ত্রয়ী পর্ব ১০

0
1006

ত্রয়ী
মোর্শেদা হোসেন রুবি
১০||

-” কোথায় যাচ্ছিস? ” কঠিন কণ্ঠে বললেন নীলিমা।

-” বাইরে। তোয়াদের বাসায়। ” ততোধিক শান্ত কণ্ঠ সায়রার।

-” কোথাও যেতে পারবি না তুই। আজ থেকে তোর বাইরে বেরুনো বন্ধ। সোজা নিজের ঘরে যা ৷”
-” কেন ? ”

-” তোকে অত কৈফিয়ত দিতে আমি বাধ্য না। ঘর থেকে বেরুতে পারবি না তুই। ব্যস, কথা শেষ। ”

-” ঠিক আছে। বেরোবো না। তবে এবার বেরোতে পারলে আর কখনও বাড়ী ফিরব না আমি এই বলে দিলাম। ” বলে শান্ত মুখে নিজের ঘরে চলে গেল সায়রা।

নীলিমা ওর পিছু পিছু এলেন, ” কী বললি তুই?”

-” একবার তো শুনেছ। আবার জিজ্ঞেস করছো কেন ?”

-” আমাকে রাগাবি না বলে দিলাম, সায়রা। কতগুলো ছোটলোকের সাথে উঠাবসা করে এখন আমার সাথে তর্ক করা ধরেছিস।”

-” কাদের ছোটলোক বলছ ? ওরা তোমার মত বড়লোক না হলেও ছোটলোক না। ”

-” হুম, দেখেছি গতকালকে। আমার সব দেখা হয়ে গেছে। ”

-” দেখা হয়ে গিয়ে থাকলে তো ভালোই। এখন যাও, আমি রেস্ট করব। ”

-” তুই আমাকে এভাবে আর কতকাল জ্বালাবি বলবি ? ”

-” আজ থেকেই জ্বালানো বন্ধ করে দেব যদি আমাকে বাইরে যেতে দাও।”

-” বাইরে কোন চুলোয় যাবি শুনি ? ”

-” সত্য বলব না মিথ্যা ? ”

-” মিথ্যা কে শুনতে চাইছে তোর কাছে ? ”

-” তাহলে শোনো, আমি এখন সোজা তোয়াদের বাসায় যাব। সেখান থেকে আরমানের সাথে যোগাযোগ করব। তারপর…!”

-” আরমানের সাথে যোগাযোগ করবি মানে ? আরমানের সাথে তোর কী। ঐ ছেলের সাথে তোর কোন যোগাযোগ করা চলবে না। ঐ ফ্যামিলিতে আমি তোকে বিয়ে দেব না। ওর মা গতকাল রাতেও আমাকে একগাদা কথা শুনিয়েছে। যা -তা বলেছে ঐ মহিলা। শুধু তোর কারণে সেসব শুনে গেছি। কতবড় সাহস তার, আমাকে এভাবে বলে। ছোটলোক..!”

-” মা, সবাইকে এভাবে ছোটলোক বলা ছাড়ো তো। তোমার চোখে তুমি ছাড়া বাকি সবাই ছোটলোক। একসময় তুমি নিজেই ঐ ছোটলোক পরিবারে আত্মীয়তা করতে চেয়েছিলে। আজ হঠাৎ তারা তোমার চক্ষুশূল হয়ে গেল কেন বুঝলাম না।”

-” তোর অত বুঝে কাজ নেই। ওদের সাথে আমাদের আলোচনায় বনিবণা হয়নি। কাজেই আমি ওদের সাথে কোন আত্মীয়তা করার কথা ভাবছিনা। তাছাড়া ওরা তোর নামে বদনাম দিয়েছিল। তোর বয়ফ্রেন্ড নাকি ওদের হুমকি দিয়েছে । কত বড় মিথ্যে কথা। চিন্তা করতে পারিস ? ”

-” ওটা মোটেই মিথ্যে কথা না মা। এ ব্যপারে ওদের কোন দোষ নেই। আমি নিজেই তখন বিয়ে করব না বলে একজনকে দিয়ে আরমানকে ফোন করিয়েছিলাম যেন বিয়েটা ভেঙ্গে যায়। তবে সে আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল না।”

নীলিমা চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে রইলেন মেয়ের দিকে। ঠান্ডা স্বরে জানতে চাইলেন, ” সেই একজনটা কে শৃুনি ? ”

-” বললামই তো সে বয়ফ্রেন্ড ছিল না।”

-” তারপরেও নামটা শুনি। কার এত দায় পড়ল যে কোন কারণ ছাড়াই গায়ে পড়ে তোর বিয়ে ভেঙে দিল।”

-” এমন কেউ না। বাদ দাও তো..। যেটা বলতে চাই সেটা শোনো।” বলতে বলতে সায়রা বাথরুমের দরজার সামনে গিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
-” গতকাল সারাদিন আমি আরমানের সাথে ছিলাম। এ থেকে তোমার বোঝা উচিত যে, আমি ওর সাথে ডিপলি ইনভলভড হয়ে পড়েছি। ওর সাথে বিয়েটা না হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারব না কোনদিন। কাজেই যা করবে বুঝেশুনে কর।” বলেই মায়ের হতভম্ব দৃষ্টি উপেক্ষা করে বাথরুমে ঢুকে গেল সায়রা।

=====

মধ্য ভাদ্রের তপ্ত দুপুর। রোদের প্রচন্ড তাপ। তারপরেও এর দাবদাহ জায়গাটাকে ততটা উত্তপ্ত করতে পারেনি যতটা হওয়া উচিত ছিল। এর প্রধান কারণ এখানকার ঘন গাছপালা। আকাশ প্রায় দেখা যায়না বললেই চলে। প্রচুর গাছ থাকার কারণেই হয়ত জায়গাটা এই দুপুরেও এত শীতল আর শান্ত। পাশেই নিটোল নিস্তরঙ্গ দীঘি। মোজাইক করা গোল টেবিল আর জমিনের সাথে আটকানো পাকা চেয়ারের একটাতে বসে সেদিকে তাকিয়ে ছিল সায়রা। এক ঝলক তপ্ত বাতাসে সম্বিত ফিরে পেয়ে স্ট্রতে ঠোঁট লাগিয়ে টান দিতেই একগাল কমলার জুসে মুখ ভরে গেল। গ্লাসটা সরিয়ে রেখে শান্ত মুখে বলল,” কেন ডেকেছেন সেটা বলুন। গত পরশু তো ডাঁট দেখিয়ে ফোন রেখে দিয়েছিলেন। আজ আবার কী দরকার পড়ল ? ”

” ডাঁট দেখিয়ে ফোন রাখিনি সায়রা। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে রেখেছি। তার আগে তুমি বল, তুমি তোমার বাসায় কী বলেছ ? ” সায়রার ঠিক মুখোমুখি বসে কথাগুলো বলল আরমান।

-” সেটা আপনার না জানলেও চলবে।”

-” তা হয়ত চলবে তবে সকালে আম্মার কথা শুনে বেশ অবাক হয়েছি। তিনি হঠাৎ এসে আমাকে বললেন, তোমার আম্মা নাকি আমাদের সাথে আত্মীয়তা করতে রাজী আছেন। শুনে আমিতো পুরাই বেকুব বনে গেছি । মাত্র দুটো দিনেই এই ভোজবাজি কীভাবে সম্ভব ? কী হয়েছে বল তো ? আমি তখন সবটা শুনিনি। ”

-” না শুনে থাকলে বাদ দিন। বাকিটা শুনে কাজ নেই। শুনলে শুধু বেকুব না পাগলও হয়ে যেতে পারেন। ”

-” এখন তো আরো শুনতে চাইব। কী বলেছ বাসায় ? ”

-” বলেছি, আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে না করে উপায় নেই। কারো মানসম্মান থাকবেনা, ব্যস ।” বলে গ্লাসে শেষ চুমুক দিয়ে সেটাকে সরিয়ে রাখল সায়রা। আরমানের জুস যেমনকার তেমনই আছে। বরং ওতে যোগ হয়েছে দুটো তেতুল পাতা। বাতাসের ছুটোছুটি তে বেশ কিছু তেঁতুল পাতায় ভর্তি হয়ে গেছে টেবিলটা। তারই দুটো উড়ে গিয়ে গ্লাসে পড়েছে।

সায়রা সেগুলো আঙুল দিয়ে সরাতে সরাতে বলল, ” আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিয়ে করলে আপনাকেই করব নইলে কাউকে না।”
আরমান এবারও কোন জবাব দিল না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল সে।

-” তুমি নিজেও জানো না তুমি কতটা অদ্ভুত একটা মেয়ে। কত অবলীলায় নিজের উপরে অমন একটা বদনাম টেনে নিলে। অথচ ব্যপারটা এমন নয় যে আমাদের দু’ চার বছরের প্রেম। কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচব না। সামান্য ক’দিনের পরিচয়ে তোমার এমন বেপরোয়া আচরণ আমার বুঝে আসছে না। ”

-” সব জিনিস বুঝে সবার আসবে এমন কোন কথা নেই। আমাকে আপনার পছন্দ কী না সেটা বলুন।”

-” তুমি দেখতে নিঃসন্দেহে সুন্দর। আকর্ষণীয়াও কিন্তু তোমার মধ্যে ছটফটে ভাবটা খুব বেশী। তুমি সাংঘাতিক ডেসপারেট আর কোন কিছু করার আগে মোটেও ভাবো না। আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে আরো শান্ত মেয়ে চাই। কাজেই বুঝতেই পারছ। শুধু রূপ দেখে মজে গিয়ে বিয়ে করে বিপদে পড়তে চাই না। তাছাড়া নিজেকে এভাবে বিয়ের জন্য সেধে দেয়া তো গুনাহ।”

-” কে বলেছে আপনাকে ? বিয়ের জন্য সাধা গুনাহ না স্বামীর কাছে ডিভোর্স চাওয়া গুনাহ ? না জেনে আন্দাজে কথা বলেন কেন ? আমার বাসায় এগুলোর নিয়মিত আলোচনা হয়, আমি আপনার চেয়ে বেশী জানি।”

-” জেনে লাভ কী হচ্ছে? মানো তো না। তাহলে এই তালিম কাকে দেয় তোমার বাবা ?”

-” আপনি কিন্তু আমাকে অপমান করছেন।”

-” আমি তোমাকে অপমান করছি না সায়রা। তোমাকে বোঝাতে চাচ্ছি যে আমি এখনই বিয়ে করতে চাই না। তোমাকে করলেও পরে করব, অন্তত এখন না।”

-” তাহলে প্রথমে রাজী হয়েছিলেন কেন ? “রেগে গেল সায়রা।

-” প্রথমে রাজী হয়েছিলাম কারণ আমার মা তোমাকে খুব পছন্দ করেছিল। তোমাদের পরিবার সম্পর্কেও খুব নামডাক শুনেছি। আমারও তোমার ছবি দেখে তোমাকে মনে ধরেছিল। তাছাড়া আমার চাকরী বাকরির জন্য বিয়ে আটকে থাকার কোন কারণ ছিল না কারণ আমার পরিবার আমার চাকরীর টাকায় চলে না। দে আর রিচ ইনাফ। কাজেই বুঝতেই পারছ, আমার উপর কোন চাপ নেই। তোমার দিক থেকে বিয়ের চাপটুকু ছাড়া। সকালে আমার মা ডেকে একটা কথাই বলেছে, বিয়েটা ছেলেখেলা না। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত দিস। বুঝতেই পারছ, আমি রাজী থাকলে আমার পরিবার আজই কোমড় বেঁধে নেমে পড়বে কিন্তু আমি এখনও মত দেইনি। একচুয়েলি আ’ম সো কনফিউজড।” বলতে বলতে চুলে হাত বোলাল আরমান। ” সে কারণেই ভাবার জন্য দুটো দিন সময় নিয়েছি। আমার অনুরোধ থাকবে তুমি নিজেও ভাবো। তাড়াহুড়োর তো কিছু নেই। তাছাড়া তোমার পরিবারও যখন তােমার কথায় বিয়ে দিতে রাজী হচ্ছে সেক্ষেত্রে তোমারও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এমন না হয় দুদিন পর তোমার কাছে মনে হয় ভুল করেছ। ” আরমান এতটুকু বলেই থেমে গেল।

সায়রা সাথে সাথেই কোন জবাব দিল না। মোবাইল ওপেন করে তাতে সময় দেখে বলল, ” ঠিক আছে। দৃুদিন পর কথা হবে আপনার সাথে।” বলেই সাথে সাথে উঠে চলে গেল সায়রা।

আরমান লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেদিকে তাকিয়ে রইল। যদিও এর বিপরীতটাই বলতে চেয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেকে ধরে রাখতে পেরে খুশি সে। সায়রাকে বিয়ে আর সম্পর্কের মানে বুঝতে হবে। এটা ঢাকা থেকে মিরপুর কিংবা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া যাবার মত সহজ ভ্রমন না যে ভ্রমনসঙ্গী খারাপ হলেও সয়ে নিলাম। এটা সারা জীবনের যাত্রা। আর যার সাথে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটাবে তাকে এত উন্নাসিক হলে চলবে কেন। কিন্তু সায়রাকে এটা কে বুঝাবে। সে তো না বুঝেই রাগ করে চলে গেল। এটা তবু মন্দের ভাল। পেয়ে হারানোর চেয়ে না পাবার বেদনা অনেক কম কষ্টদায়ক।

====

দরজায় নক হতে মিলি নিজেই দরজা খুলল। মইনকে দেখে থতমত খেয়ে গেল। এই লোককে এখানে আশা করেনি সে। কী ব্যপার কে জানে। মিলি কপাল কুঁচকে বলল, ” আপনি ? ”

-” জি, আমি সায়রার ছোটমামা। চিনতে পেরেছেন ? সেদিন রাতে…? ” এতটুকু বলেই থেমে গেল মঈন। মিলি মাথা নাড়ল।

-” জি, চিনতে পেরেছি। বলুন ? ”

কথাবার্তা গেটের সামনেই দাঁড়িয়েই হচ্ছে। মিলিকে দেখে মনে হলো না মঈনকে ঘরে ঢুকতে দেবার ইচ্ছে আছে। মঈনের আগমনের কারণটাও বুঝতে পারছে না সে। সেদিন রাতে আসার নাহয় একটা কারণ ছিল কিন্তু আজ কী। মঈন নিজেই উসখুস করে বলল, ” ইয়ে, আমি কী ভেতরে আসতে পারি? ”

-” ভেতরে ? ” খানিক ইতস্তত করে অবশেষে দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়াতে হল মিলিকে। মুখে স্বাগত না জানালেও যার আরেকটা অর্থ দাঁড়ায় ‘আসতে পারেন’।

মঈন নিজেই সোফার কোনের খেলনা সরিয়ে নিজের বসার মত জায়গা করে নিল। পুরো সোফা সুরমার ছেলের খেলনা দিয়ে জ্যাম হয়ে আছে। সেদিকে তাকিয়ে কিছুটা সংকোচভরে মিলি বলল, ” আসলে আমাদের ড্রইংরুমটা সারাদিনই দুজন মানুষের কারণে গোয়ালঘর হয়ে থাকে। একজন আমার ছোট ভাই অন্যজন আমার ভাগনে।”

মঈন হাসল সামান্য কিছু বলল না। মিলি সেদিকে তাকিয়ে বলল, -” যতদুর জানি সায়রাকে পাওয়া গেছে। অথচ আপনি এখানে। কারণটা জানতে পারি ? ”

-” অবশ্যই পারেন। আমি আসলে সায়রার কোন ব্যপারে আসিনি। সায়রার ব্যপারে একচ্ছত্র ভাবে আমার আপাই সবসময় সিদ্ধান্ত নেন। এবারও নিচ্ছেন। সায়রার আজকের এই উগ্ররূপ আপার জন্যই।” মঈন অকপটে বললেও মিলি ভ্রু কুঁচকে তাকাল।

-” আপনি তো আপনার আপার সাথেই থাকেন অথচ আপার নামে দেখি দিব্যি বদনাম করছেন। এটা তো ঠিক না। ” বলেই ঠোঁট টিপে হাসিটা কোনমতে আটকাল।

-” আমি জানি, আপনি কেন হাসছেন কারণ আপনার চোখে আমি হাসির পাত্র। কিন্তু আমার সমস্যাটা যদি জানতেন…!”

-” দুঃখিত। আমার ওভাবে হাসা উচিত হয় নি। আচ্ছা বাদ দিন। কেন এসেছেন সেটা বলুন।”

-” সেটা বলতে আমার কিছু সময়ের দরকার হবে। আপনি কী কাইন্ডলি আমাকে সেই সময়টুকু দেবেন? ”

মিলি চুপ করে গেল। মুখ নামিয়ে ভাবল একটু তারপর মাথা সোজা করে বলল, ” তার আগে বলুন, আমাকেই কেন বলতে চাচ্ছেন কথাগুলো? ”

-” কারণ প্রথম দিনই আপনাকে দেখে আমার মনে হয়েছে আমি এতদিন যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছি সে আপনি। প্লিজ, আমার কথাগুলো ভাল করে না শুনে আমার ব্যপারে কোন কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। ”

-” আচ্ছা, বলুন। কী বলবেন। তবে আগেই বলে দিচ্ছি। কোন কিছুর বিনিময়েই আপনার সাথে বাইরে যাচ্ছি না আমি। তখন আপনার বোন বলবেন, আপনাকে পটাতে নিয়ে গেছি। গরীব মেয়েদের সম্মান সের দরে বিক্রি হয় কী না।”

” আপার কথা আর বলবেন না। না, ঠিকআছে আমি এখানেই বলছি। ইয়ে, একগ্লাস পানি হবে ? ”

-” হবে তবে ঠান্ডা দিতে পারব না। ফ্রিজ নষ্ট।”

-” কোন সমস্যা নেই। নরমাল হলেও চলবে।”

মিলি উঠতে যাবে আর অমনি ধুপ করে শব্দ হতেই আঁতকে উঠে ভেতরে দৌড় দিল মিলি। তারপরেই ওর চিৎকার শোনা গেল। মঈন বুঝতে পারছেনা ভেতরে যাবে না কী এখানেই অপেক্ষা করবে। ভেতর থেকে মিলির উচ্চস্বরে কান্নার শব্দ পেয়ে মঈন আর থাকতে পারলো না। দ্বিধা সংকোচ একপাশে সরিয়ে রেখে ভেতরে ঘরে পা বাড়াল।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here