নতুন তুই আমি পর্ব-৩৫

0
1975

#নতুন_তুই_আমি#
💜💜💜💜💜💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
!
পর্ব:-৩৫……………………………..
দু দিন থাকার পর সিয়াম তামান্নাকে নিয়ে ফিরে এলো।আজও আসার সময় তামান্না কেঁদেছে।
গাড়িতে উঠে সিয়াম অনেক কষ্ঠে তামান্নাকে শান্ত করছে।
এ বাড়িতে এসে তামান্নার মনটা ঠিক হয়েছে বলে মনে হচ্ছে সিয়ামের।হবে না ই বা কেনো!!
তার মা,খালামনি,রাইয়ান তো তামান্নাকে নিজের বাড়ির কথা মনেও করতে দিচ্ছে না।
সিয়াম তামান্নাকে ওদের কাছে রেখেই লাগেজ টা নিয়ে উপরে চলে গেলো।
তামান্নাও তখনও তাদের সাথে গল্পে মেতে আছে।বেশকিছুক্ষণ পর মা বললেন,
“যা মা।জার্নি করে এসেছিস।অনেক গল্প হয়েছে।এবার রোমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নে।”
তামান্না উৎসুক কন্ঠে বলল,
“মা।আমি একদম ঠিক আছি।আমার তোমাদের সাথে গল্প করতে খুব ভালো লাগছে এখন।”
তামান্না আসলে তার শাশুড়ির কথাটা ধরতে পারে নি।তার শাশুড়ি চাইছে তার বউ যেনো তার ছেলের কাছে যায়।কিন্তু বউ যে এতোটা বাচ্চামো বুদ্ধি মাথায় রাখবে তা কি তিনি জানতেন!!
তাই ওনি এবার একটু সরাসরি-ই বুঝালেন,
“সিয়াম একা রোমে।যা দেখ ওর কিছু লাগবে কি না??”
সিয়াম তো সারা দিন রোমে একাই থাকতো।ওর যা লাগে সে কাউকে না কাউকে ডেকে নেয়।এসব তামান্না খুব করেই জানে।তবুও শাশুড়ির মুখের কথাটা শোনে সে সলজ্জভাবে উঠে চলে গেল।
সিয়াম এইটুকু সময়ে ফ্রেস হয়ে নিয়েছে।
তামান্নাকে দেখে বলল,
“ফ্রেস না হয়ে গল্প করতে বসেছিলি??”
“এখন হবো।”
“হলেই কি আর না হলেই কি পেতনী তো পেতনীর মতোই….”
তামান্না চোখ বেটে সিয়ামের দিকে তাঁকাল।
“বদমাইশ,তুই ভুত।তোর বউ তো পেতনীই হবে তাই না??”
হঠাৎ সিয়ামের মাথায় কি এলো!!কে জানে!!
সে তামান্না খুব কাছে এসে।
তামান্নার কমড় জড়িয়ে ধরে বলল,
“আচ্ছা!!তুই পেতনী,আমি যদি ভুত হই তাহলে ভুত-পেতনীর বাচ্চা কাচ্চা কি হবে শুনি??”
তামান্না হচকচিয়ে গেলো।
সিয়াম এভাবে তাঁকে বেবীর কথা বলবে সে ভাবতে পারে নি।
তাই লজ্জা পেয়ে গেছে।
“দেখি,ছাড়…..”
সিয়াম মুঁচকি হেঁসে তামান্নাকে ছেড়ে দিল।বলল,
“লজ্জা রে লজ্জা।রাখ তোর কাছে।ভাঙতে দেখি আমার আর কি কি করা লাগে!!”
এবার তামান্না শেষ।
আর বেশিক্ষণ সিয়ামের সামনে থাকা যাবে না।
তাহলে আরও কি না কি শুনতে হবে।
তাই সে দৌড়ে ওয়ারোমে চলে গেল।
খুব গরম।তাই সাওয়ার টাও নিয়ে ফেলল সে।
কিন্তু পরমুহুর্তেই খেয়াল হলো তার-সে শাড়ি না নিয়েই ওয়াশরোমে এসেছে।
ভয়ে বুক ধুকধুক করছে তামান্নার।কি হবে এবার!!
যদি সিয়াম রোমে থাকে!!
তাহলে তো সর্বনাশ।
তামান্না অনেক ভেবে চিন্তে দরজা টা খোলে রোমে উঁকি দিলো।
সিয়াম না থাকলে শাড়িটা এনে পড়ে নিবে ভেবেছিলো।
কিন্তু তা আর সম্ভব হলো না।
কারণ সিয়াম খাটে বসে লেপটপ গুতোচ্ছে।
তামান্না খাস করে দরজা টা আবার লাগিয়ে দিলো।
সিয়াম অবশ্য শব্দটা খেয়াল করল।
কি আর যায়!
আর তো কোনো উপায় নেই সিয়ামকে ডাকা ছাড়া।
এভাবে ভেজা কাপড়েও তো আর বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
তাই শেষমেষ তামান্না বাধ্য হয়ে সিয়ামকে ডেকে নেয়।
“সিয়াম…..”
“বল…..”
“আসলে…..”
“কি??”
“বলছি যে আমাকে আমার একটা শাড়ি দে না প্লিজ….”
“মানে??”
“আমি শাড়ি না নিয়েই এসে গেছি…”
সিয়ামও ভদ্র ছেলের মতো জবাব দিলো,
নিয়ে যাস নি তো এসে নিয়ে যা।আমি পারবো না।”
তামান্না আকুতির সুরে বলল,
“দে না প্লিজ…..”
“দিতে পারি তবে একটা শর্ত আছে।”
“কি সব বলছিস!আমার ঠান্ডা লাগছে দে না প্লিজ….”
“ওকে….”
সিয়াম তামান্নার জন্য দরকারী জিনিস গুলো নিয়ে ওয়াশরোমের দরজায় টুকা দিলো।
তামান্না আস্তে করে দরজা টা খোলে হাত বাড়ালো।
“দে….”
সিয়াম মুঁচকি হেঁসে পেটিকোট টা তামান্নার হাতে দিলো।
তামান্নার ভাবী লজ্জা লাগছে পেটিকোট টা হাতে পেয়ে।
তামান্না তবুও সেটা নিয়ে আবার হাত পাতলো।
সিয়াম এবার তার হাতে ব্লাউজ তুলে দিলো।
তারপরের বার শাড়ি।
সব নিয়ে তামান্না যেই দরজা লাগাতে যাবে এমনি সিয়াম বাঁধা দিলো।
বলল,
“আরও একটা জিনিস আছে।সে টা তো নিবি??”
তামান্না অস্ফুটস্বরে বলল,
“কিহ??”
সিয়াম তামান্নার টা ধরে হাতের মাঝে তামান্নার অন্তবার্স টা দিয়ে দিলো।
জিনিস টা দেখা মাত্রই তামান্না লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে পুরো।
সে না পারছিলো কিছু করতে না পারছিলো কিছু বলতে।
আর এমন সময় সিয়াম আচমকা পুরো দরজা টা টান দিয়ে খুলে ভেতরে ডুকে গেলো।
তামান্না এবার শেষ পুরো।
কি থেকে কি হচ্ছে বুঝাই মুশকিল হয়ে পড়ছে তার জন্য।
তবুও কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,
“তুই এখানে কি করছিস??”
সিয়াম মুঁচকি হেঁসে দরজা টা লাগিয়ে দিলো।
বলল,
“আমাকে খাটাবি আর আমার পেমেন্ট দিবি না??”
“মানে??”
“মানে এই যে তোর কাপড় গুলো এনে দিলাম। তো রির্টান দে কিছু….”
সিয়াম তামান্নার দিকে এগুতে থাকলো।ভেজা পোশাকে তামান্নাকে খুব আকর্ষণীয় লাগছে সিয়ামের।
গায়ে হলুদের দিন ভেজা কাপড়ের ছবিতে ঠিক এমনটা লাগছিলো।
তামান্নানা সিয়ামের দিকে তাঁকিয়ে কমশ্র পেছনের দিকে যাচ্ছে।
সিয়াম তামান্নার কাপড়গুলো নিজের হাতে নিয়ে তামান্নার দিকে আরও এগিয়ে গেলো।
কিন্তু তামান্না আর কোথাও পালাতে পারে নি।
কারণ সে যে যেতে যেতে ওয়ালের সাথেই ঠেকে গেছে।
“কি ব্যাপার??এমন ভয় কেনো পাচ্ছিস??”
“দেখ!সর প্লিজ….”
“কেনো??”
“রোমে যা…”
“পেমেন্ট চাই আমার….”
তামান্না ভর্য়াত কন্ঠে বলল,
“অন্য দিন আমি তোর ড্রেস এনে দিবো….”
হাঁসলো সিয়াম।
“আচ্ছা??তাই নাকি!!কিন্তু সেটা তো অন্য দিন সেক্সি লেডি।আমার যে আজই চাই….”
সিয়ামের মুখে ‘সেক্সি’শব্দ টা শোনে আঁতকে উঠলো তামান্না।
সিয়াম তাকে এমন একটা কথা বলবে সে ভাবতে পারে নি।
সিয়ামের চোখে মুখে দুষ্টুমির ছাপ।যা তামান্না একটা মেয়ে হয়ে বুঝতে পারছে।
সিয়াম তামান্নার একদম গা ঘেষে দাঁড়ালো এবার।
বলল,
“একদম নড়বি না।আমি নিজে তো চেন্জ করাবো।আর এটাই হবে আমার আজকের পেমেন্ট…..”
তামান্না রীতিমতে কাঁপছে এবার। সিয়াম খুব জোড় দিয়েই কথাটা বলছে।
তাঁকে তার কথা থেকে কোনো ভাবে সরানো যাবে না।
সিয়াম আচমকা তামান্নার আঁচল টা সরিয়ে নিলো।
আর সাথে সাথে লজ্জায় তামান্না উল্টো দিকে ঘুরে যায়।
তামান্নার ভেজা চুল।ভেজা ঘাড়,পিঠ সবকিছু যেনো সিয়ামকে একটা ঘোরের মাঝে নিয়ে যাচ্ছে।
সিয়াম তামান্নার ভেজা কমড়ে হাত দিয়ে নিজের বুকের সাথে তামান্নার সদ্য ভেজা পিঠ ঠেকিয়ে নিলো।
তামান্নার নিশ্বাস আটকে যাচ্ছে প্রায়।
সে পালাতে চায়।যেখানে তাঁকে এমন মরণ লজ্জায় পড়তে হবে না এমন কোথাও।
সিয়াম তামান্নার ভেজা চুলগুলো সরিয়ে তামান্নার ঘাড়ে একটা কামড় বসিয়ে দিলো।
“উফ….”
“বেশি লাগছে…”
তামান্না যদিও ব্যথা পেয়েছে তবুও স নিজের অজান্তেই মুখ ফসকে বলে ফেলল,
“উমহু….”
সিয়াম মুঁচকি হাঁসলো।
তারপর আস্তে আস্তে তামান্নার বুকের কাছে হাত টা নিয়ে ব্লাউজের বোতাম গুলো খুলে নিল।
তামান্না তো মরেই যাবে।
এভাবে লজ্জায় মরার চেয়ে তো হার্ট এর্টাকে মরা বহুগুন ভালো মনে হচ্ছে তামান্নার কাছে।
সিয়াম তামান্নাকে নিজের দিকে ঘুরালো না। সে জানে তাহলে তামান্না যে পরিমাণ লজ্জা পাবে তার আর কোনো হিসাব থাকবে না।
তাই সে আজ এতোটা লজ্জা দিবে না তামান্নাকে।
তাই ওভাবে রেখেই শাড়ি টা পড়িয়ে দিলো তামান্না।
তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি সিয়াম তামান্নাকে উল্টো অবস্থাতেও বেশ সুন্দর করে শাড়ি টা পড়িয়ে দিয়েছে।
আর শুধুমাত্র ঘাড়ের লাভ বিট টা ব্যতীত আর কোনো দুষ্টুমিও করে নি।
কে জানে!!কেনো করে নি!!
হয়তো বাকী সব দুষ্টুমিগুলো তুলে রাখলো কোনো বিশেষ মুহুর্তের জন্য।☺☺☺☺☺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here