তুই আমার অন্যরকম নেশা ২ পর্ব ১১

0
1894

#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২
#সিজন-২
#পর্ব-১১
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]
মেঘা গাল ফুলিয়ে বসে আছে অসহ্য লাগছে
এই অনিকের বাচ্চাকে
কী ভেবেছে কি? ওই মিঃচৌধুরী
যখন ইচ্ছা ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দিবে
আবার যখন ইচ্ছা দূরে সরিয়ে দিবে
এই মেঘাদ্রিকে এতোটায় সস্তা? নাহ নাহ
কিছুতেই কিছু একটা করতেই হবে
আগেরবার পালাতে গিয়ে ধরা খেয়েছিলো
কিন্তু আজকে পালাতেই হবে

যেকোরেই হোক মেঘা মাথায় তখনি বুদ্ধি
চলে আসে
আচ্ছা এখন তো অই খাটাশ টা বাসায় নাই
দিনের বেলা বিপদ হওয়ার সম্ভবানাও নেই(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

সাম্নেই খোলা বারান্দা গার্ডরা এখন লাঞ্চে
এর থেকে পালানোর মক্ষম সুযোগ মেঘা

মেঘাঃ আর পাবেনা একবার খালি এইখানে থেকে বের হয় তারপর অই অনিক চৌধুরীর একদিন আমার একবছর
খালি দেখতে থাকো মেঘা কি জিনিস

মেঘা সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে
একটা মেয়ে সার্ভেন্টকে ডাক দিলো
নাম চিনি

মেঘাঃ এইযে শুনো

চিনিঃ জ্বী ম্যাম আপনার কাছে কিছু লাগবে?

মেঘাঃ জ্বী তোমার কাছে
কোনো শাড়ি আছে?

এইরকম প্রশ্নে

চিনিঃ মানে?

মেঘাঃ আরে ইয়ার তুমি কি কালা?

চিনিঃ সরি ম্যাডাম?

মেঘাঃ আরে ভাই তুমি দেখি কালা মানেও জানোনা কালা মানে হলো কানে কম শুনতে পাওয়া তুমি কি কানে কম শুনো🥴?

চিনিঃ নো মিস

মেঘাঃ তাহলে একটা প্রশ্ন করেছি সঠিকভাবে উত্তর দাও শাড়ি আছে?

চিনিঃ জ্বী

মেঘা ঃ তাহলে দাও

মেয়েটা একটা শাড়ি দিয়ে চলে গেলো
মেঘা হাঁসিমুখে নিজের রুমে চলে গেলো
এদিকে মেয়েটা কিছুই বুঝতে না পেরে
চলে গেলো–!

মেঘা বারান্দা রেলিং দিয়ে শাড়ি বাঁধছে
উদ্দেশ্য শাড়ি দিয়ে নীচে নেমে পালানো

মেঘা শাড়ি বাঁধছে আর বকবক করছে

–কী ভেবেছে কি অই মেয়েধরা খাটাশ টা?
আমাকে কিডন্যাপ করে রাখবে?
হুহ এই মেঘাদ্রি শিকদার কে কিডন্যাপ
করাকি এতো সহজ?

একবার খালি পালায় তারপর দেখামু মজা
শালা ইন্দুর শাকচুন্নির জামায় ধলা বান্দর

শাড়ি বাঁধা শেষ হলে–

এইবার আমি পালাবো তারপর অই খাটাশ টা
কি করে সবাই দেখবে😋

—কী করবে?

মেঘাঃ সবাইকে দিয়ে এমন ক্যালানি খাওয়াবোনা
অয়ন আংকেল আর রিমি আন্টিকে দিয়ে
অনেক বকা খাওয়াবো

—ওহ আচ্ছা তাই নাকি?

মেঘাঃ হুম বাট আপনি কে আপনার আওয়াজ এতো চেনা লাগছে কেন?

মেঘা পিছনে ঘুরে তাঁকায় আর ভয় পেয়ে
যায় কারণ ওর পিছনে
অনিক হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে আছে
চেহারায় রাগ স্পষ্ট
চোখগুলো ভীষন লাল
যেকেউ দেখলে ভয় পাবে
মেঘা যতই সাহস দেখাকে সে এখনো

অনিককে ভয় পায়

মেঘা শুকনো ঢুক গিলল—

অনিকঃ তো মিস মেঘাদ্রি তা কী বলছিলেন?

মেঘাঃ আসলে…

অনিকঃ আরে তোতলাচ্ছেন কেন
বাহ আপনার চেহারায় তো ভয় স্পষ্ট
মেঘাদ্রি শিকদারো কাউকে ভয় পায়
ওয়াও স্ট্রেঞ্জ

মেঘার ভয়টা আরো ভেড়ে যায় কেননা
অনিক শান্ত গলায় কথা বলছে তার মানে আজকে তার রক্ষা নেই

অনিক মেঘার দিকে এগোচ্ছে আর
মেঘা পিছাচ্ছে

অনিক নিজের কপাল স্লাইড করতে করতে বলে–

খুব শখ না পালানোর
প্রথমবার তাই ছেড়ে দিয়েছিলাম
কিন্তু আজকে দ্বিতীয়বার পালানোর চেস্টা
করি কাজটা একদম ঠিক করোনি
মিস মেঘা

মেঘা কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছেনা
মেঘা পিছাতে পিছাতে ওর পিঠ দেয়ালে
ঠেকে যায়

অনিকঃ তো কি যেন বলছিলাম
মিস মেঘা?

মেঘাঃ মানে অইযে আসলে অইযে

অনিকঃ জাস্ট শাট আপ ইউ
স্টুপিড
তোমার সাহস কী করে হয়?
পালানোর বুঝিস না বুঝিস না তুই
আমার থেকে তুই পালাতি পারবিনা
কেননা #তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা

মেঘা স্তব্ধ হয়ে যায় তার কানে একটা কথায় বাজতে থাকে

🌸🌸🌸🌸—–

অয়রি কাব্যকে বার বার ফোন দিচ্ছে
কিন্তু কাব্যের ফোন ধরছেই না
অয়রি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছে
আজকাল কাব্য একটু বেশিই ব্যাস্ত থাকে
ফোন ধরলেও বিজি আছি বলে কেটে দেয়
কিসের এতো ব্যাস্ততা ওর হ্যা?
কাব্য কি অয়রিকে এড়িয়ে চলছে
প্রচন্ড অভিমান হচ্ছে কাব্যের প্রতি
তার সাথে ভয়ও কাব্যকে হারানোর ভয়(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

🌺🌺——

অনিকঃ এখন শাস্তি পেতে হবে
মেঘা ভয়ে ঢুক গিলে বলে–

অনিকঃ বেশি কিছুনা আমার জন্য রান্না
করতে হবে

মেঘাঃ ওয়াট আর ইউ ম্যাড?
এই মেঘাদ্রি আপনার জন্য রান্না করবে?
আপনি ভাবলেন কীভাবে?

অনিকঃওকে তাহলে আমার রোমান্টিক
অত্যাচার সহ্য করো

এইবলে মেঘার গালে অনিক স্লাইড করতে থাকে

মেঘাকে আর পায়কে সে তো ভয়ে শেষ

মেঘাঃ করছি তো

অনিকঃ এইতো গুড গার্ল

মেঘা রান্না করছে আর অনিকের চৌদ্দগোসঠি উদ্ধার করছে

মেঘাঃ এই মেঘাদ্রিকে দিয়ে
রান্না করানো

তখনি মেঘার মাথায় দুস্টু বুদ্ধি চলে আসে

মেঘা ড্রাইনিং টেবিলে গিয়ে
অনিকের চেয়ারে সুপার গ্লো লাগিয়ে দেয়।।

মেঘাঃ হি হি হি এইবার বুঝাবা বাবু
এই মেঘা কি জিনিস

তখনি অনিক আসে

অনিকঃ বাহ ম্যাডাম দেখি ভালোয় রান্না করেছেন

মেঘা হাঁসিমুখে বলে–

জ্বী টেস্ট করে দেখেন

মেঘার এমন আচরনে
অনিকের অবাক হওয়ার
কথা হলেও
অনিক এক্টুও হয়না

সে মেঘাকে বলে

–মেঘা অই দিকে দেখ তো

মেঘা পিছনে ঘুরে দেখে কিছুই নেই

মেঘাঃ কি

অনিকঃসরি হয়তো ভুল
তুই বসছিস না কেন বস?

মেঘাঃ হুম

মেঘা হাঁসিমুখে বসে পড়ে

খাওয়া শুরু করে
মেঘা অপেক্ষা করছে কখন
অনিকের রিয়াকশন এর

খাওয়া শেষে—

মেঘা খেয়াল করলো
অনিক উঠতো যেয়েও পারছেনা

মেঘা ডেবিল স্মাইল দিয়ে বলল

–কি বাচ্চু উঠতে পারছোনা? বুঝি।তাহলে
বলি আপনি সুপার গ্লু ওয়ালা চেয়ারে বসে আছেন

আর এইযে মেয়েধরা খাটাশ আমি এখনি পালাবো তাও আপনার সামনে আর আপনি
কিচ্ছু করতে পারবেন না

অনিক বাঁকা হেঁসে বলে–
ওহ তাই?

মেঘাঃ হুম

মেঘা উঠতে যাবে তখনি খেয়াল করলো।
সে উঠতে পারছে না

চলবে কি?
(কালকের থেকে আমার এক্সাম শুরু তাই পড়াশুনা নিয়ে খুব বিজি তাই গল্প দিতে লেইট হচ্ছে তাই কেউ কিছু মনে করিয়েন না)
আজকের পর্ব কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু 🥀

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here