মা বোনদের সাথে হতো তাহলে তখন কি করটি আজ তুই অন্যের মা বোন কে বাজে কথা বলছিস কাল তোর সাথে হলে সহ্য করতে পারবি না

ছেলে দুটো চুপ
রেহান : কি হলো জবাব দে (চিৎকার করে)
ছেলে দুটো : ভাই ভুল হয়ে গেছে আর কখনো করবো না মাপ চাইছি ভাবি মাপ করে দেন (রিহার দিকে তাকিয়ে)
রেহান : কি বললি ভাবি একটু আগে কি বলছিলি বল (ধমক দিয়ে)
নিরব : রেহান আমরা দেখছি তুই বাসায় যা রিহা আছে যা (রেহান এর কানে কানে )
রেহান : ওদের ভালো করে বুঝিয়ে দে

কথাটা বলে রেহান রিহা আর অন্তরার হাত ধরে গাড়িতে উঠে

গাড়ি স্টার্ট দেয় । গাড়িতে কেউ কারোর সাথে কোনো কথা বলেনি অন্তরা তো এই প্রথম এমন কিছু চোখের সামনে দেখলো বেচারি অনেক সকড এ আছে ।

বাসায় আসলে রেহান নেমে যায় রিহা আর অন্তরা ও নেমে ভিতরে যায় ।

রিহা খুব ভালো ভাবে বুঝতে পরছে রেহান কতটা রেগে আছে । রেহান রেগে উপরে যেতে চাইলে কেউ ওকে জড়িয়ে ধরে রেহান ভালো করে দেখে নিজেকে শান্ত করে।

এদিকে রিহা ভিতরে এসে অবাক +খুশি

চলবে

(আজ এক্সাম ছিল তাই কি লিখছি কিছু মনে করেন না ১সপ্তাহ প্রাইভেট না গিয়ে আজ এক্সাম দিতে গিয়ে ৩০এর মধ্যে ২৬পাইছি নায়েস 😕 স্যার তো আজ আমার ১৪গুষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে কাল আবার এক্সাম বুঝি না ছোটো ভুলের জন্য ৪কেউ কাটে যাই হোক কাল দেরি হবে গল্প দিতে । কেমন হইছে জানাবেন আমি কিন্ত কোনো ছেলেকে ছোটো করে লিখিনি

হ্যাপী রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here