দ্বিতীয়_সূচনা #পর্ব_২২

0
1427

#দ্বিতীয়_সূচনা
#পর্ব_২২
লেখা – আফরোজা আক্তার
(কোনোক্রমেই কপি করা যাবে না)

লাগাতার ফোন বেজে যাচ্ছে অয়নন্দিতার। ওয়াসরুম থেকে কোনো রকম বের হয়ে দেখে ফারহান ফোন দিচ্ছে। ফোন রিসিভ করে কানে নিতেই ফারহান বলে,
‘এত ব্যস্ততা! আমার ফোনটা রিসিভ করা যায় না।’
অয়নন্দিতা হালকা হেসে জবাব দেয়,
‘ওয়াসরুমে ছিলাম আমি। গোসল করছিলাম।’
‘উপস!’
‘ফোনের শব্দ শুনে কোনো রকম বের হয়ে এলাম।’
‘বাহ। তাহলে আমার অভিযোগের দাম রইল না।’
‘জি।’
‘কাপড় পরে বের হয়েছ তো?’
ফারহান এতটাই ফানিভাবে কথাটা বলেছে যে অয়নন্দিতা বাধ্য হয় জোরে শব্দ করে হাসতে। ফোনের ওপাশ থেকে অয়নন্দিতার হাসিটা স্পষ্ট কানে লাগে ফারহানের। মুগ্ধতা মেশানো হাসি অয়নন্দিতার। যে শুনবে তার কাছেই ভালো লাগবে।
হাসি থামিয়ে অয়নন্দিতা বলে,
‘কোনো রকম প্যাঁচিয়ে পরে বের হয়েছি।’
‘ভিডিও কলে আসো তো, দেখি তোমায়। কেমন প্যাঁচিয়ে শাড়ি পরেছ তুমি।’
‘জঘন্য ভাবে পরেছি। দেখে কাজ নেই। এখন বলুন, ফোন করেছেন কেন? কিছু বলবেন?’
‘মন চাইল তোমার সঙ্গে কথা বলতে। তাই ফোন দিলাম।’
‘বাহ! কী করছেন?’
‘এইতো ল্যাপটপে চোখ আর কানে ফোন। হাতে মাউজ। মুখ নড়ছে।’
ফারহানের কথা শুনে অয়নন্দিতা আরও বেশি হাসে।
‘আজকে একটু বেশিই ফানি হয়ে যাচ্ছেন না আপনি?’
‘তোমার কি তাই মনে হচ্ছে?’
‘হ্যাঁ। মনে হচ্ছে।’
অয়নন্দিতার উত্তরে হালকা হাসে ফারহানও।
‘ফুচকা কেমন লাগে তোমার?’
ফারহানের প্রশ্ন শুনে অয়নন্দিতা কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে উত্তর দেয়,
‘ভালো লাগে। কেন?’
‘খাবা?’
‘এই দুপুর বেলা ফুচকা খাব?’
‘দুপুরে খেতে কে বলেছে তোমায়? বিকেলে খাবে।’
‘তাহলে খাওয়া যায়।’
‘ওকে৷ আমি আবার ফোন করব। রেডি হয়ে থেকো। এরপর বের হবো।’
‘কোথায় যাব আমরা?’
‘দেখা যাক কোথায় যাওয়া যায়।’

খাওয়া দাওয়া শেষ করে অবসর সময় কাটাচ্ছে অয়নন্দিতা। বিবাহিত জীবনের বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখনও মাঝে মাঝে অবিশ্বাস্য হয় যে, সে এখন বিবাহিত। কারো বউ, কারো স্ত্রী, কারো ভাবী।তার উপর বাড়ির বড়ো বউ। এইসব ভাবতেই নিজেকে অনেকটা বড়ো বড়ো মনে হয় অয়নন্দিতার।
ইজি চেয়ারে পিঠ লাগাতেই দরজায় টোকা পড়ে। অয়নন্দিতা ভেতর থেকে আওয়াজ দিলে ফারাশ ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে।

চলবে………………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here