ধর্মের দেয়াল পর্ব:২০

0
1161

#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ২০

– আজগড় এসে বলল এবার থাম তুমি ওরা
চলে গেছে।
– আমি যেন থামতেই চাচ্ছি না।
– আজগড় চিৎকার দিয়ে বলে নাফিসা
রুপের অবস্থা খারাপ তুমি কি এখনও
থামবা না?
– আমার এবার হুস ফিরল। আমি রুপের
মাথা আমার কোলে নিয়ে বসে
কাদতে লাগলাম।
– আজগড় এবার আমি কি করব বলতে পার!
ওর কিছু হয়ে গেলে আমি দুনিয়াতে
আর শ্বাস নিতেই পারবনা।
– আজগড় বলল রুপের বাবা সিড কে কল
দাও। উনি কি বলে শুনে নাও।
– আমি জলদি সিড আঙ্কেল কে রুপের
ফোন থেকে কল দিব এই সময় একটা বাজ
পাখি রুপের কাছে এসে বসে পড়ে।
– আমি পাখিটিকে দেখে ভয় পেয়ে
যাই। এবং ওকে তাড়ানোর জন্য শব্দ
করি।
এই সর এখান থেকে।
.
.
– পাখিটি রুপের কাছে এসে ওর
গালের সাথে গাল ঘষছে।
– বার বার মুখের সাথে মুখ লাগাচ্ছে।
মনে হচ্ছে রুপকে ও তুলতে চাচ্ছে কিন্তু
বার বারই ব্যার্থ হচ্ছে।
– একটা পাখি কাউকে এত্ত
ভালবাসতে পারে এই দৃশ্যটা না
দেখলে বুঝতে পারতাম না।
– আজগড় বলল এটা নাকি রুপের পোষা
জ্বীন বাজ পাখি। তাই রুপের এই
অবস্থায় ছটফট করছে।
.
.
– আমি আর কিছু না ভেবে সিড
আঙ্কেল কে কল দিলাম।
– মাঝরাতে সিড রুপের কল দেখে বেশ
অবাক হয়ে যায়।
– হ্যাঁ রুপ বল কি ব্যাপার এত্ত রাতে
ফোন দিলি যে!
– আঙ্কেল আমি নাফিসা রুপের অবস্থা
খারাপ আপনি কি এখানে আসতে
পারবেন।
– সিড জানত এমনই কিছু একটা হবে যার
আশাংকা কয়েক দিন ধরে হচ্ছিল।
.
.
– সিড রুম থেকে বের হতেই রুপের মা
মিনা বলল কই যাচ্ছ এত রাতে?
– রক্তের নিশা ধরেছে তাই শিকারে
যাচ্ছি।
আমি একটু পর আসছি।
– সিড যানে সে যদি মিনাকে বলে
দেয় সব কথা তাহলে নাফিসা কে আর
আস্ত রাখবেনা।
.
.
.
– আজগড় বলল এভাবে ওকে নিয়ে বসে
থাকলে হবে না সময় খুব কম।
– তাহলে আমরা কি করব?
– তোমায় কিছু করতে হবে না যা করবে
এই পাখিটিই করবে বলে আজগড়
পাখিটিকে কি ভাষায় জানি
আওয়াজ করল।
– বাজ টি একটু দুরে সরে গিয়ে একটি
হুংকার ছাড়ে এবং সাথে সাথে
বিশাল পাখির রুপ ধারন করে।
– জলদি ওঠো। সিডের কাছে যাতে
আমরা আগেই পৌছাতে পাড়ি।
– পাখিটি রুপকে নিজেই ওর পিঠে
নিল আর আমি গিয়ে রুপের সাথে বসে
পড়লাম।
– আজগড়কে দেখলাম বিশাল পাখা
নিয়ে উড়তে। বলল চিন্তা করনা আমি
আছে কাছেই।
– বাজটি উড়তে লাগল। আমি শুধু রুপকে
ডেকেই যাচ্ছি এই রুপ ওঠো। আমার
সাথে কথা বল। দেখ তুমি ছাড়া আমার
কেউ নেই। ওঠো জলদি।
– রুপ ওর মধ্য থাকলে তো উঠবে!
– হঠাৎ বাজ টি শূন্যতে থেমে গেল।
আমি বললাম এই পাখি থেমেছিস কেন!
দেখতে পাচ্ছিস না তোর
মালিকের অবস্থা খুব খারাপ…..
– আজগড় ও থেমে গেল এবং নিচে
নেমে গেল সাথে পাখিটিও।
– এই তোমরা এখানে কেন থামলে!
তোমরা বুঝতে পারছো না ওর কি
সমস্যা।
– নাফিসা শান্ত হও এখানেই সিড চলে
আসবে।
– রুপকে একটি কলা পাতা বিছিয়ে ওর
উপর সুয়ে দিল।
– বাজ টি আবার ছোট আকার ধারন করল
আর রুপের সাথে ওর মুখ ঘুষছে শুধু।
– একটু পরে সিড চলে আসল।
– আঙ্কেল দেখেন ওর কি অবস্থা হইছে ও
উঠছেনা।
– ওর সাথে কি হইছে খুলে বল আমাকে।
আজগড় সব বলল।
– আজগড় কে দেখে উনি কিছুটা
হচকিয়ে উঠছেন। আজগড় বলল আমায়
বিশ্বাস করতে পারেন।
– সিড ওর যা চেষ্টা করার করছে কোন
ফল হচ্ছে না। এদিকে সময় শেষ হয়ে
যাচ্ছে।
– এবার সিড ওর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে
কেদে উঠল। আমি পারলাম না my son
তোমাকে সারাতে। তুমি তো শীত
ঘুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
– আজগড় এবার আমার দিকে তাকিয়ে
বলল তুমি চেষ্টা কর কিছু হয় নাকি।
– আজগড় আমার হাত ধরে চেষ্টা করে
যাতে আমার শক্তি এসে যায়।
– কিন্তু আজগড়ের হাতে কারেন্টের মত
শর্ক খায় এবং আমার হাত ছেড়ে দেয়।
বিশ্মকয় ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে
থেকে বলল শুধু তোমাকেই চেষ্টা
করতে হবে।
– আমি বার বার আহ্ববান করতে থাকি
কিন্তু সফল হতে পারছিনা।
– সিড রুপকে নিয়ে বসে আছে যেন ওর
সব আশা শেষ।
– এমন সময় বাজটি এসে আমার পায়ে
বার বার ওর মুখটি ঘষতে থাকে।
– আমি চট করে উঠে বলি আমায়
পাড়তেই হবে।
– মোট ১৭ বারের শেষ বারে মত
আল্লাহুআকবার বলে চিৎকার দিয়ে
আহ্ববান করি। আমি সফল হই। সবুজ একটা
কাচের মত কিছু আমার হাতে এসে
যায়।
– সিড বলল জলদি রুপের বুকে বসে দাও।
– আমি বললাম বাবা ও মরে যাবেতো।
– সিড আমার মুখে বাবা ডাক শুনে
চমকে গেল। একটু চুপ করেই বলল কিছু
হবেনা জলদি কর।
– আমি ওনার কথায় আশ্বাস পেয়ে
বিসমিল্লাহ্ বলে ওটা বসে দিলাম ওর
বুকে।
– রুপ শুধু একবার ঝাকি দিয়ে উঠল।
– তার পর পুরোই নিস্তেজ হয়ে গেল আর
ঐ কাচটিও অদৃশ্য হয়ে গেল।
সিড বাজটিকে ইশারা করতেই রুপকে
নিয়ে উড়াল দিল এবং সিড বলল কোন
চিন্তা নেই ও ঠিক হয়ে যাবে বলে
ভ্যানিস হয়ে গেল।
.
.
– আজগড় আমাকে নিয়ে তাবুতে ফিরে
আসল আর বলে গেল চিন্তা করনা সব
ঠিক হয়ে যাবে।
– তখন চারদিকে আযান দিচ্ছিল। আমু অযু
করে নামায পড়ে ভিতর ঢুকতেই রোজ
আমায় বলল কই ছিলি পুরো রাত?
– আমি শুধু বললাম কাল আজ হয়ত সকালে
আমরা সবাই back করব।
– আমি আর কিছু না বলে সুয়ে পড়লাম।
– সকাল ৯ টার দিকে চিৎকার
চেঁচামিচি তে ঘুম ভেঙ্গে গেল।
.
.
.
. – বাহিরে গিয়ে শুনলাম অদুরেই
নাকি
একটা মানুষের আধ খাওয়া লাশ পাওয়া
গেছে তাই কাম্প উঠিয়ে back করা
হচ্ছে।
.
.
.
– রোজ আমাকে বলল এই ভাইয়া
কোথায়?
– বাসায় চলে গেছে।
– কিহ্ আমাকে না বলেই চলে গেছে?
– হুম আমাদের জলদি back করতে হবে।
জলদি মানে জলদি।
– সিড আঙ্কেল নাকি principle k কল
দিয়ে বলেছে কি জানি কাজে রুপ
বাসায় ফিরে গেছে।
২ টা teacher তাদের দায়িত্বে নাই
তাই এতগুলো student নিয়ে বেশ
ঝামেলাই পড়ে গেছে।
– সব গুছিয়ে আমাদের বাস রওনা দিল।
– রোজ বলল তোর বমি পাচ্ছেনা আজ?
– আমি বললাম medicine নিছি তাই
সম্ভবনা নাই।
.
.
.
.
– সিড বলবা কি! আমার ছেলের এই
অবস্থা কেমনে হল?
– রুপ সুস্থ হয়ে যাবে কিছুক্ষন পড়েই।
– সুস্থ my foot কি হয়েছিল সেটা বল।
.
.
.
– আমাদের বাস কাম্পাসে পৌছে
গেল ৩ ঘন্টার মধ্য।
– আমি রোজ কে বললাম তুই একটু জলদি
বাসায় যা রে। পরে আমায় একটু কল দিস
বলে আমি হোস্টেলে চলে আসলাম।
– শুধু রাতের অপেক্ষায়। রুপ সুস্থ হলেই
রাতে আমার কাছে আসবে এই আসায়
বসে আছি।
.
.
.
– রোজ বাসায় ফিরে সোজা রুপের
রুমে গেল।
– রোজ মোটেও এটা দেখার আশা করে
নি।
রুপ নিথর ভাবে সুয়ে আছে।
-mom ভাইয়ার কি হয়েছে!
– তোমার dad কে বল just কি হয়েছে
ওখানে।
– কেন ও খানে কি হবে? নাফিসা বলল
ভাইয়া তো বাসায় ফিরেছে।
– রুপের মা মিনার আর বুঝতে বাকি রইল
না যে তার ছেলের সাথে কি
হয়েছে।
– ঐ মেয়েকে আমি দেখে নিব। এবার
যা করার আমি নিজেই করব বলে
সোজা গিয়ে রুপের গলায় কামড় বসে
দেয় এবং ওর শরীর থেকে কিছু রক্ত শুষে
নেই।
– সিড বুঝতেই পারেনি এমন কান্ড
ঘটাবে মিনা।
– রোজ চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে এত বড়
সর্বনাশ ভাইয়ার কর না mom.
– মিনা বলল আমাদের গোত্রীয়
নিয়মটা যে এভাবে আজ কাজে
লাগবে আগে ভাবিনি।
.
.
– ছেলে অবাধ্য হলে এটা ছাড়া আর
উপায় থাকেনা।
– রুপের স্মৃতি থেকে সম্পূর্ন নাফিসার
স্মৃতি মুছে যাবে এতে।
– সিড বলল মিনা তুমি এটা করতে
পারনা। ওর এত বড় ক্ষতি তুমি কিভাবে
করতে পারলে?
-আমি ওর মা। আমার ছেলে যাতে
সুরক্ষা থাকে আমি সেই ব্যবস্থায়
করেছি।
– তোমরা হাজার চেষ্টা করলেও ওকে
আর কেউ ঐ মেয়ের স্মৃতি মনে করাইতে
পারবেনা।
এই ক্ষমতা শুধু মায়েদেরই আছে। তাই
ভুলে ও চেষ্টা করবেনা।
.
.
.
.
– রাত হয়ে গেছে এখন একটু ভাল
লাগছে। রুপ আমার সাথে দেখা করতে
আসবে। সময় যেন যেতেই চাচ্ছে না।
– কেউ দরজায় নক করছে। খুলে দেখলাম ১
টি মেয়ে দাড়িয়ে আছে।
– আপু আসব!
– দেখে কিছুটা বিরক্ত লাগল। তবুও
বললাম আস।
– ও ভিতরে এসে বলল আপু আপনাদের
কাম্পে নাকি একটা আধখাওয়া
মানুষের লাশ পাওয়া গেছে?
– আমি বললাম হুম।
– ওটা কি রাক্ষস খেয়েছে?
– আরেহ না কোন জন্তু হয়ত হবে। এখন কি
ওগুলো দুনিয়াতে আছে নাকি?
– আপু আপনি আরও বেশি সুন্দর হয়ে
গেছেন ওখান থেকে এসে। এমনিতেই
সুন্দর আপনি কিন্তু আরও হয়ে গেছেন।
– তাই!
– হুম আপনার চুল গুলো যা জোস্ না সেই।
এত্ত লম্বা ও সুন্দর স্লিকি চুল কখনও
দেখনি।
_ আমি মুচকি হেসে বললাম তুমি যা বলছ
আমি মোটেও ততটা সুন্দর না।
– আপু আপনার সাথে গল্প করতে খুব ভাল
লাগে আমার।
– ওকে চল dinner করে আসি বলে ওকে
নিয়ে বের হয়ে এলাম।
– ২ তলায় গিয়ে দেখি একটা জায়গায়
মেয়েরা চেচাচ্ছে শুধু। মেয়েটি
আমার হাত ধরে ওখানে নিয়ে গেল।
– ধ্যাত কি ঝামেলায় পড়লাম রে
বাবা।
– গিয়ে দেখলাম একটা মেয়ে
পাগলামি করছে। মেয়েটার জ্বিব বের
হয়ে গেছে। মনে হয় জ্বীন টিন কিছু
ধরছে হয়ত।
– মেয়েটি অচমকায় আমার পাশ দিয়ে
এসে ২ তলা থেকে লাফ দিতেই আমি
ধরে ফেললাম। ঠাস করে একটা গালে
চড় দিলাম। এই ফাজলামি শুরু করেছো
বলেই দোয়া পড়তে শুরু করলাম।
– ওখানেই ও বসে পড়ে। এর মধ্য উপর মহলে
খবর পড়ে গেছে। মেয়েটাকে ভুতে
ধরেছে।
– আমাকে মেয়েটি বলল ভাল করলি না
তোকে আমি দেখে নিব।
.
.
.
– আরেহ যাহ্ কি করবি করিস। তোর
থেকেও কত্ত কি দেখলাম জিবনে আর
আমায় ভয় দেখাতে আসিস বাথরুমের ভুত
কোথাকার।
.
.
– আশেপাশে সবাই আমার দিকে
তাকিয়ে আছে দেখে চুপ করে
গেলাম।
– মেয়েটিকে নিয়ে খাবার খেতে
গেলাম। মেয়েটি বলল আপু আপনার
সাহস তো কম না। আপনি ঐ ভুতের সাথে
এভাবে কথা বললেন?
– আরেহ ওদের যত ভয় পাবা ততই তোমার
মাথায় উঠবে।
– তবুও সাবধানে থাকবেন আপু।
– খেয়ে রুমে চলে গেলাম। বেডে
আজগড় বসে আছে।
– আমি হতাশ হয়ে বললাম তুমি এখানে?
– ও বলল কেন রুপের অপেক্ষায় ছিলা
বুঝি?
-হুম।
– ওকে কল দাও।
– তুমি একটু তোমার মায়া দিয়ে
দেখবে ও কি করছে?
— সম্ভব না। ওদের বাসার ভিতর কি
হবে ওটা আমি দেখতে পাব না। তবে
তুমি রোজ কে ফোন দাও।
– আমি আগে রুপের নাম্বারে কল
দিলাম। দেখলাম বন্ধ। তারপর রোজ কে
কল দিলাম।
– রোজ রিসিভ করে বলল কেমন আছিস।
– আর ভাল! তোর ভাই কই? ফোন অফ করে
কেন রাখছে। আমার টেনশন হয়না?
– আর টেনশন! ভবিষ্যত অন্ধকার।
আজগড় বলল আমায় দাও।
-hey girl কেমন আছেন?
– আজগড়ের কথা শুনে রোজের ভিতর
ধকধক করতে লাগল। হাত পা কাপছে।
– কিছু কি বলবেন না?
– রোজ বলল আপনি এত রাতে ওর রুমে কি
করেন।
– আমিতো রোজ আসি ওর সাথে দেখা
করতে।
– হুম ভাইয়া তাহলে ঠিক বলছে আজগড়
নাফিসার কায়া।
– না কিছুনা। কিছু বলবেন?
– রুপের কি অবস্থা। ওর তোহ এতক্ষনে
ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা।
– রোজ বলল হম। আপনার সাথে পরে কথা
বলব এই বিষয়ে এখন রাখি বলেই কেটে
দিল।
– নাফিসা তুমি বরং রুপের বাবা সিড
কে কল দাও।
– আমি আঙ্কেল কে কল দিলাম।
– মিনা রিসিভ করে বলে এই মেয়ে
তোমার সাহস কি করে হয় আমাদের
সাথে যোগাযোগ করতে?
– তোমার মা আমার প্রিয় বান্ধবী ছিল
বলে তোমাই আমি কিছু বলিনা। তাই
বলে সুযোগ নিবে তুমি?
– মিনার হাতে ধমক খেয়ে কল কেটে
দিলাম। কি শাশুড়ি রে বাবা। একদম
বাংলার খাস শাশুড়ি।
– আজগড় বলল কি কিছু হল?
– না বাসার পরিস্থিতি মনে হয় বেশ
খারাপ।
– ওকে আজকের মত ঘুমাও কাল দেখা
যাবে।
– আমার কি আর ঘুম আসে মন যে শুধু রুপ রুপ
করে ডাকছে।
– রুপের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে
ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেও জানিনা।
মাঝ রাতে কারো কান্নার শব্দ পেয়ে
জেগে উঠি।
– আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম কেউ
কাদছে। কে হতে পারে?
– আমি উঠে বসলাম এবং আমার
ফ্লোরের এক কোনায় একটা মেয়ে
সামনে বসে কাদছিল।
– আমি চিন্তা করে দেখলাম রুমের
ভিতর তোহ কারো ঢোকার সম্ভব নয়
তাহলে এ কে।
– এই মেয়ে কাদছো কেন?
– কোন কথা নেই।
– কয়েকবার ডাকার পর যখন কোন কথা
নেই তখন ব্যাধ্য হয়েই তার কাছে
গিয়ে বললাম এই তুমি কে?
– অমনি আমার দিকে যেই তাকিয়েছে
আমি ভয় পেয়ে ৫ হাত দুরে সরে এলাম।
মুখের ২ দিকে গাল অবদি চিরা আর
বিকট শব্দ করে হাসছে।
– এরকম কোন প্রানী আবার হয়! কি ভয়ঙ্কর
রে বাবা।
– কিন্তু ও হয়ত জানেনা আমি কি
জিনিস।
– মেয়েটি ফিসফিস কন্ঠে বলে ওঠে
তোকে বলেছিলাম না আমার পথে
বাধা হয়ে দারাবিনা। আমাকে
মারা! দেখ কি করি তোর বলেই এসে
আমার গলা চিপে ধরে।
– একতো রুপের টেনশনে আমি অস্থির
আবার এই উটকো ঝামেলা। তোর
থেকে বহুত ভয়ঙ্কর কিছু দেখছি আর তুই
কি হে বলেই ঠাস করে ২ টা চড় বসিয়ে
দিলাম। এদের ভয় পেলেই এরা ক্ষতি
করার সুযোগ পায় তাই সাহস দেখে যদি
তখনই ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাহলে
বিশেষ কিছু করতে পারেনা।
– মেয়েটি গালে হাত দিয়ে
দাড়িয়ে গেল ওর আসল রুপে।
– এই আর চড় খাওয়ার ইচ্ছা আছে! না
থাকলে ভাগ এখান থেকে যত্তসব ভুতের
দল কোথাকার।
– মেয়েটি বলল আমার থাকার জায়গা
নাই আম্মা তাই কড়িডোরে থাকি
এইটুকু কেরে নিয়েন না দয়া করে।
– উড়ি বাব্বা এর মধ্য আমি তোর আম্মা
হয়ে গেলাম!
– সোজা এসে পা চিপে ধরল আর বলল
ক্ষেমা করে দেন আম্মা আপনি যে
সাধারন কেউ না আপনার ২ থাপ্পড়ে
বুইঝা গেছি।
– পা ছাড় বলছি! এখানে তোরা
এভাবে কত জন আছিস?
– আগ্গে আম্মা ২১ জন।
– ঠিক আছে যা কাল তোদের নিয়ে
মিটিং ডাকব সবাই হাজির থাকবি।
আর যদি কিছু টেরিবেরি করিস
তাহলে তোদের বাউবস্তব হারা করব।
– ছি ছি আম্মা কি কন! হেইডা
জিবনেও করবনা। আমাগো বাসস্থান
হগগলের প্রিয়। এই হানে থাওনের
লাইগা সব করতে রাজি।
.
.
.
– .
.
– ok যা এবার ঘুমাতে দে বলেই ঘুমে
পড়লাম।
– পরদিন সকালে নাস্তা করে সোজা
ভার্সিটিরর দিকে হাটা দিলাম।
– কাম্পাসে বসে আছি রোজের জন্য। ওর
থেকে সব শুনতে হবে।
– সামনে দেখি নিউ black কালার
গাড়ি। একদম new.
– এইডা আবার কে আসল।
– গাড়ি থামল আমার একটু দুরে। গাড়ি
থেকে বের হল রুপ।
– oh my god এ আমি কাকে দেখছি একি
রুপ!
– পুরো স্টাইল চেঞ্জ। ব্লাক ড্রেস আপ
সবগুলো। ওর রুপ যেন উথলে উথলে পড়ছে।
– ওকে দেখে খুশি হব কি! গা আরো
জ্বলে যাচ্ছে।
– ব্যাটা ঘরে বউ রেখে এখন স্টাইল
মারাও?
-ও অফিস কক্ষে ওর নিজের রুমে ঢুকে
পড়ল।
– আমিতো এই আশায় ছিলাম হুনোমান
টা কে কখন একা পাব।
– আমি রুমে গিয়ে দৌড়ে গিয়ে ওকে
পিছন থেকে জড়িয়ে ধরি আর বলি এই
আপনি ক্লাস নিতে আসছেন না মেয়ে
পটাতে আসছেন তাও ঘরে বউ রেখে?
চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here