দুজনে দুজনার এত কাছাকাছি এর আগে কখনোই আসা হয়নি। একজন আরেকজনের নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পারছে। পারমিতা রোদের এত কাছে এসেও নিষ্পলক চাহনিতে চেয়ে আছে। চোখের ইশারায় প্রশ্ন, ‘কেন আমাকেই ভালোবাসেন?’
রোদ এর উত্তর কি করে দেবে? কতটা ভালবাসা যায়, তা হয়তো ব্যাখ্যা করে বোঝানো যায়। আকাশের সমান বিশাল, সাগরের সমান গভীর আরও কত উপমা দিয়ে বলা যায় সেই মনের কথা। কিন্তু কেন ভালবাসি- তার উত্তর কি এভাবে দেয়া যায়? কখনো যায় না। ভালবাসা তো একটা আপেক্ষিক বিষয়। কখন, কিভাবে, কার জন্য হয়ে যায়, সেটা কেউই জানে না। জোর করে কাউকে ভালবাসাও যায় না, আবার হাজার চেষ্টা করেও ভালবাসার মানুষকে ভোলাও যায় না। এটা এমনই একটা জটিল মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
পারমিতা জানতে চাইলো, কি ভাবছেন?
রোদের বাহু চেপে ধরলো পারমিতা। রোদ পারমিতার আরও কাছে চলে এলো। দুজনে দুজনের এত কাছে, যেন যুগান্তরের পর আরও বহু যুগান্তর এভাবে কেটে যেতে পারে। এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্ত, জীবনে খুব কম আসে। রোদ ঘনঘন নিশ্বাস ফেলছে। পারমিতা একদৃষ্টে চেয়ে আছে ওর দিকে। চেয়ে আছে রোদ। দুজনেই চেয়ে থাকতে থাকতে একটা ঘোরের মাঝে প্রবেশ করলো। সেই ঘোর যে এক অন্যরকম বিষয়। অনেকটা অপার্থিব বিষয়গুলোর মতো। এমন অদ্ভুত ঘোরের মায়ায় মিশে দুজনে আরও কাছে এগিয়ে এলো। পারমিতা রোদের বুকে খামচি দিয়ে ধরল ওর টিশার্ট। শার্টের সঙ্গে বুকের চামড়ায় আঙুল বসিয়ে দিয়েছে নিশ্চয়। আর রোদ পারমিতার বাহু চেপ্ব ধরে ওকে নিজের এত কাছে টেনে নিলো। তারপর, একটা আলতো চুমুর স্পর্শে রোদ ভরিয়ে দিলো পারমিতার দুই কোমল ঠোঁট। দীর্ঘ বছর পর, শরীরের এই প্রবল উন্মাদনার সময়ে এত প্রেমময় উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে পারমিতাও যেন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। নিজেকে বিলিয়ে দিলো রোদের কাছে। রোদ আলতো চুমুর মধুর স্পর্শ দিয়ে ওকে চুমু খেলো আরও অনেক্ষণ। চুম্বন শেষে পারমিতা রোদের বুকে মাথা রেখে চুপচাপ হয়ে গেল। ঘনঘন শ্বাস পড়ছে রোদের। পারমিতার মাথায় হাত রেখে গম্ভীর হয়ে গেল রোদ নিজেও।
কিছুক্ষণ পর রোদের মুখে মিষ্টি হাসি ফুটল। এমন ভালবাসার স্পর্শ ওকে নতুন একটা অনুভূতির সন্ধান দিয়েছে। এই অনুভূতির সঙ্গে আর কিছুরই উপমা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রোদ মুচকি হাসছে। ওর ভালো লাগছে আজকে অনেক।
এভাবে অনেক্ষণ কেটে গেল। বেয়ারা দূরে দাঁড়িয়ে ওদেরকে দেখে আর কাছে আসার সাহস পেলো না। দূর থেকেই চলে গেল। রোদ পারমিতালর চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল, তোমাকে সবসময় আমার বুকে এভাবেই আগলে রাখবো।
– তাই যেন হয়। আমি যে আপনার হয়ে গেলাম। আর নিজেকে সরাতে পারবো না।
– জানি। তুমি তো অনেক আগেই আমার হয়ে গেছো।
পারমিতা চুপ করে রইল। রোদ বলল, তুমি তো হওনি। আমিই তোমাকে আমার করে নিয়েছি। ঠিক বলেছি?
– হ্যাঁ। আপনিই করে নিয়েছেন। নিজেকে অনেক শক্ত করে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারলাম আর কোথায়। ঠিকই আপনি আমাকে কেড়ে নিলেন। আপন করে নিলেন।
– তোমাকে ছাড়া আমার জীবনটাও অর্থহীন হয়ে যেত পারমিতা।
– কেন? আপনি অন্য কাউকে ভালবাসতে পারতেন। কত মেয়ে আপনার চারপাশে। অন্য কাউকেও বিয়ে করতে পারতেন। আপনি আমাকে ভালবেসে এতটা পাগলামি কেন করলেন?
রোদ পারমিতার হাত নিয়ে মুঠোয় ভরে হাতের ওপর চুমু খেয়ে বললো – শোনো পারোমিতা। প্রত্যেকের জীবনে শান্তির আলাদা আলাদা জায়গা থাকে। আমাকে দেখে কি মনে হয়? বাবার অঢেল টাকা পয়সা। কোনোদিনও অভাব কি জিনিস বুঝিনি। বাড়ি আছে, গাড়ি আছে, চাকর বাকর, আমাদেরকে দেখাশোনার জন্য অনেক লোকজন রাখা আছে। আমার বাবা একটা কোম্পানির এমডি। যেটা আমি চাইলেই যখন তখন আমার হয়ে যাবে। আমার জীবনে কোনো কিছু অর্জন করার দরকার হয়নি। সবকিছু আপনা আপনি আছে। তাহলে আমার সার্থকতা কোথায়? আমার মা বলেন, তুই তোর বাপের বিজনেসকে আগলে রাখবি। তোর বাবা যেভাবে তিলে তিলে এটাকে গড়ে তুলেছেন, তুই সেটাকে ধরে রেখে আরও উন্নতি করবি। সেখানেই তোর সার্থকতা। হয়তো সেটাই। কিন্তু এত টাকা পয়সা নিয়ে নাড়াচাড়া করার ভেতর থেকে কি হয় জানো? লাইফে শান্তি বলে যে একটা ব্যাপার থাকে সেটাই হারিয়ে যায়। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি, আমাদের বাসায় একটা আন্টি আসতেন। ওনার মেয়ের সঙ্গে আমাকে বন্ধুত্ব করতে হয়। জোর করে বন্ধুত্ব ধরে রাখা যায় না। কিন্তু আমাকে রাখতে হতো। মাকে খুশি করার জন্য আমি ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেছিলাম। একদিন ও আমাকে কিস করলো। আমি সেদিন সরাসরি বলে দিলাম আমাকে যেন আর কখনো এসব না করে। আমি ওকে ফ্রেন্ড হিসেবে দেখি। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল। ওরা আর আমাদের বাড়িতে আসেনি। আব্বু এটা জেনে অনেক লজ্জা পেয়েছেন। তবে আমাকে বলেছেন আমি কাজটা যথাযথ করেছি। ওনার মাথা উঁচু হয়েছে আমাকে নিয়ে। কারণ উনি ভয় পেতেন হয়তো বেশি আদর পেয়ে পেয়ে আমি বাজে ছেলে হয়ে যাবো। যদি প্রেম টেম মেয়ে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে বেড়াই।
রোদ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পারমিতার হাতটাকে আরও শক্ত করে ধরে বলল, তুমি এখন আমার। পুরোটাই আমার। তোমার সবকিছু জানা উচিৎ। আমি কিভাবে বড় হয়েছি। আমার জগতটা কেমন সবকিছুই তোমার জেনে রাখা ভালো। আমার স্কুলে দুজন ফ্রেন্ড ছিল, ওরা সুইমিং পুলে সাতার কাটার জন্য বিভিন্ন পার্কে টিকিট কেটে ঢুকত। ওরা আমার ভালো বন্ধু ছিল। আমি সবসময় ওদের সঙ্গে ওদের মত করে মিশেছি। ওদের সঙ্গে একদিন টিকিট কেটে সুইমিং পুলে গিয়ে আনন্দ করেছি। কিন্তু আমাদের নিজস্ব সুইমিং পুল আছে। আমি একদিন ওদেরকে আমাদের বাড়ির পুলে নিয়ে এসে ওদেরকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা সারপ্রাইজড হল না। উলটো আমাদের বাড়ির পুল দেখে দুজনে আপসেট হয়ে গেল। ওরা ভালোমতো কিছু খায়নি। সাতার কেটেও স্বাচ্ছন্দবোধ করেনি। ওরা আমার সঙ্গে আর আগের মত ক্লোজ ছিল না। এগুলো আমার জীবনে অনেক বড় আঘাতের কারণ। আমি সবার সঙ্গে দিল খুলে মিশতে পারি এটা কেউই বিশ্বাস করত না। আশেপাশে সব পরিচিত মেয়েদের মধ্যে আমি কৃত্তিমতা খুঁজে পেতাম। কেউ হাসলে মনে হত ওরা ঢং করে হাসছে। কেউ হাঁটলে মনে হত ওরা অযথা স্টাইল করে হাঁটছে। অথচ তারা নিজেরা যা, সেটা করছে না। আমার এসব ভালো লাগেনা পারমিতা। আমি শুধু সবসময় চেয়েছি একজন খুব সাধারণ মানুষকে জীবনসঙ্গী করে তার সঙ্গে সাদামাটা জীবনযাপন করতে। আমার লাইফ থেকে ডিপ্রেশন দূর করে ফেলতে। তুমি যেদিন আমার জীবনে এলে, তোমাকে প্রথম দেখার পরই আমার মনে হয়েছিল হয়তো আমি এমন জীবনই চেয়েছিলাম। তোমার মতো। তোমার সঙ্গে যত মিশেছি, তত ফিল করেছি আমি আসলে এতদিন তোমাকেই চেয়েছি। বিধাতা তোমাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি যেদিন বুঝতে পারলাম সত্যিই তোমাকে ভালবাসি, সেদিন থেকেই মনস্থির করলাম তোমাকে আপন করে নিতেই হবে আমার।
পারমিতা অবাক হয়েছে খুব। ও আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। পৃথিবীটা কত অদ্ভুত। ভাবছে ও। কেউবা জীবনে সবকিছু থেকেও শূন্যতায় থাকে আর কেউবা শূন্যতায় ডুবে থেকেও পূর্ণ।
রোদ পারমিতার হাত চেপে ধরে বলল, আমি তোমার জন্য সবসময় নিজের সবকিছুকে উৎসর্গ করে দিতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তোমার কোনোকিছুর প্রতি আগ্রহ নেই। লোভ নেই৷ এই জিনিসটাই আমাকে বেশি অবাক করেছে।
পারমিতা রোদের হাতের ওপর হাত রেখে বলল, আপনি কিভাবে আমার এত কাছে এসেছেন আমি জানিনা। আপনার মতো একজন মহৎ মনের মানুষকে আমি জীবনে পাবো এটা কল্পনাও করিনি। আমার ভয়াবহ জীবনের কথা জেনেও আপনি আমাকে কাছে টেনে নিয়েছেন। আমি ভয় পাই। যদি আপনাকেও হারিয়ে ফেলি।
রোদ অন্যমনস্ক হয়ে উত্তর দিল, ভয় আমিও পাই। তোমাকে যত সহজে আপন করে নিয়েছি তত সহজ হয়তো হবেনা ব্যাপারটা। আমাকে অনেক কষ্ট করতে হবে এর জন্য।
– মানে!
– পরে বলবো। এখন থাক বিষয়টা।
– প্লিজ বলুন। কেন কষ্ট করতে হবে? পারিবারিক কোনো ঝামেলা আছে? আমি যতদুর জানি আপনার বাবা নিজে আমার ম্যানেজার স্যারকে পাত্রী দেখতে বলেছিলেন। ম্যানেজার স্যার আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আপনাকে বিয়ে করার জন্য।
রোদ হেসে বলল, এতদিনে এটা স্বীকার করলে। আমার এত কাছে থেকেও কখনো বলোনি।
– আমি আপনাকে কেন, কাউকেই বিয়ে করতে চাইনি।
– সেটা জানি। বাবা আমাকে বলেছে। আমি সেদিন আরও অবাক হয়েছিলাম। যেকোনো মেয়েই আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবার কথা। অথচ তুমি হওনি। তারমানে তুমি কতটা স্পেশাল বুঝতেই পারছো।
পারমিতা লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে মুখ ফিরিয়ে নিলো। রোদ বলল, তোমার কাছে আমার অনেক কিছু চাওয়ার আছে পারমিতা।
– কি কি?
– সব বলবো ধীরেধীরে। সারাটা রাত তো পরেই আছে। তার আগে বলতে চাই, আমার কাছে তুমি কি চাও? তুমি কিভাবে আমাকে চাও বলো। আমি তোমার কাছে নিজেকে সেভাবেই রাখবো সবসময়।
পারমিতা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, আমি নিজে স্বনির্ভর হতে চাই। যেন আর কখনো নিজের জায়গা নিয়ে হীনমন্যতায় না ভুগি। আপনি আমার কাছে আগে যেমন মানুষ ছিলেন সেরকম থাকলেই হবে।
রোদ বলল, আজকে একটা রিকোয়েস্ট করবো রাখবে?
– হুম৷ আগে বলুন।
– তোমার জন্য আমার বাবার অফিসে একটা বড় পোস্টের দায়িত্ব দেবো। তুমি সেখানে বসবে। সবাই তোমাকে সম্মান করবে। তোমাকে নিয়ে দুই কথা বলার কেউ থাকবে না। সবাই ম্যাডাম ডাকবে। কেউ তোমার অতীত জানবে না। তোমার অতীতকে রক্ষা করবো আমি।
পারমিতা অবাক হয়ে বলল, কি বলছেন!
– হ্যা৷ তার আগেই আমরা বিয়ে করবো৷ তুমি ওই অফিসে জয়েন করবে এমডি স্যারের মেয়ে হিসেবে। সবাই তোমার সামনে যথেষ্ট সম্মানিত ভাষায় কথা বলবে। আমার দেখতে ভালো লাগবে।
– কিন্তু! এটা আমার চাই না। এতকিছু দিয়ে আমি কি করবো?
– প্লিজ পারমিতা। প্লিজ। আমার স্ত্রী যদি কাজ করতে চায় তাহলে সে আমার বাবার প্রতিষ্ঠানের দেখাশোনা করবে।
– সবাই বলবে আপনি আমাকে চাকরি দিয়েছেন। আমার কোনো যোগ্যতা নেই।
– কে বলবে? কার সাহস আছে?
– আপনার আত্মীয় স্বজন। না না। আমি কোনদিনও এটা পারবো না।
– আমার আত্মীয়রা এমনিতে আরও বেশি কথা বলবে। তুমি আমাদের অফিসে বসলে কেউ এতো সাহস পাবে না। আর তাছাড়া তুমি তো নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছো। যত ভালো কাজ করবে, তত তোমার সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। বাবা সবাইকে বলবে তোমার কাজের কথা।
পারমিতা দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে বলল, এটা কিভাবে হয়? কেউ যদি বলে আমি টাকার লোভে আপনাকে বিয়ে করেছি, আমি এটা কোনোদিনও সইতে পারবো না।
– তাহলে তুমি কি করতে চাও?
– আমি নিজে একটা বিজনেস করতে চাই রোদ।
কথাটা বলার সময় পারমিতার গলা কেঁপে উঠল। এতদিন মনের ভেতর লুকানো সুপ্ত বাসনার কথা মুখ ফুটে বলে ফেলেছে ও।
রোদ বলল, তুমি বিজনেস করতে চাও? কিসের বিজনেস?
– তা এখনো ভাবিনি। তবে ভেবেচিন্তে কিছু একটা করবো। যেই কাজে আমি মনের আনন্দ খুঁজে পাবো। কারও কাছে আমি কোনো লোন নেবো না। নিজে জমানো টাকা দিয়ে ছোট্ট একটা ব্যবসা শুরু করবো। প্রথমে অনলাইনে, তারপর ধীরেধীরে যদি কখনো সম্ভব হয়.. একটা শো রুম দেবো।
– তুমি চাইলে আমি এখনই তোমাকে শো রুম দিয়ে দিতে পারি
– তা আমি চাইনা। আমি বললাম ই তো আপনার কাছেও এক পয়সা নেবো না। নিজের জমানো টাকা দিয়ে শুরু করতে চাই। ছোট্ট ব্যবসা হলেও সেখানে আমার আত্মতুষ্টি থাকবে।
রোদ পারমিতার সামনে বসে ওর হাত ধরে বলল, আই স্যালুট ইউ। আমি এর জন্য সারাজীবন তোমাকে সম্মান করবো।
– থ্যাংকস। আরো কিছু চাওয়ার আছে আমার।
– যেমন?
– আমি কখনো গয়নাগাটি, দামী লাক্সারিয়াস ফ্যাশন শো করতে পারবো না। আমি আমার মত থাকবো। আপনাদের পারিবারিক আয়োজনে আপনি আমাকে নিজের রোজগারের টাকায় যা উপহার দেবেন তাই পরবো। কিন্তু অতিরিক্ত কোনোকিছু নয়। প্লিজ।
– আমার রোজগার কত জানো? হা হা হা। ঠিক আছে। তুমি সবসময় সাদামাটা থাকো সেটাই আমি চাই। এটাই তোমার অসাধারণতা।
পারমিতা রোদের হাত চেপে ধরে বলল, থ্যাংক ইউ। এবার বলুন তো, আপনি কোন কষ্টের বললেন তখন? আমাকে পেতে আপনাকে নাকি আরও কষ্ট করতে হবে?
রোদ চমকে উঠলো। বিষণ্ণ দেখালো ওর মুখ। পারমিতা জানতে চাইলো, আপনি অন্য কারও কাছে দায়বদ্ধ? আর কেউ আছে আপনার জীবনে?
শুকিয়ে গেল রোদের মুখ। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল রোদ।
চলবে..
পারমিতা
পর্বঃ ৩৫
_নীলাভ্র জহির
আগের সব পর্ব গুলো
https://www.facebook.com/110459021413163/posts/118686803923718/