পারমিতা” পর্ব-৪৩

0
1845

#পারমিতা
পর্ব ৪৩
নীলাভ্র জহির

১৮+ সতর্কতা
প্রাক্তন স্বামীর উপর রাগ কিংবা ক্ষোভ থাকলে রাগের বশেই তাকে খুব সহজেই ভুলে থাকা যায়। কিন্তু সেখানে সহানুভূতি জন্মালে তাকে বারবার স্মরণ করতে হয়। কখনো মন চায় এই সহানুভূতিটা ঠেলে দূর করে দিতে। আবার অবচেতন মন চায় এই সহানুভূতির জেরে তাকে কাছে টেনে নিতে। পারমিতা এখন এই দোটানায় ভুগছে। রাসিফকে তার কাছে টেনে নিতে ইচ্ছে করছে না ঠিকই তবে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মকে সে তুচ্ছ করতে পারছে না। রাসিফের জন্য বড্ড মায়া হচ্ছে তার। এই মায়া তাকে প্রেমিক হিসেবে পাওয়ার জন্য নয়, এই মায়া তার সন্তানের জন্য। রাসিফ তার সন্তানের বাবা।

পারমিতা দ্বিধাগ্রস্থ অবস্থায় পুরোটা বিকেল কাটিয়ে দিল। প্রীতুল বারবার কান্নাকাটি করছে বাইরে যাওয়ার জন্য। পারমিতার একদমই যেতে ইচ্ছা করছে না। হঠাৎ তার মনে হল যদি প্রীতুলের একজন বাবা থাকতো তাহলে সে বাবার হাত ধরে বাইরে ঘুরতে যেতে পারত। কিন্তু হায়, এ কোন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে সে। এখন প্রীতুলের দুইজন বাবা। সে কাকে তার সত্যিকারের বাবা হিসেবে সারা জীবনের জন্য বাঁধিয়ে রাখবে?

অনেক ভাবনা চিন্তার পরও পারমিতা সিদ্ধান্তে আসতে পারল না। সন্ধা ঘনিয়ে এসেছে। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো। পারমিতা যাওয়ার আগেই প্রীতুল দরজা খুলে দিয়েছে। রোদ এসেছে। ঘরে ঢুকেই প্রীতুলকে কোলে নিয়ে চুমু খাচ্ছে রোদ। প্রীতুল বলল, রোদ আমি বাইরে যেতে চাই। কিন্তু আম্মু আমাকে নিয়ে যাচ্ছে না। প্লিজ তুমি আম্মুকে বলো না আমাকে বাইরে নিয়ে যেতে।
রোদ বলল, আম্মু তো আমার সঙ্গে রাগ করে আছে। এ কারণেই আম্মু আমার কথা শুনবে না। তুমি আম্মুকে গিয়ে বল চলো আমরা তিনজন একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে চাই।
– ইয়ে খুব মজা হবে। তোমার সঙ্গে বাইরে গেলে আমার অনেক আনন্দ হয়।
হাততালি দিল প্রীতুল।

কিন্তু পারমিতা কিছুতেই বাইরে যেতে চাইছে না। ভালো লাগছে না তার। রোদ বলল, ঠিক আছে বাবা তাহলে চলো তুমি আর আমি ঘুরতে যাই। আম্মু ঘরে একা একা মন খারাপ করে বসে থাকুক। বাইরে গেলে খুব সুন্দর খোলা হাওয়ায় মনটা ভালো হয়ে যেত। ঠিক আছে আম্মু তো আমাদের কথা ভাবে না। আমরাও আর ভাববো না। চলো আমরা দুজনে মিলে বাইরে যাই।

প্রীতুল রোদের হাত ধরে বলল, ঠিক আছে চলো।
রোদ ও প্রীতুল বাইরে বেরিয়ে গেল। রোদ পারমিতাকে ডেকে বলল দরজাটা আটকিয়ে দাও। পারমিতা দরজা আটকানোর জন্য এলে দুজনের চোখাচোখি হল। রোদের চোখে বিষন্নতা। ঠোঁটের কোণে লেগে আছে মন খারাপ। রোদের দিকে তাকিয়েই পারমিতার বুকের ভিতর কেমন যেন করে উঠলো। রোদের চোখেই সে সত্যিকারের ভালোবাসা দেখতে পেয়েছে। মানুষটা তার জন্য এতটা পাগল। এমন একজন ভালো মনের মানুষকে কখনো কষ্ট দিতে হয় না। অপরাধবোধ জাগল তার মনে।

পারমিতা দরজার বাইরে বেরিয়ে দরজা আটকে দিল। চমকে উঠল রোদ। পারমিতাও সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করলো। রোদ মুচকি হেসে বলল, জানো প্রীতুল তোমার মায়ের রাগটা কিছুটা কমেছে।
পারমিতা মুখ টিপে হেসে বলল, আমি আপনাদের সঙ্গে যাচ্ছি কে বলেছে? আমি একটু নিচ তলায় যাচ্ছি আমার কাজ আছে।
গেট দিয়ে বাইরে বেরোনোর পর রোদ বলল, কেউ একজন বলেছিল নিচতলায় তার কাজ আছে। অথচ সে আমাদের সঙ্গেই কিন্তু যাচ্ছে।
পারমিতা বলল, আমার একটু বাইরে কাজ আছে।
রোদ প্রীতুলকে গাড়িতে তুলে গাড়ির দরজা খোলা রেখে বলল, কেউ চাইলে আমরা তাকে তার কাজের জায়গায় নামিয়ে দিতে পারি।
পারমিতা মুচকি হেসে রোদের গাড়িতে উঠে পড়ল। গাড়ি স্টার্ট দিল রোদ। একটা রোমান্টিক মিউজিক ছেড়ে দিল সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল প্রীতুল।
রোদ জিজ্ঞেস করল, কারো কোথাও একটা কাজ আছে শুনেছিলাম।
পারমিতা বলল, এবার কিন্তু সত্যি সত্যি গাড়ি থেকে নেমে যাব।
খপ করে পারমিতার হাত ধরে ফেলল রোদ। রোদের উষ্ণ হাতের স্পর্শ পেয়ে পারমিতার শরীরটা শিরশির করে উঠলো। পুরনো আবেগ দোলা দিয়ে গেলো তাকে। শরীরটা চনমন করে উঠলো। তাদের মাঝখানে ঘুমিয়েছে প্রীতুল। মাঝে বেশ দূরত্ব। পারমিতা রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে রইল। দুজনের দৃষ্টিতে একই নেশা। একে অপরের ওষ্ঠ চুম্বন করার তাড়না।
সিগনালে গাড়ি দাঁড়িয়েছে। রোদ কিছুটা পারমিতার দিকে ঝুকে এসে পারমিতার মাথাটা খপ করে ধরে তার ঠোটে চুমু খেলো। চুম্বন করে দূরে সরে গেল সে। পারমিতা অবাক হয়ে প্রীতুলকে একবার দেখে নিল। প্রীতুল এখনো ঘুমে। অন্য দিকে তাকালো পারমিতা। তার লজ্জা লাগছে। ঠোঁটে মিষ্টি লাজুক হাসি। এই মুহূর্তে সে ঠিক এটাই চেয়েছিল রোদের কাছ থেকে। রোদ কিভাবে যেন তার চোখের ভাষা বুঝে ফেলতে পারে। ঠিক এ কারণেই সারাজীবন রোদকে ভালোবেসে যেতে ইচ্ছে করছে তার। রোদ মানুষটা এমনই সুন্দর, যে কাছাকাছি থাকলেই পারমিতা বারবার তার প্রেমে পড়তে বাধ্য।

একটা রেস্টুরেন্টে এসে গাড়ি পার্কিং করল রোদ। প্রীতুলকে ঘুম থেকে জাগালোনা, ঘুমন্ত প্রীতুলকে কোলে নিয়ে রোদ গাড়ি থেকে নামল। রেস্টুরেন্টের ঝলমলে আলোয় দুজনে এসে বসল একটা টেবিলে। খাবারের মেনু দেখে রোদ পারমিতাকে বলল, তুমি তোমার পছন্দমত অর্ডার দাও।

পারমিতা রোদকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে বলল। কিন্তু রোদ জাগালো না। সে ওকে কোলে নিয়ে বসে রইল। রোদের বুকে খুব যত্নে ঘুমাচ্ছে প্রীতুল। পারমিতা এই দৃশ্যে মুগ্ধ না হয়ে পারল না। রোদকে প্রীতুলের সত্যিকারের বাবা বলে মনে হচ্ছে। তার মনে হঠাৎ প্রশ্ন জাগলো, রাসিফের বুকেও কি প্রীতুল এত নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে? রাসিফ কি পারবে রোদের মতো এতো পরম যত্নে প্রীতুলকে আগলে রাখতে?

একজন মানুষ ঠিক কতটা ভালো হলে অন্যের সন্তানকে এভাবে নিজের সন্তানের মত স্নেহ মমতায় ভালবাসতে পারে সেটা পারমিতার জানা নেই। তার চোখে পানি এসে যাচ্ছে । রোদকে কষ্ট দেয়ায় তার নিজের মাঝে এক ধরনের অপরাধবোধ কাজ করছে। আজ এই অপরাধবোধের বিনিময়ে রোদকে অনেক ভালবাসবে সে ।

পারমিতা খুশিমনে মেনু থেকে খাবার অর্ডার করলো। মুহূর্তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল প্রীতুলের। টেবিলের উপর চমৎকার সব খাবার সাজানো দেখে সে চোখ কচলে বলল, তোমরা আমাকে রেখে খাচ্ছ কেন?
পারমিতা হেসে বলল, তুমি ঘুমাচ্ছ বলে আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
চোখ দুটো চকচক করে উঠলো প্রীতুলের। সে একা একা প্রত্যেকটা খাবার মুখে দিয়ে খাবারের স্বাদ পেয়ে ‘উম’ বলতে লাগলো। হাসতে লাগল রোদ। রোদের চোখের দিকে কয়েক মুহুর্ত তাকিয়ে রইল পারমিতা।

কিছুক্ষণ সময় রেস্টুরেন্টে কাটিয়ে প্রীতুলের সব পছন্দের খাবার কিনে তারা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল। পারমিতা গাড়িতে উঠে বলল, “এতটা ভালবাসি তোমায়” গানটা আছে আপনার কাছে?
-না, তবে তুমি চাইলে অবশ্যই ব্যবস্থা করতে পারব।
গাড়ির স্টার্ট থামিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে গানটা ছেড়ে দিল রোদ। মুচকি হাসলো পারমিতা। এই মানুষটা তার সব ইচ্ছে পূরণ করতে উন্মাদের মত হয়ে আছে। কিন্তু তাকে কি করে খুশি করবে সে। তার কাছে খুশি করার মতো কীইবা আছে!

মার্কেট থেকে প্রীতুলের জন্য কয়েকটা খেলনা কিনে নিল পারমিতা। রোদ পারমিতাকে একজোড়া সুন্দর কানের দুল কিনে দিল।

বাসায় ফিরে খেলনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল প্রীতুল। পারমিতা রোদকে রুমে ডেকে বলল, এই কানের দুলে আমাকে কেমন লাগছে?
মুগ্ধ হয়ে রোদ বলল, খুব সুন্দর লাগছে।
– আমাকে একটা মালা পরিয়ে দিতে পারবেন?
– অবশ্যই পারব।
একটা চেইন বের করে ওর দিকে এগিয়ে দিলো পারমিতা। রোদ পারমিতার পিছনে দাঁড়িয়ে চেইনটা পারমিতার গলায় পরিয়ে দিতে লাগলো।
রোদ বলল, এটা কিসের।
– ইমিটেশন । লকেটটা আমার খুব ভাল লেগেছিল তাই কিনেছি।
রোদ পিছনে দাঁড়িয়ে আয়নার দিকে তাকালো। পারমিতার গলার লকেটটার দিকে দৃষ্টিপাত করল রোদ। সুন্দর এক ক্লিভেজের মাঝখানে লকেটটা ঝুলে আছে। মুহূর্তেই মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ল রোদ। পারমিতাকে সে তার দিকে ঘুরিয়ে নিল। জামার গলা দিয়ে বেরিয়ে থাকা বক্ষ ভাঁজের দিকে নেশাতুর চোখ তাকিয়ে রইল। স্ফীত আকর্ষণীয় বক্ষ রোদকে এক গভীর আচ্ছন্নে ফেলে দিল।
পারমিতা এই মুহূর্তে একটি অদ্ভুত কাজ করে বসলো। রোদের হাত নিয়ে সে তার বুকের উপর রাখলো। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো চমকে উঠল রোদ। অবাক চোখে সে পারমিতার দিকে তাকিয়ে রইল। পারমিতার মুখে মিষ্টি লাজুক হাসি। সেই হাসি দেখে রোদ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। সে পারমিতাকে বুকে টেনে নিয়ে তার ওষ্ঠে চুম্বন করে পাগল করে তুলল তাকে।

দুজনের মোহ কাটলো না এতে। তা যেন বহুগুণে বেড়ে গেল। রোদ উন্মাদের মতো পারমিতার গালে, গলায় কামড় বসিয়ে দিল। পারমিতা আজ মুহূর্তের জন্যও রোদকে বাধা দিল না। চুম্বন পর্ব শেষ করে সে রোদের বুকে মাথা রেখে চুপটি মেরে বসে রইল।
রোদ বলল, কি হলো? মন খারাপ হয়ে গেল?
– না,
– তবে?
– আপনার বাসায় এখন কি অবস্থা?
– বাসার অবস্থা ভালো। মায়ের সঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে। একটু আগেও মায়ের হাতে বানানো চা খেয়ে এসেছি।
– আমি খুব শীঘ্রই আপনার বাসায় যাব। আন্টির সঙ্গে দেখা করব।
-সত্যি বলছো?
পারমিতা কে ওপরে তুলে কয়েক বার ঘুরিয়ে আনন্দ-উল্লাস করল রোদ।
পারমিতা বলল, হ্যাঁ, সত্যি বলছি। আপনি আজকে রাতে আন্টির সঙ্গে বসবেন। কবে আমাকে নিয়ে যেতে চান সেটা নিয়ে কথা বলবেন।
– মা তো বলেছে যে কোন মূহুর্তে নিয়ে আসতে। এটা নিয়ে আর কথা বলার প্রয়োজন নেই।
– প্রয়োজন আছে। সে অভিমান করে আমাকে নিয়ে যেতে বলেছিল কিনা সেটাও বুঝতে পারবেন।
রোদ চুপ করে রইলো।
কিছুক্ষণ পর পারমিতা বলল, আচ্ছা, আমি আপনাদের বাসায় কি পরে যাব?
– তোমার যা ভাললাগে।
– না, আপনি বলুন।
– তোমার একটা সাদা রঙের থ্রি পিস আছে। ওটা পড়ে মাথায় ওড়না দিলে তোমাকে ভীষণ নিষ্পাপ আর পবিত্র লাগে। ওটা পরে যেতে পারো। মা প্রথম দেখেই তোমার প্রেমে পড়ে যাবে।
– আচ্ছা, ঠিক আছে। তাই হবে।
– পায়ের নুপুর আবার খুলে যেও না। নুপুরে তোমাকে বেশ সুন্দর লাগে।
– আর ?
– কোন সাজগোজ করার প্রয়োজন নেই। আমার মা দেখবেন সাজুগুজু ছাড়াই তার পুত্রবধু ভীষণ সুন্দর।
লাজুক হেসে পারমিতা বলল, যা কি সব বলছেন।
– সত্যি বলছি। কাল তোমাকে একজোড়া সাদা রংয়ের কানের দুল নিয়ে দিব। জামার সঙ্গে ম্যাচিং করা কোন জুতা আছে তোমার?
– হ্যাঁ, আছে।
– ব্যাগ আছে?
– না, নেই। কেন বলুন তো? এত ম্যাচিং করার প্রয়োজন কি?
– আমার মা রুচিশীল মেয়েদেরকে খুব পছন্দ করেন। তোমার ব্যবহৃত জিনিস গুলো তোমার রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এগুলো মায়ের মনে এক ধরনের প্রভাব ফেলবে।
– দারুন কথা বলেছেন তো।
মুগ্ধ হলো পারমিতা। প্রীতুলের গলা শুনে রোদ হাসতে হাসতে বলল, এই যা, ছেলেটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমাদেরকে এই অবস্থায় দেখলে সেই কি ভাবত কে জানে?
– এখন ছাড়ুন। প্রীতুলের সঙ্গে গিয়ে খেলা করুন যান।

পরপর দুটো দিন কেটে গেল।
অবশেষে আজ সেই গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজকে পারমিতা রোদের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে। পারমিতাকে রিসিভ করতে এসে রোদ আচমকা পকেট থেকে একটা লকেট বের করে পারমিতার গলায় পরিয়ে দিলো।
অবাক হয়ে পারমিতা দেখল এটা তার পছন্দের লকেটের মতোই দেখতে। কিন্তু এই লকেটটা জ্বলজ্বল করছে। সে জানতে চাইলো, একি! এটা কিসের?
– চেইনটা রূপার আর লকেটটা ডায়মন্ড।
– কী! এসব কেন?
– কারণ তুমি স্পেশাল।

পারমিতা রোদকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমার খুব ভয় করছে। কেন যেন মনে হচ্ছে আমি আপনাকে হারিয়ে ফেলবো।
– ধুর পাগলী। তুমি আজীবন আমারই থাকবে।
আজ সামান্তা এসেছে। প্রীতুলকে সামান্তার কাছে রেখে পারমিতা রোদের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হল। বাসার সামনে রোদের গাড়িতে উঠে বসার পর হঠাৎ পারমিতার চোখ গেল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রাসিফের দিকে। রাসিফ আবার এসেছে! তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে আবার কিছু করে বসবে না তো?

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here