তুই আমার অন্যরকম নেশা ২ পর্ব ১২

0
1968

#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-১২
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
মেঘা উঠতে যাবে তখনি খেয়াল করলো
সে উঠতে পারছে সে এবার পড়েছে
সেই বিপাকে কি হবে এখন তার
কে তাকে বাঁচাবে সে অনিকের দিকে
তাঁকায় অনিকের মুখে শয়তানি হাঁসি পরক্ষনেই মেঘাকে অবাকের চরম সীমানায় পৌছে দিয়ে অনিক উঠে দাঁড়ালো
মেঘার মুখ তো অটোমেটিক হাঁ হয়ে গেলো
এইটা কি হলো এখন তো অনিকের উঠে
দাঁড়ানোর কথা না তার উঠে দাঁড়ানোর
কথা
অনিক গিয়ে মেঘার কানে ফিসফিস করে বলে–
কি গো জান নিজের জালে নিজেই ফেঁসে
গেলা??
আসলে কি জানো তো জান এই অনিক এতো
কাঁচা কাজ করেনা তুমি তো জানোইনা
ঘরের সব জায়গায় আমার সিসিটিভি
ক্যামেরা লাগানো
তোমার সব কাজের উপর আমার নজর থাকে।
তাই আমি তোমার চেয়ারের সাথে নিজের চেয়ার বদলে দিয়েছি
এই বলে অনিক মেঘার কানে কিস করে দেয়
মেঘা হাল্কা কেঁপে উঠে

অনিকঃ তা তুমি এখন থাকো জান
আর ভালোয় হয়েছে তুমি নিজেই নিজের
জালে ফেসেছো আমি যতক্ষন না আসছি
তুমি এইভাবে চেয়ারের সাথে
চিপকে থাকো ওকে নাহলে তুমি আবার
পালানোর চেস্টা করবে

মেঘাঃ এই না না প্লিয আমাকে এইভাবে চিপকিয়ে রেখে যাবেন না😭😭😭
আমি সত্যি
প্রমিস
করছি আমি পালাবো না

অনিকঃ তোমার অইসব ন্যাকা কান্না
করে কোনো লাভ নেই মাই লাভ
তুমি নিজে এইসব স্টুপিড আইডিয়া ইউস
না করলে তোমার এই অবস্হা হতোনা
সো বাই মাই সুইটহার্ট (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

মেঘা রাগে ফুঁসছে তার ইচ্ছা করছে
অনিক কে লবণ ছাড়া কাঁচা চিবাতে
ব্যাটা কি বজ্জাত কীভাবে নিজের চালে মেঘাকে ফাঁসিয়ে দিলো

অনিক বাইরে যেতে গিয়েও আবার ফিরে এসে গান গাইতে গাইতে বলে
–চিপকায়ে সাইয়্যা ফেবিকল সে
ফেবিকল সে
চিপক্যায়া সাইয়া ফেবিকল সে
মেরি ফোটো কো
থরি
মেরে মেঘারানিকো চিপকায়ে সাইয়্যা
ফেবিকল সে

এমনেতেও মেঘা সেই রেগে ছিলো।এই
গানে যেনো মেঘার শরীরে কাঁটা গায়ে নুনের
ছিটা দেওয়ার মতো লাগছে

মেঘা রাগে রি রি করতে বলে

—ইউ স্টুপিড

মেঘা অনিক কে মারতে যায়
কিন্তু বেঁচারি তো আটকে গেছে

আর অনিকের তো সেই হাঁসি

মেঘাঃ আমার হাঁসি দেখে বেশ মজা পাচ্ছেন
তাই না?
😡😡😡🤬

অনিকঃ ইয়াপ বেইবি অনেক পাচ্ছি
তা তুমি চিপকে থাকো তোমার আদরের চেয়ারের সাথে আমি যাইইইইইইইইই
আবার মন খারাপ করো না বেইবি আমি
তাড়াতাড়ি চলে আসবো😁

মেঘাঃ আরেএ বেটা কই যাস তোর
লেইগে কে মন খারাপ করবো? তুই আমারে ছুটাইয়া তারপর যাহ
আমি এভাবে কেম্নে থাকুম?
ব্যাটা খাটাশ লুচু একটা তোর
কপালে বউ জুটবো না

মেঘা ভ্যা ভ্যা করে কান্না করে দেয়😭😭

🌸🌸🌸—-

অনেকক্ষন যাবত রিমির ফোন বেঁজেই
যাচ্ছে কিন্তু রিমির ধরার কোনো নাম-ই
নেই
অয়ন ঘরে ঢুকে দেখে রিমির ফোন বেজেই
যাচ্ছে কিন্তু রিমি ধরবে কীভাবে
ও তো এখন সাওয়ার নিচ্ছে
তাই অয়ন-ই ফোনটা রিসিভ করতে যায়
অয়ন ফোনটা হাঁতে নিয়ে অবাক হয় কেননা
এইটা একটা হসপিটালের নাম্বার

অয়নঃ হসপিটালের নাম্বার? হসপিটাল থেকে
রিমিকে কেন ফোন করছে
স্টেঞ্জ?

অয়ন ফোনটা রিসিভ করবে তার আগেই
কেউ ফোনটা কেঁড়ে নেয়
অয়ন পিছনে ঘুরে দেখে রিমি

অয়নঃ তুই ফোনটা এইভাবে কেঁড়ে নিলি
কেন?

রিমি জোড়পুর্বক হাঁসি দিয়ে বলে—
আসলে তুমি ফোন দিয়ে কী করবা
আমার ফোন তাই আমিই রিসিভ।ক
করলাম

অয়নঃ কিন্তু তোকে কে হসপিটাল থেকে ফোন করবে?

রিমিঃ আসলে হয়েছে টা কি অই যে বিভিন্ন
হসপিটাল থেকে ইন্সুরেন্স এর জন্য কল
দিয়-ই আমাকে
অই টাইপ এর
আর তুমি আমাকে এতো পুলিশের মতো জেরা করছো কেন শুনি?

অয়নঃ কিহ আমি পুলিশের মতো জেরা করি?

রিমিঃ তা নয়তো কি?
রিমি তুই কোথায় গিয়েছিলি?
তোর ফোনে কেন হসপিটাল থেকে
ফোন আসে এইসব প্রশ্ন করছো
এইগুলোকে কি জেরা বলে
বাই এনি চান্স তুমি কি আমাকে সংদেহ করছো?

অয়নঃ ওয়াট কি বলছিস তুই? আমি তোকে সংদেহ করি?
আমি তো জাস্ট আচ্ছা যা আমি কিচ্ছু জিজ্ঞাসা করবোনা

অয়ন মুখ ফুলিয়ে ফেলে
রিমি যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো যাক ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়া গেছে এখন রাগ ভান্গাতে হবে

রিমি গিয়ে অয়নের গাল টেনে বলে
—ওরেএ আমার বরটা দেখি রাগও করে
—হু খুব রাগ করেছি
রিমি মুঁচকি হেঁসে
অয়নের পায়ের উপর ভর করে দাঁড়ায়
–জানো তোমাকে রাগ করলে কত কিউট লাহে

—নাহ তা তো জানি না ম্যাডাম

–মনচায় তোমাকে খেয়ে ফেলি আচ্ছা তুমি বুড়া হও না কেন?

–এমা মেয়ের কথা শুনো মেয়েরা চায় তার স্বামী যেন হ্যান্ডসাম থাকে আর তুই আমাকে বুড়া হতে বলছিস?

–হু বলছিই তো জানো এখনো শাকচুন্নিরা তোমাকে গিলে খায় আমার এক্টুও ভালো লাগেনা

–তা আমার বউটা কি জেলাস

–/কিসের জেলাস আমি একটু রাগ করছি

–তার আমার বউ এর রাগ তো ভাংাতেই হয়

এই বলে অয়ন রিমির কোমর চেপে ধরে
রিমি মুঁচকি হাঁসে

অনিকঃ দুরর ড্যাড এর সাথে এখনি আমাকে একটা ইম্পোর্টেন্ট কথা বলতেই হবে
ড্যাড ই পারে আমাকে এখন হেল্প করতে

অনিক অয়নের ঘরে ঢুকেই এই দৃশ্য দেখে ফেলে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেলে

অনিকঃ সরি সরি আমি কিচ্ছু দেখে নাই

অনিক কে দেখে দুজনি দুজন কে ছেড়ে দেয়

রিমির তো সেই খারাপ অবস্হা

অয়নঃ তুই আর আসার সময় পেলি না

অনিকঃ সরি ড্যাড আমি কীভাবে বুঝবো
তোমরা দিনের বেলাও

অনিক কিছু বলবে তার আগেই রিমি অনিককে ধমক দিয়ে চুপ করায়

রিমিঃ একদম চুপ তুই অনেক পাঁকা হয়েছিস

অয়নঃ একদম

রিমিঃ তোরা কথা বল আমি আসছি

অনিক মুঁচকি হেঁসে বলে—

ওকে মম

🌸🌸🌸🌸🌸🌸—-

অয়রি বার বার কাব্যকে ফোন করে যাচ্ছে
কিন্তু ধরছেই না শেষমেষ ধরলো

কাব্যঃ হ্যালো কি হয়েছে বলো?

অয়রিঃ কাব্য আমি তোমাকে কতবার ফোন করছি তুমি ধরছোনা কেন?

কাব্যঃ দেখো আমারও কাজ আছে আমি বিজি আছি আর দেখো সারাদিন কাজ ছেড়ে তো
কথা বলতে পারবোনা

অয়রিঃ তোমার কি হয়েছে কাব্য? তুমি কি এভোয়েড করছো?

কাব্যঃউফফ অয়রি আমি তোমাকে কেন এভোয়েড করবো আমি সত্যিই বিজি বুঝেছেো আর এখন রাখো
প্লিয বাই

অয়রি কিছু বলবে তার আগেই কাব্য কট করে ফোন কেঁটে দেয়

অয়রি কান্নায় ভেন্গে পড়ে

অয়রিঃ কেন করছো ? এমন তুমি
?তুমি কি বুঝো না তোমার এই অবহেলা
সহ্য হয়না আমার

তখনি অয়রির ফোনে একটা ম্যাসেজ আসে

————-,🌸🌸
মেঘার কোমর এখন ব্যাথা করছে সে সকাল
থেকে সে বসে আছে মেঘার এখন কান্না
পাচ্ছে কি জন্য সে সুপার গ্লু লাগাতে গিয়েছিলো
আল্লাহই জানে
মেঘাঃ শয়তান সার্ভেন্ট গুলা আমারে একটু হেল্প ও করলো
অরেএএ আল্লাহরে আমার কোমর
আর কোমর নাই গো😭😭😭
আমার উপর কি না অত্যাচারটাই না
করতাছে শয়তানের গুস্টি গুলা আমার
উপর আল্লাহ রে
এইজন্য বলে।
ফান্দে পড়িয়া মেঘা কান্দে রে
(আমার এক পাঠক কমে্নট করে বলছিল তাই দিয়ে দিলাম🤪)
চলবে কি?
(আচ্ছা আমার পাঠকগন আপনারা জানেন অনেকে আমার গল্প চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয় তাই আপনাদের কাছে আমার অনুরোদ আমার গল্প কোথাও চুরি করতে দেখলে প্লিয প্রতিবাদ করবেন আপনার যদি প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকেন তাহলে ওরা চুরি করে যাবেই তখন আমি চাইলেও আটকাতে পারবো না ধন্যবাদ🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here