তুই আমার অন্যরকম নেশা ২ পর্ব ১৩

0
1890

💞#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ 🌼
#সিজন-২
#পর্ব-১৩
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
অয়নঃ তা কি বলবি বল
অনিকঃ আসলে পাপা কীভাবে যে বলি
অয়নঃ আহা এতো ভনিতা না করে বল কী হয়েছে?
অনিকঃ আসলে মেঘা কলকাতায় যাই নি ও আমার কাছে
অয়নঃ ওয়াট তোর কাছে মানে কি?
অনিকঃ মানে আমি ওকে কিডন্যাপ করিয়েছি(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
অয়নঃ এইসব কি বলছিস? প্লিয আমাকে ক্লিয়ার করি বলবি তুই মেঘাকে কেন কিডন্যাপ বা করিছিস কেন?

অনিকঃ তাহলে তো তোমাকে ৫ বছর আগের থেকে সব খুলে বলতে হবে

অয়নঃ ৫ বছর আগের থেকে মানে?

অনিকঃ ড্যাড অনেক বড় সরযন্ত্র চলছে
অনেক বড় আমি তোমাকে সব খুলে বলছি।

অনিক অয়নকে ৫ বছরে
আগের সমস্ত ঘটনা খুলে বললো
সব শুনে অয়ন হতবাক মেয়েটা এতো
কস্ট সহ্য করে গিয়েছে তাই হয়তো তার এতো পরিবর্তন

অয়নঃ অনিক তুমি কি বুঝতে পারছো
তুমি কি করেছো? এইটুকু একটা মেয়ের
মনে কিসব বাজে বাজে কথা ঢুকিয়েছো
তুমি?তোমার কোনো ধারনা আছে? অনিক

অনিক মাথা নিচু করে চোখের জল
ফেলছে হ্যা সে ছেলে কিন্তু এইরকম পরিস্হিতে চোখের জল না ফেলে সে পারছেনা সে এখন জানে তার কাজে সে কতটা অনুতপ্ত।।
কিন্তু এই পাঁচ বছরে এমন দিনও যায়নি তার চোখের জলে তার বালিশ ভিজে যায়নি সেও অনেক কস্ট পেয়েছে
তারও তো বয়স খুব একটা বেশি ছিলো না সেসময় তাই সেই বয়সে সহজেই ভুল বুঝা টা সহজ

অনিককে চুপ থাকতে দেখে অয়ন ধমকের সুরে বলে উঠে

—কি হলো জবাব দিচ্ছো না ডেম ইট

অনিক মাথা নিচু করেই উত্তর দেয়–
আসলে ড্যাড আমি চাইনি মেঘাকে অবিশ্বাস করতে কিন্তু পরিস্হিতি এমন ভাবে আমার চোখের সামনে সবকিছু এক্সপ্লেন করেছিলো যে আমিও সেসময়
মাথা কাজ করছিলো না আর এতো ষরযন্ত্র আমি ধরতে পারিনি আর অই বয়স টা ও
তো

অনিক কে থামিয়ে অনিক বলে–
ব্যাস অনিক এইসব ফালতু এক্সকিউজ দেওয়া বাদ দাও ধরে নিলাম তোমার বয়স
কম ছিলো এতো বদবুদ্ধি তোমার ছিলোনা
পরিস্হিতিটায় এমন ছিলো
কিন্তু আমরা বড়রা তো ছিলাম তুমি আমাদের সাথে ঘটনা টা শেয়ার করে
পারতে নাহ তুমি সেইটা করলেনা
মেয়েটা কে যা তা বলে নিজেও রাগ করে
বিদেশে চলে গেলো।
এইসব কি ঠিক?। বলো অনিক?

অনিকঃ আসলে পাপা

অয়নঃ জানোতো সম্পর্কে সব থেকে বড়
খুটি টা কি? বিশ্বাস। যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই
সেই সম্পর্ক টায় মুল্যহীন আর তুমি বললে না
পরিস্হিতি এর থেকে খারাপ পরিস্হিতি তোমার মাম্মার আর আমার জীবনে এসেছিলো সে সময় তোমার মাম্মাকে অবিশ্বাস করতাম তাহলে হয়তো আজ আমরা এক হতাম না

অনিক অবাক দৃস্টিতে অয়নের দিকে তা্কিয়ে আছে

অয়ন সেইটা বুঝতে পেরে বললো
–এক্টা গল্প শুনবে?
অনিকঃ হুম
অয়ন মুঁচকি হেঁসে
এক দেশে এক রাজকুমারী ছিলো আর ছিলো এক রাজকুমার তারা একে অপরকে
খুব ভালোবাসতো সেই রাজকুমার আর রাজকুমারীর এক শত্রু ছিলো ঠিক শত্রু ছিলো না কিছু খারাপ লোকেরা তাকে রাজকুমারী আর রাজকুমারের নামে ভুল বুঝিয়েছিলো তাই সে না বুঝেই রাজকুমার আর রাজকুমারীকে আলাদা করতে চাইলো তাও সে রাজকুমারীকে ভয় দেখিয়েছিলো রাজকুমারী যদি তাকে বিয়ে না করে আর রাজকুমারকে না বলে সে রাজকুমারকে না সেই শত্রকে ভালোবাসে তাহলে সেই শত্রুতা রাজকুমারকে মেরে ফেলবে আর রাজকুমারীও ভয় পেয়ে গিয়েছিলো সে রাজকুমার অনেক ভালোবাসতো তাই রাজকুমারী রাজকুমার কে বলেছিলো সে রাজকুমারকে না অন্যকাউকে ভালোবাসে আর তাকে বিয়ে৷ করতে চাই। রাজকুমার কথাটা বিশ্বাস করেনি কেননা সে জানে তার রাজকুমারী তাকে কত ভালোবাসে তাই সে সব যাচাই বাচাই করেছিলো আর বিয়ের দিন রাজকুমারীকে কিডন্যাপ করে বিয়ে করে নেয় আজ তারা রাজা রানী আর তাদের দুই রাজকুমার আর রাজকুমারী নিয়ে সুখে বসবাস করছে

অনিক বুঝতে পারে অয়ন তাদের প্রেম কাহিনী বলছিলো অনিকের চোখ ভরে আসে

অনিকঃ তুমি ঠিক বলেছো আমারও উচিৎ ছিলো সব যাচাই বাচাই করা বাট বিশ্বাস করো ড্যাড আমিও ভালো ছিলাম না এতোদিন অনেল কস্ট নিজের মধ্যে চেপে রেখেছি

অয়নঃ এখন তোকে এমন কাজ করতে হবে যাতে মেঘার সব অভিমান গলে যায়

অনিকঃ কি কাজ ড্যাড

অয়নঃ বলছি

দরজার অপাশ থেকে রিমি সব শুনে ফেলে
তার চোখ ছলছল করে উঠে
অয়ন তাকে এতোটা বিশ্বাস করে আর সে অয়নকে দিনের পর দিন মিথ্যে বলে যাচ্ছে
কিন্তু রিমির বা কি করার সেই জানে তার
মধ্যে কি ঝড় চলছে আচ্ছা অয়ন সত্তিটা জানলে তাকে ভুল বুঝবে আর ভাবতে পারছে না তার চিৎকার দিয়ে কান্না আসছে

🌸🌸🌸🌸🌸🌸—- In hospital

রিমিঃ কি অবস্হা ডক্টর পেশেন্ট এর?

ডক্টরঃ আসলে ম্যাম পেশেন্ট এর অবস্হা আগের থেকেও খারাপ হচ্ছে?

রিমিঃ ওয়াট? আর ইউ কিডিং?
এতো বছর ধরে একটা পেশেন্ট এর কিসব ট্রিটমেন্ট করছেন? আপনারা? এই আপনাদের ট্রিটমেন্ট?এতোগুলো টাকা আমি দেই যাতে আপ্নারা বেস্ট ট্রিটমেন্ট করতে পারেন এখন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে কেন? আন্সার মি ডেম ইট

ডক্টরঃ মিসেস চৌধুরী আপনি একটু শান্তু হোন আমরা সবস্ব চেস্টা করছি কিন্তু পেশেন্ট এর নিজেরেই বাঁচার ইচ্ছা না থাকলে আমরা কি করতে পারি?

রিমিঃ প্লিয এইসব এক্সকিউজ আমাকে দিবেন না বাঁচার ইচ্ছে নেই মানে টা কি?
উনার যদি কিচ্ছু হয় আপনারা এই হসপিটাল কিভাবে চালান আমিও দেখে নিবো

ডক্টর কে কিছু বলতে না দিয়ে গটগট করে কেবিন থেকে বের হয়ে যায় রিমি
আইসিউতে একবার চোখ বুলায় রিমি চোখ থেকে অনব্ররত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে

চলবে কি?
(আপনারা অনেকেই বলেছেন অনিকের আরো শাস্তি পাওয়ার উচিৎ তাদের বলছি অনিকের বয়সটা কম ছিলো সেসময় এতো ভেবেচিন্তে কাজ করা তার মাথায় আসেনি তাছাড়াও তার সামনে এমনভাবে সব কিছু এক্সপোজ করা হয়েছিলো যে সেসময় তার মাথা কাজ করেনি আর মেঘা যেমন এতোগুলো বছর কস্ট পেয়েছে অনিকও পেয়েছে কেননা সেও এতো বছর নিজের পরিবার থেকে দূরে ছিলো🙂🙂🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here