তোমার_নেশায়_নেশাক্ত_আমি bonus_part

তোমার_নেশায়_নেশাক্ত_আমি
bonus_part
#পিচ্চি_লেখিকা

আজ আরিয়ার আর আরুশের রিসেপশন,,২ জনেই সম্পর্ক টা কে একটা সুযোগ দিয়েছে কিন্তু আরুশের মনে অনেক প্রশ্ন আছে যার আন্সার সে খুজে খুজে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে,,,সব ভুলে সে আরিয়ার সাথে নতুন করে থাকবে ঠিক করেছে কিন্তু নিয়তি?সে কি থাকবে তাদের সাথে নাকি আবারও জিবনকে দেবে কোনো নতুন মোড়?আবারও আসবে কোনো রহস্য?

আরুশ মাথা নিচু করে বসে আছে আর রাসেল জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছে কিন্তু আরুশ চুপ করে থাকছে,,,যেদিন আরুশের গুলি লাগে তার পর থেকেই রাসেল অনেক জিজ্ঞেস করেছে আরুশকে কিন্তু আরুশ বার বারই কথা ঘুরিয়ে দেয়,,আজও আক্রমণ হয়ছিলো আরুশের উপর কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেচে যায় সে,,,সকাল সকাল আরুশ আর আরিয়া বের হয়ছিলো,,,দুজনেই হাটতে হাটতে একটা লেকেড় পাড়ে গিয়ে দাড়ায়,,,হঠাৎ করেই একটা গুলি এসে লাগে আরুশের পাশের গাছ টাতে,,,সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় গোলা গুলি,,,রাসেলও এসে যায়,,,গোলা গুলি থেকে সাবধানে আরুশ আর আরিয়াকে নিয়ে চলে আসে সেখান থেকে,,আরিয়া ভয়ে আরুশকে খামছে ধরে ছিলো অনেক কষ্টে আরুশ আরিয়াকে বুঝ দিয়ে ভয় কাটিয়েছে,,,আরুশ বার বার হিসাব মিলাতে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে,,,একটু ভাবতেই তার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে,,পার্টির রাতের সাথে আজকের কি কোনো মিল আছে?কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব তাই ভেবে পাচ্ছে না আরুশ,,,রাসেলের কোনো প্রশ্নের আন্সার না দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো,,,,

এদিকে সবাই প্রচুর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রিসেপশনের,,,সবাই অনেক খুশি সকাল বেলাই আইরা চলে এসেছে,,আরিয়ার মামা মামিও মেনে নিয়েছে সবটা,,আইরা আয়ান তানিয়া আরিয়া আর আরুশের কিছু কাজিন মিলে ছাদে আড্ডা দিতে বসেছে,,,আরুশের কাকা কাকি মামা মামি তাদের ছেলে মেয়ে সবাাই এসেছে,,আরুশ আরফানের বিয়ে সবাই মিস করলেও রিসেপশন কেউ মিস করছে না,,তাই সবাই এসেছে,,,শুভ্র আর তুলি আরুশের মামাতো ভাই বোন রাকিব আর রায়ানা কাকাতো ভাই বোন,,,সবাই অনেক ভালো কারো মাঝেই অহংকার জিনিসটা নেই,,,তবে আরিয়া বুঝতে পারছে না আরুশের কাকা কাকি কেন এখানে থাকে না হয়তো কোনো প্রবলেম আছে বাট সবাই অনেক ভালো এই ভেবে মন কে শান্তনা দিয়ে চুপটি করে বসে রইলো,,,আজকে সবার কাজ আরিয়া কে জালানো,,আড্ডার মাঝেই তুলি বলে উঠলো,,,

“”” দেখো ভাবি আরুশ ভাইয়া সবার ক্রাশ কিন্তু শেষমেশ বউটা হইলে তুমি,,,আহারে আমার ভাঙ্গা কপাল,,,আরুশ ভাইয়া যে কেন আমার প্রেমে পড়লো না,,,মনটা ভাঙি গেছে,,,

শুভ্র তুলির মাথায় চাপর মেড়ে বললো,,,

“””এই তোর লজ্জা লাগে না এতগুলো বড় ভাই বোন দের মধ্যে এসব বলছিস,,

“”” ধুর সরো তো কিসের লজ্জা,,,এখানে আয়ান আইরা এরা তো আমার ছোট নাকি,,

“”” আরে আমি তো ভুলেই গেছিলাম,,,

তুলি হাসি মুখ নিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে শুভ্র বলে উঠলো,,,

“”” তুই তো লজ্জা বিক্রি করে ফুসকা খায়ছিস তাই না,,

শুভ্র কথা শুনে সসবাই ফিক করে হেসে দিলো,,আর তুলি ন্যাকা ন্যাকা মুখ করে বললো,,,

“”” অ্য্যাাা ভাবি দেখো এই খারুশ ভাইটা আমাকে কিভাবে ইনসাল্ট করতেছে,,,

“”” ওই থামা তোর ন্যাকা কান্না,,,

“”” এই আয়ান শোন তোর ভাই তো বিয়ে করে নিলো তুই কিন্তু আমাকে ছেড়ে বিয়ে করবি না,,,

তুলির কথায় সবাই শব্দ করে হেসে দিলো আর আয়ান বেচারা তুলির কথা শুনে হা হয়ে গেছে,,,

আরিয়া হাসতে হাসতেই বললো,,,

“”” এহ বললেই হলো নাকি,,,আমি আমার দেবর কে যার তার কাছে দেবো নাকি,,,

তুলি চোখ মুখ ছোট করে ন্যাকা কান্না করে বলে,,

“” এহ ভাবি বলতে পারলে এরকম,,হায় মেরা দিল টুট গায়া,,,

তুলির কথা শুনে সবাই হেসে দিলো,,আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে যে যার রুমে চলে গেলো,,,সবাই সবার মতো রেডি হতে থাকলো,,,

সন্ধ্যা হয়ে আসছে গেস্টরা অলরেডি আসা শুরু করেছে,,আরিয়া মেরুন কালারের ওপর গোল্ডেন কাজ করা লেহেঙ্গা পড়েছে,,তার ওপর ছোট ছোট স্টোন বসানো,,আরিয়া আর আরুশ মেচিং করে ড্রেস পড়েছে,,,২ জনকে দেখে সবাই এক কথায় বলছে মেড ফর ইচ আদার,,,এই কয়টা দিনে আরিয়া আরুশের পাগলামি তে ভালোবেসে ফেলেছে,,,হুটহাট নিয়ে ঘুরতে যায়,,ওই আশ্রম টা তেও গেছে অনেকবার,,,আরিয়া নাা চাইতেও আরুশের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে,,আরিয়া আরুশের কথা ভাবছে এমন সময় দিশা এসে পড়ে,,,

“”” ওই মাই জানু,,,তোমারে এত চুন্দর লাগতাছে কেন?

“”” সর তো সব সময় এক কথায় বলতে থাকিস,,,

“”” তুই এত সুন্দর হয়ছিস কেন?আর দেখ তুই যেমন তেমন তোর বরও,,,আহা আহা মেড ফর ইচ আদার,,,

সব কিছু সুন্দর ভাবে কেটে গেলো,,আরিয়া রুমে গিয়ে রেস্ট নিচ্ছে এমন সময় তানিয়া আর তুলি এসে জোড়ে সোড়েই বলে উঠে,,,

“”” এই ভাবি তাড়াতাড়ি আসো,,,

আরিয়া ২ জনের এমন চিল্লানো তে লাফিয়ে উঠে বুকে থু থু করতে থাকে,,,

“”” ধুর ভাবি পরে ভয় পেয়ো তাড়াতাড়ি চলো,,,

তুলি আর তানিয়া এক প্রকার টানতে টানতে আরিয়াকে ছাদে নিয়ে গেলো,,সেখানে রায়ানা,দিশা আর আইরা দাড়িয়ে ছিলো,,,রাত হওয়ায় দিশাকে আর যেতে দেয়নি,,,এত রাতে ছাদে কেন তাই বুঝে উঠতে পারছে না আরিয়া,,সবাই কেমন মিটিমিটি হাসছে শুধু আইরা আর আরিয়ার মাথার ওপর দিয়ে সবটা যাচ্ছে,,,কিছু না বুঝে আরিয়া জিজ্ঞেস করে বসে,,

“””এই তোমরা কি পাগল হয়ে গেছো?এত রাতে ছাদে আনলে কেন?আবার কিছু না বলে মিটমিট করে হাসছো?

দিশা এগিয়ে এসে বলল,,,

“”” আরে আরু তোর ননদ গুলা পার্টি দিছে আজকে,,,

“””কিসের পার্টি?

দিশা কিছু বলতে যাবে তার আগে রায়ানা বলে উঠলো,,,

“”” আরে আমি বলছি,,,আজকে ভাইয়ারা সবাই তাদের ফ্রেন্ড নিয়ে পার্টি করবে,,ওদের ওইখান থেকেই জুস এনেছি সবাই মিলে খাবো হিহিহি,,

“”” আরে পাগল হয়ে গেলে নাকি,,,চুরি করেছো তোমরা?

“” আরে ভাবি চিল,,,জুসটা অনেক টেস্টি চাইলে তো জিবনেও দিতো না,,তাই আমরা চুরি করছি চুপ করে খাও তো,,

আরিয়া সবার জোড়াজুড়িতে খেলেও আইরাকে খেতে দেয়নি,,,এদের বিশ্বাস নাই কি যে খাওয়াবে তার নাই ঠিক,,,আইরা কে রুমে পাঠিয়ে সবাই আরো এক প্যাক খেয়ে নাচতে শুরু করলো,,,আরিয়া সব কিছু ২ টা করে দেখছে,,,

“”” এই তুলি তুমি তানিয়া আপু রায়ানা আপু ২ টা করে হয়ছো কেমনে?

“”” আরে ভাবি আমরা তো তোমাকে ৪ টা করে দেখছি হেহেহে,,,,

সবাই মাতালের মতো ঘুরতে থাকলো,,,হঠাৎ সবাই খেয়াল করলো,,,সামনে আরুশ শুভ্র রাকিব দাড়িয়ে আছে,,,ওদের এই অবস্থা দেখে শুভ্র আর রাকিব হাসতে হাসতে বসে পড়ে,,,আরিয়া তো সবাইকে ২ টা করে দেখছে,,,আরিয়াসহ সবার এই অবস্থা দেখে আরুশ ধমক দেয় আর সবাই মুখে হাত দিয়ে বসে পড়ে নিচে,,,

“”” আরিয়া রুমে চলো,,,

আরিয়া মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলে,,,

“”” না,,,রুমে যাবো না,,,

“” ড্রামা শেষ হয়নি তোমাদের?

“” ড্রামা তো শুরুই করিনি শেষ হবে কিভাবে,,,

আরিয়া তুলি রায়ানা আর দিশা পাগলের মতো ঘুরছে নাচছে গান গায়ছে,,নেশা যে চড়ে গেছে তা ভালো ভাবেই বোঝা যাচ্ছে,,,আরুশ শুভ্র আর রাকিব কে বললো বাকিদের রুমে নিয়ে যেতে আর সে আরিয়াকে নিয়ে যাবে,,,কিন্তু আরিয়া তো যাবেই না,,,এদিকে আরুশেরও নেশা হয়ে গেছে কিছুটা,,,তবে সে সেন্সে আছে কিন্তু আরিয়া যে পুরো পুরি মাতাল হয়ে গেছে তা সে ভালো ভাবেই বুঝছে,,,তাই আর দেরী না করে পাজাকোলা নিয়ে রুমের দিকে হাটা লাগালো,,,আরিয়া আরুশের কোলে আরমছে গলা জড়িয়ে পা দুলাচ্ছে হঠাৎ করেই আরিয়া আরুশের গালে টুপ করে চুমু দিয়ে দেয়,,আরুশ তো অবাক,,,

রুমে গিয়ে আরিয়াকে বেডে রেখে আরুশ উঠে আসতে গেলেই আরিয়া টেনে ধরে,,,

“”” কি হয়েছে?

“”” উহু কিছু না,,,আপনি অনেক পচা,,

আরুশ আরিয়ার সামনে বসতে বসতে বললো,,,

“”” কেন?আমি কি করছি?

“”” এই যে আমাকে ইগনোর করেন আর ওই লিজাকে পাত্তা দেন,,,আমি তো আপনার বউ,,নেশার ঘোরে কি সুন্দর করে বলেন বউজান আর যখন হুসে থাকেন তখন ভুল করেও বউ ডাকেন না,,,

আরুশ মুচকি হেসে বললো,,,

“”” তোমার নেশা হয়ে গেছে,,,ঘুমাও,,

“”” মোটেও না,,,আমি কি কিছু খেয়েছি নাকি যে আমার নেশা হবে,,আমি তো একটু জুস খেয়েছি,,,

“”” ওইটা জুস না,,,যায় হোক আসো ঘুমাও,,,

“”” না ঘুমাবো না একটু বউজান ডাকেন,,

“”” আরু ঘুমাও,,,

আরিয়া পা ছড়িয়ে ন্যাকা কান্না করে বলে,,,

“”” অ্য্যাা আপনি অনেক পচা একটুওও ভালো না,,এইটুকুও ভালোবাসেন না আমাকে,,(আঙ্গুল উচিয়ে)

আরুশ বুঝেছে ভালো কথায় কাজ হবে না তাই জোড় করে আরিয়া কে শুইয়ে দিয়ে নিজেও শুয়ে পড়লো,,,আরিয়া কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো,,আরিয়াও বাচ্চাদের মতো চুপটি করে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরলো আরুশকে,,,

____________________

সকালবেলা,,,

আড়মোড়া কাটিয়ে বিছানা থেকে নড়তেই মাথা চেপে ধরে আরিয়া,,,মাথা টা ভিষন ব্যাথা করছে কাল রাতের কথা মনে করতেই দাত দিয়ে আগে জিভ কাটে,,আশে পাশে তাকাতেই দেখে আরুশ নেই ওয়াশরুমের দরজা খোলা বারান্দায় এক নজর তাকিয়ে উঠে গিয়ে দেখে সেখানেও আরুশ নেই,,,লোকটা গেলো কই তাই ভেবে পাচ্ছে না আরিয়া,,,কোনো রকম ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে,,,নিচে ফুপি বসে আছে,,,আরিয়া মুচকি হেসে ফুপির পাশে বসে,,,এই কদিনে সবার সাথেই ভাব হয়ে গেছে আরিয়ার,,,ফুপি তাকে তুই সম্বোধন করে আর সে ফুপিকে তুমি বলে,,,

“”” গুড মর্নিং ফুপি,,,

“”” গুড মর্নিং,,,ঘুম কেমন হলো?

“””জি ভালো,,,

“”” কাল রাতে কি করেছিস তোরা?শুভ্র আর রাকিব হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলো একটু আগেও,,,

আরিয়া রাতের কথা মনে করতেই আবারো জিভ কেটে হেসে দেয়,,

“”” সব দোষ ওই তুলি আপুদের,,,

“”” কি করেছে?আর ওরা কই সব?

“”” আমি তো জানি না,,,মনে হয় সব গুলো ঘুমাচ্ছে,,,

“”” হতে পারে,,,তোকে কিছু বলার আছে আমার,,,

“”” হ্যা বলো,,,

আরুশের ফুপি আরিয়ার হাতে হাত রেখে বলে,,,

“””দেখ মা আরুশের জিবনটা একা কেটেছে সব সময়ই,,,আরুশ অনেক গম্ভীর হয়ে গেছে,,,আমরা জানি আরুশ তোকে জোড় করে বিয়ে করেছে কিন্তু সে শুধু তোকে নিজের কাছে রাখার জন্যই জোড় করেছে,,,যখন আরুশের বয়স ১৪ বছর তখন আরুশের বাবা মা আলাদা হয়ে যায়,,,আয়ানের বয়স তখন ৮ বছর,,,আরিফা(আরুশ+আয়ানের মা)একবারো ভাবে নি ২ সন্তানের কথা,,,ছেড়ে ছুড়ে চলে গেছিলো,,২ সন্তান কে রেখে আবারও বিবাহ বন্ধনে জড়ায়,,,তখন আরুশের বাবা আমাকে এই বাড়িতে আনে,,,২ ছেলেকে দেখে রাখার জন্য,,,আরুশ যখন কলেজ শেষে ভার্সিটিতে ভর্তি হবে তখন আরুশের বাবা কার এক্সিডেন্টে মারা যায়,,,তারপর থেকেই আরুশই আয়ানকে সামলেছে বিজনেসও সামলেছে,,তুই তো শুভ কে চিনিস তাই না?

“”” হুম চিনি,,,আর আমি যতটুকু জানি উনি আর শুভ একে অপরের শত্রু,,

আরুশের ফুপি মুচকি হেসে বললো,,,

“”” হুম হয়তো এখন শত্রু কিন্তু আরুশ আর শুভ কলেজ থেকে বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো,,,আরুশ সব হারিয়েও হাসি খুশি থেকেছে সব সময়,,,অনেক বেশি রাগ আরুশের কিন্তু তার বেশি ভাল ওর মন,,,২ বছর আগে কি হয়েছিলো আমরা কেউ জানি না,,,কিন্তু ২ বছর থেকে আরুশ আর শুভ আলাদা হয়ে গেছে,,,শুভ আরুশকে একদম সহ্য করতে পারে না,,,ওদের বন্ধুত্ব ওখানেই ইতি টেনেছে,,,,

২ বছর আগের কথা শুনেই আরিয়ার বুকের মধ্যে চাপা কষ্টটা আবার ফুটে উঠে,,,চিন চিন ব্যাথা অনুভব হয়,,,এখানে থাকলে নিজেকে কন্ট্রোল করা দায় তাই কোনো রকম ফুপিকে বুঝ দিয়ে উঠে রুমে চলে যায়…..

চলবে….

(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here