#পারমিতা
পর্ব ৪০
_নীলাভ্র জহির
পারমিতার হাতে থাপ্পড় খেয়ে রাসিফ একদম নির্বাক। প্রাক্তন স্ত্রী হলেও পারমিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক এতটাও খারাপ ছিল না কখনো। যে কারণে পারমিতা রাসিফের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না। কতটা ঘৃণা থাকলে একটা মেয়ে তার প্রাক্তন স্বামীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চড় মারতে পারে, সেটা আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না রাসিফের।
রাসিফ নিচু হয়ে আছে। পারমিতার দিকে তাকানোর সাহস বা ইচ্ছে কোনোটাই নেই ওর মাঝে। পারমিতা লজ্জায় পড়ে গেছে। রাসিফের প্রতি তার রাগ আছে সত্যি। কিন্তু তাই বলে ওর গালে চড় মারার মত পরিস্থিতি আসবে এটা ও কখনো কল্পনাও করেনি। নিজের কর্মে নিজেই চরম লজ্জা পেয়ে পারমিতা চুপ করে আছে। রাসিফ কিছু বলতে চায়। ও যেটা বলতে চায় সেটা কি ওর শোনা উচিৎ? স্বাভাবিক ভাবেই শোনা উচিত না। কিন্তু মানবিক দিক থেকে বললে, শোনা দরকার। তার ওপর পারমিতা রাসিফকে চড় মেরেছে। ছিঃ নিজের ওপর রাগ হচ্ছে ওর।
পারমিতা বলল, আই এম সরি। কি বলতে চাও তারাতাড়ি বলো। আমাকে অফিসে যেতে হবে।
– তুমি কি কাজটা ঠিক করলে?
– আমার মাথা ঠিক ছিল না। অবশ্য রাসিফ তুমি জানো, তুমি আমার সাথে যা যা করেছো, তার বিনিময়ে তোমার সঙ্গে আমার আরও খারাপ আচরণ করা উচিৎ।
– তুমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমার গালে থাপ্পড় মারলে। এরচেয়ে খারাপ আচরণ আর কি হয় পারমিতা?
– আমি সরি বলেছি।
– আমিও সরি বলেছি। আমি কি বলতে চাই সেটা একবার শোনার প্রয়োজন মনে করছো না। বুঝতেই পারছি আমার ওপর তোমার কতটা ঘৃণা জমে আছে।
– সেসব বাদ দাও। কি বলতে চাও বলে ফেলো।
– তোমার কি তাড়া আছে?
– হ্যাঁ। অফিসে সময়মত যেতে হবে।
– আমার নাম্বারটা আনব্লক করে দিও। আমি ফোন করে তাহলে এ ব্যাপারে কথা বলবো।
– এখন বলতে অসুবিধা কোথায়?
– অসুবিধা আছে। দুজনেই এখন রেগে আছি। চাইনা এ সময় কোনোকিছু নিয়ে আলাপ করতে। আর এমনিতেও আমার এখন কথা বলার মুড চলে গেছে। আশাকরি তোমারও শোনার মুড নেই। তাই তুমি যেতে পারো।
– থ্যাংক ইউ।
পারমিতা উলটো ঘুরে হাঁটা ধরলো। একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়ল তাতে। পেছন ফিরে তাকানোর প্রয়োজন মনে করল না। রাসিফ ওর দিকে তাকিয়ে থাকবে ভেবে পারমিতার পেছনে তাকানোর কোনো ইচ্ছে নেই।
অফিসে প্রবেশ করল খারাপ মেজাজ নিয়ে। মনটা ওর বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। আজকে কাজে মন বসবে না। মাঝেমাঝে না চাইতেও পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকে না।
রোদ পারমিতাকে ডেকে পাঠালে পারমিতা ওর রুমেও যেতে ইতস্তত বোধ করছিল। মাথা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করে পারমিতা রোদের চেম্বারে আসলো।
রোদ বলল, গুড মর্নিং। ফোন দিয়েছিলাম একটু আগে। ধরলে না যে?
– রাস্তায় ছিলাম।
– বসো। কি হয়েছে?
– কই কিছু না তো।
– মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে।
পারমিতা চেষ্টা করলো মুখে হাসি ফোটানোর। সে যথাসম্ভব স্বাভাবিক ভাবেই এসেছে। তারপরও রোদ ওর মুখ দেখে এটা বুঝে ফেলল দেখে ওর মধ্যে এক ধরনের ভালো লাগা ছুঁয়ে গেল। ছেলেটা এত কিছু বোঝে কেন!
রোদ বলল, চুপ করে ভাবছো কি? চা খাবা?
– হ্যাঁ খাওয়া যায়।
– সকালে খেয়ে বের হইছো?
– হ্যাঁ। আপনি?
– আমি খাইনি। আজকে মা’র সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
– সে কি!
পারমিতা আৎকে উঠলো। ভয় পেয়েছে ও। তার জন্য রোদ আর ওর পরিবারের মাঝে অশান্তি হোক সেটা চায় না পারমিতা।
রোদ বলল, তেমন সিরিয়াস কিছু না। মাকে জাস্ট বলেছিলাম, তুমি একবার পারমিতার সঙ্গে কথা বলো। তোমার ওকে ভালো লাগবেই। মা এমন রিয়েক্ট করল, তাই আর খাইনি। তোমার কি মন খারাপ হয়ে গেল সেটা শুনে?
– হুম একটু তো খারাপ লাগছেই।
– চাপ নিও না। ঠিক হয়ে যাবে সব।
– আপনি খাবেন না কিছু?
– ক্যান্টিনে খেয়ে নেবো। আমি তো প্রায়ই দুপুরে খাই। সকালে শুধু এক কাপ চা। অবশ্য তুমি যখন আসবে তখনকার হিসাবটা আলাদা। তখন তো প্রতিদিন সকালে আমার মিষ্টি বউয়ের হাতে খাবো।
রোদ পারমিতাকে পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ে মাথা রাখল।
পারমিতা বলল, কেউ এসে পড়বে তো।
– আসলে আসুক।
– ছি ছি লজ্জায় পড়ে যাবো।
রোদ নিজের জায়গায় চলে গেল। পারমিতা বলল, চা আসতে কতক্ষণ লাগবে?
রোদ দুবার বেল টিপে চায়ের অর্ডার দিলো। তারপর জানতে চাইলো, কি হয়েছে তোমার? আজ একটু আপসেট দেখাচ্ছে।
– কিছু না।
– আমাকে এখনো তুমি নিজের করে নিতে পারলে না পারমিতা।
পারমিতা চুপ করে রইল। সে আগে রাসিফের সঙ্গে কথা বলবে তারপর রোদকে জানাবে। হুট করে দুজনের মাঝে রাসিফ অশান্তির কারণ হোক সেটা চায় না ও। রাসিফকে চড় মারার কথাটা কিছুতেই রোদকে বলা যাবে না। এতটা লজ্জাবোধ হচ্ছে পারমিতার।
– এখনো মুখ ভার করে রেখেছো?
– আসলে আমার আজকে একটু মুড সুয়িং চলছে। মেজাজ ভালো নেই।
– আগে বলবে না? চলো বাইরে যাই। তোমার মুড ভালো করে দেই।
– এখন না। আমার অনেক কাজ আছে। আর অফিসের লোকদের সামনে বের হয়ে যেতেও পারব না আমি। এমনিতেই অনেকে হয়ত সন্দেহ করে।
– করলে করবে।
– তাতে আপনার কিছু যাবে আসবে না। আমার চরিত্র নিয়ে কথা উঠবে।
– বুঝেছি আজকে তোমার চরম মেজাজ খারাপ। তাই আর কথা বাড়াতে চাই না। চা খাও।
চা দিয়ে গেছে পিয়ন। পারমিতা চায়ের কাপ হাতে তুলে নিলো। ধোঁয়া উঠছে চা থেকে। রোদ কাপে চুমুক দিয়ে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। সূর্যের আলোর বিপরীতে দাঁড়ানোয় রোদকে আবছায়া দেখাচ্ছে। ওর দিকে তাকিয়েই পারমিতার বুক ভারী হয়ে থাকা ভাবটা কেটে গেল।
পারমিতা বলল, আজকে অফিস শেষে আমাকে বাসায় পৌঁছে দেবেন?
রোদ চমকে উঠলো, হ্যাঁ অবশ্যই। তুমি বললে প্রতিদিন তোমাকে বাসা থেকে নিয়েও আসতে পারি। অনেক কষ্ট করে আসো। আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছি তোমাকে নিয়ে আসবো৷ তুমি রাজি হবেনা ভেবে আমি কথাটা বলতে সাহস পাই না।
পারমিতা ম্লান হেসে বলল, না থাক। দরকার নেই। আজকে পৌঁছে দিলেই হবে।
– ওকে।
– আমি তাহলে যাই। অনেক্ষণ হল এসেছি।
– তুমি সমাজকে এত ভয় পাও কেন পারমিতা?
– সমাজটাই আমাদের জীবনকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এজন্য ভয় পাই।
– আমি থাকতে আর কেউ কখনো তোমার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না পারমিতা।
পারমিতা আত্মতুষ্টির সঙ্গে চা খাওয়া শেষ করলো। এখন মনটা কিছুটা ভালো হয়েছে। রুম থেকে বের হওয়ার সময় পারমিতা বলল, ঠিক আছে আপনি প্রতিদিন আমাকে বাসা থেকে অফিসে নিয়ে আসতে পারেন।
মুচকি হাসল রোদ। পারমিতাও মুচকি হাসি ফেরত দিলো।
নিজের ডেস্কে ফিরে কাজে মন দিলো ও।
হঠাৎ মনে পড়ল, রোদের রুমে সিসি ক্যামেরা নেই? সব চেম্বারেই তো ক্যামেরা থাকার কথা। সর্বনাশ, ওকে জড়িয়ে ধরে কথা বলার দৃশ্যটা অন্যদের নজরে আসবে না তো?
ভয় ভয় গলায় পারমিতা রোদকে ফোন করে কথাটা বলতেই রোদ উচ্চস্বরে হেসে বলল, আরে তুমিও না। আমার রুমে ক্যামেরা নেই।
– নেই কেন? ক্যামেরা থাকা দরকার।
– ক্যামেরা থাকলে কি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারতাম?
– ধরুন কেউ যদি আপনাকে খুন করে ফেলে তখন কি করে বুঝবে কে এই কাজ করেছে?
– বাবারে তুমি এই চিন্তা করো? যে কেউ আমাকে খুন করতে আসবে? হা হা হা। হাসালে আমাকে। দরজার বাইরে, করিডোরে সব জায়গায় ক্যামেরা আছে। সেটাই যথেষ্ট। আর আমি এমন কোনো ব্যক্তি হয়ে যাইনি যে আমাকে খুন করবে তাও অফিসে এসে। আমার জন্য এত দুশ্চিন্তা করতে হবেনা আপনার।
পারমিতা চুপ করে থেকে বলল, ঠিক আছে। রেখে দিচ্ছি।
– পাগলী একটা।
পারমিতা ফোন রেখে কিছুক্ষণ কাজ করল। কাজের ফাঁকে আবারও মনে পড়ে গেল রাসিফের কথা। ছেলেটাকে থাপ্পড় মেরে কাজটা ঠিক করেনি ও। কিন্তু রাসিফ কি বলতে চায়?
পারমিতা মোবাইল থেকে রাসিফের নাম্বারটা আনব্লক করে দিলো। রাসিফ কল দেবে, যদি তখন সে রোদের সঙ্গে থাকে? প্রয়োজনীয় কথা শেষ হলেই আবারও রাসিফের নাম্বারটা ব্লক লিস্টে ঢুকিয়ে রাখবে পারমিতা।
অফিস শেষ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আজকে অনেক কাজের প্রেশার ছিল। কাজ থাকলেই পারমিতার ভালো লাগে। নিজেকে ব্যস্ত রাখা যায়।
বের হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রোদের গাড়িতে উঠল পারমিতা। অফিসের সামনে থেকে এভাবে রোদের গাড়িতে উঠতে নামতে দেখলে কলিগ’রা কি ভাব্বে কে জানে। রোদ কারও ভাবনাকে তোয়াক্কা করে না। কিন্তু পারমিতাকে ভাবতে হয়। অসংখ্য চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে সবসময়। তাকে সবার চোখে সংযত হয়ে থাকার চেষ্টা করতে হয়।
গাড়ি জ্যামে আটকে আছে অনেক্ষণ। জ্যাম ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছে মাত্র। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো। এমন সময় রোদ হঠাৎ মাথাটা এগিয়ে এনে পারমিতার মাথা ধরে ওর ঠোঁটে চুমু খেলো। চুমুর আবেশে হারিয়ে গেল পারমিতা। চোখ বুজে ফেলল ও। রোদের ঘাড় জড়িয়ে ধরতেই পারমিতার শরীরে শিহরণ জাগলো। ইচ্ছে করছিল রোদকে আরও কাছে টেনে নিতে। ইচ্ছেকে বিসর্জন দিয়ে পরমুহুর্তেই পারমিতা নিজেকে সামলে নিলো।
রোদ বলল, নূপুর পায়ে তোমাকে দারুণ মানিয়েছে।
পারমিতা লাজুক ভঙ্গীতে হাসলো। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছেলেটা কত কি যে বলবে!
রোদ পারমিতার হাতটাকে নিজের হাতের মুঠোয় ভরে ধরে রাখল। পুরোটা পথ হাত ধরে রইল রোদ। বাসার সামনে এসে পারমিতা করুণ গলায় বলল, চলে যাবে এখনই?
– আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করবো না? পাগল হয়েছ?
গাড়ি পার্ক করতে বলে রোদ পারমিতার সঙ্গে বাসায় প্রবেশ করল। প্রীতুল দৌড়ে এসে কোলে উঠল রোদের। আদুরে গলায় বলল, রোদ তুমি আসছ?
– রোদ না ব্যাটা, আব্বু বল।
পারমিতা হাসতে হাসতে ওয়াশরুমে প্রবেশ করল। দ্রুত গোসল সেরে বের হয়ে তরকারি গরম করছিল পারমিতা। রোদ ওর চুলের ঘ্রাণ নিয়ে বলল, তোমার শ্যাম্পুর ঘ্রাণ নেই কেন?
– আমি শ্যাম্পু করিনি আজকে।
– তোমাকে একটা শ্যাম্পু কিনে দেবো।
– প্লিজ না।
পারমিতা রোদের দিকে ফিরে কিছু বলতে যাবে, তখন রোদ ওকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে নিলো। পারমিতার কোমর জড়িয়ে ধরে রোদ বলল, কি?
– আর কোনো পাগলামি নয়।
– পাগলামি তো এখন করবো।
– না। একদম না। প্রীতুল দেখে ফেলবে।
– অল্প একটু পাগলামি..
– উহু..
বাঁধা শুনলো না রোদ। পারমিতার গলায় আলতো চুমুর পরশ মেখে দিলো। পারমিতা লজ্জায় মুখ লুকালো ওর বুকে, প্লিজ আর এমন করবেন না। আমি মরে যাবো।
– তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবো। মরে যেতে দেবে কে?
– প্লিজ।
– আর করবো না এমন। তুমি তারাতাড়ি আমার ঘরে চলে আসো। তখন আর বাঁধা দিলেও শুনবো না
– তখন বাঁধা দেবোও না।
– ও তাহলে এই কথা? মহারাণী একদা বলিলেন, আমি এখনই বিবাহের জন্য প্রস্তুত নই। আজকে মহারাণী বলিলেন, তিনি বিবাহ করিয়া প্রেম করিবেন।
– যাঃ দুষ্টুমি করে না। এমনভাবে ভালবাসলে কি দূরে থাকা যায়!
পারমিতার কণ্ঠে আবেগ প্রকাশ পেলো। রোদ রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে প্রীতুলের কাছে গিয়ে গল্প আরম্ভ করে দিলো। একসঙ্গে ভাত খেতে বসল ওরা। খাওয়া প্রায় শেষের দিকে এমন সময় টেবিলে থাকা পারমিতার ফোন বেজে উঠল। চমকে উঠলো পারমিতা। রাসিফ কল দিয়েছে। ভাগ্যিস ওর নাম্বার সেভ করা নেই।
রোদ বলল, কে ফোন করেছে? ধরো।
– ভাত খেয়ে নেই আগে। তারপর কথা বলা যাবে।
পারমিতা এমন একটা ভাব করল যেন ফোনটা পরিচিত কারও। কোনো প্রয়োজনীয় কথা বলতে ফোন দিয়েছে হয়তো।
ভাত খাওয়া শেষ হলে ফোন আবারও বেজে উঠল। পারমিতা ফোন হাতে নিয়ে মিউট করে দিলো। রোদ প্রীতুলের সঙ্গে খেলছে। এবার রিসিভ না করলে যদি আবারও ফোন করে? পারমিতা দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে ভুগতে কল রিসিভ করলো।
বলল, হ্যালো। হ্যাঁ হ্যাঁ। আপনি আপনাকে একটু পরেই কল করছি।
পারমিতা ফোন কেটে দিয়ে রোদের দিকে তাকাল। ওর দিকে খেয়াল নেই রোদের। সে খেলছে। হাফ ছেড়ে বাঁচল পারমিতা।
রোদ বিদায় নিয়ে চলে গেল রাত নয়টায়। পারমিতা ফোন সাইলেন্ট করে ড্রয়ারে রেখে দিয়েছে। ভুল হয়েছে রাসিফের নাম্বার আনব্লক করা। পরিস্থিতি এমন যে রোদকে রাসিফের কথা বলাও যাচ্ছে না।
রোদ চলে গেলে পারমিতা ফোন বের করে দেখল রাসিফ আর কল দেয়নি। নিজে থেকে কল দিলো পারমিতা। কথা শেষ করে ওর ঝামেলাটা মিটিয়ে ফেলা দরকার।
দুবার রিং হতে রিসিভ করল রাসিফ, হ্যালো পারমিতা..
চলবে..
আগের পর্ব গুলো
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=641896073477694&id=100029719223370