গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৩৬

গ্যাংস্টার_লাভ পার্ট_৩৬
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

রিহা তো ক্ষেপে যায়।

রিহা : মামনি মিথ্যে কথা আমাকে ওই সব উল্টা পাল্টা নামে ডাকছে
রেহান : কি বলছি বলো ত
মাইশা চৌধুরী : হা রিহা বল ত কি বলছে
রিহা :মামনি আমাকে পাটকাঠি পাটকাঠি বলে ডাকছে ।

মাইশা চৌধুরী রেহান এর দিকে রাগী লুকে তাকায়।
রেহান : আচ্ছা আম্মু বলো ত যার যা নাম তাকে তো সেই নামে ডাকবো তাই না
রিহা : মামনি দেখ

মাইশা চৌধুরী রেহান এর কান মুলে দেয়।

মাইশা চৌধুরী : আর ডাকবি আমার মেয়েকে ওসব নামে
রেহান : আহহ আম্মু লাগছে
মাইশা চৌধুরী : লাগার জন্য তো ধরেছি
রিহা : মামনি এতে হবে না লাঠি নিয়ে আসছি মারো
রেহান : রিহার বাচ্চা
রিহা : আমার এখন ও বাচ্চা হয়নি হলে বলবান তখন তাকে রিহার বাচ্চা বলে ডেকো
মাইশা চৌধুরী : ওই কান ধর বল আর কখনো বলবি না
রেহান : তুমি কি আমার আম্মু
মাইশা চৌধুরী : না তোকে তো রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম আমি রিহার মা

রিহা মাইশা চৌধুরী কে জড়িয়ে ধরে ।
রিহা : হুম আমি তো নিয়ে আসছিলাম
রেহান : তুমি আমাকে না আমি তোমাকে নিয়ে আসছি
রিহা : হ্ন বললেই হলো
মাইশা চৌধুরী : ঐই তোকে না কান ধরতে বলছি
রেহান : আম্মু
মাইশা চৌধুরী : রিহা তুই একে দেখ আমি ওই দিকটায় আছি কিছু বললে আমায় বলবি
রিহা : ওকে

মাইশা চৌধুরী চলে যেতেই রিহা বলে

রিহা : কিহলো কান ধরবেন নাকি মামনি কে ডাকবো
রেহান : ডাকো আমি কি ভয় পাই (ভাব নিয়ে)
রিহা : ওকে মা

আর কিছু বলার আগেই রেহান মুখ চেপে ধরে।

রেহান: এত দুষ্ট কেনো তুমি আমি কি বলছি ধরবো না মজা করছিলাম জান
রিহা : ওসব বলে লাভ নেই কান ধরেন
রেহান : বলছি কি অন্য কিছু দিলে হবে না
রিহা : কি(ভ্রু কুচকে)
রেহান :😘
রিহা : দূরে সরেন আমাকে ওসব বলার আগেই মনে ছিল না
রেহান : ঠিক আছে তাহলে আমি অন্তরা

শেষ করার আগেই রিহা রেহান এর ঠোঁট দখল করে নেয়। রেহান ও রিহার কোমর জড়িয়ে ধরে।

বেশকিছুক্ষণ পর দুইজন দুইজনকে ছেড়ে দেয়। রিহা মাথা নিচু করে আছে

রেহান : ইসস কবে যে তোমার লজ্জা আমি ভাঙ্গতে পারবো

রিহা কিছু না বলে দৌড়ে যায়। রেহান বাকা হাসে। রিহা দৌড়াতে গিয়ে কারোর সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়

অন্তরা : দেখে চলতে পারো না এই ভাবে ছুটে আসছিলে কেনো কোমর আমার শেষ
রিহা : আপনি যখন দেখলেন আমি ছুটে আসছি তখন তো সরে গেলে পারেন টা না সব সময় আমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন
অন্তরা : বাধা আমি না তুমি
রিহা : বাড়িটা আমার স্বামীর মানে আমার তো কে বাধা বুঝা যাচ্ছে

কথাটা বলে রিহা উঠে চলে যায়। অন্তরা ওখানে বসে ফুসছে

অন্তরা : পিপীলিকার পাখা উড়ে মরিবার তরে তোমার সময় শেষ রিহা যত খুশি উড়ে নাও (ভিলেনি স্মাইল দিয়ে)

সারা সকাল রিহা আর ঘর থেকে বের হয়নি । দুপুরে রিহা গোসল করে এসে দেখে রেহান ল্যাপটপে কি করছে

রিহা কিছু না বলে আয়নায় বসে চুল ঠিক করছে । রেহান তো ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে ।

রিহা চুল মুছে রেহান এর পাশে বসতেই দেখে ল্যাপটপে এই বাড়ির সব কিছু দেখা যাচ্ছে

রিহা : রেহান এসব কি ?(ভ্রু কুচকে)

রেহান এর তো কোনো হুস নেই সে গভীর মনোযোগ দিয়ে সব দেখছে । রিহা রেহান এর রেসপন্স না পেয়ে কাধে হাত দিতেই রেহান ওর দিকে তাকায়

রেহান : কিছু বললে
রিহা : এসব এর মানে কি আপনি এসব

রেহান রিহার গালে হাত দিয়ে বলে

রেহান : দেখ রিহা এমন অনেক কিছু আছে যা তুমি জানো না বা আমরা জানিনা না

চোখে দেখা অনেক সময় সত্য হয় না । লোখচক্ষুর আড়ালে এমন অনেক সত্য থাকে যেই সত্য আমাদের জীবনটা পুরাই পাল্টে দিতে পারে ।

রিহা : আপনি এসব কি বলছেন ?
রেহান : সময় হলে জানতে পারবে তবে তোমাকে খুব সাবধানে থাকতে হবে যাকে আপন ভাবছো সে কখন তোমার ক্ষতি করবে তুমি নিজের ও বুঝতে পারবে না
রিহা : রেহান কি আমার মত অন্তরা কে সন্দেহ করছে (মনে মনে)
রেহান : শুধু অন্তরা না আরো অনেকে আছে তোমাকে সাবধানে থাকতে হবে বুঝছো
রিহা : হুম

তখনই দরজায় টোকা পরে ।

রিহা : আপনি বসুন আমি দেখছি

রিহা দরজা খুলতেই দেখে রাইসা খান মিষ্টি মুখে দাড়িয়ে আছে

রিহা : এত মিষ্টি মুখে কেনো আবার কি ঝামেলা করবে (মনে মনে) আসুন ভিতরে আসুন

রাইসা খান কে দেখে রেহান ল্যাপটপ রেখে দেয়।

রেহান : খালা মনি কিছু বলবে

রাইসা : হা রে একটু দরকার ছিল

রেহান একটা ব্যাগ নিয়ে রিহা কে বলে

রেহান : রিহা এই ব্যাগ টা আলমারিতে রেখে দাও এখানে অনেক টাকা আছে
রিহা : অনেক ভারী তো এত টাকা বাসায় রাখা কি সেফ হবে

রাইসা খান : কেনো হবে না বাসায় তো সব নিজেদের লোক

রিহা :😒
রেহান : যাও রেখে দাও

রিহা আলমারিতে রেখে দেয়।

রেহান : খালামণি কি বলছিলে যেনো
রাইসা খান : খেতে আসবি না চল
রেহান : হা তুমি যাও আমরা আসছি

রাইসা খান যেতেই রেহান ডেভিল স্মাইল দেয়। রিহা ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে

রেহান : মাথায় ওতো চাপ দিতে হবে না চাপ নেওয়ার জন্য আপনার এই বর আছে
রিহা : ওলে বাবা লে (গাল টেনে)
রেহান : তো যাওয়া যাক মিসেস পাটকাঠি
রিহা : আবার
রেহান : সরি (কান ধরে)

রিহা হেসে দেয়।

বিকালে রেহান সবার জন্য ফুসকা নিয়ে আসে । ছাদে বসে সবাই ফুসকা খাচ্ছে । রিহা আর রুশ তো পাল্লাপল্লি দিয়ে খাচ্ছে ।

রেহান আর অনির্বাণ এক সাইডে কি নিয়ে কথা বলছে । রিহা ওদের কাছে যেতেই দুইজন চুপ

রিহা : কি কথা হচ্ছিল
রেহান : কিছু না

রিহা কিছু না বলে রেহান এর মুখে ফুসকা ঢুকিয়ে দেয় । রেহান তো কথা ও বলতে পারছে না

রিহা : কিছু বলতে হবে না খান

রেহান অনেক কষ্ট খেয়ে বলে

রেহান : রিহা তুমি জানো আমার এসব ভালো লাগে না
রিহা : তাই কি আমার তো ভালো লাগে আর আপনাকে খেতেই হবে

(আমি বুঝি না ছেলদের ফুসকা তে এত কিসের সমস্যা )

রিহা আর একটু মুখে দিয়ে দৌড়।

সবাই বসে গল্প করছে রেহান ছাদের রেলিং ধরে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে । রিহা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলে । রেহান কিছু না বলে ফ্লাইং কিস দেয়।রিহা মুচকি হাসে

ওদের এই সব খুনসুটি কেউ না দেখলে ও অন্তরা ঠিক দেখছে

অন্তরা : যত পারো হেসে নাও আর বেশি সময় নেই (মনে মনে)

রাত ১২তার কাছাকাছি

রেহান এর ফোনে হটাৎ বেজে উঠলো। রিহাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল হটাৎ ফোনে বজায় অনেক বিরক্তি নিয়ে ফোনে ধরে ।

ওপাশ থেকে কি একটা শুনে রেহান রিহাকে নিজের থেকে সরিয়ে নেয় । উঠে বারান্দায় যায়

একটু পর বারান্দা থেকে এসে তাড়াতাড়ি চেঞ্জ করে নেয়। রিহার কপালে ভালোবাসা দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।

কিছুক্ষণ এর মধ্যে চলে আসে। এদিক সেদিক না তাকিয়ে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দেখে রেহান এর বডিগার্ড জন আর রেহান এর লোক দুইটা ছেলেকে ধরে আছে ।

রেহান : কিছু শিখার করছে ?
জন : বলেছে স্যার

রেহান হকিস্টিক নিয়ে মারতে লাগে আর বলছে

রেহান : আমার সব সুখ কেনো কেড়ে নিয়েছিস আমার আব্বুকে কেনো মারছিস বল

ইচ্ছা মত মেরে শেষে হাফিয়ে গান বের করে

রেহান : তোদের আর বাচিয়ে কোনো লাভ নেই

রেহান কে খুব হিংস্র লাগছে যে কেউ দেখে ভয় পেয়ে যাবে । রেহান আজ নিজের মধ্যে নেই ।

রেহান গান দিয়ে সুট করতে একটা চিৎকার ভেসে আসলো। রেহান সামনে তাকিয়ে ওর বুক ধুক করে উঠলো সামনে যে রেহান এর প্রাণ দাড়িয়ে আছে

রিহা চিৎকার দিয়ে তাকিয়ে আছে । রেহান গান ফেলে রিহার দিকে তাকিয়ে আছে রেহান এর মনে ভয় কাজ করছে রিহা কি ওকে ভুল বুঝবে না কি ওর পরিস্থিতি বুঝবে । রেহান আর কিছু ভাবতে পারছে না ওর পা অবশ হয়ে আসছে । যেই ভয় টা রেহান এর মনে ছিল সেটাই হচ্ছে কি হবে রেহান কি করবে । রিহাকে ছাড়া তো রেহান বাঁচতে পারবে না

রেহান : রিহা (অপুস্থুত সুরে)

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here