গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৯

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_১৯
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

৩,৪বার বমি করে বিছানায় এসে গা এলিয়ে দেয়।

রিহা : ওহ আল্লাহ আমায় উঠিয়ে নাও এমন খাটাস জামাই কেনো দিকে আর কি কোনো জামাই ছিল না

রেহান : না গো বউ ছিল না

রিহা তাকিয়ে দেখে রেহান দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে। রেহান খাওয়া শেষ করে এসে দেখে রিহা বকবক করে যাচ্ছে।

রিহা উঠে রেহান এর কলার ধরে

রেহান : কি এবার কিস করবে নাকি ?
রিহা : চুপ লজ্জা করে না একটা অবলা মেয়েকে একা পেয়ে এমন অত্যাচার করতে অসভ্য লোক
রেহান : তারপর
রিহা : wait দেখাচ্ছি

বলে রিহা বাইরে গেলো
রেহান : কই যাও

রিহা কিছু না বলে বাইরে যায় । রেহান ফ্রেশ হয়ে আয়নায় মুখ মুছে তখনই রিহা ধাক্কা মেরে রেহানকে খাটে ফেলে নিজে রেহান এর উপর উঠে

রিহা : কি ভেবেছিলেন আমি ছেরে দেবো কিছুতেই না এবার দেখেন কতো ধানে কত চাল

কথাটা বলে রিহা রেহান এর মুখে কিছু পুরে দেয় । রেহান কিছু বলতে পারছে না রিহা রেহান এর গাল চেপে ধরেছে

একটুপর রেহান ঝালে যায়যায় অবস্থা রিহা এখন ও রেহান এর উপর বসে মুখ চেপে ধরে আছে ।রেহান রিহা কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বলে।

রেহান : এটা তুমি কি খাওয়ালে ?
রিহা : কেনো মরিচ

কথাটা বলে রিহা পানির জগ থেকে সব পানি ফেলে দেয় সাথে দরজা লক করে দেয়।

রিহা : এবার বুঝবেন আমার কেমন লাগছিল
রেহান :রিহা আমাকে পানি দাও এতো ঝাল আমি কখনো খাইনি
রিহা : এতো খাবার আমিও খাইনি

রিহা রান্না ঘরে কি একটু তেতুল খায় কারণ রিহা সন্ধ্যা বেলায় চটপটি খেয়েছিলো তার উপর আবার রেহান জোর করে খাইয়েছে তাই রিহার বমি হইছে । রান্না ঘরে গিয়ে একটু তেতুল খেয়ে মরিচ নিয়ে রেহান এর মুখে পুরে দেয়।

রেহান এর মুখ লাল হয়ে গেছে রেহান কিছু না বলে বের হতে গেলে রিহা আটকায়

রেহান : রিহা আমকে যেতে দাও

রিহা কিছু না বলে রেহান হাত ধরে টেনে এনে টেবিলের তল থেকে পানির বোতল বের করে রেহান এর হাতে দেয়। রেহান ঢকঢক করে সব পানি খেয়ে ফেলে ।

রিহা : এবার থেকে আমার সাথে লাগার আগে এই ঝালের কথা মনে রাখবেন (ভাব নিয়ে)

রেহান রিহা হাত ধরে টেনে বিছানায় শুয়ে দেয়।

রেহান : আমাকে তো শাস্তি দিকে এখন তোমার কি হবে (দুষ্টু হেসে)
রিহা : আমার আবার কি হবে ছাড়ুন উফফ আপনি কি ভারী
রেহান : সহ্য করে নাও এখন থেকে এসব সহ্য করতে হবে।
রিহা : পারবো না আপনি শরুন ত যতসব
রেহান : খুব কষ্ট হইছিলো তাই না ?
রিহা : মানে
রেহান : আমি দেখছিলাম তুমি বমি করছিলে ?
রিহা : হইছে নিজে কষ্ট দিয়ে আবার নিজেই
রেহান : হুম তোমাকে কষ্ট আমি দেবো আবার ভালো আমি বাসবো (জড়িয়ে ধরে)
রিহা : উফফ কি করছেন সোরুন
রেহান : আচ্ছা তুমি এত সর সরো কেনো করো ?
রিহা : ভালো লাগে তাই (রেহান কে ধাক্কা দিয়ে)

রেহান সরে যায়

রিহা : অনেক রাত হইছে ঘুমান গিয়ে
রেহান : আজ তুমি ঘুম পাড়িয়ে দাও
রিহা : আপনি কি ছোটো বাচ্চা
রেহান : না তোমার বাচ্চার আব্বু ।

রিহা বুঝে যায় এর সাথে কথা বলে পারা যাবে না তাই বালিশ নিয়ে শুয়ে পড়ে কিন্ত রেহান কি ঘুমাতে দেবে ।রিহাকে টান দিয়ে উঠিয়ে রিহার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পরে

রিহা : আরে কি হচ্ছে ?
রেহান : ভালোবাসা একটু মাথা টিপে দাও না
রিহা : আহারে কত সখ
রেহান : অনেক সখ তোমাকে নিয়ে রো ছাদে যাবে
রিহা : এখন
রেহান : হুম চলো (রিহার হাত ধরে)
রিহা : আরে মাথা খারাপ হইছে এতো রাতে কেউ ছাদে যায়
রেহান : আমরা যাই চলো

কথাটা বলে রিহাকে কোলে তুলে নিলো।

রিহা : আচ্ছা ঠিক আছে যাবো কিন্ত আমাকে নামান।
রেহান : no মিসেস wife
রিহা : আল্লাহ এর মাথা যে কবে ঠিক হবে
রেহান : প্রাণ খুলে ভালোবাসো তাহলে হবে (শিরি দিয়ে উঠতে উঠতে )
রিহা : বয়ে গেছে

রেহান রিহা না নামিয়ে ছাদের কিনারে রেলিং এর উপর বসিয়ে দেয়

রিহা : আরে পরে যাবো তো
রেহান : আমি আছি কি করতে (কোমর জড়িয়ে )

রিহা রেহান এর গলা জড়িয়ে ধরে । রেহান হাত দিয়ে চাদের দিকে ইশারা করে

রেহান : দেখো ওই চাদ কত বড়ো দেখাচ্ছে যানো ওই চাদ যখন একা দেখবে তখন নিজেকে একটা মনে করবে আর যখন ভালোবাসার মানুষ এর সাথে দেখবে তখন চাদ তাকে আরো সুন্দর দেখাবে ঠিক তোমার মত ।
রিহা : রেহান
রেহান : হুম
রিহা : না কিছু না
রেহান : বলে ফেলো নাহলে পরে পাবে না কত মেয়ের ক্রাশ আমি (ভাব নিয়ে)

রিহা রেহান এর চুল টেনে ধরে
রেহান : আহহ লাগছে
রিহা : লাগার জন্যই ত ধরেছি
রেহান : আমাকে কষ্ট দিতে তোমার ভালো লাগে?
রিহা : কষ্ট তো আপনি আমাকে দেন
রেহান : ওকে তাহলে ভালোবেসে দিচ্ছি

কথাটা বলে রেহান রিহার মুখ ধরে কপালে গালে ভালোবাসা দেয়।

রেহান : আর লাগবে ?
রিহা : সরেন তো
রেহান : আচ্ছা ঠিক আছে চলো নিচে যাই
রিহা : এখনই (মন খারাপ করে)
রেহান : অনেক রাত হইছে (করুন কণ্ঠে)
রিহা : আর একটু থাকি

রেহান বুঝতে পারছে রিহা এই মুহুর্ত তাকে হারাতে চায় না কিন্ত রেহান কি করবে

রেহান : আর একটু আসবো

রিহা কিছু বলে না রেহান রিহার মাইন্ড ফ্রেশ করতে বলে

রেহান : কালকে ঘুরতে নিয়ে যাবো
রিহা : সত্যি
রেহান : হুম এখন চলো
রিহা : আচ্ছা

রেহান রিহার হাত ধরে নিচে নেমে আসে দুইজনে বিছানায় শুয়ে পড়ে। রেহান রিহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।

একটু পর রিহা ঘুমিয়ে পড়ে রেহান রিহার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ।

কিছুক্ষণ পর দরজায় নক পরে। রেহান উঠে দরজা খুলে দেখে অনি দাড়িয়ে আছে

অনি : ঘুমিয়েছে ?
রেহান : হুম একটু আগে ঘুমালো
অনি : ১২:৩০ বাজে
রেহান : হুম চল

রেহান রিহার কপালে ভলোবাসা দিয়ে দরজা লাগিয়ে অনির সাথে গাড়িতে উঠে

রেহান : সব কাগজ রেডী ?
অনি : হুম সব রেডী
রেহান : কিন্ত ওদের দলের কাউকে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না কখন কি করে
অনি : #গ্যাংস্টার_রেহান কি ভয় পাচ্ছে ?
রেহান : আমাদের লাইফ ভয় বলতে কিছু নেই । তবে রিহার জন্য খুব কষ্ট হয় যদি রিহাকে আর দেখতে না পায়
অনি : কিছু হবে
রেহান : i wish

কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি একটা বাংলোর সামনে এসে দাড়ালো । অনি আর রেহান গাড়ি থেকে নেমে বাংলোর ভিতরে ঢুকে

রেহান : যা করতে হবে ভেবে আমার একটা ইশারায় যেনো সব রেডী থাকে
অনি : হুম

অনি আর রেহান ভিতরে যেতে গেলে অনি কে যেতে দেয় না রেহান কিছু না বলে একাই যায়

হিমেল : ওয়েলকাম মিস্টার রেহান চৌধুরী

রেহান একটা মেকি হাসি দিয়ে হিমেল সাহ এর সাথে হাত মেলায়

হিমেল : আসতে কোনো সমস্যা হইনি তো
রেহান : আমি একটা আর আপনি এত লোক নিয়ে that’s not fare
হিমেল : হিমেল সাহ এর সাথে কন্ত্রাক করতে হলে তো একটু অন্য রকম হবেই সো শুরু করা যাক
রেহান : sure

২ জনের মধ্যে কথা বার্তা চলছে অনি কিছুই শুনতে পাচ্ছে না অনি শুধু রেহান এর অপেক্ষায় আছে ।

কন্ট্রাক শেষ রেহান চেক লিখে হিমেল সাহ হাতে দিল ।হিমেল সাহ সেটা দেখে

হিমেল :সো মিস্টার রেহান এখন আমার আপনাকে লাগবে না

রেহান কিছু বুঝে উঠার আগেই রেহান এর মাথায় গান রাখে

রেহান : এটা ঠিক না
হিমেল : কি ঠিক না শুনেন নি জিবন বাঁচানোর জন্য সব ফরয তাই এটাই ত জিবন বাঁচানো । একে সুট কর বাকিদের মত

রেহান কে যেই সুট করতে যাবে রেহান বলে।

রেহান : wait মিস্টার হিমেল লাস্ট কথা
হিমেল : এই দাড়াও ফাঁসি দেবার আগে শেষ ইচ্ছা শুনতে হয় আর আমি অতটা পাষাণ না বলো মিস্টার রেহান
রেহান : আমি যদি আর ৫মিনিট এর মধ্যে বাসায় না যাই তাহলে আমার সাথে সাথে তোমরা ও মারা যাবে
হিমেল : what do u mean?
রেহান: i mean

কথাটা বলে রেহান নিজের শার্ট খুলে ফেললো

সবাই পিছিয়ে গেলো

রেহান : কিহলো ভয় পেলে এতো সহজে এখন যদি আমি যেতে না পারি তো আমার সাথে সাথে তোমরা ও মরবে

হিমেল : না না তুমি যাও এই কেউ আটকাবে না । নাহলে এখনই বম ফেটে যাবে
রেহান : ওকে

কথাটা বলে রেহান একটা বাকা হেসে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ।

অনি বাইরে দাড়িয়ে ছিলো

অনি : কি বেপার কাজ হইছে ?

রেহান কিছু না বলে নিজের শার্ট খুলে বাংলোর ভিতরে মারে ।হিমেল আর ওর লোকগুলো এটা দেখে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে ।

তখনই রেহান ওর কলার ধরে বাইরে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছা মত মারে সাথে অনি ও ।হিমেল এর লোকগুলোকে রেহান এর লোক ধরে রাখে

অনি : এখন আর একে মারা যাবে ওকে ফোন কর
রেহান : হুম

রেহান কাকে একটা ফোন করলো কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে আসলো । রেহান আর অনি আড়ালে থেকে রিমোট চাপ দিতেই হিমেল এর বাড়ি পুরা ছাই ।

গাড়িতে
অনি : একটা কাটা তো শেষ
রেহান : এমন আরও কত আছে
এখন তাড়াতাড়ি বাসায় চল রিহা উঠে গেলে প্রবলেম ।
অনি : হুম

ভোর ৪ টায়

রেহান রিহার ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে । যেই মুখের জন্য রেহান সব করতে পারে ।রেহান মুচকি হেসে রিহাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরলো

বেশিক্ষণ আর ঘুমাতে পারলো না রিহা উঠে রেহান এর ঘুমের ১২টা বাজাতে লাগলো । রিহা ফুল স্প্রিড গান ছেরে নাচছে

রেহান : রিহা প্লিজ সাউন্ড কমাও (ঘুম কণ্ঠে)
রিহা : আরে আপনি এখনো ঘুমাচ্ছে। উঠুন একটা খুশির খবর আছে
রেহান : কিসের খুশির খবর আমি তো কিছু করিনি খুশির খবর আসলো কোথা থেকে

রিহা বুঝতে পারেনি কিছুক্ষণ বুঝার পর রেহান কে বালিশ দিয়ে মারতে লাগলো । রেহান এর ঘুম চান্দে

রেহান : কি শুরু করলে ?
রিহা : আমি কি করলাম আপনি ওসব কি বলছেন
রেহান : ঠিকই তো বলেছি (কোমর ধরে)
রিহা : তাই না

বলে আবার বালিশ দিয়ে মারতে লাগলো

চলবে
)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here