ফাগুন প্রেম পর্বঃ ২০

0
462

#__ফাগুন_প্রেম__
লেখনীতে: Bornali Suhana
পর্ব: ২০
💛
পৃথিবীর বুকে যত সৌন্দর্য আছে আল্লাহ সবটাই ওর চেহারায় ঢেলে দিয়েছেন। কিভাবে পারবো আমি এই বাসন্তীকে না দেখে থাকতে? কিভাবে পারবো? না না আমি তা কখনোই পারবো না। ওর সামনে নাই যাই আমার চেহারা ওকে নাইবা দেখাই নিজে তো ওকে আড়াল থেকে দেখতে পারবো। হ্যাঁ তাই করবো। কথাটা ভাবতেই ইভানের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।
`
সজিব বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে দরজার সামনে এসে কলিংবেল বাজায়। সজিবের হাতে মিষ্টির বক্সটা ধরে রেখেছে। সবচেয়ে দামী মিষ্টিটাই আজ ও নিয়ে এসেছে। একনাগাড়ে কলিংবেল চেপে ধরে আছে। আজকে যেনো তার আর তর সইছে না। অল্প সময়টুকু কেই মনে হচ্ছে অনেক দেরি। শারমিন বেগম দৌড়ে এসে দরজা খুলে দেন। ছেলেকে মিষ্টি হাতে দেখে কিছুটা অবাক হন। সজিব প্রাণবন্ত হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
-“কিরে হঠাৎ মিষ্টি নিয়ে আসলি যে?”
-“মা আমার চাকরি হয়ে গেছে।”
শারমিন বেগম নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। উনার ছেলের চাকরি হয়েছে এতো চেষ্টার পর! মায়ের পা ধরে সালাম করে উঠে দাঁড়ায় সজিব। ছেলের জন্য মন থেকে হাজারো দোয়া করছেন শারমিন বেগম। চোখের জলটাও অনবরত পড়ে যাচ্ছে। মায়ের চোখ মুছে আলতো করে জড়িয়ে ধরে সজিব। কত বছর পর এভাবে জড়িয়ে ধরেছে তার কোন হিসেব নেই। মনটা শান্ত হয়ে গেছে।
-“আর কোন দুঃখ নেই মা। এবার আমাদের সুখের দিন আসবে। জানো মা আমার বেতন ৪০হাজার টাকা আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছেনা কিভাবে কি হয়ে গেলো। এপ্লাই করেছিলাম অন্য পোস্টের জন্য কিন্তু জব হয়ে গেলো আরো ভালো পোস্টে।”
-“সব আল্লাহর হুকুম রে। দেখলি তো আল্লাহ অবশেষে আমাদের কপালেও সুখ দিলেন। যা সজিব তোর বাবাকে বলে আয়।”
-“বাবা কই?”
-“ওইতো রুমেই আছেন।”
-“আর বর্ণালী? ও তো এখনো স্কুলে। কোচিং করিয়ে তারপর ফিরবে।”
-“থাক ও আসুক ওকে সারপ্রাইজ দেয়া যাবে। আমি বাবার সাথে দেখা করে আসি।”
-“হ্যাঁ যা।”
শারমিন বেগমের কান্না যেনো থামছেই না। কিন্তু আজকের কান্নার মাঝে কোন দুঃখ বা কষ্ট নেই আছে শুধুই সুখ। এতোদিনে মনে হয় সুখ পাখিটা ধরা দিলো।
`
স্কুল থেকে বের হয়ে বর্ণালী কোচিং সেন্টারে চলে আসে। ছাতা সাথে থাকা সত্তেও বৃষ্টিতে খানিকটা ভিজে গেছে ও। ক্লাসে ঢুকে দেখলো একটাও স্টুডেন্ট নেই। অফিসে একটা ঢু মারে গিয়ে। রাজন স্যার অফিসে বসে আছেন।
-“স্যার আজকে কোন স্টুডেন্ট নেই যে?”
-“একটু অপেক্ষা করো দেখো আসতে পারে। হয়তো বৃষ্টিতে অনেকের দেরি হচ্ছে। আর না আসলে কিছুক্ষণ পর চলে যেও।”
-“জ্বি আচ্ছা আমি ক্লাসে আছি।”
কথাটা বলেই ক্লাসের দিকে পা বাড়ায় ও। হাত পা বটে চুপচাপ বসে আছে চেয়ারে। বৃষ্টির জন্য বেশ শীত লাগছে। ইভানের কথা মনে পড়ছে খুব। দুদিন ধরে ওর কোন খবরই নেই। কত কল দিলাম একটা কলও রিসিভ করলো না। হয়তো মালিহার সাথে ভালোই আছে। আর নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। কিন্তু বন্ধুত্তটা তো রাখতেই পারতো।
কেন এমন করলো?
কেন আসলো ক্ষনিকের জন্য আমার জীবনে?
জানিনা আল্লাহ কেন ওকে আমার জীবনে পাঠিয়ে ছিলেন। আবার নিয়েও নিলেন। নিজের অজান্তেই বর্ণালীর চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। আজ ও অনুভব করতে পারছে ইভানকে। মনের মাঝে এই টান কেন হচ্ছে তা বুঝতে পারছেনা। চোখ মুছে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়। ওড়নাটা বুক থেকে নামিয়ে পানিটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে তখনি কেউ একজন রুমে এসেছে অনুভব করলো। ওড়নাটা দ্রুত বুকে জড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই চোখ কপালে উঠে যায় ওর। ইভান এসেছে? কত মিস করেছি আর আজ ওর আসার সময় হলো? হুম এখানে তো স্টুডেন্ট হিসেবে এসেছে আমিও টিচার হিসেবে পড়িয়ে চলে যাবো। কোন কথা নেই ওর সাথে। ইভানের সাথে আরো ১টা স্টুডেন্টকে দেখতে পারলাম। ওদের ব্যাচেরই স্টুডেন্ট রাহাত। ইভানকে দেখেই যেনো বর্ণালীর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে ওঠে।
-“আর কেউ কি আসবে? নাকি পড়া শুরু করবো?”
-“আমরা ক্লাস করতে আসি নি।”
ইভানের কথায় বর্ণালী ব্রু কুচকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়।
-“মানে?”
-“রাহাত একটু বাইরে যা।”
রাহাত ইভানের কথায় বাইরে চলে যায়। ইভান বর্ণালীর দিকে একটু এগিয়ে আসে।
-“আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি।”
বর্ণালী যেনো আকাশ থেকে পড়ে। ইভানের আরেকটু কাছে এসে বলে,
-“বা…বাড়ি মানে?”
-“কাল থেকে আমার এইচএসসি পরীক্ষা তাই চলে যাচ্ছি। পরীক্ষা শেষ করে তবেই এখানে আসবো। এবার হয়তো তুমি অনেক খুশি তোমাকে ডিস্টার্ব করার কেউ থাকলো না। আমার আর একমাস সময়ও পাওয়া হলো না।”
-“ইভান এমন কথা কেন বলছো? ওহ সরি তুমি তো মাইশার সাথে বেশ ভালোই ছিলে। তাহলে আমাকে কেন এসব বলা হচ্ছে?”
-‘মানে কি?”
-“মানে কি তা ফেইসবুকে তোমার আর মালিহার যে ছবি পোস্ট হয়েছে তাতে দেখেছি। খুব ভালো সময় যাচ্ছে মালিহার সাথে। খুব ব্যাস্ত ছিলে মনে হয়?
ইভান খানিকটা অবাক হয় বর্ণালীর আচরণে। ও কি তাহলে জেলাস হচ্ছে নাকি?
-“তুমি কি জেলাস হচ্ছো?”
এমন কথা শুনে ও কিছুটা হচকচিয়ে যায়। আসলেই তো ও কেন এভাবে অধিকার নিয়ে ইভানের সাথে কথা বলছে?
-“কি হলো? হিংসে হচ্ছে নাকি মালিহাকে?”
-“একদমই না। এই দুদিন কোথায় ছিলে?”
-“ছিলাম আশেপাশেই সামনে আসি নি। ভেবেছিলাম তোমাকে আমার এই মুখ আর দেখাবো না কিন্তু আজকে তো বাড়ি যাচ্ছি তাই আর দেখা না করে যেতে পারলাম না।”
-“এসব কি বলছো ইভান? আর কেনই বা করেছো এমন?”
-“আমি যে তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলি বর্ণালী। সত্যি বলছি আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি তবুও কষ্ট দিয়ে ফেলেছিলাম। সরি বর্ণালী।”
-“আমি কি তোমাকে বলেছি যে তুমি আমায় কষ্ট দিয়েছো?”
-“এটা বলোনি ঠিক কিন্তু তোমার কথায় ঠিকই কষ্টটা জাহির হয়েছে। তাছাড়া তোমাকে দেয়া প্রতিটি কষ্ট আমি নিজেও অনুভব করেছি।”
-“এসব বাদ দাও প্লিজ। আমি আর কিছু শুনতে চাইছি না।”
-“হুম চলেই তো….”
বর্ণালী ইভানের ঠোঁট চেপে ধরে হাত দিয়ে।
-“চলে যাবে? বললেই হলো? এমন কথা মুখ দিয়েও আনবেনা। হ্যাঁ পরীক্ষা দিতে যাও দিয়ে আবার ফিরে এসো। তোমাকে দেয়া একমাস সময় তোমার জন্য অপেক্ষা করবে। যেদিন ফিরবে সেদিন থেকে শুরু হবে তোমার সময়।”
ইভান কোন কথা বলতে পারছেনা। এতো কোমল হাতে কেউ ওর মুখ ধরে রাখলে কি আর কথা বলা যায়। বাইরে বৃষ্টি অঝোর ধারায় ঝরে পড়ছে। সাথে বিজলি আর মেঘেরডাক। এদিকে এই দুজনের মনের মাঝেও এমন বৃষ্টি হচ্ছে। বুকটা মেঘের গর্জনের মতোই ধুকপুক ধুকপুক করছে। হঠাৎ একটা বজ্রপাতের আওয়াজে বর্ণালী ইভানের একদম কাছে চলে আসে। ভয়ে চিৎকার দিয়ে তার বুকের পাশে শার্ট খামছে ধরে। চোখ বন্ধ করে দ্রুত নিশ্বাস নিচ্ছে। ইভান অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার বর্ণালীর দিকে। এই তো তার মায়াপরি। সে কিভাবে ভাবতে পারলো এই পরিটাকে ছাড়া থাকবে? না না কখনোই সম্ভব না। ওকে যে তার চাই যেকোন মূল্যে চাই। ভালোবাসা দিয়ে তার বাসন্তীকে যে জয় করে নিতেই হবে। তাকে ছাড়া যে কোনভাবেই চলবে না ইভানের। বর্ণালীর উষ্ণ নিশ্বাস ইভানের বুকে ছড়িয়ে পড়ছে। শীতল বাতাসের সাথে এ যেনো অন্যরকম এক মাদকতা সৃষ্টি করছে। ইভান তার হাত তুলে বর্ণালীর কানের পেছনে রাখলো। বর্ণালীর ঠোঁট প্রচন্ডরকম কাঁপছে। ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে টিপটিপ করে তাকায় ইভানের দিকে। ওমনি ইভান ওকে ছেড়ে দেয়। আবারও একই ভুল করতে যাচ্ছলো ও। কেন বর্ণালীকে কাছে পেলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না?
বর্ণালী কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। চুলগুলো ঠিক করে ইভানের দিকে তাকিয়ে বলে,
-“স….সরি। আসলে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
-“ইট’স ওকে বর্ণালী। ইউ ডোন্ট নিড টু সে সরি।”
-“হুম আমাকে সরি বলতে হবে না আর নিজে তাসবিহ জপার মতো সরি বলতেই থাকো আমার বুঝি খুব ভালো লাগে?”
-“আসলে আমি তো ভুল…”
-“আমি কি কখনো বলেছি যে তুমি ভুল করেছো? দেখো ইভান আমি তোমাকে ফ্রেন্ড হিসেবে মানি। আর তুমিও তো তাই মানো তাহলে কেন এমন করো?”
-“আচ্ছা আর এমন হবে না। তবে আমি কিন্তু তোমাকে ফ্রেন্ড হিসেবে মানিও না আর মানবোও না।”
-“ইভান আবার?”
-“কি আবার? আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তুমিও আমাকে ভালোবাসবে।”
বর্ণালী আর ইভানের মাঝে যত মান, অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি ছিলো সামান্য কথা বলাতেই যেনো সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেলো। ইভান ভাবতেও পারেনি বর্ণালী এই বিষয়গুলো এতো স্বাভাবিকভাবে নিবে। বর্ণালীও ভাবতে পারছেনা কিভাবে ও ইভানকে ওর জীবনের সাথে এভাবে জড়িয়ে নিচ্ছে। ইভানকে ছাড়া যেনো এখন ওর চলবেই না। ভালোবাসার মানুষ হিসেবে না হলেও ইভানকে ও বন্ধু হিসেবে চায়।
-“এই চলো তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।”
-“আমার জন্য?”
-“হু বাইরে চলো।”
-“ইভান বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে কিভাবে যাবো?”
-“আহা চলোই না একবার। বাসায় যাবে না নাকি?”
-“যাবো তো কিন্তু…”
-“চলো আমি পৌঁছে দিচ্ছি।”
-“কিন্তু….”
-“তোমার কিন্তু, পরন্তু কি শেষ হবেনা?”
-“আচ্ছা চলো।”
ইভান ক্লাস থেকে বের হয়ে গেলো। আমিও তার পেছনে বের হয়ে এলাম। অফিসে স্যারের থেকে বিদায় নিয়ে এসে দেখি ইভান দাঁড়িয়ে আছে বাইরে। কিন্তু রাহাত নেই।
-“রাহাত কোথায় গেলো?”
-“ও চলে গেছে।”
-“কেন? কোথায় গেলো এই বৃষ্টিতে?”
-“ওর জন্য টেনশন করো না। তুমি আমার সাথে চলো তো।”
বর্ণালী ছাতাটা খুলে নেয়। একা ছাতার মধ্যে ঢুকে এগিয়ে নিতে লাগলেই ইভানের কথা খেয়াল হয়।
-“তুমি ছাতা আনো নি?”
-“নাহ।”
বর্ণালী কিছুটা ভেবে বললো,
-“তাহলে এসো আমার সাথেই চলো।”
বর্ণালীর বলতে দেরি হলেও ওর ছাতার ভেতর আসতে দেরি হলো না। সে যেনো অপেক্ষাতেই ছিলো যে কখন তাকে বলবে। বর্ণালী ও ইভান এক ছাতার নিচে যাচ্ছে। একে অপরের গা ঘেঁষে খুব কাছাকাছি হাঁটছে। বর্ণালীর হার্ট দ্রুত বিট করছে। ইভান যতক্ষণ কাছে থাকবে ততক্ষণ ওর এমনি হবে। ইভনেরও সেইম অবস্থা হার্ট বিট এতোটাই দ্রুত চলছে যে মনে হচ্ছে এখনি ও হার্ট অ্যাটাক করবে। বৃষ্টির পানিতে ইভান ও বর্ণালীর গায়ের দুদিকে ভিজে যাচ্ছে। ইভান একটা কালো রঙের গাড়ির সামনে এসে থামতেই বর্ণালী একটু অবাক হয়।
-“এখানে কেন থামলাম?”
-“তোমার সারপ্রাইজ তো এখানেই।”
-“মানে?”
-“এই যে গাড়িটা বাবা গিফট করেছে আমাকে। জানতে চাও কেন?”
-“কেন?”
-“তোমাকে লং ড্রাইভে নিয়ে যাওয়ার জন্য।”
বর্ণালী চোখ বড় বড় করে তাকায় ইভানের দিকে। এসব কি বলছে এই ছেলে! পাগল হয়ে গেলো নাকি?
-“ভাবছো আমি পাগল হয়ে গেলাম নাকি? পাগল অবশ্য তোমার প্রেমে অনেক আগেই হয়ে আছি। জানো বাবাকে যখন বলেছিলাম তোমার আত্মসম্মান খুব বেশি আর তুমি লোকলজ্জার ভয়ে কখনোই আমার সাথে বাইকে চড়বে না। পরের দিনই বাবা আমাকে কার গিফট করেন।”
-“তু…তুমি তোমার বাবাকে আ….আমার কথা বলে দিয়েছো?”
-“হ্যাঁ বলেছি।”
বেচারি ভয়ে কাঁপছে। কিভাবে ইভান ওর বাবার কাছে আমার কথা বলতে পারলো। যেখানে আমাদের মাঝে এখনো বন্ধুত্ত ছাড়া কিছুই নেই সেখানে এই ছেলে তার বাবার সাথে আমার কথা শেয়ার করে নিয়েছে?
-“কি হলো দাঁড়িয়ে আছো?”
-“তুমি….”
-“এসব পরে বলো আগে গাড়িতে উঠো। ভিজে যাচ্ছি তো। গাড়িতে উঠার পর কথা হবে।”
ইভান কারের দরজা খুলে দেয় বর্ণালী উঠে বসে। নিজেও উঠে বসে ছাতা বন্ধ করে গাড়ির পিছনের সিটে রেখে দেয়।
-“তোমার বাবাকে কি বলেছো ইভান?”
-“কিছুই না।”
-“মানে কি? তাহলে কিভাবে বুঝলেন?”
-“আমার বাবা আমার মুখ দেখেই বুঝে যান আমার কি হয়েছে। আমার কখন কি চাই সবকিছু।”
-“কিন্তু আমার কথা এভাবে না বললেও তো পারতে।”
-“হুম পারতাম কিন্তু আমার বলার ইচ্ছা ছিলো তাই বলে দিয়েছি। বুমনি আর বাবা তোমার কথা জানেন শুধু মা জনেনা। মাকেও সুযোগ বুঝে বলে দিবো।”
এসব কথা যেনো বর্ণালীর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে এসব কথার কোন মানে বুঝতে পারছেনা ও। কথা না-বাড়িয়ে চুপচাপ বসে আছে বর্ণালী। ইভান গাড়ি স্টার্ট দেয়। জানালা বেয়ে টুপটুপ বৃষ্টির ফোটা গড়িয়ে পড়ছে। এই বৃষ্টিকণা গুলোকে দেখতে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করছে বর্ণালীর মনে।
💛
#____চলবে……
গত পর্ব -https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=123675425969483&id=103632171307142
.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here