#ধর্মের_দেয়াল
-নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ২৪ (শেষপর্ব)
– রুপম কে ঐ অবস্থায় দেখে সিড দৌড়ে আসে সাথে মিনাও।
– সিড ওকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে। এটা সত্যই অস্ম্ভব ব্যাপার। ও যেখানে যাদের সাথে ছিল তাদের রুপমদের মত বাচ্চাদের মাংস অত্যন্ত প্রিয় সেই জায়গায় রুপম কি ভাবে বেচে ফিরে এল?
– মিনা কেদে উঠে বলল কেন সিড রুপম ফিরে আসাতে তুমি খুশি হওনি!
– yes মিনা কিন্তু ও ফিরে আসার পিছে হয়ত একজনের বিশেষ অবদান আছে। কে সে সেটাই ভাবার বিষয়।
– মিনা বলল আমি কিছু শুনতে চাইনা আমার ছেলে ফিরে আসছে ব্যাস কিছু জানিনা বলে রুপমের কপালে kiss করল।
.
.
.
– রোজ কেদেই যাচ্ছে ভাইয়ের জন্য পুরো ৭ দিন পর দেখছে।
– রুপ বাসায় ঢুকে দেখল রোজ কাদছে। রুপকে দেখে রোজ দৌড়ে এসে বলে ভাইয়া রুপমকে ফিরে পাইছি।
– রুপ জলদি রুপমের রুমে গেল এবং ওকে দেখল। জিবনে প্রিয় মানুষটি ফিরে এসেছে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে সেটা কি কম আনন্দের সংবাদ।
– সিড বলল রুপ আমি বুঝতে পারছিনা কে ওকে এখানে রেখে গেল। সে নিশ্চয় কোন বড় কেউ। তাছাড়া ওদের হাত থেকে ফিরে আনা অস্ম্ভব।
– ওদের সবার একই প্রশ্ন কে সেই ব্যাক্তি যে এতবড় উপকার করল। তার ঋন কোন ভাবেই শোধ হবার নয়।
-রুপ কোন কথা বলে না চুপচাপ ওর রুমে যায় ।
– খুব যত্নে রাখা নাফিসার পোষাক গুলো বের করে এবং ঘ্রান নেয়। yes সে নাফিসা ছিল। তারমানে ও রুপমকে………..
– আমি হোস্টেলে ফিরে এলাম। এসে দেখি ওরা সবাই মিলে বসে আছে। আমাকে দেখে ওরা সবাই কাছে এলো।
– আম্মা আইছেন? কত্ত আপনারে খুজছি কিন্তু পাইনি। আপনি কই ছিলেন?
– পরে বলছি শুকরা জ্বীন রে ডাক জলদি আমার হাতে সময় বেশি নাই।
– একটু পর উনি আসলে আমি বললাম দাদু আমার একটা উপকার করবেন?
– উনি বললেন আম্মা আমারে দাদু বললেন? আমার জিবন দিয়ে হলেও আমি আপনার উপকার করব।
– তাহলে চলুন আমার সাথে আমায় শুধু পথ দেখাবেন।
– আমি ওদের বললাম আমি যে এখানে আসছি কাউকে বলবেন না মানে কাউকে না।
– আমি শুকরা জ্বীন কে নিয়ে পথে নেমে পড়লাম।
– রুপ স্থির হয়ে থাকতে পারছেনা। মনে ওর এখন শুধু নাফিসা কে চাই। just নাফিসা আর কিছু না।
.
.
.
– রোজ আজগড় কে বার বার কল দিচ্ছে কিন্তু নাম্বার অফ।
এই রাতে বাহিরে যাবে?
– রুপ এলো রোজের রুমে। রুপ দেখল রোজ শুধু পায়চারী করছে। কিছু হয়েছে রোজ?
– রোজ ফিরে তাকিয়ে বলল সেটা তোর না জানলেও চলবে।
– রোজ নাফিসাকে একটা কল দিবি।
– রোজ এবার অবাক হয়ে বলল কি বললি?
– নাফিসাকে ফোন দিতে বললাম।
– কথা কি কানে যায় নি? বয়রা হয়ে
গেছিস?
– জলদি কল দে। আমার কাছে ওর
নাম্বার নেই।
– রোজ নাফিসা কে কল দিয়ে দেখে
ফোন বন্ধ।
– আজগড় বা নাফিসা কারও নাম্বারে
কল যাচ্ছেনা। সব সুইচ অফ।
– ওরা ২ জনেই বেশ চিন্তিত।
– রুপ আর কিছু না বলে চলে গেল রুমে।
– আধা ঘন্টা আগেই তো মেয়েটাকে
দেখলাম আর এখন কই গেল।
–
–
–
– আজগড় বাসায় গিয়ে ওর মাকে
জড়িয়ে ধরে কেদে ওঠে বলে আম্মা
নাফিসাকে পাওয়া যাচ্ছেনা।
– ওর মা সব ঘটনা শুনে কেদে ফেলে।
.
.
– রোজ বাসার বাহিরে আসে এবং
একটা ফাকা মাঠে গিয়ে আজগড় কে
স্মরন করে। কিন্তু ও সাড়া দিচ্ছে না। ও
বার বার চেষ্টা করে কিন্তু কাজ
হচ্ছেনা।
–
–
– রুপমের ঙ্গান ফিরে ওর সামনে mom ,
dad, রুপ দাড়িয়ে আছে।
– মিনা গিয়ে ওর ছেলেকে ডাক
দিতেই ও বলল mom তুমি আমার কাছে
আসবে না। তুমি খুব পচা।
– সিড গিয়ে রুপম কে বলে ও আসবে না
তুমি বলতো আমায় কই ছিলা এত দিন?
– আমি আবার কই থাকব। আমিতো
এখানেই ছিলাম।
– সিড সব বুঝতে পেরে বলল ওকে প্রশ্ন
করে কোন লাভ নাই। ওর কিছু মনে নাই
এটাই স্বাভাবিক।
.
.
.
– আমি শুকরা জ্বীকে বললাম দাদু
আমাকে এই পথে নিয়ে চলুন।
– এই পথ যে বড় ভয়াভয় পথ আম্মা।
আপনি কেন যাবেন এই পথে। আমায়
যেতেই হবে।
– আমার কথা শুনে উনি বলল আমি
যেতে পারবনা আম্মা। আমি এই
সিমানায় ঢোকার সাথে সাথে পুড়ে
ছাড়খার হয়ে যাব তাই আমি শুধু পথ বলে
দিচ্ছি আপনি সে পথ ধরে চলে যান।
আমি এখানেই থাকব।
– আমাকে একটা কৃষ্ণ বর্ন পাথর দিয়ে
বলল এটা মুখে নিলে আপনি অদৃশ্য হয়ে
যাবেন এবং আপনার কাজ অনায়াসে
করতে পারবেন।
-উনি আমাকে বলল আম্মা চোখ বন্ধ করুন।
– আমি চোখ বন্ধ করতেই এটা বরফ
রাজ্যতে চলে আসলাম।
– আমি কোথায় যাব কি করব কিছু
বুঝছিনা।
– আমার চুল ছিল ঘন কালো অনেক লম্বা।
– হঠাৎ করে একটা চুল আমার খুলে গিয়ে
আমায় বলল মালিক আমাকে অনুসরন করুন
বলে ও একটা সাপ হয়ে চলতে শুরু করল।
– আমি ওর পিছু পিছু চলতে শুরু করলাম…
.
.
.
– রোজ এবার আবার আজগড় কে স্মরন
করতেই ও চলে আসে এবং বলল আমাকে
কেন বিরক্ত করছেন?
– রোজ ক্ষেপে গিয়ে বলল কাজে
ডেকেছি অকাজে নয়।
– নাফিসা কই ওর কোন respons
পাচ্ছিনা।
– আজগড় আর নিজে কে ধরে রাখতে
পাড়ল না। ধপ করে হাটু গেড়ে বসে
পড়ল।
.
.
.- আজগড়কে ওভাবে বসে পড়তে দেখে
রোজ থমকে গিয়ে বলল এই আপনার কি
হয়েছে?
– নাফিসা নেই। ওকে কোথাও খুজে
পাচ্ছিনা। কাইফের কাছেও
গিয়েছিলাম কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
– রোজের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।
– রোজ বলল আমি চেষ্টা করে দেখছি।
বলে ও ট্রাই করে কিন্তু কোন ফল
হচ্ছেনা।
– রোজ আমি আপনাকে অনেক বার কল
দিছি আরও ৪ দিন আগে কিন্তু আপনি
ফোন ধরেন নি। ভাবছি আর কোন দিন
আপনার সাথে যোগাযোগ করবনা।
– দুঃখিত আমার বাসায়…….. বলার
আগেই আজগড় কথা কেরে নিয়ে বলে
যানেন নিজের দুঃখ নিজেকেই বহন
করতে হয় যেমন আমি করছি।
– আজগড় আর কোন কথা না বলে ভ্যানিস
হয়ে চলে যায়।
– রোজ ফাকা মাঠে কিছুক্ষন দাড়িয়ে
থাকে। নাফিসা কই গেল?
– গভীর রাতে রোজ বাসায় আসে। রুপ
রোজের রুমে বসে আছে।
– রুপ কে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়
রোজ।
– কই ছিলি?
…………..!
– রোজ আমি তোকে কিছু বলছি?
———–!
– রোজ কথা বলছিসনা কেন বলে
জোরে চিৎকার দেয় রুপ।
– এবার রোজ ঝুপ ঝুপ করে কাদতে
লাগে।
– রোজ কিছু বলছি কথা কেন বলিস না
বলে ঠাসসসস করে চড় মাড়ল রুপ?
– মিনা আর সিড এর মধ্য রুমে হাজির।
– রুপ সমস্যা কি ওকে মারছো কেন?
– এবার রোজ চিৎকার করে কেদে উঠে
বলে তোমাদের কথা God শুনেছে।
এবার তোমরা উল্লাস কর। নাফিসাকে
পাওয়া যাচ্ছেনা। ও নেই জানিনা
কোন বিপদে পড়েছে কিনা।
– সিড এসে বলল রোজ কি বলছ তুমি!
তোমার মাথা ঠিক আছে?
– Dad আমি সত্য বলছি বলে বসে পড়ল।
– রুপ নিজের কান কে বিশ্বাস করতে
পারছেনা।
– আমি একটা শূন্য প্রান্তরে এসে
পৌছালাম।
সাপটি বলল মালিক আমি আপনাকে শুধু
পথ দেখাতে পারব আর কিছু না।
– আপনাকে নিজে সব করতে হবে।
– আমি বললাম অদৃশ্য হলে তুমি আমায়
দেখতে পাবা?
-হ্যাঁ মালিক।
– আমি কৃষ্ণ পাথরটি মুখে পুরে নিলাম
আর সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে গেলাম।
– আমরা ফাকা প্রান্তরে চলতে
লাগলাম।
যখন মাঝখানে এসে পড়লাম তখন ঝুপ করে
পানির নিচে পড়ে গেলাম। সাথে
সাথে পাথরটি মুখ থেকে পড়ে গেল।
– আমার সামনে হাজারো ভুত প্রেত
এসে হাজির হলো। আমি ভয় পেয়ে
গেলাম। সাপটিকেও আর দেখছি না।
– ওরা হা করে আমাকে খেতে আসে।
আমিতো চোখ বন্ধ করে ফেলি এমন দৃশ্য
দেখে। এই বুঝি আমি শেষ।
– হাঠাৎ কেউ আমায় জোরে ধাক্কা
দেয়। আমি চোখ খুলে দেখতেই সাপ
টাকে দেখি এ আমাকে পাথরটি
এগিয়ে দেয় আর আমি সেটা টুপ করে
মুখে পুড়ি।
– ভুত প্রেত গুলো হাতরে হাতরে আমায়
খুজতে থাকে।
– আমি ওখান থেকে আবার পথ চলা শুরু
করি।
– সাপটি এসে এক বিশাল ফটকের
সামনে থামে। এবং বলে আপনি
ধাক্কা দেন।
– আমি ধাক্কা দিতেই সেটা খুলে
যায়। এতো সহজে খুলে গেল কিভাবে।
– আপনার জন্য সব সহজ যদি একটু মাথা
খাটান তাহলে।
– আমি ভিতরে ঢুকে পড়লাম।
– অদ্ভুত জায়গা আসে পাশে বিশাল
মাছগুলো ভেসে বেরাচ্ছে। সাগরের
ভিতর আবার একটা পুকুর দেখা যাচ্ছে।
– ওর ভিতর লাফ দিতে বলল। আমি
কথামত লাফ দিলাম।
– আমি পরছি তো পড়ছিই কোন কুল
কিনারা নাই। কতক্ষন যে এভাবে চলছি
মনে নেই।
– একটা সময় থেমে গেলাম আমি।
– সামনে একটি সাদা রুপোর দরজা
সেখানে দাড়াতেই খুলে গেল। আমি
গিয়ে দেখি একটা বৃদ্ধ বসে আছে।
– আমি ওনার কাছে যেতেই উনি বলে
উঠলেন কি চাও। এতদুর কেন এসেছো?
– আমি ওনাকে বললাম রুপ সম্পর্কে।
আমার ঐ বাসায় স্থায়ী ভাবে
থাকতে হবে আর আমি রুপের স্ত্রী।
-উনি পিছন ফিরে আমাকে দেখেই
মনে হল ভুত দেখার মত চমকে গেল।
– এলিনা তুমি?
– আমি বললাম দুঃখিত আমি নাফিসা
এলিনা নয়।
– উনি আমার কাছে এসে বলল তুমি
তাহলে এলিনার সন্তান।
– আমি নাবিলা এবং মেহেদীরর
সন্তান। এলিনা সম্পর্কে আমি কিছুই
জানিনা।
– এলিনার নামই নাবিলা। ইসলাম ধর্ম
গ্রহন করে নাম পাল্টিয়েছে।
– তুমি আমার এখানে এই কারনে
এসেছো?
– জ্বী আপনি কি আমায় সাহায্য
করবেন?
– লোকটি অনেকক্ষন আমার দিকে
তাকিয়ে বলল তোমার মায়ের উপর
আমার অনেক রাগ ছিল। শেষ যখন আমার
সাথে দেখা করতে এসেছিল তখন আমি
ইচ্ছা করে তার সাথে দেখা করিনি।
সে খুব কেদেছিল কিন্তু আমার মনে
দয়া হয়নি। যখন আমি ওকে বুঝতে
পারলাম কিন্তু সময় আমাকে আর সুযোগ
দিলনা। ও আর নেই।
– আমি কেদে বললাম আমি অসহায়
আমাকে সাহায্য করুন। মা বাবা
থাকলে কখনও আমি এই সমস্যার ভিতর
হয়ত থাকতাম না। আমিতো ওনাদের
আদর পাইনি। বাবা মা কি জিনিস
আমি তা জানিনা
– ঠিক আছে আমি তোমায় সাহায্য করব।
তুমি এখন চলে যাও। ঠিক সময়ে আমি
তোমার কাছে পৌছে যাব।
.
.
.
– আমার দিকে উনি তাকিয়ে হাত
তালি দিল ২ বার আর সাথে সাথে
শুকরা জ্বীনের কাছে চলে আসলাম।
– আম্মা আপনি আইছেন?
– হুম দাদু। আপনি কেমন আছেন?
– আম্মা বিশ্বাস করুন এই ১৭ দিনে
একবারও চোখের পাতা এক করিনাই
– কিহ আমি ১৭ দিন হল এখানে এসে।
তারমানে সব মিলে ১ মাস আমি
হোস্টেল থেকে বাহিরে আছি?
– আমাকে তো আর ঢুকতে দিবেনা
হোস্টেলে।
– আম্মা সম্টা সামলিয়ে নিয়েছে
ওদিকে। চলুন আমরা বাসায় চলে যাই।
– আমিও বললাম চলো।
.
.
.
– এক মাসে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে
গেছে
– রুপের বান্ধবী জেসিকার আগমন
ঘটেছে।
– মিনাতো বলেই দিছে সবাইকে রুপের
জেসিকার সাথে বিয়ে।
– রুপের মতামতের কোন গুরুত্ব নেই
এখানে।
– আমাকে নিয়ে হোস্টেলে চলে গেল
শুকরা জ্বীন।
– আমি রুমে আসতেই দেখি আজগড় সুয়ে
আছে।
– আজগড় তুমি এখানে?
– আজগড় সোজা এসে আমাকে কষে
একটা চড় মারে। আমি টাল সামলাতে
না পেরে পড়ে যাই।
– ও বলে উঠল কি মনে কর নিজেকে।
টেনশন হয়না কি আমার। পাগলের মত
তোমায় খুজেছি। তোমার কি একবারও
আমার কথা মনে পড়েনি?
– আমি অনেক কষ্টে উঠে ওর কাছে
গিয়ে বললাম আজগড় আমি প্রচন্ড
ক্লান্ত। আমায় একটু শান্তি দিতে
পারবা? একমুঠো শান্তি চাই
বলেই টলে পড়ে গেলাম। এতদিনের
ক্ষুধা, ক্লান্ত শরীর নিয়ে হয়ত আজগড়ের
চড় আমার শরীর আর নিতে পারেনি।
– আজগড় পিছে ফিরেই আমাকে ধরল।
–
–
–
– নাফিসার মাথা আজগড়ের বুকের
কাছে। আজগড় কাদছে আর বলছে তুমিও
কষ্টে থাক আর আমাকেও রাখ।
.
.
– রোজের ফোনে আজগড়ের কল দেখে
রোজ দ্রুত রিসিভ করে।
– রোজ হোস্টেলে আসো। নাফিসাকে
পাওয়া গেছে।
– রোজ যেমন অবস্থায় ছিল তেমনি দৌড়
দিল।
– সিড বলল রোজ what happen?
– Dad নাফিসা বলেই এক নিমিষে বের
হয়ে গেল।
– সিড কিছু বুঝতে পারলনা।
.
.
– নাফিসা গভীর ঘুমে মগ্ন। রোজ
সামনে বসে আছে।
– কই ছিল ও জানতে পারছেন?
– না।
– ও মনে হয় খুব ক্লান্ত ও কি কিছু
খাইছে?
– না।
– রোজ নাফিসাকে কয়েকবার ডাক
দিতেই উঠল ও।
– রোজ আমার খুদা লাগছেরে আমায়
একটু ভাত দিবি?
– আজগড় বলল ভাত তোমার সামনেই।
– আমার ভাত তুলে খাওয়ার মত শক্তি
নেই।
– আজগড়ের দিকে তাকাতেই ও হাত
ধুয়ে আমার মুখে খাবার তুলে দেয়।
– একমনে নাফিসার খাবার খাওয়া
দেখছে রোজ।
– ইশ্ যদি ওকে ও এভাবে খাওয়াতো
আজগড়।
–
–
-.রোজ বাসায় চলে আসল।
– রোজ কই গিয়েছিলা ওভাবে দৌড়ে।
ডাইনিং রুমে সবাই ছিল।
– Mom নাফিসাকে দেখতে
গিয়েছিলাম বলেই রুপের দিকে
তাকালো।
– রুপের ছটফট যেন বেরে গেল।
– জেসিকা বলে উঠল ঐ বেয়াদপ মেয়ে
এখনও বেচে আছে?
– Shut up জেসিকা। she is my best friend.
-Dad আমাদের কাল না বাসায় পার্টি
রেখেছো সেখানে নাফিসা এবং
আজগড়কে invite করতে চাই।
.
.
– ওকে আমার কোন আপত্তি নেই।
তাছাড়া ওকে অনেক দিন থেকে
দেখি নাই।
– আমার আপত্তি আছে বলে মিনা উঠে
দাড়াল।
– Mom তোমার আপত্তি থাকলে আমার
যায় আসেনা। যদি কিছু বল তাহলে
আমি attend করবনা।
– Dad আমার রুমে আসো কথা আছে।
– Dad তুমি গিয়ে ওদের Invited করবে।
তোমার কথা ও ফেলতে পারবেনা।
– okkk.
– Dad আমার মনে হয় রুপমকে ফিরে
নিয়ে আসার পিছনে নাফিসার হাত
আছে।
– আমারও মনে হয় তাই বলে সিড চলে
গেল।
.
.
.
– আজ টুকনির বাচ্চাটার সাথে আমি
খেলা করছি। এতদিন মনে হয়নি ও এত্ত
ভাল বাচ্চা।
– বাচ্চাটির নাম টিটো।
– টুকনি এসে বলল আম্মার আরাম দরকার
চলরে টিটো বলে ওকে নিয়ে গেল।
– আমি একা বসে আছি। আজগড় একটু পর
আসবে হয়ত।
– সিড নাফিসার রুমে গিয়ে ওকে
চমকে দেয়
– সাথে কেয়ারটেকার নাজমাও ছিল।
-sir আপনি নাফিসারে চিনেন?
– হুম খুব করে চিনি।
– আমি আংকেল কে দেখে চমকে
উঠলাম।
– আংকেল ভ্রু নাচিয়ে বলল কি কেমন
আছো?
– জ্বী ভাল। রুপম কেমন আছে।
– ভাল বলে আমার দিকে তাকিয়ে
থাকল।
– আংকেল কিছু বলতেন?
– হুম বলে আমাকে একটা কার্ড দেয়।
কাল কিন্তু অবশ্যই আসবে।
– আমি ভিষন অসুস্থ যেতে পারবনা
আংকেল।
– কোন বাহানা শুনছিনা কাল আসতেই
হবে। আচ্ছা আজগড়কে পাব কোথায়?
– আপনি একটু অপেক্ষা করুন একটু পর এসে
যাবে।
– একটু অপেক্ষা করতেই আজগড় এসে যায়।
– সিড আজগড় কে কার্ড দিয়ে চলে
যায়। যাওয়ার সময় খুব অনুরোধ করে যায়।
.
.
.
– আজগড়!
-হুম বলো।
– এটা কিসের কার্ড দিয়ে গেল?
– খুলে দেখ।
– ওয়েট আমি খুলছি বলেই ও খুলে ফেলে
দেখে চুপ করে গেল।
– কি বললানা?
– আমার হাত থেকে কার্ড কেরে
নিয়ে বলল কাল গেলেই বুঝতে পারবা।
– আমি কি পড়ে যাব পার্টিতে।
– শাড়ি পরে যেও।
– ধ্যাত আমিতো শাড়ি পড়তেই
পারিনা। আর তাছাড়া সামলাতে
পারবনা।
– আম্মা এখানে আসতে বলব নি উনি
সুন্দর শাড়ী পড়াতে পারে।
– উনি কি আসবেন?
– অবশ্যই আসবে।
– তুমি কি পড়বা?
– সেটাই ভাবছি। রোজকে জিঙ্গাসা
করলে কেমন হয়।
– রোজ তোমাকে খুব ভালবাসে জান?
– না জানতামনা। তোমার কাছে প্রথম
শুনলাম।
– উফ্ তুমি কিছুই জান না?
—————–!
– ওর চুপ থাকা দেখে আর কিছু
বললামনা।
– ও চলে গেল বলে গেল কাল বিকেলে
আন্টিকে নিয়ে আসবে নাকি।
– আমার শরীর খুব খারাপ জ্বর আসবে
মনে হয়।
.
.
.
– রুপ রোজের মুখে নাফিসার কথা শুনে
ছটফট করছে। যদি একটু কথা বলতে পারত।
কিন্তু কোন উপায় নেই। আচ্ছা কাল কি
ও সত্য আসবে।
.
.
.
– আমার গায়ে জ্বর আসছে। জানিনা
যেতে পারব কিনা। এর মধ্য রোজ বার
বার কল দিয়ে বলেছে Dad কিন্তু
তোকে ইনভাইট করছে আমি করিনি।
– আংকেল ২ বার কল দিছে এই
ব্যাস্ততায়।
– কি আর করা যেতেই হবে।
– দিনটা কোন রকম কেটে গেল। আসরের
নামাযের পর আন্টি এসে গেল।
– ওনাকে সালাম দিলাম। ওনি আমার
কপালে একটা চুমা খেয়ে বলল কেমন
আছো।
– জ্বী ভাল আছি। আপনি?
– হুম ভাল বলেই একটা শাড়ী আমাকে
দেখালেন। কফি কালার উপরে
স্টোনের কাজ। অসাধারন শাড়ী।
– আমি ব্লাউজ এবং পটিকোট পড়ে
আসলাম।
– উনি আমাকে শাড়ী পড়িয়ে দিলেন।
সাথে ম্যাচ করে জুয়েলারি সেট।
– উনি বললেন আর কিছু দরকার নেই। তুমি
প্রাকৃতিক ভাবে অস্ম্ভব সুন্দর। তাই
দরকার নেই মেকাপ করা।
– শুধু কাজল দিয়ে দিলেন।
তারপর আয়নায় দাড়াতে বললেন।
– আয়নায় দাড়িয়ে চোখ ছানাবড়া
হয়ে গেল। এটা কি আমি! এত্ত সুন্দর
হলাম কি করে।
– তুমি আগে থেকেই সুন্দর। তুমি
নিজেকে মেলে ধরনি তাই।
– আমি একটা হাতে পার্স নিয়ে
নেমে আসলাম। অনেক মেয়ে আমার
দিকে তাকিয়ে আছে জানিনা কি
ভাবছে।
– গেট থেকে বেড় হয়েই দেখলাম আজগড়
গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
.
.
– Oh my God আজগড় তোমাকে দারুন
লাগছে। শশুড় বাড়ি যাবা বলে এতো
সেজেছো?
– ও মুচকি হেসে বলল তোমাকে দেখে
মনে হয়না কারো পলক পড়বে।
– যাহ্ কি যে বলো না তুমি।
– ok mam এবার যাওয়া যাক।
– আমি কিছু না বলে গাড়িতে উঠলাম
দেন ও গাড়ি স্টার্ট দিল।
– ৩০ মিনিট এর মধ্য আমরা পৌছে
গেলাম।
– wow বাসাটি কি সুন্দর করে
সাজিয়েছে। just awesome.
– দারোয়ান কার্ড দেখতে চাইল। এই
রে কার্ডতো আনতে ভুলে গেছি এখন
কি করি।
– আজগড় ওর কার্ড বের করে দেখালো। ও
ভিতরে ঢুকলে আমাকে আর ঢুকতে
দিলনা।
– আমি ওকে বললাম তুমি একটু রোজ কে
ডেকে আনো প্লিজ।
– আজগড় চলে গেল ভিতরে আর আমি
দাড়িয়ে রইলাম। কি লজ্জা কি লজ্জা!
– – বাসার পুরনো দাড়োয়ান নরেন্দ্র
কাকা এসে বলল আরে নাফিসা দিদি
মনি যে, দাড়িয়ে আছেন কেন?
– কাকা কার্ড আনতে ভুলে গেছি তাই
ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন্।
– আমি দেখছি দিদি বলে গার্ডের
সাথে কথা বলল এবং আমি ভিতরে
ঢুকলাম।
– যাক বাবা এতো এলাহী কান্ড
কারখানা দেখছি।
– কাউকে চিনিনা। অনেকে আমার
দিকে তাকিয়ে আছে সে দিকে
পাত্তা না দিয়ে আমি এক জায়গায়
গিয়ে বসে পড়লাম।
– আজগড় গেটের কাছে এসে দেখে
নাফিসা নেই।
– গার্ড কে বলতেই বলল ঢুকে গেছে
অনেক আগে।
– এখন এই এত্ত গুলো মানুষের মাঝে
খোজাও দায়।
– প্রায় ১ হাজার মানুষের উপর
আরেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে। মানুষ ও
নেহাত কম না।
– রোজ তোহ আজ আজগড়কে দেখে
ফিদা হয়ে গেছে।
– এই আপনাকে তো দারুন লাগছে।
– Tnx
-আমাকে কেমন লাগছে।
-nice বলেই এদিক ওদিক কিছু খুজছে।
– কি খুজছেন ওভাবে?
– নাফিসাকে। ওকে দেখছিনা।
– আসুন আমরা ২জন মিলে ওকে খুজি।
– সবাই পার্টি ড্রেস পড়ে আসছে আর
আমি খোলা চুলে শাড়ী পড়ে আছি।
– রাত ৯ টা থেকে পার্টি পুরো দমে শুরু
হয়ে গেল।
– কই থেকে যেন রুপম দৌড়ে এসে আমায়
জড়িয়ে ধরল।
– এই sis তোমাকে দারুন লাগছে। আমি
যদি বড় হতাম তাহলে তোমায় বিয়ে
করে নিতাম।
– তাই! রুপম রুপ কোথায় আছে জানো?
– ভাইয়া ঐ দিকে চলো আমার সাথে।
– আমি শাড়ী সামলাতেই হিমসীম
খেয়ে যাচ্ছি।
– কিছু দুর যেতেই দেখি মেঘলা, আকাশ,
তুহিন,শুভ্র সহ অনেকে দাড়িয়ে আছে।
আমাদের ক্লাসের অনেকে আসছে।
– wow so buitiful my Lady…..
– তোমাকে দারুন লাগছে নাফিসা।
আজ কিন্তু আমার সাথে নাচ করতে হবে
তোমার কি রাজি?
– না বলে চলে এলাম
— রুপম কই গেল খুজে পাচ্ছিনা। এই রে
এখন কোথায় খুজি ওকে।
– এমন সময় রুপ আমাকে একটান দিয়ে
ঝোপের আড়ালে নিয়ে গেল।
– শাড়ী যখন সামলাতেই পারনা
তাহলে শাড়ী কেন পড়ছো?
– আপনাকে দেখানোর জন্য হইছে! ছাড়ুন
আমাকে আপনার সাথে কথা বলার
আমার একদম রুচি নাই।
– কেন?
– I heat you বলে চলে আসলাম।
।
।
।
২৫ পার্ট
– আমি দাড়িয়ে আছি। পিছন থেকে
কাইফ sir এসে বলল নাফিসা তোমায় খুব
সুন্দর লাগছে।
– Tnx sir আপনাকেও দারুন লাগছে।
– এমন সময় মাইক্রোফোনে মিনা আন্টি
বলে উঠল Ladies and gentleman শুভ সন্ধা। এই
মহেন্দ্র ক্ষনে আপনাদের এই মহামিলনে
রুপ আর জেসিকার এঙ্গেজমেন্টের
অনুষ্ঠান এখনই শুরু হবে।
– কথাটি শুনার পর থেকে আমার হাত
পা কেপে যাচ্ছে। এটা আমি কি
শুনলাম। এটার জন্য আমি এখানে
এসেছি?
– আমি সোজা বারের কাছে বসলাম।
চোখের পানি বাধ মানছেনা।
– রুপ আর জেসিকা আংটি বদল করে
ফেলল।
– আমার পিছনে কাইফ sir এসে বসল।
-sir ওগুলো খেলে কি কষ্ট দুর হয় বলে
একটা ওয়াইনের বোতলের দিকে
দেখিয়ে দিলাম।
– ছি নাফিসা তুমি এগুলো কেন খাবা
বল।
– ওয়েট আমি আসছি।
– মেঘলা আমার কাছে এসে বলল কিরে
তোর পাখি অন্য খাচায় যে উড়ে গেল।
– আমি এবার আর দেরি না করে
ওখানে গিয়ে বললাম brother একটা পেগ
বানিয়ে দেন তো।শামপিং,,ওয়াইন,
টাকলি, অফিসার চয়েস ব্লু সবার ২ টা
করে পেগ বানাবেন।
– mam আপনার স্যুট করবেনা।
– আমি যা বলেছি তাই করুন।
– ওরা বানিয়ে দিচ্ছে আর আমি
গিলছি। কয়টা যে গিললাম মনে নেই।
– কেউ একজন এসে ওদের ধমক দিল।
-অহ এটাতো কাইফ স্যার।
– কাইফ নাফিসাকে বসিয়ে দিল। এই
মেয়ে তোমার সাহস হয় কি করে এগুলো
খাওয়া।
– Sir আপনি কাউকে ভালবেসেছেন?
– কাইফ চুপ করে গেল। হুম বেসেছি এবং
খুব বেশিই।
– সে যদি আপনার সামনে অন্য কারো
সাথে হাত ধরে চলে যায় তাহলে
কেমন লাগবে?
– খুব কষ্ট।
-sir আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। চিৎকার দিয়ে
কাদতে ইচ্ছা করছে কিন্তু পারছিনা।
– আমার খুব কষ্ট হচ্ছে sir বলে ফুফিয়ে
কেদে উঠলাম।
-sir চলেন আমরা ডান্স করি। আপনি
আমাকে সামলাতে পারবেন না।
– কাইফ যেন এটাই চাইছিল তাই দেরি
না করে ওকে নিয়ে হাটা দিল।
– তুমকো পায়া হেতো যেছে খোয়াহু
কেহানা চাও ভি তো তুমছে কিয়া
কাহু
কিছি জাবাভি , গোলাভ জি ভি
নেহি
কি তুমছে কিয়া তুমে বাতা ছাকো
শিরো নামে হিন্দি song চলছিলো।
– নাফিসা কে নিয়ে ডান্স করছে। আজ
যেন কাইফের স্বপ্ন পুরুন হতে চলছে।
– আজগড় এই অবস্থায় দেখে বেশ রেগে
যায়।
– শুধু আজগড় না রুপও ওকে এই অবস্থায়
দেখে খেপে যায়।
-sir আমার ভাল লাগছেনা ছাড়ুন আমায়
বলে চলে আসলাম।
– মাথা খুব ঘুড়ছে। মনে হয় খুব নিশা ধরে
গেছে।
– আমি কাছে একটা চেয়ার দেখে
ওখানেই বসে পড়ি।
– নাফিসা ওয়েট আমি পানি আনছি
এখান থেকে একদম নড়বেনা।
– ok sir.
– আমাকে কেউ টেনে নিয়ে গেল
কোন দিকে যেন। আমি বুঝতেই
পারছিলাম না।
– ভাল করে চেয়ে দেখি রুপ।
– রুপ! ছাড় বলছি আমায়। একদম আমায়
ছোবে না।
-রুপ নাফিসাকে একদম বাহিরে আনল।
– এই তুমি ড্রিংক কেন করছো।
– ওর কথা শুনে খেকিয়ে উঠে বলি বেশ
করেছি আরও করব এবং ভবিষ্যতেও করব।
– তুমি কাইফের সাথে নাচ করছিলে
কেন? কয় জন লাগে তোমার!
– কেন তোমার হিংসা হয়?
– তুমিও কর।
-Let’s enjoy and enjoy. yhahoo
– রুপ ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল
আমাকে।
– আমি একটু হেসে বললাম রুপ যানো এই ৭
মাসে তুমি আমায় ১৮ টি চড় মেরেছো।
এটা দিয়ে ১৯ টি হবে।
– আমি রুপকে জড়িয়ে ফুফিয়ে কেদে
উঠলাম। রুপ আমাকে ছেড়ে যেওনা।
তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে হয়
আমি মরে যাব না হয় পাগল হয়ে যাব।
আমার খুব কষ্ট হয় রুপ। তুমিতো এরকম ছিলা
না। আমার থেকে ও তুমি আমায় বেশি
ভাল বাসতে তাহলে কেন আমাকে
ছেড়ে চলে যাচ্ছো রুপ।
আমি তোমার বিয়ে করা বউ তুমি কেন
বুঝতে পারছো না।
I Love You Rup.
I really loveyou. I need you. I all time miss you
Rup. বলে ওকে পাগলের মত kiss করতে
লাগলাম।
– রুপ মনে হয় আর নিজেকে ধরে রাখতে
পারলনা। নাফিসাকে বুকে সাথে শক্ত
করে জড়িয়ে ধরে ওর ঠোট ২ টো
নিজের ঠোট দিয়ে গ্রাস করে ফেলল।
– স্মৃতি মুছে গেলেও কারো
ভালবাসার অভ্যাস বদলে যায় না
যেটা রুপের সাথেও হয়েছে।
–
–
–
– আজগড় খুজতে খুজতে ওদের কাছে
দাড়িয়ে যায় পিছনে রোজও দাড়ায়।
– একজোড়া কপোত কপোতী একে
অপরকে আলিঙ্গন করছে।
– হঠাৎ রুপ ছেড়ে দিয়ে পিছে তাকায়।
ওদের ২ জন কে দেখে চুপ হয়ে যায়।
– আজগড় ওকে হোস্টেলে দিয়ে আসো
আমি ফোন করে বলে দিব.। কোন সমস্যা
হবে না।
– আজগড় এসে নাফিসাকে ধরে।
– রুপ চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই
আমি চিৎকার দিয়ে বলে উঠি রুপ আমি
একবারে তোমার কাছে আসব। শুধু
সময়ের অপেক্ষা। তুমি শুধু আমার। যে
আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে
নিবে তার বিনাশ আমি নিজে করব
কথাটা মনে রেখ। আর কিছু বলতে
পারিনি।
.
.
.
– রুপ বাসায় ঢুকে পড়ল বাহিরে পার্টি
চলছেই। মিনা এসে ছেলেকে বলল রুপ
এখানে কেন?
– mom শরীর খারাপ লাগছে আমি একটু
ঘুমাব।
-okk my son.
– মিনা চলে গেল।
– রুপ ভাবছে কি হতে কি হয়ে গেল। ওর
গায়েতো জ্বর ছিল খুব।
– আজগড় ওকে নিয়ে আসে রুমে।
– আজগড় তুমি যাও এখন আমি ঘুমাব।
– তোমার শরীর খারাপ আমি না হয় আজ
এখানে থাকি।
– না বলছিনা চলে যাও। কাল এসো
আবার বলে ওকে আর কথা বলার সুযোগ
দিলাম না।
-আজগড় চলে গেলে রুপ কে কল দিলাম।
– রুপ কল রিসিভ করতেই আমি ওকে গভীর
ভাবে ১টি kiss করলাম।
– রুপ আমি কাল আসছি তোমার কাছে
একবারে থাকার জন্য। আমাদের বেড
ভাল ভাবে গুছিয়ে রাখবা। দেখো
আমি কিন্তু অপরিষ্কার একদম পছন্দ
করিনা।
আরও অনেক কথা বললাম। রুপ তুমি
কাদছো! আল্লাহ কেন কাদছো।
আমিতো আসছি তোমার কাছে
চিন্তা করছো কেন। আমার জন্য নিজে
পছন্দ করে কয়েকটা ড্রেস কিনে
রাখবা। আমি তোমার সাথে নতুন জিবন
শুরু করতে যাচ্ছি তাই নতুন সব কিছু।
– রুপ সত্যই কাদছে। নিঃশব্দে কিন্তু ও
কিভাবে বুঝল।
– নাফিসা!
————!
– রুপ বুঝল ও ঘুমিয়ে পড়েছে তাই কল
কেটে দিল।
।
।
।
– সকাল বেলা উঠে ঐ জ্বর শরীর নিয়েই
আমি নাজমা আন্টির কাছে গেলাম।
তাকে বললাম আমি হোস্টেল ছেড়ে
দিব। উনি অবাক হয়ে বলল কেন মা!
অনেকে ছিট পায়না আর তুমি ছেড়ে
দিচ্ছো?
– হ্যাঁ আন্টি, আপনি সব কিছু একটু দেখুন
না।
– রুমে এসে সম্টা কে ডাকলাম। ওদের
সবার কাছে বিদায় নিয়ে চলে
আসলাম।
.
.
.- খুব সকালে কেউ একজন রুপদের বাসায়
হাজির।
– মিনা দৌড়ে এসে বলে ফাদার
আপনি! কি সৌভাগ্য আমাদের আপনার
পদধূলি আমাদের বাসায় পড়ল।
– এই সে ফাদার যার কাছে নাফিসা
গিয়েছিল।
– বাসার সবাইকে ডাকো। সবার সাথে
কথা আছে।।
– মিনা খুব খুশি হয়ে সবাইকে কে
ডাকে। সবাই তো এসে সেই মহা খুশি।
– রুপের কি বিয়ে হইছে?
– সবাই অবাক হয়ে বলল না তো!
– হুম হয়েছে তোমাদের সকলের
অজান্তে। আর সেটা রুপ নিজে করেছে
জোড় করে।
– জেসিকা চমকে ওঠে বলে ফাদার
আপনি এসব কি বলছেন?
– আমি কখনও ভুল বলব না সেটা তোমরা
ভাল করেই জান।
– কে সেই মেয়ে ফাদার?
– আমি যেন এই আসায় ছিলাম। ওদের
সামনে বের হয়ে আসলাম।
– ওরা সবাই আমাকে দেখে চুপ হয়ে
যায়। রুপ যে এমন আমার সাথে করতে
পারে সেটা ওদের অবিশ্বাস করার
কিছু ঘটনাই নয়।
– ফাদার বলল ওর অসম্মান যেন না হয়। ও
রুপের বিবাহিত স্ত্রী।
– মিনা আমি চাইনা তুমি তোমার
ছেলের কাছে খারাপ হও তাই
সাবধান। এই বলে ফাদার আমার কাছে
এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
দোয়া করলেন এবং ভ্যানিস হয়ে চলে
গেলেন।
– আমাকে দেখে রোজের সেই খুশি। শুধু
মিনা এবং জেসিকার দিকে
তাকালে মনে হচ্ছে ওদের মুখ দিয়ে
বিষ পড়ে যাচ্ছে।
– আমি ঐ দিকে না তাকিয়ে সোজা
রুপের কাছে গিয়ে বললাম বাহিরে
আমার লাগেজ আছে সেটা নিয়ে
রুমে আসুন জলদি।
– রুপের সবকিছু যেন মাথার উপর দিয়ে
গেল। তাহলে ও রাতে যা কিছু নেশার
ঘোরে বলেছিল সব ঠিক।
– রুপ কাজের লোককে ইশারা করল
লাগেজ রুমে পৌছে দিতে।
– লাগেজ যখন রুমে দিতে গেল
লোকটিকে তখন বললাম আপনাদের রুপ
স্যার কে রুমে আসতে বলেন। আমার
শরীর খুব খারাপ।
– মিনা রুপের সাথে কথা বলছে। খুব
রেগে আছে।
– sir mam আপনাকে ডাকছে । ওনার শরীর
খুব খারাপ।
– রুপ কিছু না বলে রুমে উঠে আসল।
.
.
.
– আমার শরীর খুবই খারাপ লাগছিল।
মনে হয় হুহু করে জ্বর বেরেই যাচ্ছে।
– রুপ রুমে এসে বলল আমি তোমাকে কবে
বিয়ে করেছি হুম। এই নাটকটি না
করলেই কি ছিল না?
– আমি ওর কথার কোন উত্তর না দিয়ে
আজগড় কে কল দিলাম।
– hlw আজগড় আমি রোজদের বাসায়
সিফট্ করেছি। তুমি আর হোস্টেলে
যেওনা বলে কল কেটে দিলাম।
– ঐ ছেলেটি তোমার কে হয়?
– জানের জিগারের দোস্ত বলতে
পারেন। আমি ওকে ছাড়া থাকতে
পারলেও ও আমাকে ছেড়ে থাকতে
পারবেনা।
– What?
-Yes my ছোয়ামী।
– এই এভাবে কথা বলছ কেন। ভাষার তো
একটা রুচি আছে।
– ওরে আমার ভাষা বিশারদ সোয়ামী
আপনের মত ৫৮ ভাষা আমার জানা
নেই।
– তুমি কেমন করে জানলা আমি ৫৮
ভাষা জানি।
– আবার জিগাই। আমি আন্নের বিষয় সব
জানি সোয়ামী।
– উফ্ কি বিশ্রী ভাষা।
– আমার ড্রেস লাগবে মানে পড়ার মত
সুতি শাড়ী লাগবে।
– আমি ঘুমালাম। ঘুম থেকে উঠেই যেন
দেখতে পাই সেগুলো বলে সুয়ে
পড়লাম।
–
–
–
– রুপ ভেবে পায়না এত্ত ঝগড়া করার
এনার্জি পায় কোথা থেকে।
– নিচে জেসিকা চিৎকার করে বলছে
ও কানাডা থেকে আসার সময়
আপনাকে বার বার বলেছিলাম রুপ কে
এখানে না নিয়ে আসতে।
কিন্তু আপনি কি করলেন? এত বড় সর্বনাশ
করতে নিয়ে এলেন।
– কাল যার এঙ্গেজমেন্ট হল আর আজ
এগুলো শুনতে হচ্ছে। আমারও তোহ একটা
সম্মান আছে।
– রুপ কই যাও।
– কাজ আছে mom বলে রোজকে ডেকে
ওর সাথে নিয়ে গেল।
– রুপ রোজকে একটা শপিং মলে নিয়ে
গেল এবং বলল ৪০ টা শাড়ী চুজ করতে।
– কেন তুই কর। আমি শুধু দেখে দিচ্ছি।
– দোকানদার বলল sir যাকাত দিবেন?
যাকাতের কাপড় ওদিকে পাওয়া।
– Shut up নিজের বউকে দিব বুঝলে।
– তাই বলে এতো শাড়ী! সে নারী না
দেবী!!!
– আরে ভাই বোঝেন না নতুন বউ বলে
কথা বলেই রোজ হাসল।
– শোন আপাতত ১০ টি সুতির ভাল
দেখে শাড়ী নে।
– রুপ বাধ্য হয়ে নিজেই পছন্দ করল।
– এ মা ভাইয়া তোর চুজ এত্ত খারাপ।
– রুপ বাসায় এসে ওর রুমে গেল।
মেয়েটা ঘুমাচ্ছে। এত্ত অপরুপ মায়াবী
মেয়ে just কলিজাতে এসে ধাক্কা
দেয়।
– রুপ রেডী হয়ে ভার্সিটি তে যায়।
যাওয়ার আগে নাফিসার শরীর বন্ধ
করে দেয় যাতে কোন খারাপ কিছু
ওকে না ছুতে পারে। কারন জেসিকা
বা mom কাউকে ভরসা নেই।
– রোজ ও গেল ওর সাথে ভার্সিটি
তে।
– নাফিসা ছাড়া ক্লাস গুলো একদম
পানসে লাগছে। কখন যে বাসায়
যেতে পারব!
– আজগড়ের সামনে রোজ দাড়িয়ে
আছে।
– কি বলার জন্য ডেকেছেন?
– নাফিসা আমাদের বাসায় জানেন?
– হুম।
– আপনাকে কিছু বলার জন্য ডেকেছি।
– বলে ফেলুন।
– আপনি এত কঠোর কেন? আপনি কি কিছু
বোঝেন না।
– কি বুঝব?
– I love you.
————-?
কিছু বলবেন না!
—————?
– এবার রোজ রেগে যায়। আপনার
সমস্যা কি হুম বলে পিছন দিক থেকে
আজগড় কে জড়িয়ে ধরে।
– তবুও আজগড় চুপ কিছুই বলছে না।
– আপনি কিছু বলবেন না?
– আপনি জানেন না আমাদের বিয়ে
অসম্ভব
আমরা অন্য ধর্মের তার উপর আমাদের
শত্রুতা আছে আপনাদের সাথে।
– আমি কিছু শুনতে চাইনা আপনি
আমাকে যেখানে নিয়ে যাবেন
সেখানেই যাব, আর যেভাবে রাখবেন
সেভাবেই থাকব।
– আমি চাই নাফিসার মত আমাকেও
আপনি কেয়ার করুন।
– ও আমার দায়িত্ব তাই ওকে ওভাবে
রাখতে হয় বলে আজগড় চলে যেতে
লাগল।
– আপনি শুনবেননা আমার কথা?
– নিজেকে পরিবর্তন করুন। আমাদের
মিলন সম্ভব না।
– ওকে বাই বলে রোজ রুপার ছুড়ি দিয়ে
হাত কেটে ফেলল।
গলগল করে রক্ত পড়েই যাচ্ছে।
– আজগড় থেমে যায় এবং একনিমিষে
এসে রোজকে ধরে ফেলে।
– পাগল হয়ে গেছ?
– আপনি আমাকে পাগল করে দিছেন।
– একটা মসজিদ থেকে রোজ আর আজগড়
বের হয়। ওরা আজ বিবাহিত।
– মেয়েদের ছলনা বোঝা বড় দায়। রোজ
বলল আমি সাড়া জীবন আপনাকে
পাশে চাই। আজগড় ওর কপালে কিস
করে। আজ যে ওদের আনন্দের দিন।
–
–
– রুপ ভার্সিটি থেকে বাসায় আসে
বিকেল ৪ টার সময়।
– রুমে ঢুকে দেখে নাফিসা ওভাবেই
সুয়ে আছে।
– এই মেয়ে এত ঘুমায় কেন?
– ফ্রেস হয়ে এসে নাফিসাকে ডাক
দেয়। কিন্তু ও অচেতন।
– গায়ে হাত দিয়ে দেখে ভিষন জ্বর।
তার মানে ও জ্বরে পড়েছিল।
– চিৎকার করে বাসার কাজের
লোকদের ডেকে বলল ও যে খাবার
খায়নি তোমরা কি ওকে একবারও
ডাকেছো?
– sir… mam নিষেধ করে গেছে।
Shut up. যাও খাবার রেডী করে নিয়ে
এসো।
– রুপ কয়েক বার মায়া বিদ্যা দিয়ে জ্বর
ভাল করার চেষ্টা করল কিন্তু শরীরের
তাপমাত্রা কমানো যাচ্ছেনা।
– নাফিসা! ওঠো জলদি।
– ওমমম… আমার শরীর ভাল লাগছে না
sir.
-স্বামীকে বাসায় sir কেন বলছে
সেটাই মাথায় ঢুকছেনা।
– ও আমাকে তুলে নিয়ে ওয়াস রুমে
রেখে বলে ফ্রেস হয়ে নাও জলদি।
– আমি কোন কথা না বলে ফ্রেস হয়ে
বের হয়ে দেখলাম ও খাবার মাখছে।
– ভাত! বলে ওর কাছে এসে বসে
পড়লাম। খুব খুদা লেগেছে কত দিন ভাত
খাইনা।
– রুপ ভ্রু কুচকে বলল কত দিন খাওনা
মানে!
– আমি চুপ করে থাকলাম তারপর ও
কাছে গিয়ে মুখ হা করে ইশারা
করলাম।
– ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি
বলছি এটা দেন। আর একটু বেশি করে
ভাত নেন। মানে ওকে জ্বালানো
নিয়ে কথা।
– ও একমনে খাওয়াই দিচ্ছে।
– খাবার শেষ হলে ও সারভেন্ট কে
ডাকল এবং ওরা সব নিয়ে গেল।
– রুপ আমাকে বসে রাখিয়ে আলমারি
থেকে সপিং ব্যাগ গুলো এনে
আমাকে শাড়ী গুলো দেখালো।
-Wow এগুলো আমার?
-হুম। পছন্দ হইছে?
– খুব হয়েছে বলে দৌড়ে ড্রেসিং
টেবিলের সামনে গিয়ে একেক টা
গায়ের উপর ধরে দেখছি। আমার বড়ের
দেওয়া গিফ্ট। পছন্দ হবেনা মানে
দৌড়াবে।
– রুপ নাফিসার পাগলামো গুলো
দেখছে আর হাসছে।
– রুপ ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে আমি
শাড়ি পড়তে পারছিনা।
– রুপ শাড়ি পরিয়ে দিবা একটু?
– ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই বলল sry
আমি শাড়ি পড়াতে পারি না।
– ইউটিউব দেখে পড়িয়ে দাওনা।
– তুমি নিজে দেখে পড়িয়ে নাও।
– আমি just পেটিকোট আর ব্লাউজ পরে
ওর সামনে দাড়িয়ে বললাম না তুমি
এখনই পড়িয়ে দিবা মানে এখুনি।
– রুপ আমার দিকে তাকিয়েই চোখ
সরিয়ে নিল।
– নাফিসা তোমার লজ্জা লাগেনা
এভাবে আমার সামনে এসে
দাড়িয়েছো?
– কেন এখানে ঐ জেসিকা থাকলে
বুঝি খুশি হতে।
– just shut up তোমার মুখে দেখছি কিছু
আটকায় না।
– পড়িয়ে দিবেন! না সব খুলে আপনার
সামনে বসে থাকব…..
– রুপ আর কোন উপায় না পেয়ে ইউটিউব
থেকে দেখে শাড়ি পড়িয়ে দিল।
– বুঝছি না ও বার বার আমার শরীর
থেকে স্মেল নিচ্ছিল কেন?
– শাড়ী পড়া কমপ্লিট করে আমার
দিকে তাকাল তার পর হঠাৎ করে চুলটা
খুলে দিল।
– কি রুমান্টিক জাগছে পতিদেবের
বুঝি!
– ও কিছু না বলে আবার ওর কাজে মন
বসিয়ে দিল।
– আমি ওকে বিরক্ত না করে নিচে
নেমে আসলাম।
– বিকেল হয়ে গেছে। আমি বাগানে
গেলাম সেখান থেকে পেয়ারা গাছ
থেকে পেয়ারা নামাতে চেষ্টা
করছি কিন্তু পারছিনা।
– এমন সময় জেসিকা আমার কাছে এসে
বলল খুব সখ না রুপের wife হওয়ার।
– সখ না আমি ওর লিগাল wife.
– ও আমার গলা চেপে ধরে বলল আজ
তোমার ওর wife হওয়ার সখ মিটিয়ে
দিচ্ছি।
– আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
– রুপ এসে এক ঝটকায় জেসিকাকে
ফেলে দেয়।
– আমার কাশতে কাশতে অবস্থা শেষ।
– তুমি ওর জন্য আমার গায়ে হাত তুলছো
রুপ।
– প্রয়োজনে আবার উঠাব। তোমার
সাহস কি করে হয় ওর গায়ে হাত
দেওয়া। ওর আশপাশ আসার চেষ্টা করবা
না। যাও এখান থেকে এক্ষুনি।
– আর তুমি এখানে কেন আসছো। একদম রুম
থেকে আমার অনুমতি ছাড়া বের হবা
না।
– আমি পেয়ারা খাব। তাই নিতে
এসেছি।
– ও গিয়ে কয়েকটা পেয়ারা নামিয়ে
এনে আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে
বাসায় আসল।
– আমি পেয়ারা কাটছি আর ও
দাড়িয়ে আছে। মেখে নিয়ে বাটি
হাতে নিতেই ও আমাকে নিয়ে উপরে
চলে আসল।
– আমি মজা করে খাচ্ছি আর ও
তাকিয়ে আছে। খাবেন!
– না।
– তাহলে ও ভাবে তাকিয়ে আছেন
কিয়ের লায়। পেট খারাপ হবে তো।
– রুপ বুঝে উঠতে পারেনা ও এমন কেন।
– সন্ধ্যায় সবার সাথে আড্ডা দিলাম।
জীবন কত সুন্দর।
– রাতে আমার খুব পেট ব্যাথা
করছিলো। আমি সুয়ে আছি।
– ও রুমে এসে বলল তুমি কি ঠিক আছো?
– পেট ব্যাথা করছে মনে হয় পেয়ারা
খেয়ে সমস্যা হইছে বলে কেঁদে উঠলাম।
– কেন ঝাল বেশি খাবা না। এত্ত ঝাল
মানুষ খায়!
– আমি ঠোট ফুলিয়ে পাশ ফিরে
থাকলাম।
– পেট প্রচুর ব্যাথা করছে।
– ও চলে গেল। শয়তান, খাটাস্, হিটলার,
চেঙ্গিস খান, বান্দর। বউ ব্যাথার কষ্ট
পায় আর উনার মনে একটুও কষ্ট নাই!
– আরো কয়েকটা গালি দাও। এই টুকুতে
আর মন ভরে না তোমার তো আবার।
– সব বুঝে ফেলে।
– আমার কাছে এসে আমার পেট থেকে
শাড়ি তুলে পেট উন্মুক্ত করে ফেলল।
– এই সময় আপনার ভিমরতি শুরু হলো!.
– হুম বলে আইস প্যাক আমার পেটের উপর
ঘষতে লাগল। বেশ আরাম লাগছিল বলে
চোখ বন্ধ করে রইলাম।
– ও এবার ওর হাত আমার পেটে ছুয়ে
দিল।
– আমার শরীর পুরো কেপে উঠল।
– ও চট করে উঠে দুরে সরে গেল।
– আমি উঠে ওর কাছে গিয়ে বললাম
আমার ছোট একটা রুপ চাই দিবেন
আমায়।
– ও রুম থেকে বের হয়ে গেল। আমি
হতাশ গলায় বসে পড়লাম। জানি সম্ভব
না।
– রোজ আমায় এসে বলল কিরে কি
করিস?
– কিছু না রে। কিছু বলবি?
– হুম আজ আমরা বিয়ে করছি।
-কিহ্!
– কারে বিয়ে করেছিস।
– আজগড় কে। আমার নাম এখন রোজ
ইসলাম।
– বাহ্ ২ ভাইবোনের দেখছি একই
অবস্থা।
– ভাইয়াও বলে আমার দিকে তাকাল।
– এই চুপ চুপ। কেউ শুনে ফেলবে। এই
তোরা বাসর করেছিস।
– যাহ্ ফাযিল মেয়ে কোথাকার বলে
রোজ উঠে পড়ল। সেটা কি আর বাকি
থাকে বলে রোজ চলে গেল ।
– আমিতো অবাক। কি করে এই কাজ সম্ভব
করল। যাক বেশ মনে মনে খুশি হলাম।
– রাতে রুপ রুমে আসল। আমি সুয়ে আছি।
– ও নিচে গিয়ে সুয়ে পড়ল। আমি শুধু
দেখলাম। বেশ খানিকটা পর আমার মনে
হলো ও ঘুমিয়ে পড়েছে দেখে খাট
থেকে নেমে চুপচাপ ওর কম্বলের মধ্য
ঢুকে পড়লাম।
– নাফিসা এখানে কেন আসছো?
– এই রে উনি তো জেগে আছে। এখনতো
মনে হয় চড় খেতে হবে।
– আমি এবার জড়িয়ে ধরলাম ওকে শক্ত
করে।
– আমি কি বললাম শুনতে পাওনি।
– না আমি কি পরপুরুষের কাছে আছি
নাকি যে আমায় উঠে যেতে হবে?
– পাগলামি করোনা। আমার কাছে
থাকা তোমার রিক্স।
– না আমি যাব না বলে ওকে kiss
করলাম।
– আমি কাউকে আমাদের রুমের সামনে
দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম।
– আমি চট করে গিয়ে হাত চেপে
ধরলাম।
– মিনা চমকে উঠল সাথে জেসিকাও।
– আমি চিল্লায় আংকেল কে
ডাকলাম।
– সবাই এসে হাজির। আরো কয়েকজন
ওদের আত্মীয় ছিল ওরাও আসল।
– বাবা কোন দিন দেখেছেন ছেলে
আর ছেলের বউ রুমান্টিক অবস্থায় আছে
আর তার মা এভাবে লুকিয়ে চুরি করে
দেখবে।
– রুপের মায়ের আর জেসিকার
চেহারা দেখার মত। ওরা লজ্জায়
মাথা নিচু করে আছে।
– এবার সামলাও ঠেলা।। আমি এটোম
বোম ফাটিয়ে রুমে আসলাম।
– রুপ নিজেও লজ্জা পাইছে ওর মায়ের
কান্ড দেখে।
– মধ্য রাত। রুপ রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
আমি শুধু দেখলাম। এর পর আমিও পিছন
পিছন হাটা শুরু করে দিলাম।
– ওকে আর খুজে পেলাম না অনেক
খুজলাম কিন্তু পেলাম না।
– আমি ওকে খুজেই চলছি। হঠাৎ wolf এর
ডাক শুনলাম।
– আমি ভয় পেয়ে গেলাম কারন রুপদের
wolf যম।
– আমি দৌড়াতে লাগলাম ঐ দিকে।
যা ভেবে ছিলাম তাই হলো রুপ কে
ঘিরে অনেক Wolf চিৎকার করছে। মনে
হয় রুপ ওদের শিকার।
– আমি দৌড়ে রুপের কাছে গেলাম। ও
আমাকে দেখে বলল তুমি এখানে কেন?
– আমি কিছু না বলে ওকে জড়িয়ে
ধরলাম।
– ও ওর নিজের রুপে চলে এলো সঙ্গে
সঙ্গে ওর ডানা মেলে ধরল।
– ও মায়া দিয়ে চারদিকে সার্কেল
তৈরি করে ফেলল কিন্তু মনে হয়না
সেটা বেশিক্ষণ টিকবে।
– ওরা বার বার সার্কেলের ভিতর
লাফিয়ে পড়ছে। আর কেমন জানি
করছে।
– আমি মনে করলাম আমারও তো শক্তি
আছে আমি সেটা ব্যাবহার করতে
পারি বলে একটা সাউড করলাম।
– ওরা চারদিকে ছিটকে পড়ল।
– আমার পিছন থেকে সাদা একটা
বিশাল wolf বের হয়ে আসল।
– ওরা ওটাকে দেখে চুপ হয়ে গেল। রুপ
এই সুযোগে আমাকে নিয়ে বের হয়ে
এলো।
– আমরা রুমে আসলাম। রুপ আমায় একটা
থাপ্পড় দিয়ে বলল সব সময় পাগলামি
কেন কর হুম?
– ও ওর ডানা দুটো বের করে এবং বলে
দেখ আমার চেহারা।
– ওর সুক্ষ্ম দাত দুটি বেরিয়ে এসেছে।
– আমি বললাম ২০ চড় পুরো করলেন তো
বলে ওর কাছে গিয়ে ওর পাখায় হাত
দিয়ে পালক গুনতে লাগলাম।
– এ বাব্বা আপনি গোসল করেন না।
এগুলো ভাল করে সুইমিং পুলে গিয়ে
ধুবেন। আর দাত বলে ওখানে নখ দিয়ে
ঠোকা দিলাম। বাহ্ বেশ মজবুত তো।
– ও আমার কথা শুনে just হতবাক।
– আপনি কি সেটা আমি আগেই জানি।
ভালবাসতে কোন কারণ লাগেনা
বলে জড়িয়ে ধরলাম।
– আমাদের দিন গুলো খুব চমৎকার যাচ্ছে
এভাবেই।
– জানি রুপ আমার প্রতি পুরোই আসক্ত।
– যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্ন হবে সেদিন
সকাল থেকেই আমার শরীর জ্বলছিল।
– আজগড় সোজা আমার রুমে আসে এবং
আমাকে ঐ অবস্থায় কোলে তুলে নিয়ে
নিচে নামতে থাকে।
– রোজ ও ওর পিছে পিছে চলে আসে।
আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার এত
কষ্ট হচ্ছিল কেন।
আজগড় যখন নাফিসাকে নিয়ে বের হয়
বাসা থেকে তখন কাইফ এসে পথ
আটকায়।
– ওকে আমায় দিয়ে দে।
– রোজ কাইফ কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে
দেয়।
– জিবন থাকতে কখনও না।
– অহ তাই বলে কাইফ হুংকার দিল। আজ
সেই দিন যার জন্য আমি অপেক্ষা করে
আছি।
– কাইফ আজগড়কে আঘাত করে আর আমি
সহ আজগড় পরে যাই। আমার কথা বলার মত
কোন অবস্থায় নেই।
– ৫০ জন জ্বীন এসে আজগড় আর রোজ কে
ধরে ফেলে।
– আমি বলেছিলাম আমার পথে বাধা
হয়ে দাড়াবি না বলেই আজগড় কে
আঘাত করে।
– কাপুরুষ কোথাকার এত সাঙ্গ পাঙ্গ
নিয়ে কেন ঘুরিস?
– আমি ওদের ঐ অবস্থা দেখে শুকরা
জ্বীন কে ডাকা মাএ হাজির।
– সাহায্য করুন দাদু ওদের। আমায় নিয়ে
চিন্তা করবেন না। আমার স্বামী
আগেই এই দিনের প্রস্তুতি করে রেখে
গেছেন বলেই আমি মন্ত্র পড়তে শুরু
করলাম।
– আমি ভ্যানিস হয়ে রুপের মায়ার
জগতে ঢুকে গেলাম।
– আপনারা যার জন্য লড়ছেন সেতো নেই
বলে শুকরা জ্বীন খিক খিক করে হেসে
অদৃশ্য হয়ে গেল।
– আমি ঐ অবস্থায় নিজের হাত কেটে
ফেলি যাতে সংকেত রুপের কাছে
পৌছে যায়।
– রুপ সাথে সাথে হাজির হয়ে গেল।
তুমি এটার ঠিকানা কই পাইলা। এই
দিনের জন্য আমরা ২ জনেই অপেক্ষায়
ছিলাম। তুমি ভুলে গেছ রুপ।
– রুপ এসে আমার হাত ধরে ফেলে আর
আমি যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকি।
আমার শরীর মোমের মত গলতে থাকে।
দীর্ঘ ৬ ঘন্টা অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি
পেলাম। আমার পুরো শরীরে কোন
পোষাক নেই। শরীর খুব হালকা লাগছে।
রুপ পাশ ফিরে অন্য দিকে চেয়ে আছে।
আমি বললাম রুপ তুমি অন্য দিকে
তাকিয়ে আছো কেন?
– তোমার শরীরে কোন পোষাক নেই
তাই।
– আমার এতে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
আমাকে দেখবেনা আমার নতুন
চেহেরায়।
– না।
– রুপ কেন দেখতে চাও না আমায়।
– আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে
ফেলেছি। তুমি সত্য। mom মিথ্যা
বলেছে আমায়।
– আমি রুপকে জড়িয়ে ধরে বললাম
তোমার সব মনে পড়েছে রুপ?
– ও বলল না নাফিসা আমার কিছু মনে
পড়ছেনা।
– আমি ওর হাতটি ধরে বললাম আমার
দিকে তাকাও।
– ও আমার দিকে তাকিয়ে চমকে গেল।
আর পিছে চলে গেল।
– আমার খুব কষ্ট লাগল ও আমার সাথে
এরকম করল?
– তুমি শ্বেতপরী! বিশ্ময়ের সাথে বলল।
– আমি জানিনা।
– নাফিসা তুমি শ্বেত পরী। তুমি কি
জিনিস সেটা তুমি নিজেও জানো
না। আদৌ কি সত্যি আমি তোমার
husband?
– কেন সন্দেহ হয়?
– নাফিসা জলদি পোষাক পড়ে নাও।
আমাদের যেতে হবে।
– না আমি এভাবেই থাকব। তুমি
তোমার স্ত্রী কে চিনতে পারছনা!
এখানে অন্য কেউ থাকলে কি তোমার
ভাল লাগত!
– তুমি আবার একই কথা বলছো।
– রুপ আমি ক্লান্ত এক কথা বলতে বলতে।
আমি পাগল হয়ে যাব। আমার আর বাচার
আশা নেই।
– আমি রুপকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। একজন
রপবতী স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী
কতক্ষন দুরে থাকবে তাও এই অবস্থায়।
আমি নিজেই রুপের ঠোট গ্রাস করে
নেয় আমার ঠোট দিয়ে। yes রুপ
ঝাপিয়ে পরে নাফিসার উপর যা
নাফিসা চায়। বিয়ের দীর্ঘ ৮ মাস
পরে তাদের এই স্বপ্নের মিলন।
.
.
.
– কাইফ, ক্যাথরিন, মিনা,জেসিকা সহ
আরো অনেক জ্বীন সমবত হয়েছে। কারন
তারা জেনে গেছে নাফিসা একজন
অলৌকিক ধারী ক্ষমতা সম্পন্ন পরী।
কিন্তু ও ডানা ছাড়া একটা পরী তাই
ওকে শেষ করা সম্ভব।
– অনেক মিটিং করে ডিসিশন নেওয়া
হলো যেহেতু রুপ ওর সব থেকে দুর্বল
জায়গা তাই ওকেই টোপ হিসেবে
ব্যবহার করবে।
.
.
– মিনা বলল আমার ছেলের যেন কোন
ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে
হবে।
– তুমি নিশ্চিন্তে থাক মিনা।
.
.
.
– নাফিসা আমাকে ছেড়ে যাবা না
তো?
– চলে যাওয়ার হলে অনেক আগেই চলে
যেতাম। চলে যাওয়ার জন্য হাত ধরিনি
বলে দীর্ঘ একটা কিস করলাম ওর ঠোটের
নিচে থিতিতে।
– তুমি এত আদর কই থেকে শিখছো
নাফিসা!
– আমার এক্স বিএফ মি.রুপের কাছ
থেকে যে নিয়মিত আমাকে আদর করত।
– রুপ একটু হেসে বলে আমার যে কিছু
মনে নেই নাফিসা?
– ব্যাপার না সোয়ামী।
– এই কি ভাষায় কথা বলছো এটা।
– ওর চুল গুলো এলো মেলো করে দিয়ে
বললাম খাটি বাংলা ভাষা
সোয়ামী বলে হেসে উঠলাম।
– ও আমাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে
উড়াল দিল নিজ নীড়ে।
– মিনা আর জেসিকা ওদের ফিরে
আসার ই যেন অপেক্ষায় ছিল।
– আমি উপরে চলে আসলাম আর রুপ কে
মিনা ডেকে ওর রুমে নিয়ে গেল।
– মিনা পিছন থেকে এট্যাক করে ওর
ছেলেকে রুপ ধপ করে পড়ে যায়।
– এবার রুপ তাদের আয়ত্বে।
– রুপ কে ১ গ্লাস শরবত দেওয়া হয়
নাফিসাকে খাওয়ানোর জন্য।
– রুপ রুমে এসে বলল নাফিসা এটা
তোমার জন্য।
– রুপ এটা কি তুমি নিজে বানিয়েছ?
– হুম তোমার জন্য বলে আমাকে খাইয়ে
দিল।
– রোজ এর মধ্য আমার রুমে এসেদেখে
আমার পুরো শরীর নীল হয়ে গেছে
দেখে রোজ রুপ কে ধাক্কা দিয়ে
ফেলে দেয়।
– ওর এত বড় সর্বনাশ তুই কি ভাবে করলি।
– রুপের যেন হুস ফিরে আসে।
– ও চমকে ওঠে। ও কিভাবে এটা করতে
পারল।
– রুপ নাফিসার কাছে আসতেই
নাফিসা ভ্যানিস হয়ে গেল।
– রোজ কাদতে কাদতে বলল তুই খুব
খারাপ ভাইয়া।
– নাফিসা একটি বিড়াট প্রান্তরে
একটা বেদির উপর জ্ঞান হারা অবস্থায়
শুয়ে আছে।
– সামনে বৃদ্ধ একটি ফাদার যে
এলিনাকে গাছ রুপে বন্ধী করে
রেখেছিল।
– সামনে হাজার হাজার জ্বীন সমবেত
আছে কারন তারাও চায় পৃথিবীতে
কোন শক্তিধর নারী না থাকুক যে
কিনা তাদের উপর রাজত্ব করবে এটা
মেনেই নেওয়া যায়না।
–
–
– আজগড় তন্ন তন্ন খুজেও নাফিসার খোজ
পাচ্ছেনা। ওর পুরো চোখ লাল হয়ে
আছে।
– সিড, রুপম, রুপ,রোজ,আজগড় ও তার বাবা-
মা সবাই মিলে শক্তি প্রয়োগ করে
দেখলো এক প্রান্তরে নাফিসা সুয়ে
আছে।
– ওরা এক নিমিষেই ওর কাছে পৌছে
যায়।
– ফাদার নাফিসার হাত নিজের নখ
দিয়ে কেটে ফেলে। উদ্দেশ্য ওর শক্তি
নিজের করে নেওয়া এবং আয়ুও।
– নাফিসার রক্ত শূন্য ভেষে উঠল।
ফাদার চিৎকার দিয়ে বলল এই মেয়ের
শরীরে আরও একজনের রক্ত আছে ওকে
হাজির কর। তাকেও বলি দিতে হবে।
– এক অদৃশ্য টানে রুপ সামনে হাজির হয়।
— মিনা এবার চমকে ওঠে রুপের বলির
কথা শুনে। না ফাদার এটা আপনি
কিছুতেই করতে পারেননা।
– কালো শক্তি সবসময় অন্যকে মিথ্যা
আশ্বাস দেয় তেমন তোকেও দেওয়া
হয়েছিল।
– মিনা জানে এবার ওর কি করতে হবে।
একটাই উপায় আছে বলে একনিমিষে
রুপের কাছে গিয়ে চোখ দিয়ে তিব্র
আলো রুপের চোখে প্রবেশ করায় এতে
ওর সব কিছু মনে পড়ে যায়।
– কিন্তু রুপকে কব্জা করে নেয় ফাদার।
– নাফিসাকে বলি দেওয়ার সময় একটা
রুপার ছোট্ট বাক্স হাজির হয় যেটা ওর
মায়ের দেওয়া শেষ উপহার যা
মারিয়ামের হাত ধরে সে পেয়েছিল।
– বক্সটি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে
এবং তা ছিটকে গিয়ে ভিতর থেকে
এক জোড়া পাখা বের হয়ে আসে যা
নাফিসার শরীরে গেথে যায়।
– ছিটকে উপরে উঠে যায় নাফিসা।
– আমার জ্ঞান ফিরে দেখি ওরা রুপকে
বেধে রাখছে বলি দেওয়ার জন্য।
– আমি পাখা দুটি মেলে ধরে চিৎকার
করে উঠে বললাম বিনাশ।
– আমার প্রতিটা চুল থেকে সাপ বের
হয়ে ওদের আক্রমন করল।
– আমি কাইফকে এসে বললাম কাইফ
মারিয়ামকে মুক্ত করে দাও।
তাছাড়া এখানেই তোমার বিনাশ।
– আমার হাজার শক্তি ছড়িয়ে দিলাম।
কারন আমি নিজেই রানী এবং আমার
সৈন্যর দরকার নেই।
– আমি ফাদারের কাছে গিয়ে বললাম
কি বুড়ো মরতে ইচ্ছা করছেনা?
আমাদের বাচার জন্য জায়গা করে দাও
তুমি মরে গিয়ে।
– ফাদার একটা বার করে যেখান
থেকে হাজার হাজার জীবজন্তু আমার
দিকে ছুটে আসছে।
– আমি একটু হেসে উঠি। আয় কে আসিছ
আমার সাথে লড় বলে হা করে আকাশে
উড়তে থাকি। আমার মুখ দিয়ে আগুনের
ঝর্না, বাতাশ আর পানি এক সাথে বের
হয়ে ওদের সবাই কে গ্রাস করে ফেলে।
কাইফ মুক্ত করে দেয় মারিয়াম কে।
যেহেতু কাইফ আমাকে একবার
বাচিয়েছিল তাই ওকে মাফ করে
দিলাম।
– রুপ উড়ে এসে আমায় জড়িয়ে ধরে বলে
শান্ত হও নাফিসা।
– আমার সব কিছু এক নিমিষেই উধাও
হয়ে গেল আমি রুপের বুকে ঢলে পড়লাম
আর কিছু মনে নেই।
– চোখ খুলে দেখি রুপ আমার পাশে
বসে আছে।
– রুপ বলে ডাকতেই ও আমার দিকে
তাকিয়ে থাকে। ওর চোখদিয়ে পানি
পড়ছে।
– আমি বললাম রুপ কাদছো কেন। ও
আমাকে এক টানে বুকে টেনে নেয়।
আমি বললাম কি হয়েছে বলবেতো।
– আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি
তাই না।
– তোমার সব মনে পড়েছে রুপ?
– হুম সব মনে পড়েছে।
– এর থেকে খুশির মুহুত্ব আর কি হতে
পারে।
– রোজ রুমে ঢুকেই বলল নাফিসা তুই যে
একটা শ্বেতপরী এটা কখনএ জানতাম না
– কি সৌভাগ্য আমাদের তুই আমাদের
সাথে ছিলি।
– মিনা এসে ক্ষমা চায়। জেসিকা
কানাডায় ফিরে যায়।
– আজগড় বলল নাফিসা এটাতো কেবল শুরু
আরও যুদ্ধ বাকি আছে।
– হোকনা জিবন কঠিন প্রিয় মানুষ
থাকলে সব চলার পথ সহজ হয়ে যায়।
– আজ আমার আর রুপের নতুন জিবনের
পথচলা শুরু।
– রুমে বসে আছি। রুপ রুমে ঢুকতেই শব্দ
করে তাহ্ বলে উঠি ওকে ভয় দেখানোর
জন্য। আমি জানি নাফিসা তুমি
আড়ালে দাড়িয়ে ছিলে।
– কিন্তু আমার এই রুপবান বর জানেনা
আমি এখন কি করব বলে আসতে আসতে ওর
কাছে এগিয়ে গেলাম।
– এই কি করবা তুমি হুম।
– ফিসফিস করে বললাম আমার কেলমা
দেখাব সোয়ামী……….. বলে ওর বুকে
ঝাপ দিলাম। আমাদের ছোট টোনা
টুনির দরকার আছেনা!
———————–
সমাপ্ত
দুঃখিত অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি
আজ।
আমিও অনেক কষ্ট করেছি গল্পটি পূর্ন
করার জন্য।
কেমন লেগেছে গল্পটি সেটা সবাই
কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
যাতে করে, পরে এই কমেন্টের উৎসাহে নতুন কিছু আপনাদের
উপহার দিতে পারি।
আমার এই মাসে ২ টা পরীক্ষা আছে
তাই আর পর্ব বাড়াইতে পারলাম না
বলে দুঃখিত।
প্রত্যেকটা গল্পে সবাই মুসলমান হয় মানে বুঝলাম না আপনার উদ্দেশ্যটা আসলে কি!!!