পারমিতা” পর্ব-২

0
3008

পারমিতা
পর্ব ২
_নীলাভ্র জহির

পারমিতা অফিসে ঢুকে ম্যানেজারের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল। ম্যানেজার সাহেব কিঞ্চিৎ রেগে আছেন ওর ওপর। অন্য কোনো স্টাফ হলে প্রথম কথাতেই রাজি হয়ে যেত। পারমিতার দিকে অনেক্ষণ ম্যানেজার তাকিয়ে রইলেন। পারমিতা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের কাজে মন দিলো।
লাঞ্চের পর কিছুক্ষণ বিরতি থাকে বিশ্রাম নেয়ার জন্য। এই সময়টা পারমিতা বারান্দায় কিংবা ক্যাফেতে বসে কাটায়। কলিগদের মধ্যে দু একজনের সাথে ওর ভালো সখ্যতা আছে। গল্প, কথায় কথায় সময়টুকু ভালোই কেটে যায়। যথারীতি কলিগের সাথে আড্ডা দিচ্ছে পারমিতা। এমন সময় পিওন এসে খবর দিলো ম্যানেজার পারমিতাকে ডাকছেন। ওর কলিগ রা পারমিতার দিকে তাকালো। পারমিতা সবার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝল, সবার চোখে কৌতুহল। ম্যানেজার ওকে এই সময়ে কেন ডাকবে সেটা রহস্যের ব্যাপার। দু একজন একে অপরের সাথে চোখে চাওয়াচাওয়ি করল। পারমিতা পিওনকে বলল, আমি আসছি।

ম্যানেজারের রুমে ঢোকার অনুমতি চাইলে তিনি হাস্যোজ্জ্বল ভাবেই অনুমতি দিলেন। পারমিতার ধারণা ছিল স্যার ভয়ানক রেগে থাকবেন। কিন্তু ওকে চমকে দিয়ে ম্যানেজার হাসি-হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলেন, হ্যালো মিস পারমিতা, ভালো আছেন?
পারমিতা উত্তর দিলো, জি স্যার।
ওর মনে আতংক। চোখেমুখে শঙ্কার ছাপ স্পষ্ট। ম্যানেজার বললেন, আপনার জন্য একটা কাজ আছে। অফিসের নিচু পোস্টের কোনো স্টাফকে আমি এই কাজে পাঠাতাম না। আপনাকে পাঠাচ্ছি। যাতে আপনি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন।
– স্যার আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
– একটা সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ওখানে বেশ কয়েকটা কোম্পানিকে রিপ্রেজেন্ট করতে হবে। আমাদের এখান থেকে সাইমুন খান, তৌশিক এবং আপনি যাবেন। সাইমুন খানকে চেনেন তো?
পারমিতা অবাক হলো। ম্যানেজারের দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো পারমিতা। সাইমুন খান এই কোম্পানির চিফ এক্সুকিউটিভদের মধ্যে একজন। তৌশিক বড় পোস্টের একজন কর্মকর্তা। সেখানে পারমিতা নগণ্য একজন কর্মচারী। পিওনের ওপরের পোস্টটা তার। অথচ তাকেই কিনা ওনাদের মতো বড় বড় অফিসারদের সাথে পাঠাবে, এটা অবিশ্বাস্য মনে হলো ওর কাছে।
পারমিতা ভীষণ বিস্মিত হয়ে বলল, কিন্তু স্যার আমি তো কিছুই জানিনা এ ব্যাপারে। বুঝতেই পারছি না কিছু। সম্মেলনের ব্যাপারে আমার কোনো ধারণাই নেই।
– আপনাকে ধারণা দেয়ার জন্য আমরা আছি তো। আপনি যাবেন, কোম্পানি সম্পর্কে দু চারটা কথা বলবেন। স্যারদের কথা শুনে চলবেন, যা যা রেডি করতে বলবে করবেন। ব্যস। আপনি যদি দক্ষতা দেখাতে পারেন তাহলে আপনার জন্য ভালো।

পারমিতা মাথা নিচু করে দ্রুত চিন্তা করতে লাগল সে কি করবে। ম্যানেজার স্যার বললেন, সম্মেলন হবে হোটেল শাহ সুলতান গ্রাণ্ডে। তিনদিনের সম্মেলন। ফাইফ স্টার হোটেল, আরামসে তিনদিন থাকবেন। বড় বড় অফিসারদের সাথে আলাপ পরিচয় হবে। নতুন অভিজ্ঞতা হবে।
পারমিতা দ্রুত ঠোঁট কামড়ে ধরে চিন্তা করতে লাগল। শাহ সুলতান গ্রাণ্ডের নাম সে শুনেছে। অনেক আধুনিক হোটেল। ওখানে অতিথি হিসেবে যাওয়াটাও তার জন্য সম্মানের। কিন্তু প্রীতুলকে কার কাছে রেখে যাবে সে? বাচ্চাটা তো ওকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।
ম্যানেজার বললেন, কি ভাবছেন মিস পারমিতা?
– স্যার, আমার পক্ষে সম্ভব না। আপনি অন্য কাউকে নিন প্লিজ।

এবার সত্যি সত্যি রেগে গেলেন ম্যানেজার জালালুদ্দিন। টেবিলে একটা থাবড় দিয়ে বললেন, আপনার পক্ষে সম্ভবটা কি তাহলে? একটা বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, সম্ভব না। কোম্পানির একটা সম্মেলনে যেতে বললাম, তাও সম্ভব না। আপনাকে কি আমি চীফের মনোরঞ্জন করতে যেতে বলেছি নাকি? সু সম্মানে যাবেন। কোম্পানি সমস্ত খরচ বহন করবে। ভালো ভালো খাবারের আয়োজন হবে, বড় বড় লোকদের সাথে মিটিং, নতুন অভিজ্ঞতা হবে আপনার। নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবেন একটা। আর আপনি বলছেন, যাবেন না। সম্ভব না। কেন রে ভাই? আপনার কী স্বামী সংসার আছে যে তাদেরকে রেখে যেতে পারবেন না?

পারমিতা মাথা নিচু করে রইল। ওর মুখ দিয়ে একটা আওয়াজও বের হলো না। ম্যানেজার স্যার বললেন, আই এম সরি ফর বিং রুড। আমি এক্সট্রিমলি সরি। আসলে আমি আপনাকে একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছিলাম। ওখানে কোম্পানিকে ভালভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে পারলে আপনি প্রমোশন পেয়ে যেতে পারেন। একেবারে ভালো পদে। এজন্যই চীফের সাথে পাঠাচ্ছি। আমি আপনার ভালো চাই বলেই।

পারমিতার বুক ধক করে উঠলো। প্রমোশন! এই প্রমোশনের জন্য কতদিন ধরে অগাধ পরিশ্রম করছে সে। অথচ সেটাই পাচ্ছে না। এই সুযোগটাকে কোনোভাবে হাতছাড়া করা উচিৎ না। কিন্তু পারমিতার পক্ষে প্রীতুলকে রেখে তিন দিন কীভাবে কাটানো সম্ভব? প্রীতুল তো মাকে ছাড়া একটা দিনই থাকতে চায় না। অনেক কিছু বুঝিয়ে ওকে বুয়ার কাছে রেখে আসতে হয়।
পারমিতা একটা ঢোক গিলে বলল, স্যার আমাকে একদিন সময় দিন আমি আগামীকাল আপনাকে জানাবো।
– ওকে। দিলাম। কিন্তু একদিন ই সময়। কারণ আপনি যেতে না পারলে আমি অন্য কাউকে পাঠাবো। নিজের ভালো নিজে না বুঝলে আমার তো কিছু করার নেই।
– আমার দায়বদ্ধতার কথা আপনাকে বলতে পারবো না স্যার। আপনি আমার জন্য এতকিছু ভেবেছেন এটার জন্য আমি কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে। ধন্যবাদ স্যার।

পারমিতা ম্যানেজারের রুম থেকে বেরিয়ে এলো। ওর কলিগরা ঘিরে ধরলো ওকে, ‘এই পারমিতা, স্যার কী বললেন?, স্যার কেন ডেকেছিলেন? কী হয়েছে পারমিতা?’ প্রশ্নে প্রশ্নে মুখর করে তুললো সবাই।
পারমিতা গম্ভীর মুখ করে বসে রইল। ওর মুখ দেখে সবাই বুঝে যাবে ওকে খারাপ কিছু বলা হয়েছে তাই যথাসম্ভব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করল। কলিগরা জিজ্ঞেস করে হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ওরা উত্তর জানতে চায়। পারমিতা কী বলবে বুঝতে পারছে না। সম্মেলনের প্রস্তাবটা সবাইকে বলা ঠিক হবে না। ও বলল, সেটা এখন বলতে পারছি না। সময় হলে বলবো।
আশাহত হলো সবাই। দু একজন কানাঘুষা করছে সেটাও পারমিতার দৃষ্টি এড়িয়ে যায় নি। অফিস শেষ করে বাড়ি ফিরেই পারমিতা বিছানায় শুয়ে পড়ল। ওর প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছে।
পারমিতা সামান্তা ও প্রীতুলকে নিয়ে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকে। দুই রুমের ফ্ল্যাট ও ছোট্ট একটা ডাইনিং স্পেস। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বুয়া দেখাশোনা করে প্রীতুলকে। পাঁচ টার পর বুয়া চলে যায়। সামান্তাও ভীষণ আদর করে বাচ্চাটাকে।
পারমিতাকে শুয়ে থাকতে দেখে সামান্তা জিজ্ঞেস করলো, কি রে তোর কি হয়েছে?
– কিছু না। মাথা ধরেছে একটু।
– ওষুধ দিবো?
– না লাগবে না।
– মলম লাগিয়ে দেই?
– না লাগবে না। তুই প্রীতুলকে তোর কাছে নিয়ে যা। খুব শব্দ করতেছে ও।

সামান্তা আর কথা বাড়াল না। প্রীতুলকে নিয়ে এলো নিজের কাছে। প্রীতুল ওর সাথে খেলছে আর কথা বলছে। ওর কথা ভেসে আসছে পারমিতার রুম পর্যন্ত। প্রীতুলকে রেখে তিন দিন কেন, একটা রাতও পারমিতা থাকতে পারবে না। কিন্তু এই সুযোগটা মিস হলে আবার কবে প্রমোশন পাবে তার ঠিক নেই। তাছাড়া ম্যানেজার স্যার ওর ওপর খুব রেগে যাবেন। ওকে আর কোনো সুযোগ ই দেবেন না তিনি। ভালো সম্পর্কটাও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। পারমিতা ভীষণ দুশ্চিন্তায় কপালে হাত রেখে শুয়ে রইল। ওর কাঁদতে ইচ্ছে করছে।

অনেক্ষণ পর সামান্তা আবার এলো ওর রুমে। পারমিতার মাথায় হাত রেখে বলল, তোর কি হয়েছে সত্যি করে বলতো আমাকে?
পারমিতা কপাল থেকে হাত সরালো। ওর চোখে পানি। সামান্তা ওর চোখ মুছে দিয়ে বলল, কাঁদছিস কেন? তোর কি হয়েছে আমাকে বল। প্লিজ।
পারমিতা সব কিছু খুলে বলল সামান্তা কে।
সামান্তা বলল, তুই এত টেনশন করিস না। এই সুযোগ মিস করিস না তুই। আমি প্রীতুলকে দেখতেছি। একটু সময় দে আমাকে।

সামান্ত প্রীতুলের কাছে গিয়ে বলল, বাবু তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
– কি সারপ্রাইজ?
– আমি আর তুমি একটা পার্কে যাবো। ওখানে গিয়ে অনেক কিছু দেখব। তোমার এই গাড়িটার মত গাড়িতে চড়বো, মটু পাতলুর সাথে দেখা করবো, আইসক্রিম খাবো, চকোলেট খাবো, আরও অনেক কিছু খাবো। যা চাবে ওখানে তাই দেবে। হাত বাড়ালেই সবকিছু পাওয়া যায় ওখানে।

প্রীতুল চোখ বড় বড় করে বলল, সত্যি!
– হ্যাঁ সত্যি। ওখানে বাঘ আছে, হরিণ আছে, শিয়াল আছে।
– শিয়াল মামা আছে?
– হ্যাঁ।
– কখন যাবো খালামণি?
– আমি তো কালকেই যেতে চাই। কিন্তু একটা ঝামেলা আছে।
– কি ঝামেলা?
– বাঘ, শিয়াল ওরা সবাই এক জায়গায় বেড়াতে গেছে। ওরা ওখান থেকে আসলে আমাকে ফোন করবে তারপর আমরা যাবো।
– কে ফোন করবে?
– যার সাথে ওরা বেড়াতে গেছে। তোমার মতো ওদেরও খালামনি আছে।
– ওরা কবে আসবে?
– খুব তারাতাড়ি আসবে। ওরা আসলেই আমি তোমাকে নিয়ে যাবো।

প্রীতুল হাত তালি দিয়ে বলল, ইয়েএএ। খুব মজা হবে। আমি যাবো, ইয়েএএ। আচ্ছা খালামনি, ওটা কোথায়?
– ওটা রূপকথার দেশে।
– আমরা রূপকথার দেশে যাবো?
– হ্যাঁ।
প্রীতুল আনন্দে নাচতে শুরু করে দিলো। পাশে দাঁড়িয়ে আছে পারমিতা। ওর চোখে পানি। প্রীতুলের এই আনন্দ দেখে ওরও হাসতে ইচ্ছে করছে। অথচ কী অদ্ভুত, ওর চোখে পানি এসে যাচ্ছে।
সামান্তা বলল, কিন্তু বাবু একটা সমস্যা আছে।
– কি?
– আম্মুর তো ছুটি নেই। আর অফিস মিস করলে আম্মুকে পানিশমেন্ট দেয়া হবে। আম্মু চাকরি হারালে তোমাকে প্রতিদিন খাবার, খেলনা কে কিনে এনে দেবে?
প্রীতুল করুণ মুখ করে ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকে কোনো কথা বলল না।
সামান্তা বলল, আমাদের তো ওখানে গেলে আম্মুকে রেখেই যেতে হবে। শুধু তুমি আর আমি যাবো। ওখানে আরও অনেকের সাথে তোমার বন্ধুত্ব হবে। আম্মু বাসায় থাকবে। কি, যাবে?
প্রীতুল অনেক্ষণ মায়ের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, আম্মুকে রেখে যাবো না।
পারমিতা বলল, সবসময় তো ঘরে বন্দি হয়ে থাকো। তোমার বন্ধুরাও সারাদিন ঘরেই থাকে। ওরা ওসব কিছুই দেখেনি। তুমি দেখে এসে ওদেরকে গল্প শোনাতে পারবে। বাঘের গল্প, হরিণের গল্প, শিয়াল মামার গল্প। তুমি হবে ক্লাসের সবচেয়ে গুড বয়।
– ঠিক আছে। আমি আর খালামনি যাবো। আম্মুকে রেখে যাবো।
– এইতো সত্যিকার গুড বয়।
সামান্তা প্রীতুলকে আদর করে দিলো। মিষ্টি করে বলল, তুমি ওখানে কতদিন থাকতে চাও? ‘আম্মুকে বলে দাও?
– আমি একদিন থাকবো।
– না। একদিনে সব খাবার শেষ হবে না। সব হাতি ঘোড়াও একদিনে দেখা হবে না।
– তাহলে?
– আমি তো তিনদিন থাকবো।
– তিন দিন!
প্রীতুল চোখ বড় বড় করে ফেলল। পারমিতা বলল, তিনদিনে তুমি অনেক বড় হয়ে যাবা। অনেক কিছু খেয়ে।
প্রীতুল অবশেষে রাজি হল, ঠিক আছে। তিনদিন থাকবো।
– কান্না করবে না তো?
– না। হাতিঘোড়া দেখলে কেউ কাঁদে?

স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল পারমিতা। সামান্তা ওকে ঠিকই সামলে নেবে। কিন্তু ওরা যাবে কোথায়? ওরকম জায়গা কি আসলেই আছে?
পারমিতা সামান্তাকে বলল, ওকে অযথা এসব বললি। ওকে সামলাবি কিভাবে পরে?
– তুই ভাবিস না। আমি ওকে নিয়ে তিনদিন আমার ফুপির বাসায় ঘুরে আসবো। কাছেই একটা চিড়িয়াখানা আছে। ওকে প্রতিদিন চিড়িয়াখানায় নিয়ে ঘোরাতে হবে। ও একদমই কাঁদবে না।

পারমিতা সামান্তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল, তুই আমার সত্যিকারের বোন রে। তুই আমার বোন। আমাকে এত ভালবাসিস কেন তুই?
সামান্তা বলল, তোকে কেন ভালবাসি জানিনা। ওইযে সত্যিকারের বোন বলে হয়তো।

দুই বান্ধবী গলা ধরে বসে রইলো। পরেরদিন অফিসে গিয়ে যখনই ম্যানেজারের রুম থেকে ডাক এলো, পারমিতা সোজা ওনার রুমে গিয়ে হাসিমুখে বলল, স্যার আমি সম্মেলনে যাচ্ছি। কবে যেতে হবে? আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিন।

পারমিতার দৃঢ়তা দেখে অবাক হলেন ম্যানেজার জালালুদ্দিন। তিনি বললেন, ব্রাভো! সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছি।
পারমিতা ম্যানেজারের রুম থেকে বেরিয়ে এলে কলিগরা আজকেও কৌতুহলী হয়ে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে। বারবার জানতে চাইলো, কি বললেন উনি?

পারমিতা হাস্যোজ্জ্বল মুখে বলল, অফিস থেকে একটা সম্মেলনে রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছি আমি। শাহ সুলতান গ্রাণ্ড হোটেলে হবে সম্মেলন।
ওর সিনিয়র দু একজন কলিগ চোখ তুলে ওর দিকে তাকালো। আর সহকর্মীরা হিংসায় জ্বলে যাচ্ছিল সেটা ভালোই বুঝতে পারছিল পারমিতা। শুধু ইমরুল নামে একজন কলিগ এগিয়ে এসে বলল, বাহ বাহ। সুখবর তো। কংগ্রাচুলেশনস মিস পারমিতা।
পারমিতা হাসিমুখে বলল, থ্যাংক ইউ ইমরুল ভাই।
বাকিরা তখন বিদ্বেষের আগুনে পুড়ছিল। পারমিতা নিজের ডেস্কে বসল কাজ করতে। এমন সময় তৌশিক খান নিজে এসে পারমিতাকে ডেকে নিলেন মিটিংয়ের জন্য। বাকিদের চোখ ছানাবড়া।

চলবে..


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1348889065492859&id=439669216414853

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here