পারমিতা” পর্ব-৩১

0
1303

#পারমিতা
পর্বঃ ৩১
_নীলাভ্র জহির

রোদ পারমিতাকে বুকে টেনে আরো মিশিয়ে নিলো। পারমিতা থরথর করে কাঁপছে। রোদ দু’হাত দিয়ে পারমিতার মুখটাকে ধরে চোখে চোখ রেখে বলল, তুমি আমাকে ভালোবাসো আমি জানি। কষ্ট পাচ্ছো কতটা আমি তাও জানি। বুঝতে না দিলে কি হবে, সবাই কি অবুঝ হয়?
পারমিতা কম্পিত গলায় বলল, আমি আপনাকে এসবের কিছুই করি না।
– কিছুই না? তাহলে এইযে তোমাকে নিবিড় আলিঙ্গনে বুকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছি এতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারতে। কই তা তো নিচ্ছো না। বরং কাঁপছো, কাঁদছো, এগুলো কি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়?

পারমিতা উত্তর দিতে পারলো না। সত্যি কথার উত্তর থাকে না। যদি থাকে, সেটা হল নিরবতা। হ্যাঁ, পারমিতা রোদকে খুব অনুভব করে। এই মানুষটাকে ওর নিজের বলে মনে হয়। রোদ ওর থেকে দূরে গেলে সবকিছু ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করে। এটাকে যদি ভালবাসা বলে, তবে তাই। সে তো ইচ্ছে করে রোদকে ভালবাসেনি। সে সবসময় চেয়েছে যাতে মনকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখা যায়। যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছে। তবুও যদি ভালবাসা হয়ে যায়, তবে কী করবে সে?
ছলছল চোখ নিয়ে পারমিতা তাকিয়ে রয়েছে। রোদ মুচকি হেসে বলল, আচ্ছা পাগলী তো তুমি। এখনো লুকানোর চেষ্টা করছো? আর চেষ্টা করে লাভ নেই। তুমি ধরা পড়ে গেছো।
পারমিতা ফহরা গলায় বলল, এমনও হয় কখনো!
– কেমনও?
– এইযে একটা মানুষ আমাকে বুঝতে পারছে। আমাকে অনুভব করছে, এটা অবাক হওয়ার মতো না?
– হ্যাঁ, কিন্তু আপনাকে এখন এত অবাক হতে হবে না। আপনি কি বাসায় ফিরে কিছু খেয়েছেন?
– না। মানে.. আমি এসে মাত্র গোসল সেরে উঠলাম।
– ঠিক আছে ম্যাডাম। আপনি এখন ঝটপট রেডি হয়ে নিন। আমরা বাইরে যাবো।
– বাইরে?
– হ্যাঁ। আমরা বাইরে গিয়ে খাবো। নিচতলা থেকে প্রীতুলকেও নিয়ে যাবো৷ ঠিক আছে ম্যাডাম?

পারমিতা স্থবির হয়ে রোদকে দেখতে লাগল। রোদের মুখে মিষ্টি হাসি। সেই হাসি ভুবন ভুলানো। লাজুক হাসির সঙ্গে মিশে আছে আনন্দ, বিজয়ের রেশ। সে বিজয়ী হয়েছে। পারমিতার প্রেমের লড়াইয়ে জিতেছে রোদ। জিতে নিয়েছে পারমিতাকে। ওর দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে পারমিতা দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। মনে হচ্ছে ওর পায়ের নিচে প্রথিত আছে শেকড়। নড়তে পারছে না ও।
রোদ পারমিতার হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো রুমে। রুম অগোছালো। লজ্জা পাচ্ছে পারমিতা। রোদ পারমিতাকে দাড় করিয়ে দিলো ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে। পারমিতা ইতস্তত ভঙ্গিতে রোদের দিকে তাকালো। রোদ হেসে বলল, আমি বের হয়ে যাবো?
– হ্যাঁ আপনি যান।
– আমি জান হয়ে গেছি? সত্যি?
মুচকি হেসে প্রশ্নটা করামাত্রই পারমিতা হেসে ফেলল। রোদ ঘর থেকে বের হয়ে গেল। পারমিতা তৈরি হতে হতে ভাবছিল, আমি এ কোন পথে পা বাড়াচ্ছি? আমার হার্ট ধুকপুক করছে। এত বড় সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারবো না। আমাকে আরও অনেক দূর সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এভাবে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগে আর যাই হোক, কারও জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ঠিক না। রোদ পরে আরও অনেক কষ্ট পাবে। কিন্তু সেই একই কষ্ট আমিও এখন পাচ্ছি। যদি এখানে দ্বিধাই থাকে, আমার কষ্ট হবে কেন? এত কষ্ট কেন হয় আমার ওর জন্য?
পারমিতা আপন মনেই নিজেকে প্রশ্নগুলো করল। ওর সবকিছু এ এলোমেলো লাগছে। ওর মতো স্ট্রং মেয়েটার কাছেও সবকিছু ছন্নছাড়া ছন্নছাড়া লাগছে।
পারমিতা থ মেরে বসে রইল বিছানার ওপর। রোদ দরজায় নক করে জিজ্ঞেস করল, পারো তুমি ঠিক আছো?
চোখ মুছল পারমিতা। ওর বুক কেঁপে উঠল। সে তো একটুও শব্দ করেনি। তবুও রোদ কিভাবে যেন বুঝে গেল সে কাঁদছে। এমনও হয় নাকি!
পারমিতা চুপ করে রইল। রোদ দরজায় ধাক্কা দিয়ে বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগল, পারমিতা, কি হল তোমার? পারমিতা.. দরজা খোলো।
পারমিতা আওয়াজ করল না। চোখ মুছে দরজা খুলে দিয়ে স্বাভাবিক গলায় বলল, কি হয়েছে?
কোনোকিছু বুঝে ওঠার সময় দিলো না রোদ। পারমিতার মাথাটা ধরে ওকে বুকের ভেতর টেনে নিলো। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখল ওকে। এবার মন থেকে সমস্ত দ্বিধা সরে গেল পারমিতার। কালো মেঘে ঢেকে যাওয়া আকাশ থেকে মেঘ সরে গিয়ে যেমন সূর্য উঁকি দেয় তেমনি মিষ্টি রোদ উঁকি দিলো ওর হৃদয়ে। পারমিতা মনেমনে স্বীকার করতে বাধ্য হল, সে রোদকে ভালবাসে। সে রোদকে ছেড়ে দিতে চায় না।
অনেকক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দিয়ে রোদ বলল, তুমি রেডি?
পারমিতার মন খারাপ ভাবটা দূর হয়ে গেছে। ওড়না ঠিক করে সে বলল, হুম। এভাবেই বের হবো।
– চলো। প্রীতুলকে রেডি করতে হবে?
– ওর জন্য জামাকাপড় নিয়ে যাবো।

পারমিতা ড্রয়ার থেকে প্রীতুলের শার্ট ও প্যান্ট বের করল। রোদ দরজায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। ভেজা চুল পিঠের ওপর এলিয়ে দেয়া। সাদা জামা ভিজে উঠেছে চুলের পানিতে। পুরো পিঠ সিক্ততায় ঢাকা। উপুড় হয়ে কিছু নেয়ার সময় যখন পিঠের ওপর থেকে চুল সরে যায়, ভেজা জামার নিচের অংশ স্পষ্ট হয়ে উঠল। রোদ দৃষ্টি সংযত করে নিলো।
পারমিতা বলল, আপনি ভেতরে এসে বসুন।
– না। আমি বাইরে বসছি।

ডাইনিং রুমের চেয়ারে এসে বসল রোদ। পারমিতা কোনো সাজস্যকরেনি। শুধুমাত্র সাদা জামা ও ওড়না, গোসলের পর স্নিগ্ধ চেহারা। তাতেই ওকে এত অপূর্ব লাগছিল, ইচ্ছে করছে জড়িয়ে ধরে আদরে মাখিয়ে ফেলি। এই মেয়েটাকে কবে আপন করে পাবে রোদ? ওর দ্রুত হার্টবিট বাড়ছে।
পারমিতা এসে দাঁড়াল ডাইনিং রুম, চলুন।
রোদ পারমিতার পায়ের দিকে তাকালো হঠাৎ। পায়জামা গোড়ালির কিঞ্চিৎ ওপর পর্যন্ত। ফর্সা পায়ে সাদা পায়জামা ওকে চমৎকার মানিয়েছে। কিন্তু ওই পা দুটো এত খালি খালি লাগছে কেন? কিছু একটা নেই মনে হচ্ছে।
কী নেই সেটা হুট করে মনে পড়ে গেল রোদের। পারমিতা জিজ্ঞেস করল, কি হয়েছে?
– কিছু না। চলো।

রোদ গাড়ি নিয়ে এসেছে। প্রীতুল রোদকে দেখেই লাফ দিয়ে কোলে উঠে বারবার বলতে লাগল, রোদ আমি কিন্তু অনেক ভদ্র হয়ে ছিলাম। অনেক লক্ষী হয়ে ছিলাম।
রোদ হাসতে হাসতে বলল, তোমাকে আরও একটু ভদ্র হতে হবে বাবা। তারপর তোমাকে আব্বুর কাছে নিয়ে যাবো।
– ঠিক আছে। কি মজা কি মজা!
প্রীতুলকে কোলের ওপর বসিয়ে নিয়ে পারমিতা রোদের পাশের সিটে বসল। আজকে রোদ নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করছে। বাসা থেকে বেরিয়ে বড় সড়ক ধরে এগিয়ে চলল গাড়ি।

রোদ পারমিতাকে বলল, তোমাকে কেউ কি আগে বলেছে সাদা ড্রেসে তোমাকে কতটা সুন্দর দেখায়?
পারমিতা চমকে উঠে উত্তর দিলো, না তো। আমি এই প্রথম সাদা জামা পরেছি। এটাই আমার লাইফে প্রথম সাদা জামা।
– সাদা একাকীত্বের পোশাক, বিরহের পোশাক এসব ভেবে পরেছো? যাই ভেবে পরো না কেন, তোমাকে বিশুদ্ধ ও সুন্দর লাগছে। নির্মলতা চারপাশে ছড়িয়ে আছে তোমার।

পারমিতার চোখেমুখে মুগ্ধতা। এত সুন্দর করে কেই বা আগে ওর প্রশংসা করেছে!
রোদ বলল, এরপর থেকে তুমি শুধু সাদার মধ্যে জামাকাপড় কিনবে। পরির মতো লাগছে তোমাকে।
– কি যে বলেন না। আমি কিন্তু আপনার সঙ্গে রাগ করে আছি।
– কেন?
– আমার প্রজেক্টের কাজটা আপনি নিয়ে দিয়েছেন তাইনা?
– না তো। কে বলল?
– কেউ একজন বলেছে। আপনিই স্যারকে বলেছেন যেন আমাকে সিলেক্ট করা হয়। বলেন নি?
রোদ মুচকি হেসে বলল, আমি তোমার কাছে মিথ্যে বলতে চাই না। হ্যাঁ বলেছি। তাতে কি হয়েছে?
– অনেক কিছু। আমি নিজের যোগ্যতায় কাজ করতে চাই। আপনি কাজটা ঠিক করেননি। এরপর আর কোথাও আমাকে সুযোগ দেবেন না। প্লিজ।
– তবে তাই হবে। তুমি যা চাও। আমি শুধু তোমার যোগ্যতা প্রমাণের একটা সুযোগ করে দিয়েছিলাম। যাতে বড় স্যারদের নজরে আসো। তারা তোমাকে এরপর আরও ভালো ভালো কাজের সুযোগ দেন।

পারমিতার চোখে মুগ্ধতা ফুটে উঠল। ও অবাক স্বরে বলল, কী বলেন! আপনি এত সুন্দর করে ভাবেন কেন?
– তোমাকে নিয়ে অসুন্দর করে ভাবার সুযোগ নেই পারো।
– আপনার মুখে পারো নামটা শুনতে ভালো লাগছে।

পারমিতা মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখল। তার বিস্ময় রোদকে দেখাতে চায় না সে। রোদ মৃদু ভলিউমে গান ছেড়ে দিলো। একটা প্রেমের রবীন্দ্র সংগীত। ধীরে ধীরে বীণার আওয়াজ নিরবতা ভেঙে দিচ্ছে। ভীষণ ভালো লাগছে পারমিতার।

শহর ছেড়ে বের হয়ে আসতে আধা ঘন্টার মতো সময় লেগে গেল। এদিকে বিল্ডিংয়ের ঘনত্ব কম। রাস্তাঘাটও প্রায় ফাঁকা। রোদ দ্রুত গাড়ি চালিয়ে একটা জায়গায় এসে থামলো। কিছুদূরেই টিমটিমে হলুদ আলো জ্বলছে। নিশ্চয় ওখানে যাবে তারা। পারমিতা প্রীতুলকে নিয়ে গাড়ি থেকে নামলো। দুজন লোক এসে অভ্যর্থনা জানালো ওদেরকে। পেছনে কাশবন। হলুদ আলোর সুন্দর খেলা চলছে চারপাশে। একটা লাভ পয়েন্টে এসে ওদেরকে বসতে দিলো বেয়ারা দুটো। ফুল ও কাঠ দিয়ে বানানো লাভ আকারের একটা বেদি আর বসার জন্য বেঞ্চি। পারমিতা প্রীতুলকে নিয়ে বসল। দাঁড়িয়ে আছে রোদ। রোদকে একটা চেয়ার দিয়ে গেল ওরা। রোদ দ্রুত খাবারের মেন্যু দেখে প্রথমে দুটো ক্যাপুচিনো কফি দিতে বলে দিলো। তারপর পারমিতাকে জিজ্ঞেস করল, শুটকি ভর্তা খাও?
– হ্যাঁ।
– ভর্তা ভাত এরা ভালো বানায়। আমরা আজকে ভর্তা আর ভাজি নিই কি বলো। সঙ্গে পাতলা মুসুর ডাল টা দেবেন। আর মাছের তরকারি কোনটা আছে? সরষে ইলিশ আছে?

রোদ অর্ডার দিচ্ছে। ওর মুখের ওপর হলুদ আলো এসে পড়েছে। সেদিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল পারমিতা। রোদ খাবার অর্ডার দিতে দিতেই কফি এসে গেল। কফি খেয়ে উঠে দাঁড়াল ওরা। চারপাশটা ঘুরে দেখতে চায়।
বেশ কিছু ছবি তোলার পয়েন্ট বানিয়ে রাখা আছে। রোদ পারমিতাকে ইশারায় সেসব জায়গায় দাঁড়াতে বললে পারমিতা ইতস্তত করতে করতে অবশেষে দাঁড়াল। ছবি তুলল রোদ। প্রীতুল ও পারমিতারও ছবি তুলে দিলো। রোদ সামনে এগিয়ে গেছে এমন সময় পারমিতা পেছন দিক থেকে বলল, শুনুন।
– হুম।
– একটা সেলফি নিন।
– হ্যাঁ?
– একটা সেলফি নিন।
প্রথমদিকে বিশ্বাসই হচ্ছিল না রোদের। পারমিতা সেলফি নিতে বলছে, এটা সত্যিই ওর কাছে অবিশ্বাস্য! বিস্ময় লুকিয়ে রোদ সেলফি তুলতে লাগল। প্রীতুলকে দেখা যাচ্ছে না। রোদ নির্দ্বিধায় কোলে তুলে নিলো প্রীতুলকে। তারপর পারমিতার পাশে এসে দাঁড়াল। ছেলেকে কোলে নিয়ে বাবা দাড়িয়ে, পাশেই মা। এরচেয়ে সুন্দর ছবি যেন আর হয়না। একটা সুখী পরিবার। পারমিতা ও রোদ একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। তাদেরকে সুখী পরিবারের দম্পতির মতোই লাগছে। রোদের কোলে প্রীতুল। পারমিতার বুক ধকধক করে। আর মনেহয়, রোদ যেন তার সত্যিকার সেই আপনজন।

খাবার খাওয়ার সময়টা তিনজনেই অনেক উপভোগ করলো। প্রীতুলের জন্য কয়েকটা ডেজার্ট আইটেম অর্ডার করা ছিল। মজা করে খাচ্ছে প্রীতুল। পারমিতা ধীরেধীরে খাচ্ছে। বাঙালিয়ানা স্বাদে দেশী খাবার গুলো অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছে। রোদ জানতে চাইলো, ভালো লাগছে খেতে?
– হুম।
প্রীতুল বলল, আমারও খুব ভালো লাগছে।
রোদ হেসে প্রীতুলকে বলল, তাহলে আমরা বারবার এখানে খেতে আসবো। তাইনা আব্বু?
প্রীতুল বলল, হ্যাঁ রোদ।
পারমিতা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। রোদের মুখে প্রীতুলকে মিষ্টি করে ডাকা ‘আব্বু’ ডাকটা এতটা মোহনীয় শুনালো, ওর আবার শুনতে ইচ্ছে করছে।
খাওয়া শেষ করে ওরা আরও কিছুক্ষণ খোলা আকাশের নিচে এসে বসলো। বাইরের পরিবেশ ভীষণ সুন্দর। স্নিগ্ধ, নিরিবিলি। কিছুদূরে হাইওয়ে। হুশ করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। প্রীতুল জোনাকির সঙ্গে খেলছে। পারমিতা প্রীতুলের খেলা দেখছিল। হঠাৎ চমকে উঠল রোদের হাতের স্পর্শ পেয়ে। ওর হাতের ওপর হাত রেখেছে রোদ। শিউরে উঠল পারমিতা। হাত সরিয়ে নিতে চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। রোদ হাতটা ধরে আছে। রোদের উষ্ণ হাতের ভেতর ওর হাতটা মুঠোয় ধরে রাখল। নরম করে ধরে রেখেছে রোদ।
পারমিতা অন্যদিকে তাকিয়েই রইল। মুখ ফেরালো না। রোদ বলল, পারোমিতা।
– হুম।
– আই লাভ ইউ পারমিতা।
পারমিতা চমকে উঠলো। এখুনি ওর মুখ থেকে ‘আই লাভ ইউ টু’ কথাটা বেরিয়ে যেতে গিয়েও নিজেকে আটকে নিলো পারমিতা। কি বলতে যাচ্ছিল ও এটা! ওর নিজেরই শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল।
রোদ পারমিতার পাশে এসে বসল। চোখ তুলে তাকালো পারমিতা। ঠিক তখনই..

চলবে..

পারমিতা
পর্বঃ ৩১
_নীলাভ্র জহির

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here