জীবন সাথী💜 পর্ব-৮

0
1207

#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৮.
~
রিহানের কেবিনের বাইরে একটা সিটে বসে আছে অনু আর তিহা।ভেতরে রিহানের ড্রেসিং চলছে;অনু এসব কাটা ছেড়া সহ্য করতে পারে না তাই সে তিহাকে নিয়ে বাইরেই বসে আছে।শুধু বসে আছে বললে ভুল হবে;সে বসে বসে তিহাকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছে।তিহা অনুর পাশেই মাথা নিচু করে বসে আছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার ভীষণ মন খারাপ।কিন্তু তিহার মন খারাপের কারণটা অনু ধরতে পারছে না;তাই সে তিহার কাঁধে হাত রেখে বলে,
”কি হয়েছে দোস্ত?তখন থেকে দেখছি এইরকম মন খারাপ করে বসে আছিস!আর তোর চোখ মুখ গুলোও এমন ফোলা ফোলা কেন লাগছে?কি হয়েছে?আন্টি আংকেল কিছু বলেছে?”

অনুর প্রশ্নে তিহা মাথা তুলে তার দিকে তাকিয়ে হালকা হাসার চেষ্টা করে বলে ,
”না তেমন কিছু হয়নি।আর আজ একটু বেশি ঘুমিয়েছি তো তাই চোখ মুখ একটু ফুলে আছে।”

তিহার কথা শুনে অনু তার ব্রু যুগল কুঞ্চিত করে তিহার দিকে তাকালো;অনুর এমন চাহনিতে তিহা ভালোই বুঝতে পারছে যে অনু তার কথা বিশ্বাস করেনি।তিহা হালকা হেসে বলে ,
”কিরে তোর বিলিভ হচ্ছে না!সত্যি আমার কিছু হয়নি;আমি একদম ঠিক আছি।”

অনুর ব্রু এখনো কুঁচকানো;তিহার কথায় অনু বিরক্ত হয়ে বলে ,
”দেখ তিহা আমি জানি তুই খুব চাপা স্বভাবের মেয়ে;বোম মারলেও তোর পেট থেকে সহজে কথা বের করা যায় না।আর এটাও জানি এখন আমার তোর পেট থেকে গুতিয়ে গুতিয়ে কথা বের করতে হবে;বাট বিশ্বাস কর দোস্ত আমার না এখন একদম এই গুতা গুতির মুড নাই।সো প্লিজ তুই আমাকে সবটা without গুতা গুতি বলে দে।”
.
অনুর কথায় তিহা কিছু না আবার বলে মাথা নিচু করে ফেলে।তিহা বুঝতে পারছে না যে অনুকে সবটা কি করে বলবে।সব কিছু জানার পর অনু কি রিঅ্যাকশন দিবে সেটা নিয়েও চিন্তিত সে;কিন্তু না বলেও যে থাকতে পারছে না!এই মুহূর্তে ভীষণ দুটানাই পরে গেছে সে।
.
অনু খেয়াল করছে তিহা বসে বসে তার দু হাত মুচড়া মুচড়ি করছে আর ব্রু কুঁচকে কি যেন ভাবছে।তিহার হাব ভাবে অনু বেশ বুঝতে পারছে তিহা তাকে কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারছে না।অনু কিছু আন্দাজ করতে পেরে তিহার হাত দুটো তার হাতের মধ্যে নিয়ে বলে ,
”দোস্ত তুই কি কোনোভাবে কারো প্রেমে ট্রেমে পড়েছিস?”

অনুর প্রশ্নে তিহা হকচকিয়ে তার দিকে তাকায়;তারপর ছোট্ট একটা ঢোক গিলে উপর নিচ মাথা নাড়ায়;তার মানে তিহা সত্যিই কারো প্রেমে পড়েছে।তিহার হ্যাঁ সূচক জবাব দেখে অনু তো পুরো হ্যাং মেরে তিহার দিকে তাকিয়ে আছে।
.
তিহাকে খুব ভালো করে চেনে অনু।খুব চুপচাপ আর শান্ত স্বভাবের মেয়ে তিহা।ভালোভাবে আজ পর্যন্ত কোনো ছেলের সাথে কথাই বলেনি সেই মেয়ে আজ কারো প্রেমে পড়েছে ভাবতেই অবাক হয় অনু।তবে খুশিও হয় ভীষণ;অনু আর রুমি সবসময় চাইতো তিহা যেন তার এই গুরুগম্ভীরপনা কাটিয়ে একটা প্রেমে পড়ে;কিন্তু তিহা বরাবরই এসব কিছুকে ইগনোর করে এসেছে।আজ তাই এই কথা শুনে অনু খুশিতে ৩২পাটি দাঁত কেলিয়ে বলে ,
”তা সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিটা কে শুনি যে তোমার মতো এমন একজন মহান নারীর ভালোবাসা পেতে যাচ্ছে?”
.
অনুর প্রশ্নে তিহার মুখটা আবার ও চুপসে যায়।সে কি করে বলবে যে সেই মানুষটা আর কেউ না সে হলো রিহান।রিহানকেই যে তিহা ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছে।কখন কিভাবে তার প্রেমে পড়ে গিয়েছে সেটা তার নিজেরও জানা নেয়।কিন্তু তিহার মনে প্রচন্ড ভয় ঘিরে ধরেছে;রিহান তো অনুকে ভালোবাসে সেকি কখনো তিহাকে মেনে নিবে?কখনো কি অনুকে ভুলে তিহাকে গ্রহণ করবে?মনে হাজারো ভাবনা উকি দিচ্ছে তার.
.
হঠাৎ অনুর ধাক্কায় তিহা ভাবনা জগৎ থেকে ফিরে আসে।তিহা কিছু বলছে না দেখে অনু বিরক্ত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে ,
”কিরে কিছু বলছিস না কেন?কে সে আমাদের ভার্সিটির কেউ নাকি তোর রিলেটিভের মধ্যে কেউ?বল না কে সে”

তিহা কিছুক্ষন চুপ থেকে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ,
”রি,,রিহানন!”

রিহানের নাম শুনে অনু থমকে যায়।অনু বুঝতে পারছে না তার এখন কি রিঅ্যাকশন দেয়া উচিত!সে খুশি হবে নাকি অবাক হবে সেটাই বুঝতে পারছে না।অনু বড় বড় চোখ করে তিহার দিকে তাকিয়ে বলে,
”রিহান?তুই রিহানকে ভালোবাসিস?”

তিহা আবারো ভয়ে ভয়ে উপর নিচ মাথা নাড়ায়।তা দেখে অনু দু হাত দিয়ে মুখ চেপে বলে,
”কি!!সিরিয়াসলি তুই রিহানকে লাভ করিস আমি তো ভাবতেই পারছি না।এই কথা আমাদের আগে কেন বলিসনি?”

তিহা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে ,
”রিহান তো তোকে লাভ করে।”

অনু দাঁত কেলিয়ে তিহার দু কাঁধ ঝাকিয়ে বলে ,
”আরে দোস্ত রিহান কাকে লাভ করে সেটা বড় ব্যাপার না;বড় ব্যাপার হলো তুই রিহানকে লাভ করিস কিনা!আর এখানে সব চেয়ে বড় কথা হলো আমি তো আর রিহানকে লাভ করি না সো নো টেনশন তুই শুধু দেখে যা আমি আর রুমি কিভাবে তোদের মধ্যে সেটিং করিয়ে দেই।”

অনুর কথা শুনে তিহা খুশিতে অনুকে জড়িয়ে ধরে বলে
”সত্যি দোস্ত?”

”হুম সত্যি”
.
তারপর অনু কিছু একটা ভেবে তিহাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে তার দিকে ব্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে ,
”এই জন্যই কাল থেকে তোর মন খারাপ।আর চোখ মুখের এই অবস্থা তুই কান্না করে করেছিস তাই না ?”

তিহা কিছু বলার আগেই অনু মুখে হাত দিয়ে অবাক হয়ে বলে
”আল্লাহ আমি তো ভাবতেই পারছি না আমাদের এই নিরামিষ বান্ধবী কবে এতটা আমিষ হয়ে গেলো যে সে তার প্রেমিক পুরুষের জন্য কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে!ভাবা যায়?😱”

অনুর কথা শুনে তিহা অনুর হাতে চড় মেরে বলে,
”এই জন্যই না তোদের মতো হারামীদের কিছু বলতে চাই না।ঠিকি সব কথা গুতিয়ে গুতিয়ে পেট থেকে বের করে নিস আর তারপর শুরু হয় এই কথা নিয়ে টিচ করা।”

অনু দু হাত ঘষে বাঁকা হাসি দিয়ে বলে ,
”বাছাধন তোমাকে জ্বালানোর অনেক বড় এক উপায় পেয়ে গেছি।আগে রুমিটা আসুক তারপর দেখোই না টিচ কাকে বলে কত প্রকার কি কি সব বুঝে যাবে।”
.
কথাটা বলেই অনু হু হা করে হেসে দেয়।আর তিহা অসহায়ের মতো তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে এদের কাছে কিছু বলা আর বিনা দোষে ফাঁসিতে চড়া একি।
.
বিছানার এক কোনে চুপটি করে বসে আছে অনুর বাবা পারভেজ আহমেদ।বেশ শান্ত আর গম্ভীর তার দৃষ্টি।অনুর মা রাহেলা বেগমও তখন থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকে দেখে যাচ্ছেন।এবার বেশ বিরক্ত হচ্ছেন উনি।তাও চুপচাপ তার স্বামীর দিকেই তাকিয়ে আছেন এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে এটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তার এটাতেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে তাকে।পারভেজ সাহেব বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে হঠাৎ ওলে উঠে,
”রাহু অনু কোথায়?”

রাহেলা বেগম কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায় তারপর অবাক দৃষ্টিতে পারভেজ সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলে
”কি বললে তুমি?”

পারভেজ সাহেব রাহেলার বেগমের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলে ,
”কেন শুনোনি রাহু বলেছি।এতো অবাক হওয়ার কি আছে তোমাকে তো আমি এই নামেই ডাকি।”

পারভেজ সাহেবের কথায় রাহেলা বেগম মাথা নিচু করে অভিমানী সুরে বলেন ,
”তা তো ডাকতেই বিয়ের পর পর আদর করে আমাকে রাহু বলে ডাকতে।কিন্তু যখন অনু হলো তখন থেকে তো আর আমাকে এই নামে ডাকইনি।সব সময় শুধু অনুর মা অনুর মা ডেকেছো।”

পারভেজ সাহেব তার বউয়ের এই বাচ্চা বাচ্চা অভিমান গুলো দেখে মুচকি হেসে তাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বলেন,
”আচ্ছা তাই বুঝি এজন্য আমার বউটার খুব অভিমান হয়েছে বুঝি?”

রাহেলা বেগম শাড়ির এক পাশ ধরে সেটা আঙুলে প্যাচাতে প্যাচাতে বলে ,
”হুম হয়েছেই তো।এখন তো বয়স বেড়েছে বুড়ি হয়ে গিয়েছি তাইতো ভালোবাসাও কমে গেছে তাই না!”

রাহেলা বেগমের কথা শুনে তিনি তার মাথায় আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
”ভালোবাসার কোনো বয়স হয়না রাহু।আমি তোমাকে আগেও যতটা ভালোবাসতাম এখনো ততটাই ভালোবাসি।বয়সের বাড়ার সাথে সাথে ভালোবাসা কমছে না বৈকি বাড়ছে।”

রাহেলা বেগম লজ্জায় মুখ ঢেকে বলে ,
”আচ্ছা হয়েছে আর লজ্জা দিও নাতো!”

পারভেজ সাহেব ও মুচকি হাসলো।তারপর আবার রাহেলা বেগমকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই কেউ কলিং বেল চাপে।রাহেলা বেগম সোজা হয়ে বসে বলে ,
”ঐ অনু এলো বোধ হয়।দাড়াও আমি দরজা খুলে দিয়ে আসি।”

রাহেলা বেগম দরজা খুলে দরজার বাইরে কিছু লোকজনকে দেখে জিজ্ঞেস করে ,
”কারা আপনারা?”

দরজার বাইরে থাকা মানুষ গুলো রাহেলা বেগমের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে সোজা তাদের রুমের ভেতর ঢুকে পরে।পারভেজ সাহেব এত গুলো ছেলেকে একসাথে দেখে ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে ,
”কারা তোমরা?”

কিন্তু ছেলে গুলো এখনো কোনো উত্তর না দিয়ে পারভেজ সাহেবের মুখে একটা রুমাল চেপে ধরে তাকে সেন্সলেস করে দেয়।তারপর তাকে দুজন ধরে রুম থেকে বের করছিলো।স্বামীর এমন অবস্থা দেখে রাহেলা বেগম চিৎকার করে উঠে বলে,
”এই তোমরা আমার স্বামীকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ।ছাড় ওকে ছাড় বলছি ।”
.
কথাটা বলেই একটা ছেলের জেকেট ধরে টানছিলেন তিনি।তখনি ছেলেটা নিজেকে ছাড়ানোর জন্য রাহেলা বেগমকে ধাক্কা মারে।আর ওই ছেলের ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে সোফার হাতলের সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে উনি সেখানেই সেন্সলেস হয়ে যায়।ওই ছেলে গুলোও ততক্ষনে পারভেজ সাহেবকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পরে।
.
বিকেলের দিকে বাসায় ফেরে অনু।বাসার মেইন দরজাটা এভাবে খা হয়ে খুলে থাকতে দেখে বেশ অবাক হয় সে।সে ধীর পায়ে বাসার ভেতর প্রবেশ করে।তারপর একবার মা বলে ডাক দেয়;কোনো জবাব না পাওয়ায় অনু তার মায়ের রুমে প্রবেশ করে।মায়ের রুমে গিয়ে দেখে তার মা সেন্সলেস হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।এই দৃশ্য দেখা মাত্রই সে ‘মাআআআ’ বলে চিৎকার করে উঠে।অনু দৌড়ে তার মায়ের কাছে গিয়ে মায়ের মাথাটা তুলে নিজের কোলের উপর রেখে চিৎকার করে মা মা বলে ডাকতে থাকে।কিন্তু অনুর মা কোনো সাড়া দিচ্ছে না।অনু ভীষণ ঘাবড়ে যায়;ভয়ে তার হাত পা কাঁপছে;কপাল বেয়ে ঘাম পড়ছে।বার বার ভাবছে তার মায়ের কিছু হয়ে গেলো না তো।নিজেকে শক্ত করে অনু আস্তে আস্তে ধরে রাহেলা বেগমকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।তার পর এক গ্লাস পানি এনে তার চোখে মুখে পানির ছিটা দেয় কিন্তু তাতেও হুশ ফিরছে না দেখে রাহেলা বেগমের ব্রুর উপর অনু বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে জোরে চাপ দেয়।আর তার কিছুক্ষন বাদেই অনুর মা মিট মিট করে চোখ খুলে।চোখ খুলে অনুকে দেখে তিনি ধরফরিয়ে উঠে বসে চিৎকার করে বলতে শুরু করেন ,
”অনু ওরা তোর বাবাকে নিয়ে গেছে অনু।ওরা তোর বাবাকে তুলে নিয়ে গেছে।তোর বাবাকে বাঁচা অনু তোর বাবাকে বাঁচা।”

অনু তার মাকে জড়িয়ে ধরে বলে ,
”কারা মা?কারা এসেছিলো আমাদের বাসায়?তোমারই বা কি হয়েছিলো?”

অনুর মা অনুর কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধু এক কথায় বলে যাচ্ছে যে তোর বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে তোর বাবাকে বাঁচা।অনু ভেবেছে অন্য দিন গুলোর মতো আজও তার মা পাগলামি করছে।তাই সে মাকে ঘুম পাড়ানোর জন্য একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়।ডাক্তার বলেছিলো যখনি উনি উত্তিজিত হবেন তখনি যেন ঘুমের ইঞ্জেকশনটা দিয়ে দেয় নয়তো আবার উনার মাইন্ড সিনট্রোম অ্যাটাক হবে।অনুর বাবা যখন হারিয়ে যায় তখনি সেই প্রেসার সহ্য করতে না পেরে অনুর মা মাইন্ড স্ট্রোক করে তারপর থেকেই তিনি এতটা অসুস্থ।ডাক্তার উনাকে ফুললি বেড রেস্টে থাকতে বলেছে আর বলেছে আর যেন উনি এভাবে উত্তিজিত না হয় না হলে পরেরবার উনার ব্রেন স্ট্রোক ও হতে পারে।সেই ভয়ে সবসময় আড়ষ্ট থাকে অনু।তাই রাত দিন সে তার মায়ের পাশে পাশে থাকে আর তিনি যেটুকু বুঝেন অনুও তাকে সেটুকু বুঝিয়ে বলে যে তার বাবা বাজারে গিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি তিনি বাজার থেকে ফিরে আসবেন।অনুর মাও অনুর কথা মেনে নিতো।এত দিন তো ভালোই যাচ্ছিলো কিন্তু আজ হঠাৎ কি হলো যে মা আবার আগের মতো উত্তিজিত হয়ে উঠলেন?আর বাবাকে কেউ ধরে নিয়ে গিয়েছে এই কথায় বা কেন বলছেন উনি?অনু মনে মনে এসব ভাবছে আর তার মার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।অথচ সে জানেও না তার বাবা তাদের মাঝে ফিরে এসেও আবার হারিয়ে গিয়েছে।

চলবে..
(আল্লাহকে ভয় করো.পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here